রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণ করার বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি বিএনপি। দলীয় ফোরামে আলোচনা করে পরে সিদ্ধান্ত জানাবে দলটি।
রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে শনিবার রাতে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসের উদ্দিন পাটোয়ারী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
নাসের উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘দেশের সুবিধা বুঝে সময় অনুযায়ী রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গেও এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। জামায়াত একমত পোষণ করেছে। আগামীকাল গণতন্ত্র মঞ্চ ও ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে এ বিষয়ে আমরা আলোচনা করব।’
হাসনাত আব্দুল্লাহ বৈঠকের বিষয়বস্তুসহ রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে বিস্তারিত কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ, সেকেন্ড রিপাবলিক ও জাতীয় ঐক্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিএনপি বলেছে, দলীয় ফোরামে এ বিষয়ে আলোচনার পর তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে। জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করা হবে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির অপসারণ, দ্বিতীয় স্বাধীনতা, ফ্যাসিবাদ নিরসনসহ তিনটি বিষয়ে বিএনপির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।’
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘গত ২৩ অক্টোবর আমরা জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছিলাম। ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদ বিলোপের প্রাথমিক ধাপে শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়েছি। ফ্যাসিবাদ বিলোপের আরেকটি বাধা হিসেবে আমাদের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণ।’
জামায়াতের সঙ্গে বৈঠকে রাষ্ট্রপতি অপসারণ ইস্যুতে তারা একমত পোষণ করেছেন বলে জানান হাসনাত। তিনি বলেন, একই ইস্যুতে আমরা ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে বৈঠকে করেছি। তারাও নৈতিকতার জায়গা থেকে রাষ্ট্রপতির অপসারণ চায়।’
এদিকে বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়, বৈঠকে বৈষম্যবিরোধী ও নাগরিক কমিটির সাতজন অংশ নেন।
তবে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় নয়জনের পরিচয় দেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক। তারা হলেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, মুখপাত্র হুমায়া ফাতেমা, সদস্য সচিব আরিফ সোহেল, মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ, সমন্বয়ক রিফাত রশিদ, জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসের উদ্দিন পাটোয়ারী, মুখপাত্র সামন্তা শারমিন, সদস্য সচিব আকতার হোসেন ও সদস্য আরিফুল ইসলাম আদিব।
বিএনপির পক্ষ থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খন্দকার মোশারফ হোসেনসহ সিনিয়র নেতারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দল থেকে পুনরায় প্রার্থী হওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশের ঘটনাবলি সম্পর্কে কী ভাবছেন তা স্পষ্টতই গুরুত্বপূর্ণ।
‘তিনি (ট্রাম্প) শিগগিরই মুক্ত বিশ্বের নেতা হতে পারেন। কিন্তু আমাদের কাজ হচ্ছে সবচেয়ে স্বচ্ছ ও বাধ্যতামূলক উপায়ে সত্য বলা।’ সূত্র: ইউএনবি
শফিকুল আলম বলেন, ‘শুরু থেকেই প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কৌশল ছিল সব বিদেশি সাংবাদিক, গবেষক ও বিশেষজ্ঞকে বাংলাদেশ সফরে আমন্ত্রণ জানানো।
‘তারা বাংলাদেশকে নিজেদের মতো করে আবিষ্কার করুক। কারণ আমরা আমাদের সমাজ, আমাদের জনগণ, আমাদের দেশ সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী।’
