ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যদের গ্রেপ্তার নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার লুকোচুরি খেলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে মঙ্গলবার ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এই অভিযোগ করেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সরকারকে উদ্দেশ করে রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনার শাসনামলে যারা অপরাধ ও অন্যায় করেছে, তাদের গ্রেপ্তার ও আটকে রাখা নিয়ে আপনারা এত লুকোচুরি খেলছেন কেন?’
‘আমরা প্রথমে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করার কথা শুনেছিলাম। পরে শুনলাম তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জ্যাকসন হাইটসে ঘোরাঘুরি করছেন। একইভাবে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে প্রথমে শুনলেও দুই-তিন দিন পর জানতে পারলাম তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
‘কেন আপনারা জনগণকে ধোঁকা দিচ্ছেন? এই লুকোচুরি খেলছেন কেন- এসব জনগণ জানতে চায়।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারে বিলম্বের সমালোচনা করে দলটির এই নেতা বলেন, ‘এই বিলম্ব আওয়ামী লীগের মিত্রদের নীলনকশার অংশ। এই মামলা শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত। তারপরও কেন তার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করা হচ্ছে না? দেশের মানুষ এর কারণ জানতে চায়।
‘এমনকি মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দীনও (২০০৭-০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়) ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানের নাম জড়াতে পারেননি।’
রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে ৪০তম ক্যাডেট ব্যাচের প্রশিক্ষণার্থী উপ-পরিদর্শকদের (এসআই) চাকরিচ্যুতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘শেখ হাসিনার আমলে নিয়োগ পাওয়া ২৪২ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। তাদের বাদ দেয়া হয়েছে, যদিও সেখানে ৮০৩ জনকে বাদ দেয়ার কথা ছিল।’
আরও পড়ুন:দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ করার ঘটনায় আনা আদালত অবমাননার মামলায় বিএনপির শীর্ষস্থানীয় সাত আইনজীবীকে অব্যাহতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
আদালত অবমাননার রুল খারিজ করে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বিভাগ বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেয়।
একই সঙ্গে সাত আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ করা আইনজীবীকে ১ লাখ টাকা কস্ট করেছে সর্বোচ্চ আদালত। আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে এ টাকা জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিএনপির সাত আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগকারী ও তাদের আইনজীবী আদালতে পরপর উপস্থিত না হওয়ায় অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড আজ বিষয়টি নন প্রসিকিউশনের আবেদন করেন। এরপর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বিভাগ সাত আইনজীবীকে অভিযোগ থেকে অব্যহতি দিয়ে অভিযোগকারীকে ১ লাখ টাকা কস্ট করে আদেশ দেয়।
আদালতে সাত আইনজীবীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনিক আর হক।
আদালত অবমানার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়া ৭ শীর্ষ আইনজীবী নেতা হলেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল প্রয়াত এ জে মোহাম্মদ আলী, ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ও ফোরামের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কুদ্দুস কাজল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ফাহিমা নাসরিন মুন্নি, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট শাখার সভাপতি আবদুল জব্বার ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল এবং সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহসম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান।
আরও পড়ুন:জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য পেপারবুক নিজ খরচে তৈরির অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট।
খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেয়।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল, আইনজীবী আমিনুল ইসলাম ও গাজী কামরুল ইসলাম সজল।
