× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
115 million people affected by floods in Feni
google_news print-icon

ফেনীতে বন্যা কবলিত সাড়ে ১১ লাখ মানুষ

ফেনীতে-বন্যা-কবলিত সাড়ে-১১-লাখ-মানুষ
বন্যায় প্লাবিত ফেনী শহরের একাংশ। ছবি: নিউজবাংলা
ডিসি শাহীনা আক্তার সোমবার রাতে জানান, জেলায় এ পর্যন্ত সরকারি/বেসরকারি উদ্যোগে ৬২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, র‍্যাব হেলিকপ্টারের মাধ্যমে আরও ৪৮ হাজার প্যাকেট খাদ্যদ্রব্য মানুষের মধ্যে বিতরণ করে। এর বাইরেও ব্যাপকভাবে বন্যা কবলিতদের কাছে খাদ্যপণ্য পৌঁছে দেন স্বেচ্ছাসেবকরা।

টানা বৃষ্টি ও ভারত হতে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফেনী জেলায় প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বন্যার কবলে পড়েছেন প্রায় ১১ লাখ ৫০ হাজার মানুষ।

সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, র‍্যাব, বিজিবি, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, ছাত্র-জনতার চেষ্টায় উদ্ধার করা হয়েছে দেড় লাখ মানুষকে।

নিজ উদ্যোগেও মানুষ নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।

জেলা প্রশাসক (ডিসি) শাহীনা আক্তার সোমবার রাতে তথ্যগুলো নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, জেলায় এ পর্যন্ত সরকারি/বেসরকারি উদ্যোগে ৬২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, র‍্যাব হেলিকপ্টারের মাধ্যমে আরও ৪৮ হাজার প্যাকেট খাদ্যদ্রব্য মানুষের মধ্যে বিতরণ করে। এর বাইরেও ব্যাপকভাবে বন্যা কবলিতদের কাছে খাদ্যপণ্য পৌঁছে দেন স্বেচ্ছাসেবকরা।

এদিকে জেলায় বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। পরশুরাম, ফুলগাজী, ছাগলনাইয়াতে এরই মধ্যে বন্যার পানি উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ফেনী সূত্র জানায়, মুহুরী নদীর পানি কমে যাওয়ায় পরশুরাম, ফুলগাজীতে বন্যা পরিস্থিতির লক্ষণীয় উন্নতি হয়। ফেনী শহরেও পানি কমছে। সোনাগাজী, দাগনভূঞাতে বন্যা পরিস্থিতি সোমবার অবনতির দিকে থাকলেও সারা দিন বৃষ্টি না হওয়ায় পানি কমতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন একাধিক ভুক্তভোগী।

বন্যাদুর্গত এলাকায় স্বেচ্ছাসেবকদের উদ্ধার তৎপরতা উল্লেখযোগ্য হারে লক্ষ করা গেছে।

সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বন্যার্তদের উদ্ধার ও শুকনা খাবার সহায়তায় প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে বলে জানান ডিসি শাহীনা আক্তার।

ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখা সূত্রে জানা যায়, সোমবার পর্যন্ত নগদ ৪০ লাখ টাকা এবং দুই হাজার টন চাল ত্রাণকার্যের জন্য বরাদ্দ এসেছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে খিচুড়ি ও শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

জেলার কিছু কিছু এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক সচল হয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ এখনও দুই-তৃতীয়াংশ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফুটে উঠছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন পানিবাহিত রোগে৷

এ মুহূর্তে ফেনীতে বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে৷ এসব বিষয় জরুরিভাবে ব্যবস্থা না হলে এখানে মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হতে পারে।

চলতি বছরের ২ জুলাই টানা চার থেকে পাঁচ দিনের অতি ভারি বৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পানির তোড়ে ফেনীর ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া উপজেলায় প্রথম দফা ব্যাপক বন্যা সৃষ্টি হয়। তখন উজানের পানির তোড়ে স্থানীয় মুহুরী কহুয়া সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে অন্তত ২০টি স্থানে ভেঙে পানি ঢুকে বন্যার সৃষ্টি হয়।