প্রেস সচিব ‘নেত্র নিউজ’কে বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্মানিত অনুসন্ধানী সংবাদ মাধ্যম হিসেবে উল্লেখ করেন, যা সাংবাদিকতার একটি ‘চমৎকার অংশ’ করেছে।
শফিকুল আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বলেন, ‘এটা সংখ্যালঘু গোষ্ঠী বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ঐক্যপরিষদের ব্যানারে প্রচারিত কিছু মিথ্যাচারকে ভেঙে দিয়েছে।’
ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) হিন্দু, খ্রীষ্টান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুর বিরুদ্ধে ‘বর্বরোচিত সহিংসতার’ তীব্র নিন্দা জানান, যারা ‘বাংলাদেশে উন্মত্ত জনতার দ্বারা আক্রান্ত ও লুটপাটের শিকার হচ্ছে, যা এখনও পুরোপুরি বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে।’
আলম বলেন, তারা জানেন যে এই গোষ্ঠীর দাবি বিপ্লবের সবচেয়ে মিথ্যা আখ্যান তৈরিতে বড় ভূমিকা পালন করেছে, বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে সহিংসতার বিষয়ে।
প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা অস্বীকার করছি না যে কিছু ধর্মীয় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সহিংসতা ঘটেনি। কিন্তু সেগুলো ছিল বিচ্ছিন্ন ঘটনা, তারপরও অতিরঞ্জিত। মিথ্যা কোনো বিপ্লবের সূত্রপাত ঘটায় না। জনগণের সম্মিলিত বুদ্ধিমত্তাকে কৃতিত্ব দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ব্যক্তি ও মানুষ হিসেবে তাদের সম্মান করতে হবে। ক্ষণিকের মধ্যে সেই অনুপ্রাণিত গোষ্ঠীগুলো জয়ী হতে পারে। তবে শিগগিরই তারা বুঝতে পারবে যে তাদের আখ্যানের কোনো ভিত্তি নেই। নিউ ইয়র্কের গণপরিবহন ও ভ্যান নিয়ে যতই সোশ্যাল মিডিয়ায় বুস্টিং করা বা ব্যানার থাকুক না কেন, তা তাদের কোনো কাজে লাগবে না।’
ধর্ম নির্বিশেষে যেখানেই থাকুক না কেন সংখ্যালঘুদের রক্ষার গুরুত্ব স্বীকার করায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে সদ্য নিয়োগ পাওয়া মুশফিকুল ফজল আনসারী।
ট্রাম্পের এক্স হ্যান্ডেলে দেয়া মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘বাস্তব পরিস্থিতি বোঝার জন্য ফ্যাক্ট চেকিং অপরিহার্য।’
আনসারী সুইডেনভিত্তিক সংবাদ সংস্থা নেত্র নিউজের একটি ‘ফ্যাক্ট-চেকিং’ প্রতিবেদনও শেয়ার করেছেন যা বাংলাদেশ সম্পর্কে কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর প্রচারিত বিষয়ে আলোকপাত করে।
আরও পড়ুন:সাধারণ মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে চাল আমদানিতে সব ধরনের শুল্ক প্রত্যাহার করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার রাজস্ব কর্তৃপক্ষ একটি সংবিধিবদ্ধ নিয়ন্ত্রণ আদেশ (এসআরও) জারি করেছে।
এর আগে খাদ্য অধিদপ্তর দেশের সামগ্রিক চালের মজুদ নিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দেয়। বাংলাদেশ বাণিজ্য ও ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) চালের দাম পরিস্থিতি নিয়ে খাদ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং এনবিআরকে আরেকটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছে।
দু’টি প্রতিবেদনেই চালের ওপর সব ধরনের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে।
স্থানীয় চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে সহায়তার জন্য গত ২০ অক্টোবর এনবিআর আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করে।
আফ্রিকার শীর্ষ বিমান সংস্থা এবং স্টার অ্যালায়েন্সের সদস্য ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনস আগামী ৩ নভেম্বর থেকে ঢাকা-আদ্দিস আবাবা রুটে সরাসরি ফ্লাইট চালু করবে।
এয়ারলাইনসটি সপ্তাহে পাঁচটি ফ্লাইট পরিচালনা করবে। এর ফলে বাংলাদেশ থেকে ভ্রমণ পিপাসুরা আফ্রিকা, ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা এবং এর বাইরেও সব মূল শহরসহ বিশ্বব্যাপী ১৫৫টিরও বেশি গন্তব্যে ভ্রমণের সুযোগ পাবে।
