× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Chief Adviser on marching orders to implement reform programmes  
google_news print-icon

সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণ বাস্তবায়নে ‘মার্চিং অর্ডার’ প্রধান উপদেষ্টার  

সংস্কার-কর্মসূচি-গ্রহণ-বাস্তবায়নে-মার্চিং-অর্ডার-প্রধান-উপদেষ্টার  
নিজ কার্যালয়ে বুধবার অনুষ্ঠিত সচিব সভায় প্রধান উপদেষ্টা বিভিন্ন নির্দেশনা দেন। ছবি: পিআইডি
ড. ইউনূস বলেন, ‘সৃষ্টিশীল, নাগরিকবান্ধব মানসিকতা নিয়ে প্রতিটি মন্ত্রণালয়, বিভাগ, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার কর্মসূচির কর্মপরিকল্পনা দাখিল করবে, যা নিয়মিত মূল্যায়ন ও পরিবীক্ষণ করা হবে।’

সরকারের সব পর্যায়ে সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নে ‘মার্চিং অর্ডার’ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বরত সচিবদের সরকারি অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার নিদের্শনাও দিয়েছেন তিনি

নিজ কার্যালয়ে বুধবার অনুষ্ঠিত সচিব সভায় প্রধান উপদেষ্টা এসব নির্দেশনা দেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “সরকারের সব পর্যায়ে সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নে ‘মার্চিং অর্ডার’ প্রদান করতে হবে। সংস্কার কর্মসূচি প্রণয়নে প্রয়োজন অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা ও মতামত গ্রহণ করতে হবে। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা বৈষম্যহীন মানবিক দেশ গড়ার যে প্রত্যয়, যে ভয়হীন চিত্ত আমাদের উপহার দিয়েছে, তার ওপর দাঁড়িয়ে বিবেক ও ন্যায়বোধে উজ্জীবিত হয়ে আমাদের স্ব স্ব ক্ষেত্রে সততা, নিষ্ঠা, জবাবদিহিতা নিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে।

“নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য গৎবাঁধা চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে এসে, চিন্তার সংস্কার করে, সৃজনশীল উপায়ে জনস্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সরকারি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।”

দুর্নীতির মূলোৎপাটন করার নিদের্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘সেবা সহজিকরণের মাধ্যমে জনগণের সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে। সরকারি অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

‘সরকারি ক্রয়ে যথার্থ প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করতে হবে।’

ড. ইউনূস বলেন, ‘সৃষ্টিশীল, নাগরিকবান্ধব মানসিকতা নিয়ে প্রতিটি মন্ত্রণালয়, বিভাগ, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার কর্মসূচির কর্মপরিকল্পনা দাখিল করবে, যা নিয়মিত মূল্যায়ন ও পরিবীক্ষণ করা হবে।

‘ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সৃষ্ট নতুন বাংলাদেশ নিয়ে বিশ্বব্যাপী যে আগ্রহ, ইতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে, দেশের স্বার্থে তা সর্বোত্তম উপায়ে কাজে লাগাতে হবে।’

আরও পড়ুন:
জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অফিস শুরু করেছেন ড. ইউনূস
জনমুখী পুলিশ গড়তে কাজ করছে সরকার: রিজওয়ানা
শেখ হাসিনাকে ফেরত চাইতে পারে বাংলাদেশ
অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের দাবি নির্বাচনের সময়সীমা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Damage in recent floods is Tk 14 thousand 269 crores

সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতি ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি টাকা

সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতি ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি টাকা বন্যাকবলিত এলাকার ফাইল ছবি।
উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হয়েছে। কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত ছাড়াও বন্যাকবলিত অঞ্চলের বসতবাড়ি, অবকাঠামো এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীরবিক্রম জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক বন্যায় ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি টাকা সমমূল্যের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের এ তথ্য জানান তিনি।

ফারুক-ই-আজম বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হয়েছে। কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত ছাড়াও বন্যাকবলিত অঞ্চলের বসতবাড়ি, অবকাঠামো এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

