× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
In Chittagong two children were injured due to rains and landslides
google_news print-icon

চট্টগ্রামে বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে শিশুর মৃত্যু, মাটিচাপায় আহত দুই

চট্টগ্রামে-বর্ষণ-ও-পাহাড়ি-ঢলে-শিশুর-মৃত্যু-মাটিচাপায়-আহত-দুই
টানা বর্ষণে ডুবে গেছে বাঁশখালীর বাড়িঘর। ছবি: নিউজবাংলা
বাঁশখালীতে শুক্রবার রাত থেকে শনিবার বিকেল পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। উপজেলার পুকুরিয়া, সাধনপুর, কালীপুর, বৈলছড়ি, কাথরিয়া, জলদী, শীলকূপ, চাম্বল, পুঁইছড়ি এলাকায় পাহাড়ি ঢলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে উপজেলার নিম্নাঞ্চল। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার লোকজন।

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলের পানিতে ভেসে গিয়ে নোহান মিয়া নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার দুপুরে উপজেলার পুঁইছড়ি ইউনিয়নের পূর্ব পুঁইছড়ি গজিনিয়া পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ১২ বছর বয়সী নোহান একই এলাকার আমিন হোসেনের ছেলে।

পুঁইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারেকুর রহমান বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে পাহাড়ি ঢলে আজ শনিবার দুপুর নাগাদ এক শিশু নিখোঁজের খবর পাই। খোঁজাখুঁজির পর শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।’

এদিকে ভারী বর্ষণে সাধনপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থান প্লাবিত হয়েছে। পানিতে ৬ নম্বর ওয়ার্ড মাস্টার পাড়ায় একটি মাটির ঘর সম্পূর্ণ ভেঙে মাটিচাপায় দুটি ছাগল এবং হাঁস-মুরগি মারা গেছে। আহত হয়েছেন গৃহস্বামী ভূপতি দে কালু ও তার স্ত্রী জয়শ্রী দে। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

চট্টগ্রামে বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে শিশুর মৃত্যু, মাটিচাপায় আহত দুই
বর্ষণে ধসে পড়েছে মাটির ঘর। আহত দম্পতি হাসপাতালে। ছবি: নিউজবাংলা

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কেএম সালাউদ্দিন কামাল বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে সকাল থেকে বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করি। স্থানীয় একটি কাঁচা মাটির বাড়ি চাপা পড়ে দুজন আহত হয়। তাদের চিকিৎসার জন্য বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।’

বাঁশখালীতে শুক্রবার রাত থেকে শনিবার বিকেল পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। উপজেলার পুকুরিয়া, সাধনপুর, কালীপুর, বৈলছড়ি, কাথরিয়া, জলদী, শীলকূপ, চাম্বল, পুঁইছড়ি এলাকায় পাহাড়ি ঢলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে উপজেলার নিম্নাঞ্চল। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার লোকজন।

সরেজমিনে দেখা যায়, টানা বৃষ্টির ফলে উপজেলার সাধনপুর, কালীপুরের গুনাগরি পয়েন্ট ও বৈলছড়ি বাজার, পৌরসভার বাঁশখালী প্রধান সড়ক উপচে পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবাহিত হয়। এতে হাজারো পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। অনেকের বসতঘর তলিয়ে যায়। তলিয়ে যায় পূর্ব বাঁশখালীর বিভিন্ন গ্রামের চলাচলের সড়কগুলো। পাশাপাশি মসজিদ, মাদরাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও তলিয়ে যায়।

অধিকাংশ মাছের খামার ও পুকুর তলিয়ে গিয়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে মৎস্য খামারিরা। পানি নিষ্কাশনের খালগুলো দখল, দূষণ এবং অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে এমন অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার বলেন, ‘পুঁইছড়ি ইউনিয়নে এক শিশুর মৃত্যুর খবর স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে অবগত হয়েছি। প্রতিটি ইউনিয়নের খবর রাখছি।’

