বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে প্রায় ১৬৮ জন পথশিশু নিহত হয়েছে। তবে জাতীয় পর্যায়ে নথিভুক্ত ১৩ হাজার ৫২৯ জন আহত ব্যক্তির মধ্যে শিশুদের বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে ঢাকার সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর ‘রাজনৈতিক সহিংসতার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব: জুলাই-আগস্ট ২০২৪ প্রেক্ষাপট’ গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। গ্লোবাল ফান্ড ফর চিলড্রেনের অর্থায়নে একমাত্র সোসাইটি ও লোকাল এডুকেশন অ্যান্ড ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (লিডো) এ গবেষণা পরিচালনা করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুলি বা ছররা গুলির কারণে গুরুতর চোখের আঘাতের জন্য ৫০৬ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এর মধ্যে অন্তত ৬০ জন শিশু ছিল। তাদের মধ্যে একজন ৯ বছর বয়সি পথশিশু চিরতরে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে। আটকের ফলে শিশুরা মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হয়। কাওরান বাজারে ৪৩ জন পথশিশুকে কোনও আইনি সহায়তা ছাড়াই আটক রাখা হয়। তাদের মধ্যে শারীরিক নির্যাতনের চিহ্ন দেখা গেছে।
এছাড়া ব্র্যাক জানায়, অস্থিরতার সময় ঢাকার ৬২ শতাংশ পথশিশু আশ্রয়স্থল হারায়। সীমান্ত এলাকায় অভিভাবকহীন শিশুদের সংখ্যা ২০০ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ার তথ্য দেয় ইউনিসেফ। এইচআরডাব্লিউ স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া চিত্রে পুলিশি অভিযানের পরে অনেক আশ্রয়স্থল পরিত্যক্ত অবস্থায় দেখা গেছে।
এ গবেষণায় পথে বসবাসরত, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ৭০ জন শিশুর সঙ্গে করা কেস স্টাডি থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। কেস স্টাডিটি ব্যাপকভাবে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়া এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করে, সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, আন্দোলন চলাকালীন পথশিশুরা চরম সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলার মুখোমুখি হয়। ৭২ শতাংশ শিশু সহিংসতার ফলে আক্রমণের শিকার হয়েছে, কেউ সরাসরি আঘাত পেয়েছে, আবার কেউ নির্মম দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেছে। প্রায় অর্ধেক, অর্থাৎ ৪৮ শতাংশ পথশিশু সরাসরি আহত হয়। এর মধ্যে মাথায় আঘাত, ছররা গুলির আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ১৩ শতাংশ শিশুর গুলিবিদ্ধ হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। অতিরিক্ত ২৬ শতাংশ শিশু শারীরিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত না হলেও, বন্ধু বা পরিচিতদের মারধর ও আটক হতে দেখেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সহিংসতা শুরুর আগে পথশিশুদের মধ্যে সচেতনতার মাত্রা ছিল ভিন্ন। ৪১ শতাংশ শিশুর সহিংসতা সম্পর্কে কোনও ধারণাই ছিল না। তারা কেবল চারপাশে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি জানতে পারে। অন্যদিকে, ৩৬ শতাংশ শিশু আন্দোলনের লক্ষ্য সম্পর্কে অবগত ছিল। এছাড়া অংশগ্রহণও ছিল বিচিত্র; ৫৫ দশমিক ৭ শতাংশ শিশু সক্রিয়ভাবে সহিংসতায় যুক্ত হয় এবং ৩৪ দশমিক ৩ শতাংশ ব্যক্তি-উদ্যোগ বা সংহতির কারণে অংশ নেয়। অংশগ্রহণ বা বিরত থাকার সিদ্ধান্ত গঠনে ব্যক্তিগত বিশ্বাস, সহকর্মী ও রাজনৈতিক দলভুক্ত ব্যক্তির প্রভাব এবং নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের বিষয়টি প্রভাব ফেলেছে।
