ভারতের সঙ্গে করা সব গোপন চুক্তি প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত তাহমিদ ও মাসুদ রানার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ‘আমরা বিএনপি পরিবারের’ প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারগুলোকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়।
রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা অন্য দেশের সঙ্গে যেসব গোপন চুক্তি করেছেন তা প্রকাশ করা হোক।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইতালি, জার্মানিসহ পৃথিবীর কোথাও গণতন্ত্রকামী মানুষ ফ্যাসিস্টদের পুনরুত্থান হতে দেয়নি। বাংলাদেশেও হবে না।’
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী শহীদ পরিবারের সদস্যদের যেন সরকারি চাকরি দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়।’
গণ-অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ গণতন্ত্রের পক্ষে হাঁটতে শুরু করেছে উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করারও আহ্বান জানান রিজভী।
আর্থিক সহযোগিতা প্রদানকালে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, সংগঠনের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন, বিএনপি নেতা বজলুল বাছিত আঞ্জু, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আরিফুর রহমান তুষার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানীর উত্তরায় পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন খানের বাসায় অভিযান চালিয়ে নগদ এক কোটি টাকা ও ১১টি আইফোন জব্দ করে যৌথ বাহিনী। গ্রেপ্তার করা হয়েছে আমজাদ হোসেন ও তার ছেলেকে।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রোববার রাতে উত্তরা-১১ নম্বর সেক্টরের ৩৩ নম্বর বাড়িতে যৌথবাহিনী ওই অভিযান চালায়।
সোমবার সকালে উত্তরা পশ্চিম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অভিযান সূত্রে জানা যায়, রোববার রাত ১০টায় যৌথবাহিনী পরিচালিত অভিযানে বাসাটি থেকে নগদ এক কোটি সাড়ে ৯ লাখ টাকা, বেশকিছু বিদেশি মুদ্রা, ১১টি আইফোন এবং বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মূল্যবান ঘড়ি জব্দ করা হয়। পরে সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন ও তার ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে কর্মরত অবস্থায় অবসরে যান আমজাদ হোসেন খান। তার গ্রামের বাড়ি গাজীপুর সদরে।
সীমান্তে কোনো শিথিলতা দেখানো যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
রাজধানীর পিলখানায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদরদপ্তরের সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্রে সোমবার সকালে বিজিবির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘সীমান্তে কোনো শিথিলতা দেখানো যাবে না। সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও নজরদারি বজায় রাখতে হবে। জাতীয় স্বার্থ বজায় রেখে চোরাচালান প্রতিরোধে কঠোর অবস্থান নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিজিবিকে তাদের আইন ও ম্যান্ডেট অনুযায়ী কাজ করতে হবে। তাদের পারফরম্যান্স আগের চেয়ে ভালো হয়েছে। সে জন্য সাধারণ জনগণ বিজিবির কর্মকাণ্ডে খুশি।’
তিনি বিজিবিকে জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার আহ্বান জানান।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘একটি সুশৃঙ্খল ও প্রশিক্ষিত বাহিনীর সদস্য হিসেবে বিজিবি সদস্যদের চেইন অফ কমান্ড মেনে কাজ করতে হবে, তবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বেআইনি আদেশ মানা যাবে না।
‘আদেশের ক্ষেত্রে তা বৈধ ও আইনসঙ্গত কি না, তা বিবেক-বুদ্ধি দিয়ে বিবেচনা করতে হবে।’
আরও পড়ুন:দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ করার ঘটনায় আনা আদালত অবমাননার মামলায় বিএনপির শীর্ষস্থানীয় সাত আইনজীবীকে অব্যাহতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
আদালত অবমাননার রুল খারিজ করে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বিভাগ বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেয়।
