× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
BJIMs Symposium on the occasion of World Free Media Day
google_news print-icon

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে বিজেআইএমের সিম্পোজিয়াম

বিশ্ব-মুক্ত-গণমাধ্যম-দিবস-উপলক্ষে-বিজেআইএমের-সিম্পোজিয়াম

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে একটি সিম্পোজিয়াম আয়োজন করছে বাংলাদেশি জার্নালিস্ট ইন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া (বিজেআইএম)। এতে অংশ নেবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলমসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় সাংবাদিক ও গবেষকরা। আগামী শনিবার (৩ মে) বিকাল ৩টায় ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার অডিটরিয়ামে এই সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিজেআইএমের আহ্বায়ক স্যাম জাহান ও সদস্য সচিব মোহাম্মদ আলী মাজেদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ আফটার দ্য মনসুন আপরাইজিং : দ্য মিডিয়া ল্যান্ডস্ক্যাপ’ শীর্ষক এই সিম্পোজিয়ামটি তিনটি সেশনে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম সেশনে বিজেআইএম প্রতিষ্ঠার পর থেকে এর অর্জনের একটি সারসংক্ষেপ ও পরিকল্পনার রূপরেখা উপস্থাপন করা হবে।

দ্বিতীয় সেশনে বিজেআইএমের একজন সদস্যের পরিচালনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলমের সঙ্গে একটি উন্মুক্ত প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। এতে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, রাজনীতি, কূটনীতি, ভবিষ্যৎ, আমলাতন্ত্র ইত্যাদি বিষয়ে যে কোনো প্রশ্ন করা যাবে।

তৃতীয় সেশনে দেশের নেতৃত্বস্থানীয় সাংবাদিক, গবেষক ও অ্যাক্টিভিস্টদের নিয়ে একটি প্যানেল আলোচনা হবে। এতে অংশ নেবেন- প্রথম আলোর ইংরেজি বিভাগের প্রধান আয়েশা কবির, রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (আরএসএফ)-এর প্রতিনিধি সেলিম সামাদ, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রধান প্রতিবেদক আব্বাস উদ্দিন, ইরাবতী ইংরেজির প্রতিবেদক মুক্তাদির রশিদ, ডেইলি স্টারের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জাইমা ইসলাম, বাংলাদেশ সরকার গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান গবেষক এম আবুল কালাম আজাদ ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ওমর ফারুক।

সিম্পোজিয়ামে সাংবাদিক, গবেষক, শিক্ষার্থী, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিকসহ সর্বসাধারণ মানুষের যে কেউ অংশ নিতে পারবে। তবে আসন সংখ্যা সীমিত হওয়ায় আগ্রহীদের দ্রুত নাম, বয়স, পেশা ও যোগাযোগ নম্বরসহ [email protected]এ প্রাক-নিবন্ধন করতে হবে।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Meherpur snake bite child death

মেহেরপুর সাপে কেটে শিশুর মৃত্যু

মেহেরপুর সাপে কেটে শিশুর মৃত্যু

মেহেরপুরে মায়ের সাথে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় বিষধর সাপের কামড়ে আলিফ নামের ৯ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে সাপে কাটলে প্রথমে ওঝা ও পরে হাসপাতালে নিলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরে তার মৃত্যু হয়।

আলিফ সদর উপজেলার খোকসা গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী মানিক হোসেনের ছেলে।

স্থানীয়রা জানিয়েছে খোকসা গ্রামের আলিফ অন্যান্য দিনের মত সোমবার দিবাগত রাতে মায়ের সাথে বিছানায় ঘুমিয়ে ছিল। রাত ১০টার দিকে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় তার কানে সাপে কামড়ে দেয়। এসময় শিশু আলিফের চিৎকারে তা মা জেগে উঠে এবং সাপটি দেখতে পায়। দ্রুত পরিবারের সদস্যরা আলিফকে উদ্ধার করে প্রথমে ওঝার স্বরনাপন্ন হয়ে ঝাড়ফুক দেওয়া শেষে রাতেই আবার নেওয়া হয় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট্য জেনারেল হাসপাতাল মেহেরপুরে। হাসতাপালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মঙ্গলবার ভোরে আলিফের মৃত্যু হয়। রাতেই সাপটিকে মেরে ফেলে হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Security personnel beaten to death after complaining of rape in Narayanganj

নারায়ণগঞ্জে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে নিরাপত্তাকর্মী পিটিয়ে হত্যা

