× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Provided briefing to the members of the Central Africa Republic of Contingent by the Chief of Air Force
google_news print-icon

বিমান বাহিনী প্রধান কর্তৃক মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রগামী কন্টিনজেন্ট সদস্যদের উদ্দেশ্যে ব্রিফিং প্রদান

বিমান-বাহিনী-প্রধান-কর্তৃক-মধ্য-আফ্রিকা-প্রজাতন্ত্রগামী-কন্টিনজেন্ট-সদস্যদের-উদ্দেশ্যে-ব্রিফিং-প্রদান

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রে (Central African Republic) নিয়োজিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে (MINUSCA), Bangladesh Armed Military Utility Helicopter Unit-5 (BANAMUHU-5) কন্টিনজেন্ট এর মোট ১২৫ জন সদস্য প্রতিস্থাপন করতে যাচ্ছে। বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন, বিবিপি, ওএসপি, জিইউপি, এনএসডব্লিউসি, পিএসসি সোমবার (১৬-৬-২০২৫) বিমান বাহিনী সদর দপ্তর-এ মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রগামী কন্টিনজেন্ট (BANAMUHU-6) এর সদস্যদের উদ্দেশ্যে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন।

এসময় তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সততা, পেশাদারিত্ব ও আন্তরিকতার সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী তথা দেশের সুনাম বয়ে আনার জন্য কন্টিনজেন্ট সদস্যদের প্রতি আহবান জানান। পরিশেষে তিনি মিশনের সাফল্য কামনায় আয়োজিত এক বিশেষ মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে বিমান বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারগণ, ঢাকাস্থ বিমান ঘাঁটি দ্বয়ের এয়ার অধিনায়ক এবং বিমান সদর ও ঘাঁটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এখানে উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সমরাস্ত্র ব্যবহারে সক্ষম এবং নাইটভিশন প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ০৩ টি এমআই-১৭১ হেলিকপ্টার ও বিভিন্ন গ্রাউন্ড সাপোর্ট ইকুইপমেন্ট মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রে MINUSCA জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিযুক্ত রয়েছে। BANAMUHU-6 কন্টিনজেন্টের নেতৃত্বে থাকবেন এয়ার কমডোর ইমরানুর রহমান, বিইউপি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, জিডি(পি)। আগামী ১৯ জুন ২০২৫ তারিখে কন্টিনজেন্ট এর সদস্যগণ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর, ঢাকা হতে মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Antibiotics are also given to the child in diarrhea at the suggestion of the pharmacy
গবেষণা

ফার্মেসির পরামর্শে ডায়রিয়াতেও শিশুকে দেওয়া হচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক

ফার্মেসির পরামর্শে ডায়রিয়াতেও শিশুকে দেওয়া হচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক

বাংলাদেশে শিশুদের ডায়রিয়া চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। এতে শিশুদের অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স ঝুঁকি বাড়ছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চলের একটি তৃতীয় স্তরের হাসপাতালে ১ থেকে ৫৯ মাস বয়সি ৮ হাজার ২৯৪টি শিশুর ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়। এই গবেষণায় শিশুদের চিকিৎসা নেওয়ার ধরন ও অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, অধিকাংশ (৫৫ শতাংশ) ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুর ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়েছে। অথচ মাত্র ৬ শতাংশ শিশুর আমাশয় (রক্তযুক্ত পায়খানা) ছিল, যার জন্য অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশিকা অনুযায়ী, কলেরা ছাড়া সাধারণ পানিবাহিত ডায়রিয়ার চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন নেই।

সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, ৭৭ শতাংশ অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র (প্রেসক্রিপশন) ছাড়াই স্থানীয় ফার্মেসি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। আমাশয় আক্রান্ত শিশুদের ক্ষেত্রে শুধু অ্যান্টিবায়োটিক (জিংক বা ওআরএস ছাড়া) ব্যবহারের প্রবণতা সাধারণ পানিবাহিত ডায়রিয়ার চেয়ে বেশি ছিল (১৫ শতাংশ বনাম ৯ শতাংশ)। যদিও ৮৫ শতাংশ শিশু ওআরএস (খাবার স্যালাইন) নিয়েছে। কিন্তু মাত্র ৭ শতাংশ শিশু অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়া জিংক ও ওআরএস দুটোই পেয়েছে।

