সংস্কারকে একটি চলমান প্রক্রিয়া উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, বর্তমান সরকার যে সংস্কার করবে, আগামী দিনে সেগুলো আবার সংস্কার করা হবে।
শনিবার নরসিংদীর ভগিরথপুর ঈদগাহ ময়দানে আয়োজিত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে চার শহীদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন ও হতাহতদের জন্য দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মঈন বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হিসেবে নিশ্চয় তারা কিছু সংস্কার করবে এবং তারা কিছু কিছু সংস্কারের কাজ শুরু করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানাই এবং তাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেব।
‘সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। আজকে যে সংস্কার এ সরকার করবে, আগামী দিনে সেটাকে আবার সংস্কার করা হবে। সেসব সংস্কারই করা হবে, যেগুলো অত্যাবশ্যক।’
তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার বিগত ১৫ বছর ধরে স্বাধীনতাবিরোধী কাজ করেছে। তারা বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। গণতন্ত্র নির্বাসনে পাঠিয়ে তারা একনায়কতন্ত্র কায়েম করেছে। তারা এদেশে হিংসা, প্রতিহিংসা, লুটপাট, অত্যাচার, জুলুম, নির্যাতনের রামরাজত্ব কায়েম করেছিল।’
মঈন খান বলেন, ‘মানুষের মুখের ভাষা কেড়ে নিয়েছে তারা। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। ভোটের অধিকার ব্যতিরেকে কোনো দেশে গণতন্ত্র হতে পারে না। তারা মনে করেছিল এ দেশ তাদের পৈতৃক সম্পত্তি। এটা হতে পারে না। বাংলাদেশের মালিক হচ্ছে দেশের ১৮ কোটি মানুষ। এই মানুষগুলো তাদের কথা বলার ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে এনেছে।’
মেহেরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় পলাশ উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এরফান আলী, মেহেরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি মনির, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহেন শাহ শানুসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন।
সভা শেষে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হতাহতদের জন্য দোয়া করা হয়। পাশাপাশি নিহত আরিফুল ইসলাম রাব্বী, আব্দুর রহমান, আরমান মোল্লা ও নাহিদের পরিবারকে বিএনপির পক্ষ থেকে সহযোগিতার অর্থ তুলে দেয়া হয়।
ভারতের সঙ্গে করা সব গোপন চুক্তি প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত তাহমিদ ও মাসুদ রানার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ‘আমরা বিএনপি পরিবারের’ প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারগুলোকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়।
রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা অন্য দেশের সঙ্গে যেসব গোপন চুক্তি করেছেন তা প্রকাশ করা হোক।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইতালি, জার্মানিসহ পৃথিবীর কোথাও গণতন্ত্রকামী মানুষ ফ্যাসিস্টদের পুনরুত্থান হতে দেয়নি। বাংলাদেশেও হবে না।’
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী শহীদ পরিবারের সদস্যদের যেন সরকারি চাকরি দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়।’
গণ-অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ গণতন্ত্রের পক্ষে হাঁটতে শুরু করেছে উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করারও আহ্বান জানান রিজভী।
আর্থিক সহযোগিতা প্রদানকালে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, সংগঠনের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন, বিএনপি নেতা বজলুল বাছিত আঞ্জু, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আরিফুর রহমান তুষার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপের আমন্ত্রণ পেয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। আগামী শনিবার বেলা আড়াইটায় এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। সংলাপে বিএনপি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বৃহস্পতিবার বিকেলে এ বিষয়ে বলেন, ‘আমি শুনেছি যে শনিবার বেলা আড়াইটায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপের আমন্ত্রণ পেয়েছে বিএনপি। আনুষ্ঠানিকভাবে আমাকে এখনও এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি।’
জানা গেছে, প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন ও রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যুমনায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে বুধবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, শনিবার থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তৃতীয় দফায় সংলাপ শুরু করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন দলের সঙ্গে সংলাপ হবে। এতে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।
সংলাপে উপদেষ্টামণ্ডলী গঠিত ছয়টি কমিশনের কার্যক্রমের অগ্রগতি এবং দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কথা হবে। এসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ও পরামর্শ নেয়া হবে, জানান শফিকুল আলম।
সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা দিতে এসে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই নেতা। পরে শিক্ষক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা তাদের পুলিশে সোপর্দ করেন।