এ বিষয়ে জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া কোনো অনুকম্পা চান না। তিনি আইনিভাবে মামলা নিষ্পত্তি করতে চান।
‘এ কারণে আমরা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার সাজার রায়ের বিরুদ্ধে দ্রুত আপিল শুনানি করতে চাই। আপিল শুনানির জন্য আদালত আমাদের নিজ খরচে পেপারবুক প্রস্তুত করার অনুমতি দিয়েছেন।’
২০১৮ সালের অক্টোবরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। একই সঙ্গে অন্য তিন আসামিকেও সাত বছরের কারাদণ্ড দেয় বিচারিক আদালত।
খালেদা জিয়াসহ প্রত্যেককে জরিমানাও করা হয়। এ ছাড়া ট্রাস্টের নামে কেনা কাকরাইলে ৪২ কাঠা জমি বাজেয়াপ্ত করে তা রাষ্ট্রের অনুকূলে নেয়ার আদেশ দেয়া হয়। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন খালেদা জিয়া।
এ মামলায় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় জামিন চেয়ে পাননি তিনি। একপর্যায়ে সরকার নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে তাকে মুক্তি দেয়।
গত ৬ আগস্ট খালেদা জিয়াকে নির্বাহী আদেশে মুক্তি দেয়া হয়। ওই দিন বঙ্গভবনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন:প্রকাশনা সংস্থা ‘ঐতিহ্য’ তার দুই যুগের পথচলা (২০০০-২০২৪) স্মরণীয় করে রাখতে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ২-১১ নভেম্বর পর্যন্ত ১০ দিনব্যাপী ‘ঐতিহ্য বই উৎসব-২০২৪’ আয়োজন করেছে।
যৌথভাবে শনিবার বেলা ১১টার দিকে উৎসব উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, বিশিষ্ট লেখক-গবেষক শারমিন আহমদ ও তরুণ অনুবাদক মাহীন হক।
স্বাগত বক্তব্যে ঐতিহ্যর প্রধান নির্বাহী আরিফুর রহমান নাইম বলেন, ‘ঐতিহ্য দুই যুগ যাবৎ প্রকাশনা ক্ষেত্রে ধ্রুপদিয়ানা ও নতুনত্বের সমন্বয় সাধনের কাজ করে চলেছে। এবারের একক বই উৎসব লেখক-পাঠক-প্রকাশকের সংযোগ প্রতিষ্ঠার কাজ করবে।’
তরুণ অনুবাদক মাহীন হক বলেন, ‘ঐতিহ্য প্রকাশনা জগতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে চলেছে। প্রবীণ ও নবীনের সৃজনশীল অভিযাত্রাকে ঐতিহ্য ধারণ করছে সাহসিকতার সঙ্গে।’
বিশিষ্ট গবেষক শারমিন আহমদ বলেন, ‘ঐতিহ্য প্রতিকূল পরিবেশে বাংলাদেশের সত্য ইতিহাসের একের পর এক বই প্রকাশ করেছে। একজন প্রকৃত প্রকাশকের বৈশিষ্ট্য এমনই হওয়া উচিত।’
ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘ঐতিহ্য আমার প্রকাশক, আমাদের প্রকাশক। ঐতিহ্য শুধু মুনাফার দিকে খেয়াল রাখেনি, প্রকাশনার মধ্য দিয়ে সামাজিক দায়বদ্ধতার চর্চা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আজকে বইয়ের ভবিষ্যৎ মানুষের ভবিষ্যতের মতোই ঝুঁকিপূর্ণ। মুনাফাবাদী বিশ্বব্যবস্থা মানুষকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলছে, স্বার্থপরে পরিণত করছে। মানুষ বই পড়ায় আগ্রহী না হয়ে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লিপ্ত হচ্ছে।
‘এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে বাংলাদেশের মানুষ এবং সারা বিশ্বের মানুষকে বইয়ের অন্তর্গত মানবিক বাণী ধারণ করেই বেঁচে থাকার ও সুষম পৃথিবী গড়ার লড়াই করতে হবে।’
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যর ২৪ বছর পূর্তিতে প্রকাশিত ২৪টি বাংলা ক্ল্যাসিক বইয়ের আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা। এরপর ফিতা কেটে ১০ দিনব্যাপী ঐতিহ্য বই উৎসব উদ্বোধন করেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, শারমিন আহমদ ও মাহীন হক।
ঐতিহ্য বই উৎসব চলবে প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।
উৎসবে সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ে পাঠক ঐতিহ্য প্রকাশিত দুই সহস্রাধিক বই থেকে তার পছন্দেরটি সংগ্রহ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন:রাজধানীর রায়েরবাজার এলাকার মুক্তি সিনেমা হল সংলগ্ন নির্মাণাধীন ভবনের আট তলা থেকে নিচে পড়ে গিয়ে শনিবার এক নির্মাণশ্রমিক নিহত হয়েছেন।
সকাল সাড়ে সাতটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক সকাল ৯টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নির্মাণশ্রমিককে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা ওই বাড়ির কেয়ারটেকার মোহাম্মদ জসীমউদ্দীন জসীম জানান, আজ সকালের দিকে রায়ের বাজারের নির্মাণাধীন ভবনের আট তলা থেকে এ ব্যক্তি হঠাৎ নিচে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেস। পরে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।
