× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Tareq Rahmans hope of the most credible election led by Dr Yunus
google_news print-icon

ড. ইউনুসের নেতৃত্বে সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের আশা তারেক রহমানের

ড-ইউনুসের-নেতৃত্বে-সবচেয়ে-বিশ্বাসযোগ্য-নির্বাচনের-আশা-তারেক-রহমানের
জাতীয় পিপলস পার্টির (এনপিপি) ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জনগণ শিগগিরই দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন দেখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

তিনি বলেন, ‘আমাদের এখনকার প্রত্যাশা হলো জনগণ শিগগিরই সবচেয়ে অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন দেখতে পাবে, যা হবে দক্ষ, যোগ্য এবং আন্তর্জাতিকভাবে সম্মানিত এক অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের নেতৃত্বে।’

জাতীয় পিপলস পার্টির (এনপিপি) ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার(২৫ মে) রাজধাণীর ইন্সটিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো আবারও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে এবং জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ও সময় স্পষ্টভাবে ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে। বিএনপি দাবি করেছে, জাতীয় নির্বাচন আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে হতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, বিএনপি এবং যারা দীর্ঘদিন ধরে রাস্তায় আন্দোলন করছে, তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে পুরোপুরি সহযোগিতা করে যাচ্ছে—যাতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীতে প্রয়োজনীয় সংস্কার করা যায়।

বিএনপি নেতা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘জনগণের ভোটের মাধ্যমে জনগণের কাছে জবাবদিহির সরকার প্রতিষ্ঠায় যেকোনো অজুহাত বা অপ্রয়োজনীয় বিলম্বের সুযোগ নিয়ে পতিত, পলাতক এবং পরাজিত স্বৈরশাসক জেগে ওঠার জন্য অপেক্ষা করছে।’

তবে, তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে ফ্যাসিস্ট, ধ্বংসাত্মক ও অপশক্তির পুনর্বাসন রোধ করা সম্ভব।’

তারেক বলেন, ‘যদিও আমরা আমাদের দলীয় মতাদর্শ ও কর্মসূচি অনুযায়ী ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রক্রিয়া ও পদ্ধতিগত পার্থক্য দেখতে পাই। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি বাংলাদেশের গণতন্ত্রপ্রেমী জনগণ এখন ৫ আগস্টের মতোই ঐক্যবদ্ধ। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে ও জনগণের স্বার্থে ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধের জন্য একটি ইস্যুতে এই ঐক্য হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশের নাগরিকদের মধ্যে এক ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি করা হচ্ছে, যার ফলে বিভিন্ন পেশা এবং শ্রেণির মানুষ প্রতিদিন বিভিন্ন দাবিতে রাস্তায় নামছে। ‘দুর্ভাগ্যবশত, তাদের দাবির প্রতি কেউ কান দিচ্ছে না।’

তারেক রহমান বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের শাসনকালে রাজনৈতিক দলগুলো নানা নির্যাতন, ষড়যন্ত্র এবং দমন-পীড়নের শিকার হয়েছে।’

বিএনপি নেতা বলেন, ‘এখন সব রাজনৈতিক দলের লক্ষ্য হওয়া উচিত পরাজিত ফ্যাসিস্টের রাজনৈতিক পুনরুত্থান রোধ করা। এর জন্য জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন প্রয়োজন।’

তিনি আরও বলেন, ‘যখন দেশের জনগণ রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাবান হবে, তখন কোনো সরকারই স্বৈরাচারী হতে পারে না। এজন্য জনগণের একটি নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করা জরুরি।’

তারেক রহমান সরকারের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পুনর্গঠন করার হঠাৎ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন। উদ্যোগটি জাতীয় বাজেটের আগে নেওয়া হয়েছে এবং এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে রাজস্ব সংগ্রহ ও সামগ্রিক অর্থনীতিতে—সতর্ক করেন তিনি।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Some advisers think of the electoral roadmap claim as a great deal Rizvi

নির্বাচনী রোডম্যাপ দাবিকে ‘মহাপাপ’ মনে করছেন কিছু উপদেষ্টা: রিজভী

নির্বাচনী রোডম্যাপ দাবিকে ‘মহাপাপ’ মনে করছেন কিছু উপদেষ্টা: রিজভী জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার (২৫ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বিএনপি যে নির্বাচনী রোডম্যাপ দাবি করেছে, সেটিকে কিছু উপদেষ্টা ‘মহাপাপ’ হিসেবে দেখছেন বলে মন্তব্য করছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