বন্যা উপদ্রুত এলাকায় ইতোমধ্যে পুনর্বাসন কর্মসূচি শুরু হয়েছে বলেও জানান উপদেষ্টা।

আরও পড়ুন:
বন্যা: কুমিল্লায় প্রায় এক হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ফেনী নোয়াখালীর ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ: অক্সফ্যাম
বন্যায় ফেনী-নোয়াখালীর ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
বন্যা: ফেনীতে মৃত বেড়ে ২৮
বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৫৯, ক্ষতিগ্রস্ত ৫৪ লাখের বেশি মানুষ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The World Bank has pledged two billion dollars in aid to Bangladesh

বাংলাদেশকে দুই বিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি বিশ্বব্যাংকের

বাংলাদেশকে দুই বিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি বিশ্বব্যাংকের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাক্ষাৎ করেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক। ছবি: পিআইডি
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশের সংস্কারে অর্থায়নের জন্য ব্যাংকের শিথিলতা প্রয়োজন এবং ১৫ বছরের চরম অপশাসনের পর নতুন যাত্রায় সহায়তা করতে হবে। এই ভগ্নদশা থেকে আমাদের নতুন কাঠামো তৈরি করতে হবে। শিক্ষার্থীদের স্বপ্নের দিকে নজর দিতে হবে।’

বাংলাদেশকে ঋণ বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক। তিনি বলেছেন, ‘জরুরি সংস্কার, বন্যা মোকাবিলা, উন্নত বায়ুর মান এবং স্বাস্থ্যের জন্য চলতি অর্থবছরে বিশ্বব্যাংক প্রায় দুই বিলিয়ন ডলার নতুন অর্থায়ন করতে পারে।’

মঙ্গলবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি নতুন এই সহায়তার কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার এজেন্ডায় সহায়তা করার জন্য চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশকে ঋণ বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

‘ব্যাংকটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক প্রয়োজনে সহায়তা করবে। আমরা আপনাকে যত তাড়াতাড়ি এবং যত বেশি সম্ভব সমর্থন করতে চাই।’

বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, ‘নতুন প্রতিশ্রুতি ছাড়াও বাংলাদেশের সব উন্নয়ন সহযোগীকে প্রধান উপদেষ্টার সহায়তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করে বহুপাক্ষিক ঋণদাতা সংস্থাটি বিদ্যমান প্রোগ্রামগুলোতে আরও প্রায় এক বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত দেবে কি না তা পুনর্বিবেচনা করবে।’

সেক বলেন, ‘বিদ্যমান প্রকল্পগুলোতে অর্থায়নের ক্ষেত্রে পুনর্বিবেচনা হলে চলতি অর্থবছরে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে সহজ শর্তে যে ঋণ ও অনুদান দেবে তার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার।

বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি চিফ বলেন, ‘সংস্কারগুলো সম্পন্ন হওয়া বাংলাদেশ এবং প্রতি বছর শ্রমবাজারে যোগ দেয়া ২০ লাখ মানুষসহ তরুণ জনগোষ্ঠীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

প্রধান উপদেষ্টা বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি হেডকে বলেন, ‘বাংলাদেশের সংস্কারে অর্থায়নের জন্য ব্যাংকের শিথিলতা প্রয়োজন এবং ১৫ বছরের চরম অপশাসনের পর নতুন যাত্রায় সহায়তা করতে হবে।

‘এই ভগ্নদশা থেকে আমাদের নতুন কাঠামো তৈরি করতে হবে। শিক্ষার্থীদের স্বপ্নের দিকে নজর দিতে হবে। আমাদের সাহায্য করুন। আমাদের অংশ হোন।’

