× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Canada welcomed the interim government
google_news print-icon

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্বাগত জানাল কানাডা

অন্তর্বর্তীকালীন-সরকারকে-স্বাগত-জানাল-কানাডা
বাংলাদেশ ও কানাডার পতাকা। ফাইল ছবি
বিবৃতিতে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি বলেন, ‘কানাডা সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করছে এবং গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসন, মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা ও আইনের শাসনের নীতি প্রচারে সব পক্ষকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছে।’

বাংলাদেশে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্বাগত জানিয়ে কানাডা বলেছে, তারা ধর্মীয় সংখ্যালঘু, যুবক, নারী ও অন্যান্য সংখ্যালঘুসহ সমাজের সব স্তরের ব্যাপক রাজনৈতিক অংশগ্রহণের প্রত্যাশা করে।

একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রক্রিয়ায় সমর্থনের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতেও আগ্রহী কানাডা।

এক বিবৃতিতে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি বলেন, ‘কানাডা সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করছে এবং গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসন, মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা ও আইনের শাসনের নীতি প্রচারে সব পক্ষকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছে।’

কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “কানাডা বাংলাদেশের চলমান সংকট সমাধানে ‘শান্তিপূর্ণ উপায়কে’ সমর্থন করে।”

জোলি আরও বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণকে স্বাগত জানাই। শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত করার প্রথম পদক্ষেপ এটি।’

মত প্রকাশের স্বাধীনতার চর্চাকে সমর্থনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ইন্টারনেট এবং অন্যান্য যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে পূর্ণ ব্যবহারের সুবিধা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে কানাডা।

আরও পড়ুন:
আবু সাঈদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে রংপুরে ড. ইউনূস
শনিবার আবু সাঈদের বাড়িতে যাচ্ছেন ড. ইউনূস
একাই ২৭ মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সামলাবেন ড. ইউনূস
অন্তর্বর্তী সরকারে কার দায়িত্বে কোন মন্ত্রণালয়
বৃষ্টির মধ্যে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা ড. ইউনূসসহ উপদেষ্টাদের

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Fire vandalized former MP Badals grave in Chittagong

চট্টগ্রামে সাবেক এমপি বাদলের কবরে আগুন, ভাঙচুর

চট্টগ্রামে সাবেক এমপি বাদলের কবরে আগুন, ভাঙচুর চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার সারোয়াতলী গ্রামে আহমদুল্লাহ খান বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে একদল দুর্বৃত্ত গাড়ি নিয়ে এসে মইন উদ্দীন খান বাদলের কবরে আগুন দেয়ার পাশাপাশি ভাঙচুর করে। কোলাজ: নিউজবাংলা
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, লাল রঙের একটি মাইক্রোবাস ও কয়েকটি মোটরসাইকেলে এসে দুর্বৃত্তরা শুরুতে বাদলের কবরে ভাঙচুর চালায়। এরপর সেখানে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সাবেক কার্যকরী সভাপতি ও সংসদ সদস্য মইন উদ্দীন খান বাদলের কবরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত।

বোয়ালখালী উপজেলার সারোয়াতলী গ্রামে আহমদুল্লাহ খান বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে একদল দুর্বৃত্ত গাড়ি নিয়ে এসে এ ঘটনা ঘটায়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বোয়ালখালী থানা পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, লাল রঙের একটি মাইক্রোবাস ও কয়েকটি মোটরসাইকেলে এসে দুর্বৃত্তরা শুরুতে বাদলের কবরে ভাঙচুর চালায়। এরপর সেখানে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।

মইন উদ্দীন খান বাদলের স্ত্রী সেলিনা খান ফেসবুকে লিখেন, ‘কতিপয় সন্ত্রাসী আজ দুপুরে গাড়ি নিয়ে এসে মইন উদ্দীন খান বাদলের পৈত্রিক ভিটার কবরে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয়…এখন কবরেও মানুষ শান্তিতে থাকতে পারবে না।’

ক্ষোভ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একটি নিরপেক্ষ সরকারের আমলে যদি মানুষ কবরেও শান্তিতে থাকতে না পারে, তাহলে আমরা কোথায় যাব? আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।

‘বাদল কখনও কোনো দুর্নীতির সঙ্গে ছিলেন না। তার কোনো বদনাম নেই। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।’

মইন উদ্দীন খান বাদলের মৃত্যু হয় ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর, যিনি চট্টগ্রাম-৭ ও চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি জাসদের কার্যকরী সভাপতি ছিলেন।