নির্বাচনের জন্য অপ্রয়োজনীয় বিলম্ব হচ্ছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘স্পষ্ট সময়সীমার মধ্যে নির্বাচনের আহ্বান জানানো কি মহাপাপ? কিছু উপদেষ্টার মন্তব্য থেকে মনে হচ্ছে যে, তারা বিভিন্নভাবে বিভিন্ন মানুষের মধ্যে এই ধারণা উসকে দিচ্ছেন।’

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার (২৫ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপি নেতা এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি এবং অন্যান্য গণতান্ত্রিক দলগুলো অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে বলেছে। শেখ হাসিনা জনগণের এই ভোট দেওয়ার অধিকার বিলম্বিত করেছিলেন, বঞ্চিত করেছিলেন।’

‘আমাদের সব বিক্ষোভ ও আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল এই পরিস্থিতির উত্তরণ। প্রকৃত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা এবং একটি মুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা। কিন্তু এখন, নির্বাচনকে ঘিরে অনেক চক্রান্ত চলছে,’ যোগ করেন রিজভী।

নিজেদের এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে কিছু উপদেষ্টা নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেন বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব। এ কারণেই রাজনৈতিক সংকট বাড়ছে বলে তিনি মনে করেন।

রিজভী বলেন, ‘যদি উপদেষ্টারা তাদের দায়িত্বের বাইরে কোনো গোপন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেন—তাহলে জনগণ তা মেনে নেবে না। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের ভূমিকা পরিবেশ রক্ষা এবং উন্নত করা, কিন্তু তিনি বরং নির্বাচনের কথা বলেন ‘

‘বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যা নদী রক্ষার জন্য রিজওয়ানা কী করেছেন প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও বিষাক্ত বাতাসে শ্বাস নিচ্ছি কেন? দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে, পরিবেশ দূষণমুক্ত করতে তার কোনো উদ্যোগ বা কর্মসূচি আমরা দেখিনি।’

দুই ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগের জন্য তার দলের আহ্বানকে সমর্থন করে রিজভী বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা হলো নিরপেক্ষ থাকা। কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল গঠনে সহায়তা করা বা এর বিকাশে সহায়তা করা অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নয় ‘

রিজভী বলেন, ‘অবশ্যই নিরপেক্ষভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। এক্ষেত্রে, যদি একজন উপদেষ্টা (কুমিল্লার) এসপিকে ফোন করে বিএনপির লোকজনকে গ্রেপ্তার করার এবং দলটিকে সেখানে কোনো কার্যকলাপ পরিচালনা করতে বাধা দেওয়ার নির্দেশ দেন—তাহলে কেন তার পদত্যাগের দাবি উঠবে না?’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
With advisors Asif and Mahfuz NCP has no relationship Nahid Islam

উপদেষ্টা আসিফ ও মাহফুজের সঙ্গে এনসিপির কোনো সম্পর্ক নেই: নাহিদ ইসলাম

উপদেষ্টা আসিফ ও মাহফুজের সঙ্গে 
এনসিপির কোনো সম্পর্ক নেই: নাহিদ ইসলাম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারে যে দুই ছাত্র উপদেষ্টা রয়েছেন, তাদের সঙ্গে এনসিপির কোনো সম্পর্ক নেই। তারা যদি রাজনীতি ও নির্বাচন করতে চান তাহলে সরকার থেকে বের হয়ে তাদের মতো সিদ্ধান্ত নেবেন। একই সঙ্গে জনগণের ভোগান্তি কমাতে আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি জানান তিনি। পাশাপাশি জুলাই আন্দোলনে হত্যাকারীদের বিচার, সংস্কার ও জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ এক সঙ্গে ঘোষণার দাবি তোলেন তিনি।

গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। নাহিদ ইসলাম বলেন, তারা (উপদেষ্টা আসিফ ও মাহফুজ) গণঅভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে অভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবে সেই সময়ের সরকারে গিয়েছিলেন। আমিও তাদের সঙ্গে ছিলাম। এখন দুই উপদেষ্টার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক না থাকার পরও তাদেরকে জাতীয় নাগরিক পার্টির সঙ্গে যুক্ত করে এক ধরনের অপপ্রচার চলছে এবং তাদের হেয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা বলব এটি খুবই উদ্দেশ্যমূলক। গণঅভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবে যারা গিয়েছেন সরকার থেকে তারা বের হবেন কি না সেটা তাদের সিদ্ধান্ত। আমাদের প্রত্যাশা, গণঅভ্যুত্থানের বৈধতাসহ আকাঙ্ক্ষাগুলো বাস্তবায়নে ছাত্র উপদেষ্টাসহ সব উপদেষ্টা একত্রে কাজ করবেন। ছাত্র উপদেষ্টাদের জাতীয় নাগরিক পার্টির সঙ্গে যুক্ত করে যে অপপ্রচার করা হচ্ছে আমরা তার নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

প্রসঙ্গত সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা ফিরিয়ে আনতে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। সরকারের মধ্যে নতুন দলের কয়েকজন রয়ে গেছেন অভিযোগ করে তিনি বলেন, এই দলের প্রতি আমাদের অনেক আশাবাদ ছিল। তাদের দুজন উপদেষ্টা এই সরকারে থেকে অনেক কিছুতে হস্তক্ষেপ করছে।

অপরদিকে ওই দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেছে গণঅধিকার পরিষদও। দলটির নেতাদের ভাষ্য, এই দুই উপদেষ্টা এনসিপির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা আসিফ ও মাহফুজের বিষয়ে দলীয় বক্তব্য তুলে ধরেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ।

এ সময় তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার কী শুধু নির্বাচনকালীন সরকার, নাকি গণঅভ্যুত্থানের সরকার। রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার এবং বিচারের মধ্য দিয়েই নির্বাচনের দিকে যেতে হবে। সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বিচার, সংস্কার এবং নির্বাচন এই তিনটিরই সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ তৈরি করা উচিত। তবে আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দিকে যাওয়া উচিত। তাহলে মানুষের দুর্ভোগ দূর হবে।

গত ২০ মে বাংলামোটরে দলটির অস্থায়ী কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন নাহিদ বলেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে। তাদের কাজে ভরসা নাই। তাই দ্রুত ইসি পুনর্গঠন করতে হবে। গতকালের সংবাদ সম্মেলেনও ইসি নিয়ে আগের মন্তব্যই করেন তিনি। বলেন, ইসি আস্থা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। হয় তারা আস্থা ফিরিয়ে আনবেন, না হয় দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হবে।

৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে সেনাবাহিনীর কাছে আশ্রয় নেওয়া ৬২৬ জনের তালিকা প্রকাশ প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ৬২৬ জনের একটা তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, যেটা আমরা দীর্ঘদিন ধরে শুনে আসছিলাম। এটা তো আগস্ট মাসের ঘটনা। এটা যদি আগেই প্রকাশ করা হতো তাহলে জনগণের মনে কোনো সন্দেহ তৈরি হতো না। প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কথা বলার সুযোগও পেত না। সেনাবাহিনী আমাদের দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক। গণঅভ্যুত্থান এবং তার পরবর্তী সময়ে সেনাবাহিনী যে ভূমিকা পালন করেছে, সেটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।

‌‘আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে বিভিন্ন সময় দেখেছি, সেনাবাহিনীর সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক কখনো কখনো তৈরি হয়। আমরা ১/১১’র ঘটনা জানি। এসব ঘটনা কিন্তু আমাদের গণতন্ত্রের জন্য, রাষ্ট্রের জন্য এবং আমাদের সেনাবাহিনী, প্রতিষ্ঠান হিসেবে, কারো জন্য কোনো ভালো ফলাফল নিয়ে আসেনি। সে বিষয়টা যেন আমরা সবাই বিবেচনা করি। যার যেটা কাজ, যার যেটা দায়িত্ব, সেটা যাতে সবাই পালন করে,’বলেন নাহিদ।

