বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে বান্দরবান সচেতন নাগরিক সমাজ। এছাড়া পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লার বাসভবনেও তালা লাগিয়ে দেয়া হয়েছে।
জেলা পরিষদের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান ধর্মঘট পালন করছে সচেতন নাগরিক সমাজ।
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠন এবং চেয়ারম্যান ও সদস্যদের পদত্যাগ দাবিতে বান্দরবান সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে এই ধর্মঘট পালিত হচ্ছে। এ অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে পার্বত্য জেলা পরিষদ কার্যালয়ে ঢুকতে না পেরে মূল ফটক থেকে ফিরে যান মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুম বিল্লাহ, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জিয়াউর রহমানসহ পরিষদের বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ অবস্থায় পার্বত্য জেলা পরিষদে ন্যস্ত ২৮টি বিভাগসহ জেলা পরিষদের কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
সচেতন নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দ বলেন, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা দুর্নীতি-অনিয়ম চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। সাধারণ জনগণ এসব জায়গা থেকে কোনো সেবা পাচ্ছে না। বৈষম্যমূলক নিয়োগ, ভুয়া প্রকল্প বানিয়ে সরকারি টাকা আত্মসাৎসহ নানামুখী দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে পার্বত্য এই প্রতিষ্ঠান।
বর্তমান পরিস্থিতিতে পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা পলাতক রয়েছেন। তবে অবৈধ উপায় অবলম্বন করে যেসব অপকর্ম ও দুর্নীতি চলেছে সেগুলো বৈধ করতে তিনি অফিসে না এসেও আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় সরকারি ফাইলে স্বাক্ষর করে যাচ্ছেন।
ফাইলে স্বাক্ষর করা বন্ধ করে অতি দ্রুত বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য পরিবর্তন করে নতুন চেয়ারম্যান-সদস্য নিয়োগের দাবি জানানো হয়েছে।
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মজিবর রহমান বলেন, ‘বান্দরবানের সচেতন নাগরিক সমাজসহ এই দাবি বান্দরবানবাসী সবার। তাই অতি দ্রুত বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের দুর্নীতিগ্রস্ত চেয়ারম্যান ও সদস্য পরিবর্তন করতে হবে। তাহলেই কেবল অবস্থান ধর্মঘট তুলে নেয়া হবে।
পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘গতকালও (সোমবার) লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। পার্বত্য উপদেষ্টাকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।’
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে চারজন নিহত ও ১০ জনের মতো আহত হয়েছেন।
উপজেলার এলেঙ্গা লিংক রোডের সামনে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় হতাহত লোকজনের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
এলেঙ্গা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নান্নু খান জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে এলেঙ্গা লিংক রোডের সামনে গতকাল রাত দুইটার দিকে বাস-ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন বাসের চার যাত্রী।
তিনি আরও জানান, আহত যাত্রীদের টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়েছে, যাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে খবর পাওয়া গেছে।
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মেঘনা নদী সংলগ্ন ঘাসিয়া চরে দিনদুপুরে হঠাৎই বাড়িতে হানা দিয়েছে বিশাল এক কুমির। বাড়ির খোঁয়াড়ের হাঁস-মুরগির লোভে প্রাণীটি সেখানে আসে বলে ধারণা স্থানীয়দের। এরপর আতঙ্কিত লোকজনের চিৎকারে কুমিরটি বাড়ির লাগোয়া পুকুরে নেমে পড়ে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের মেঘনা নদীর চরঘাসিয়া গ্রামের চর ঘাসিয়ায় মজিবুল পাঠান বাড়ির পুকুর থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় বন বিভাগের কর্মীরা কুমিরটি উদ্ধার করেন।
বাড়ির কর্তা শাহ আলম মাঝি জানান, কুমিরটিকে তাদের বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে। বুধবার ভোরে কুমিরটি বসতবাড়ির পুকুরে নেমে যায়। সারাদিন ওই পুকুরেই ছিল। পরে রাতে কুমিরটি তাদের হাঁস-মুরগি খেতে খোঁয়াড়ে হানা দেয়। তখন স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় সেখান থেকে কুমিরটি ধরে ফেলা হয়। বন বিভাগের লোকজন এসে কুমিরটি নিয়ে যায়।
উপজেলা বন বিভাগের রেঘ্হ সহকারী মতিয়ুর রহমান জানান, কুমিরটি বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের কাছে হস্তান্তর করা হবে। সাম্প্রতিক বন্যার সময় থেকে দু’মাস ধরে কুমিরটি মেঘনা নদীর চান্দারখাল এলাকায় বিচরণ করছিলো। নদীতে আরও কয়েকটি কুমির আছে বলে স্থানীয় জেলেরা দাবি করেছেন।