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, শেখ হাসিনার ১৫ বছরের দীর্ঘ স্বৈরশাসনের সময় দুর্নীতিবাজদের বাংলাদেশ থেকে চুরি করা কোটি কোটি ডলারের সম্পদ পুনরুদ্ধারে বিশ্বব্যাংককে কারিগরি সহায়তা দেয়ার আহ্বান জানান অধ্যাপক ইউনূস।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘চুরি যাওয়া সম্পদ ফিরিয়ে আনার প্রযুক্তি আপনাদের আছে। দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে বাংলাদেশেরও বিশ্বব্যাংকের দক্ষতার প্রয়োজন হবে।’

বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি চিফ চুরি যাওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে সম্মত হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাকে সাহায্য করতে পেরে খুশি।’

তিনি বলেন, ‘ব্যাংকটি বাংলাদেশকে ডেটা স্বচ্ছতা, ডেটা সম্পূর্ণতা, কর সংগ্রহে ডিজিটালাইজেশন এবং আর্থিক খাতের সংস্কারেও সহায়তা করতে চায়।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশ তার প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঠিক করা এবং বড় ধরনের সংস্কার করার এই সুযোগ হারাতে পারে না। এই সুযোগ একবার হারিয়ে গেলে আর ফিরে আসবে না।’

আবদৌলায়ে সেক বলেন, ‘ঢাকার দেয়ালে তরুণদের আঁকা দেয়ালচিত্র ও ম্যুরাল দেখে আমি মুগ্ধ। আমার ৩০ বছরের ক্যারিয়ারে এমন দৃশ্য কোথাও দেখিনি।’

আরও পড়ুন:
মাজারে হামলাকারীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে: প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়
আইএলও কনভেনশনে স্বাক্ষর ছাড়া এগোনো কষ্টকর হবে
স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়তে আসুন একযোগে কাজ করি
ক্রিকেটারদের অভিনন্দন জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠিত গুম-সংস্কৃতির সমাপ্তি ঘটাতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ: ড. ইউনূস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Drug godfathers must be caught Home Advisor

মাদকের গডফাদারদের ধরতে হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মাদকের গডফাদারদের ধরতে হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মঙ্গলবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: বাসস
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘শুধু বাহক নয়, মাদকের সঙ্গে জড়িত বড় বড় গডফাদারদের ধরতে হবে। চলমান যৌথ অভিযানে এ কার্যক্রম জোরদার করতে হবে এবং দৈনিক অগ্রগতির রিপোর্ট প্রদান করতে হবে।’

মাদকের গডফাদারদের ধরে আইনের আওতায় আনার জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘যেভাবেই হোক মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মঙ্গলবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ওই নির্দেশনা দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

তিনি আরও বলেন, ‘শুধু বাহক নয়, মাদকের সঙ্গে জড়িত বড় বড় গডফাদারদের ধরতে হবে। চলমান যৌথ অভিযানে এ কার্যক্রম জোরদার করতে হবে এবং দৈনিক অগ্রগতির রিপোর্ট প্রদান করতে হবে।’

এ বিষয়ে সাফল্যের ওপর নির্ভর করে অধিদপ্তরের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দুর্নীতি না কমাতে পারলে এ সরকারের সাফল্য আসবে না।

তিনি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘুষ, দুর্নীতি থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানান।

উপদেষ্টা বলেন, ‘মাদক ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংসের মাধ্যমে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনে। তাই মাদক নির্মূলে অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানসিকতার পরিবর্তন করে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। যেভাবেই হোক মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’

তিনি বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের অস্ত্র দেয়ার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

যেসব অভিযান পরিচালনার সময় হামলার আশঙ্কা রযেছে, সেখানে পুলিশসহ অভিযান পরিচালনার জন্য তিনি পরামর্শ দেন।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মশিউর রহমান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্টরা।

আরও পড়ুন:
পটুয়াখালীতে ৯ হাজার লিটার অবৈধ চীনা বিয়ার জব্দ, আটক ৩
মাদক সেবন: ছাত্রলীগ নেতাসহ ২ যুবকের দুই দিনের সাজা
মাদক মামলায় ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তার যাবজ্জীবন
চিত্রাঙ্কনের মাধ্যমে মাদকের প্রতিবাদ
মদের দোকানে ‘৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি’, মাদকের ডিডি অবরুদ্ধ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Germany will give 100 million Euros to Bangladesh
নবায়নযোগ্য জ্বালানি