আটক দু’জন হলেন- ইবি ছাত্রলীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক শাহিনুর পাশা এবং নাট্য ও বিতর্ক সম্পাদক আল আমিন সুইট। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র নজরুল কলা ভবনের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বুধবার আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা চলছিল। ছাত্রলীগের ওই দুই পদধারী নেতা পরীক্ষা দিতে আসার খবর পেয়ে বিভাগের সামনে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষকরা তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িতে করে বের করে দেয়ার চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীরা বাধা হয়ে দাঁড়ান। পরে শিক্ষক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা দুই নেতাকে তাদের হেফাজতে নেন। বিকেল ৩টার দিকে প্রক্টরের উপস্থিতিতে তাদেরকে ইবি থানা পুলিশের হেফাজতে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে ওই দুই ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ‘আজ এই সেমিস্টারের সবশেষ পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা দিতে না পারলে ক্ষতি হয়ে যেত। আমাদের ভুল হয়েছে বিভাগের শিক্ষকদের না জানিয়ে এসে। তবে আমাদের পরীক্ষা ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শাহিনুজ্জামান বলেন, ‘আমরা জানতে পারার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের ওপর যাতে মব জাস্টিস না হয় সেটাকে গুরুত্ব দিয়েছি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা মিলে তাদেরকে নিরাপদে থানায় সোপর্দ করেছি।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, ‘উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা তাদের আসার কথা জানতে পেরেই স্লোগান শুরু করে। খবর পেয়ে আমরা সেখানে গিয়েছি এবং শিক্ষার্থীদের আইন নিজের হাতে না তুলে নেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও প্রক্টরের সহযোগিতায় তাদের পুলিশ সোপর্দ করা হয়েছে।’
ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রহমান বলেন, ‘তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে না জানিয়েই পরীক্ষা দিতে আসেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা তাদেরকে থানায় হস্তান্তর করেন। তারা আমাদের হেফাজতে আছেন।’
আরও পড়ুন:রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তৃতীয় দফায় সংলাপ করতে যাচ্ছে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তীকালীন সরকার। আগামী শনিবার (৫ অক্টোবর) এই সংলাপ শুরু হবে। এতে ধারাবাহিকভাবে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বুধবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, উপদেষ্টামণ্ডলী এর আগে দু’দফায় দেশের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সৈঙ্গে আবারও আলোচনা করবে সরকার।
সংলাপে উপদেষ্টামণ্ডলী গঠিত ছয়টি কমিশনের কার্যক্রমের অগ্রগতি এবং দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে। এসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ও পরামর্শ নেওয়া হবে, জানান শফিকুল আলম।
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ দুই বছর বা তারও কম সময় হওয়া উচিত বলে মনে করেন দেশের ৫৩ শতাংশ ভোটার।
নর্থ সাউথ ইউনির্ভাসিটির সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অফ পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্স (এসআইপিজি) পরিচালিত এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছ থেকে নাগরিকদের প্রত্যাশা' শীর্ষক জাতীয় জরিপের ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়।
জরিপ সম্পর্কে বলা হয়, গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের আটটি বিভাগের ১৭টি জেলায় মোট এক হাজার ৮৬৯ জনের ওপর এই জরিপ চালানো হয়। এটি জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী সর্বপ্রথম সরাসরি পরিচালিত একটি জাতীয় প্রতিনিধিত্বমূলক জরিপ।
জরিপের উত্তরদাতাদের বৃহত্তম অংশ (৬৩ শতাংশ) মধ্যবয়সী, যাদের বয়স ২৮ থেকে ৫০ বছর। ২২ শতাংশ জেনারেশন জেড (১৮-২৭) এবং ১৪ শতাংশের বয়স ৫০ বছরের উপরে। এছাড়া জরিপের উত্তরদাতাদের ৫৪ শতাংশ শহর অঞ্চল এবং ৪৬ শতাংশ গ্রামীণ অঞ্চলের।
জরিপের ফল তুলে ধরে বলা হয়, উত্তরদাতাদের প্রায় ৫৩ শতাংশ মনে করেন বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ দুই বছর বা তার কম হওয়া উচিত। আর ৪৭ শতাংশ মনে করেন এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তিন বছর বা তার বেশি সময় ক্ষমতায় থাকতে হবে।
জরিপে উত্তরদাতাদের ৪৬ শতাংশ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে অনিশ্চিত। আর ৫৪ শতাংশ মূলধারার রাজনীতিতে তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
এছাড়া ৯৬ শতাংশ প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিত করাকে সমর্থন করে। ৪৬ শতাংশ বিশ্বাস করে সংবিধানের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন প্রয়োজন এবং ১৬ শতাংশ সম্পূর্ণ নতুন সংবিধানের পক্ষে তাদের মত জানিয়েছে।
গবেষণার তথ্যে আরও বলা হয়, নাগরিকদের অন্তর্ভুক্ত করা গেলে সরকারের বর্তমান অবস্থান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে আগস্ট-সেপ্টেম্বরে বর্তমান সরকারের বন্যা ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করেছেন তারা।