নারায়ণগঞ্জে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে নিরাপত্তাকর্মী পিটিয়ে হত্যা

নারায়ণগঞ্জ শহরে এক শিশুকে (১১) ধর্ষণের অভিযোগে আবু হানিফ (৩০) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) রাতে খানপুর এলাকার ৩শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

নিহত আবু হানিফ খুলনার বাগেরহাটের খন্তাকাটা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে ও খানপুর এলাকার ইতু ভিলার বাড়ির দারোয়ান। গ্রামের বাড়িতে তার তার দুই মেয়ে, এক ছেলে ও স্ত্রী বসবাস করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শহরের খানপুর এলাকার ইতু ভিলা ভবনের ভাড়াটিয়া ও গার্মেন্ট কর্মীর ১১ বছর বয়সী শিশুকে ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠে ভবনের দারোয়ান (নিরাপত্তাকর্মী) আবু হানিফের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে শিশুটি তার মাকে এ বিষয়ে জানালে তিনি সোমবার দুপুরে স্থানীয়দের জানান। এ ঘটনায় ধর্ষণের অভিযোগে কয়েকজন স্থানীয় যুবক তাকে খানপুর জোড়া ট্যাঙ্কি এলাকায় নিয়ে পিটুনি দেয়। এতে সে গুরুতর আহত হলে তাকে খানপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহতের ভগ্নিপতি মোহাম্মদ ইব্রাহিম অভিযোগ করেন, দুপুরে এলাকার স্থানীয় যুবক অভি সহ আরও কয়েকজন বাসায় এসে আমার স্ত্রী রাবেয়া বেগমকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। পরে আমাকে ধরে নিয়ে খানপুর জোড়া ট্যাংকির নিচে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে আমার শ্যালক আবু হানিফকে আটকে মারধর করার দৃশ্য দেখতে পাই। এ সময় অভির লোকজন আমাকেও চড়-থাপ্পড় মারে এবং আমার লুঙ্গি খুলে উলঙ্গ করার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে তারা আমার শ্যালক হানিফকে অটোরিকশায় করে অন্যত্র নিয়ে যায়। পরে রাতে খবর পেয়ে খানপুর হাসপাতালে গিয়ে আমার শ্যালকের লাশ দেখতে পাই।

এ বিষয়ে খানপুর ৩শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক শাহাদাৎ হোসেন বলেন, সোমবার বিকেল ৩টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় কয়েকজন যুবক হানিফকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তবে তার হাতে-পায়ে ক্ষত থাকায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলায় তারা হানিফকে রেখে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। রাত ৮ টার দিকে হানিফের মৃত্যু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, “ধর্ষণের অভিযোগ তুলে এলাকার কয়েকজন যুবক হানিফকে মারধর করেছে বলে জানতে পেরেছি। পরে তার মৃত্যু হলে আমরা লাশ হাসপাতালে পেয়েছি। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ওই শিশুকে ধর্ষণ বা ধর্ষণের চেষ্টার কোন অভিযোগ আমরা এখনো পাইনি। তাছাড়া এটা তদন্তের বিষয়। তদন্ত শেষে নিশ্চিত করে এ বিষয়ে বলা সম্ভব হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Government ready to hold National Assembly elections in February Home Affairs Adviser

ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে বলে পুনরায় জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

তিনি বলেন, “আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে আমাদের কোনো সমস্যা হবে না। সরকারের সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে।”

আজ সোমবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক কোর কমিটির সভা শেষে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্বাচনের সফল আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা, বিশেষ করে গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বডিওর্ন ক্যামেরা কেনা হবে এবং এ বিষয়ে সরকার ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।

তিনি আরও বলেন, বিগত তিনটি সাধারণ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারীদের আগামী সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব থেকে বিরত রাখা হবে। সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডসহ সাম্প্রতিক কিছু বড় অগ্নিকাণ্ডের পেছনে নাশকতা আছে কিনা- এমন প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, এসব ঘটনা তদন্তের জন্য একাধিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আগুন লাগার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশি মিশনগুলোতে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করা হবে।

প্রবাসীদের জন্য পাসপোর্ট ফি কমানো এবং বিমান ও বিমানবন্দরে সর্বোত্তম সেবা প্রদানের বিষয়টি সরকার বিবেচনা করছে বলেও তিনি জানান।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Appeal hearing to return caretaker government begins

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করছেন আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান শুনানি করবেন।

