বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি বাড়াতে সময় দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সচিবালয়ে বুধবার সভা শেষে এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘পুলিশের ইমেজ আস্তে আস্তে কিন্তু উন্নত হচ্ছে। আমার কাছে এ রকম কোনো কিছু নেই যে আমি এক দিনে সব উন্নতি করে ফেলব। এটা আস্তে আস্তে হবে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি তো এক দিনে এটা পারব না। সময় দিতে হবে। আস্তে আস্তে আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পদত্যাগের দাবিতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি করে ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে রয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগে এখন পর্যন্ত এ বাহিনীর বর্তমান ও সাবেক অনেক কর্মকর্তার নামে হত্যা মামলা হয়েছে। পলাতক রয়েছেন অনেক পুলিশ কর্মকর্তা।
রংধনু গ্রুপের পরিচালক মিজানুর রহমান মিজানকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।
মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে রাজধানীর ভাটারা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. ওবায়দুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘মিজানের বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলা রয়েছে। তবে কোন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে এ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।’
গ্রেপ্তারের পর মিজানকে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
মিজান চলতি বছরের এপ্রিলে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়ে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
রূপগঞ্জের এই সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে হতাহতের ঘটনায় একাধিক মামলার আসামি।
আরও পড়ুন:হয়রানি করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ঝালকাঠি সদর থানায় হওয়া মামলার আসামির তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার অভিযোগ করেছেন পৌরসভার সাবেক সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মোসাম্মৎ সীমা।
সকালে পৌর এলাকার নেছারাবাদে নিজ বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সীমা বলেন, ‘আমি একজন সাধারণ শান্তিপ্রিয় গৃহিণী। আমার স্বামী মো. সাইফুল ইসলাম একজন ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন যাবত আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত নই। ২০১৬ সালে ঝালকাঠি পৌরসভার সংরক্ষিত (৪, ৬ এবং ৭ নং ওয়ার্ড) নারী কাউন্সিলর পদে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হই।
‘২০২১ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে তৎকালীন আওয়ামী লীগের ক্যাডার বাহিনী কেন্দ্র দখল করে আমাকে নির্বাচিত হতে দেয়নি। সেই থেকে আমি স্বামী-সন্তান নিয়ে নিরিবিলি জীবনযাপন করতে থাকি। আমি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পাই বিগত ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবসের কর্মসূচি পালনকালে ঝালকাঠিতে বিএনপির মিছিলে হামলার অভিযোগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ৯৩ জন নেতা-কর্মীর নামে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হযেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল, ঝালকাঠি জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মোসাম্মৎ মুক্তা বেগম এ মামলাটির বাদী হয়েছেন, কিন্তু এই মামলায় আসামির তালিকায় আমার নাম দেয়া হয়েছে, যা শতভাগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়রানিমূলক এবং মিথ্যা অপবাদ। মামলার এজাহারে উল্লেখিত ঘটনার তারিখ ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারী। ওই সময় আমি আমার কন্যার বিবাহ নিয়ে বাড়িতে কাজে ব্যস্ত ছিলাম। ১৫ জানুয়ারি আমার কন্যাকে তুলে দিই। একই সাথে আমি আমার নতুন বাড়ি নির্মাণের কাজে ব্যস্ত সময় পার করি।’
উপস্থিত সংবাদকর্মীদের উদ্দেশে সাবেক কাউন্সিলর বলেন, ‘ওই মিছিলে হামলার ঘটনায় আমি মোটেও জড়িত ছিলাম না। আমি ২০২১ সালে কাউন্সিলর পদে পরাজিত হওয়ার পর সকল ধরনের দলীয় কর্সসূচি থেকে নিজেকে বিরত রাখি, কিন্তু অতি দুঃখের বিষয় ঝালকাঠি আমতলা রোডস্থ আবদুল কুদ্দুস হাওলাদার লেলিনের স্ত্রী শারমীন লেলিন মুক্তা সদর থানায় যে মামলা দায়ের করেছেন, সেটিতে আমাকে প্রতিহিংসা বশবর্তী হয়ে একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে উদ্দেশ্যমূলকভাবে অসত্য তথ্য দিয়ে হয়রানির করার জন্য আমাকে ৭৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মামলার বাদী আমাকে চেনেন না এবং আমিও তাকে চিনি না। তার সাথে আমার কোনো পূর্ব পরিচয় বা শত্রুতা নাই। আমি এ ধরনের মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