বাংলাদেশকে ১০০ কোটি ইউরো সহায়তা দেবে জার্মানি


বাংলাদেশকে ১০০ কোটি ইউরো সহায়তা দেবে জার্মানি বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টারের সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠক করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ছবি: বাসস
উপদেষ্টা জানান, চলতি বছর ১৫ মিলিয়ন (দেড় কোটি) ইউরো পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন তিনি।

নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে সহযোগিতা করতে জার্মানি আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশকে ১ বিলিয়ন (১০০ কোটি) ইউরো দেবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

উপদেষ্টা জানান, চলতি বছর ১৫ মিলিয়ন (দেড় কোটি) ইউরো পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন তিনি।

বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টারের সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠক শেষে উপদেষ্টা এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘এ খাতে উভয় দেশই বেসরকারি খাত, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, অ্যাকাডেমিয়া ও সুশীল সমাজের মতো নন স্টেট অ্যাক্টরদের সঙ্গে জ্ঞান বিনিময় এবং সহযোগিতার প্রচার করবে।’

সচিবালয়ে পরিবেশ উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘এ সহযোগিতায় ক্ষুদ্র জাতিগত সংখ্যালঘু, নারী এবং যুবকদেরও সম্পৃক্ত করা হবে, যা বহু স্টেকহোল্ডার পদ্ধতিকে উৎসাহিত করবে।’

উপদেষ্টা পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ে জার্মানির অব্যাহত সহায়তার জন্য রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বিশ্বব্যাপী জলবায়ু চ্যালেঞ্জ এবং টেকসই বন ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

রাষ্ট্রদূত ট্রস্টার জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের সমর্থনে জার্মানির প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন এবং পরিবেশ রক্ষায় সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।

তিনি নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে জার্মানির দক্ষতার কথাও তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের সবুজ জ্বালানি উদ্যোগকে সমর্থন করার জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তার প্রস্তাব দেন।

বৈঠকে উভয় পক্ষ নদী পরিষ্কার, পরিবেশ সুরক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করেন।

আলোচনায় টেকসই উন্নয়ন প্রকল্প, সবুজ প্রযুক্তি গ্রহণ, পরিবেশ ও জলবায়ু সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্ভাব্য সহযোগিতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

বৈঠকে প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং পরিবেশগত স্থায়িত্ব প্রকল্পে সহযোগিতার জন্য আরও উপায় অন্বেষণ করার জন্য একটি চুক্তি হয়।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বিস্তৃত আলোচনা অর্থবহ সম্পর্কের ভিত্তি
দেশ পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি দলের বৈঠক
অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি-উন্নয়নে সহযোগিতা পুনর্ব্যক্ত যুক্তরাষ্ট্রের
বাংলাদেশের জন্য সহজ হবে না ভারত সিরিজ: গাঙ্গুলী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Death of senior journalist Ajmal Hossain Khadem

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আজমল হোসেন খাদেমের মৃত্যু

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আজমল হোসেন খাদেমের মৃত্যু আজমল হোসেন খাদেম ডিআরইউর সাবেক সভাপতি ছিলেন। ছবি: ফেসবুক
আজমল হোসেন খাদেমের মৃত্যুতে ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ এবং সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন গভীর শোক প্রকাশ করেন।

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আজমল হোসেন খাদেমের মৃত্যু হয়েছে।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাবেক সভাপতি সোমবার রাত পৌনে একটার দিকে প্রাণ হারান।

রাজধানীর বনানী মসজিদ প্রাঙ্গণে মঙ্গলবার জোহরের নামাজের পর জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তার দাফন হওয়ার কথা রয়েছে।

আজমল হোসেন খাদেমের মৃত্যুতে ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ এবং সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন গভীর শোক প্রকাশ করেন।