তিনি আরও জানান, নির্মাণধীন ভবনে অনেক শ্রমিক কাজ করেন, কিন্তু কেউ তার নাম বলতে পারেননি।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ‘ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:গণভবনকে জাদুঘরে রূপ দিতে ১৯ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে শনিবার সাংবাদিকদের এই কথা জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগবিষয়ক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
ওই সময় তার সঙ্গে ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।
‘গণভবন স্মতি জাদুঘর জনগণের ‘পেইন ও গ্লোরি ধারণ করবে’ বলে মন্তব্য করেন মাহফুজ আলম।
তিনি বলেন, ‘গণভবনকে জুলাই স্মৃতি জাদুঘরে রূপান্তর করতে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটির সঙ্গে অ্যাডভাইজরি কমিটিও থাকবে।
‘খুব শিগগিরই কমিটি তার কার্যক্রম শুরু করবে। একটা সময় পরে এটা জনগণের জন্য খুলে দেয়া হবে।’
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, ‘গণভবন যেটা আসলে গণবিরোধী ছিল, যেখানে বসে ছিলেন একজন ফ্যাসিস্ট ও খুনি। বাংলাদেশের মানুষের সাথে দম্ভের সঙ্গে আচরণ করত। বাংলাদেশের মানুষ নিজেদের মানবিক মর্যাদা বাঁচাতে এখানে এসে তার দম্ভে ভেঙে দিয়েছে।’
গণভবনকে ‘দুঃখ ও বিজয়ের চিহ্ন’ হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়ে মাহফুজ আলম বলেন, “এই ভবনটা বাংলাদেশের মানুষের ১৬ বছরের দুঃখ-যাতনার জায়গায়। একই সঙ্গে বিজয়েরও স্মুতি চিহ্ন।
“মূলত এই জায়গায় ‘পেইন ও গ্লোরি’ ধারণ করবে। ফ্যাসিস্ট খুনির বিরুদ্ধে জনগণের বিজয়কে দেশ ও বিদেশের মানুষের কাছে তুলে ধরবে।”
আরও পড়ুন:ঢাকার মিরপুর-১৪ ও কচুক্ষেত এলাকায় বৃহস্পতিবার সকালে সংঘর্ষের সময় সেনাবাহিনী ও পুলিশের দুটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছেন সেনা সদস্যরা।
সেনাবাহিনীর একটি দল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় শুক্রবার অভিযান চালায়।
সে অভিযানে ভাষানটেক থেকে তিনজনকে আটক করা হয় বলে জানায় আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
আটক তিনজন হলেন রিফাত, হৃদয় ও ইয়াছিন। তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ ও আইনি পদক্ষেপের জন্য ভাষানটেক থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিবৃতিতে আইএসপিআর জানায়, ইচ্ছাকৃতভাবে সেনাবাহিনীর গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি ও সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিসাধনের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার ঢাকার মিরপুর-১৪ ও কচুক্ষেত এলাকায় পোশাক শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পাথর নিক্ষেপ করেন এবং সেনাবাহিনী ও পুলিশের দুটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন।
শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও বেশ কয়েকটি গুলি ছোড়ে। এতে দুই পোশাকশ্রমিক গুলিবিদ্ধ হন।
আরও পড়ুন:ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) রাজধানীর কাকরাইলে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শনিবারের সমাবেশ স্থগিত করেছে জাতীয় পার্টি (জাপা)।
জাপাপ্রধানের প্রেস সচিব খন্দকার দেলোয়ার জালালীর সই করা এক বিবৃতিতে শুক্রবার রাতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে জাপা জানায়, পরবর্তী সময়ে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ শনিবার কাকরাইল ও আশপাশের এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করায় জাতীয় পার্টি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
এর আগে শুক্রবার সকালে জাপা চেয়াম্যান জানান, হামলার পরও শনিবার পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশ পরিকল্পনা অনুযায়ী হবে।
এ ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরই রাজধানীর কাকরাইল ও আশপাশের এলাকায় সব ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ করে ডিএমপি।
ঢাকার কাকরাইলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাপার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হেলমেট পরা ও লাঠিসোঁটা হাতে একদল ব্যক্তি ফটক দিয়ে জাপা কার্যালয়ে প্রবেশ করে। স্লোগান দিতে দিতে তারা ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে, আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং ভবনের সামনের অংশ ও ভেতরের কয়েকটি কক্ষে আগুন ধরিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য