‘সত্য সমাগত ও মিথ্যা অপসারিত; আজ বা কাল প্রতীয়মান হবেই হবে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে সাময়িক ভোগান্তিতে ফেললেও প্রশাসনের সঠিক তদন্তে সত্য একদিন উম্মোচিত হবে বলে আমি আশা রাখি।’
আরও পড়ুন:মাদকের গডফাদারদের ধরে আইনের আওতায় আনার জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘যেভাবেই হোক মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মঙ্গলবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ওই নির্দেশনা দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু বাহক নয়, মাদকের সঙ্গে জড়িত বড় বড় গডফাদারদের ধরতে হবে। চলমান যৌথ অভিযানে এ কার্যক্রম জোরদার করতে হবে এবং দৈনিক অগ্রগতির রিপোর্ট প্রদান করতে হবে।’
এ বিষয়ে সাফল্যের ওপর নির্ভর করে অধিদপ্তরের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দুর্নীতি না কমাতে পারলে এ সরকারের সাফল্য আসবে না।
তিনি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘুষ, দুর্নীতি থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা বলেন, ‘মাদক ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংসের মাধ্যমে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনে। তাই মাদক নির্মূলে অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানসিকতার পরিবর্তন করে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। যেভাবেই হোক মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’
তিনি বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের অস্ত্র দেয়ার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
যেসব অভিযান পরিচালনার সময় হামলার আশঙ্কা রযেছে, সেখানে পুলিশসহ অভিযান পরিচালনার জন্য তিনি পরামর্শ দেন।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মশিউর রহমান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন:বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ইমরান হাসান নামের এক ছাত্রকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় সাবেক রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত।
সুজনকে মঙ্গলবার আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক শাহ আলম মিয়া।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন রেজা উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে সুজনকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।
রাজধানীর শ্যামলী এলাকা থেকে সোমবার সুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানাধীন এলাকায় গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও পুলিশ বাহিনীর নির্বিচার গুলিতে ইমরান হাসান গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
এ ঘটনায় গত ১ সেপ্টেম্বর নিহতের মা কোহিনুর আক্তার বাদী হয়ে শেখ হাসিনাসহ ২৯৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
আরও পড়ুন:সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় জামিন পেয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, তবে অন্য মামলা থাকায় কারাগারেই থাকতে হচ্ছে তাকে।
মানিককে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আদালতে তুলে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেয়।
অন্যদিকে মানিকের আইনজীবী আদালতে এ মামলায় জামিন আবেদন করলে সেটি মঞ্জুর করে আদালত, তবে তার নামে অন্য মামলা থাকায় সিলেট কারাগারেই রাখা হচ্ছে তাকে। পরবর্তী সময়ে তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হবে।
সিলেট সদর কোর্ট ইন্সপেক্টর মো. জমশেদ আলী জানান, সকাল ৯টার দিকে কড়া নিরাপত্তায় সাবেক বিচারক শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে আদালতে আনা হয়।
গত ২৩ আগস্ট রাতে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় কয়েকজন যুবকের সহায়তায় একটি জঙ্গল থেকে শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পরের দিন সকালে তাকে কানাইঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়।
৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ওই দিন বিকালে আদালতে হাজির করলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আলমগীর হোসাইন। পরে পাসপোর্ট আইনে মানিকের নামে কানাইঘাট থানায় মামলা করা হয়। ১৭ সেপ্টেম্বর কানাইঘাটের মামলায় মানিকের আদালতে হাজিরার দিন ঠিক করেছিলেন আদালত।