গবেষণায় আরও দেখা গেছে, যে শিশুরা হাসপাতালে আসার আগে অ্যান্টিবায়োটিক নিয়েছে, তাদের হাসপাতালে ভর্তির হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। যারা অ্যান্টিবায়োটিক নিয়েছে ও নেয়নি, সে তুলনায় এই হার যথাক্রমে ২০ শতাংশ ও ১৩ শতাংশ ছিল। এতে এমন ইঙ্গিত মেলে যে, অ্যান্টিবায়োটিকের অযৌক্তিক ব্যবহার কেবল অপ্রয়োজনীয়ই নয়, বরং শিশুদের অসুস্থতার তীব্রতা বাড়াতেও ভূমিকা রাখতে পারে।

অভিভাবকদের মধ্যে দ্রুত সুস্থ হওয়ার আকাঙ্ক্ষা, ঐতিহ্যগত অভ্যাস, ফার্মেসির প্রতি আস্থা ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র দূরে হওয়ার কারণে অনেকে ফার্মেসি থেকে চিকিৎসা নিতে আগ্রহী। গবেষণায় দেখা গেছে, টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কুমুদিনী হাসপাতালে আগত শিশুদের মধ্যে যারা মির্জাপুর উপজেলা থেকে বেশি দূরত্বের এলাকা থেকে এসেছে, তাদের মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের হার তুলনামূলক বেশি। এর অর্থ, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সহজলভ্যতা অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহারকে প্রভাবিত করছে।

গবেষণায় বারবার অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের (এএমআর) ভয়াবহতার কথা ওঠে এসেছে। অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স ২০১৯ সালে বিশ্বজুড়ে সরাসরি ১ দশমিক ২৭ মিলিয়ন মৃত্যুর জন্য দায়ী ছিল। আর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দশমিক ৪৯৫ মিলিয়ন মৃত্যুর কারণ ছিল। এছাড়া ২০৫০ সালের মধ্যে এএমআর এক ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিরিক্ত স্বাস্থ্যসেবা ব্যয় এবং ২০৩০ সালের মধ্যে জিডিপি থেকে প্রতি বছর এক ট্রিলিয়ন থেকে ৩ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতির কারণ হতে পারে। বাংলাদেশেও অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের উচ্চ প্রবণতা দেখা যায়, বিশেষ করে, শিগেলা ও ভিব্রিও কলেরার মতো ব্যাকটেরিয়ার ক্ষেত্রে যথেচ্ছ ব্যবহার করা হয়।

গবেষকেরা অ্যান্টিবায়োটিকের অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার কমাতে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রির বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ করার পরামর্শ দিয়েছেন।

তারা বলেছেন, ফার্মেসিগুলোতে অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রির ওপর নজরদারি বাড়ানো এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে সঠিক চিকিৎসাপদ্ধতি সম্পর্কে জ্ঞান ও অনুশীলনের ব্যবধান কমানোর ওপর জোর দেওয়া দরকার। এছাড়া ওআরএস ও জিংকের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানো ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য করাও অপরিহার্য।

গবেষণা প্রতিবেদনটি গত ২০ জুলাই বিজ্ঞান সাময়িকী ‘নেচার’-এ প্রকাশিত হয়েছে।

মন্তব্য

 দেশে বড় ধরনের অরাজকতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র

রাজধানীতে আ.লীগ ক্যাডারদের প্রশিক্ষণ, গ্রেপ্তার ২২
 দেশে বড় ধরনের অরাজকতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্র মারফত জানা যায়, নাশকতার মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ তাদের বাছাইকৃত ‘ক্যাডারদের’ প্রশিক্ষণও দিয়েছে।

প্রশিক্ষণ নেওয়া গেরিলা বাহিনীর প্রধান উদ্দেশ্য দেশের মধ্যে বড় ধরনের অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা এবং হাইকমান্ডের সবুজ সংকেত পাওয়ার পর ঢাকা দখলে নেওয়া। এজন্য মাস্টারপ্ল্যানের অংশ হিসাবে তালিকাভুক্ত কয়েক হাজার নেতাকর্মী দেশে ও বিদেশে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। ইতোমধ্যে কোর গ্রুপের একটি বড় অংশ প্রাথমিক প্রশিক্ষণ শেষ করেছে বলে জানা গেছে।

