× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Human physician Professor Shaheen Reza Chowdhury of Bhatti area
google_news print-icon

ভাটি এলাকার মানবিক চিকিৎসক অধ্যাপক শাহীন রেজা চৌধুরী

ভাটি-এলাকার-মানবিক-চিকিৎসক অধ্যাপক-শাহীন-রেজা-চৌধুরী

‘চোখ যে মনের কথা বলে, এটা তোমার কাজল রাঙা চোখ না দেখলে কোন দিন বিশ্বাস করতে পারতাম না। অথবা চোখে চোখে আশা, মনে মনে ভাষা, এরই নাম কি ভালোবাসা।’ এমন কব্যিক কথা প্রেমের গল্প উপন্যাসে পাওয়া যায়। কিন্তু কয়জন এমন ভালোবাসা খুঁজে পায়।

অধ্যাপক ডাক্তার শাহীন রেজা চৌধুরী এক অন্যরকম ভালোবাসায় আবদ্ধ হয়েছেন ভাটি এলাকার মানুষের। সৃষ্টি হয়েছে কিশোরগঞ্জের: ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম; নিখলী, তারাইল, বাজিতপুর, হবিগঞ্জের: আজমিরীগঞ্জ, বানিয়াচং; লাখাই, সুনারুঘাট এবং সুনামগঞ্জের: দিরাই, শাল্লাসহ গোটা ভাটি এলাকার অসহায় মানুষের ভালবাসার বন্ধন।

অধ্যাপক ডাক্তার শাহীন রেজা চৌধুরী চক্ষু সেবা দিয়ে ফিরিয়ে দিচ্ছেন অসহায় দৃষ্টিহীনের দৃষ্টি। অন্ধত্ব থেকে রক্ষা পাচ্ছে প্রান্তিক এলাকার অতি দরিদ্র মানুষজন। বিনামূল্যে ছানি অপারেশনসহ চক্ষু চিকিৎসার নানা রকমের সহযোগিতা দিয়ে মানবিক ডাক্তারে পরিণত হয়েছেন তিনি।

তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন দৃষ্টি উন্নয়ন সংস্থা (ডাস) ঢাকা, কলাবাগান, ভুতের গলি, ৪ সার্কুলার রোড, ঢাকা, ডাস চক্ষু হাসপাতাল, মোহাম্মদপুর, চাঁদ উদ্যান ঢাকা। এছাড়া ঢাকায় প্রতি শুক্রবার কলাবাগানে আনোয়ার হোসেন ফ্রি ফাইডে চক্ষু সেবায় বিনা মূল্যে সপ্তাহে একদিন সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

দৃষ্টি উন্নয়ন সংস্থা (ডাস) ঢাকা-এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ মো শাহীন রেজা চৌধুরী এবং চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবদুল ওয়াদুদ চৌধুরী।

দৃষ্টি উন্নয়ন সংস্থার সেবা শুধু ভাটি এলাকায় সীমাবদ্ধ নেই। সারাদেশে তিনি এখন প্রতি বছর প্রায় লক্ষাধিক লোককে চক্ষু সেবা দিতে পারছেন এবং প্রায় ৩৫ হাজার লোককে ডাসের ব্যবস্থাপনায় বিনামূল্যে লেন্সসহ ছানি অপারেশন, ফ্রি ঔধষ, কালো চশমা দিয়েছেন।