গত ২৪ আগস্ট আদালতে নেয়ার সময় বিচারক মানিককে মারধর করে বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পর সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার শরীরে অস্ত্রোপচার করা হয়।
দীর্ঘ সময় ধরে হার্টের সমস্যার পাশাপাশি ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছিলেন শামসুদ্দিন মানিক। ১০ বছর আগে বাইপাস সার্জারি করিয়েছিলেন তিনি।
ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় ১২ সেপ্টেম্বর মানিককে হাসপাতাল থেকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়।
আরও পড়ুন:রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসানকে কক্সবাজারের টেকনাফ থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন চৌধুরী জানান, সোমবার বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের উপপরিদর্শক মো. জয়নাল হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে ইমাম হাসান তাইমকে গুলি করে হত্যা মামলার আসামি যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান। টেকনাফে অবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করে জেলা পুলিশের হেফাজতে আনা হয়।
পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও জানান, বিষয়টি ঢাকায় সংশ্লিষ্ট থানাকে অবিহত করা হয়েছে। সেখান থেকে পুলিশের একটি দল কক্সবাজারে আসছে। তারাই আবুল হাসানকে ঢাকা নিয়ে যাবে।
নিহত তাইম নারায়ণগঞ্জ সরকারি আদমজী নগর এম. ডব্লিউ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
গত ২০ আগস্ট নিহত তাইমের মা পারভীন আক্তার ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনসহ ৫ জনের নামে এ মামলা করেন।
মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন পুলিশের এডিসি শাকিল মোহাম্মদ শামীম ও এসি তানজিল আহমেদ।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ২০ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সরকার কারফিউ জারি করে। ওই দিন দুপুর ১২টা থেকে দুইটা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল ছিল। ওই সময় তাইম তার দুই বন্ধুর সাথে যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় চা পান করতে যান। সে সময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ করছিলেন।
বিক্ষোভের সময় ডিসি ইকবাল হোসেন, শামীম ও তানজিল আহমেদের নির্দেশে জাকির হোসেন ও তার সঙ্গীরা বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ার গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট ও গুলি ছোড়েন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, প্রাণ ভয়ে আন্দোলনকারীরা এলোপাতাড়ি ছোটাছুটি করতে থাকেন। তাইম ও তার দুই বন্ধু লিটন চা স্টোরের ভেতর ঢুকে দোকানের শাটার টেনে দেন, কিন্তু শাটারের নিচের দিকে আধা হাত খোলা ছিল। সেখানে অবস্থানকারীদের পুলিশ টেনে বের করেন।
গুলি থেকে বাঁচতে চাইলে দৌড় দিতে বলেন জাকির হোসেন। তখন তাইম সবার আগে দৌড় দেন। জাকির গুলি করেন। বিনা চিকিৎসায় সেখানেই মৃত্যু হয় তাইমের।
আরও পড়ুন:যুবক ফজলুকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে রাজধানীর ভাষানটেক থানায় হওয়া মামলায় দৈনিক ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্তকে মঙ্গলবার সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছে আদালত।
শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. ছানাউল্ল্যাহর আদালতে এ আদেশ দেন।
এর আগে শ্যামল দত্তকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক মো. সাহিদুল বিশ্বাস ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। ওই সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নাকচ করে রিমান্ডের আদেশ দেয়।
এর আগে সোমবার ভোর ছয়টার দিকে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ও পোড়াকান্দুলিয়া সীমান্তের মাঝামাঝি এলাকা থেকে স্থানীয়রা শ্যামল দত্ত ও মোজাম্মেল হক বাবুকে আটক করেন। এরপর তাদের ধোবাউড়া থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।
গত ১১ সেপ্টেম্বর নিহত ফজলুর ভাই সবুজ বাদী হয়ে শেখ হাসিনাসহ ১৬৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এ মামলায় শ্যামল দত্তকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ভাষানটেক থানাধীন এলাকায় বিজয় মিছিল করতে গেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে ফজলু মারা যান।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য