আরও পড়ুন:
লুতু মিয়াকে পিষে মারলো বন্যহাতি
সাবেক এমপি আব্দুল মালেক মারা গেছেন
চট্টগ্রামে শিপইয়ার্ডে বিস্ফোরণ: দগ্ধ একজনের মৃত্যু
সাপের ছোবলে প্রাণ গেল দুই স্কুল শিক্ষার্থীর
চিকিৎসার জন্য ছুটি মেলেনি, অফিসে যাওয়ার পথেই ‘চিরদিনের ছুটি’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The countrys crisis is not constitutional but political Farhad Mazhar

দেশের সংকট সাংবিধানিক নয়, রাজনৈতিক: ফরহাদ মজহার

দেশের সংকট সাংবিধানিক নয়, রাজনৈতিক: ফরহাদ মজহার সোমবার মহাখালীতে ‘সংস্কার ও নির্বাচন: নাগরিক ও রাজনৈতিক ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন ফরহাদ মজহার। ছবি: সংগৃহীত
নৈতিক সমাজের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) আ ম স আ আমিন বলেন, ‘নির্বাচনের আগেই সংস্কার। তার মধ্যে রাজনীতি সংস্কারও আমরা ধরেছি। কোনো সরকারই সব সংস্কার করে যেতে পারবে না। কিন্তু আমরা চাই তারা যেন ভিত্তিটা তৈরি করে দিয়ে যায়।’

বিভিন্ন মহল থেকে দেশে যে সাংবিধানিক শূন্যতার কথা বলা হচ্ছে তা ভুয়া বলে মন্তব্য করেছেন কবি ও সাহিত্যিক ফরহাদ মজহার। তিনি বলেছেন, দেশের সংকট সাংবিধানিক নয়; রাজনৈতিক।

সোমবার মহাখালীতে ‘সংস্কার ও নির্বাচন: নাগরিক ও রাজনৈতিক ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ফরহাদ মজহার এমনটা দাবি করেন। এই সভার আয়োজন করে ‘সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ও নৈতিক সমাজ’।

ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আমরা সবাই অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে। আপনারা সাংবিধানিক শূন্যতার যে ধুয়া দিচ্ছেন তা ভুয়া। আমাদের দেশের সংকট সাংবিধানিক নয়। আমাদের সংকট রাজনৈতিক। আমরা রাষ্ট্র গঠন করতে পারিনি। এজন্য এই দুরবস্থা। এর মধ্যে সংবিধানের কোনো ব্যাপার নেই।’

তিনি বলেন, ‘১৯৭২ সালে ইন্ডিয়ার প্রভাবে আমাদের রাষ্ট্র গঠনই করতে দেয়া হয়নি। আমাদের সামনে ৬ দফা ছিলো। কিন্তু সেখান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা, বাঙালি জাতীয়তাবাদ ঢুকিয়ে দেয়া হলো। সেগুলো তো ছয় দফায় ছিলো না।

‘ধর্মীয় নিরপেক্ষতার প্রবেশ মানেই ইসলামবিরোধী রাজনীতি। গণতন্ত্র মানেই ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতি। তাহলে ধর্মীয় নিরপেক্ষতা বলার দরকার নেই।’

নৈতিক সমাজের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) আ ম স আ আমিন বলেন, ‘নির্বাচনের আগেই সংস্কার। তার মধ্যে রাজনীতি সংস্কারও আমরা ধরেছি। কোনো সরকারই সব সংস্কার করে যেতে পারবে না। কিন্তু আমরা চাই তারা যেন ভিত্তিটা তৈরি করে দিয়ে যায়।

‘এই সংস্কারের সঙ্গে আপামর জনগণকে আমাদের ঐকমত্যে নিয়ে আসতে হবে, যেন ১০-১৫ বছর সময় লাগলেও ফলপ্রসূ হয় এই আত্মত্যাগ।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, ‘১৯৭২-১৯৭৫ এর সরকারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ ছিলো দুর্নীতি। জিয়াউর রহমান আসার পর দুর্নীতি নিয়ে এমনভাবে প্রচার করা হলো যেখানে মসজিদের ইমাম থেকে শুরু করে সবাই খারাপ, শুধু জিয়াউর রহমান ভাল।’