যেভাবে অসহায় দৃষ্টিহীনের সেবা দেয়া হয়- তিনি যখন জানতে পারেন কোন একটি উপজেলায় দৃষ্টি সমস্যায় মানুষজন ভোগছে, সেখানে তিনি একটি ক্যাম্পের আয়োজন করেন। এতে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতা এবং প্রশাসনের সহযোগিতায় একটি চক্ষু সেবা ক্যাম্প পরিচালনা করেন। ক্যাম্পে আসা হাজার হাজার চক্ষু রোগীর চোখ পরীক্ষা করেন। সেখানে তিনি বিনামূল্যে চশমা, ওষুধ দেন। এছাড়া, ছানি অপারেশন প্রয়োজন এমন রোগী বাছাই করেন। বাছাইয়ের পর ঐ এলাকা থেকে রোগীকে বিনামূল্যে ঢাকায় এনে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যান অবস্থিত দৃষ্টি চক্ষু হাসপাতালে, আগারগাঁওয়ের লায়ন চক্ষু হাসপাতালে এবং হবিগঞ্জের ডা. সহিদ চক্ষু হাসপাতালে অপারেশনের ব্যবস্থা করেন। বিনামূল্যে ল্যান্স, ওষুধ এবং চশমা দেন। তাদের দুই দিন দৃষ্টি চক্ষু হাসপাতালে রাখেন। ডাসের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় রোগীদের নিজ নিজ বাড়ি পৌঁছে দেন।

চলতি (মে) মাসের ১৭ তারিখ কিশোরগঞ্জে ইটনা উপজেলার মৃগা ইউনিয়নের লাইমপাশা উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি ক্যাম্পের আয়োজন করেন হাজী তারা পাশা ফাউন্ডেশন। তিনি ওই চক্ষু সেবা ক্যাম্পে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেন। দিনব্যাপী প্রায় এক হাজার রোগীর চোখের পরীক্ষা, ছানি রোগ নির্ণয় ও প্রাথমিক চিকিৎসা এবং ৭০০ জনকে ওষুধ ও ৫০০ জনকে চশমা প্রদান করা হয়। প্রাথমিক পরীক্ষার পর ১২০ জন ছানি রোগী বিনামূল্যে অস্ত্রোপচারের জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়। তালিকা থেকে ২১ মে প্রথম ব্যাচ ঢাকায় আসে এবং অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করে ২৩ মে বাড়ি পৌঁছে। দ্বিতীয় ব্যাচ ২৩ মে ঢাকায় আসে এবং অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করে ২৫ মে ডা. সহিদ চক্ষু হাসপাতালে আসেন এবং ২৬ মে নিরাপদে বাড়ি ফিরেন ডাসের ব্যবস্থাপনায়।

এর অর্থায়ন করেন আমেরিকার হিউম্যানিটি বিওনড বেরিআরস (HBB, আমেরিকা) প্রতিষ্ঠান। তিনি মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যানে দৃষ্টি উন্নয়ন সংস্থার হাসপাতলে সারাবছর দৃষ্টি সেবা চালু রেখেছেন

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশ
Decreased GDP increased per capita income

কমেছে জিডিপি, বেড়েছে মাথাপিছু আয়

কমেছে জিডিপি, বেড়েছে মাথাপিছু আয়

চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমলেও বেড়েছে মাথাপিছু আয়। বিবিএসের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা যায় ২০২৪–২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৯৭ শতাংশে, যা আগের অর্থবছর ২০২৩–২৪ অর্থবছরে ছিল ৪ দশমিক ২২ শতাংশ।

মঙ্গলবার (২৭ মে) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এই প্রাথমিক হিসাবের প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে।

এর আগের অর্থবছর ২০২২–২৩ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ। জিডিপি (সামগ্রিক দেশজ উৎপাদন) মানে হলো নির্দিষ্ট সময়ে দেশের ভেতরে উৎপাদিত সকল পণ্য ও সেবার চূড়ান্ত মূল্য।

বিবিএস জানায়, দেশের মাথাপিছু আয় বেড়ে ২ হাজার ৮২০ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। আগের অর্থবছরে এ আয় ছিল ২ হাজার ৭৩৮ ডলার। অর্থাৎ, এক বছরের ব্যবধানে ৮২ ডলার আয় বেড়েছে।

এর আগে ২০২১–২২ অর্থবছরে দেশের সর্বোচ্চ মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ৭৯৩ ডলার। তবে ডলার বিনিময় হার বেড়ে যাওয়ার কারণে পরবর্তী দুই অর্থবছরে এই আয় কমে যায়। এরপর ২০২২–২৩ অর্থবছরে তা কমে দাঁড়ায় ২ হাজার ৭৪৯ ডলারে। সর্বশেষ ২০২৩–২৪ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় আরও কমে হয় ২ হাজার ৭৩৮ ডলার।