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দেওয়া এসব প্রশিক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন সেনাবাহিনীতে কর্মরত মেজর পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা। সেনাবাহিনীর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সাদেকুল হক সাদেক নামের ওই মেজর বর্তমানে তাদের হেফাজতে রয়েছেন এবং এ বিষয়ে তদন্ত চলমান আছে। তদন্তে তিনি দোষী প্রমাণিত হলে সেনাবাহিনীর প্রচলিত নিয়মে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাত করতে আগস্ট মাসে দেশজুড়ে নাশকতার ‘নীলনকশা’ সাজিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ জন্য নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের প্রায় আড়াই হাজার ক্যাডারকে এরই মধ্যে প্রশিক্ষণ দিয়েছে দলটি। রাজধানীর মিরপুর, ভাটারা, কাটাবন ও পূর্বাচল এলাকায় দেওয়া হয় এসব প্রশিক্ষণ।

সূত্র জানায়, প্রশিক্ষণের জন্য কর্মশালার নামে গত ৮ জুলাই রাজধানীর ভাটারা থানা এলাকার একটি কনভেনশন সেন্টার ভাড়া নেওয়া হয়। ওই কনভেনশন সেন্টারে ওইদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠন নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের প্রায় ৪০০ জন ক্যাডারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই প্রশিক্ষণে অংশকারীদের আগে থেকেই একটি টোকেন দেওয়া হয়। যা দুই দিন আগে মিরপুর ডিওএইচএসে একটি মিটিংয়ে আবেদনের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়েছিল। পূর্বের দেওয়া সেই টোকেন দেখিয়ে প্রশিক্ষণস্থলে প্রবেশ করেন অংশগ্রহণকারীরা।

ডিবি ও ভাটারা থানা-পুলিশ জানায়, ৮ জুলাই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বসুন্ধরা-সংলগ্ন কে বি কনভেনশন সেন্টারে ‘নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ’ একটি বৈঠক ডাকে, যেখানে ৩০০–৪০০ লোক অংশ নেন। অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা শেখ হাসিনার আহ্বানে সারাদেশ থেকে ঢাকায় লোক এনে শাহবাগ মোড় দখল করে দেশে ‘অস্থিরতা সৃষ্টি’ ও শেখ হাসিনার ‘পুনরায় ক্ষমতাসীন হওয়া’ নিশ্চিত করার পরিকল্পনা করেন। বৈঠকে সরকারবিরোধী স্লোগানও দেওয়া হয় বলে পুলিশের অভিযোগ।

এছাড়া রাজধানীর পূর্বাচলের সি-শেল রিসোর্টে, কাটাবনে ও মিরপুরে তিনটি প্রশিক্ষণের তথ্য পাওয়া গেছে। এসব প্রশিক্ষণে আওয়ামী লীগের ক্যাডারদের সশস্ত্র ও ভার্চ্যুয়াল লড়াইয়ের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাতে ঢাকায় তিন থেকে চার লাখ নেতাকর্মীর সমাগম ঘটিয়ে বিমানবন্দর ও শাহবাগ দখলের পরিকল্পনা ছিল ষড়যন্ত্রকারীদের।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইতোমধ্যে ২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর মধ্যে গত ১২ জুলাই উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকার ১১ নম্বর সেক্টরের ১৮ নম্বর রোডের ৮৩ নম্বর বাসা থেকে বরগুনার যুবলীগ নেতা সোহেল রানা ও একই সেক্টরের ১০/বি রোডের ১০ নম্বর বাসা থেকে গোপালগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেত্রী শামীমা নাসরিন শম্পাকে গ্রেপ্তার করে ভাটারা থানা পুলিশ। শম্পার স্বামী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। এ ছাড়া মেহেরপুরের যুবলীগ আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটনকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের তিনজনের বিরুদ্ধে এসব প্রশিক্ষণে সার্বিক সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার সোহেল রানা ও শামীমা নাসরিন শম্পাকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে নিয়ে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে বেরিয়ে আসে মেজর সাদেকুল হক সাদেকের নাম। যিনি এসব প্রশিক্ষণে মূল সমন্বয়ের কাজ করেন। তার সঙ্গে এই নীলনকশায় জড়িত তার স্ত্রী সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সুমাইয়া জাফরিন। বর্তমানে ওই মেজর সেনাবাহিনীর হেফাজতে আছেন।