পুলিশ, শিক্ষা ব্যবস্থা, রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং নির্বাচনি ব্যবস্থা সংস্কারের ওপর নাগরিকদের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ পেয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সচিব ড. বদিউল আলম মজুমদার।
তিনি বলেন, ‘মানুষ নির্বাচনি সংস্কার চায়, যাতে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আমাদের নির্বাচনি ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এটিকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব হলো কারিগরি কিছু সুপারিশ করা। আমি যে কমিশনের সঙ্গে যুক্ত সেই কমিশনের কাজ হবে কিভাবে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করা যায়।
‘তার কিছু টেকনিক্যাল সলিউশন আমাদের অভিজ্ঞতার আলোকে, বাইরের অভিজ্ঞতার আলোকে এবং জনগণের সঙ্গে বা বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলোচনা করে কী কী আইন পরিবর্তন করা দরকার, নির্বাচনি ব্যবস্থার সাথে যেসব প্রতিষ্ঠান জড়িত আছে তাদের কি কি পরিবর্তন দরকার, সাংবিধানিক কী কী সংস্কার দরকার- এগুলো সম্পর্কে আমরা সুপারিশ দিতে পারি।’
বদিউল আলম বলেন, ‘সরকার রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসে একটা ঐকমত্যে পৌঁছার চেষ্টা করবে এবং একটি রোডম্যাপ সৃষ্টি হবে ও নির্বাচনের সময়কাল নির্ধারিত হবে।’
জরিপের ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে এসআইপিজি’র উপদেষ্টা অধ্যাপক সালাহউদ্দিন এম. আমিনুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ হয়েছে। যদিও এই কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল চলতি বছরের জানুয়ারিতে।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের ফেসবুক পেজ থেকে পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা প্রকাশ করা হয়। তালিকায় ১৪ জনের নাম রয়েছে।
কমিটিতে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের একজন, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের একজন, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের তিনজন, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আটজন এবং ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের একজন শিক্ষার্থী রয়েছেন।
এর আগে প্রকাশ্যে এসেছিল বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সভাপতি আবু সাদিক কায়েম ও সেক্রেটারি এসএম ফরহাদের নাম।
আবু সাদিক বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। আর এসএম ফরহাদ সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনিস্টিউটের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
প্রকাশিত ১৪ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আছেন মহিউদ্দিন খান, প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক পদে হোসাইন আহমাদ জুবায়ের, ছাত্র আন্দোলন ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক পদে মো. মাজহারুল ইসলাম, অফিস সম্পাদক পদে ইমরান হোসাইন, বায়তুল মাল সম্পাদক পদে আলাউদ্দিন আবিদ, দাওয়াহ ও ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক পদে হামিদুর রশিদ জামিল।
এছাড়া সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে নুরুল ইসলাম নূর, বিজ্ঞান ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে মো. ইকবাল হায়দার, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদে মো. আনিছ মাহমুদ ছাকিব, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদে রিয়াজুল মিয়া, ব্যবসায় শিক্ষা ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে হাসান মোহাম্মদ ইয়াসির এবং স্কিল ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক হিসেবে আব্দুল্লাহ আল আমিনের নাম রয়েছে।
কমিটির বিষয়ে ঢাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েম বলেন, ‘অন্যান্য সংগঠনের মতো করে আমাদের কমিটি হয় না। এজন্য আমাদের কমিটিতে সদস্য সংখ্যা কম মনে হতে পারে। ছাত্রদের নীতি-নৈতিকতা, স্কিল ডেভেলপমেন্টসহ সার্বিক উন্নয়নের জন্য আমাদের বিভিন্ন বিভাগ রয়েছে। সেই বিভাগগুলো আমাদের কার্যক্রমগুলো তদারকি করে থাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এই কমিটি গত জানুয়ারি মাসেই গঠিত হয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্যাতন-নিপীড়নের কারণে আমরা তা পাবলিকলি প্রকাশ করতে পারিনি। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এবং শহীদদের আত্মত্যাগের ফলে দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে এবং আমরা আমাদের অধিকার ফিরে পেয়েছি।’
আরও পড়ুন:চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নির্বাচন বাতিল চেয়ে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের করা মামলায় তাকে মেয়র ঘোষণা করেছে আদালত। একই সঙ্গে আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ খাইরুল আমীনের আদালত মঙ্গলবার দুপুরে এ রায় দেয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আরশাদ হোসেন আসাদ জানান, চসিক নির্বাচন বাতিল চেয়ে ডা. শাহাদাত হোসেনের করা মামলায় তাকে মেয়র ঘোষণা করে রায় দিয়েছে আদালত।
এর আগে ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি চসিক মেয়র পদে ঘোষিত ফল এবং মেয়র হিসেবে রেজাউল করিম চৌধুরীকে নির্বাচিত ঘোষণা করে প্রকাশিত গেজেট বাতিল করে পুনর্নির্বাচন চেয়ে আদালতে মামলা করেন পরাজিত প্রার্থী শাহাদাত হোসেন।
মন্তব্য