এতে বলা হয়, অনেক পথশিশুর জন্য সাধারণ জীবনধারণই কঠিন হয়ে পড়ে; কারফিউয়ের কারণে ৫৪ শতাংশ শিশু খাদ্য, পানি বা আশ্রয়ের জন্য সংগ্রাম করেছে এবং ৬০ শতাংশ শিশুর আয় ব্যবস্থাও ব্যাহত হয়েছে। এইসব কষ্টের মধ্যেও কেউ কেউ বন্ধু, পরিচিত ব্যক্তি ও কমিউনিটির সহায়তায় কিছুটা সামলে উঠতে পেরেছে। তবে মানসিক ক্ষতি ছিল গভীর। ৬১ শতাংশ শিশু মানসিক আঘাত, ভয় ও আতঙ্কের কথা জানিয়েছে; প্রায় অর্ধেক শিশুই দুঃস্বপ্ন বা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার অভিজ্ঞতা ভাগ করেছে এবং ৭৫ শতাংশ এর বেশি শিশু এখনও চাপ, দুঃখ ও উদ্বেগ নিয়ে বেঁচে আছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহিংসতা থেকে সৃষ্ট ট্রমা ছিল ব্যাপক।
লিডোর গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, সহিংসতা পরবর্তী পর্যায়ে ৬১ শতাংশ শিশু এখন তাদের এলাকায় তুলনামূলক নিরাপদ বোধ করে; পুলিশ ও গ্যাং-সংক্রান্ত অরাজকতার সংখ্যা কমেছে বলে মনে করছে, তবে মানসিক ক্ষত রয়ে গেছে। সহায়তার ক্ষেত্রে ৪১ শতাংশ শিশু এনজিও বা কমিউনিটির সাহায্য পেয়েছে, ৩৪ শতাংশ শিশু পরিচিত ব্যক্তি, ২২ শতাংশ কমিউনিটি নেটওয়ার্কের ওপর নির্ভর করেছে, আর মাত্র ১৯ শতাংশ পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পেরেছে। তবুও অনেকেই এখনও চরম পরিবেশে টিকে আছে। ৩৩ শতাংশ ভিক্ষাবৃত্তি, ২৩ শতাংশ আবর্জনা বা বোতল কুড়িয়ে জীবন চালায়। অনেকে রেলস্টেশন কিংবা রাস্তার পাশে ঘুমায়। যদিও ৪০ শতাংশ শিশু নিজেদের শারীরিকভাবে সুস্থ বলে জানিয়েছে, তাদের সার্বিক পরিস্থিতি এখনও ঝুঁকিপূর্ণ।
গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. নিলয় রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, বিগত তিন দশক ধরে রাজনৈতিক সহিংসতায় পথে বসবাসরত শিশুরা প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে ব্যবহার হয়ে আসছে। এর ফলে, এসব শিশু শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনেও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধন করতে শিশুদের ব্যবহার করতে দেখা গেছে এবং সহিংসতার কারণে তাদের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। সহিংসতার ফলে হতাহতের সংখ্যা এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা ঘিরে নানা বিশ্লেষণ ও বিতর্ক দেখা গেলেও সেখানে ঢাকার পথে বসবাসরত অবহেলিত শিশুদের ওপর এই সহিংসতার প্রাণঘাতী প্রভাব মূলধারার আলোচনাগুলোতে উপেক্ষিতই থেকে গেছে। পরবর্তী সময়ে ক্রমাগত আমাদের স্মৃতির বাইরে চলে গেছে। এই শিশুদের অভিজ্ঞতা শুধু শারীরিক আঘাতেই সীমাবদ্ধ ছিল না; তারা দীর্ঘমেয়াদি মানসিক ট্রমা, জীবিকার পথে বাধা, বাস্তুচ্যুতির মুখোমুখি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা পথকে কেন্দ্র করেই তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। তাদের আশ্রয়স্থলও হয় এই পথ। তাই রাজপথে সংগঠিত এই রাজনৈতিক সহিংসতা, তাদের এই দুর্বিষহ সামগ্রিক জীবন প্রবাহকে আরও মারাত্মক ঝুঁকির মুখোমুখি করে তোলে।
নড়াইলের কালিয়া উপজেলা শহরে খাদিজা সেবা ক্লিনিকে একজন প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৪ আগষ্ট)উপজেলা স্বাস্থ্যবিভাগের একটি দল তদন্ত সাপেক্ষে ওই ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটারসহ ক্লিনিক সিলগালা করেছেন ।
ক্লিনিক সূত্রে জানা গেছে,বুধবার (১৩ আগষ্ট)সকালে উপজেলার কলাবাড়িয়া ইউনিয়নের কলাবাড়িয়া গ্রামের কামাল শেখের প্রসূতি স্ত্রী লাবনী আক্তারকে খাদিজা সেবা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয় । ওইদিন বিকেলে রোগীকে সিজারিয়ান অপারেশন করা হলে জমজ সন্তানের জন্ম দেন ।