সূত্র আরও জানায়, মেজর সাদেক কক্সবাজারের রামু ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত। গোয়েন্দা তথ্য বলছে, সাদেক ও সুমাইয়া কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার সময় শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে নেতাকর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন। আর সরকার উৎখাতের এই পরিকল্পনার বিষয়টি কলকাতায় বসে সার্বিক তত্ত্বাবধান করছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তাকে সহযোগিতায় সেখানে রয়েছেন ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা ও পুলিশের সাবেক কর্মকর্তারা।

অন্যদিক ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর নির্দেশনায় সরকার উৎখাতের এই পরিকল্পনায় কৌশলগত সহযোগিতা করছেন দিল্লিতে অবস্থান করা পলাতক অতিরিক্ত আইজিপি ও পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) সাবেক প্রধান মনিরুল ইসলাম এবং ডিজিএফআইয়ের সাবেক প্রধান পলাতক লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুজিবুর রহমান।

সূত্র জানায়, ঢাকায় প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া আওয়ামী লীগের ক্যাডারদের সবাইকে ইতোমধ্যে শনাক্ত করেছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। পাশাপাশি এসব প্রশিক্ষণে অর্থের যোগান দেওয়া ব্যবসায়ীদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া মেজর সাদেক ও তা স্ত্রী ব্যতীত আর কেউ এই ষড়যন্ত্রে জড়িত কি না, তা যাচাই করে দেখা হচ্ছে।

পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, গ্রেপ্তার সোহেল রানা ও শামীমা নাসরিন শম্পা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, নেতাকর্মীদের দেওয়া প্রশিক্ষণে মেজর সাদেক ছাড়াও আরও একাধিক প্রশিক্ষক ছিলেন। ভাটারা থানা এলাকার ওই কনভেনশন সেন্টারটি ভাড়া করেন সাবেক মালিক বায়জিদ। তার বাড়ি গোপালগঞ্জে। এর সঙ্গে ওই কনভেনশন সেন্টারের ম্যানেজারও জড়িত। তার সহযোগিতায় প্রশিক্ষণ চলাকালে ওই কনভেনশন হলের সব সিসিটিভি ক্যামেরা ওইদিন বন্ধ রাখা হয়।

এদিকে মেজর সাদেককে হেফাজতে নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে সেনাবাহিনী। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেস ‘এ’-তে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সেনাসদরের মিলিটারি অপারেশনস পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উদ-দৌলা বলেন, মেজর সাদেকের বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। যদিও বিষয়টি তদন্তাধীন আছে। তারপরেও আমি বলব, এরকম একটা ঘটনার কথা জানার পরে তিনি (মেজর সাদেক) সেনাবাহিনীর হেফাজতে আছেন এবং তদন্ত চলমান আছে। তদন্তে তার দোষ প্রমাণিত হলে নিঃসন্দেহে সেনাবাহিনীর প্রচলিত নিয়মে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেহেতু বিষয়টি তদন্তাধীন আছে এর বেশি এই মুহূর্তে বলা আমার মনে হয় সমীচীন হবে না।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Another success of the interim government to reduce 5 percent tariff Asif Nazrul

১৫ শতাংশ শুল্ক কমানো অন্তর্বর্তী সরকারের আরেকটি সফলতা : আসিফ নজরুল

১৫ শতাংশ শুল্ক কমানো অন্তর্বর্তী সরকারের আরেকটি সফলতা : আসিফ নজরুল

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, বাংলাদেশি পণ্যের ওপর থেকে ১৫ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ আরোপ করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। যা অন্তর্বর্তী সরকারের আরেকটি সফলতা।

