× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
In Coxs Bazar the principal was threatened with death for not resigning
google_news print-icon

কক্সবাজারে পদত্যাগ না করায় প্রধান শিক্ষককে হত্যার হুমকির অভিযোগ

কক্সবাজারে-পদত্যাগ-না-করায়-প্রধান-শিক্ষককে-হত্যার-হুমকির-অভিযোগ
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। ছবি: নিউজবাংলা
প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘একটি সিন্ডিকেট কোন কারণ ছাড়া ঈদগাঁও এলাকার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারী দাবিদার হাবিবসহ কয়েকজন সহকর্মী নিয়ে স্কুলের অভ্যন্তরে ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করে। সেখান থেকে এরা বের হয়ে আচমকা আগেরকার ষড়যন্ত্রকারীদের অভিযোগ নিয়ে ছাপানো লিফলেট বিভিন্ন দোকানপাট এবং মসজিদে বিতরণ করে। মূলত স্কুলের ভৌগোলিক অবস্থান বাণিজ্যিক জায়গায় হওয়ায় অনেকেই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার বা কমিটির সদস্য হতে চাইলে সরকারের বিধিমতো আসতে হয়।’

কক্সবাজারের নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খুরশিদুল জান্নাতকে পদত্যাগ না করলে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

কক্সবাজার প্রেস ক্লাবে রোববার বিকেল পাঁচটার দিকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন অভিযোগ করেন।

প্রধান শিক্ষক খুরশিদুল জান্নাত বলেন, ‘আমি ১৯৯৫ সালের ১ নভেম্বর সহকারী শিক্ষক পদে যোগদান করি। ২০০৭ সালে সহকারী প্রধান শিক্ষক ও ২০১০ সালে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হই। ২০১৬ সাল থেকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছি। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে স্কুলের অ্যাকাডেমিক সাইডের ক্রমান্বয়ে উন্নয়ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বিশেষ করে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির হার বৃদ্ধি, জেএসসি, এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের মান বৃদ্ধিসহ খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে উপজেলা/জেলা পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা গৌরব অর্জন করেছে।

‘এ ছাড়া ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন, শ্রেণিকক্ষ সম্প্রসারণ/নির্মাণ/আধুনিকায়ন, কম্পিউটার ল্যাব, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, সুপরিসর অডিটোরিয়াম, লাইব্রেরি, ফুলের বাগান, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে বিদ্যালয়ের সীমানাকে সুরক্ষিত করেছি। মার্কেট সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন এবং শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা ওয়াশ ব্লক ও সুপেয় পানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করেছি। তা ছাড়াও ভূমিখেকোদের নিকট থেকে স্কুলের মূল্যবান ভূমি উদ্ধার করেছি। এই প্রতিষ্ঠানকে সমৃদ্ধ করতে আমরা সকলেই নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছি, কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানের জন্য এসব করার পরেও একটি চক্র বারংবার গভীর চক্রান্ত করেই চলছে।’

খুরশিদুল জান্নাত বলেন, ‘আমি একজন নারী হিসেবে সীমাবদ্ধতার মাঝেও শিক্ষা বিস্তারে নিজের মেধা, মননশীল কাজের মধ্য দিয়ে ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়কে দেশের শ্রেষ্ঠ একটা বিদ্যাপীঠে পরিণত করতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, যার ফলশ্রুতিতে ২০২৩ ও ২০২৪ সালে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে যথাক্রমে জেলা ও উপজেলায় শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান নির্বাচিত হয়েছি। এই স্কুলের ছাত্ররা দেশের সেবায় নিয়োজিত। বহু ছাত্র-ছাত্রী বিভিন্ন পেশায় আত্মনিয়োগ করে এই প্রতিষ্ঠানের মর্যাদাকে সমুন্নত করেছে।

‘মূল বিষয়টি হলো আবদুর রহিম নামের একজন অভিভাবক বাদী হয়ে ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন বিষয়ে ২০২০ সালের ২৩ মার্চ কক্সবাজার আদালতে একটি মামলা করেন। ওই মামলার বিবাদীদের মধ্য থেকে চারজন অভিভাবক ২০২৩ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি আমার বিরুদ্ধে বানোয়াট অভিযোগপত্র তৈরি করেন, যেখানে এক কোটি ৭৮ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করাসহ ৩৬টি অভিযোগ দিয়ে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন এবং বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রচার করেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কক্সবাজার সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে সরেজমিনে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। একই অভিযোগ মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জেলা শিক্ষা অফিসার মহোদয়ের মাধ্যমে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। পরবর্তী সময়ে এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন।’