আরও পড়ুন:
নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন: সালাহউদ্দিন
সীতাকুণ্ডে শিপইয়ার্ডে বিস্ফোরণে মৃত্যু বেড়ে দাঁড়াল ৬
চট্টগ্রামে চলন্ত বাসে নারীকে ধর্ষণের মামলায় চালক হেলপার গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে পাহাড়ে অবৈধ বসবাসকারীদের উচ্ছেদ ও সেবা বিচ্ছিন্ন হচ্ছে
চট্টগ্রামে ১৮ ওসিসহ ৩০ পুলিশ কর্মকর্তাকে একযোগে বদলি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Irregularity in allocation money against upazila agriculture officer

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বরাদ্দের টাকায় অনিয়মের অভিযোগ

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বরাদ্দের টাকায় অনিয়মের অভিযোগ নিকলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: নিউজবাংলা
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনটি বরাদ্দে ১০০টি বেডের জন্য ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ এলেও জানেন না কৃষকরা। আলাদা তিনটি স্মারকে বরাদ্দের তিনটি কপি এসেছে নিউজবাংলার প্রতিবেদকের হাতে, যেগুলোর একটিও বাস্তবায়ন করেননি এ কর্মকর্তা। 

কিশোরগঞ্জে কৃষকের জন্য বরাদ্দকৃত টাকা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে এক উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনটি বরাদ্দে ১০০টি বেডের জন্য ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ এলেও জানেন না কৃষকরা।

আলাদা তিনটি স্মারকে বরাদ্দের তিনটি কপি এসেছে নিউজবাংলার প্রতিবেদকের হাতে, যেগুলোর একটিও বাস্তবায়ন করেননি এ কর্মকর্তা।

কৃষকদের জন্য ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে বরাদ্দের পুরোটাই এ কর্মকর্তা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয়, ২০২৪ সালে একটি স্পেশাল বরাদ্দ আসে কিশোরগঞ্জে। সেটিও এ কর্মকর্তা ভাগিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে। এ বরাদ্দে ছিল চার লাখ ৬০ হাজার টাকা।

এসবের বাইরে কৃষকের মাঠ দিবস, প্রশিক্ষণের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত সাখাওয়াত হোসেন ২০২৩ সালের ২৮ মে থেকে নিকলী উপজেলায় কর্মরত।

প্রকল্পগুলো কী ও বরাদ্দের পরিমাণ কত

কৃষি সম্প্রসারণের আওতাধীন ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষ গবেষণা, সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয়করণ প্রকল্পের অনুকূলে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ভাসমান বেডে মসলা, লতাজাতীয় ও লতাবিহীন সবজি প্রদর্শনী রাজস্ব ব্যয় বাবদ নিকলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার অনুকূলে ব্যয় মঞ্জুরিসহ চার লাখ ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। লতাজাতীয় ২৩টি প্রদর্শনীর জন্য দুই লাখ ৩০ হাজার (প্রতিটি প্রদর্শনীর ব্যয় ১০ হাজার) টাকা ও লতাবিহীন ২৩টি প্রদর্শনীর জন্য দুই লাখ ৩০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ২০২৪ সালের ২ মে পাওয়া এ বরাদ্দের একটি প্রদর্শনীও বাস্তবায়ন করা হয়নি।

ভাসমান বেডে লতাজাতীয় সবজি ও লতাবিহীন সবজি প্রদর্শনীর জন্য ২০২৪ সালের ২১ মে নিকলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার অনুকূলে ব্যয় মঞ্জুরিসহ বরাদ্দ দেয়া হয় তিন লাখ টাকা।

ভাসমান বেডে মসলা প্রদর্শনীতে পাঁচটিতে বরাদ্দ ৫০ হাজার টাকা (প্রতিটি প্রদর্শনীতে ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ)। ভাসমান বেডে লতাজাতীয় সবজি প্রদর্শনীর জন্য ১০টি প্রদর্শনীতে বরাদ্দ প্রদান করা হয় ১ লাখ টাকা। এ ছাড়াও ভাসমান বেডে লতাবিহীন সবজির ১৫টি প্রদর্শনীতে বরাদ্দ প্রদান করা হয় দেড় লাখ টাকা। এখানে ৩০টি প্রদর্শনীতে মোট তিন লাখ টাকা বরাদ্দের একটি প্রদর্শনীও বাস্তবায়ন করা হয়নি।

একই বছরের ৬ জুন ভাসমান বেডে মসলা প্রদর্শনীর ১১টিতে বরাদ্দ ১ লাখ ১০ হাজার টাকা (প্রতিটি প্রদর্শনীতে ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ)। ভাসমান বেডে লতাজাতীয় সবজি প্রদর্শনীর জন্য ৯টি প্রদর্শনীতে বরাদ্দ প্রদান করা হয় ৯০ হাজার টাকা।

এ ছাড়াও ভাসমান বেডে লতাবিহীন সবজি চারটি প্রদর্শনীতে বরাদ্দ প্রদান করা হয় ৪০ হাজার টাকা। এখানে ২৪টি প্রদর্শনীতে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দের একটি প্রদর্শনীও বাস্তবায়ন করা হয়নি।