এক মাসের ব্যবধানে আগস্টের প্রথম সপ্তাহে টানা ভারি বৃষ্টিপাতে দ্বিতীয় দফা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে নতুন করে ১০টি স্থানে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। এতে পুনরায় ওই উপজেলাগুলো বন্যা কবলিত হয়।

আগস্টের ২০ তারিখে তৃতীয় দফা ভয়াবহ বন্যার শিকার হয় ফেনীর সব উপজেলার মানুষ।

আরও পড়ুন:
বন্যায় দেশের ১১ জেলায় ৫২ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
বন্যার পানিতে ভাসছিল শিশুর মরদেহ
বন্যার্তদের জন্য এক দিনের বেতন দেয়ার সিদ্ধান্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের
সশস্ত্র বাহিনীর ত্রাণ কার্যক্রমের সমন্বয়কারী মেজর ওয়াসিম আকরাম
খুলে দেয়া হলো কাপ্তাই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১৬ গেট

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Everyone agrees on the question of protecting sovereignty and dignity
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সর্বদলীয় বৈঠক শেষে আইন উপদেষ্টা

সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদা রক্ষার প্রশ্নে সবাই একমত

সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদা রক্ষার প্রশ্নে সবাই একমত প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বুধবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক শেষে ফটোসেশনে অংশ নেন। ছবি: পিআইডি
আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমরা গোটা জাতি ভারতের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ রয়েছি। আমরা সবাই মিলে একটি সমাবেশ করতে পারি কি-না, এমনকি নিরাপত্তার কাউন্সিল করতে পারি কি-না সেই প্রস্তাব বৈঠকে আনা হয়েছে।’

বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, অস্তিত্ব, স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষার প্রশ্নে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে সব রাজনৈতিক দলের নেতারা ঐকমত্যে পৌঁছেছেন বলে উল্লেখ করেছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

বুধবার সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল আজ উপস্থিত ছিলো। এই বৈঠকে সবাই বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, অস্তিত্ব, স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষার প্রশ্নে একমত পোষণ করেছেন।

তিনি বলেন, ‘যেকোনো ধরনের অপপ্রচার ও উস্কানির বিরুদ্ধে আমরা সাহসী, অটুট ও ঐক্যবদ্ধ থাকবো। ভবিষতে কোনো ধরনের উস্কানি ‌এলে আমরা আমাদের ঐক্য আরও বেগবান দেখানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবো।

আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমরা গোটা জাতি ভারতের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ রয়েছি। আমরা সবাই মিলে একটি সমাবেশ করতে পারি কি-না, এমনকি নিরাপত্তার কাউন্সিল করতে পারি কি-না সেই প্রস্তাব বৈঠকে আনা হয়েছে।

‘এই সভার মূল সুর ছিলো- আমাদের মধ্যে মত, পদ, আদর্শের ভিন্নতা থাকবে; কিন্তু দেশ, সার্বভৌমত্ব, অস্তিত্ব রক্ষার প্রশ্নে আমরা সবাই এক। সবার ওপরে দেশ এবং এটা থেকে আমরা কখনো বিচ্যুত হবো না।’

বাংলাদেশকে দুর্বল, শক্তিহীন, নতজানু ভাবার কোনো অবকাশ নেই বলেও উল্লেখ করেন অধ্যাপক আসিফ নজরুল।

আরও পড়ুন:
ভারতের স্ক্রিপ্ট রূপায়ণে নেমেছে কিছু মানুষ: আসিফ নজরুল
সংখ্যালঘু নিয়ে ভারতের দ্বিচারিতা নিন্দনীয়, আপত্তিকর: আইন উপদেষ্টা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Criminals of past ECs will be brought to justice Badiul Alam

অতীতের ইসিগুলোর অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে: বদিউল আলম