প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘একটি সিন্ডিকেট কোন কারণ ছাড়া ঈদগাঁও এলাকার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারী দাবিদার হাবিবসহ কয়েকজন সহকর্মী নিয়ে স্কুলের অভ্যন্তরে ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করে। সেখান থেকে এরা বের হয়ে আচমকা আগেরকার ষড়যন্ত্রকারীদের অভিযোগ নিয়ে ছাপানো লিফলেট বিভিন্ন দোকানপাট এবং মসজিদে বিতরণ করে। মূলত স্কুলের ভৌগোলিক অবস্থান বাণিজ্যিক জায়গায় হওয়ায় অনেকেই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার বা কমিটির সদস্য হতে চাইলে সরকারের বিধিমতো আসতে হয়।

‘এখানে প্রধান শিক্ষকের তেমন কোনো ভূমিকা নেই। সে অভিমানের পথ ধরে যে সকল অভিযোগকারী সরকারের দপ্তরে অভিযোগ করেছিলেন, তারা তদন্তকারীদের পর্যাপ্ত প্রমাণ উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়, কিন্তু দেশের পরিস্থিতি পরিবর্তনের পর ঠিক একই ইস্যু বানিয়ে ফের স্কুল ও আমার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমরা এই ষড়যন্ত্রকারীদের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার নিকট বিচার দাবি করছি।’

তিনি বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা প্রথমে ২৮টি দাবি দেয়। তাদের সব দাবি মেনে নেয়ার পর তারা চলে যান। দুদিন পর আবারও একই ইস্যু নিয়ে হাজির, কিন্তু এবার প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করে তারা। আমার প্রশ্ন হচ্ছে কোনো অনিয়ম হলে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের জানান। তারা তদন্ত করুক, কিন্তু বারবার একই বিষয় নিয়ে একটি গোষ্ঠী ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে। পদত্যাগ না করলে বিভিন্নভাবে হত্যার হুমকিও দিচ্ছেন।’

তার প্রশ্ন, ‘ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে নিজেকে আত্মনিয়োগ করাই কি তাহলে আমার অপরাধ? না হয় তাদের উদ্দেশ্য কী? নাকি আমি একজন নারী হিসেবে প্রধান শিক্ষক পদে আছি, এটাই তাদের কাছে আমার অপরাধ?’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্কুলের সহপ্রধান শিক্ষক সিরাজুল হক, শিক্ষক পূর্ণাম পাল, শাহ জালাল মুনির, রফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলম, অভিভাবক আবছার কামালসহ শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন:
কক্সবাজারে সাবেক হুইপ ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ ১৫০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
সাগরে গোসলে নেমে নিখোঁজ এইচএসসি পরীক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
টেকনাফে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বন্যহাতির মৃত্যু 
প্রাথমিক স্কুলের শ্রেণি কার্যক্রম পূর্ণোদ্যমে চালুর নির্দেশ
প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলছে না রোববার

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Anger over the appointment of pro VC and treasurer in Shekribi

শেকৃবিতে প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নিয়োগ নিয়ে ক্ষোভ

শেকৃবিতে প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নিয়োগ নিয়ে ক্ষোভ
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শেকৃবি এলামনাই সদস্য বলেন, ‘নীতিনির্ধারণী পদে এমন জুনিয়র ও যথাযথ যোগ্যতাহীন শিক্ষক নিয়োগ দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্ষেত্রেই অরাজকতা সৃষ্টি হতে পারে। আশা করি সিনিয়রিটি বিবেচনায় নিয়ে যোগ্যতম ব্যক্তিকেই নিয়োগ দেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।’

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যলয়ে (শেকৃবি) প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নিয়োগ ইস্যুতে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ দুটি পদে নিয়োগের জন্য পাঠানো সামারিতে যাদের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে তাদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি হিসেবে উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. বেলাল হোসেন এবং ট্রেজারার হিসেবে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের প্রফেসর আবুল বাশারের নাম প্রস্তাব করে নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতি বরাবর সামারি পাঠানো হয়েছে।

এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক এবং ছাত্র কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা উল্লিখিত দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদে তাদেরকে নিয়োগে যোগ্যতার প্রশ্ন তুলেছেন।

তারা বলছেন, ড. বেলাল হোসেন ও আবুল বাশার বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে জুনিয়র শিক্ষক। তার ওপর আবুল বাশারের কোনো পিএইচডি ডিগ্রি নেই। তাছাড়া চাকরিতে যোগদানের সময় তার বয়স ৩০ বছরের বেশি থাকার অভিযোগ থাকায় বিষয়টি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিংসের আওতায় ছিল।

এমন জুনিয়র শিক্ষকদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দিলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির শঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির একাধিক শিক্ষক। এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শেকৃবি এলামনাই সদস্য সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘নীতিনির্ধারণী পদে এমন জুনিয়র ও যথাযথ যোগ্যতাহীন শিক্ষক নিয়োগ দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্ষেত্রেই অরাজকতা সৃষ্টি হতে পারে।

‘অনেক যোগ্যতম শিক্ষক থাকা সত্ত্বেও পিএইচডি না থাকা শিক্ষক বা এতটা জুনিয়র শিক্ষক তদবিরের জোরে এই সুযোগটা পাওয়াটা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিয়োগ ব্যবস্থাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করবে। আশা করি এসব ক্ষেত্রে সিনিয়রিটি বিবেচনায় নিয়ে যোগ্যতম ব্যক্তিকেই নিয়োগ দেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।’

আরও পড়ুন:
ইবিতে উপাচার্য নিয়োগে আল্টিমেটাম, সড়ক অবরোধ
নতুন উপাচার্য পেল আরও তিন বিশ্ববিদ্যালয়
নতুন উপাচার্য পেল পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Expired committee of Chhatra Dal in Barisal University is cancelled 

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের লোগো। ফাইল ছবি
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৬ সালে ছাত্রদলের প্রথম আংশিক কমিটি গঠিত হয় রেজা শরিফকে সভাপতি করে। পরে ২০২১ সালে রেজা শরিফ ও হাসান আল হাসিবকে সাধারণ সম্পাদক করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।  

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) শাখা ছাত্রদলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম রাহাত স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে কমিটি বিলুপ্তির বিষয়টি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো।

দ্রুত কমিটি দেয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিটিতে।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হয় ২০২১ সালে। এর তিন বছর পর কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করল সংগঠনটি।

গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের মেয়াদোত্তীর্ণ এ কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে হলের কক্ষ দখল, ছাত্রলীগকে প্রশ্রয়সহ বেশ কিছু বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে বিতর্ক ও চাপের মুখে অবশেষে ছাত্রদলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত করা হলো।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৬ সালে ছাত্রদলের প্রথম আংশিক কমিটি গঠিত হয় রেজা শরিফকে সভাপতি করে। পরে ২০২১ সালে রেজা শরিফ ও হাসান আল হাসিবকে সাধারণ সম্পাদক করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

আরও পড়ুন:
আবু সাঈদের কবর জিয়ারত ও পরিবারের পাশে ছাত্রদল
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় বিএম কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত ১৫০
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রক্টরসহ ১৯ জনের পদত্যাগ
উপাচার্যের পদত্যাগের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান ববি শিক্ষার্থীদের
শাহবাগে ছাত্র আন্দোলন ও শহীদ মিনারে ছাত্রদলের অবস্থান

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Checkpost at the entrance of DU to celebrate Durga Puja peacefully

দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনে ঢাবি’র প্রবেশমুখে চেকপোস্ট

দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনে ঢাবি’র প্রবেশমুখে চেকপোস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে পূজা মণ্ডপে উন্মুক্ত হওয়ার অপেক্ষায় প্রতীমা। ছবি: নিউজবাংলা
চেকপোস্টগুলো হলো- নীলক্ষেত, পলাশী, শাহবাগ, বার্ন ইনস্টিটিউট, দোয়েল চত্বর ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা। ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত এই চেকপোস্টের কার্যক্রম চলবে।

নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ, সুশৃঙ্খল ও উৎসবমুখর পরিবেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ছয়টি প্রবেশমুখে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।

সোমবার থেকে আগামী সাতদিন অর্থাৎ ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত এই চেকপোস্টের কার্যক্রম চলবে।

চেকপোস্টগুলো হলো- নীলক্ষেত, পলাশী, শাহবাগ, বার্ন ইনস্টিটিউট, দোয়েল চত্বর ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

দুর্গোৎসব চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আতশবাজি না করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে পূজা উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আগত সব পুণ্যার্থী ও দর্শনার্থীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন:
দুর্গাপূজায় তিন স্তরের নিরাপত্তা: আইজিপি
দুর্গোৎসব: চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Abrar Fahad Memorial Plaque at Buet

বুয়েটে ‘আবরার ফাহাদ স্মৃতিফলক’

বুয়েটে ‘আবরার ফাহাদ স্মৃতিফলক’ বুয়েটে শের-এ-বাংলা হল প্রাঙ্গণে সোমবার আবরার ফাহাদ স্মৃতি ফলকের ভিত্তি স্থাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. বি. এম. বদরুজ্জামান। ছবি: নিউজবাংলা
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. বি. এম. বদরুজ্জামান বলেন, ‘আমি আবরার ফাহাদের বাবা ও তার পরিবারবর্গের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি- আপনারা সন্তানকে আমাদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন কিন্তু আমরা তাকে রাখতে পারিনি। আল্লাহর কাছে একটিই দোয়া, ঘরে ঘরে যেন আবরার ফাহাদের মতো সন্তান আসে- যারা সত্য বলতে ভয় পাবে না, যারা দেশের জন্য লড়বে।’

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শাখা ছাত্রলীগের নির্যাতনে নিহত আবরার ফাহাদের নামে শের-এ-বাংলা হল প্রাঙ্গণে ‘আবরার ফাহাদ স্মৃতিফলক’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।

সোমবার সকাল ১১টায় এই স্মৃতিফলকের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. বি. এম. বদরুজ্জামান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ‘আমি আবরার ফাহাদের বাবা ও তার পরিবারবর্গের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি যে আপনারা সন্তানকে আমাদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন কিন্তু আমরা তাকে রাখতে পারিনি। আল্লাহর কাছে একটিই দোয়া, ঘরে ঘরে যেন আবরার ফাহাদের মতো সন্তান আসে- যারা সত্য বলতে ভয় পাবে না, যারা দেশের জন্য লড়বে।’

তিনি বলেন, ‘আবরারের জীবন থেকে আমরা এই শিক্ষাই নেব। ভবিষ্যতে আর যেন কারও আবরারের মতো জীবন দিতে না হয়। এই স্মৃতিফলক তৈরি করতে যা কিছু প্রয়োজন শের-এ-বাংলা হল অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা কাজ করে যাব।’

দীর্ঘদিন ধরেই আবরার ফাহাদের নামে স্মৃতিফলক নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন স্মৃতিফলক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। পরে কমিটি গঠনের মাধ্যমে স্মৃতিফলকের নকশা নির্বাচন করে হল প্রাঙ্গণেই এই স্মৃতিফলক নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়।

শেরেবাংলা হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার ঘোষণা দেয়া হয়।

এ সময় বুয়েটের ডিনবৃন্দ, বিভাগীয় প্রধানগণ, বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন দপ্তর-পরিদপ্তরের পরিচালকবৃন্দ, উপদেষ্টামণ্ডলী, হল প্রভোস্ট, সহকারী প্রভোস্টবৃন্দ ও শের-এ-বাংলা হল অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দসহ হলের ছাত্র, কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
আবরার ফাহাদ এই শতাব্দীর শহীদ তিতুমীর: মাহমুদুর রহমান
বুয়েটের নতুন ভিসি অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান
বুয়েটের উপাচার্য সত্য প্রসাদের পদত্যাগ
বুয়েটে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত স্থগিত
বুয়েটে নিরাপত্তা চেয়ে ফের ভিসির কাছে আবেদন ছাত্রলীগমনা ৩ শিক্ষার্থীর