কোন খাতে কী বরাদ্দ জানেন না উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষকরা

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জানান, প্রদর্শনীর বিভিন্ন উপকরণ ক্রয় বাবদ সরকার বরাদ্দ দেয় উপজেলা কর্মকর্তা বরাবর। প্রদর্শনী অনুযায়ী কৃষক নির্বাচন করার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে। তারা কৃষক নির্বাচন করে নিশ্চিত করেন উপজেলা কর্মকর্তাকে।

একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হলে উপসহকারীদের সঙ্গে সমন্বয় করার কথা।

নিয়ম অনুযায়ী, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষক নির্বাচন করে উপজেলা অফিসে জমা দেবেন। পরবর্তী সময়ে কৃষি কর্মকর্তা উপকরণ কিনে নির্ধারিত একটি তারিখে কৃষকদের অফিসে আসতে বলবেন। পরে সেখান থেকে উপকরণ বিতরণ রেজিস্ট্রারে (স্টক রেজিস্ট্রার) সাক্ষর রেখে মালামাল বুঝিয়ে দেয়া হয় কৃষককে। এ ক্ষেত্রে তিনি কোনো উপসহকারীর সঙ্গে সমন্বয় করেননি।

সমন্বয় না করলে প্রদর্শনীতে কী কী উপকরণ বরাদ্দ এসেছে সেগুলো উপসহকারী কর্মকর্তা কিংবা কৃষকদের জানারও সুযোগ থাকে না।

নিকলী সদর ইউনিয়নের ষাইটধার গ্রামের কৃষক মিয়া হোসেন জানান, বিগত দুই বছর পূর্বে ৮০ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছিলেন তিনি। তখন ১০ কেজি বীজ, এক বস্তা ইউরিয়া আর এক বস্তা ডিএপি সার ছাড়া কিছুই পাননি। এরপর আর তার অনুকূলে কোনো বরাদ্দ আসেনি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিকলী উপজেলার গুরই, সিংপুর ও সদর ইউনিয়নের একাধিক কৃষক জানান, অন্যান্য বছর আগস্টের মধ্যেই তাদের ভাসমান বেড তৈরির বরাদ্দ দেয়া হতো। এবার তাদের কাউকেই কোনো প্রকার বরাদ্দ দেয়া হয়নি। এ বিষয়ে তারা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করার পর তাদের জানানো হয়েছে, এ বছরের বরাদ্দ আসেনি।

কৃষকরা জানান, বরাদ্দ এলে তাদের দেয়া হবে বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।

প্রান্তিক কৃষকদের এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অনুসন্ধান শুরু করে নিউজবাংলা।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে কৃষি সম্প্রসারণের আওতাধীন ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষ গবেষণা, সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয়করণ প্রকল্পের আওতায় আলাদা তিনটি বরাদ্দে ১০০টি বেডের জন্য ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ আসে। আলাদা তিনটি স্মারকে বরাদ্দের তিনটি কপি আসে এ প্রতিবেদকের হাতে, যেগুলোর একটিও বাস্তবায়ন করেননি এ কর্মকর্তা।

অভিযুক্ত কৃষি কর্মকর্তার ভাষ্য

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে নিকলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন বরাদ্দ আসার বিষয়টি প্রথমে অস্বীকার করেন। খানিকটা পর বলেন, ‘কয়েকটা ছোট বরাদ্দ এসেছে। পানি বেশি থাকায় সেগুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। অচিরেই সেগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।’

একপর্যায়ে বরাদ্দের কপি দেখানোর পর বিশেষ বরাদ্দের টাকা উত্তোলনের বিষয়টি স্বীকার করে জানান, কৃষি সম্প্রসারণের আওতাধীন ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষ গবেষণা, সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয়করণ প্রকল্পের তৎকালীন উপ প্রকল্প পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) বিবেকানন্দ হীরা তার ব্যাচমেট। হঠাৎ একদিন হীরা তাকে ফোনে বলেন, ‘তোমার নামে একটি স্পেশাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তুমি বরাদ্দের টাকাটা উত্তোলন করে আমাকে পাঠিয়ে দাও। অফিসের বিভিন্ন আনুষঙ্গিক খরচে সেটি ব্যয় করা হবে।’ তিনিও তার কথামতো সেটি করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আপনারাও তো বোঝেন, অনেক সময় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ইচ্ছার বিরুদ্ধে অনেক কিছুই করতে হয়। আমিও সেটি করেছি।

‘তারপরও বিষয়টি যেহেতু আপনাদের নজরে চলে এসেছে আমি তার সাথে কথা বলে অচিরেই বাস্তবায়ন করে নেব।’