অপারেশনের পর লাবনী আক্তার গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তড়িঘড়ি করে রোগীকে খুলনার একটি হাসপাতালে রেফার করেন ক্লিনিক পরিচালক খাদিজা পারভিন । হাসপাতালে নেওয়ার পথে লাবনী আক্তারের মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেন ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ।
লাবনী আক্তারের দেবর মো.আসলাম হোসেনের অভিযোগ ক্লিনিকে কোন অ্যানেথেসিয়া চিকিৎসক ছিল না । কোন রকমে অজ্ঞান করেই রোগীকে অপারেশন করা হয় । যে কারণে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে আমার ভাবীর মৃত্যু হয়েছে । তিনি বলেন,জমজ সন্তান দুইটি বর্তমানে খুলনা শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে । এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,আমার ভাই মা বাবা সকলেই নবজাতকের চিকিৎসার জন্য খুলনায় অবস্থান করছে । তারা বাড়ীতে আসলে পরে আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে ।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো.শোয়াইব হোসেন বলেন,ওই ক্লিনিকে সেবিকা ও ডিউটি চিকিৎসক নেই । এছাড়া মানসম্মত অপারেশন থিয়েটারও নেই । তিনি বলেন,সিভিল সার্জন মহোদয়ের নির্দেশ ক্রমে আমিসহ কালিয়া উপজেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা পার্থ প্রতীম বিশ্বাস,মেডিকেল কর্মকর্তা মো.হাসিবুর রহমান,ডেন্টাল সার্জন মো.সরোয়ার হোসেন,উপজেলা সেনেটারী ইন্সপেক্টর মো.মঈনুদ্দীন ওই ক্লিনিক তদন্তে গিয়ে বিভিন্ন অনিয়ম দেখতে পাই ।
উপজেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা পার্থ প্রতীম বিশ্বাস বলেন,এর আগেও খাদিজা সেবা ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অপচিকিৎসার অভিযোগ পাওয়া গেছে । ক্লিনিকে মেয়াদোত্তীর্ণ অসুধ ব্যবহারের জন্য ভ্রাম্যমান আদালত বেশ কয়েকবার জেল জরিমানা করেছে । কিন্তু তারপরও ওই ক্লিনিক চালু রয়েছে ।
জানতে চাইলে ক্লিনিক পরিচালক খাদিজা পারভিন সাংবাদিকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন । তিনি মামলা করারও হুমকী দেন ।
সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুর রশীদ বলেন,ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাবার পর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ একটি তদন্ত টিম পাঠানো হয়েছিল । তিনি বলেন,প্রাথমিক পর্যায়ে ক্লিনিক সিলগালা করা হয়েছে । আগামি তিন কর্মদিবসের মধ্যে একটি তদন্ত টিম গঠন করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌরসভার বহুতল মার্কেট নির্মাণে ড্রইং,ডিজাইন ও পাইলিং থেকে শুরু করে পুরো নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে কার্যাদেশ প্রাপ্তির পর প্রায় ১০ মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। এই সময়ে কাগজে কলমে কথিত মাটি পরীক্ষার কাজ হয়েছে। পাইলিং এর কাজ শবেমাত্র শুরু হয়েছে। কার্য সমাপ্তির মাত্র ২ মাস সময় বাকী আছে। এখনও মূল ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি। অথচ স্থানীয় কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে এরই মধ্যে প্রায় এক কোটি টাকার বিল উত্তোলন করেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীন আই.ইউ.জি.আই.