তিনি বিশেষ পরিস্থিতিতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল করে অতি অল্প সময়ের মধ্যে বিচারের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান।

সুপ্রিম কোর্টের সাবেক রেজিস্ট্রার ইকতেদার আহমেদ বলেন, ‘সংবিধান নতুনভাবে প্রণয়ন করতে চাইলে গণপরিষদ গঠন করতে হবে। কাদের সমন্বয়ে গঠন হবে খোলাসা করতে না পারলে এ সমস্যা নিরোধ হবে না। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে আলোচনা করে এ সমস্যার সমাধান করুন।’

সাবেক সচিব কাসেম মাসুম বলেন, ‘আমাদের স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। সেজন্য আমাদের আগে সংস্কার করে পরে নির্বাচন করতে হবে।’

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ‘অনেকেই বলছেন যে পুরনোরা বাদ, আমরা নতুন নেতৃত্ব পেয়ে গেছি। এভাবে রাষ্ট্র সংস্কার সম্ভব? যাদের ওপর জনগণ আস্থা রেখেছিল তারা তো ইতোমধ্যে বিতর্কিত হয়ে গেছে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The National Committee has asked for information on the electricity indemnity agreement

বিদ্যুৎ খাতে ‘ইনডেমনিটি’ চুক্তির তথ্য চেয়েছে জাতীয় কমিটি

বিদ্যুৎ খাতে ‘ইনডেমনিটি’ চুক্তির তথ্য চেয়েছে জাতীয় কমিটি সোমবার ডেসকোর বোর্ডরুমে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
কমিটির আহ্বায়ক বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বিশেষ বিধানের আওতায় চুক্তিবদ্ধ দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে তথ্য দিতে হবে। এক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় ও পিডিবির কাছে থাকা তথ্য আগামী সাত দিনের মধ্যে জাতীয় কমিটির কাছে জমা দিতে হবে।

বিদ্যুৎ খাতে ‘ইনডেমনিটি’ দিয়ে সম্পাদিত চুক্তিগুলোর বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে এ সংক্রান্ত বিষয়সমূহ পর্যালোচনার লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় কমিটি।

ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) বোর্ড রুমে সোমবার কমিটির আহ্বায়ক বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এ তথ্য জানান। এর আগে এই কমিটির সদস্যরা প্রথমবারের মতো বৈঠক করেন।

মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বিদ্যুৎ খাত সম্পর্কিত প্রতিটি বিষয়েই তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে সেগুলো যাচাই-বাছাই ও বিচার-বিশ্লেষণ করা হবে। পরে এই কমিটি সরকারের কাছে করণীয় বা সুপারিশ জমা দেবে। তবে এখন পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহের বিষয়টিই প্রথম কাজ হিসেবে হাতে নেয়া হয়েছে। বিশেষ বিধানের আওতায় চুক্তিবদ্ধ দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে তথ্য দিতে হবে। এক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় ও পিডিবির কাছে থাকা তথ্য আগামী সাত দিনের মধ্যে জাতীয় কমিটির কাছে জমা দিতে হবে।

কমিটির পরবর্তী বৈঠক আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি।

বৈঠকে কমিটির সদস্য বুয়েটের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক আবদুল হাসিব চৌধুরী, কেপিএমজি বাংলাদেশের সাবেক সিওও আলী আশফাক, ফেলো চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট (এফসিএ), বিশ্বব্যাংকের সাবেক লিড ইকোনমিস্ট অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন ও ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের ফ্যাকাল্টি অব ল’ অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের অর্থনীতির অধ্যাপক মোশতাক হোসেন খান উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ (সংশোধিত ২০২১)-এর অধীন সম্পাদিত চুক্তিসমূহ পর্যালোচনার লক্ষ্যে ৫ সেপ্টেম্বর পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়।

মন্তব্য

p
উপরে