বিগত সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করা হয়েছে জানিয়ে এনসিপি নেতা বলেন, আমলাতন্ত্র, পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং তাদের দিয়ে মানবতাবিরোধী কাজ করানোর অভিযোগও রয়েছে। প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠান এই সময়ে এসে একটা বিচারের মধ্য দিয়ে যাবে এবং যারা অভিযুক্ত তাদেরকে শাস্তি দেবে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে জনগণের প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

তিনি বলেন, গুমের অভিযোগ যেসব সেনা অফিসারের বিরুদ্ধে রয়েছে তাদের মধ্যে অনেকে গ্রেপ্তার হননি। তাদের অবস্থা কী সেটা কিন্তু আমরা জানি না। এই বিষয়গুলা সুস্পষ্ট করলে সেনাবাহিনী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আরও বেশি জনগণের কাছে আস্থার জায়গা পাবে। আমরা সেই আস্থার জায়গায় সেনাবাহিনীকে দেখতে চাই।

এসময় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP demanding roadmap in December

ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ দাবি বিএনপির

ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ দাবি বিএনপির

চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা প্রশমনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপির একটি চার সদস্যের প্রতিনিধি দল। বৈঠকে ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্দিষ্ট রোডম্যাপ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে দলটি।

শনিবার (২৪ মে) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন ‘যমুনা’য় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, আলোচনায় তিনটি বিষয়—সংস্কার প্রক্রিয়া, বিচারিক কার্যক্রম ও নির্বাচন—বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ছাড়া দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আর কোনো পথ নেই। ডিসেম্বরের মধ্যে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে আমাদের আলোচনা হয়েছে। আমরা একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ চাই।’

বিএনপি প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমেদ।

এর আগে রাজধানীর এক অনুষ্ঠানে আমীর খসরু বলেন, ‘এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—কীভাবে ও কত দ্রুত আমরা নির্বাচনের দিকে যেতে পারি। সময়ক্ষেপণের সুযোগ নেই।’

তিনি জানান, দেশের মানুষ গত ১৬ বছর ধরে যে ত্যাগ স্বীকার করেছে, তারা এখন ভোটের মাধ্যমে সরকার নির্বাচনের সুযোগ চায়।

অন্যদিকে, ড. মঈন খান বলেন, ‘গণতান্ত্রিক রূপান্তরই এখন একমাত্র সমাধান। ১৫ বছরের স্বৈরতন্ত্র থেকে ৫ আগস্ট মুক্তির পর জনগণ নতুন এক অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। এই রূপান্তর থেমে গেলে গণতন্ত্রও থেমে যাবে।’

সামরিক বাহিনীর একটি অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ও নির্বাচন প্রসঙ্গে সেনাপ্রধানের বক্তব্য এবং রাজনৈতিক দলগুলোর লাগাতার কর্মসূচি ও চাপের পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যাপক ইউনূসের পদত্যাগের গুঞ্জন উঠেছে বলেও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP calls for announcing the election schedule to avoid instability

অস্থিরতা এড়াতে ড. ইউনূসকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আহ্বান বিএনপির

অস্থিরতা এড়াতে ড. ইউনূসকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আহ্বান বিএনপির জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করুন- দেশের জনগণের পক্ষে দাঁড়ান’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জয়নুল আবদিন ফারুক।

আগামী সংসদ নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ায় দেশে অস্থিতিশীলতা বাড়ছে উল্লেখ করে বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস যদি অপমানজনকভাবে পদত্যাগ করেন—তাহলে তার দল ব্যথিত হবে।

শুক্রবার (২৩ মে) একটি প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ফারুক বলেন, ‘দেশে অস্থিরতার ঢেউ বইছে বলে মনে হচ্ছে। এই অস্থিরতার পিছনে মূলত দায়ী কারা? নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা কারা করছেন? আপনার (ড. ইউনূসের) মতো একজন সম্মানিত ব্যক্তির কাছ থেকে আমরা এই বিষয়গুলো জানতে চাই।’

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ফারুক বলেন, সরকার যদি একটি স্পষ্ট নির্বাচনী রোডম্যাপ দিত—তাহলে শেখ হাসিনার আমলে যারা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছেন এবং অসংখ্য মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন—তারা গঠনমূলকভাবে জড়িত হয়ে নির্বাচনমুখী হতেন।

তিনি বলেন, ‘কিন্তু আপনি (ড. ইউনূস) এখনও কোনো রোডম্যাপ দেননি। যদি এই অস্থিরতা আপনার তৈরি হয়—তাহলে জেনে রাখুন, বিএনপি কখনই এর দায় নেবে না।’