রায়পুর উপজেলা বন কর্মকর্তা চন্দন ভৌমিক জানান, উদ্ধার করা কুমিরটি জেলার সহকারী বন সংরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। রাতে কুমিরটি ঢাকায় পাঠানো হবে।
সুনামগঞ্জের ছাতকে আশি বছরের বেশি বয়সী এক পীর খুন হয়েছেন। সকালে নিজ গ্রাম সৈদেরগাঁওয়ের (ধারণ) বাড়িতে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ওই পীরের নাম সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ওরফে আব্দুল হান্নান পীর।
গ্রামের লোকজন জানান, বয়োজ্যেষ্ঠ এই পীর বাড়ির সামনের দিকের একটি ঘরে প্রতিদিন ফজরের নামাজ পড়ে এসে বসতেন। অনেকে তার কাছ থেকে এসে পানিপড়াও নিতেন।
আব্দুল হান্নান পীর প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবারও ফজরের নামাজের পর ওই ঘরে এসে বসেছিলেন। ওই সময় দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেটে নিয়ে যাওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।
আব্দুল হান্নান পীরের মৃত্যুর খবর শুনে ভক্ত-শুভানুধ্যায়ীরা তার বাড়ির সামনে ভিড় জমান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসাইন জানান, ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন আব্দুল হান্নান পীর। কারা, কেন তাকে হত্যা করলো এ বিষয়ে জানার জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ কাজ করছে।
আরও পড়ুন:সিলেটের বিয়ানীবাজারে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক হযরত আলী হত্যা মামলায় পাঁচজনের ফাঁসির রায় দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৪ এর বিচারক শায়লা শারমিন এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের রওশন আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম, দক্ষিণ সুনামগঞ্জের বাদশা মিয়ার ছেলে সুমন আহমদ, ফজিল বারীর ছেলে শিপু মিয়া, মুসুক মিয়ার ছেলে জাকারিয়া মুন্ন ও হরমুজ আলীর ছেলে রুহল আমিন। সাজাপ্রাপ্তরা সবাই পলাতক রয়েছেন।
মামলা বিবরণে জানা গেছে, ২০১৪ সালেন ১৭ আগস্ট দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক হযরত আলীকে নিয়ে সিলেট থেকে বিয়ানীবাজারে যান। সেখানে রাত ১১টার দিকে কৌশলে তাকে ছুরিকাঘাত করে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যান তারা। পরদিন নিহতের ভাই শুক্কুর আলী বিয়ানীবাজার থানায় মামলা করেন। হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘ দশ বছর পর বৃহস্পতিবার পাঁচজনের ফাঁসির রায় দিয়েছে আদালত।
হযরত আলীর বাড়ি সুনামগঞ্জ সদর থানার জাহাঙ্গীর নগর গ্রামে হলেও তিনি দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ সুরমা থানার আলমপুর এলাকায় বসবাস করতেন। তার পেটসহ শরীরের ১৭ জায়গায় জখম ছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে শুক্কুর আলী বলেন, ‘আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। দীর্ঘ দশ বছর পর ভাই হত্যার বিচার পেয়ে আমরা সন্তুষ্ট। তবে আসামিরা এখনও পলাতক। তাদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে ফাঁসি কার্যকর করার দাবি জানাচ্ছি।’
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘এই রায় সিলেটের জন্য একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। বিজ্ঞ আদালত যুক্তিতর্ক শেষে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরই এই রায় দিয়েছেন। আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট।’
বাদীপক্ষের আইনজীবী জায়েদা বেগম জানান, মামলায় ১২ জনের সাক্ষ্য-প্রমাণ দেয়া হয়েছে। নিহত হযরত আলীকে ছুরিকাঘাত করে ফেলে যাওয়ার পর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে। সে সময় তিনি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের নাম উল্লেখ করে যান। আদালত যুক্তি-তর্ক শেষে ৩০২/৩৪ ধারায় এ রায় দিয়েছেন। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট।’
আরও পড়ুন:মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় আনলোডিং ড্রেজার দিয়ে যুবলীগ নেতার বালু উত্তোলনের কারণে পানির চাপে একটি সড়ক ভেঙে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
তারা জানান, বাঁশগাঁও-নয়ানগর সড়কের একাংশ ভেঙে যাওয়ায় উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন পাঁচ গ্রামের অন্তত ৩০ হাজার মানুষ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মুন্সীগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক সহসভাপতি ভুলু মুন্সীসহ আরও কয়েকজন ড্রেজার দিয়ে বালু ভরাটের ব্যবসা করার কারণে রাস্তাটি ভেঙে যায়।
ঘটনাস্থলে মঙ্গলবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, বাঁশগাঁও-নয়ানগর সড়কের বাঁশগাঁও কবরস্থানের আনুমানিক ১৫০ ফুট সামনে সড়কটির ৩০ ফুটের মতো অংশ ভেঙে পাশের খালে পড়েছে। ওই সময় কয়েকজন মানুষকে রাস্তা মেরামতের কাজ করতে দেখা যায়।