ইথিওপিয়া আগামী ৩ নভেম্বর থেকে অত্যাধুনিক বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৯-এর উদ্বোধনী ফ্লাইট চালু করবে। ফ্লাইটটি সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে এবং একই দিন সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে আবার আদ্দিস আবাবায় ফিরে যাবে।
এ রুটে নিয়মিত বিমানগুলো রোববার, মঙ্গলবার এবং বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাবে। এ ছাড়া অতিরিক্ত ফ্লাইট প্রতি সোমবার এবং শুক্রবার সকালে ঢাকা ছাড়বে।
ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনসের গ্রুপ চিফ কমার্শিয়াল অফিসার লেম্মা ইয়াদেচা ও বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনসের গ্রুপের সিইও মেসফিন তাস্যু বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি প্রাণবন্ত ও দ্রুত বর্ধনশীল বাজার। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে আমাদের আধুনিক বহর ও ব্যতিক্রমী পরিষেবা দুই দেশের মধ্যে ভ্রমণের চাহিদা পূরণ করবে।’
আরও পড়ুন:গত দুই দশকে বাংলাদেশের নদ-নদীগুলোতে ভারী ধাতুর কারণে দূষণের মাত্রা আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে বলে নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে।
এসব দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং ক্ষতিপূরণের জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে ওই গবেষণা প্রতিবেদনে।
চলতি বছরের ১২ জুলাই এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড পলিউশন রিসার্চে প্রকাশিত এই গবেষণা প্রতিবেদনে ২০০১ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ১০টি ভারী ধাতুর (এএস, পিবি, সিডি, সিআর, এফই, এমএন, সিইউ, সিইউ, সিও, এনআই, জেডএন) দূষণের প্রবণতা পরীক্ষা করে দেশের জলপথের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরা হয়।
এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড পলিউশন রিসার্চ একটি অ্যাকাডেমিক জার্নাল। এটি জার্মানিভিত্তিক স্প্রিংগার নেচারের শাখা স্প্রিংগার প্রকাশ করে।
দেবাশীষ পণ্ডিত ও মোহাম্মদ মাহফুজুল হকসহ একদল বিশেষজ্ঞ প্রিজমা ক্রাইটেরিয়া অনুসরণ করে পদ্ধতিগতভাবে ৫৫টি নথি পর্যালোচনা করেন।
গবেষণার ফলে দেখা যায়, ২০০১-২০১০ সালে যে পরিমাণ দূষণ হয়েছিল, সেই তুলনায় গত দশকের (২০১১-২০২০) দূষণের মাত্রা অনেক খারাপ ছিল। লক্ষণীয় বিষয় হলো ঢাকার বুড়িগঙ্গা বাংলাদেশের সবচেয়ে দূষিত নদী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল
গবেষণায় প্রধানত তিনটি বিভাগের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে। সেগুলো হলো ঢাকা, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম। এসব এলাকার নদীগুলোর বেশির ভাগে ভারী ধাতুর উপস্থিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও), যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থা (ইউএসইপিএ) এবং বাংলাদেশের পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্ধারিত সীমা ছাড়িয়ে গেছে।
আর্সেনিক (এএস), সীসা (পিবি), ক্যাডমিয়াম (সিডি), ক্রোমিয়াম (সিআর), লোহা (এফই) ও ম্যাঙ্গানিজের (এমএন) গড় ঘনত্ব তিনটি ঋতুতেই গ্রহণযোগ্য সীমা ছাড়িয়ে যায়। আর গ্রীষ্মের মাসগুলোতে সর্বাধিক দূষণ হয়।
ট্যানারি, টেক্সটাইল ও ইলেক্ট্রোপ্লেটিং কারখানাসহ শিল্প কারখানার মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঢাকার প্রাণকেন্দ্র দিয়ে প্রবাহিত বুড়িগঙ্গা।
এসব শিল্প কারখানা ভারী ধাতুসম্পন্ন অপরিশোধিত বর্জ্য সরাসরি নদীতে ফেলে দেয়। এটি পরিবেশগত মারাত্মক সংকট তৈরি করে এবং যা বছরের পর বছর ধরে খারাপ হয়ে চলেছে।
দূষণের প্রধান উৎস
গবেষণায় ভারী ধাতু দূষণের একাধিক উৎস চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রাকৃতিক আবহাওয়া সম্পর্কিত প্রক্রিয়াগুলোর পাশাপাশি মানবসৃষ্ট কর্মকাণ্ড অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
কৃষি থেকে সার ও কীটনাশক, খনন, ইলেকট্রোপ্লেটিং, বস্ত্রশিল্প, কয়লা খনি ও শিল্প বর্জ্য, যেমন ব্যাটারি ও রং নদীর পানির দূষণের গুরুত্বপূর্ণ কারণ।