আরও পড়ুন:
তিন বিভাগে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণের আভাস
পাহাড় ধসে বান্দরবান-থানচি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
পাহাড়ধস: কক্সবাজারে এক দিনে নিহত চার, আহত তিন
কক্সবাজারে পাহাড় ধসের তিন ঘটনায় শিশু ও দুই নারীর মৃত্যু
কক্সবাজারে পাহাড় ধসে শিশুসহ দুজন নিহত

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
6 traders fined in Tangail for using banned polythene

নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার করায় টাঙ্গাইলে ৬ ব্যবসায়ীকে জরিমানা

নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার করায় টাঙ্গাইলে ৬ ব্যবসায়ীকে জরিমানা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার ও মোহাইমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে রোববার দুপুরে অভিযান পরিচালনা করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা
ম্যাজিস্ট্রেট জানান, নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার ও মূল্য তালিকা না থাকায় ব্যবসায়ীদের জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে মনোরঞ্জন ও মো. আলমগীরকে পাঁচ হাজার টাকা করে, মো. আলিম, দীপক ও মো. রানাকে দুই হাজার টাকা করে এবং দীপককে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। ভোক্তাঅধিকার ও পরিবেশ আইনে তাদের এ জরিমানা করা হয়। 

টাঙ্গাইলের সন্তোষ বাজারে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার করায় ছয় ব্যবসায়িকে ১৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানার পাশাপাশি ৪৪ কেজি পলিথিন জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার ও মোহাইমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে রোববার দুপুরে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

ওই সময় পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক তুহিন আলম, সদর উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও খাদ্য পরিদর্শক সাহেদা বেগমসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ম্যাজিস্ট্রেট জানান, নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার ও মূল্য তালিকা না থাকায় ব্যবসায়ীদের জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে মনোরঞ্জন ও মো. আলমগীরকে পাঁচ হাজার টাকা করে, মো. আলিম, দীপক ও মো. রানাকে দুই হাজার টাকা করে এবং দীপককে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। ভোক্তাঅধিকার ও পরিবেশ আইনে তাদের এ জরিমানা করা হয়।

তিনি আরও জানান, অন্য ব্যবসায়ী ও সাধারণ ক্রেতাদের পলিথিন বেচাকেনা না করার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
পলিথিন ব্যাগ বন্ধে ৩ নভেম্বর থেকে কঠোর অভিযান 
১ নভেম্বর থেকে পলিথিন ব্যাগ বন্ধে কঠোর মনিটরিং
পলিথিন ব্যাগমুক্ত বাজারকে পুরস্কৃত করার ঘোষণা
টাঙ্গাইলে বাস-ট্রাক সংঘের্ষ নিহত চার, আহত ১০
১ নভেম্বর থেকে পলিথিন নিষিদ্ধ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Strict campaign to ban polythene bags from November 3 

পলিথিন ব্যাগ বন্ধে ৩ নভেম্বর থেকে কঠোর অভিযান 

পলিথিন ব্যাগ বন্ধে ৩ নভেম্বর থেকে কঠোর অভিযান  রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও আশপাশের বিভিন্ন সুপারশপে শুক্রবার তদারকি কার্যক্রম চালানোর সময় বক্তব্য দেন পরিবেশ মন্ত্রণালয় গঠিত মনিটরিং টিমের আহ্বায়ক অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ) তপন কুমার বিশ্বাস। ছবি: পরিবেশ মন্ত্রণালয়
পরিবেশ মন্ত্রণালয় গঠিত মনিটরিং টিমের আহ্বায়ক অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ) তপন কুমার বিশ্বাস ওই সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষায় ৩ নভেম্বর হতে পলিথিন শপিং ব্যাগের উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে সকল জেলা প্রশাসক এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’ 

নিষিদ্ধঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার বন্ধে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ অধিদপ্তর গঠিত মনিটরিং কমিটির উদ্যোগে তদারকি চালানো হয়েছে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও আশপাশের বিভিন্ন সুপারশপে শুক্রবার এ কার্যক্রম চালানো হয়।

