দীর্ঘ এক মাসের বেশি সময় পর মঙ্গলবার থেকে পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটির সাজেকের পর্যটন কেন্দ্রগুলো।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কারণে সাজেক পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করেছে প্রশাসন। এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা নেই।
‘খাগড়াছড়ির পর্যটন কেন্দ্রগুলো মঙ্গলবার থেকে উন্মুক্ত হবে। ফলে পর্যটকরা খাগড়াছড়ি হয়ে সাজেক ভ্রমণ করতে পারবেন।’
এর আগে গত ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সহিংসতার ঘটনায় ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে কয়েক দফায় সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন। এতে কার্যত বন্ধ হয়ে যায় সাজেকে পর্যটকদের প্রবেশ।
সাজেক কটেজ মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, সাজেকে মোট ১২০টি রিসোর্ট-কটেজ রয়েছে। গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকশূন্য থাকার কারণে রিসোর্ট-কটেজের অধিকাংশ কর্মচারী সাজেক ছেড়ে চলে গেছেন।
এ ছাড়া সহিংসতার জেরে ৮ অক্টোবর খাগড়াছড়িসহ তিন পার্বত্য জেলার সব পর্যটন কেন্দ্র গমনে বিরত থাকার অনুরোধ জানায় প্রশাসন।
পর্যটন কেন্দ্র উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে খাগড়াছড়ি আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, ‘এখানকার পর্যটন খাতের সঙ্গে অনেক মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত। পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের ভ্রমণ বন্ধ থাকায় এ খাতে অনেকে বেকার হয়ে পরেছে। পর্যটন চালু হওয়ায় খাত সংশ্লিষ্টদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।’
এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. শহিদুজ্জামান বলেন, ‘মঙ্গলবার থেকে খাগড়াছড়ি জেলার সব পর্যটনকেন্দ্র পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। সাজেকে যেহেতু খাগড়াছড়ি জেলা সড়ক হয়ে যেতে হয়, সে ক্ষেত্রে মঙ্গলবার থেকে সাজেকেও পর্যটকরা ভ্রমণ করতে পারবেন।’
তিনি আরও জানান, এক মাস পর্যটন কেন্দ্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকায় এ খাতে ক্ষতি হয়েছে অন্তত ১৫ কোটি টাকার।
আরও পড়ুন:চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার হাকরইল গ্রামে ক্ষেতের পাশ খেকে কামরুল ইসলাম (৫০) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
কামরুল নাচোল উপজেলার সূর্যপুর গ্রামের প্রয়াত হোসেন আলীর ছেলে।
তিনি নাচোল ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।
পুুলিশ শুক্রবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নাচোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, স্থানীয়দের দেয়া সংবাদের ভিত্তিতে কামরুল ইসলামের ধানক্ষেতের পাশে একটি নালা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে এটিকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলেই মনে হয়েছে।
ওসি আরও জানান, তিনি উচ্চ রক্তচাপের রোগী ছিলেন বলেও স্বজনরা জানিয়েছে। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন:পঞ্চগড় সদর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে আনোয়ার হোসেন (৩৬) নামের এক বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন।
উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের মোমিনপাড়া ও ভারতের শিংপাড়া সীমান্তের মেইন পিলার ৭৫১ এর ৮/৯ নম্বর সাব পিলারের মাঝামাঝি এলাকায় শুক্রবার ভোরে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
প্রাণ হারানো আনোয়ারের বাড়ি তেতুঁলিয়া উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নের দেবনগর এলাকায়। তিনি ওই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে।
নীলফামারী ৫৬ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ব্যাটালিয়ন সূত্রে জানা যায়, আনোয়ারসহ কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিক বৃহস্পতিবার রাতে ভারতে যান। ভোরের দিকে ফেরার পথে ভারতীয় সীমান্তের ভেতরে বিএসএফের ৯৩ ব্যাটালিয়নের চানাকিয়া ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে। পরে গুলি চালায় বিএসএফ। ওই সময় ঘটনাস্থলে নিহত হন আনোয়ার। তার মরদেহও নিয়ে যায় বিএসএফ সদস্যরা।
বিজিবি আরও জানায়, সীমান্তে গুলির শব্দ পেয়ে চোরাকারবারিদের প্রতিহত করার জন্য আটটি ফাঁকা গুলি ছোড়েন ঘাগড়া বিজিবি ক্যাম্প সদস্যরা।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা বলেন, ‘পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে নিহতের মরদেহ ফেরত আনা হবে। এ ছাড়া এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হবে।
‘ঘটনার পর বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা থেকে চোরাচালানের একটি গরু জব্দ করে বিজিবি।’
আরও পড়ুন:বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানকে চাঁদাবাজির মামলায় বিচারিক আদালতের দেয়া সাত বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস দিয়েছে হাইকোর্ট।
বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আনা আপিল মঞ্জুর করে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই রায় দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও আইনজীবী নাজমুল হুদা। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী তারেক ভূঁইয়া।