সরকারকে অবিলম্বে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আহ্বান জানান সংসদের সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ফারুক।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করুন—দেশের জনগণের পক্ষে দাঁড়ান’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘অপরাজেয় বাংলাদেশ’।

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সম্ভাব্য পদত্যাগ সম্পর্কে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ টেনে ফারুক বলেন, ‘যদি আপনার মতো একজন সম্মানিত ব্যক্তিত্বকে অপমানজনকভাবে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়—তাহলে তা আমাদের ক্ষতি হবে।’

তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করে যেভাবে বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদের নাম ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে, ঠিক সেভাবে আপনার নামও লেখা থাকুক। দিনের আলোতে ভোটদানের সুযোগ দিয়ে আমাদের ভোটাধিকার রক্ষা করলে... এমন উত্তরাধিকার ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’

বিএনপি নেতা প্রধান উপদেষ্টাকে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক উত্তরণ নিশ্চিত করে একটি উদাহরণ সৃষ্টির আহ্বান জানান, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জাতির একজন গ্রহণযোগ্য ও সম্মানিত ব্যক্তিত্ব হিসেবে তাকে নিয়ে গর্ব করতে পারে।

তিনি বলেন, ‘আমি আপনাকে আন্তরিকভাবে অনুরোধ করছি, আপনি অবিলম্বে আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া, মাহফুজ আলম এবং খলিলুর রহমান—এই তিন ব্যক্তিকে উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করার জন্য অনুরোধ করে চিঠি দেন। অন্যথায়, তাদের অপসারণের দায় আপনার উপর বর্তাবে।’

ফারুক বলেন, সংস্কার অবশ্যই করা উচিত, কিন্তু এমনভাবে নয়—যাতে মিয়ানমারের সঙ্গে একটি করিডোর তৈরি হয় বা চট্টগ্রাম বন্দর অন্যদের হাতে চলে যায়।

ষড়যন্ত্রকারীদের নির্বাচন বিলম্বিত করা ও অধ্যাপক ইউনূসের সরকারকে অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দিতে পারে—এমন যেকোনা সংস্কারের বিষয়ে সতর্কও করেন তিনি।

এই অস্থিতিশীলতা দূর করতে অধ্যাপক ইউনূসকে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবি জানান ফারুক।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jamaat Amir calls to call on all party meetings

সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার আহ্বান জামায়াত আমীরের

সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার আহ্বান জামায়াত আমীরের

দেশের বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে একটি সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয় মগবাজারে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এক জরুরি বৈঠক জামায়াত আমীর এ আহ্বান জানান।

বৈঠকে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। এসময় দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The next hearing of Dr Zubaida Rahmans appeal on Monday

ডা. জুবাইদা রহমানের আপিলের পরবর্তী শুনানি সোমবার

ডা. জুবাইদা রহমানের আপিলের পরবর্তী শুনানি সোমবার ছবি: সংগৃহীত

জ্ঞাতআয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের হাইকোর্টে করা আপিলের পরবর্তী শুনানি আগামী সোমবার।

বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আপিলের প্রথম দিনের শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার পরবর্তী শুনানির এই দিন ধার্য করে আদেশ দেয়।

আদালতে জুবাইদা রহমানের আপিলের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এস এম শাহজাহান, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন ভূইয়া। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী আসিফ হাসান।

এই মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে গত ১৪ মে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ডা. জুবাইদা রহমানকে জামিন দেন। সেই সঙ্গে নিম্ন আদালতে থাকা এই মামলার নথি তলবের পাশাপাশি জুবাইদা রহমানের অর্থদণ্ড স্থগিত করেন।

সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, জুবাইদা রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলাটি করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরের বছর তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ২০২৩ সালের ২ আগস্ট এই মামলায় রায় দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. আছাদুজ্জামান। রায়ে তারেক রহমানকে ৯ বছর কারাদণ্ড এবং তাঁর স্ত্রী জুবাইদা রহমানের ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে এই মামলায় জুবাইদা রহমানের কারাদণ্ড ১ বছরের জন্য স্থগিত করে গত ২২ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করে।

মন্তব্য

p
উপরে