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Abrar Fahad Martyr Titumir of this century Mahmudur Rahman

আবরার ফাহাদ এই শতাব্দীর শহীদ তিতুমীর: মাহমুদুর রহমান

আবরার ফাহাদ এই শতাব্দীর শহীদ তিতুমীর: মাহমুদুর রহমান সোমবার পলাশীর মোড়ে বুয়েট ক্যাম্পাসে আয়োজিত শহীদ আবরার ফাহাদ স্মরণ সভায় বক্তব্য দেন মাহমুদুর রহমান। ছবি: নিউজবাংলা
ছাত্রলীগের মারধরে নিহত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ স্মরণসভায় তার বাবা বরকত উল্লাহ বলেন, ‘আবরার ফাহাদ দেশের জন্য জীবন দিয়েছে। প্রথম দুই বছর সন্তান হত্যার বিচারের জন্য আমাদেরকে দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়েছে। রায়ের তিন বছর পার হলেও আমরা এখনও হত্যার বিচার পাইনি।’

ছাত্রলীগের মারধরে শহীদ হওয়া বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে এই শতাব্দীর শহীদ তিতুমীর বলে উল্লেখ করেছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেছেন, ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৫৪ বছরের সংগ্রামে শহীদ আবরার ফাহাদ টার্নিং পয়েন্ট।

আবরার ফাহাদের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় পলাশীর মোড়ে আয়োজিত স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এই সভার আয়োজন করে ‘আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদ’।

এর আগে ২০২০ সালে এই স্তম্ভ নির্মাণ করেন ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন। সে সময় সেটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় পুলিশ।

সোমবার এই স্মৃতিস্তম্ভ পুনঃনির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে সংগঠনটির আহ্বায়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন আবরার ফাহাদ হত্যার দিনকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘আগ্রাসন বিরোধী দিবস’ ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন।

আবরার ফাহাদ এই শতাব্দীর শহীদ তিতুমীর: মাহমুদুর রহমান

স্মৃতিস্তম্ভের ফলকে লেখা হয়েছে- ‘অনন্ত মহাকালে মোর যাত্রা, অসীম মহাকাশের অন্তে’।

উক্তিটি আবরার ফাহাদ তার ফেসবুক প্রোফাইলের বায়োতে ব্যবহার করেছিলেন।

সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, গণপ্রতিরক্ষা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা, দেশীয় শিল্প-কৃষি ও নদী-বন-বন্দর রক্ষা, সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা এবং মানবিক মর্যাদা- এই আটটি বিষয়ের প্রতীক হিসেবে তারা আটটি স্তম্ভ বানিয়েছেন।

এর আগে স্মরণ সভায় উপস্থিত হয়ে আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘শহীদ আবরার ফাহাদ আমাদের সার্বভৌমত্বের পক্ষে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আগ্রাসনবিরোধী প্রতীক। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু হলেন ফ্যাসিবাদের প্রতীক ও স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম স্বৈরশাসক।

‘আমাদের তরুণ সমাজ হাসিনার পতনের সংগ্রামে প্রথম ধাপে জয়লাভ করেছে। কিন্তু দ্বিতীয় ধাপে ভারতীয় অগ্রাসনের বিরুদ্ধে এখনও জয়লাভ করতে পারেনি। আমাদের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই আগ্রাসন রুখে দিতে হবে।’

জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘গত ১৫ বছরে যে সংবিধান আমাদের ওপর চেপে বসেছিল, যে সংবিধান আবরার ফাহাদের মৃত্যুর জন্য দায়ী, যে সংবিধান জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শত শত শহীদ হওয়ার জন্য দায়ী, যে সংবিধান হাজার হাজার মানুষের হাহাকারের জন্য দায়ী, সেই সংবিধান এখনও বাংলাদেশ রাষ্ট্রে কীভাবে বিরাজমান? আমলারা জয়বাংলার স্টেটমেন্ট দিয়ে বেড়াচ্ছেন। আমরা চাই এই সংবিধান অবিলম্বে বাতিল হোক।’

আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ বলেন, ‘আবরার ফাহাদ দেশের জন্য জীবন দিয়েছে। প্রথম দুই বছর হত্যার বিচারের জন্য আমাদেরকে দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়েছে। রায়ের তিন বছর পার হলেও আমরা এখনও হত্যার বিচার পাইনি। যে আট স্তম্ভ নির্মাণ করা হচ্ছে সেটা যেন যেকোনো বাধা-বিপত্তিতেও টিকে থাকে।’

আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদের আহ্বায়ক আখতার হোসেন বলেন, ‘আবরার ফাহাদ একক কোনো ব্যক্তি নয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রতীক। আবরার ফাহাদের খুনিদের গ্রেপ্তার করলেও বিচার প্রক্রিয়া এখনও সম্পন্ন হয়নি। অতিদ্রুত বিচার সম্পন্ন করতে হবে। খুনিদের মধ্যে যারা বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে তাদেরকেও গ্রেপ্তার করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে কোনো দেশের আগ্রাসন চলতে দেয়া হবে না। ভারতীয় আগ্রাসনকে বাংলাদেশ মেনে নেবে না। ভারতের জনগণের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। ৭ অক্টোবরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে আগ্রাসনবিরোধী দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি।’

স্মরণসভায় অন্যদের মধ্যে আবরার ফাহাদের সহপাঠী, ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজসহ বিশিষ্টজনেরা বক্তব্য দেন।

আরও পড়ুন:
বুয়েটের নতুন ভিসি অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান
বুয়েটের উপাচার্য সত্য প্রসাদের পদত্যাগ
বুয়েটে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত স্থগিত
বুয়েটে নিরাপত্তা চেয়ে ফের ভিসির কাছে আবেদন ছাত্রলীগমনা ৩ শিক্ষার্থীর
বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবিতে সাবেক শিক্ষার্থীদের ওয়েবিনার যুক্তরাষ্ট্রে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Joby is the divisional champion at the NASA Space Apps Challenge

নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন জবি

নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন জবি রাজধানীর আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি) এবং অনলাইনে গতকাল রাতে একসঙ্গে শুরু হওয়া নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ হ্যাকাথন প্রতিযোগিতার বাংলাদেশ পর্বের ফলাফল ঘোষণা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা
ফলাফলে ঢাকা বিভাগীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম ‘কোয়ান্টাম ভয়েজার্স’ তাদের গৌরবগাঁথা সাফল্য রচনা করে।

নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-২০২৪-এর বাংলাদেশ পর্বের ঢাকা বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)।

এ হ্যাকাথন শুক্রবার থেকে শুরু হয়ে একটানা ৩৬ ঘণ্টা চলার পর শনিবার সন্ধ্যা ছয়টায় শেষ হয়।

গতকাল রাতে রাজধানীর আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি) এবং অনলাইনে একসঙ্গে শুরু হওয়া নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ হ্যাকাথন প্রতিযোগিতার বাংলাদেশ পর্বের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

ফলাফলে ঢাকা বিভাগীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম ‘কোয়ান্টাম ভয়েজার্স’ তাদের গৌরবগাঁথা সাফল্য রচনা করে।

টিমের সদস্যরা হলেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের নাহিদ রায়হান (টিম লিডার), ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের জাহাঙ্গীর হোসেইন ও ফারহান মাসুদ সোহাগ, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মুয়াম্মার তাজওয়ার আসফি এবং ইউসুফ হাসান সিফাত।

গত ১০ বছর বিশ্বব্যাপী এ প্রতিযোগিতায় টানা তিনবারসহ সর্বমোট চারবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে বাংলাদেশ।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যারোনটিকস অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-নাসা আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বের ১৮৫টি দেশের প্রযুক্তিবিদ, বিজ্ঞানী, ডিজাইনার, আর্টিস্ট, শিক্ষাবিদ, উদ্যোক্তাদের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রের মেধাবী তরুণদের একত্রিত করে পৃথিবীর বিভিন্ন বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজে বের করার লক্ষ্যে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এরই অংশ হিসেবে বেসিসের উদ্যোগে বাংলাদেশের ৯টি শহরে (ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ এবং কুমিল্লা) এ আয়োজন করা হয়।

নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে এবার ১ কোটি শিক্ষার্থীকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যুক্ত করার পাশাপাশি ২ লাখ শিক্ষার্থীকে সরাসরি ও প্রতিযোগিতায় যুক্ত করার পরিকল্পনা নেয়া হয়।

এবার বাংলাদেশের ৯টি শহর থেকে ৩ হাজারেরও বেশি প্রতিযোগী অংশ নেন।

সর্বমোট ৫০০টি প্রকল্পের মধ্যে হাইব্রিড মডেলে বাছাইকৃত শীর্ষ ৫০টি নিয়ে এআইইউবিতে এবং বাকি ৪৫০টি প্রকল্প নিয়ে অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০২৪-এর দুই দিনব্যাপী নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ হ্যাকাথন।

আরও পড়ুন:
চলে গেলেন গুলিবিদ্ধ জবি শিক্ষার্থী সাজিদ
সংষর্ঘে জবি শিক্ষার্থী নিহত, বিশ্ববিদ্যালয়ের শোক
জবি বন্ধ ঘোষণা, ছাত্রীদের হল ছাড়ার নির্দেশ
জবি শিক্ষার্থীদের সংযত থাকার আহ্বান
জিরো পয়েন্ট দ্বিতীয় দিনের মতো অবরুদ্ধ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Prayers in memory of the martyrs started classes in Chabi

ফরহাদ-হৃদয়হীন চবিতে সশরীরে ক্লাস শুরু

ফরহাদ-হৃদয়হীন চবিতে সশরীরে ক্লাস শুরু সশরীরে ক্লাস শুরু হওয়া চবি ক্যাম্পাসে রোববার কোনো উচ্ছ্বাস ছিল না ইতিহাস বিভাগে। কারণ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে এই বিভাগের দুই শিক্ষার্থী শহীদ হয়েছেন। ছবি: নিউজবাংলা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় একশ’ দিন পর সশরীরে ক্লাস পরীক্ষা শুরু হয়েছে রোববার। তবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছিল বন্ধু-সহপাঠী হারানোর বেদনা। বিরাজ করছিল হৃদয় ও ফরহাদের শূন্যতা।

নবীন শিক্ষার্থী বরণে মেতেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাস। একইসঙ্গে প্রায় একশ’ দিন পর সশরীরে ক্লাস পরীক্ষা শুরু হয়েছে রোববার। তবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছিল বন্ধু-সহপাঠী হারানোর বেদনা। বিরাজ করছিল হৃদয় ও ফরহাদের শূন্যতা।

এদিন ক্লাসে যোগ দেয়ার আগে শহীদ মিনারের পাদদেশে দাঁড়িয়ে শহীদদের প্রতি সম্মান জানান শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অন্যরা।

রোববার সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সমবেত হয়ে নিজ নিজ ধর্মমতে শহীদদের জন্য প্রার্থনা করেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি সম্মান জানাতে এ সময় ‘লাল ব্যাজ’ পরিধান করেন তারা।

দীর্ঘ ৯৭ দিন বন্ধ থাকার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পাশাপাশি শুরু হয় ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী ক্লাস।

আন্দোলন-পরবর্তী ক্লাসে ফেরা নিয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলেন শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পৃথকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগের পক্ষ থেকে নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়েছে উচ্ছ্বাসের সঙ্গে। ব্যতিক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে। এই বিভাগের দুজন শিক্ষার্থী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন। তাদের একজন হৃদয় চন্দ্র তরুয়া, অন্যজন মো. ফরহাদ হোসেন।

হৃদয় ২৩ জুলাই চট্টগ্রাম বহদ্দারহাট মোড়ে আন্দোলনে গিয়ে নিহত হন। আর ফরহাদ ৪ আগস্ট নিজ এলাকায় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন। হৃদয় ছিলেন ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং ফরহাদ দ্বিতীয় বর্ষের।

আরও পড়ুন:
উপাচার্য নিয়োগ দাবিতে চবিতে শাটডাউনের ঘোষণা
চবিতে ছাত্রলীগের দফায় দফায় হামলা, ছাত্রীদের হেনস্তা
চবিতে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা
চট্টগ্রামে কোটাবিরোধীদের বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি পালন
কোটাবিরোধী আন্দোলনের পরিসর বাড়ছে চট্টগ্রামে

মন্তব্য

p
উপরে