মেরামতে আসা লোকজন জানান, ভুলু মুন্সী তাদের রাস্তা মেরামতের কাজ করতে পাঠান।
সড়কটি মেরামতের কাজ করা শ্রমিক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘ভুলু ভাই আমাদের রাস্তাটি মেরামত করতে বলেছেন। তিনি যাবতীয় সকল মালামাল কিনে দিয়েছেন।
‘আমরা শুধু তার হুকুম বাস্তবায়ন করছি। এ ব্যাপারে আমরা কিছু বলতে পারব না।’
খবর নিয়ে জানা যায়, গজারিয়া ইউনিয়নের নয়ানগর, বালুরচর, মিয়াবাড়ী, গজারিয়া ও গোসাইরচর গ্রামের অন্তত ছয় থেকে সাত হাজার মানুষ প্রতিদিন সড়কটি ব্যবহার করত। বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের গজারিয়া ডকইয়ার্ড ও বেইজ এবং গজারিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাও এটি। রাস্তাটি বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন চলাচলকারীরা।
কী বলছেন স্থানীয়রা
স্থানীয় কয়েকজন জানান, সম্প্রতি মুন্সীগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক সহসভাপতি ভুলু মুন্সীসহ আরও কয়েকজন ড্রেজার দিয়ে বালু ভরাটের ব্যবসা শুরু করেন। গজারিয়া গ্রামের বেনজিরসহ আরও কয়েকজনের জমিতে বালু ফেলার পর পানির চাপে সড়কটির একাংশে ফাটল ধরে। পানির চাপ আরও বাড়তে থাকলে শনিবার রাতে সড়কের অংশটি ভেঙে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা স্বপন প্রধান বলেন, ‘শনিবার রাতের কোনো এক সময় পানির চাপে রাস্তাটি ভেঙে যায়। তারপর থেকে কয়েকটি গ্রামের মানুষ রীতিমতো যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।
‘রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ার কারণে কাদা-পানি মাড়িয়ে আমাদের চলাচল করতে হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব রাস্তাটি মেরামত করা দরকার।’
নয়ানগর গ্রামের বাসিন্দা ও গজারিয়া পাইলট মডেল হাই স্কুলের শিক্ষার্থী সিয়াম বলে, ‘রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ার কারণে আমাদের স্কুলে যেতে সমস্যা হচ্ছে। বিকল্প পথে গজারিয়া বাজার ঘুরে স্কুলে যেতে ভাড়া ও সময় বেশি লাগে।’
যুবদল নেতা ও এলজিইডির ভাষ্য
অভিযোগের বিষয়ে যুবদল নেতা ভুলু মুন্সী বলেন, ‘ড্রেজার ব্যবসার সঙ্গে আমি জড়িত না।’
ভেঙে যাওয়া সড়ক কেন সংস্কার করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওই রাস্তা দিয়ে আমার কিছু পাথর যাবে। রাস্তা ভেঙে পড়েছে। পাথর নিতে পারছি না। তাই নিজের স্বার্থে কোস্ট গার্ডের সঙ্গে মিলে রাস্তাটি সংস্কার করছি।’
ভাঙা সড়কের বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) গজারিয়া উপজেলা প্রকৌশলী সামিউল আরেফিন বলেন, ‘সড়ক ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি আমরা জেনেছিলাম। এরপর সেই সড়কটি সংস্কার করার জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্যকে বলা হয়েছে, তবে সড়কটি বালু ভরাটের পানির কারণে রাস্তাটি ভেঙেছে, এমনটা আমাদের জানা ছিল না। আমরা বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।’
আরও পড়ুন:দেশজুড়ে চলমান বৃষ্টির আবহ সহসাই বন্ধ হচ্ছে না। আরও সাতদিন অর্থাৎ চলমান অক্টোবর মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত মোটামুটি সারা দেশেই হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বৃহস্পতিবার দেয়া পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানিয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সে সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আবহাওয়া বার্তায় আরও বলা হয়েছে, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। বাংলাদেশ ও তৎসংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।
মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামের আনোয়ারায় বৃহস্পতিবার পাহাড়ে কাঠ কাটতে গিয়ে এক নারীর খণ্ডিত মরদেহ পেয়েছেন স্থানীয় লোকজন।
উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর এলাকায় চায়না ইকোনমিক জোন এলাকায় মরদেহটি পান তারা।
ওই নারীর পরনে টি-শার্ট ও প্যান্ট ছিল। তার হাতে ছিল ট্যাঁটু আঁকা। পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘এলাকার ছেলেরা কাঠ কাটতে পাহাড়ে গেলে খাদে লাশটি দেখতে পায়ে আমাকে খবর দেয়। আমি পুলিশকে জানালে লাশটি উদ্ধার করে মর্গে নিয়ে যায়।
‘লাশের দুইটি পা নেই। ধারণা করা হচ্ছে দুই-তিন দিন আগে পাহাড়ে শিয়াল, কুকুরে পা খেয়ে ফেলেছে।’
আনোয়ারা সার্কেলের সহকারী কমিশনার সোহানুর রহমান সোহাগ বলেন, ‘জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমরা লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছি। লাশের পরিচয় শনাক্ত ও ঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য