পি (ইমপ্রুভিং আরবান গভর্নেন্স এন্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রজেক্ট) প্রকল্পের আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে গোয়ালন্দ পৌরসভায় ৭ তলা ভীত বিশিষ্ট ৩ তলা মার্কেট নির্মাণের জন্য এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) এর অর্থায়নে ৯ কোটি ২৭ হাজার ৪০৪ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এজন্য প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই কল্পে স্থান নির্বাচন (সাইড সিলেকশন), মাটি পরীক্ষা (সয়েল টেস্ট), ড্রইং ও ডিজাইন সম্পন্ন করা হয়। গত বছর ২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর প্রকল্পের কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। এতে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে ফরিদপুরের তাশা কনস্ট্রাকশন লিঃ ও জান্নাত কনস্ট্রাকশন (জয়েন্ট ভেঞ্চার) নির্মাণ কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কার্যাদেশ প্রাপ্ত হয়। কার্যাদেশ প্রাপ্তির পর হতে এক বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালের ৩০ অক্টোবরের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
গত ৫ আগস্ট জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের একগুচ্ছ সংবাদ কর্মী সরেজমিন নির্মাণ কাজ পরিদর্শনকালে দেখা যায়, গোয়ালন্দ বাজারের প্রাণকেন্দ্রে মার্কেটের নির্ধারিত স্থানটি চারপাশ টিনের বেড়ায় আবৃত করে সেখানে পিকাস্ট পাইলিংয়ের কাজ চলছে। এই কাজে ঠিকাদারের পক্ষে উপ ঠিকাদার হিসেবে নিয়োজিত “বিলটেক্স টেকনোলজি” এর প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান জানান, এপর্যন্ত তারা ২৫ ফুট দীর্ঘ মোট ২১ টি পাইলিং স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন। নির্মাণ কাজের টেন্ডার সিডিউলে ৫০ ফুট দীর্ঘ পাইল স্থাপনের উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও অর্ধেক আকারের পাইলিং করা হচ্ছে এমন প্রশ্নের বিষয়ে ওই প্রকৌশলী বলেন, এখানকার মাটি খুবই শক্ত। যে কারণে ২৫ ফুটই যথেষ্ট।
প্রত্যক্ষদর্শী বাজারের উৎসুক একাধিক ব্যবসায়ী সাংবাদিকদের তথ্য ও ভিডিও সংগ্রহের সময় এগিয়ে এসে এ প্রতিবেদককে বলেন, এখানে ৫০ ফুটের স্থলে ২৫ ফুটের পাইলিং করা হচ্ছে। তাও আবার নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের কারণে কোন কোন পাইল মাঝ পথে ভেঙ্গে যাচ্ছে।
তিনি জানান, বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষ পাইলিংয়ের জন্য ৫০ ফুটের পূর্ব নির্ধারিত ১৪০ টির স্থলে ২৫ ফুটের ২৮০ টি পাইল স্থাপনের কথা বলেছেন। তবে এবিষয়ে প্রকল্প পরিচালকের (পিডি) দপ্তরের কোন লিখিত আদেশ কিংবা সিডিউল সংশোধনীর কোন তথ্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কিংবা গোয়ালন্দ পৌর কর্তৃপক্ষ দেখাতে পারেননি।
এদিকে কারিগরি ত্রুটি সহ বিভিন্ন বিষয়ে জানার জন্য গত ১২ আগস্ট গোয়ালন্দ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে গেলে নির্বাহী প্রকৌশলী ফেরদৌস খান জানান, সয়েল টেস্ট এর সাথে ডিজাইনের কিছুটা তারতম্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
পাইল এর সংখ্যা বৃদ্ধি ও দৈর্ঘ্য কমিয়ে পাইলিং এর কাজ বাস্তবায়নের বিষয়ে তিনি বলেন, মাটির বেয়ারিং ক্যাপাসিটি বাড়ানোর জন্য পাইলিং একভাবে করলেই চলে।
কাজের বাস্তবায়নের ধীরগতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পূর্বে এই বাজারের পুরাতন দোকানগুলো নিলাম প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরও অপসারণ হতে বাড়তি সময় ব্যায় হওয়ায় নির্মাণ কাজ শুরু করতে বিলম্ব হয়ে যায়। কাজটি নির্ধারিত সময়ে শেষ হবেনা, এরজন্য পিডি অফিস থেকে সময় বাড়িয়ে নেওয়া যাবে।
তিনি জানান, ৭০ শতাংশ পাইলিং এর কাজ সম্পন্ন হওয়ায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে প্রায় এক কোটি টাকার একটি বিল পরিশোধ করা হয়েছে।