একই সঙ্গে সাত আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ করা আইনজীবীকে ১ লাখ টাকা কস্ট করেছে সর্বোচ্চ আদালত। আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে এ টাকা জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিএনপির সাত আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগকারী ও তাদের আইনজীবী আদালতে পরপর উপস্থিত না হওয়ায় অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড আজ বিষয়টি নন প্রসিকিউশনের আবেদন করেন। এরপর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বিভাগ সাত আইনজীবীকে অভিযোগ থেকে অব্যহতি দিয়ে অভিযোগকারীকে ১ লাখ টাকা কস্ট করে আদেশ দেয়।
আদালতে সাত আইনজীবীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনিক আর হক।
আদালত অবমানার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়া ৭ শীর্ষ আইনজীবী নেতা হলেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল প্রয়াত এ জে মোহাম্মদ আলী, ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ও ফোরামের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কুদ্দুস কাজল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ফাহিমা নাসরিন মুন্নি, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট শাখার সভাপতি আবদুল জব্বার ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল এবং সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহসম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান।
আরও পড়ুন:জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য পেপারবুক নিজ খরচে তৈরির অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট।
খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেয়।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল, আইনজীবী আমিনুল ইসলাম ও গাজী কামরুল ইসলাম সজল।
এ বিষয়ে জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া কোনো অনুকম্পা চান না। তিনি আইনিভাবে মামলা নিষ্পত্তি করতে চান।
‘এ কারণে আমরা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার সাজার রায়ের বিরুদ্ধে দ্রুত আপিল শুনানি করতে চাই। আপিল শুনানির জন্য আদালত আমাদের নিজ খরচে পেপারবুক প্রস্তুত করার অনুমতি দিয়েছেন।’
২০১৮ সালের অক্টোবরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। একই সঙ্গে অন্য তিন আসামিকেও সাত বছরের কারাদণ্ড দেয় বিচারিক আদালত।
খালেদা জিয়াসহ প্রত্যেককে জরিমানাও করা হয়। এ ছাড়া ট্রাস্টের নামে কেনা কাকরাইলে ৪২ কাঠা জমি বাজেয়াপ্ত করে তা রাষ্ট্রের অনুকূলে নেয়ার আদেশ দেয়া হয়। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন খালেদা জিয়া।
এ মামলায় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় জামিন চেয়ে পাননি তিনি। একপর্যায়ে সরকার নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে তাকে মুক্তি দেয়।
গত ৬ আগস্ট খালেদা জিয়াকে নির্বাহী আদেশে মুক্তি দেয়া হয়। ওই দিন বঙ্গভবনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন:প্রকাশনা সংস্থা ‘ঐতিহ্য’ তার দুই যুগের পথচলা (২০০০-২০২৪) স্মরণীয় করে রাখতে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ২-১১ নভেম্বর পর্যন্ত ১০ দিনব্যাপী ‘ঐতিহ্য বই উৎসব-২০২৪’ আয়োজন করেছে।
যৌথভাবে শনিবার বেলা ১১টার দিকে উৎসব উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, বিশিষ্ট লেখক-গবেষক শারমিন আহমদ ও তরুণ অনুবাদক মাহীন হক।
স্বাগত বক্তব্যে ঐতিহ্যর প্রধান নির্বাহী আরিফুর রহমান নাইম বলেন, ‘ঐতিহ্য দুই যুগ যাবৎ প্রকাশনা ক্ষেত্রে ধ্রুপদিয়ানা ও নতুনত্বের সমন্বয় সাধনের কাজ করে চলেছে। এবারের একক বই উৎসব লেখক-পাঠক-প্রকাশকের সংযোগ প্রতিষ্ঠার কাজ করবে।’
তরুণ অনুবাদক মাহীন হক বলেন, ‘ঐতিহ্য প্রকাশনা জগতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে চলেছে। প্রবীণ ও নবীনের সৃজনশীল অভিযাত্রাকে ঐতিহ্য ধারণ করছে সাহসিকতার সঙ্গে।’
