বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক পদে নিয়োগের ২৩ দিনের মাথায় পদত্যাগ করলেন অধ্যাপক হারুন-উর-রশীদ আসকারী। গত ১৮ জুলাই বাংলা বাংলা একাডেমিতে কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন তিনি।
শনিবার বাংলা একাডেমির জনসংযোগ উপবিভাগের উপ-পরিচালক নার্গিস সানজিদা সুলতানা সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান।
চলতি বছরের ১৮ জুলাই এক প্রজ্ঞাপনে তিনি বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক পদে নিযুক্ত হন। আর দায়িত্ব গ্রহণ করেন ২৪ জুলাই।
চট্টগ্রামে ১৮ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) ৩০ পুলিশ কর্মকর্তাকে একযোগে বদলি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৩ জন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ও পাঁচজন জেলার বিভিন্ন থানার ওসি।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে রোববার এই বদলির আদেশ জারি হয়।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) ১৩ ওসির মধ্যে খুলশী থানার কবিরুল ইসলাম ও কর্ণফুলী থানার জহির হোসেনকে পিবিআই, চান্দগাঁও থানার ওসি জাহিদুল কবীর ও পাহাড়তলী থানার কেপায়েত উল্লাহকে টুরিস্ট পুলিশ; কোতোয়ালির এসএম ওবায়দুল হক, আকবরশাহ থানার গোলাম রব্বানী, চকবাজার থানার ওয়ালী উদ্দিন আকবর ও হালিশহর থানার কায়সার হামিদকে নৌ-পুলিশে এবং পাঁচলাইশ থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা, সদরঘাট থানার ফেরদৌস জাহান, ডবলমুরিং থানার ফজলুল কাদের পাটোয়ারী, বন্দর থানার মনজুর কাদের মজুমদার ও ইপিজেড থানার মোহাম্মদ হোছাইনকে সিআইডিতে বদলি করা হয়েছে।
জেলার ১৭ পরিদর্শকের মধ্যে রয়েছেন- সীতাকুণ্ড থানার কামাল উদ্দিন, ভুজপুর থানার মো. কামরুজ্জামান, রাঙ্গুনিয়া থানার চন্দন কুমার চক্রবর্ত্তী, দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার মীর্জা মো. হাছান ও জোরারগঞ্জ থানার আব্দুল্লাহ আল হারুন।
তাদের মধ্যে কামাল উদ্দিন, মীর্জা হাছান ও আব্দুল্লাহ আল হারুনকে সিআইডি এবং কামরুজ্জামান ও চন্দন কুমার চক্রবর্ত্তীকে পিবিআইতে বদলি করা হয়েছে।
অন্যদের মধ্যে গত ২ সেপ্টেম্বর প্রত্যাহার হওয়া ফটিকছড়ি থানার ওসি মীর নুরুল হুদা, হাটাহাজারি থানার মো. মনিরুজ্জামান, মিরসরাই থানার সহিদুল ইসলামকে পিবিআই; রাউজান থানার জাহিদ হোসেন ও বাঁশখালী থানার তোফায়েল হোসেনকে টুরিস্ট পুলিশে; আনোয়ারা থানার ওসি মোল্লা জাকির হোসেনকে রেল পুলিশে বদলি করা হয়েছে।
এছাড়া পটিয়া থানার ওসি জসীম উদ্দিন, চন্দনাইশের ওবায়দুল ইসলাম, সাতকানিয়ার মিজানুর রহমান, বোয়ালখালী থানার আছহাব উদ্দিন, সন্দ্বীপ থানার কবির হোসেনকে সিআইডিতে বদলি করা হয়েছে।
এদিকে থানা থেকে আসামি পালানোর ঘটনায় সোমবার প্রত্যাহার হওয়া লোহাগাড়া থানার ওসি রাশেদুল ইসলামকেও সিআইডিতে বদলি করা হয়েছে।
বদলি হওয়া কর্মকর্তাদের ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদের ছাড়পত্র নিয়ে বদলি করা ইউনিটে যোগ দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নতুন মহাপরিচালক হয়েছেন নাট্যনির্দেশক ও শিক্ষক সৈয়দ জামিল আহমেদ।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সোমবার এই নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এই নাট্য ব্যক্তিত্ব ১৯৭৮ সালে ভারতের ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ১৯৮৯ সালে ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ ওয়ারউইক থেকে থিয়েটার আর্টস থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৭ সালে অর্জন করেন পিএইচডি ডিগ্রি।
ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা। ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে এই বিভাগেই তিনি শিক্ষকতা করছেন।
ইংরেজিতে প্রকাশিত তার আলোচিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে- ‘অচিনপাখি ইনফিনিটি; ইনডিজেনাস থিয়েটার ইন বাংলাদেশ’, ‘ইন প্রেইজ অফ নিরঞ্জন; ইসলাম থিয়েটার অ্যান্ড বাংলাদেশ’, ‘রিডিং এগেইনস্ট দ্য ওরিয়েন্টালিস্ট গ্রেইন; পারফর্মেন্স অ্যান্ড পলিটিকস এন্টুইনড উইথ আ বুড্ডিস্ট স্ট্রেইন এবং এপ্লাইড থিয়েট্রিক্স; এসেস ইন রিফিউসাল’।
মঞ্চনাটক, প্রায়োগিক মঞ্চনির্দেশনা, লোককথা ও সংস্কৃতি অধ্যয়নের ওপর ড. জামিল আহমেদের লেখা ষাটটিরও বেশি একাডেমিক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে বাংলা, ইংরেজি, ফরাসি, নরওয়েজিয়ান, রাশিয়ান, চীনা ও কোরিয়ান ভাষায়।
নাট্যজন সৈয়দ জামিল আহমেদ ১৯৫৫ সালের ৭ এপ্রিল ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেছেন। ১৯৭১ সালে ষোলো বছর বয়সে তিনি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন।
আরও পড়ুন:অধস্তন আদালতের ২২৪ বিচারককে বদলি, পদায়ন ও প্রেষণে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
পদোন্নতি দিয়ে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পদমর্যাদার ছয়জনকে জেলা ও দায়রা জজ এবং যুগ্ম জেলা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পদে ২৩ জনকে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে।
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে সোমবার এ বিষয়ে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এছাড়াও আইন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. গোলাম রব্বানীকে আইন ও বিচার বিভাগের সচিবের চলতি দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এর আগে মো. গোলাম রব্বানী সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
কুষ্টিয়ার জেলা ও দায়রা জজ রুহুল আমীনকে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব পদে প্রেষণে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
বদলি হওয়া বিচারকদের মধ্যে জেলা ও দায়রা জজ পদমর্যাদার ৫২জন, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পদমর্যাদার ৪৮ জন (তাদের মধ্যে দুজন প্রেষণে), যুগ্ম জেলা জজ পদপদমর্যাদার ৯ জন, সিনিয়র সহকারী জজ ও সহকারী জজ পদমর্যাদার ১১৪ জন এবং একজনকে মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন ও বিচার বিভাগের উপসচিব (প্রশাসন-১) মোহাম্মদ ওসমান হায়দারের স্বাক্ষরে এসব প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। বদলি ও পদায়নের প্রজ্ঞাপন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে।
বদলি ও পদায়নকৃত এসব বিচারকদের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত নির্দিষ্ট সময় ও পরবর্তী জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা কিংবা প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত জেলা ও দায়রা জজ, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/দপ্তর প্রধান মনোনীত কর্মকর্তার কাছে বর্তমান পদের দায়িত্বভার অর্পণ করে অবিলম্বে নতুন কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া প্রশিক্ষণ/ছুটিতে থাকা বিচারকদের প্রশিক্ষণ/ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগদানের তারিখে বর্তমান পদের দায়িত্বভার অর্পণ করে অবিলম্বে নতুন কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক (ডিজি) হলেন লেখক ও অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজম।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মুহাম্মদ ইব্রাহীম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলা একাডেমি আইন, ২০১৩ এর ধারা ২৬ (২) এবং ধারা ২৬ (৩) অনুযায়ী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজমকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী তিন বছর মেয়াদে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক পদে নিয়োগ প্রদান করা হলো।
মোহাম্মদ আজমের জন্ম ১৯৭৫ সালের ২৩ আগস্ট নোয়াখালীর হাতিয়ায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন তিনি। এরপর তিনি বাংলা ভাষার উপনিবেশায়ন ও বিউপনিবেশায়ন নিয়ে গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
ড. মোহাম্মদ আজম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
তার রচিত উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে- ‘বাংলা ও প্রমিত বাংলা সমাচার’, ‘নির্বাচিত কবিতা: সৈয়দ আলী আহসান’ (সম্পাদিত), ‘কবি ও কবিতার সন্ধানে’।
আরও পড়ুন:অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন লুৎফে সিদ্দিকী। বুধবার তাকে এই পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, লুৎফে সিদ্দিকী আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত দায়িত্ব পালনে প্রধান উপদেষ্টাকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবেন।
এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে উল্লেখ করে তাতে আরও বলা হয়, বিশেষ দূত পদে থাকাকালীন লুৎফে সিদ্দিকী উপদেষ্টার পদমর্যাদা, বেতন-ভাতা ও আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
ব্যাংক খাতে একের পর পদত্যাগের খবরের ভিড়ে এবার বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইডিআরএ চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন সাবেক সচিব মোহাম্মদ জয়নুল বারী।
বুধবার ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপে তিনি নিজের পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে। এর আগে তার পদত্যাগের দাবি ওঠে কয়েকটি সংগঠনের পক্ষ থেকে।
সাবেক সচিব মোহাম্মদ জয়নুল বারী ২০২২ সালের ১৫ জুন আইডিআরএ চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান। তাকে তিন বছরের জন্য এ দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। তার সময়ে বীমা খাতে নানা অনিয়মের তথ্যও গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিবর্তনের হিড়িক পড়ে আর্থিক খাতে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যান, সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যানসহ পদত্যাগে বাধ্য হন বহু আর্থিক খাতের নীতিনির্ধারক।
পরিবর্তনের সেই ধারাবাহিকতায় এবার যুক্ত হলেন জয়নুল বারীও। পদত্যাগের বিষয়টি তিনি গণমাধ্যমকেও নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে জয়নুল বারী পরিকল্পনা বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার আগে তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমাজকল্যান মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
এছাড়া ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরও পড়ুন:বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন হেপাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ শাহীনুল আলম।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের চিকিৎসা শিক্ষা-১ শাখার মোহাম্মদ কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে রোববার এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও আচার্যের অনুমোদনে অধ্যাপক শাহীনুল আলমকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য পদে নিয়োগ করা হলো। তিনি চার বছর এই পদে থাকবেন এবং উপ-উপাচার্য হিসেবে বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতাদি পাবেন। বিধি অনুযায়ী উপ-উপাচার্য পদের সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন ডা. শাহীনুল আলম। রাষ্ট্রপতি ও আচার্য প্রয়োজনে যে কোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
অধ্যাপক শাহীনুল আলমের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায়। কর্মজীবনে তিনি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের গত ১৫ বছরে নানা ধরনের বৈষম্যের শিকার হয়েছেন।
শাহীনুল আলম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) হেপাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান এবং মেটাবলিক অ্যাসোসিয়েটেড ফ্যাটি লিভার ডিজিজ (এমএএফএলডি/এনএএফএলডি) বিষয়ে দেশের অগ্রগামী বিজ্ঞানী।
তিনি এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য ২০২০ সালে ‘মেটাবলিক অ্যাসোসিয়েটেড ফ্যাটি লিভার ডিজিজের নির্ণয় এবং পরিচালনার জন্য ক্লিনিক্যাল অনুশীলন নির্দেশিকা’ গবেষণা করেন। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়া, জাপান, চীন, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, পাকিস্তান, ভারত এবং বাংলাদেশসহ ২৯টি দেশের বিজ্ঞানীদের সঙ্গে অনেক গবেষণাপত্রে কাজ করেছেন তিনি।
স্কোপাস হিসেবে ডা. শাহীনুল এফসিপিএস (মেডিসিন) এবং ডক্টরেট অফ মেডিসিন (এমডি) করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক হেপাটোলজির নেতৃস্থানীয় বিজ্ঞানীদের সংস্থা ‘গ্লোবাল ন্যাশ কাউন্সিল’-এর সদস্য হয়েছেন অধ্যাপক ডা. শাহীনুল আলম। তিনি ২০টি থিসিস তত্ত্বাবধান করেছেন এবং পাঁচটি থিসিসের সহ-তত্ত্বাবধান করেছেন, যারা ডক্টরেট অফ মেডিসিন (এমডি) হেপাটোলজি ডিগ্রি লাভ করেছেন।
খ্যাতনামা এই চিকিৎসক বিএসএমএমইউর সাতটি গবেষণা প্রকল্পের প্রধান তদন্তকারী এবং সহ-তদন্তকারী হিসেবে অনুদান পান। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন তিনজন।
কোর্স সমন্বয়কারী এবং এমডি হেপাটোলজি কোর্সের পাঠক্রম কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে ডা. শাহীনুল বিএসএমএমইউতে ২০১১ সালে শুরু হওয়া ‘রেসিডেন্সি ভিত্তিক’ পাঠক্রমের উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোলজি বিভাগের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স কমিটির (আইকিউএসি) সদস্য সচিব হিসেবে তিনি মূল্যায়নের আয়োজন করেন এবং কোর্সটি আপগ্রেড করার সুপারিশ করেন।
বিএসএমএমইউ’র এই অধ্যাপক হেপাটোলজির ওয়ার্ল্ড জার্নালের সম্পাদকীয় বোর্ডের সদস্য। তিনি বর্তমানে এলসেভিয়ার, স্প্রিংগার, ব্ল্যাকওয়েল পাবলিশিং, উইলি, স্প্রিংগার নেচারসহ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বৈজ্ঞানিক প্রকাশকদের পর্যালোচনাকারী হিসেবে অবদান রাখছেন।
অধ্যাপক শাহীনুল আলম ২০০৯ সাল থেকে ঢাকার হেপাটোলজি সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন। তিনি ‘বাংলাদেশের ফ্যাটি লিভার রোগীদের জন্য খাদ্যতালিকাগত পরামর্শ’ বিষয়ে ফুড পিরামিডের কপিরাইট অর্জন করেন।
তিনি এশিয়ান প্যাসিফিক অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য স্টাডি অফ দ্য লিভার (এপিএএসএল) ও ইউরোপীয় অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য স্টাডি অফ দ্য লিভারের (ইএএসএল) সদস্য। এছাড়া ইন্ডিয়ান সোসাইটি অফ গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি ও ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য।
এর বাইরে দ্য স্টাডি অফ দ্য লিভার (আইএনএএসএল), ব্রিটিশ সোসাইটি অফ গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজির (বিএসজি) সহযোগী সদস্য, ইউরোপীয় সোসাইটি অফ গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল এন্ডোস্কোপির (ইএসজিই) সদস্য এবং ইন্ডিয়ান সোসাইটি অফ গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল এন্ডোস্কোপির (আইএসজিই) আজীবন সদস্য।
অধ্যাপক শাহীনুল আলম বাংলাদেশের একমাত্র চিকিৎসক যিনি বাংলাদেশে চিকিৎসা অর্থনীতি নিয়ে কাজ করছেন। বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত/নিম্ন আয়ের লোকেরা একটি বড় অস্ত্রোপচার বা হাসপাতালে ভর্তির জন্য তাদের জীবনের সঞ্চয় ব্যয় করেন এবং তা করতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েন। তিনি এই ঘটনাটি নিয়ে গবেষণা করেছেন।
বৈশ্বিক স্বাস্থ্যসেবা অর্থায়ন নীতির তুলনায় বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা অর্থায়নবিষয়ক বইটিরও লেখক তিনি।
১৯৯৫ সাল থেকে ডা. শাহীনুল আলম বাংলাদেশের সব পর্যায়ের স্বাস্থ্য সেবায় দায়িত্ব পালন করেন।
এই চিকিৎসক হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সহকারী সার্জন হিসেবে সরকারি চাকরি শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিনের জুনিয়র কনসালট্যান্ট, শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রার ও মেডিসিনের রেজিস্ট্রার এবং ২০০৩ সাল থেকে বিএসএমএমইউতে শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মন্তব্য