এর আগে গত ২৭ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়।

এরপর ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আপিল করেন।

সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগ এ রিট খারিজ করেন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করা হয়।

এই সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম সলিমউল্লাহসহ অন্যরা ১৯৯৮ সালে হাইকোর্টে রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দেন। হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট রায় দেন।

এ রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০০৫ সালে আপিল করে রিট আবেদনকারীপক্ষ। এই আপিল মঞ্জুর করে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।

ঘোষিত রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে আনা পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়। ২০১১ সালের ৩ জুলাই এ–সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি। অন্য চারজন হলেন- তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান।

আপিল বিভাগের ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ১৬ অক্টোবর একটি আবেদন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এছাড়া রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে গত বছরের ২৩ অক্টোবর আরেকটি আবেদন করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

পরে নওগাঁর রানীনগরের নারায়ণপাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেন আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে গত বছর একটি আবেদন করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Descendants of Nawabs in Hussainabad India are still receiving British pensions

ভারতের হুসেনাবাদে নবাবদের বংশধররা আজও ব্রিটিশদের পেনশন পাচ্ছেন

ভারতের হুসেনাবাদে নবাবদের বংশধররা আজও ব্রিটিশদের পেনশন পাচ্ছেন

ভারতের হুসেনাবাদে ৯০ বছর বয়সি ফাইয়াজ আলী খান তার ‘ওয়াসিকা’ বা রাজকীয় পেনশন নিতে পিকচার গ্যালারিতে আসেন। বয়সের ভারে হাত কাঁপলেও চোখে এখনো উজ্জ্বলতা আছে।

ফাইয়াজ আলী খান ১,২০০ জন প্রাপকের মধ্যে একজন, যারা আওয়াধ রাজবংশের উত্তরাধিকার সূত্রে এই পেনশন পান। ‘ওয়াসিকা’ ফারসিতে চুক্তিকে বোঝায়। এটি মূলত সাবেক অযোধ্যা রাজ্যের নবাবদের বংশধর এবং সহযোগীদের জন্য মঞ্জুর করা হয়েছিল। ১৮৫৬ সালের আগে অযোধ্যার নবাবরা এই অঞ্চলের শাসক ছিলেন।

ভারতে রাজতন্ত্র না থাকলেও, উত্তরপ্রদেশ, কেরালা, রাজস্থানসহ কিছু রাজ্যে নবাব পরিবারের জন্য ওয়াসিকা পেনশন এখনো টিকে আছে। পেনশনের পরিমাণ খুবই অল্প, মাসিক মাত্র ৯ টাকা ৭০ পয়সা। কিন্তু প্রাপকদের কাছে সম্মান ও ঐতিহ্যের মান এই অর্থের চেয়ে অনেক বেশি।

ফাইয়াজ আলী খান বলেন, ‘এটি এক পয়সাও হোক, আমরা খরচ করে এটিকে গ্রহণ করতাম। এটি আমাদের পরিচয়ের প্রতীক।’ বর্তমানে প্রায় ১,২০০ জন ‘ওয়াসিকাদার’ এই পেনশন পান। ওয়াসিকার পরিমাণ নির্দিষ্ট নয়; বংশধরের সংখ্যা বাড়লে তা ভাগ হয়ে কমে যায়।

ওয়াসিকা বিতরণের সূচনা হয় ১৮১৭ সালে। অযোধ্যার নবাব সুজা-উদ-দৌলা-এর স্ত্রী বহু বেগম ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে দুই কিস্তিতে ৪০ মিলিয়ন রুপি ঋণ দিয়েছিলেন। সেই ঋণের সুদ থেকে আত্মীয় ও সহযোগীরা মাসিক পেনশন পান। ১৯৪৭ সালের স্বাধীনতার পর ব্যাংকে কিছু ঋণ রাখা হয়। ওয়াসিকা কর্মকর্তা এসপি তিওয়ারি জানান, বর্তমানে প্রায় ২৬ লক্ষ রুপির সুদ ব্যাংকে থাকায় এখান থেকে পেনশন দেওয়া হয়।

সমালোচকরা মনে করেন, ওয়াসিকা আধুনিক সমাজে অপ্রাসঙ্গিক। তবে যারা এটি পান, তারা এটিকে ঐতিহাসিক প্রতিশ্রুতির প্রতীক হিসেবে দেখেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এক তোলার (১১.৭ গ্রাম) ওজনের রূপার মুদ্রায় মূলত ওয়াসিকা প্রদান করা হতো। ভারতীয় মুদ্রা চালুর পর এর প্রকৃত মূল্য অনেক কমে গেছে।