তিনি আজ শুক্রবার তার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন।

ওই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘১৫ শতাংশ কমিয়ে বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ২০ শতাংশ। অ্যানাদার সাকসেস অফ ইন্টেরিম গভর্নমেন্ট’।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশি পণ্যের ওপর থেকে ১৫ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ আরোপ করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। শুল্ক নিয়ে হোয়াইট হাউসের এক ঘোষণায় এই পরিমাণের কথা উল্লেখ করা হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Inauguration of Art Work in July History of History of History in Wall

"জুলাই আর্ট ওয়ার্ক" এর উদ্বোধন: দেয়ালের ভাষায় ইতিহাস, স্মৃতি ও প্রতিরোধের চিত্রায়ণ

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সার্বিক সহযোগিতায় আগারগাঁও থেকে কারওয়ান বাজার মেট্রোরেল পিলারের অঙ্কিত গ্রাফিতি “জুলাই আর্ট ওয়ার্কের” আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

আজ রাজধানীর আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, "এই গ্রাফিতিগুলো আমাদেরকে আওয়ামী স্বৈরশাসনের ভয়াল দিনগুলো এবং জনগণের সাহসী প্রতিরোধের ইতিহাস বারবার স্মরণ করিয়ে দেবে। ভবিষ্যতে এ দেশে যেন আর কোনো স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সে লক্ষ্যে এসব গ্রাফিতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।"

সভাপতির বক্তব্যে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন,
"ফ্যাসিবাদ ইস্যুতে জাতীয় ঐক্য ধরে রাখার বিষয়টি মাথায় রেখেই এই গ্রাফিতি কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। গত ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনের উত্থান এবং তার পতনের ইতিহাস তুলে ধরাই ছিল এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য। গত একবছরে অনেক রং ফিকে হয়ে গেলেও, জুলাইয়ের চেতনা আজও অমলিন।"

"দেয়ালের ভাষা: স্মৃতি, প্রতিরোধ ও জনতার ইতিহাস"—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে অঙ্কিত জুলাই আর্ট ওয়ার্কে ২০২৪ সালের ঐতিহাসিক জুলাই ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান এবং ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক প্রতিরোধের এক শক্তিশালী চিত্রমালা উপস্থাপন করা হয়েছে।

দেয়ালচিত্রগুলোর মাধ্যমে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের রাজনৈতিক দমন-পীড়নের ভয়াবহ অধ্যায়, এবং ২০২৪ সালের ৩৬ দিনের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নানা দৃশ্য—মিছিল, সংঘর্ষ, গ্রেপ্তার, আত্মত্যাগ—উপস্থাপিত হয়েছে।

গুম, হত্যা, ভোট ডাকাতি, শিক্ষাব্যবস্থার ধ্বংস ও নাগরিক অধিকারের হরণ—এসব বাস্তবতার প্রতিবিম্ব যেন ফুটে উঠেছে রং ও রেখার প্রতিটি আঁচড়ে। শহিদ আবরার, ফেলানির মুখাবয়ব আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, স্মৃতি কেবল আবেগ নয়—এটি রাজনৈতিক সংগ্রামের অস্ত্র।

এই গ্রাফিতি কার্যক্রমকে বিশ্বব্যাপী জনগণের প্রতিরোধশিল্পের ধারাবাহিকতায় একটি আধুনিক সংযোজন হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।

দক্ষিণ আমেরিকার স্বৈরশাসন বিরোধী আন্দোলন, ফিলিস্তিনের দেওয়ালে প্রতিবাদচিত্র, যুক্তরাষ্ট্রে ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার, কিংবা মায়ানমারে জান্তা-বিরোধী বিক্ষোভের মতো—এই দেয়ালচিত্রও হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের জনগণের প্রতিরোধের প্রতীক।

উল্লেখ্য, ঢাকার মেট্রোরেল পিলারগুলো এতদিন ছিল উন্নয়নের প্রতীক; আজ তা হয়ে উঠেছে বিকল্প ইতিহাসের ক্যানভাস।