অতীতের ইসিগুলোর অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে: বদিউল আলম নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার। ফাইল ছবি
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, ‘নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট হওয়ার আগে নির্বাচন কমিশন তদন্তসাপেক্ষে নির্বাচন বাতিল করতে পারতেন। শুধু বাতিল নয়, তদন্তসাপেক্ষে পুনঃনির্বাচন দেয়ার ক্ষমতা তাদের আছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেই ক্ষমতা তারা ব্যবহার করেননি।’

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, অতীতের নির্বাচনে অনেক অপরাধ হয়েছে। সেসব অপরাধের বিচার হওয়া দরকার। সেটাও আমরা আলোচনা করেছি। যারা অপরাধ করেছেন, যাদের অপরাধ প্রমাণ হবে, তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আসতে হবে।

নির্বাচন ভবনে বুধবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন।

বিগত তিন কমিশন নাকি সব কমিশনকে বিচারের আওতায় আনা হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে বদিউল আলম বলেন, ‘যারা অপরাধ করেছে, সবাইকে আসতে হবে। এগুলো তো সুস্পষ্টভাবে আলোচনা হয়নি। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, ৭৩ থেকে ৯০ ধারার মধ্যে নির্বাচনের অপরাধের বিষয়গুলো বর্ণনা করা আছে। এগুলোর যাতে যথাযথ প্রয়োগ হয় সেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’

সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, ‘নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট হওয়ার আগে নির্বাচন কমিশন তদন্তসাপেক্ষে নির্বাচন বাতিল করতে পারতেন। শুধু বাতিল নয়, তদন্তসাপেক্ষে পুনঃনির্বাচন দেয়ার ক্ষমতা তাদের আছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেই ক্ষমতা তারা ব্যবহার করেননি।’

তিনি আরও বলেন, নতুন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য বদ্ধপরিকর। আমরাও আমাদের অবস্থান থেকে সুচারুভাবে, সম্পূর্ণভাবে শেষ করার জন্য সংস্কার প্রস্তাব দেবো। যেগুলোর কিছু তারা বাস্তবায়ন করবে, আবার কিছু সরকার বাস্তবায়ন করবে। আর কিছু সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে বাস্তবায়ন করবে।’

কমিশন প্রধান বলেন, নির্বাচন কমিশন ও তাদের দায়দায়িত্ব, ক্ষমতা, স্বাধীনতা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মনোনয়নপত্র চূড়ান্ত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত কার হওয়া উচিত, আদালতের কী ভূমিকা থাকবে, হলফনামা না ভোট, সীমানা পুনঃনির্ধারণ, পোস্টাল ব্যালট, প্রবাসী ব্যালট, ভোটার তালিকা, নির্বাচনি অপরাধ, এনআইডিসহ নির্বাচনের সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেইনি, কিছু বিষয় চিহ্নিত করেছি। এগুলো নিয়ে আমরা আলাপ-আলোচনা করছি। আমাদের এখনও এক মাস সময় আছে। আশা করি এক মাসের মধ্যে সুপারিশগুলো চূড়ান্ত করে সরকারের কাছে দিতে পারবো। ওনাদের (ইসি) কিছু মতামত চেয়েছি, ওনারা কিছু শেয়ার করতে চাইলে শেয়ার করবেন।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের অন্তর্নিহিত ক্ষমতা আছে এবং সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের খাতিরে দিনকে রাত, রাতকে দিন করা ছাড়া সবই কমিশন করতে পারে। আইনে বলা আছে, আদালতের সুস্পষ্ট বলা আছে।

‘আলতাফ হোসেন বনাম আবুল হোসেনের মামলায় আমাদের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বলেছে- সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের খাতিরে আইন-কানুন বিধিবিধানের সঙ্গে সংযোজন করতে পারে। যেখানে অস্পষ্টতা আছে, যেখানে গ্যাপ আছে, সেগুলো তারা পূরণ করতে পারে।’