মূলত ডলার বিনিময় হার বৃদ্ধির কারণে বিবিএসের গণনায় মাথাপিছু আয়ের হিসাবে পার্থক্য দেখা যায়। চলতি অর্থবছরে প্রতি ডলারের গড় বিনিময় হার আনুমানিক ধরা হয়েছে ১২০ দশমিক ২৯ টাকা, যেখানে আগের অর্থবছরে এই হার ছিল ১১১ দশমিক ০৬ টাকা।

এই অর্থবছরে টাকার হিসাবে মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২২১ টাকা, যা গত অর্থবছরের ৩ লাখ ৪ হাজার ১০২ টাকা থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।

মাথাপিছু আয় যেভাবে গণনা করা হয়

মাথাপিছু আয় বলতে কোনো ব্যক্তি এককভাবে যত টাকা আয় করেছেন তা নয়। এটি হলো দেশের মোট জাতীয় আয় (দেশীয় আয় + প্রবাসী আয়) কে জনসংখ্যা দিয়ে ভাগ করে যে গড় আয় পাওয়া যায়, সেটিই মাথাপিছু আয় হিসেবে ধরা হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Government Zakat Fund is playing an important role in alleviating poverty Religious Advisor

সরকারি যাকাত তহবিল দারিদ্র্য বিমোচনে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখছে: ধর্ম উপদেষ্টা

সরকারি যাকাত তহবিল দারিদ্র্য বিমোচনে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখছে: ধর্ম উপদেষ্টা

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, সরকারি যাকাত তহবিল দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তহবিলটি শক্তিশালী করলেই দারিদ্র্য নিরসনে কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করা সম্ভব হবে।

মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেলে সাতকানিয়ার বাবুনগর জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে স্থানীয় দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে সরকারি যাকাত তহবিলের অর্থ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

ধর্ম উপদেষ্টা যাকাত গ্রহীতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, সরকারি যাকাত তহবিল থেকে প্রাপ্ত অর্থ পরিকল্পিতভাবে কাজে লাগাতে হবে। নিজেদেরকে স্বাবলম্বী করে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আয়বর্ধক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে হবে।

তিনি গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি পালন, মৎস্য চাষ, শাকসবজি উৎপাদন ও কুটির শিল্প স্থাপনসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা কার্যক্রম শুরু করার পরামর্শ দেন, যা দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়ক হবে।

সরকারি যাকাত তহবিলকে শক্তিশালী করার জন্য যাকাত প্রদান বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে ড. খালিদ বলেন, তহবিল শক্তিশালী হলে দেশের দরিদ্র জনগণের জীবনমান পরিবর্তিত হবে এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। তিনি সমাজের বিত্তবানদের দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ জানান।

এ সময় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক সরদার সরোয়ার আলম ও সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সরকারি যাকাত তহবিল থেকে মোট ৬৪ জন দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে ছয় লাখ পনের হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়।

পরে ধর্ম উপদেষ্টা নূরে হাবিব ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনায় দুই শতাধিক গরীব-অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Fisheries and livestock adviser

নিজের মন্ত্রণালয় নিয়ে অসহায়ত্ব প্রকাশ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার

নিজের মন্ত্রণালয় নিয়ে অসহায়ত্ব প্রকাশ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার

নিজের মন্ত্রণালয় নিয়ে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুরে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে স্থানীয় জেলে সম্প্রদায় ও বাওড় মৎস্যজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় হাওড় বাওড় সমস্যা নিয়ে এ অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন।