এ কথার একপর্যায়ে তিনি ফোনে কথা বলেন হীরা নামের ওই কর্মকর্তার সঙ্গে।

সাখাওয়াত তাকে বলেন, ‘তুমি যে একটা স্পেশাল বরাদ্দ দিয়েছিলে, সেটি বাস্তবায়ন করতে হবে। বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেছে।’

নিকলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আরও আছে। এর আগে এ কর্মকর্তা কর্মরত ছিলেন নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলায়। সেখানেও তার বিরুদ্ধে কৃষকের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ, সার, বীজসহ বিভিন্ন প্রণোদনার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠে।

এ বিষয়ে জাতীয় একটি পত্রিকায় প্রতিবেদনও প্রকাশ হয়। পরে সেখান থেকে তাকে বদলি করা হয় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে, তবে সেখানে গিয়ে বেশি দিন থাকতে হয়নি তার। তিনি চলে আসেন কিশোরগঞ্জের নিকলীতে।

মোহনগঞ্জে থাকা অবস্থায় অনিয়মের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সেখানে কোনো প্রকার অনিয়ম দুর্নীতি করেননি বলে দাবি করেন সাখাওয়াত।

এ কর্মকর্তার দাবি, সেখানকার এক সাংবাদিক তার কাছে থেকে অনৈতিক সুবিধা নিতে চেয়েছিলেন। দেননি বলে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছিলেন।

যা বললেন তৎকালীন উপ প্রকল্প পরিচালক

কৃষি সম্প্রসারণের আওতাধীন ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষ গবেষণা, সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয়করণ প্রকল্পের তৎকালীন উপ প্রকল্প পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) বিবেকানন্দ হীরার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ প্রকল্পের মেয়াদ আগস্টেই শেষ হয়ে যায়। এ প্রকল্পের সবকিছুই ক্লোজ হয়ে গেছে। তিনিও বর্তমানে এ প্রকল্পের দায়িত্বে নেই।

তিনি জানান, তার জানা মতে, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হয়েছে। প্রকল্পের বরাদ্দও কৃষকদের মধ্যে বণ্টন করা হয়েছে। তারপরও যদি কোনো কর্মকর্তা সেটি বাস্তবায়ন না করে আত্মসাৎ করে থাকেন, তবে এর দায়ভার একান্তই তার।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কিশোরগঞ্জের উপপরিচালকের ভাষ্য

এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কিশোরগঞ্জের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘যদি কোনো কর্মকর্তা এ ধরনের অনিয়ম বা আত্মসাৎ করে থাকেন এবং তদন্তে এসবের সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হবে।’

আরও পড়ুন:
মিঠামইনে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে বৃক্ষরোপণ 
বিলে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে দুজন নিহত 
ভৈরবে গণজমায়েত প্রতিরোধে মহাসড়কে আওয়ামী লীগ
কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Mechanical fault Metro trains stopped on Agargaon Motijheel route

যান্ত্রিক ত্রুটি: আগারগাঁও-মতিঝিল রুটে মেট্রো ট্রেন চলাচল বন্ধ

যান্ত্রিক ত্রুটি: আগারগাঁও-মতিঝিল রুটে মেট্রো ট্রেন চলাচল বন্ধ মেট্রোরেলের আগারগাঁও স্টেশন। ফাইল ছবি/নিউজবাংলা
ডিএমটিসিএল বলেছে, মেট্রো ট্রেন চলাচল শুরু হলে তারা যাত্রীদের এ বিষয়ে অবহিত করবে।

যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ঢাকার আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত রুটে মেট্রো ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে।

এ রুটে বুধবার সকাল পৌনে ১০টা থেকে মেট্রো ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়।

সাময়িক এ অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) বলেছে, মেট্রো ট্রেন চলাচল শুরু হলে তারা যাত্রীদের এ বিষয়ে অবহিত করবে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ডিএমটিসিএলের ভেরিফায়েড পেজে দেয়া পোস্টে বলা হয়, উত্তরা উত্তর থেকে আগারগাঁও রুটে মেট্রো ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক আছে।

আরও পড়ুন:
মেট্রো ট্রেন চলবে শুক্রবারও
এক মাস পর ফের চালু মেট্রো ট্রেন
মেট্রো ট্রেন চালু হতে পারে ২৫ আগস্ট
৭ দিনের মধ্যেই মেট্রো ট্রেন চালুর চেষ্টা: উপদেষ্টা
মেট্রোরেল চালু নিয়ে যা বললেন সেতুমন্ত্রী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
187 policemen still missing from duty HQ

এখনও কর্মস্থলে অনুপস্থিত ১৮৭ পুলিশ সদস্য: সদরদপ্তর

এখনও কর্মস্থলে অনুপস্থিত ১৮৭ পুলিশ সদস্য: সদরদপ্তর পুলিশ সদরদপ্তরের নামফলক। ফাইল ছবি
গত ১ আগস্ট থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এসব পুলিশ সদস্য কর্মস্থলে যোগাযোগ না করে অনুপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ পুলিশের ১৮৭ জন সদস্য কর্মস্থলে এখনও অনুপস্থিত রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ সদরদপ্তর।