এসব দূষক বাস্তুতন্ত্রে জমা হয়, যা জলজ জীববৈচিত্র্য, মানব স্বাস্থ্য ও পরিবেশকে হুমকির মুখে ফেলে।
জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান
গবেষণাটি দূষণ রোধে শক্তিশালী আইন এবং আরও কার্যকর প্রয়োগের জরুরি প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে।
এসব দূষণ রোধে সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে পানিসম্পদ রক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে শিল্প সংশ্লিষ্ট ও জনগণকে শিক্ষিত করতে অব্যাহত পর্যবেক্ষণ, ব্যাপক গবেষণা এবং সচেতনতামূলক প্রচার।
বিশেষজ্ঞরা নদী অববাহিকা পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনায় একটি সমন্বিত পদ্ধতির আহ্বান জানিয়েছেন, যা টেকসই সমাধানের দিকে মনোনিবেশ করে।
দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে লাখ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের নদীগুলো অপূরণীয় ক্ষতির মুখে পড়তে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
গবেষণার অন্যতম গবেষক মৃত্যুঞ্জয় কুণ্ডু বলেন, ‘আমাদের নদীগুলোতে বিশেষ করে ঢাকার মতো অঞ্চলে উচ্চমাত্রার বিষাক্ত ভারী ধাতু জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষায় এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে।’
আরও পড়ুন:জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের তথ্য যাচাই-বাছাই করার জন্য ১৬০০০ নম্বর থেকে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে সবাইকে সহযোগিতা করার জন্য জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানানো হয়।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস শনিবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দেবেন।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে বলে বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়।
নেপালের দশরথ স্টেডিয়ামে বুধবার স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জেতে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে চ্যাম্পিয়ন দল ঢাকায় পৌঁছায়।
দেশে এসে ছাদখোলা বাসে চড়ে বিমানবন্দর ছাড়ে সাফজয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। বাসটির সামনে বড় করে লেখা ছিল ‘চ্যাম্পিয়ন’।
রাজধানী ঢাকার বড় সাতটি কলেজ দেখভালের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেই সম্পূর্ণ আলাদা একটি ব্যবস্থা থাকবে, যেখানে আলাদা রেজিস্ট্রারসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকবেন। তবে এ কলেজগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তই থাকবে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে এই সাত কলেজের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা বৈঠক করেছেন, কথা বলেছেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেই একটি জায়গা ঠিক করা হবে, যেখানে সাত কলেজের প্রশাসনিক কাজকর্মগুলো করা যায়।
তিনি বলেন, তাদের বিষয়টি আলাদাভাবে দেখা হবে। আলাদা রেজিস্ট্রারসহ সুনির্দিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
শফিকুল আলম বলেন, সরকার আশা করছে এ সিদ্ধান্তের ফলে আন্দোলন আজ থেকে শেষ হয়ে যাবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত এই সাতটি সরকারি কলেজ হলো- ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুরের সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে কলেজগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয়।
এর আগে কলেজগুলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ভুক্ত ছিল। সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্তশাসিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছেন এসব কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ অবস্থায় সরকারের পক্ষ থেকে এমন সিদ্ধান্তোর কথা জানানো হলো।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য