গোয়ালন্দ পৌরসভার প্রশাসকের দায়িত্বে নিয়োজিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নাহিদুর রহমান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নামে বিল প্রদানের বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে নির্মাণ কাজের পুরো বিষয়টি কারিগরি ও প্রকৌশলগত বিষয় উল্লেখ করে তা এড়িয়ে যান।
এদিকে পুরো কাজের ধীর গতি, সিডিউলে বর্ণিত নির্দেশনা উপেক্ষা করে পাইলিং স্থাপন সহ বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তাশা কনস্ট্রাকশন লিঃ ও জান্নাত কনস্ট্রাকশন এর স্বত্ত্বাধিকারী শহীদুল ইসলাম বলেন, কাজটি স্থানীয় ঠিকাদার সালাউদ্দিন চৌধুরী ও জাহাঙ্গীর হোসেন সহ বেশ কয়েকজন বাস্তবায়ন করছে। এতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তারপরও তিনি বিষয়টি দেখে পরে জানাবেন বলে মোবাইল ফোনে উল্লেখ করেন।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত বারদী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান ভূঁইয়া ওরফে লায়ন বাবুলকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত বুধবার রাতে রাজধানীর বনশ্রীর নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত লায়ন বাবুল বারদী ইউনিয়নের গোয়ালাপাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা সালাউদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশ তাকে সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ইব্রাহিম হত্যা মামলায় নারায়ণগঞ্জ আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে। নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইয়ুম খাঁন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, ২০২১ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের বারদী ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে মনোনীত প্রার্থী হন। ওই ইউনিয়নে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী না থাকায় সে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হন। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই সে বিভিন্ন রাজনৈতিক বক্তব্য ও কর্মকান্ডে আলোচিত ও সমালোচিত হয়ে উঠেন। ২০২২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারী বারদি ইউনিয়নের পাইকপাড়া একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি সমালোচিত হন ‘আমি বারদী ইউনিয়নের ম্যাজিস্ট্রেট, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমার অনুমতি নিয়ে বারদীতে আসতে হবে, এখন থেকে প্রশাসনকে অবশ্যই আমার পক্ষে কাজ করতে হবে কারো ফোনে প্রশাসন আসবে না, আমি যদি বলি সুইচ অফ দিজ ইজ অফ।’ লায়ন বাবুলের এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। এ ঘটনায় ফারুক নামের এক আওয়ামীলীগ নেতা লায়ন বাবুলের এ বক্তব্যের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ আদালতে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন। এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় ডিবি পুলিশকে। দীর্ঘদিন মামলাটি তদন্ত করে ডিবি পুলিশের এসআই সৈয়দ রুহুল আমিন লায়ন বাবুলের বক্তব্যের বিরুদ্ধে পেনাল কোড আইনের ৫০০ ধারার অপরাধে প্রাথমিকভাবে সত্যতা পেয়ে তা আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এ জন্য তাকে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য পদও হারাতে হয়েছিল।
এছাড়াও লায়ন বাহবুবুর রহমান বাবুল ভূঁইয়া ফাউন্ডেশননের উদ্যোগে প্রতি বছর বিনামূল্য চক্ষু সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এ সেবায় ওই অঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ চক্ষু চিকিৎসা পেয়েছেন।