উপদেষ্টা বলেন, আমি যেটা খুব অবাক হই, আমার নিজের মন্ত্রণালয় হিসেবে আমাদের খুব অসহায় লাগে আপনাদের মতই। আমরা জেলেদের মন্ত্রণালয়। আমাদের জেলেদের জীবন-জীবিকা যেখানে চলে সেই হাওড়-বাওড় ভুমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে। তারা হাওড় বাওড় ইজারা দেয়, আর আমরা তখন কাতর হয়ে বলি—এটা আমাদের দেন।

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, জল যার জলা তার, এই নীতি বাস্তবায়নে আমরা কাজ করব। তরুণ প্রজন্ম আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছে। এই প্রজন্মই সমাজের সকল বৈষম্য দূর করবে। প্রকৃত মৎসজীবীদের মাঝে বাওড়ের অধিকার ফিরিয়ে দিতে আমি ভূমি মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সকল দপ্তরের কথা বলব। বাওড়পাড়ের বাসিন্দাদের কাছে বাওড়ের প্রকৃত মালিকানা ফিরিয়ে দিয়ে তাদের দুঃখ দুর্দশা দূর করতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। রাজনৈতিক ও সামাজিক সকল পকে এ বিষয়ে সংহত হতে হবে।

এর আগে সকালে উপজেলার বলুহর বাওড় পরিদর্শন করেন উপদেষ্টা। সেসময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আওয়াল, খেত মজুর সমিতির সভাপতি ফজলুর রহমান, মৎস্য অধিদপ্তরের অভ্যন্তরীণ মৎস্য কর্মকর্তা মোতালেব হোসেনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
British Council Connection Through Culture Grants 2122 grant Application begins Deadline till June 23

ব্রিটিশ কাউন্সিল ‘কানেকশনস থ্রু কালচার গ্রান্টস ২০২৫’ অনুদানের আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছেঃ সময়সীমা ২৩ জুন পর্যন্ত

ব্রিটিশ কাউন্সিল ‘কানেকশনস থ্রু কালচার গ্রান্টস ২০২৫’ অনুদানের আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছেঃ সময়সীমা ২৩ জুন পর্যন্ত

ব্রিটিশ কাউন্সিলের শিল্পকলা-ভিত্তিক অনুদান ‘কানেকশনস থ্রু কালচার (সিটিসি)’ গ্রান্টসের জন্য আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে। এই অনুদানের মাধ্যমে যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশসহ ১৯টি অংশীদার দেশের শিল্পী ও সৃজনশীল প্রতিষ্ঠান শিল্পকলা ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সৃজনশীল এবং সাংস্কৃতিক প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করতে পারবেন। আগামী ২৩ জুন রাত আটটা (বাংলাদেশ সময়) পর্যন্ত এ অনুদানের জন্য আবেদন করা যাবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবং আবেদন করতে ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।

‘কানেকশনস থ্রু কালচার’ প্রকল্পটির মাধ্যমে শিল্প ও সংস্কৃতিতে উদ্ভাবনী এবং আন্তর্জাতিক উদ্যোগের জন্য ১০,০০০ পাউন্ড পর্যন্ত অনুদান প্রদান করা হবে। এর মধ্যে রেসিডেন্সি, পারফরম্যান্স, পলিসি ল্যাব, প্রদর্শনী, গবেষণা ও উন্নয়নের পাশাপাশি আরও অনেক উদ্যোগ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে যা অর্থবহ সংলাপ এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধি করতে এবং দীর্ঘমেয়াদী আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব জোরদার করতে সহায়তা করবে। এই অনুদান স্থাপত্য, নকশা, ফ্যাশন ও কারুশিল্প, থিয়েটার, নৃত্য ও সার্কাস, সাহিত্য, চলচ্চিত্র ও সৃজনশীল প্রযুক্তি, ভিজ্যুয়াল আর্টস, সঙ্গীত, অথবা মাল্টিডিসিপ্লিনারি উদ্যোগ সহ সকল শাখা হতে আবেদন গ্রহণের উপযুক্ত। প্রকল্পের মাধ্যম ডিজিটাল, স্বশরীরে অংশগ্রহণ, কিংবা হাইব্রিড হতে পারে। প্রকল্পের সময়কাল অক্টোবর ২০২৫ হতে ৩১ অক্টোবর ২০২৬ পর্যন্ত। আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কিত তথ্য ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