নতুন কমিশনের পক্ষ থেকে আপনাদের কোনো মতামত দিয়েছে কিনা- এই প্রশ্নের জবাবে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেয়নি৷ আমাদের মতবিনিময়ের মাধ্যমে অনেক কিছু উঠে এসেছে। মনে হলো আমাদের কোনো মতপার্থক্য নেই৷ ওনারা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর। আমরা সহায়তা করতে একপায়ে রাজি আছি। আমাদের সবার লক্ষ্য একটাই।’

এর আগে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা ও সংস্কার কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মতামত ও প্রস্তাব চেয়েছে কমিশন
সিভিল সার্ভিস থেকে ‘ক্যাডার’ শব্দ বাদের সুপারিশ যাচ্ছে
ডিআরইউ নির্বাচন: সালেহ সভাপতি, সোহেল সম্পাদক
গত তিন নির্বাচনি অপরাধে জড়িতদের শাস্তি হওয়া উচিত: বদিউল
৫ সংস্কার কমিশনপ্রধানের মর্যাদা-সুবিধা, সদস্যদের সম্মানী নির্ধারণ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The ruling class of India does not want the harmony of the people of the two countries

‘ভারতের শাসকগোষ্ঠী দু’দেশের জনগণের সম্প্রীতি চায় না’

‘ভারতের শাসকগোষ্ঠী দু’দেশের জনগণের সম্প্রীতি চায় না’
তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘ভারতের শাসকগোষ্ঠী ও হিন্দুত্ববাদী শক্তিগুলো দুই দেশের মধ্যে গণতান্ত্রিক সম্পর্ক ও সম্প্রীতি চায় না। তারা বাংলাদেশের অভ্যুত্থান এবং এর ছাত্রদের রাজনৈতিক জাগরণকে হুমকি হিসেবে দেখে।’

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ভারতের শাসক গোষ্ঠী বিভেদের রাজনীতি ও বাংলাদেশবিরোধী মিথ্যাচারে লিপ্ত রয়েছে। ভারতের শাসকগোষ্ঠী ও হিন্দুত্ববাদী শক্তিগুলো দু’দেশের জনগণের মধ্যে গণতান্ত্রিক সম্পর্ক ও সম্প্রীতি চায় না।

মঙ্গলবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক ও এক্স অ্যাকাউন্টে এক বিবৃতিতে তথ্য উপদেষ্টা একথা বলেন।

বাংলাদেশে সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশকে গ্রেপ্তার ও সহিংসতা এবং আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে তিনি এই বিবৃতি দিলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও আসামের সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে; তারা আমাদের স্টেকহোল্ডার। বাংলাদেশে চলমান গণঅভ্যুত্থানের সময় কলকাতা ও দিল্লির ছাত্ররা আমাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে শেখ হাসিনার নৃশংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে।’

ভারতের এই গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষেরা বাংলাদেশের বন্ধু উল্লেখ করে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘তবে ভারতের শাসকগোষ্ঠী ও হিন্দুত্ববাদী শক্তিগুলো এ ধরনের গণতান্ত্রিক সম্পর্ক ও সম্প্রীতি চায় না। তারা বাংলাদেশের অভ্যুত্থান এবং এর ছাত্রদের রাজনৈতিক জাগরণকে হুমকি হিসেবে দেখে। ফলে তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ পোষণ করছে।’

ইংরেজিতে লেখা বিবৃতিতে তিনি বলেন, “দিল্লি ‘সংখ্যালঘু নিপীড়ন’-এর ধুয়া তুলে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন এবং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও দেশ-পুনর্গঠন প্রক্রিয়া ব্যাহত করার চেষ্টা করছে।”

উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, ‘শুরু থেকেই আমরা জোর দিয়ে আসছি যে ভারত সরকারকে বাংলাদেশকে আওয়ামী লীগের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখা বন্ধ করতে হবে এবং ন্যায়, ন্যায্যতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে একটি নতুন সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে।

‘বাংলাদেশ হিন্দুসহ সব সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পূর্ণ নাগরিক অধিকার, মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আওয়ামী লীগের আমলেই সংখ্যালঘুরা সর্বোচ্চ নিপীড়নের সম্মুখীন হয়েছে। তবুও দিল্লি নিঃশর্তভাবে আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছে।’