ছাত্রজনতা ও নাগরিক সমাজ নিজেদের শিল্পী, লেখক ও ইতিহাস-নির্মাতা হিসেবে প্রকাশ করেছে এই দেয়ালে। এটি কেবল গ্রাফিতির প্রদর্শনী নয়—একটি সামাজিক, রাজনৈতিক এবং নান্দনিক আন্দোলনের প্রামাণ্য দলিল।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Life Youth Foundation

জীবন ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

জীবন ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জীবন ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শুক্রবার (১লা আগস্ট) রাঙামাটি আসামবস্তি-রাঙ্গাপানি সংযোগ সড়কের দু'পাশে কাপ্তাই হ্রদের তীরবর্তী পার ঘেঁষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে সংগঠনটি।
বার্ষিক বৃক্ষরোপণ-২০২৫ উপলক্ষ্যে সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ ইমন ও দুর্যোগ ও ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ মনির গাজী এর নেতৃত্বে দুইটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে আসামবস্তি-রাঙাপানি সংযোগ সড়ক ও আসামবস্তি মহিউছ সুন্নাহ ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় বৃক্ষরোপণ করা হয়।
এসব গাছের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির বনজ, ফলদ, ঔষধীসহ সড়কে শোভাবর্ধনকারী বিভিন্ন গাছ।
“গাছ লাগাই, আগামীকে বাঁচাই”প্রতিপাদ্যকে ঘিরে কদম, কৃষ্ণচূড়া, হরতকি, বকুল, কাঠবাদাম, সোনালু, মহুয়া, নাগেশ্বরসহ বিভিন্ন গাছের চারা রোপণ করেন সংগঠনটির স্বেচ্ছাসেবীরা।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে জানানো হয় সম্পূর্ণ নিজস্ব ব্যবস্থাপনা ও অর্থায়নে তাদের এই উদ্যোগ। বৃক্ষ নিধন রোধ এবং পাহাড়ের সজীবতা ফিরাতে স্বেচ্ছাশ্রমে তারা কাজ করছে বলে জানান সংগঠনের সদস্যরা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Shipping Advisor to Sultanganj Nadi Port and Port of Protocol at Godagari in Rajshahi

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সুলতানগঞ্জ নদীবন্দর ও পোর্ট অব প্রটোকল পরিদর্শনে নৌপরিবহন উপদেষ্টা

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সুলতানগঞ্জ নদীবন্দর ও পোর্ট অব প্রটোকল পরিদর্শনে নৌপরিবহন উপদেষ্টা

দেশের নৌপথ উন্নয়নে সরকার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করছে। নদীবন্দরগুলোর কার্যকারিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আঞ্চলিক বাণিজ্য আরও গতিশীল হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন। রাজশাহীর গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ নদীবন্দর ও পোর্ট অব প্রটোকল পরিদর্শন করে নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন এ কথা বলেন।
নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রি জে: অব: ড. এম সাখাওয়া হোসেন বলেন, সুলতানগঞ্জ নৌবন্দরের অবকাঠামো গত উন্নয়ন করতে উচ্চ পর্যায়ে আলাপ করতে হবে। এটা আমি পজিটিভলি দেখবো।
শুক্রবার বেলা ১১টায় রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সুলতানগঞ্জ নদীবন্দর ও পোর্ট অব প্রটোকল পরিদর্শন ও স্থানীয়দের সাথে মতবিনিময় করেছেন।
এ সময় তিনি বলেন, নৌবন্দরের কার্যক্রম শুরু করার জন্য এনবিআরের অনুমোদনসহ অবকাঠামো উন্নয়ন ও রাস্তাঘাট প্রয়োজন। এই কার্যক্রমের সাথে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা জড়িত। কাজেই সকল পক্ষের ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেলে অচিরেই নদীবন্দরের কার্যক্রম শুরু হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ।এর আগে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন সরেজমিনে সুলতানগঞ্জ নদীবন্দর ও কোর্ট অব কল ঘুরে দেখেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Auliya Madrasa the second Anwar Bakhtiyarpara Charpir in Chittagong region

জুলাই গ্রাফিতি এঁকে চট্টগ্রাম অঞ্চলে দ্বিতীয় আনোয়ারার বখতিয়ারপাড়া চারপীর আউলিয়া মাদ্রাসা