বিশিষ্ট গবেষক শারমিন আহমদ বলেন, ‘ঐতিহ্য প্রতিকূল পরিবেশে বাংলাদেশের সত্য ইতিহাসের একের পর এক বই প্রকাশ করেছে। একজন প্রকৃত প্রকাশকের বৈশিষ্ট্য এমনই হওয়া উচিত।’
ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘ঐতিহ্য আমার প্রকাশক, আমাদের প্রকাশক। ঐতিহ্য শুধু মুনাফার দিকে খেয়াল রাখেনি, প্রকাশনার মধ্য দিয়ে সামাজিক দায়বদ্ধতার চর্চা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আজকে বইয়ের ভবিষ্যৎ মানুষের ভবিষ্যতের মতোই ঝুঁকিপূর্ণ। মুনাফাবাদী বিশ্বব্যবস্থা মানুষকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলছে, স্বার্থপরে পরিণত করছে। মানুষ বই পড়ায় আগ্রহী না হয়ে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লিপ্ত হচ্ছে।
‘এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে বাংলাদেশের মানুষ এবং সারা বিশ্বের মানুষকে বইয়ের অন্তর্গত মানবিক বাণী ধারণ করেই বেঁচে থাকার ও সুষম পৃথিবী গড়ার লড়াই করতে হবে।’
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যর ২৪ বছর পূর্তিতে প্রকাশিত ২৪টি বাংলা ক্ল্যাসিক বইয়ের আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা। এরপর ফিতা কেটে ১০ দিনব্যাপী ঐতিহ্য বই উৎসব উদ্বোধন করেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, শারমিন আহমদ ও মাহীন হক।
ঐতিহ্য বই উৎসব চলবে প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।
উৎসবে সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ে পাঠক ঐতিহ্য প্রকাশিত দুই সহস্রাধিক বই থেকে তার পছন্দেরটি সংগ্রহ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন:রাজধানীর রায়েরবাজার এলাকার মুক্তি সিনেমা হল সংলগ্ন নির্মাণাধীন ভবনের আট তলা থেকে নিচে পড়ে গিয়ে শনিবার এক নির্মাণশ্রমিক নিহত হয়েছেন।
সকাল সাড়ে সাতটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক সকাল ৯টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নির্মাণশ্রমিককে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা ওই বাড়ির কেয়ারটেকার মোহাম্মদ জসীমউদ্দীন জসীম জানান, আজ সকালের দিকে রায়ের বাজারের নির্মাণাধীন ভবনের আট তলা থেকে এ ব্যক্তি হঠাৎ নিচে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেস। পরে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।
তিনি আরও জানান, নির্মাণধীন ভবনে অনেক শ্রমিক কাজ করেন, কিন্তু কেউ তার নাম বলতে পারেননি।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ‘ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:গণভবনকে জাদুঘরে রূপ দিতে ১৯ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে শনিবার সাংবাদিকদের এই কথা জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগবিষয়ক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
ওই সময় তার সঙ্গে ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।
‘গণভবন স্মতি জাদুঘর জনগণের ‘পেইন ও গ্লোরি ধারণ করবে’ বলে মন্তব্য করেন মাহফুজ আলম।
তিনি বলেন, ‘গণভবনকে জুলাই স্মৃতি জাদুঘরে রূপান্তর করতে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটির সঙ্গে অ্যাডভাইজরি কমিটিও থাকবে।
‘খুব শিগগিরই কমিটি তার কার্যক্রম শুরু করবে। একটা সময় পরে এটা জনগণের জন্য খুলে দেয়া হবে।’
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, ‘গণভবন যেটা আসলে গণবিরোধী ছিল, যেখানে বসে ছিলেন একজন ফ্যাসিস্ট ও খুনি। বাংলাদেশের মানুষের সাথে দম্ভের সঙ্গে আচরণ করত। বাংলাদেশের মানুষ নিজেদের মানবিক মর্যাদা বাঁচাতে এখানে এসে তার দম্ভে ভেঙে দিয়েছে।’
গণভবনকে ‘দুঃখ ও বিজয়ের চিহ্ন’ হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়ে মাহফুজ আলম বলেন, “এই ভবনটা বাংলাদেশের মানুষের ১৬ বছরের দুঃখ-যাতনার জায়গায়। একই সঙ্গে বিজয়েরও স্মুতি চিহ্ন।
“মূলত এই জায়গায় ‘পেইন ও গ্লোরি’ ধারণ করবে। ফ্যাসিস্ট খুনির বিরুদ্ধে জনগণের বিজয়কে দেশ ও বিদেশের মানুষের কাছে তুলে ধরবে।”
আরও পড়ুন:
মন্তব্য