ভারত তার নিজের সংখ্যালঘুদের অধিকার নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিপীড়নকারী ও গণহত্যাকারী দল আওয়ামী লীগকে আশ্রয় ও সমর্থন দিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, গণহত্যা ও শিশু হত্যার জন্য দায়ী পলাতক শেখ হাসিনাকে আশ্রয় ও সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখার মাধ্যমে ভারত সরকার অভিন্ন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ক্ষুণ্ন করার ঝুঁকিতে রয়েছে।

‘ভারতের স্থিতিশীলতা ও অখণ্ডতা বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা ও অখণ্ডতার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত, তা ভুলে গেলে চলবে না।

বিজেপি বাংলাদেশকে ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত করার চেষ্টা করছে উল্লেখ করে এমনটি হলে তা ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির জন্য ক্ষতিকর হবে বলে সতর্ক করেন তিনি।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশ-বিরোধী ও মুসলিম-বিরোধী রাজনীতি ভারতের জাতীয় স্বার্থে কাজ করবে না বা এর ঐক্যে অবদান রাখবে না। তাই আমরা ভারতকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার বন্ধ করে গণতন্ত্রের প্রতি সম্প্রীতি ও সম্মান বজায় রাখার আহ্বান জানাই।’

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা জেনেভা কনভেনশনের বরখেলাপ: বিএনপি
ভারতীয় টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধে হাইকোর্টে রিট
বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দিল্লির সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনে আশাবাদী ঢাকা
ভারতের আচরণ পক্ষপাতদুষ্ট, অগ্রহণযোগ্য: নজরুল ইসলাম

মন্তব্য

বাংলাদেশ
This new freedom is not being liked by many Chief Adviser

নতুন এই স্বাধীনতা অনেকের পছন্দ হচ্ছে না: প্রধান উপদেষ্টা

নতুন এই স্বাধীনতা অনেকের পছন্দ হচ্ছে না: প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বুধবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। ছবি: পিআইডি
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমাদের এই অভ্যুত্থান যাদের পছন্দ হয়নি, তারা এটাকে মুছে দিতে চায়, এটাকে নতুন ভঙ্গীতে দুনিয়ার সামনে পেশ করতে চায়। আমাদের এখানে নাকি ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটছে, তা থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হবে। রক্ষার জন্য তারা এগিয়ে আসতে চায়। এখন সেগুলোকে মিথ্যা প্রমাণ করা বা বাস্তবতাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আমাদের সবাইকে একজোট হতে হবে। এটা কোনো বিশেষ রাজনৈতিক মতবাদের বিষয় না। জাতি হিসেবে আমাদের অস্তিত্বের বিষয়।’

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে জগদ্দল পাথর জাতির বুকের ওপর থেকে সরানো হয়েছে। দেশ নতুনভাবে স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু আমাদের এই মুক্তি, এই স্বাধীনতা অনেকের পছন্দ হচ্ছে না। নানাভাবে এটাকে উল্টে দেয়ার চেষ্টা চলছে। তাই দেশের বর্তমান বাস্তবতা বিশ্বের কাছে প্রতিষ্ঠিত করতে সবাইকে একজোট থাকতে হবে।

রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বুধবার রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘অক্টোবরে সারাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা পালন হয়েছে। আমরাও পূজার আনন্দে শরিক হয়েছিলাম। কোথাও কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা হয়নি। সেটাও অনেকের পছন্দ হয়নি। দেশকে নতুন করে অস্থির করার চেষ্টা চলছে।’

তিনি বলেন, ‘যে বাংলাদেশ আমরা গড়ে তোলার চেষ্টা করছি, সেটাকে ধামাচাপা দিয়ে আরেক বাংলাদেশের কাহিনী রচনা করে যাচ্ছে। সারাক্ষণ নানা রূপে তারা এটা করে যাচ্ছে। এটা যে এখন এক দেশের মধ্যে আছে তা নয়, বিশেষ বিশেষ বড় দেশের মধ্যে ছড়িয়ে গেছে।’