গত বছর এই অনুদানের মাধ্যমে ৪টি বাংলাদেশী প্রকল্প সহ মোট ৮৪টি বৈশ্বিক প্রকল্প সহায়তা পেয়েছিল। বিগত বছরের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এই বছরও নতুন প্রকল্পের আহবান জানানো হচ্ছে। এবারের পর্বে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৯০টি যৌথ উদ্যোগকে অনুদান প্রদান করা হবে, যা যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশসহ ১৯টি অংশগ্রহণকারী দেশের যৌথ সৃজনশীল প্রকল্পকে অর্থায়ন করবে।

এই উদ্যোগ নিয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিল সাউথ এশিয়ার রিজিয়নাল আর্টস ডিরেক্টর জিল রিচেনস বলেছেন, “কানেকশনস থ্রু কালচার শুধুমাত্র একটি গ্রান্ট প্রোগ্রামই নয়, এ উদ্যোগ সৃজনশীল অংশীদারিত্বে পরিবর্তন আনতে একটি প্রভাবকের ভূমিকা পালন করবে। যেসব প্রকল্প শিল্পকলা ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য ও উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করবে এবং সংস্কৃতি ও সমাজের মধ্যে সেতুবন্ধন গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখবে, আমরা সেসব প্রকল্প বাস্তবায়নে পাশে থাকতে চাই।”

ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর স্টিফেন ফোর্বস বলেন, “বাংলাদেশে প্রথমবারের মত আয়োজিত কানেকশনস থ্রু কালচার গ্রান্টের সাফল্যের ভিত্তিতে আমরা এবারের পর্বে শিল্পী ও শিল্পকলা নিয়ে যারা কাজ করছে, তাদের এই উদ্যোগে অংশ নিতে আহ্বান জানাই; আমরা আশা করি তারা নতুন উদ্যম ও উদ্দীপনা নিয়ে এ বছরের উদ্যোগের সাথে যুক্ত হবেন। এ আয়োজনের মাধ্যমে শিল্পী ও শিল্পকলা নিয়ে কাজ করে যে সংগঠনগুলো তাদের ক্ষমতায়নে কাজ করতে চাই, যেন একসাথে আমরা নতুন ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে পারি। অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সৃজনশীল কাজ ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের মাধ্যমে ভৌগোলিক সীমারেখা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিসরে অর্থবহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে, যা সামাজিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ও দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব রাখছে। সিটিসি গ্রান্টস প্রোগামও একই লক্ষ্যে কাজ করবে।”

যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশ সহ আরও যেসকল দেশ এই উদ্যোগে অংশ নিচ্ছেঃ অস্ট্রেলিয়া, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, বাংলাদেশ, চীনের মূল ভূখণ্ড, জর্জিয়া, ইন্দোনেশিয়া, কাজাখস্তান, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, নেপাল, নিউজিল্যান্ড, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, ইউক্রেন, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনাম।

বিস্তারিত জানতে এবং আবেদন করতে ভিজিট করুন ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট।

(ওয়েব নিউজের জন্য)

আবেদন করতে ও অংশগ্রহণের মানদণ্ড ও যোগ্যতা সম্পর্কে জানতে: https://britishcouncilarts.grantplatform.com/

পূর্বে অনুদানপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলো সম্পর্কে জানতে: https://arts.britishcouncil.org/projects/connections-through-culture-grants

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Matarbari Economic Zone is the chief adviser to develop the infrastructure of the economic zone

মাতারবাড়ি অর্থনৈতিক অঞ্চলের  অবকাঠামো দ্রুত উন্নয়নের তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার

মাতারবাড়ি অর্থনৈতিক অঞ্চলের  অবকাঠামো দ্রুত উন্নয়নের তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার

উপকূলীয় অঞ্চলকে দেশের শীর্ষস্থানীয় উৎপাদন ও রপ্তানিমুখী মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চলে রূপান্তর করতে মাতারবাড়ী এলাকার গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলোর উন্নয়নে আরো দ্রুততার সাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে মহেশখালী-মাতারবাড়ী সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন উদ্যোগ (MIDI) এর অগ্রগতি পর্যালোচনা শেষে এই নির্দেশনা দেন প্রফেসর ইউনূস।

এই অঞ্চলের কৌশলগত গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "আমরা মাতারবাড়িকে দেশের বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর, পণ্য উৎপাদন ও সরবরাহ এবং জ্বালানি উৎপাদনের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছি। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য, আমাদের বিপুল অঙ্কের বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে হবে।"

তিনি এই খাতে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের কথা তুলে ধরেন এবং এই ধরনের বিনিয়োগ সহজতর করার জন্য একটি মাস্টার প্ল্যান করার ওপর জোর দেন।

প্রধান উপদেষ্টা সড়ক পরিবহন ও নৌপরিবহন সচিবদের মহেশখালী-মাতারবাড়ী অঞ্চলের সাথে দেশের অন্যান্য অংশের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো উন্নত করতে সড়ক অবকাঠামো নির্মান কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার এবং সমুদ্রগামী কন্টেইনার জাহাজগুলিকে ধারণ করতে সক্ষম টার্মিনাল নির্মাণের নির্দেশনা দেন।

তিনি মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল এবং সংশ্লিষ্ট শিল্প-কারখানাগুলোর শ্রমিকদের জন্য একটি পরিকল্পিত শহর নির্মাণসহ নগর উন্নয়নের উপরও গুরুত্বারোপ করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আগামী ২৮ মে থেকে শুরু হতে যাওয়া জাপান সফরে MIDI অঞ্চলের উন্নয়ন একটি গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা হিসেবে তুলে ধরা হবে।

আসন্ন জাপান সফরে প্রধান উপদেষ্টার ৩০ মে টোকিওতে আয়োজিত ৩০তম নিক্কেই ফিউচার অফ এশিয়া সম্মেলনে যোগদান এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করার কথা রয়েছে, যার লক্ষ্য হবে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলির জন্য তহবিল নিশ্চিত করা।

বৈঠকে মহেশখালী-মাতারবাড়ি অর্থনৈতিক অঞ্চলে জাপান তাদের দ্বিতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলেও জানানো হয়।

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জাপানের প্রথম অর্থনৈতিক অঞ্চলটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এটি ইতিমধ্যে উল্লেখযোগ্য বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করেছে।

এছাড়াও, সৌদি আরবের পেট্রোকেমিক্যাল জায়ান্ট আরামকো, আবুধাবি পোর্টস, সৌদি আরবের বন্দর পরিচালনাকারী সংস্থা রেড সি গেটওয়ে, জাপানি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানি জেরা এবং মালয়েশিয়ার পেট্রোকেমিক্যাল কোম্পানি পেট্রোনাসসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক কোম্পানি এই অঞ্চলে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশ সম্প্রতি মাতারবাড়িতে দেশের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের জন্য জাপানি সংস্থা পেন্টা-ওশান কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড এবং টোয়া (TOA) কর্পোরেশনের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (জাইকা) সহযোগিতায় গৃহীত এ প্রকল্পটি হবে MIDI উদ্যোগের কেন্দ্রবিন্দু এবং এই অঞ্চলের সংযোগ এবং অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বৃদ্ধি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মহেশখালী-মাতারবাড়ী সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন উদ্যোগটি বাংলাদেশ এবং জাপানের একটি যৌথ উদ্যোগ যা সরবরাহ ব্যবস্থা, জ্বালানি এবং শিল্প উন্নয়নের মাধ্যমে এ অঞ্চলকে একটি কৌশলগত অর্থনৈতিক করিডোরে রূপান্তরিত করবে।

