× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The new vice chancellor of BSMMU is Professor Shahinul
google_news print-icon

বিএসএমএমইউর প্রো-ভিসি হলেন লিভার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহীনুল

বিএসএমএমইউর-প্রো-ভিসি-হলেন-লিভার-বিশেষজ্ঞ-অধ্যাপক-শাহীনুল
অধ্যাপক ডা. শাহীনুল আলম। ছবি: সংগৃহীত
অধ্যাপক ডা. শাহীনুল আলম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক‍্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান এবং মেটাবলিক অ্যাসোসিয়েটেড ফ্যাটি লিভার ডিজিজ বিষয়ে দেশের অগ্রগামী বিজ্ঞানী। দেশ-বিদেশে চিকিৎসা সংক্রান্ত নানা কাজের নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন ওই খ্যাতনামা চিকিৎসক।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন হেপাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ শাহীনুল আলম।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের চিকিৎসা শিক্ষা-১ শাখার মোহাম্মদ কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে রোববার এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও আচার্যের অনুমোদনে অধ্যাপক শাহীনুল আলমকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য পদে নিয়োগ করা হলো। তিনি চার বছর এই পদে থাকবেন এবং উপ-উপাচার্য হিসেবে বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতাদি পাবেন। বিধি অনুযায়ী উপ-উপাচার্য পদের সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন ডা. শাহীনুল আলম। রাষ্ট্রপতি ও আচার্য প্রয়োজনে যে কোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।

অধ্যাপক শাহীনুল আলমের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায়। কর্মজীবনে তিনি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের গত ১৫ বছরে নানা ধরনের বৈষম্যের শিকার হয়েছেন।

শাহীনুল আলম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক‍্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) হেপাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান এবং মেটাবলিক অ্যাসোসিয়েটেড ফ্যাটি লিভার ডিজিজ (এমএএফএলডি/এনএএফএলডি) বিষয়ে দেশের অগ্রগামী বিজ্ঞানী।

তিনি এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য ২০২০ সালে ‘মেটাবলিক অ্যাসোসিয়েটেড ফ্যাটি লিভার ডিজিজের নির্ণয় এবং পরিচালনার জন্য ক্লিনিক্যাল অনুশীলন নির্দেশিকা’ গবেষণা করেন। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়া, জাপান, চীন, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, পাকিস্তান, ভারত এবং বাংলাদেশসহ ২৯টি দেশের বিজ্ঞানীদের সঙ্গে অনেক গবেষণাপত্রে কাজ করেছেন তিনি।

স্কোপাস হিসেবে ডা. শাহীনুল এফসিপিএস (মেডিসিন) এবং ডক্টরেট অফ মেডিসিন (এমডি) করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক হেপাটোলজির নেতৃস্থানীয় বিজ্ঞানীদের সংস্থা ‘গ্লোবাল ন্যাশ কাউন্সিল’-এর সদস্য হয়েছেন অধ্যাপক ডা. শাহীনুল আলম। তিনি ২০টি থিসিস তত্ত্বাবধান করেছেন এবং পাঁচটি থিসিসের সহ-তত্ত্বাবধান করেছেন, যারা ডক্টরেট অফ মেডিসিন (এমডি) হেপাটোলজি ডিগ্রি লাভ করেছেন।

খ্যাতনামা এই চিকিৎসক বিএসএমএমইউর সাতটি গবেষণা প্রকল্পের প্রধান তদন্তকারী এবং সহ-তদন্তকারী হিসেবে অনুদান পান। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন তিনজন।

কোর্স সমন্বয়কারী এবং এমডি হেপাটোলজি কোর্সের পাঠক্রম কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে ডা. শাহীনুল বিএসএমএমইউতে ২০১১ সালে শুরু হওয়া ‘রেসিডেন্সি ভিত্তিক’ পাঠক্রমের উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোলজি বিভাগের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স কমিটির (আইকিউএসি) সদস্য সচিব হিসেবে তিনি মূল্যায়নের আয়োজন করেন এবং কোর্সটি আপগ্রেড করার সুপারিশ করেন।