মনিটরিং কমিটির সদস্যরা বাজার করতে আসা মানুষকে পলিথিন ব্যবহার না করে পাট ও কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহারের অনুরোধ জানান। একই সঙ্গে দোকানিদের পলিথিনের ব্যাগ ব্যবহার বন্ধে নির্দেশনা দেয়া হয় এবং পরবর্তী অভিযানে পলিথিনের ব্যাগ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ার করে দেন।

পরিবেশ মন্ত্রণালয় গঠিত মনিটরিং টিমের আহ্বায়ক অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ) তপন কুমার বিশ্বাস ওই সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষায় ৩ নভেম্বর হতে পলিথিন শপিং ব্যাগের উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে সকল জেলা প্রশাসক এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘১ ও ২ নভেম্বর সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় মোবাইল কোর্ট বন্ধ থাকলেও মনিটরিং কার্যক্রম চলমান থাকবে।’

এ কর্মকর্তা নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার বন্ধে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

ওই সময় পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং কমিটির সদস্য হিসেবে যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ রেজাউল করিম, উপসচিব রুবিনা ফেরদৌসী এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক রাজিনারা বেগম ও পরিচালক মোহাম্মাদ মাসুদ হাসান পাটোয়ারীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
সুপারশপে ১ অক্টোবর থেকে পলিথিন নিষিদ্ধ
পলিথিন বিক্রি করায় জরিমানা
প্লাস্টিক-পলিথিনকে জ্বালানিতে রূপান্তর!
৭ নভেম্বর দিনব্যাপী কর্মসূচি বিএনপির
রাস্তার স্থায়িত্ব বাড়াবে, খরচ কমাবে প্লাস্টিক-পলিথিন: চুয়েট গবেষণা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Heavy metal pollution in rivers of Bangladesh at alarming levels study

বাংলাদেশের নদ-নদীতে ভারী ধাতুর দূষণ ভয়ানক পর্যায়ে: গবেষণা

বাংলাদেশের নদ-নদীতে ভারী ধাতুর দূষণ ভয়ানক পর্যায়ে: গবেষণা বর্জ্যে পূর্ণ নদী। ছবি: ইউএনবি
গবেষণাটি দূষণ রোধে শক্তিশালী আইন এবং আরও কার্যকর প্রয়োগের জরুরি প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে।

গত দুই দশকে বাংলাদেশের নদ-নদীগুলোতে ভারী ধাতুর কারণে দূষণের মাত্রা আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে বলে নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে।

এসব দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং ক্ষতিপূরণের জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে ওই গবেষণা প্রতিবেদনে।

চলতি বছরের ১২ জুলাই এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড পলিউশন রিসার্চে প্রকাশিত এই গবেষণা প্রতিবেদনে ২০০১ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ১০টি ভারী ধাতুর (এএস, পিবি, সিডি, সিআর, এফই, এমএন, সিইউ, সিইউ, সিও, এনআই, জেডএন) দূষণের প্রবণতা পরীক্ষা করে দেশের জলপথের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরা হয়।

এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড পলিউশন রিসার্চ একটি অ্যাকাডেমিক জার্নাল। এটি জার্মানিভিত্তিক স্প্রিংগার নেচারের শাখা স্প্রিংগার প্রকাশ করে।

দেবাশীষ পণ্ডিত ও মোহাম্মদ মাহফুজুল হকসহ একদল বিশেষজ্ঞ প্রিজমা ক্রাইটেরিয়া অনুসরণ করে পদ্ধতিগতভাবে ৫৫টি নথি পর্যালোচনা করেন।

গবেষণার ফলে দেখা যায়, ২০০১-২০১০ সালে যে পরিমাণ দূষণ হয়েছিল, সেই তুলনায় গত দশকের (২০১১-২০২০) দূষণের মাত্রা অনেক খারাপ ছিল। লক্ষণীয় বিষয় হলো ঢাকার বুড়িগঙ্গা বাংলাদেশের সবচেয়ে দূষিত নদী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল

গবেষণায় প্রধানত তিনটি বিভাগের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে। সেগুলো হলো ঢাকা, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম। এসব এলাকার নদীগুলোর বেশির ভাগে ভারী ধাতুর উপস্থিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও), যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থা (ইউএসইপিএ) এবং বাংলাদেশের পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্ধারিত সীমা ছাড়িয়ে গেছে।

আর্সেনিক (এএস), সীসা (পিবি), ক্যাডমিয়াম (সিডি), ক্রোমিয়াম (সিআর), লোহা (এফই) ও ম্যাঙ্গানিজের (এমএন) গড় ঘনত্ব তিনটি ঋতুতেই গ্রহণযোগ্য সীমা ছাড়িয়ে যায়। আর গ্রীষ্মের মাসগুলোতে সর্বাধিক দূষণ হয়।

ট্যানারি, টেক্সটাইল ও ইলেক্ট্রোপ্লেটিং কারখানাসহ শিল্প কারখানার মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঢাকার প্রাণকেন্দ্র দিয়ে প্রবাহিত বুড়িগঙ্গা।

এসব শিল্প কারখানা ভারী ধাতুসম্পন্ন অপরিশোধিত বর্জ্য সরাসরি নদীতে ফেলে দেয়। এটি পরিবেশগত মারাত্মক সংকট তৈরি করে এবং যা বছরের পর বছর ধরে খারাপ হয়ে চলেছে।

দূষণের প্রধান উৎস

গবেষণায় ভারী ধাতু দূষণের একাধিক উৎস চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রাকৃতিক আবহাওয়া সম্পর্কিত প্রক্রিয়াগুলোর পাশাপাশি মানবসৃষ্ট কর্মকাণ্ড অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

কৃষি থেকে সার ও কীটনাশক, খনন, ইলেকট্রোপ্লেটিং, বস্ত্রশিল্প, কয়লা খনি ও শিল্প বর্জ্য, যেমন ব্যাটারি ও রং নদীর পানির দূষণের গুরুত্বপূর্ণ কারণ।

এসব দূষক বাস্তুতন্ত্রে জমা হয়, যা জলজ জীববৈচিত্র্য, মানব স্বাস্থ্য ও পরিবেশকে হুমকির মুখে ফেলে।

জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান

গবেষণাটি দূষণ রোধে শক্তিশালী আইন এবং আরও কার্যকর প্রয়োগের জরুরি প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে।

এসব দূষণ রোধে সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে পানিসম্পদ রক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে শিল্প সংশ্লিষ্ট ও জনগণকে শিক্ষিত করতে অব্যাহত পর্যবেক্ষণ, ব্যাপক গবেষণা এবং সচেতনতামূলক প্রচার।

বিশেষজ্ঞরা নদী অববাহিকা পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনায় একটি সমন্বিত পদ্ধতির আহ্বান জানিয়েছেন, যা টেকসই সমাধানের দিকে মনোনিবেশ করে।

দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে লাখ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের নদীগুলো অপূরণীয় ক্ষতির মুখে পড়তে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

গবেষণার অন্যতম গবেষক মৃত্যুঞ্জয় কুণ্ডু বলেন, ‘আমাদের নদীগুলোতে বিশেষ করে ঢাকার মতো অঞ্চলে উচ্চমাত্রার বিষাক্ত ভারী ধাতু জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষায় এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে।’

আরও পড়ুন:
ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’
রামপালের দূষণ সীমার মধ্যে কি না, মূল্যায়ন চলছে: পরিবেশ উপদেষ্টা
ধলেশ্বরীতে মেয়েকে সাঁতার শেখাতে গিয়ে বাবা-মেয়ে নিখোঁজ
পানির ন্যায্য হিস্যা পেতে ভারতের সঙ্গে বৈঠক শিগগিরই: রিজওয়ানা
বাড়ছে তিন বিভাগের নদ-নদীর পানি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Environment advisor calls for courage to protect forests