গত ১ আগস্ট থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এসব পুলিশ সদস্য কর্মস্থলে যোগাযোগ না করে অনুপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ সদরদপ্তর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খুদেবার্তায় জানায়, অনুপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন এক ডিআইজি, সাত অতিরিক্ত ডিআইজি, দুই পুলিশ সুপার (এসপি), এক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, পাঁচ সহকারী পুলিশ সুপার, পাঁচ পুলিশ পরিদর্শক, ১৪ উপপরিদর্শক (এসআই) ও সার্জেন্ট, ৯ সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই), সাত নায়েক এবং ১৩৬ কনস্টেবল।

বার্তায় উল্লেখ করা হয়, ১৮৭ জন পুলিশ সদস্যের মধ্যে ছুটিতে অতিবাসে আছেন ৯৬। এ ছাড়া কর্মস্থলে গরহাজির ৪৯ জন, স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে তিনজন এবং অন্যান্য কারণে ৩৯ জন কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন।

আরও পড়ুন:
থানা থেকে আসামির পলায়ন: ওসিসহ ৪ পুলিশ প্রত্যাহার
চট্টগ্রামে ১৮ ওসিসহ ৩০ পুলিশ কর্মকর্তাকে একযোগে বদলি
পুলিশের ভাবমূর্তি বাড়াতে সময় দিতে হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাবেক দুই আইজিপি গ্রেপ্তার
সাত মেট্রোপলিটন পুলিশে নতুন কমিশনার পদায়ন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Metro train will run on Friday also

মেট্রো ট্রেন চলবে শুক্রবারও

মেট্রো ট্রেন চলবে শুক্রবারও মেট্রোরেল স্টেশনে ট্রেনের জন্য যাত্রীদের অপেক্ষা। ছবি: বাসস
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আবদুর রউফ মঙ্গলবার বাসসকে বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারও মেট্রো রেল চালানোর চেষ্টা চলছে।’ 

যাত্রীদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রিয় গণপরিবহন মেট্রো ট্রেন চলতি সপ্তাহ থেকে শুক্রবারও চলাচল করবে।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আবদুর রউফ মঙ্গলবার বাসসকে বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারও মেট্রো রেল চালানোর চেষ্টা চলছে।’

তিনি বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ আশা করছে শুক্রবার থেকে মেট্রো ট্রেন কাজীপাড়ায় থামবে। তাই স্টেশনটি পরিচালনা কার্যক্রমের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি চলাকালে গত ১৯ জুলাই সন্ধ্যায় মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা। তারা স্টেশনের টিকিট ভেন্ডিং মেশিন, যাত্রী প্রবেশের পাঞ্চ মেশিনসহ সব কিছু ভাঙচুর করে।

স্টেশন দুটির জন্য ৩৭ দিন বন্ধ রাখতে হয়েছিল মেট্রোরেল। ২৫ আগস্ট থেকে আবার মেট্রোরেল চলাচল শুরু হলেও দুটি স্টেশনই বন্ধ রয়েছে।

ডিএমটিসিএলের এমডি জানান, কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের জন্য স্টেশন দুটি প্রস্তুত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এর আগে স্টেশন দুটি মেরামতের জন্য আনুমানিক খরচ ৩০০ কোটি টাকা ধারণা করা হলেও পরবর্তী সময়ে মেরামত খরচ যাচাই করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়।

তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি যে, এই স্টেশনগুলির মেরামত খরচ কমবে। কারণ আমরা স্থানীয় বাজার থেকে সরঞ্জাম সংগ্রহ করব।’

এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘প্রতিবেদন পাওয়ার পর চূড়ান্ত মেরামতের ব্যয় নির্ণয় করবে পর্যালোচনা কমিটি।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কর্তৃপক্ষ বন্ধ স্টেশন দুটি সংস্কার এবং চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। ফলে ২০ সেপ্টেম্বর কাজীপাড়া স্টেশন চালু করা যাবে। মিরপুর-১০ স্টেশন চালু করতে আরও কয়েক মাস সময় লাগবে।

আরও পড়ুন:
ঈদের পর নতুন সময়সূচিতে চলবে মেট্রোরেল
ঝড়ে গাছের ডাল পড়ে মেট্রোরেল চলাচল ব্যাহত
ভারতে মেট্রোরেলে ভ্যাট নেই, বাংলাদেশে কেন: কাদের
আশুলিয়া নয়, মেট্রো যাচ্ছে টঙ্গী পর্যন্ত
স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত মেট্রোরেল চান সাভারবাসী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bullets took away the light of the eyes of more than five hundred people
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