ড. ইউনূস বলেন, ‘আমাদের এই অভ্যুত্থান যাদের পছন্দ হয়নি, তারা এটাকে মুছে দিতে চায়, এটাকে নতুন ভঙ্গীতে দুনিয়ার সামনে পেশ করতে চায়। আমাদের এখানে নাকি ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটছে, তা থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হবে। রক্ষার জন্য তারা এগিয়ে আসতে চায়। এখন সেগুলোকে মিথ্যা প্রমাণ করা বা বাস্তবতাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আমাদের সবাইকে একজোট হতে হবে। এটা কোনো বিশেষ রাজনৈতিক মতবাদের বিষয় না। জাতি হিসেবে আমাদের অস্তিত্বের বিষয়।’

বাংলাদেশ নিয়ে সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন প্রোপাগান্ডার দিকে ইঙ্গিত করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যে মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশ তৈরি করলাম, তারা এটাকে মুছে দিয়ে আগেরটায় ফিরে যেতে চায়। মুখে বলছে না যে আগেরটা, কিন্তু ভঙ্গী হলো- আগেরটা ভালো ছিল। তাদের শক্তি এত বেশি যে তারা মানুষকে এর ভেতরে ভেড়াতে পারছে। তাদের কল্পকাহিনীর কারণে মানুষ সন্দেহ প্রকাশ করছে যে এটা কী ধরনের সরকার হলো।’

ড. ইউনূস বলেন, ‘আমরা বার বার তাদের বলছি যে আপনারা আসেন এখানে, দেখেন; এখানে কোনো বাধা নেই। কিন্তু না, তারা ওখান থেকেই কল্পকাহিনী বানিয়ে যাচ্ছে। এখন আমাদের সাড়া দুনিয়াকে বলতে হবে যে আমরা এক, আমরা যেটা পেয়েছি সেটা একজোট হয়ে পেয়েছি; কোনো মতবাদের কারণে পাইনি, ধাক্কাধাক্কি করে পাইনি, যারা আমাদের ওপর চেপে ছিল, তাদের উপড়ে ফেলেছি। এটাই সবার সামনে তুলে ধরতে হবে, সবাই মিলে যেন এটা করতে পারি। আমাদের নতুন বাংলাদেশের যাত্রাপথে এটা মস্ত বড় একটা বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, অস্তিত্বের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

রাজনৈতিক দলের নেতাদের উদ্দেশে ড. ইউনূস বলেন, ‘আপনারা সবাই ভালো বোঝেন। সবাই মিলে আমরা একজোট হয়ে যেন কাজটা করতে পারি। সবাই একত্র হয়ে বললে একটা সমবেত শক্তি তৈরি হয়, এই সমবেত শক্তির জন্যই আপনাদের সঙ্গে বসা।’

এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে একে একে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আসতে শুরু করেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেয়।

জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতাদের সমন্বয়ে প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নেন। এছাড়া অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন।

তবে জাতীয় পার্টিকে সরকারের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।

এর আগে দেশের চলমান নানা ইস্যুতে আলাপ করতে মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় যমুনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

আরও পড়ুন:
এক বিজয় করেছো, আরেক বিজয় আসবে: প্রধান উপদেষ্টা
নতুন উপকূলীয় গ্যাস অনুসন্ধানে বিনিয়োগ করবে শেভরন
আমাকে রংপুরের উপদেষ্টা হিসেবে ভাবুন
সংকট নিরসনে প্রধান উপদেষ্টাকে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান বিএনপির
যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বসেছে বিএনপি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Master Plan of Matarbari Deep Sea Port is being reconstructed

মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের মাস্টার প্ল্যান পুনর্গঠন হচ্ছে

মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের মাস্টার প্ল্যান পুনর্গঠন হচ্ছে কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে বহুল প্রতীক্ষিত দেশের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর প্রকল্প। ফাইল ছবি
নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা ইস্যুটি বিবেচনা করতে হবে। এছাড়াও এখানে একটি আন্তর্জাতিক মানের ডক-ইয়ার্ড নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।’

কেবল আঞ্চলিক সংযোগের মাধ্যম হিসেবে নয়, কৌশলগত ও ভূ-রাজনৈতিকভাবে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের অবস্থানটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের মহাপরিকল্পনা (মাস্টার প্ল্যান) পুনর্গঠন করা হচ্ছে।

নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বুধবার এ কথা বলেছেন।

ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি এদিন সকালে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে বহুল প্রতীক্ষিত দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর নিয়ে সরকারের পরিকল্পনাসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন।

মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের মাস্টার প্ল্যান পুনর্গঠন হচ্ছে
বুধবার সকালে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করেন জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি। ছবি: পিআইডি

উপদেষ্টা বলেন, ‘আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা ইস্যুটি বিবেচনা করতে হবে। এছাড়াও এখানে একটি আন্তর্জাতিক মানের ডক-ইয়ার্ড নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘জাপান ও বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে পারস্পরিক উষ্ণ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে আসছে। জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বহুমাত্রিক। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে জাপানের ভূমিকা অনবদ্য।’

সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সির (জাইকা) আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় বাংলাদেশের একমাত্র গভীর সমুদ্রবন্দর- মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরটি নির্মিত হচ্ছে। বন্দরটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বন্দর নির্মাণের মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনীতিতে তথা আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে একটি নতুন মাত্রা যুক্ত হবে।’

‘বন্দরটি নির্মাণের কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে চলেছে। প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হলে বন্দরের কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে।’

এ সময় ২০৩০ সালের মধ্যে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন উপদেষ্টা।

সরকার দেশের বন্দরগুলোর কার্যক্রমের মধ্যে সমন্বয় ও গতিশীলতা আনার লক্ষ্যে ন্যাশনাল পোর্ট স্ট্র্যাটেজি প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে বলে জাপানের রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন উপদেষ্টা। এ বিষয়ে জাইকার কারিগরি সহায়তা প্রত্যাশা করেন তিনি।

জাহাজভাঙ্গা শিল্পের পরিবেশগত মান যাচাইয়ের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হচ্ছে বলেও রাষ্ট্রদূতকে অবিহিত করেন উপদেষ্টা। এই কমিটি শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ডগুলো সরেজমিন পরিদর্শনপূর্বক সরকারকে সুপারিশ সহকারে প্রতিবেদন জমা দেবে।

নৌপরিবহন উপদেষ্টা বাংলাদেশের মেরিন একাডেমিগুলোর উন্নয়নে জাপান সরকারের পেশাগত ও কারিগরি সহযোগিতা কামনা করেন।

জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশ জাপানের বন্ধুরাষ্ট্র। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানব-সম্পদ ও অবকাঠামোসহ বিভিন্ন সেক্টরের উন্নয়নে ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে জাপান বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। জাপানের স্বেচ্ছাসেবীরা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল অবধি বিভিন্ন সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। দুই দেশের মধ্যে সত্যিকারের বন্ধুত্ব রয়েছে। জাপান বাংলাদেশের উন্নয়নে পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জাইকা মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের কার্যক্রমকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর। সবার সহযোগিতায় যথাসময়ে বন্দরের কার্যক্রম শেষ হবে বলে আশা করি।’

বাংলাদেশের জাহাজভাঙ্গা শিল্পে সহযোগিতার আগ্রহও প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত।

সাক্ষাৎকালে জাপান দূতাবাস ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
মাতারবাড়ী ঘিরে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির নতুন স্বপ্ন
‘২০২৬ সালে চালু হবে মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দরের কার্যক্রম’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bangladesh India Secretary level talks on December 9 or 10 Tauhid