২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর অদূরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় পূর্ব আগানগরের রফিকুল আলম নামের এক ব্যক্তি চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে এই মামলা করেন। ২০০৪ সালের ২৬ জুনের এক ঘটনায় ২০০৫ সালে দুই পর্বে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা নেয়ার অভিযোগ আনা হয়।
বিচার শেষে ২০০৮ সালের ৮ মে আমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এর বিরুদ্ধে ২০০৮ সালে হাইকোর্টে আপিল করেন আমান। বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে আপিল মঞ্জুর করে রায় দেয় হাইকোর্ট।
পুলিশ প্রশাসন সংস্কার বিষয়ক প্রস্তাব জমা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট ভবনে পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধান সফর রাজ হোসেনের কাছে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপির পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব জমা দেয়া হয়।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সাবেক সচিব এস এম জহিরুল ইসলাম দলের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব জমা দেন।
প্রসঙ্গত, পুলিশ প্রশাসন সংস্কার বিষয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করেছিল বিএনপি।
ঝালকাঠি-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলোচিত ও সমালোচিত নেতা ব্যারিস্টার মুহাম্মদ শাহজাহান ওমরকে ঝালকাঠি আদালতে হাজির করা হয় বৃহস্পতিবার বিকেলে। ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া থানার একটি মামলায় জেলা কারাগার থেকে তাকে আদালতে আনা হয়।
গত ২১ নভেম্বর গ্রেপ্তারের পর শাহজাহান ওমরকে আদালতে হাজির করার সময় বিক্ষুব্ধ জনতা এবং বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীরা তাকে লক্ষ্য করে ডিম ও জুতা নিক্ষেপ করে। সে ঘটনা মাথায় রেখে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বৃহস্পতিবার আদালত চত্বরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। পুলিশ, র্যাব এবং সেনাবাহিনী তিন স্তরে ঘিরে রাখে ঝালকাঠির আদালত চত্বর ও আশপাশের এলাকা।
এদিন বিকেল ৪টার দিকে আদালতে আনা হয় ওমরকে। প্রিজন ভ্যান থেকে নেমেই তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশ করে বললেন, ‘সেদিন যারা ডিম ও জুতা নিয়ে আসছিলো, আজ সেই দুষ্টু লোকেরা কোথায়?’
এরপর শাহজাহান ওমরকে আদালতে তোলা হলে তার জামিনের আবেদন জানান আইনজীবী নাসির উদ্দিন করির ও বনি আমিন বাকলাই। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাসেল আহম্মেদ জামিন আবেদন না-মঞ্জুর করে তাকে পুররায় কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই দদিন ওমরকে জিআর ১২১/২৪ রাজাপুর থানার আরেকটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বাংলাদেশের পরিবর্তে ভারতে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
নারায়ণগঞ্জের পূর্বাচলে বৃহস্পতিবার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মাল্টিপারপাস ট্রেনিং গ্রাউন্ডে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবসের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
বাংলাদেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক বক্তব্যের প্রতি সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উল্লিখিত বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু ইস্যুতে ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে উত্তেজনার মধ্যে মমতা ওই বক্তব্য দেন।
এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশে নয়, ভারতে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানো উচিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে সম্প্রতি জাতীয় ঐক্যের আহ্বানে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে। আমি বিশ্বাস করি এই সাড়া ষড়যন্ত্রগুলোকে মোকাবিলা এবং দেশে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহায়তা করবে।’
সীমান্তে উত্তেজনা নিয়ে উদ্বেগ নাকচ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘সীমান্তে কোনো উত্তেজনা নেই, তবে বাংলাদেশ সম্পর্কে ভারত যে অপপ্রচার চালাচ্ছে, তা সবাই সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করবে।’
আরও পড়ুন:পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, জুলাই-আগস্টে আন্দোলনের সময় পুলিশের কিছু সদস্য ভালো কাজ করেননি। তারা যে আইন ভঙ্গ করেছেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর পুলিশ অনেক বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে।’
পুলিশ সদরদপ্তরে বৃহস্পতিবার তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, ‘যে সমস্ত পুলিশ জুলাই আন্দোলনে নিহত হয়েছেন, তারা পলিটিক্যালি ইনভলভ ছিল। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ হত্যা হয়েছে, কিন্তু পুলিশ এখনও নিষ্ক্রিয় আছে। সাংবাদিকদের কাছ থেকে তথ্য লুকানোর নজির আছে।’
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই সরকার তো স্বচ্ছ (ট্রান্সপারেন্ট)। এখন তো খুন, গুম এগুলো নেই যে, আমরা লুকিয়ে রাখব, আগের সরকারের সময়ে যেটা হতো। এখন আমাদের লুকানোর কিছু নেই।’
তিনি বলেন, ‘আইনি ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য আমাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা যতটুকু আছে, ততটা দিয়ে আমরা চেষ্টা করছি।
‘এত মানুষ মারা গেছে। এটা বাংলাদেশ কেন, উপমহাদেশের কোথাও ঘটেনি।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য