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে দেড় হাজার ভ্যান চালকের মাঝে বিনামূল্যে লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ আগষ্ট) বিকেল সাড়ে ৫ টার সময যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এই লাইসেন্স প্রদান করা হয়। যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে (ভর্তুকি মূল্যে) চালকদের হাতে লাইসেন্স তুলে দেন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব রেজাউল করিম, ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আবু সাঈদ, ১,২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত (মহিলা) সদস্য মোছা. মরিয়ম খাতুন ও ৭,৮, ও নম্বর ওয়ার্ডের মোছা. হাসি খাতুনসহ প্রমূখ। এ বিষয়ে যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমার ইউনিয়নে প্রায় দুই হাজার জন সম্মানিত ভ্যানচালক আছেন। ভ্যান চালিয়ে সন্তানদের পড়াশোনা, ওষুধ কেনা, সংসার চালাতে তাঁদের খুব কষ্ট হয়। তাই সেজন্য গত বছরের ন্যায় এবারো পরিষদের ভর্তুকি দিয়ে বিনামূল্যে এক হাজার ৫০০ জনকে লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে। পরিষদের সাধ্যমত ভবিষ্যতেও এধরনের কার্যক্রম চলামান থাকবে। এ দিকে বিনামূল্যে লাইসেন্স পেয়ে খুশি চালকরা। তারা বলেন, গরিব মানুষ। সারাদিন ভ্যান চালিয়ে খুব কষ্টে সংসার চালাতে হয়। ফ্রি যা পাবো তাই লাভ। ভ্যানচালক মনছের আলী বলেন, সারাদিন খাটেখুটে যা পাই, তা দিয়ে চলতে বেশখানি কষ্টই হয়। ফ্রি ফ্রি যা পাবো, তাই লাভ। তিনি ইউনিয়নের জোতমোড়া গ্রামের বাসিন্দা। রসুলপুর গ্রামের এরশাদ শেখ বলেন, পৌর এলাকায় গেলেই ভ্যান ধরে ৩০০ টাকার লাইসেন্স করায়। কিন্তু চেয়ারম্যান ফ্রি ফ্রি দিচ্ছে। দাম ১০০ টাকা হলেও আমাদের লাভই হচ্ছে। প্রতিটি লাইসেন্সের মূল্য ১০০ টাকা করে জানালেন পরিষদের সচিব রেজাউল করিম। তিনি বলেন, গতবছর প্রায় এক হাজার ৬০০জনকে বিনামূল্যে লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছিল।
গণঅভ্যূত্থানে ছাত্র-জনতার উপর হামলা ও হত্যা চেষ্টার দুই মামলায় রংপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি আতাউর জামান বাবুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত বুধবার (১৩ আগস্ট) দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে নগরীর নিউ ইঞ্জিনিয়ারপাড়ার এক আত্মীয়র বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আতাউর জামান বাবু জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। গণ অভ্যূত্থানের পর তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানার ওসি আতাউর রহমান।
তিনি জানান, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আতাউর জামান বাবু গুলিতে আহত জয়নাল আবেদীন ও শহিদুল ইসলাম সাগর হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী। গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে তার অবস্থান শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়। আদালতের মাধ্যমে তার রিমান্ড আবেদন করা হবে। তিনি আত্মগোপনে থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উস্কানীমূলক পোস্ট করে আসছিলেন। তার বিরুদ্ধে রংপুর নগরীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগকে সংগঠিত করার অভিযোগ রয়েছে।
নেত্রকোনায় সুস্বাস্থ্যের জন্য ফলিত পুষ্টি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, বারটান আঞ্চলিক কার্যালয় নেত্রকোনার সম্মেলন কক্ষ সমূহে ১২-১৪ আগস্ট পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার সকালে তিনদিন ব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়। এ প্রশিক্ষণে দুই ব্যাচে মোট ৬০ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন । উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষক- শিক্ষিকা, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, সাংবাদিক,ইমাম, এনজি কর্মী এবং কৃষক কৃষাণীসহ মোট ৬০ জন প্রশিক্ষণার্থীর অংশগ্রহণে তিনদিন ব্যাপী এ
বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান) আঞ্চলিক কার্যালয় নেত্রকোনার উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও অঞ্চল প্রধান ড. মোসা: আলতাফ উন- নাহারের তত্ত্বাবধানে এ প্রশিক্ষণ বাস্তবায়িত হয়েছে॥ এ ছাড়াও প্রশিক্ষণ প্রদান করেন করেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা, পোল্ট্রি ডেভেলপমেন্ট অফিসার, উপজেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার, মেডিকেল অফিসার, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বারটান সহ জেলা পর্যায়ের অন্যান্য কর্মকর্তাগন। প্রশিক্ষণে দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস, সুষম খাবার, নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য সংরক্ষণ ও প্রস্তুত করন , শর্করা জাতীয় খাদ্য, আমিষ, ভিটামিন, আঁশ জাতীয় খাদ্য, রোগ প্রতিরোধকারী খাদ্য সহ সুস্বাস্থ্যের জন্য ফলিত পুষ্টি বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
কিশোরগঞ্জের ইটনায় মিনি স্টেডিয়ামে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনের সামনে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার বিকেলে উপজেলা পরিষদের ভিতরে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বুধবার রাতেই ইটনা থানায় এক আনসার সদস্য বাদী হয়ে ৪২ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত তিনশো জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাফর ইকবাল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পরেই আব্দুন নূর নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
তিনি আরও জানান, কিছুদিন আগে উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই সদর ইউনিয়নের কয়েকজন যুবক মিলে একটি অস্থায়ী শৃঙ্খলা কমিটি গঠন করে ইটনা মিনি স্টেডিয়ামে ফুটবল টুর্নামেন্ট চালু করে। স্থানীয়ভাবে অভিযোগ আসে যে সেখানে খেলার পাশাপাশি জুয়া চলছে। বিষয়টি তদন্তের স্বার্থে ইউএনও টুর্নামেন্ট বন্ধের নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, বুধবার বিকেলে তারা স্টেডিয়ামে খেলা শুরু করে। খেলা চলাকালে তিনি সেখানে গিয়ে ইউএনও’র নির্দেশের বিষয়টি জানান এবং খেলা বন্ধ করতে বলেন। এক পর্যায়ে মাঠ থেকে খেলায় অংশগ্রহণকারী এবং দুই থেকে তিন শতাধিক জনতা মিছিল নিয়ে ইউএনও অফিসে যায়। ইউএনও সাহেবকে না পেয়ে তারা বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে হামলা করে। এ সময় বাসভবনে দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা বাধা তাদের উপরও হামলা করা হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে চাইলে তাদের উপরও হামলা করা হয় বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়দের অনুরোধ ছিল মাঠে যেন জুয়া বা বড় টুর্নামেন্ট না হয়, কারণ বড় টুর্নামেন্ট হলে এলাকার ছেলেরা খেলার সুযোগ পায় না এবং মাঠও নষ্ট হয়। আমি বলেছিলাম বড় খেলার আগে আমাকে জানাতে। কিন্তু তারা আমার নির্দেশ অমান্য করে খেলা চালিয়ে যায়। পরে পুলিশ বাধা দিলে তারা আমার বাসভবনের সামনে এসে হট্টগোল ও হামলা চালায়, এমনকি দায়িত্বরতদের গায়ে হাত তোলে। তখন আমি বাসায় ছিলাম না, এই ঘটনায় পরিবার আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
মন্তব্য