বাংলাদেশ-ভারত সচিব পর্যায়ের আলোচনা ৯ বা ১০ ডিসেম্বর: তৌহিদ

বাংলাদেশ-ভারত সচিব পর্যায়ের আলোচনা ৯ বা ১০ ডিসেম্বর: তৌহিদ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার ওপর জোর দিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘এটা অত্যন্ত স্পষ্ট যে আমরা সুসম্পর্ক চাই। তবে উভয় পক্ষেরই এটা চাওয়া দরকার এবং এজন্য কাজ করা উচিত।’

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নির্ধারিত পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) আগামী ৯ বা ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বুধবার নিজ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা অত্যন্ত স্পষ্ট যে আমরা সুসম্পর্ক চাই। তবে উভয় পক্ষেরই এটা চাওয়া দরকার এবং এজন্য কাজ করা উচিত।’

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘এফওসি-র জন্য ১০ ডিসেম্বর নির্ধারিত থাকলেও এটি একদিন আগে ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে পারে।’

ঢাকায় অনুষ্ঠেয় উচ্চ পর্যায়ের এই বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিন এবং ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি নিজ নিজ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন।

আলোচনায় বর্তমানে ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ এবং ভিসা সংক্রান্ত বিষয়গুলোসহ দ্বিপাক্ষিক ইস্যু থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করছেন। জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের সম্মুখীন করা হচ্ছে তাকে।

পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি উইংয়ের মহাপরিচালক তৌফিক হাসান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে গত ২১ নভেম্বর জানান, আসন্ন আলোচনার প্রস্তুতি সমন্বয়ের জন্য ইতোমধ্যে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আরও পড়ুন:
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দিল্লির সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনে আশাবাদী ঢাকা
সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদের ভাষা আরও শক্তিশালী করেছি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক জোরদারে বড় বাধা সীমান্ত হত্যা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাংলাদেশ-ভারত যুদ্ধের আশঙ্কা আছে মনে করি না
শেখ হাসিনাকে ফেরত চাইতে পারে বাংলাদেশ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Application fee for all government jobs including BCS is Tk 200 maximum

বিসিএসসহ সরকারি চাকরির আবেদন ফি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা

বিসিএসসহ সরকারি চাকরির আবেদন ফি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান জানান, বিসিএস মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ২০০ থেকে কমিয়ে ১০০ করা হয়েছে। আর বিসিএসসহ সব সরকারি চাকরির আবেদন ফি ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া সরকারি, আধাসরকারি, ব্যাংক ও বিমা প্রতিষ্ঠান চাকরির আবেদনে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা পর্যন্ত নিতে পারবে।

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষার আবেদন ফিসহ সব ধরনের চাকরির আবেদন ফি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার।

বুধবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সচিব কমিটির সভা শেষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

সিনিয়র সচিব জানান, বিসিএস মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ২০০ থেকে কমিয়ে ১০০ করা হয়েছে। আর বিসিএসসহ সব সরকারি চাকরির আবেদন ফি ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া সরকারি, আধাসরকারি, ব্যাংক ও বিমা প্রতিষ্ঠান চাকরির আবেদনে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা পর্যন্ত নিতে পারবে।

এদিকে, গত ২৮ নভেম্বর ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেখানে আবেদন ফি আগের মতো ৭০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত প্রার্থী, প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য আবেদন ফি ধরা হয় ১০০ টাকা। তবে এর কয়েক ঘণ্টা পর আবেদন ফি কমানোর ঘোষণা দেয় পিএসসি।

৪৭তম বিসিএসের মাধ্যমে তিন হাজার ৪৮৭টি ক্যাডার ও নন-ক্যাডারের ২০১টি পদে নিয়োগ দেয়া হবে। আগামী ১০ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় শুরু হবে আবেদন। তা চলবে ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। এবার সর্বনিম্ন ২১ বছর এবং সর্বোচ্চ ৩২ বছর বয়সিরা বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

আরও পড়ুন:
সরকারি চাকরি: পৌনে ৫ লাখ শূন্য পদ পূরণে চিঠি

মন্তব্য

p
উপরে