বিএসএমএমইউ’র এই অধ্যাপক হেপাটোলজির ওয়ার্ল্ড জার্নালের সম্পাদকীয় বোর্ডের সদস্য। তিনি বর্তমানে এলসেভিয়ার, স্প্রিংগার, ব্ল্যাকওয়েল পাবলিশিং, উইলি, স্প্রিংগার নেচারসহ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বৈজ্ঞানিক প্রকাশকদের পর্যালোচনাকারী হিসেবে অবদান রাখছেন।

অধ্যাপক শাহীনুল আলম ২০০৯ সাল থেকে ঢাকার হেপাটোলজি সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন। তিনি ‘বাংলাদেশের ফ্যাটি লিভার রোগীদের জন্য খাদ্যতালিকাগত পরামর্শ’ বিষয়ে ফুড পিরামিডের কপিরাইট অর্জন করেন।

তিনি এশিয়ান প্যাসিফিক অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য স্টাডি অফ দ্য লিভার (এপিএএসএল) ও ইউরোপীয় অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য স্টাডি অফ দ্য লিভারের (ইএএসএল) সদস্য। এছাড়া ইন্ডিয়ান সোসাইটি অফ গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি ও ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য।

এর বাইরে দ্য স্টাডি অফ দ্য লিভার (আইএনএএসএল), ব্রিটিশ সোসাইটি অফ গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজির (বিএসজি) সহযোগী সদস্য, ইউরোপীয় সোসাইটি অফ গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল এন্ডোস্কোপির (ইএসজিই) সদস্য এবং ইন্ডিয়ান সোসাইটি অফ গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল এন্ডোস্কোপির (আইএসজিই) আজীবন সদস্য।

অধ্যাপক শাহীনুল আলম বাংলাদেশের একমাত্র চিকিৎসক যিনি বাংলাদেশে চিকিৎসা অর্থনীতি নিয়ে কাজ করছেন। বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত/নিম্ন আয়ের লোকেরা একটি বড় অস্ত্রোপচার বা হাসপাতালে ভর্তির জন্য তাদের জীবনের সঞ্চয় ব্যয় করেন এবং তা করতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েন। তিনি এই ঘটনাটি নিয়ে গবেষণা করেছেন।

বৈশ্বিক স্বাস্থ্যসেবা অর্থায়ন নীতির তুলনায় বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা অর্থায়নবিষয়ক বইটিরও লেখক তিনি।

১৯৯৫ সাল থেকে ডা. শাহীনুল আলম বাংলাদেশের সব পর্যায়ের স্বাস্থ্য সেবায় দায়িত্ব পালন করেন।

এই চিকিৎসক হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সহকারী সার্জন হিসেবে সরকারি চাকরি শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিনের জুনিয়র কনসালট্যান্ট, শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রার ও মেডিসিনের রেজিস্ট্রার এবং ২০০৩ সাল থেকে বিএসএমএমইউতে শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Bashundhara Eye Hospital 37 people operated free of cost 

বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে বিনা মূল্যে ৩৭ জনের অস্ত্রোপচার 

বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে বিনা মূল্যে ৩৭ জনের অস্ত্রোপচার  যৌথভাবে এ অপারেশন কার্যক্রমের আয়োজন করে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্ট ইনস্টিটিউট, ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশন ও চিকিৎসা সহায়তা কেন্দ্র চাঁপাইনবাবগঞ্জ। ছবি: বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সাবরিনা সোবহান রোডে অবস্থিত বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী ফ্রি অপারেশন অনুষ্ঠিত হয়।

বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে বিনা মূল্যে ৩৭ জন গরিব ও দুস্থ রোগীর চোখের ছানি অপারেশন হয়েছে।

বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সাবরিনা সোবহান রোডে অবস্থিত বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী এ ফ্রি অপারেশন অনুষ্ঠিত হয়।

যৌথভাবে এ অপারেশন কার্যক্রমের আয়োজন করে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্ট ইনস্টিটিউট, ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশন ও চিকিৎসা সহায়তা কেন্দ্র চাঁপাইনবাবগঞ্জ।

বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অবৈতনিক পরিচালক এবং ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশনের সভাপতি প্রফেসর ডা. মো. সালেহ আহমদের তত্ত্বাবধানে এ সার্জারিতে অংশ নেন ডা. অ্যান্থনি অ্যালবার্ট, ডা. তাসরুবা শাহনাজ, ডা. জেরিন পারভীন এবং ডা. নুসরাত লুবনা ইসলাম।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষ্ণগোবিন্দপুর ডিগ্রি কলেজে একটি আই ক্যাম্প করা হয়। সেখানে ‌১ হাজার ২০০ রোগীর চোখ পরীক্ষা করে ৪২০ জনকে অস্ত্রোপচারের জন্য বাছাই করা হয়। বৃহস্পতিবার সেই রোগীদের পঞ্চম ব্যাচের ৩৭ জনের চোখে অস্ত্রোপচার করা হয়। এর মধ্যে ১৫ পুরুষ ও ২২ জন নারী রয়েছেন।

এ বিষয়ে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অবৈতনিক পরিচালক এবং ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. সালেহ আহমদ বলেন, ‘২০১৪ সাল থেকে আমরা বিনা মূল্যে রোগীদের চোখ অপারেশন করার এই কার্যক্রম শুরু করেছি। আমরা দেশের দূরদুরান্ত অঞ্চলে গিয়ে বিনা মূল্যে আই ক্যাম্প করি। সেখানে অপারেশনের রোগী বাছাই করে আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসি।

‘অপারেশন শেষে আবার তাদের নিজ বাড়িতে দিয়ে আসি। এ পুরো কার্যক্রমই আমরা আমাদের নিজ খরচে করে থাকি। আমি মনে করি এই কার্যক্রমে আমাদের সফলতা শতভাগ।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের মানুষরা চোখ নিয়ে অবহেলা করেন। শিশুদের কিছু জন্মগত চোখের রোগ হয়, যেটা বাবা-মা বুঝতে পারেন না। পরবর্তী সময়ে শিশু যখন স্কুলে যায় তখন সেসব সমস্যা ধরা পড়ে।

‘তাই শিশুদের পাঁচ বছরের আগে চোখের স্ক্রিনিং করে নেয়া দরকার। এ ছাড়া ৪০ বছরের পরে চোখের ছানি পড়াসহ বেশ কিছু সমস্যা দেখা দেয়। তাদেরও নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করানো দরকার, যাতে চোখ ভালো থাকে এবং ভালোভাবে দেখতে পায়।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে বসুন্ধরা আই হসপিটালে চোখের ছানির অস্ত্রোপচার করাতে আসা মো. ইকরামুল হক বলেন, ‘এই কার্যক্রমটি নিঃসন্দেহে একটি মহৎ। মানবসেবা সবচেয়ে বড় ধর্ম।

‘এ ধর্মটা সবাই পালন করতে পারেন না। বসুন্ধরা আই হসপিটাল সেটা করতে পারছে। এখানকার ডাক্তারসহ অন্যান্যদের ব্যবহার খুবই চমৎকার। তারা রোগীদের বাবা-চাচা-ভাইয়ের মতো করে সেবা যত্ন করেন। তাদের ব্যবহার অতুলনীয়, যেন সবাই তাদের আপনজন।’

একই এলাকা থেকে অস্ত্রোপচার করতে আসা মোমেনা বেগম বলেন, ‘আমি আগে চোখে ঝাপসা দেখতাম। টাকার জন্য চিকিৎসা করাতে পারিনি। আমাদের এলাকার একজনের কাছে খবর পেয়ে আই ক্যাম্পে বিনা মূল্যে চোখ পরীক্ষা করাতে যাই। পরে তারা চোখ পরীক্ষা করে অপারেশনের জন্য নিয়ে আসে।

‘আমার কোনো খরচ হয়নি। এখন আবার আমি ঠিকভাবে দেখতে পারব। আল্লাহ এদের ভালো করুক।’

বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ম্যানেজার (এইচআর অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) মোহাম্মদ আহসান হাবীব বলেন, ‘গরিব-দুস্থ ও অন্ধ রোগীদের চক্ষু চিকিৎসার সাহায্যার্থে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দুস্থদের সেবায় আগে থেকেই এ ধরনের কার্যক্রম চলমান আছে।

‘সারা দেশে বিনা মূল্যে এ ক্যাম্পটি অনুষ্ঠিত হয়। এখন পর্যন্ত এই ক্যাম্পের মাধ্যমে তিন হাজার ১৪৫ জনের বেশি রোগীর চোখ বিনা মূল্যে অপারেশন করা হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
কারাগারে মাথায় আঘাত, সাবেক এমপি লতিফ হাসপাতালে
বসুন্ধরা কিংস ফুটবল একাডেমির যাত্রা শুরু
ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯২৭
ডেঙ্গু কেড়ে নিল আরও ৮ জনের প্রাণ
বসুন্ধরার প্রতারণা, প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবাদিকদের স্মারকলিপি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Gone is the bullet ridden life of the student movement

চলে গেলেন ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ জীবন

চলে গেলেন ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ জীবন রমজান মিয়া জীবন। ছবি: সংগৃহীত
রমজান মিয়া জীবন পুরান ঢাকার আলুবাজারে স্যান্ডেল তৈরির একটি কারখানায় কাজ করতেন। ৫ আগস্ট গুলিস্তানে মাথায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকে ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে আইসিইউতে বুধবার বিকেলে মারা যান তিনি।

কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত রমজান মিয়া জীবন মারা গেছেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বিকেল ৩টার দিকে মারা যান তিনি।

জীবন পুরান ঢাকার বংশালের আলুবাজার এলাকায় স্যান্ডেল তৈরির একটি কারখানার শ্রমিক ছিলেন।

জীবনের চাচা মোহাম্মদ রোমান মিয়া বলেন, ‘আমাদের বাড়ি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার দিলালপুর ইউনিয়নের পাঠানহাটি গ্রামে। ওর বাবার নাম মোহাম্মদ জামাল মিয়া। ভাই-ভাবী পরিবার নিয়ে মিরপুরের লালমাটি এলাকায় থাকেন। তিন বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে জীবন ছিল তৃতীয়। ওর স্ত্রী সাহারা খাতুন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ওর বাবা নর্দা এলাকার একটি বাসার নিরাপত্তা কর্মী।’

তিনি আরও বলেন, ‘জীবন বিএনপির কর্মী ছিল। ৫ আগস্ট মিরপুরের বাসায় যাওয়ার কথা বলে সকালে সে কারখানা থেকে বেরিয়ে আসে। পরে গুলিস্তানে আওয়ামী লীগ পার্টি অফিসের আশপাশের এলাকায় বেলা আনুমানিক ১১টার দিকে আহত হয় সে। পরে লোকজন তাকে রিকশায় ঢামেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।

‘সংবাদ শুনে ঢামেক হাসপাতালে এসে শতাধিক আহতের মাঝে ওকে খুঁজে পাই। শুনেছি ওর মাথায় গুলি লেগেছে। জ্ঞান ছিল না। আর জ্ঞান ফেরেনি। হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থেকে আজ ছেলেটা একেবারে চলেই গেল।’

আরও পড়ুন:
অভ্যুত্থানে নিহত প্রতিটি শিশুর পরিবার পাবে পঞ্চাশ হাজার টাকা
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে নিহত ১৫৮১, আহত ৩১ হাজার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Three more deaths from dengue in hospital 1033

ডেঙ্গুতে আরও তিন মৃত্যু, হাসপাতালে ১০৩৩

ডেঙ্গুতে আরও তিন মৃত্যু, হাসপাতালে ১০৩৩ ফাইল ছবি।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ১৯৬ জন। তাদের মধ্যে ৯৮ জন পুরুষ ও ৯৮ জন নারী। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯ হাজার ৮২২ জন।

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় দেশে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও এক হাজার ৩৩ জন ডেঙ্গু রোগী।

বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ১৯৬ জন। তাদের মধ্যে ৯৮ জন পুরুষ ও ৯৮ জন নারী। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯ হাজার ৮২২ জন।

বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে দুজন পুরুষ ও একজন নারী। এই সময়ে ৯৩৯ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।

আরও পড়ুন:
ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৯৮১
ডেঙ্গুতে আরও চারজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১২২৫
ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯২৭
ডেঙ্গু কেড়ে নিল আরও ৮ জনের প্রাণ
ডেঙ্গুতে আরও তিন মৃত্যু, হাসপাতালে ১১৪৪

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Former MP Latif hospital injured in prison

কারাগারে মাথায় আঘাত, সাবেক এমপি লতিফ হাসপাতালে

কারাগারে মাথায় আঘাত, সাবেক এমপি লতিফ হাসপাতালে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাবেক এমপি এম এ লতিফ। ছবি: সংগৃহীত
এম এ লতিফ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বাথরুমে পড়ে মাথায় আঘাত পান। তিনি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিউরোসার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন। পরীক্ষায় তার মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার আলামত ধরা পড়েছে।

চট্টগ্রাম-১১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ লতিফকে আহত অবস্থায় কারাগার থেকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি এম এ লতিফ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাথরুমে পড়ে মাথায় আঘাত পান। পরে তাকে চমেক হাসপাতালে আনা হয়। বর্তমানে তিনি নিউরোসার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন।

চমেক সূত্র জানায়, এম এ লতিফ মাথায় আঘাত পেয়েছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার মস্তিষ্কে জমাট বাঁধা রক্তের অস্তিত্ব ধরা পড়েছে। তবে বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত। চিকিৎসা চলছে।

চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিন খান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর সাবেক সংসদ সদস্য এম এ লতিফকে এখানে আনা হয়েছে। তিনি বাথরুমে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়েছেন। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তার মাথায় একটা সমস্যা পাওয়া গেছে। সমস্যাটা হলো ব্রেনে রক্ত জমাট বেঁধে গেছে, যেটাকে আমরা চিকিৎসা ভাষায় হেমাটোমা বলি। এছাড়া তিনি বাইপাসের রোগী। তিনি এখানে চিকিৎসাধীন আছেন।’

এ বিষয়ে কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মঞ্জুর হোসেন বলেন, ‘এম এ লতিফ অজু করতে গিয়ে বাথরুমে পড়ে মাথায় আঘাত পান। এই ঘটনাকে অন্যভাবে বলে গুজব রটানো হচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ১৬ আগস্ট রাতে চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী এলাকা থেকে এম এ লতিফকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এরশাদ নামে এক ব্যক্তি আহত হওয়ার ঘটনায় এম এ লতিফসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করা হয়। এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Five more people died of dengue in hospital 981

ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৯৮১

ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৯৮১
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ১৯৩ জন। তাদের মধ্যে ৯৬ জন পুরুষ ও ৯৭ জন নারী। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ৭৮৯ জন।

এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই মৃত্যুর পাশাপাশি ডেঙ্গ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯৮১ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে মঙ্গলবার দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়কালে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯৮১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ১৯৩ জন। তাদের মধ্যে ৯৬ জন পুরুষ ও ৯৭ জন নারী। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ৭৮৯ জন।

বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও দুজন নারী। এই সময়ে ৯৭১ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।

আরও পড়ুন:
ডেঙ্গুতে আরও চারজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১২২৫
ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯২৭
ডেঙ্গু কেড়ে নিল আরও ৮ জনের প্রাণ
ডেঙ্গুতে আরও তিন মৃত্যু, হাসপাতালে ১১৪৪
ডেঙ্গুতে মারা গেলেন আরও পাঁচজন, হাসপাতালে ১১৫২

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Nurses strike on one point demand causes suffering to patients