ছররা গুলি কেড়ে নিয়েছে পাঁচ শতাধিক মানুষের চোখের আলো

ছররা গুলি কেড়ে নিয়েছে পাঁচ শতাধিক মানুষের চোখের আলো ছাত্র আন্দোলনে চোখে ছররা গুলিবিদ্ধ অনেকে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন সঞ্জয় কুমার বলেন, ‘যাদের রেটিনা ছিঁড়ে গেছে, নার্ভে কোনো ক্ষতি হয়েছে, অথবা ভেতরে কোনো হেমারেজ আছে তাদের দ্বিতীয়বারের মতো অপারেশন করতে হয়েছে। অনেক বেশি ড্যামেজ না হয়ে থাকলে আস্তে আস্তে ভালো হতেও পারে। আর বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলে ভালো হয় না।’

বাপ্পী হোসেনের বয়স ১৯ বছর। এই তরুণ রাজধানীর রায়েরবাজার এলাকায় গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেন। সে সময় ছররা গুলিতে আহত হন তিনি। সারা শরীর তো বটেই, তার দুই চোখে বিঁধে যায় পাঁচটি গুলি, যার মধ্যে বাম চোখে তিনটি আর ডান চোখে দুটি।

বাপ্পীর সারা শরীরে এখনও রয়ে গেছে ১৯টি গুলি। চিকিৎসা চলছে রাজধানীর শ্যামলীর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের স্পেশালাইজড ডেডিকেটেড কেয়ার ইউনিটে। বেশ কয়েকবার অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে দুই চোখ থেকে গুলির স্প্লিন্টারগুলো বের করা হলেও দৃষ্টিশক্তি ফেরেনি বাপ্পীর।

মা মরিয়ম বেগম জানান, বাপ্পী আর কোনোদিন দেখতে পাবে না বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। অথচ বাপ্পীর মনে এখনও আশা- একদিন আগের মতোই দেখতে পাবে সে।

ছররা গুলি কেড়ে নিয়েছে পাঁচ শতাধিক মানুষের চোখের আলো

বরিশাল বিএম কলেজের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ২৬ বছর বয়সী রহমতউল্লাহ সরকার সাবির। মাস্টার্স শেষ করে পড়ছিলেন বরিশালের একটি ল’ কলেজে।

সাবিরের ভাই নজরুল ইসলাম ইউএনবিকে জানালেন, ৪ আগস্ট বিকেলে বিএম কলেজের সামনে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। সে সময় সাবিরের বাম চোখে তিনটি ছররা বুলেট আর ডান চোখে একটি রাবার বুলেট লাগে। বাম চোখে এখনও একটি বুলেট রয়ে গেছে। সেটা বের করতে হলে চোখই ফেলে দিতে হবে। ডান চোখে তেমন সমস্যা না থাকলেও এখন বাম চোখে কিছুই দেখছে না সাবির।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে এমনই সম্পূর্ণ বা আংশিক অন্ধত্বকে বরণ করতে হয়েছে অর্ধ সহস্রাধিক মানুষকে।

জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের তথ্যকেন্দ্র থেকে জানা যায়, ১৭ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ৬১১ জন চোখে বুলেট নিয়ে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে দুই চোখ ক্ষতিগ্রস্ত ২৮ জনের, যারা পুরোপুরি অন্ধ হয়ে গেছেন।

এক চোখ আহত অবস্থায় এসেছেন ৫১০ জন। তাদের মধ্যে ১৭৭ জনের দু’বার সার্জারি করতে হয়েছে। বর্তমানে স্পেশালাইজড ডেডিকেটেড কেয়ার ইউনিটে ভর্তি আছেন ৪৬ জন, যারা সবাই ছররা বুলেটে আহত।

ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন সঞ্জয় কুমার বলেন, ‘রাবার বুলেট দিয়ে আহত কাউকে আমরা এখনও পাইনি। যারা এসেছেন তাদের চোখে বিদ্ধ সব গুলিই মেটালিক প্লেটের। এই পিলেটগুলোকে ছররা গুলি বলা হচ্ছে।

‘এগুলো যখন ছোড়া হয় তখন বুলেটের মধ্যে একটা হিট জেনারেশন হয়। এটি চোখে ঢুকলে রেটিনা তো ছিঁড়ে যায়-ই, অন্য স্ট্রাকচারগুলোও ডিসঅর্গানাইজড হয়ে যায়। এখান থেকে ব্যাক করার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যাদের রেটিনা ছিঁড়ে গেছে, নার্ভে কোনো ক্ষতি হয়েছে, অথবা ভেতরে কোনো হেমারেজ আছে তাদের দ্বিতীয়বারের মতো অপারেশন করতে হয়েছে। অনেক বেশি ড্যামেজ না হয়ে থাকলে আস্তে আস্তে ভালো হতেও পারে। আর বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলে ভালো হয় না।’

এক চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেটির প্রভাব অন্য চোখেও পড়ে কি না জানতে চাইলে সঞ্জয় কুমার বলেন, ‘এটা হতে পারে। আমাদের এখানে একজন রোগী আছে যার এক চোখে পিলেটের আঘাতের কারণে অন্য চোখেও ইফেক্ট পড়েছে। এটা যদিও খুব রেয়ার।’

ছাত্র আন্দোলনে ছররা গুলি কেড়ে নিয়েছে পাঁচ শতাধিক মানুষের চোখের আলো। যদিও কর্তৃপক্ষের দাবি, আগ্নেয়াস্ত্রে যে বুলেট ব্যবহৃত হয়েছে সেগুলো প্রাণঘাতী নয়। সেগুলো এমন বুলেট যা অনেক ছোট ছোট ছররা গুলি ছুড়ে দেয়।

মূলত ‘বার্ডশট’ হিসেবে এই পরিচিত এই বুলেট শিকারের কাজে ব্যবহারের জন্য তৈরি। নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে এই বুলেট আঘাত করে না; বরং অনেক বিস্তৃত পরিসরে ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়।

এর আকার অনুযায়ী প্রতিটি রাউন্ডে ৩০০ থেকে ৬০০টি পিলেট থাকে। কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু বা ব্যক্তির পাশাপাশি তাদের চারদিকে থাকা অন্যদেরও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার এবং গুরুতর আহত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ কারণে সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনে বিক্ষোভে ছোড়া গুলিতে পথচারীরাও ব্যাপক পরিমাণে আহত হয়েছেন।

ছররা গুলির আঘাতে মৃত্যুর পরিবর্তে অন্ধত্ব, আহত বা পঙ্গু হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। বিক্ষোভ বা জমায়েত নিয়ন্ত্রণে ‘মানবিক’ ও ‘গ্রহণযোগ্য’ অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

তবে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মনে করে, বার্ডশট মানুষের ওপর আইন প্রয়োগের জন্য ব্যবহার একেবারেই অনুপযুক্ত এবং এটি কখনোই বিক্ষোভ প্রতিহত করতে ব্যবহার করা উচিত নয়।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতশাসিত কাশ্মীরে পিলেট-ফায়ারিং শটগান ব্যবহার নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।

২০১৬ সালে সেখানে এক গণঅভ্যুত্থানের সময় ১১০০ জনেরও বেশি মানুষকে ছররা গুলিতে আংশিক বা পুরোপুরি অন্ধত্ব বরণ করতে হয়েছিল।

নিষেধাজ্ঞার এই আহ্বানে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘পিলেট-ফায়ারিং শটগানের আঘাতে আহত ব্যক্তিরা গুরুতর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন।

চোখে আঘাত পাওয়া স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, পড়াশোনা চালিয়ে যেতে তাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

ভুক্তভোগীদের বেশ কয়েকজন যারা পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন তারা কাজ করতে পারবেন কি না এ নিয়ে ভয়ে আছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই বার বার অস্ত্রোপচার করেও দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাননি।’

বিশ্বে অনেক দেশেই ‘পশু-পাখি শিকারের গোলাবারুদ’ মানুষের ওপর প্রয়োগের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এজেন্ডায় পুলিশিং সংস্কারের বিষয়টি শীর্ষে থাকায়, জমায়েত বা বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে ‘বার্ডশট’ বা পিলেট গানের ব্যবহারের বিষয়টি কর্তৃপক্ষের মনোযোগ পাওয়ার দাবি রাখে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two words synonymous with democracy and BNP Fakhrul

গণতন্ত্র ও বিএনপি সমার্থক দুটি শব্দ: ফখরুল

গণতন্ত্র ও বিএনপি সমার্থক দুটি শব্দ: ফখরুল নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মঙ্গলবার আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গত ১৬ বছরে আমাদের অনেক নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপির বহু নেতা নির্বাসিত হয়েছেন। আজকে আমরা যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি সেটা যেন হেলায় না চলে যায়।’

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্র ও বিএনপি দুটি সমার্থক শব্দ। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপিই প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিল।

আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বিএনপির উদ্যোগে দলের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মঙ্গলবার এক বিশাল সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গত ১৬ বছরে আমাদের (বিএনপি) অনেক নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপির বহু নেতা নির্বাসিত হয়েছেন। আজকে আমরা যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি সেটা যেন হেলায় না চলে যায়।’

তিনি বলেন, ‘আজকে সরকারে যারা আছেন, তাদের বলব- এখনও ফ্যাসিস্ট সরকারের অনেকে তাদের চেয়ারে বসে আছেন। এরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বাধা হয়ে নানা ষড়যন্ত্র করতে চাচ্ছেন। তাদেরকে দ্রুত চেয়ার থেকে সরাতে হবে।’

সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘জনগণের অধিকার এখনও ফয়সালা হয়নি। এই অন্তর্বর্তী সরকার নানা সংস্কারের কথা বলছে। একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যে সংস্কার সেটা সবচেয়ে বড় প্রয়োজন। এই সরকারকে অনুরোধ করতে চাই, অনতিবিলম্বে দেশে একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘সাজানো মামলায় জেল খেটেছি, এর বিচার আমরা করব। গত কয়েক দিন ধরে আওয়ামী লীগের নেতারা গ্রেপ্তার হচ্ছেন। যেখানেই তাদের পেয়েছে গণপিটুনি দিয়েছে। এই ১৭ বছরে ৩৪ বার গ্রেপ্তার হয়েছি। কই আমাদের তো ফুল দিয়ে বরণ করেছে। আমরা জেলে গিয়েছি বীরের মতো, বেরও হয়েছি বীরের মতো।’

স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘বাংলাদেশের মুক্তিকামী ছাত্র-জনতা যে ইতিহাস তৈরি করেছে, তা পুরো পৃথিবীর ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। ছাত্র-জনতার স্রোতে স্বৈরাচার হাসিনা ভেসে গেছে। ছাত্র-জনতাকে বিএনপি সমর্থন দিয়েছে ও দেবে। তবে নির্ধারিত সময়ে প্রথম ম্যান্ডেট নির্বাচন দিতে হবে। একইসঙ্গে গত ১৬ বছরে যে জুলুম ও নির্যাতন করা হয়েছে তার বিচার করতে হবে।’

সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়। তীব্র রোদ ও ভ্যাপসা গরম উপেক্ষা করে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসেন নেতাকর্মীরা।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, দেশনায়ক তারেক রহমানের নামে নেতা-কর্মীদের স্লোগান দিতে দেখা যায়। স্বৈরাচার, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সমালোচনা সংবলিত স্লোগানের উত্তাল হয়ে ওঠে নয়াপল্টন এবং আশপাশের পুরো এলাকা।

নেতাকর্মীরা মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে আনন্দ-উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। নয়াপল্টনে আশপাশের এলাকা ও অলিগলিতে অবস্থান করেন ঢাকার আশপাশের জেলা থেকে আসা নেতা-কর্মীরা। সমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টন, কাকরাইল, মালিবাগ, শান্তিনগর, বিজয়নগর, ফকিরাপুল ও আরামবাগ এলাকায় যান চলাচল কিছুটা ব্যাহত হয়।

আশপাশের সড়কে অবস্থান নেন নেতাকর্মীরা। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কোনোরকম বাধা-বিপত্তি ছাড়াই সমাবেশে আসতে পেরে সবার মধ্যেই আনন্দ-উদ্দীপনা কাজ করেছে বলে উপস্থিত নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন।

সরেজমিনে নয়াপল্টন ও আশপাশের এলাকায় দেখা যায়, দুপুর ১২টার আগে থেকেই নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে খণ্ড খ্ণ্ড মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করেন সমাবেশস্থল নয়াপল্টনে। এসময় নেতাকর্মীদের হাতে বিভিন্ন ফেস্টুন, প্লাকার্ড ও পোস্টার দেখা যায়।

সমাবেশে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত রাখতে জাতীয়বাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) নেতা-কর্মীরা গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন।

বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা জয়নুল আবদীন ফারুক, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, আমানউল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আবদুস সালাম আজাদ, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, কামরুজ্জামান রতন, গাজীপুর জেলা বিএনপির ফজলুল হক মিলন, ঢাকা জেলা বিএনপির নিপুণ রায় চৌধুরী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির রফিকুল আলম মজনু, গাজীপুরের শওকত হোসেন সরকার, যুবদলের আব্দুল মোনায়েম মুন্না, কৃষকদলের হাসান জাফির তুহিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজিব আহসান, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসাইন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক খান, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, জাসাসের হেলাল খান, মৎসজীবী দলের আব্দুর রহিম, ছাত্রদলের রাকিবুল ইসলাম রাকিব প্রমুখ বক্তব্য দেন।

আরও পড়ুন:
অন্তর্বর্তী সরকার বেশিদিন থাকলে জনগণ মেনে নেবে না: ফখরুল
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বিএনপির ৪২২ জন নিহত: ফখরুল
ঐক্য ধরে রাখতে পারলেই ছাত্র-জনতার বিজয় সুসংহত হবে: ফখরুল
প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের ভিশন স্পষ্ট: ফখরুল
সংকট সমাধানে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে: ফখরুল

মন্তব্য

p
উপরে