বন রক্ষায় সাহসের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার

বন রক্ষায় সাহসের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার বন ভবনে বৃহস্পতিবার ‘নদীর প্রাণ ডলফিন-শুশুক, নিরাপদে বেঁচে থাকুক’ প্রতিপাদ্যে আন্তর্জাতিক মিঠাপানির ডলফিন দিবস উপলক্ষে বিশেষ আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ছবি: পরিবেশ অধিদপ্তর
উপদেষ্টা বলেন, ‘বন রক্ষায় বন কর্মকর্তাদের সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। কাজের গতি বাড়াতে হবে এবং যেকোনো সমস্যা হলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাতে হবে।’ 

বন রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাহসের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

বন ভবনে বৃহস্পতিবার ‘নদীর প্রাণ ডলফিন-শুশুক, নিরাপদে বেঁচে থাকুক’ প্রতিপাদ্যে আন্তর্জাতিক মিঠাপানির ডলফিন দিবস উপলক্ষে বিশেষ আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

উপদেষ্টা বলেন, ‘বন রক্ষায় বন কর্মকর্তাদের সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। কাজের গতি বাড়াতে হবে এবং যেকোনো সমস্যা হলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাতে হবে।’

তিনি জানান, বন কর্মকর্তাদের সহায়তার জন্য তার দরজা সবসময় খোলা থাকবে।

ওই সময় তিনি ঝুঁকি ভাতা দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানান।

উপদেষ্টা বলেন, দেশীয় প্রজাতির গাছ লাগানো বন বিভাগের প্রধান দায়িত্ব।

গাছ কাটার বিরুদ্ধে যথাসময়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বনরক্ষীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

ডলফিনের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশের নদী ও জলাশয়ে মিঠাপানির ডলফিনের উপস্থিতি আমাদের পরিবেশের স্বাস্থ্য নির্দেশ করে। ডলফিন টিকিয়ে রাখতে নদী ও জলাশয়ের দূষণ রোধ এবং পানির প্রবাহ ঠিক রাখতে হবে।

‘এ ক্ষেত্রে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও সরকারের পদক্ষেপগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। ডলফিন রক্ষায় স্থানীয় জনগণকেও সম্পৃক্ত করতে হবে।’

পরিবেশ উপদেষ্টা অনুষ্ঠানে সাইটিস সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজড করার ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন।

তিনি ডলফিন জরিপের ফল ঘোষণা করেন।

এ সমীক্ষার ফলে প্রায় ৬৩৬টি দল বা ১ হাজার ৩৫২টি গাঙ্গেয় ডলফিনের উপস্থিতি নির্ধারণ করা হয়।

আরও পড়ুন:
কপ-২৯ সম্মেলনে যোগ দিতে পারেন প্রধান উপদেষ্টা
২৫২ এসআইকে অব্যাহতি রাজনৈতিক কারণে নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা 
শেখ হাসিনার পদত্যাগ মীমাংসিত বিষয়, বিতর্ক সৃষ্টি না করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
দুর্নীতি দমনে ডিজিটালাইজেশনে জোর প্রধান উপদেষ্টার
ঢাকায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে তিনশ’ শিক্ষার্থী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Cyclone Dana Shipping suspended in Hatia 

ঘূর্ণিঝড় দানা: হাতিয়ায় নৌ-চলাচল বন্ধ 

ঘূর্ণিঝড় দানা: হাতিয়ায় নৌ-চলাচল বন্ধ 
জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালী জেলায় ২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টিপাত কিছুটা বাড়তে পারে। এ কারণে ৩ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’-এ পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সঙ্গে জেলা সদরসহ সারা দেশের নৌ-যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

বুধবার দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় দানা: হাতিয়ায় নৌ-চলাচল বন্ধ

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘৩ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত চলার সঙ্গে সঙ্গে নৌ-যোগাযোগ বন্ধ রাখতে বলা আছে। একইসঙ্গে সাগরে মাছ ধরার নৌকাগুলোকে সতর্কতার সঙ্গে চলতে বলা হয়েছে।

অপরদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বুধবার ভোর থেকে নোয়াখালীর বিভিন্ন এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত শুরু হয়। তবে দুপুরে বৃষ্টিপাত বন্ধ হয়ে যায়।

জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালী জেলায় ২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কিছুটা বাড়তে পারে। এ কারণে ৩ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ কোন বন্দর থেকে কত দূরে
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’য় রূপ নিল গভীর নিম্নচাপটি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Evacuation of illegal structures in Gulshan Lake

গুলশান লেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

গুলশান লেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ গুলশান লেক ও সংলগ্ন স্থানে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে মঙ্গলবার অভিযান চালায় রাজউক ও পরিবেশ অধিদপ্তর। ছবি: নিউজবাংলা
পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের নির্দেশনায় মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা, তৎসংলগ্ন নার্সারি, টিনশেড রুম ও ইকোলজিক্যালি ক্রিটিক্যাল এরিয়া ঘোষিত গুলশান-বারিধারা লেক দখলমুক্ত করা হয়।

সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রাজধানীর গুলশান লেকের ওপর এবং তৎসংলগ্ন স্থানে নির্মিত অস্থায়ী স্থাপনা উচ্ছেদে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও পরিবেশ অধিদপ্তর যৌথ অভিযান চালিয়েছে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের বিশেষ নির্দেশনায় মঙ্গলবার এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে লেক দখলের উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা, তৎসংলগ্ন নার্সারি, টিনশেড রুম ও লেকের মধ্যে জমি দখলের জন্য পুঁতে রাখা বাঁশ ও নেট উচ্ছেদ এবং ইকোলজিক্যালি ক্রিটিক্যাল এরিয়া ঘোষিত গুলশান-বারিধারা লেক দখলমুক্ত করা হয়।
উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুজ্জামান।
এ সময় পরিবেশ অধিদপ্তর সদর দপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট উইংয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়জুন্নেছা আক্তারসহ পরিবেশ অধিদপ্তর, ঢাকা মহানগর কার্যালয় টিম, রাজউক টিম এবং গুলশান সোসাইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ইসরাত জাহান উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
ফের বেদখলে সিলেটের সড়ক ফুটপাত, উচ্ছেদে সিসিক
সাদিক এগ্রোর পুরো খামার গুঁড়িয়ে দিল ডিএনসিসি
খাল উদ্ধারে অনড় ডিএনসিসি, চলছে উচ্ছেদ অভিযান
কালিয়াকৈরে উচ্ছেদ নিয়ে ভূমিহীন-বন বিভাগের কমীদের সংঘর্ষ
মানিকগঞ্জে যানজট নিরসনে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Low pressure over the ocean may turn into a cyclone with rain forecast tomorrow

সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে, কাল থেকে বৃষ্টির পূর্বাভাস

সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে, কাল থেকে বৃষ্টির পূর্বাভাস
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত তিনদিন সারা দেশে বৃষ্টিপাত হতে পারে। এর মধ্যে উপকূলের জেলাগুলোতে বুধবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যান্য জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর আন্দামান সাগর এলাকায় সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এর প্রভাবে আগামীকাল বুধবার থেকে টানা তিনদিন সারা দেশে বৃষ্টিপাত হতে পারে।

লঘুচাপটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর এবং ঘণীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর এবং ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।

মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর এসব তথ্য জানিয়েছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত তিনদিন সারা দেশে বৃষ্টিপাত হতে পারে।

উপকূলের জেলাগুলোতে বুধবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যান্য জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে- খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা এক থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।

আগামী বৃহস্পতিবার সাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা থাকায় বৃহস্পতি ও শুক্রবার দেশের অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারি বৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এই কয়েকদিন উপকূলে ভারী বৃষ্টির আভাস রয়েছে। একইসঙ্গে বাতাসের গতি বেশি থাকতে পারে। এছাড়া দেশের উত্তরাঞ্চল ও ঢাকা জেলায় বৃষ্টি হতে পারে।

আরও পড়ুন:
সব বিভাগে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ
দুই বিভাগ ও চার জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ
তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
দেশজুড়ে ঝড় বৃষ্টির আভাস, কমতে পারে রাতের তাপমাত্রা
দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে সারা দেশে

মন্তব্য

p
উপরে