দাবি আদায়ে আবারও নার্সদের কর্মবিরতি, রোগীদের ভোগান্তি

দাবি আদায়ে আবারও নার্সদের কর্মবিরতি, রোগীদের ভোগান্তি নার্সদের কর্মবিরতিতে মঙ্গলবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীরা ভোগান্তিতে পড়েন। ছবি: নিউজবাংলা
নার্স ও মিডওয়াইফারি শিক্ষার্থীসহ চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এক দফা দাবিতে আগামীকাল বুধবার পাঁচ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করবেন। তবে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী এ সময় জরুরি বিভাগ, ইমারজেন্সি ওটি, ডায়ালাইসিস, আইসিইউ, সিসিইউ, পিআইসিইউ এবং এইচডিইউ এই কর্মবিরতি কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে।

দাবি আদায়ে ফের আন্দোলনে নেমেছেন নার্স ও মিডওয়াইফারি শিক্ষার্থীসহ চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে করে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীরাসহ চিকিৎসা সেবা নিতে আসা মুমুর্ষু রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।

এক দফা দাবিতে মঙ্গলবার চার ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছেন তারা। লাগাতার কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামীকাল বুধবার তারা এক ঘণ্টা বাড়িয়ে পাঁচ ঘণ্টা কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।

মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ঢাকা মেডিক‍্যাল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতাল, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা।

দাবি আদায়ে আবারও নার্সদের কর্মবিরতি, রোগীদের ভোগান্তি

নার্স ও মিডওয়াইফারি শিক্ষার্থীসহ চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আগামীকাল বুধবার পাঁচ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করবেন।

তবে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী এ সময় জরুরি বিভাগ, ইমারজেন্সি ওটি, ডায়ালাইসিস, আইসিইউ, সিসিইউ, পিআইসিইউ এবং এইচডিইউ এই কর্মবিরতি কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে।

নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সংস্কার পরিষদের আহ্বায়ক ডা. মো. শরিফুল ইসলাম মঙ্গলবার নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে এক দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছি। আমাদের দাবি হলো- নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল থেকে সব ক্যাডার প্রত্যাহার করে অধিদপ্তরে মহাপরিচালক, পরিচালক, কাউন্সিলে প্রেসিডেন্ট ও রেজিস্ট্রার পদে যোগ্য ও অভিজ্ঞ নার্সদের পদায়ন করতে হবে।’

দাবি আদায়ে আবারও নার্সদের কর্মবিরতি, রোগীদের ভোগান্তি

শরিফুল ইসলাম বলেন, দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ৯ সেপ্টেম্বর থেকে নার্স ও মিডওয়াইফ শিক্ষার্থীরা রোগীর সেবা অক্ষুণ্ন রেখে পরিষদ ঘোষিত বিভিন্ন কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করে আসছি। ইতোমধ্যে আমরা আমাদের দাবির বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি।

‘আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্যে ছিল পতাকা মিছিল, সংবাদ সম্মেলন, প্রতীকী কর্মবিরতি, লাল ব্যাজ ধারণ ও তিন ঘণ্টার কর্মবিরতি। ওইদিনের কর্মবিরতি চলাকালে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার আশ্বাসে আমরা পরবর্তী কর্মবিরতি প্রত্যাহার করি।

‘উপদেষ্টা বলেছিলেন আমাদের দাবিগুলো মেনে নেবেন। এর ধারাবাহিকতায় নার্সেস কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার পদে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সাময়িকভাবে একজন অবসরপ্রাপ্ত নার্সকে পদায়ন করে, যা আমাদের এক দফা দাবির একটি অংশ মাত্র।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি অনুযায়ী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (উপ-সচিব, প্রশাসন) মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনকে অধিদপ্তর থেকে প্রত্যাহার করে মহাপরিচালক পদে এখনও যোগ্য ও অভিজ্ঞ নার্স পদায়ন করা হয়নি। তাই আমরা আজ এক দফা দাবি পূরণে সংস্কার পরিষদ ঘোষিত কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছি।’

আরও পড়ুন:
হাসপাতালগুলোতে বুধবার থেকে স্বাভাবিক চিকিৎসাসেবা চলবে
ঢামেক আউটডোর কাল থেকে সীমিত পরিসরে চালু
ঢামেকে বহির্বিভাগ বন্ধ থাকায় জরুরি বিভাগে রোগীর চাপ
শর্তসাপেক্ষে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি ২৪ ঘণ্টার জন্য স্থগিত
চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, দুর্ভোগে রোগী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two Americans won the Nobel Prize in Medicine

চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পেলেন দুই আমেরিকান

চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পেলেন দুই আমেরিকান বিজ্ঞানী ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রাভকুন। ছবি: সংগৃহীত
মাইক্রোআরএনএ আবিষ্কার ও জিন নিয়ন্ত্রণে এর ট্রান্সক্রিপশন-পরবর্তী ভূমিকাবিষয়ক গবেষণার জন্য তাদেরকে এই পুরস্কার দেয়া হয়েছে। বিজ্ঞানী ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রাভকুনের এই আবিষ্কার কোনো প্রাণীর দেহ গঠন ও কীভাবে কাজ করে তা বুঝতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

চলতি বছর চিকিৎসাবিজ্ঞান ও শারীরতত্ত্বে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন বিজ্ঞানী ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রাভকুন। দুজনই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।

মাইক্রোআরএনএ আবিষ্কার ও জিন নিয়ন্ত্রণে এর ট্রান্সক্রিপশন-পরবর্তী ভূমিকাবিষয়ক গবেষণার জন্য তাদেরকে এই পুরস্কার দেয়া হয়েছে। এই আবিষ্কার কোনো প্রাণীর দেহ গঠন ও কীভাবে কাজ করে তা বুঝতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

বাংলাদেশ সময় সোমবার বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে সুইডেনের স্টকহোমে এ বছরের চিকিৎসাবিজ্ঞান ও শারীরতত্ত্বে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে দ্য রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অফ সায়েন্সেস।

ভিক্টর অ্যাবব্রোস ১৯৫৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৯ সালে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

এছাড়া ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত একই প্রতিষ্ঠানে পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা করেন। ১৯৮৫ সালে তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যামব্রিজ, ম্যাসাচুয়েটসের প্রধান গবেষক হন। বর্তমানে তিনি ম্যাসাচুসেটস মেডিক্যাল স্কুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যাচারাল সায়েন্সের প্রফেসর হিসেবে কাজ করছেন।

নোবেল জয়ী গ্যারি রাভকুন ১৯৫২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮২ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন। তিনি ১৯৮৫ সালে ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতাল এবং হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের প্রধান গবেষক হন। বর্তমানে তিনি এখানেই জেনেটিকসের প্রফেসর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

চিকিৎসাশাস্ত্রে গত বছর নোবেল পুরস্কার জিতেছিলেন ক্যাথলিন কারিকো ও ড্রিউ ওয়েইসম্যান। এমআরএন করোনা টিকা আবিষ্কারের জন্য তাদেরকে পুরস্কার দেয়া হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার ‘নোবেল’, যা ১৯০১ সাল থেকে দেয়া হয়ে আসছে। এ পুরস্কারটির নামকরণ করা হয়েছে সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নামানুসারে।

উনবিংশ শতকে এই বিজ্ঞানী শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিনামাইট আবিষ্কার করে বিপুল অর্থের মালিক হন। তিনি উইল করে যান যে তার যাবতীয় অর্থ থেকে যেন প্রতি বছর পদার্থ, রসায়ন, চিকিৎসা, শান্তি ও সাহিত্য এই পাঁচটি খাতে বিশেষ অবদান রাখা ব্যক্তিদের পুরস্কার দেয়া হয়। ১৯৬৯ সাল থেকে এই পাঁচ বিভাগের সঙ্গে যুক্ত হয় অর্থনীতিও।

আরও পড়ুন:
রসায়ন পরীক্ষায় ফেল করা ছেলেটিই পেল রসায়নে নোবেল
সাহিত্যে নোবেল পেলেন নরওয়ের লেখক জন ফসে
ন্যানোটেকনোলজি নিয়ে গবেষণায় রসায়নে নোবেল পেলেন তিনজন
পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন ৩ বিজ্ঞানী
করোনার টিকা উদ্ভাবনে ভূমিকায় চিকিৎসায় নোবেল পেলেন দুই গবেষক

মন্তব্য

p
উপরে