প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোর্শেদ, সড়ক পরিবহন, নৌপরিবহন, জ্বালানি, বিদ্যুৎ এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন। MIDI- সেলের মহাপরিচালক সারওয়ার আলম সভায় চলমান MIDI প্রকল্পগুলির একটি বিষদ পর্যালোচনা উপস্থাপন করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Meeting of National Moon Viewing Committee to determine the date of the holy Eid al Azha

পবিত্র ঈদুল আজহার তারিখ নির্ধারণে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা আগামীকাল

পবিত্র ঈদুল আজহার তারিখ নির্ধারণে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা আগামীকাল ছবি: সংগৃহীত

আগামীকাল বুধবার (২৮ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে।

১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র জিলহজ্ব মাসের চাঁদ দেখা এবং পবিত্র ঈদুল আজহার তারিখ নির্ধারণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আজ এই তথ্য জানিয়ে বলা হয়, সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।

বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র জিলহজ্ব মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা টেলিফোন নম্বর: ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ ও ০২-৪১০৫০৯১৭ এবং ফ্যাক্স নম্বর: ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১ এ অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক অথবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানোর জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Islamic banks in crisis will be integrated into state ownership Governor

সংকটে থাকা ইসলামী ব্যাংকগুলোকে রাষ্ট্রীয় মালিকানায় একীভূত করা হবে: গভর্নর

সংকটে থাকা ইসলামী ব্যাংকগুলোকে রাষ্ট্রীয় মালিকানায় একীভূত করা হবে: গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, আমানতকারীদের অর্থ নিরাপদ করার লক্ষ্যে সংকটে থাকা কয়েকটি ইসলামী ব্যাংককে রাষ্ট্রীয় মালিকানায় একীভূত করা হবে।

মঙ্গলবার (২৭ মে) বাংলাদেশ ফাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

গভর্নর বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মূল অগ্রাধিকার হলো আমানতকারীদের টাকা রক্ষা করা। ব্যাংক বাঁচবে কি না, তা পরের বিষয়।’

এক প্রশ্নের উত্তরে ড. মনসুর বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব ও বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে দায়িত্ব বিভাজনের জটিলতা অনেক সময় অর্থপাচার সংক্রান্ত মামলার তদন্তে বিলম্ব ঘটায়।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন’ সংশোধনের পর তদন্ত কার্যক্রমে নতুন গতি আসবে। কারণ, এতে টাস্কফোর্সকে অধিক ক্ষমতা দেওয়া হবে, যা পাচার করা অর্থ দ্রুত ও কার্যকরভাবে উদ্ধার করতে সহায়ক হবে।

এদিকে, বাংলাদেশ ২০২৪ সালের বাসেল অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং (এএমএল) সূচকে ১৩ ধাপ এগিয়েছে। এ সূচকে দেশের অবস্থান ৪৬তম থেকে উন্নীত হয়ে ৫৯তম হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএফআইইউ প্রধান এএফএম শাহিনুল ইসলাম।

একই সংবাদ সম্মেলনে এএফএম শাহিনুল ইসলাম বলেন, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে সাম্প্রতিক সময়ে গৃহীত কঠোর ও জোরালো পদক্ষেপগুলোর ফলেই এই অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের মে পর্যন্ত সময়কালে ১৭টি সংস্থা মোট ২৭ হাজার ১৩০টি সন্দেহজনক লেনদেন (এসটিআর) ও সন্দেহজনক কার্যক্রম (এসএআর) রিপোর্ট করেছে। এর মধ্যে বিএফআইইউ একাই ১৭ হাজার ৩৪৫টি এসটিআর ও এসএআর রিপোর্ট পেয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ২৩ শতাংশ বেশি।

তিনি আরও জানান, বিএফআইইউ ১১৪টি গোয়েন্দা প্রতিবেদন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও অনুসন্ধানকারী সংস্থার কাছে পাঠিয়েছে।
এছাড়া, মানি লন্ডারিং তদন্তে ১ হাজার ২২০টি তথ্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে শেয়ার করা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ বেশি।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএফআইইউ’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

p
উপরে