ফাইয়াজ আলী খান জানান, ‘মানুষরা ঘোড়ার গাড়ি বা টিমটমে চড়ে আসত, মহিলারা পর্দাঘেরা পালকিতে আসতেন। এখন সেই প্রথা আর নেই।’

সূত্র: বিবিসি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
There is a safe environment for elections in the country EC Secretary

দেশে নির্বাচন করার নিরাপদ পরিবেশ বিদ্যমান: ইসি সচিব

দেশে নির্বাচন করার নিরাপদ পরিবেশ বিদ্যমান: ইসি সচিব

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, দেশে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য নিরাপদ পরিবেশ বিদ্যমান রয়েছে। এই পরিবেশকে আরও সুসংহত করতে কমিশন সচিবালয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেছে। আলোচনার মূল লক্ষ্য ছিল নির্বাচনের নিরাপত্তা, স্বচ্ছতা ও সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা।

গতকাল সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশের নির্বাচন আয়োজনের পরিবেশ ইতোমধ্যে সহনীয় ও সুষ্ঠু। নির্বাচন আয়োজনের মতো পরিবেশ দেশে অবশ্যই রয়েছে এবং এটিকে আরও সুসংহত করতে আলোচনা চলমান থাকবে।

নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোতায়েন প্রসঙ্গে সচিব জানান, শুরুতে নির্বাচনকালীন পাঁচ দিনের জন্য বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবে আলোচনায় প্রস্তাব এসেছে নির্বাচনের আগে তিন দিন, ভোটের দিন এবং ভোটের পর চার দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে থাকবে। এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করা হবে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতির বিস্তারিত তুলে ধরে সচিব বলেন, নির্বাচনকালীন সময়ে প্রায় দেড় লাখ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে। সেনাবাহিনী মোতায়েন করবে ৯০ হাজার থেকে এক লাখ সদস্য এবং আনসার বাহিনী মোতায়েন করবে প্রায় সাড়ে পাঁচ থেকে ছয় লাখ সদস্য। সংশ্লিষ্ট সব বাহিনী তাদের সর্বোচ্চ সক্ষমতা অনুযায়ী নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

অস্ত্র উদ্ধার সংক্রান্ত বিষয়ে সচিব বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইতোমধ্যে অবৈধ অস্ত্রের ৮৫ শতাংশ উদ্ধার করেছে। বাকি অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারের কাজ চলমান রয়েছে এবং নির্বাচনের সময় তা সম্পূর্ণরূপে সমাধান করা হবে।

নির্বাচনের নিরাপত্তা পরিকল্পনা বিষয়ে সচিব জানান, আলোচনায় ভোটকেন্দ্র, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার নিরাপত্তা, নির্বাচনী এলাকা ও সারাদেশের নিরাপত্তা, অবৈধ অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তথ্য অপব্যবহার প্রতিরোধ, বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের নিরাপত্তা, পোস্টাল ভোটিং ব্যবস্থা, অবৈধ অনুপ্রবেশ, কালো টাকা নিয়ন্ত্রণ, নির্বাচনী অফিসের কার্যক্রম সমন্বয় এবং পার্বত্য ও দুর্গম এলাকায় নির্বাচনী পরিবহন ও হেলিকপ্টার ব্যবস্থার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

ড্রোন ব্যবহারের বিষয়ে সচিব বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় সাধারণভাবে ড্রোন ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনে ড্রোন ব্যবহার করতে পারবে। স্বরাষ্ট্র সচিব নিশ্চিত করেছেন, ভোটকেন্দ্র পর্যবেক্ষণ, বডি-অন ক্যামেরা ও ড্রোনের মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। এছাড়া সব বাহিনী নিজস্ব প্রশিক্ষণ কার্যক্রম গ্রহণ করছে, যাতে ভোটের দিন কার্যক্রম নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়।

তিনি বলেন, ‘আজকের আলোচনা মূলত নির্বাচনকে আরও সুন্দর ও সুষ্ঠু করার প্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপ ছিল। ধাপে ধাপে অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে এককভাবে বা যৌথভাবে আরও বিস্তারিত পরিকল্পনা ফাইন-টিউন করব। আমাদের লক্ষ্য একটাই-একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করা।’

সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে চারজন নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, মহাপুলিশ পরিদর্শক, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বর্ডার গার্ড, কোস্ট গার্ড, আনসার, র‌্যাব, স্পেশাল ব্রাঞ্চ, সিআইডি, এনটিএমসি এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

সচিব আখতার আহমেদ আরও বলেন, ‘আজকের (সোমবার) আলোচনার মাধ্যমে আমরা দেখতে পেয়েছি যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচনের নিরাপত্তা, তফসিল বাস্তবায়ন এবং ভোটগ্রহণের প্রতিটি ধাপের জন্য সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত। তারা নির্বাচনের পূর্বে, চলাকালীন এবং পরবর্তী সময়ে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।’

তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট প্রতিরক্ষা বাহিনী নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে। নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে তথ্য বিনিময় ও সমন্বয় বজায় থাকবে। এছাড়া প্রশাসনিক পর্যায়ে প্রতিটি ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে নির্বাচন পরিচালনার জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
ACC approves charge sheet against 26 people including Atiur Barakat
৫৩১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

আতিউর-বারাকাতসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দুদকের

আতিউর-বারাকাতসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দুদকের

জনতা ব্যাংক থেকে ঋণের নামে ১ হাজার ১৩০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান, জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ আবুল বারাকাতসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

চার্জশিটে বলা হয়েছে, যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও ভুয়া কাগজপত্রের ভিত্তিতে এনানটেক্স গ্রুপের ২২টি প্রতিষ্ঠানকে শর্ত শিথিল করে ঋণ দেওয়া হয়। তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, ঋণের নামে ৫৩১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়, যা সুদ-আসলে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৩০ কোটি ১৮ লাখ টাকা।

গতকাল সোমবার রাজধানীর সেগুন বাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এসময় তিনি শিগগিরই আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হবে বলেও উল্লেখ করেন।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপপরিচালক মো. নাজমুল হুসাইন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, সাবেক ডেপুটি গভর্নর-২ আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান, জনতা ব্যাংক পিএলসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. আবুল বারাকাত, সাবেক পরিচালক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ, মো. ইমদাদুল হক, নাগিবুল ইসলাম দীপু, ড. আর. এম. দেবনাথ, মো. আবু নাসের, মিসেস সঙ্গীতা আহমেদ এবং সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. নিতাই চন্দ্র নাথ।

এছাড়া আসামি করা হয়েছে, জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আব্দুছ ছালাম আজাদ, সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক আজমুল হক, সাবেক এজিএম অজয় কুমার ঘোষ, জনতা ভবন করপোরেট শাখার সাবেক ম্যানেজার (শিল্পঋণ-১) মো. গোলাম আজম, ব্যাংকের নির্বাহী প্রকৌশলী (এসএমই বিভাগ) মো. শাহজাহান, এসইও মো. এমদাদুল হক, সাবেক ডিএমডি মো. গোলাম ফারুক ও সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ওমর ফারুককে।

আসামি করা হয়েছে এননটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ বাদল ও মেসার্স সুপ্রভ স্পিনিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেনকেও।

অন্যদিকে তদন্তে আসামি হয়েছেন- জনতা ব্যাংকের ডিজিএম কে. এম. সারওয়ার রশীদ, জনতা ভবন করপোরেট শাখার সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক আহমেদ শাহনূর হোসেন, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের এমডি মো. ইফতিখার-উজ-জামান, জনতা ব্যাংকের সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. এম. আশরাফ উদ্দিন খান, সাবেক ডিএমডি মো. গোলাম সারোয়ার এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. নওশাদ আলী চৌধুরী।

তবে মামলায় আসামি হলেও চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে আছেন- মেসার্স সুপ্রভ স্পিনিং লিমিটেডের পরিচালক মো. আবু তালহা, জনতা ব্যাংকের সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক মো. আব্দুল জব্বার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক সহকারী পরিচালক মোছা. ইসমত আরা বেগম।

তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জালজালিয়াতির মাধ্যমে মিথ্যা রেকর্ড তৈরি করে জনতা ব্যাংক পিএলসির ভবন শাখা থেকে প্রায় ৫৩১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন। যা সুদ-আসলে প্রায় ১,১৩০ কোটি ১৯ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। যদিও এজাহারে আত্মসাতের পরিমাণ ছিল ২৯৭ কোটি ৩৮ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৬ টাকা।

আসামিদের বিরুদ্ধে ঋণের অর্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে জালজালিয়াতি ও মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় চার্জশিট দাখিলের সুপারিশ করা হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে