× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Demonstration in Shahbagh demanding protection of Hindu community
google_news print-icon

হিন্দু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা দাবিতে শাহবাগে বিক্ষোভ

হিন্দু-সম্প্রদায়ের-সুরক্ষা-দাবিতে-শাহবাগে-বিক্ষোভ
অধিকার ও নিরাপত্তা রক্ষায় অবিলম্বে পদক্ষেপ দাবিতে শনিবার রাজধানীর শাহবাগে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিক্ষোভ। ছবি: নিউজবাংলা
সম্প্রতি হিন্দুদের বাড়িঘর ও মন্দিরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের উল্লেখ করে এসব ঘটনার নিন্দা জানিয়ে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। এর ফলে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এই মোড় দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

বাংলাদেশে হিন্দুদের মন্দির ও বাড়িঘরে হামলার প্রেক্ষাপটে অধিকার ও নিরাপত্তা রক্ষায় অবিলম্বে পদক্ষেপ নেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করছেন ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যরা।

শনিবার রাজধানীর শাহবাগে দ্বিতীয় দিনের মতো এই বিক্ষোভ চলছে। এর ফলে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এই মোড় দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

সম্প্রতি হিন্দুদের বাড়িঘর ও মন্দিরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের উল্লেখ করে এসব ঘটনার নিন্দা জানিয়ে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা।

ইউএনবি জানায়, শত শত মানুষের অংশগ্রহণে এই বিক্ষোভে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও সংখ্যালঘুদের চিকিৎসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

শুক্রবার শাহবাগে সমাবেশের পরে আজকের বিক্ষোভটি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে প্রতিনিধি বাড়ানো এবং সংখ্যালঘুদের জন্য নিবেদিত একটি মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।

সংখ্যালঘু সুরক্ষা কমিশন গঠন ও সংখ্যালঘুদের প্রতি সহিংসতা রোধে কঠোর আইন প্রণয়নের দাবিও জানান তারা। মূল দাবি ছিল সংসদীয় আসনের ১০ শতাংশ সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর মধ্যে বরাদ্দ করা।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে ৫২টি জেলায় ২০৫টি সহিংস ঘটনার বিবরণ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে একটি খোলা চিঠি দিয়েছে সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ঐক্যপরিষদ।

খোলা চিঠিতে ড. ইউনূসকে একটি নতুন যুগের প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করা হয়। সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে ছাত্র ও গণআন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতনের পর দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। তবে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে কিছু গোষ্ঠীর সহিংস কর্মকাণ্ডে গভীর দুঃখ ও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে, যা এই অর্জনকে কলঙ্কিত করেছে।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Autumn festival starts tomorrow

শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু কাল

শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু কাল পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজারে প্রতীমা প্রস্তুতে শিল্পীর শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা। ছবি: নিউজবাংলা
মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে দুর্গাপূজা। রোববার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনব্যাপী এই উৎসবের। টানা চারদিনের ছুটি উৎসবের আমেজ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হচ্ছে আগামীকাল বুধবার। প্রতিমা ও মণ্ডপ তৈরি এবং আলোকসজ্জা থেকে শুরু করে নানা আয়োজন প্রায় শেষ পর্যায়ে। যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

বুধবার মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে দুর্গাপূজা। আগামী ১৩ অক্টোবর রোববার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনব্যাপী এই উৎসবের।

শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে রাজধানীসহ সারাদেশে উৎসবের আমেজ শুরু হয়েছে। সরকার নির্বাহী আদেশে আগামী বৃহস্পতিবার ছুটি ঘোষণা করেছে। আগামী শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটিসহ এবার দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা চার দিনের ছুটি হতে যাচ্ছে। পরদিন রোববার শারদীয় দুর্গাপূজার বিজয়া দশমী উপলক্ষে সরকারি ছুটি।

সব মিলিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে রোববার পর্যন্ত ছুটি থাকছে। টানা চারদিনের সরকারি ছুটি উৎসবের আমেজ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

দেশের সর্বাধিক পূজা অনুষ্ঠিত হওয়া পুরান ঢাকাতে এবারও উৎসবের আমেজে ব্যতিক্রম নেই। সর্বত্র চলছে উৎসব আয়োজনের তোড়জোড়।

সরকারি হিসাব মতে, সারা দেশে এ বছর ৩২ হাজার ৬৬৬টি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গাপূজা। শুধু রাজধানী ঢাকায়ই এ বছর ২৫২টি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দুর্গোৎসব। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পূজা উদযাপন করা হবে পুরান ঢাকায়। এখানে সূত্রাপুর থানায় ২৬টি, কোতোয়ালি থানায় ২৪টি, ওয়ারিতে ১৮টি, গেন্ডারিয়ায় ১৫টি ও বংশাল থানায় দুটি মণ্ডপে পূজা উদযাপন করা হবে।

শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু কাল

পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজার, কালী মন্দির, নর্থব্রুক হল রোড, মহাকাল শিব বিগ্রহ, তাঁতীবাজার, লক্ষ্মীবাজারসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় শতাধিক প্রতিমা শিল্পী গত এক মাস নির্ঘুম সময় কাটিয়েছেন প্রতিমা তৈরিতে। এখন অপেক্ষা শুধু মণ্ডপে নিয়ে যাওয়ার। তবে কিছু জায়গায় সোমবারও তুলির শেষ আঁচড় চালাতে দেখা গেছে শিল্পীদের। শাড়িও পরানো হয়ে গেছে অনেক প্রতিমার। শিল্পীরা খুঁটিয়ে দেখে নিচ্ছেন কোনো ত্রুটি রয়ে গেল কিনা।

ষষ্ঠীপূজার মধ্যদিয়ে বুধবার শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব। মহাষষ্ঠীতে হবে মায়ের চক্ষুদান। সনাতন সম্প্রদায়ের এই উৎসব ঘিরে রাজধানীর পুরান ঢাকায়ও এখন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। দুর্গাপূজাকে আনন্দমুখর করে তুলতে এখানকার মণ্ডপগুলো বর্ণাঢ্যসাজে সাজানো হয়েছে। করোনা মহামারির কারণে গত তিন বছর বড় পরিসরে আয়োজন না হলেও এ বছর তা কাটিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবকে ঘিরে পুরান ঢাকার মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে সাজ সাজ রব।

দুর্গোৎসবকে ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। যেকোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে নেয়া হচ্ছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ইতোমধ্যে মণ্ডপে মণ্ডপে বসানো হচ্ছে সিসি ক্যামেরা। বৃষ্টি থেকে প্রতিমা বাঁচাতে প্রায় সব মণ্ডপে ত্রিপলের ছাউনি তৈরি করা হয়েছে।

প্রতিমা শিল্পী মিন্টু চন্দ্র পাল বলেন, ‘গত দেড় মাস ধরে প্রতিমা তৈরি করেছি। গতকাল কাজ শেষ। অন্য বছরের চেয়ে এবার দুর্গার আশীর্বাদে ভালোই অর্ডার পেয়েছি। বছরে এমনিতে ১৫-২০টি মূর্তি বানাই। এ বছর ৩৬টি বানিয়েছি। আগে একাই সব করতাম। এবার সঙ্গে দু’জন সহকারীও নিয়েছি। তাই কাজ তাড়াতাড়ি শেষ হয়েছে।’

শেষ সময়ে প্রতিমায় রঙ-তুলির ছোঁয়া দিতে ব্যস্ত সময় পার করেছেন আরেক শিল্পী পল্টন পাল। ৩৩ বছর ধরে প্রতিমা বানিয়ে আসছেন তিনি। বললেন, ‘এ সময় ভীষণ কাজের চাপ। তবে প্রতিমা তৈরি শেষ। চুন-কালির প্রলেপ দিচ্ছি এখন। এ বছর মোটামুটি ভালো কাজ পেয়েছি। গত বছর করোনায় তেমন সুবিধা করতে পারিনি।’

পুরান ঢাকার ১৩৬, শাঁখারি বাজারে ৫০ বছরেরও অধিক সময় ধরে দুর্গাপূজার আয়োজন করে আসছে প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব।

ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক ও কোতোয়ালি থানা পূজা কমিটির সহ-সভাপতি উৎপল কুমার ঘোষ শেখর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের এখানে ২০টি পূজা হবে। তার মধ্যে দুটি পারিবারিক পূজা ও বাকি ১৮টি সার্বজনীন। এবার আমাদের ভলেন্টিয়ার থাকবে, সিসি টিভি তো অবশ্যই লাগানো হবে।

‘নির্দেশনা আছে ব্যাগ-বস্তা নিয়ে কেউ মণ্ডপে যেতে পারবে না। বিকৃত মস্তিষ্ক কেউ থাকতে পারবে না। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ থাকবে, আমরাও সর্বদা সচেষ্ট থাকব।’

নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, ‘পূজো আমাদের, রক্ষা করব আমরাই। এসবি, ডিবিসহ সাদা পোশাকে পুলিশ হাঁটাচলার মধ্যে থাকবে।

‘দেবীর সঙ্গে আমরা কারও তুলনা করি না। পূজার আরাধনার জন্যই পূজা করি। দেবির জন্য পূজা করছি, বড় আনুষ্ঠানিকতা করছি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বাজেট ৮-১০ লাখ টাকা। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায় মন্দা। অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা নেই। সার্বিক অবস্থায় সবাই আমরা উদ্বিগ্ন। মায়ের নিকট এসবেরই পরিত্রাণ চাইবো।’

তাঁতীবাজার শিব মন্দির পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বীরেন ঘোষ বীরা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা প্রতি বছর মায়ের আরাধনার সব ব্যবস্থা করে থাকি। এবারও ব্যত্যয় ঘটবে না। ষষ্ঠীর দিন রাতে আমরা মণ্ডপে প্রতিমা তুলব। আশা করছি আমাদের এবারের দুর্গাপূজা ভালোই কাটবে।’

কোতোয়ালি থানা পূজা কমিটির কোষাধ্যক্ষ ও তাঁতীবাজার শিব মন্দির পূজা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ গগন বলেন, ‘মায়ের প্রতিচ্ছবি দিয়ে প্রতিমা করা হয়। দুর্গা মায়ের আসল রূপই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। দুর্গাপূজায় এবার ভক্তিমূলক গান বেশি বাজবে। কারও যেন কোনো সমস্যা না হয় সে ব্যাপারে লক্ষ্য রাখা হবে।’

সঙ্ঘমিত্র পূজা কমিটির কোষাধ্যক্ষ পিয়াল নাগ বলেন, ‘পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিসি টিভি লাগাতে বলা হয়েছে। সময়মতো লাগানোও হয়ে যাবে। এবার প্রতিটি মণ্ডপের জন্য নির্দিষ্টসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকবে বলে জানানো হয়েছে।’

নিরাপত্তা নিয়ে তিনি বলেন, ‘পুরান ঢাকায় এসব কর্মকাণ্ড করার সাহস কারও নেই। অন্ততপক্ষে শাঁখারীবাজারে কেউ এসব করতে আসবে না। এমন দুঃসাহস কারও হয়নি। আমরা সার্বক্ষণিক মণ্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করব। মায়ের প্রতিমা রক্ষায় সর্বদা নিজেদের নিয়োজিত রাখব।’

নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপনের লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক মু. এনামুল হাসান। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে শতভাগ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মোবাইল টিম এখন থেকেই কাজ করছে।

‘আমরা পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ইতোমধ্যে মিটিং করেছি। কিভাবে নির্বিঘ্নে নিরাপত্তার মাধ্যমে আমরা পূজা সমাপ্ত করতে পারব সে ব্যাপারে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’

দুর্গাপূজায় মণ্ডপে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বংশাল থানার উপ-পরিদর্শক আতিকুর রহমান বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমাদের সম্পূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে। আমার থানায় মাত্র দুটি মণ্ডপে পূজা হচ্ছে। তাও আবার এক ছাদের নিচেই। তবু পঞ্চায়েতের মাধ্যমে পূজার সমন্বয়ক কমিটি করা আছে। তারা সার্বক্ষণিক দেখাশুনা করবে। ভলেন্টিয়াররা তো আছেই। সিসিটিভি ক্যামেরাও রয়েছে।’

সূত্রাপুর থানার উপ-পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘দুর্গাপূজায় আমাদের সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি মণ্ডপে আমাদের একজন অফিসার থাকবেন। পূজা উদযাপন কমিটি ভলেন্টিয়ার টিমসহ হিন্দু-মুসলিম মিলে সম্প্রীতি টিম গঠন করা হয়েছে। মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম দিন পর্যন্ত শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। এই পাঁচটি দিন যথাক্রমে দুর্গাষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাষ্টমী, মহানবমী ও বিজয়া দশমী নামে পরিচিত।

আরও পড়ুন:
দুর্গাপূজা কেন্দ্র করে ঢাকায় কোনো হুমকি নেই: ডিএমপি কমিশনার
দেশবাসীকে দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা আওয়ামী লীগের
দুর্গাপূজার ছুটি বাড়ছে এক দিন
দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনে ঢাবি’র প্রবেশমুখে চেকপোস্ট
দুর্গাপূজায় তিন স্তরের নিরাপত্তা: আইজিপি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
No threat in Dhaka due to Durga Puja DMP Commissioner

দুর্গাপূজা কেন্দ্র করে ঢাকায় কোনো হুমকি নেই: ডিএমপি কমিশনার

দুর্গাপূজা কেন্দ্র করে ঢাকায় কোনো হুমকি নেই: ডিএমপি কমিশনার
মো. মাইনুল হাসান বলেন, ‘দুর্গাপূজায় মণ্ডপ এলাকা, বিসর্জন শোভাযাত্রা ও বিসর্জনের সময় সব ধরনের মাদক ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে। পটকা ও আতশবাজির ব্যবহার না করার অনুরোধ জা করছি। বিসর্জনের সময় উচ্চৈস্বরে সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করা যাবে না।’

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব আসন্ন দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকায় কোনো ধরনের ‘থ্রেট’ (হুমকি) নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. মাইনুল হাসান।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের নেয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘শারদীয় দুর্গাপূজায় মণ্ডপ এলাকা, বিসর্জন শোভাযাত্রা ও বিসর্জনের সময় সব ধরনের মাদক ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে। একইসঙ্গে সব ধরনের পটকা ও আতশবাজির ব্যবহার না করার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

‘বিসর্জনের সময় উচ্চৈস্বরে সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করা যাবে না। যারা সাঁতার জানেন না তাদের বিসর্জনের সময় পানিতে না নামার অনুরোধ করছি।’

মাইনুল হাসান বলেন, ঢাকা মহানগরীতে এবার ২৫৩টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১৩১টি এবং উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৩১টি মণ্ডপ রয়েছে। ঢাকা মহানগরীতে শান্তি-শৃঙ্খল ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পূজা অনুষ্ঠানে আগে সমন্বয় সভা করেছি।’

পর্যায় নিরাপত্তার উল্লেখ করে কমিশনার বলেন, ‘প্রতিটি পূজামণ্ডপে ফিক্সড পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি থানা পুলিশের অধিক টহল ও চেকপোস্ট স্থাপন, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সিসি ক্যামেরা, আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে চেকিং ব্যবস্থা থাকবে।

‘সাদা পেশাকে ডিবি পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি প্রতিটি পূজামণ্ডপে আনসার বাহিনীর পর্যাপ্তসংখ্যক সদস্য মোতায়েন থাকবে। একইসঙ্গে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ র‍্যাবের সদস্যরা টহল ও অন্যান্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘পূজা চলাকালীন যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে পর্যাপ্তসংখ্যক ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যানজট এড়াতে পূজা কমিটিকে অনুরোধ করেছি মণ্ডপের আশপাশে কোনো মেলা যাতে না হয়।’

বিসর্জনে ঢাকা মহানগরীতে ১৫টি স্পট নির্ধারণ করা হয়েছে। বিসর্জন শোভাযাত্রায় ডিএমপির বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে বিসর্জনের জন্য সব পূজা কমিটি ও ভক্তদের প্রতি অনুরোধ জানান ডিএমপি কমিশনার।

পুলিশ সদস্যদের মনোবল ফিরিয়ে আনা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আগস্টের ৫-৬ তারিখে পুলিশের কার্যক্রম দেখেন। আর আজ ৮ অক্টোবরের পুলিশের কার্যক্রম দেখলে আপনারাই বুঝতে পারবেন পুলিশ কতটুকু মনোবল ফিরে পেয়েছে। যারা কর্মবিরতি দিয়েছিল তারাও পুরোদমে কাজে ফিরে আসছে। পূজার অনুষ্ঠানে দৃঢ় মনোবল নিয়ে দায়িত্ব পালন করবে পুলিশের প্রতিটি সদস্য। এতে কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না।’

আরও পড়ুন:
দুর্গাপূজার ছুটি বাড়ছে এক দিন
দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনে ঢাবি’র প্রবেশমুখে চেকপোস্ট
দুর্গাপূজায় তিন স্তরের নিরাপত্তা: আইজিপি
দুর্গোৎসব: চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Provocative news is being circulated in neighboring countries about the safety of Puja
রমনা কালীমন্দির পরিদর্শন শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পূজার নিরাপত্তা নিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে উস্কানিমূলক খবর প্রচার হচ্ছে

পূজার নিরাপত্তা নিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে উস্কানিমূলক খবর প্রচার হচ্ছে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ফাইল ছবি
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘দেশের সাংবাদিকদের অনুরোধ করব, পূজা নিয়ে সত্যি ঘটনা মিডিয়ার মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলবেন। আমরা সত্যি ঘটনা সবাইকে জানাতে চাই। পূজামণ্ডপে কোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই।’

বাংলাদেশে আসন্ন দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশের (ভারত) গণমাধ্যমে উস্কানিমূলক ও বিভ্রান্তিকর নানা খবর প্রচার করা হচ্ছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী মঙ্গলবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রমনা কালীমন্দির পরিদর্শন শেষে একথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে পূজা পালন নিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ অনেক কিছুই বলছে। তাদের মিডিয়া বিভিন্ন উস্কানি ও বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রচার করছে।

‘আমি দেশের সাংবাদিকদের অনুরোধ করব, আপনারা পূজা নিয়ে সত্যি ঘটনা মিডিয়ার মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলবেন। আমরা সত্যি ঘটনা সবাইকে জানাতে চাই। পূজামণ্ডপে কোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই।’

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘দুর্গাপূজা এবার ভালোভাবে, নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে। সেজন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মাঠ প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ইতোমধ্যে আট দফা নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।

‘তাছাড়া দুর্গাপূজায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ, র‌্যাব ও আনসারের পর্যাপ্ত সদস্যের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। অধিকন্তু কোথাও কোনো ঘটনা ঘটলে যাতে এর তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মাধ্যমে সে ব্যবস্থাও করা হয়েছে।’

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এবার সব পূজামণ্ডপে পূজা উদযাপন কমিটির মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তারা ২৪ ঘণ্টাই দায়িত্বরত থাকবে।’

বিগত ১৫ বছরে রামু ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও সহিংস ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অবশ্যই বিচারের সম্মুখীন হতে হবে বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে।

পরিদর্শনকালে রমনা কালীমন্দির ও আনন্দময়ী আশ্রম পূজা পরিচালনা পরিষদের আহ্বায়ক অপর্ণা রায় দাস ও সদস্য সচিব বিশ্বজিৎ ভদ্রসহ মন্দিরের পূজা পরিচালনা পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
দুর্গাপূজায় তিন স্তরের নিরাপত্তা: আইজিপি
দুর্গাপূজায় কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দুর্গোৎসব: চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
দুর্গাপূজা: ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন
পূজা উদযাপনে সরকারি বরাদ্দ চার কোটি টাকা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Awami League wishes the countrymen on Durga Puja

দেশবাসীকে দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা আওয়ামী লীগের

দেশবাসীকে দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা আওয়ামী লীগের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের লোগো। ফাইল ছবি
দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মঙ্গলবার দেয়া পোস্টে লেখা হয়, ‘আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মের মানুষসহ দেশের সবাইকে শুভেচ্ছা। সমস্ত ভয়ভীতি, হুমকি, চোখরাঙানি মোকাবিলা করে দেশের অতীত ঐতিহ্য রক্ষা করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশে দুর্গাপূজা পালিত হবে বলে আমরা আশা করছি।’

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ দেশের সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।

দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মঙ্গলবার দেয়া পোস্টে লেখা হয়, ‘আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মের মানুষসহ দেশের সবাইকে শুভেচ্ছা। সমস্ত ভয়ভীতি, হুমকি, চোখরাঙানি মোকাবিলা করে দেশের অতীত ঐতিহ্য রক্ষা করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশে দুর্গাপূজা পালিত হবে বলে আমরা আশা করছি।

‘এবারকার দুর্গাপূজা এসেছে বাংলাদেশে একটি ভীতিকর অরাজক পরিস্থিতির মধ্যে। সামগ্রিক পরিস্থিতি পূজার অনুকূলে না থাকায় অনেকেই এবার পূজা অনুষ্ঠান বাতিল করে দিয়েছে।’

পোস্টে উল্লেখ করা হয়, ‘সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু জায়গায় প্রতিমা ভাঙচুরের মতো জঘন্য ঘটনা ঘটেছে, পূজা কমিটির কাছে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছে। পূজার সময়ে মাইক বাজানো যাবে না বলে হুঁশিয়ারি করেছে, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। এ রকম নানাবিধ ভয়ভীতির মধ্য দিয়ে অতিক্রম করতে হচ্ছে প্রতিটি সনাতন ধর্মের মানুষকে।

‘এগুলো ঘটছে প্রকাশ্য দিবালোকে প্রশাসনের সম্মুখেই। এগুলো দেখভাল করার মতো কেউ নেই। ফলে সনাতন ধর্মের মানুষেরা এক ধরনের আতঙ্কের মধ্যে অবস্থান করছে। আর এই আতঙ্কের প্রভাব সুদূরপ্রসারী। এ রকম পরিস্থিতিতে অনেকে জীবন বাঁচাতে দেশত্যাগে থেকে থেকে বাধ্য হচ্ছে।’

শুভেচ্ছা বার্তায় দাবি করা হয়, ‘এ দেশের হিন্দু সম্প্রদায় মনে করে পূজা চলার সময়ে মন্দির কিংবা পূজারি আক্রান্ত হতে পারে। ১৯৪৭-এর দেশবিভাগের প্রাক্কালে যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছিল, এবারের ঘটনার মাত্রা তার চেয়েও ভয়াবহ। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াতও ক্ষমতাসীন হয়ে এ দেশের সনাতন ধর্মের মানুষের ওপর হিংস্র আক্রমণ করেছিল। এবারের ঘটনা সেই ভয়াবহ দিনগুলোর কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়।

‘সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে এসব নারকীয় ঘটনা ঘটছে। আবার তারাই মন্দির পাহারা দেয়ার কথা বলছে। এটিও এ দেশের সনাতন ধর্মের মানুষের সঙ্গে এক ধরনের প্রহসন। বহুবিধ প্রতিকূল অবস্থা মোকাবিলা করে সনাতন ধর্মের মানুষ যারা এদেশে রয়ে গেছে তারা নিজেদের উদ্যোগেই পূজা করেছে। কখনো কোনো পাহারাদারের প্রয়োজন পড়েনি।’

পোস্টে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন যে, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আওয়ামী লীগ সর্বদা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের অবিতর্কিত মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনির্মাণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে।

‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রতিটি মানুষের প্রতি বাংলাদেশের ঐতিহ্যগত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুণ্ন রাখতে এবং কাজ করার আহ্বান রইল।’

আরও পড়ুন:
আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ
দুর্গাপূজা: ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন
পালানোর সময় সিলেট সীমান্তে ভাইসহ আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
যৌথ বাহিনীর অভিযানকে স্বাগত জানাল আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চেয়ে করা রিট খারিজ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Durga Puja holiday is increasing by one day

দুর্গাপূজার ছুটি বাড়ছে এক দিন

দুর্গাপূজার ছুটি বাড়ছে এক দিন মণ্ডপে দেবী দুর্গার প্রতিমা। ফাইল ছবি
মাহফুজ বলেন, ‘হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে, সেগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।’

দুর্গাপূজার ছুটি এক দিন বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।

এ বিষয়ে মঙ্গলবারের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) ছুটি ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি।

রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের সঙ্গে মঙ্গলবার মতবিনিময়ের পর প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

মাহফুজ বলেন, ‘হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে, সেগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।’

বৌদ্ধ সম্প্রদায় যেন কঠিন চীবরদান অনুষ্ঠান নির্বিঘ্নে করতে পারে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান মাহফুজ আলম।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম ও প্রেস সচিব শফিকুল আলমসহ প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তারা মঙ্গলবার সকালে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শন করেন।

আরও পড়ুন:
চিকিৎসার জন্য ছুটি মেলেনি, অফিসে যাওয়ার পথেই ‘চিরদিনের ছুটি’
৩ দিনের সাধারণ ছুটি শুরু সোমবার
সোমবার থেকে তিন দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা
পিতৃত্বকালীন ছুটি নিশ্চিত করতে মা ও শিশুর রিট
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গ্রীষ্মকালীন ছুটি কমল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Checkpost at the entrance of DU to celebrate Durga Puja peacefully

দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনে ঢাবি’র প্রবেশমুখে চেকপোস্ট

দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনে ঢাবি’র প্রবেশমুখে চেকপোস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে পূজা মণ্ডপে উন্মুক্ত হওয়ার অপেক্ষায় প্রতীমা। ছবি: নিউজবাংলা
চেকপোস্টগুলো হলো- নীলক্ষেত, পলাশী, শাহবাগ, বার্ন ইনস্টিটিউট, দোয়েল চত্বর ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা। ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত এই চেকপোস্টের কার্যক্রম চলবে।

নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ, সুশৃঙ্খল ও উৎসবমুখর পরিবেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ছয়টি প্রবেশমুখে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।

সোমবার থেকে আগামী সাতদিন অর্থাৎ ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত এই চেকপোস্টের কার্যক্রম চলবে।

চেকপোস্টগুলো হলো- নীলক্ষেত, পলাশী, শাহবাগ, বার্ন ইনস্টিটিউট, দোয়েল চত্বর ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

দুর্গোৎসব চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আতশবাজি না করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে পূজা উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আগত সব পুণ্যার্থী ও দর্শনার্থীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন:
দুর্গাপূজায় তিন স্তরের নিরাপত্তা: আইজিপি
দুর্গোৎসব: চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Saudi consent to go on Hajj pilgrims from Bangladesh

বাংলাদেশ থেকে হজযাত্রী যাবেন জাহাজে, সৌদির সম্মতি

বাংলাদেশ থেকে হজযাত্রী যাবেন জাহাজে, সৌদির সম্মতি জেদ্দায় রোববার সৌদির হজ ও উমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী তাওফিক ফাউযান আল রাবিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
এ বছর পরীক্ষামূলকভাবে সাগরপথে জাহাজযোগে দুই থেকে তিন হাজার হজযাত্রী পাঠানোর ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার চিন্তা-ভাবনা করছে বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।

আকাশপথের পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে সমুদ্রপথে জাহাজে হজযাত্রী পাঠানোর বাংলাদেশের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে সৌদি সরকার।

সৌদি আরবের জেদ্দায় রোববার বাংলাদেশের ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় সৌদির হজ ও উমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী তাওফিক ফাউযান আল রাবিয়া এই সম্মতির কথা জানান। এর আগে সমুদ্রপথে হজযাত্রী পাঠানোর বিষয়ে প্রস্তাব দেন ধর্ম উপদেষ্টা।

ধর্ম মন্ত্রণালয় সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে।

উপদেষ্টার প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি হজ ও উমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী জানান, সমুদ্রপথে বাংলাদেশ থেকে হজযাত্রী পাঠানোর ক্ষেত্রে সৌদি সরকারের কোনো আপত্তি নেই। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন আছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারকেও জাহাজ কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

এ বছর পরীক্ষামূলকভাবে সাগরপথে জাহাজযোগে দুই থেকে তিন হাজার হজযাত্রী পাঠানোর ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার চিন্তা-ভাবনা করছে বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।

সৌদি হজ ও উমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী হজযাত্রীদের জন্য বায়োমেট্রিক পদ্ধতিকে আপগ্রেড করার ব্যাপারে নিশ্চয়তা দেন। তিনি হজ এজেন্সির মালিক বা তাদের প্রতিনিধির অনুকূলে মুনাজ্জেম (মাল্টিপল) ভিসা ইস্যুর ব্যাপারেও ধর্ম উপদেষ্টাকে আশ্বস্ত করেন।

এছাড়া রুট টু মক্কা কর্মসূচির আওতায় ২০২৩ ও ২০২৪ সালে হজযাত্রীদের বেশ কিছু লাগেজ হারিয়ে যাওয়ার ব্যাপারেও মন্ত্রী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে ধর্ম উপদেষ্টাকে আশ্বাস দেন।

এ বছর সৌদি হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয় থেকে প্রতি এজেন্সিকে কমপক্ষে দুই হাজার হজযাত্রী পাঠানোর কোটা নির্ধারণ করা হয়। এ ব্যাপারে ধর্ম উপদেষ্টা ২০২৪ সালের মতো এজেন্সিপ্রতি ২৫০ জন কোটা পুনর্নির্ধারণের অনুরোধ জানালে সৌদি মন্ত্রী বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দেন।

এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সৌদি হজ ও উমরাহ মন্ত্রীকে সহায়তা করেন সে দেশের হজ মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সহযোগিতাবিষয়ক ডেপুটি মিনিস্টার ড. হাসান আল মানাখেরা এবং হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক বদর আল সেলামি।

এ সময় বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম, রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ব্রিগেডিয়ার রাকিবুল্লাহ, জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মিয়া মুহাম্মদ মঈনুল কবির, জেদ্দা হজ মিশনের কাউন্সিলর জহিরুল ইসলাম ও হজ কনসাল মুহাম্মদ আসলাম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
শাহজালালে মঙ্গলবার থেকে সাড়ে ৩ ঘণ্টা বিমান ওঠা-নামা বন্ধ
সৌদিতে বাংলাদেশ মিশনে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু
হজের প্রাক-নিবন্ধন শুরু কাল
সৌদিতে প্রথমবার ভ্রমণ: মাথায় রাখবেন যেসব বিষয়

মন্তব্য

p
উপরে