জুলাই গ্রাফিতি এঁকে চট্টগ্রাম অঞ্চলে দ্বিতীয় আনোয়ারার বখতিয়ারপাড়া চারপীর আউলিয়া মাদ্রাসা

ছোট্ট সিয়াম(১১)বাসার হেলিকপ্টারের আওয়াজ শুনে জানালার পাশে গিয়ে বাবাকে ডেকে দেখাচ্ছে বাবা দেখ হেলিকপ্টার অমনি একটি বুলেট এসে লাগল রায়হানের বুকে, বাবার চিৎকার! শাহবাগ উত্তাল,ছাত্র জনতার শ্লোগানে শ্লোগানে মুখর রাজপথ,উত্তপ্ত রোধে হাঁপিয়ে উঠেছে সবাই,এসময় পানির বোতল নিয়ে হাজির মুগ্ধ,পানি লাগবে পানি...মুহুর্তেই বুলেটে ঝাঝড়া হয়ে গেলে মুগ্ধের বুক, মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মুগ্ধ। রংপুরে ছাত্র জনতার মিছিলে নির্বিচারে গুলি ছুড়ছে পুলিশ,মিছিলের সামনে গিয়ে বুক পেতে দিয়ে বুলেট বুকে নিয়ে সবাইকে রক্ষা করল আবু সাঈদ। আবু সাইদের বুকে বুলেট আটকে বেঁচে গেল গণতন্ত্র,রক্ষা পেল দেশ আর এতেই পালাতে হল ১৬ বছরের স্বৈরাশাসককে।

গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের অংগ্রহণে চট্টগ্রামে ২৪ এর রঙে গ্রাফিতি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় এভাবেই তোলে ধরেন আনোয়ারা উপজেলার বখতিয়ার পাড়া চারপীর আউলিয়া ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। আর এতেই চট্টগ্রাম অঞ্চলে কলেজ পর্যায়ে ১৯৩ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে মাদ্রাসাটি। এতে প্রথম স্থানে ব্রাক্ষ¥ণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজ পেয়েছে১৯৭ নম্বর ও তৃতীয় স্থান অধিকারী খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ পেয়েছে ১৯০ নম্বর।

গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম মহিলা সমিতি উচ্চ বিদ্যালয়ের দেয়ালে চট্টগ্রাম অঞ্চলের ১১ জেলা ৩৩ টি কলেজ ও মদ্র্রাসার শিক্ষার্থী দল প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে শিক্ষার্থীরা চেতনায় জুলাই ধারণ করে গ্রাফিতি তুলে ধরে।

পরে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহণ করেন মাদ্রাসার শিক্ষার্থী উম্মে হাবিবা মায়া, উম্মে জান্নাতুল মাওয়া সাইমা,নুসরাত শাহীন জেরিন,সুমাইয়া আক্তার মাহি ও মেহেরন্নেসা। প্রতিযোগী সকলেই খুবই স্বত:স্ফুর্ত অনুভূতি প্রকাশ করেন। তাদের ভাষায়,গ্রাফিতি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে জুলাই শহীদদে প্রতি শ্রদ্ধা ও তাঁদের স্মরণ করতে পেরে আমরা গর্বিত।

উম্মে হাবিবা মায়া বলেন,জুলাই গণঅভ্যুথানের চেতনা আগামী প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে গ্রাফিতি ও চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা অসাধারণ ভূমিকা রাখছে। গত বছর এই সময় যে সংগ্রামী যোদ্ধারা রক্তা দিয়েছে, নির্যাতিত হয়েছে, আন্দোলন করেছে, জীবন দিয়েছে তাদেরকে স্মরণ করি। আর সেই চিত্রই এই গ্রাফিতিতে ফুটে তোলার চেষ্ঠা করেছি।

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ কাজী আবদুল হান্নান বলেন,প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষকরা সব ধরণের সহযোগিতা করেছে। আমার আনন্দিত।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফেরদৌস হোসেন বলেন, বখতিয়ার পাড়া চারপীর আউলিয়া মাদ্রাসার এই অর্জনে পুরো উপজেলা গর্বিত। এ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে জুলাই চেতনা ধারণ করে রাখতে বিশেষ ভুমিকা রাখবে।

মন্তব্য

p
উপরে