× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
57 killed in violence in 11 districts of the country
google_news print-icon
অসহযোগ

সহিংসতায় দেশের ১৯ জেলায় ১৪ পুলিশসহ নিহত ৯৬

সহিংসতায়-দেশের-১৯-জেলায়-১৪-পুলিশসহ-নিহত-৯৬
কিশোরগঞ্জে সহিংসতার সময় সড়কে পুড়তে থাকা টায়ার। ছবি: নিউজবাংলা
নিউজবাংলার প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য এবং বার্তা সংস্থা ইউএনবির খবর অনুযায়ী, ঢাকায় ১৪জন, সিরাজগঞ্জে ২৩ জন, কিশোরগঞ্জে পাঁচজন, সিলেটে পাঁচজন, পাবনায় তিনজন, নরসিংদীতে ছয়জন, ফেনীতে আটজন, রংপুরে চারজন, মুন্সীগঞ্জে তিনজন, মাগুরায় চারজন, বগুড়ায় দুজন, শেরপুরে দুজন, কুমিল্লায় তিনজন, লক্ষ্মীপুরে আটজন, জয়পুরহাট, ভোলা, হবিগঞ্জ, কক্সবাজার ও বরিশালে একজন করে নিহত হয়েছেন।

সরকার পতনের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচির মধ্যে রোববার দেশের ১৯ জেলায় সহিংসতায় ১৪ পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ৯৬ জন নিহত হয়েছেন। হামলা, সংঘর্ষ, গুলিসহ সহিংসতায় সারাদেশে আহত হয়েছেন বিপুলসংখ্যক মানুষ।

নিউজবাংলার প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য এবং বার্তা সংস্থা ইউএনবির খবর অনুযায়ী, ঢাকায় ১৪জন, সিরাজগঞ্জে ২৩ জন, কিশোরগঞ্জে পাঁচজন, সিলেটে পাঁচজন, পাবনায় তিনজন, নরসিংদীতে ছয়জন, ফেনীতে আটজন, রংপুরে চারজন, মুন্সীগঞ্জে তিনজন, মাগুরায় চারজন, বগুড়ায় দুজন, শেরপুরে দুজন, কুমিল্লায় তিনজন, লক্ষ্মীপুরে আটজন, জয়পুরহাট, ভোলা, হবিগঞ্জ, কক্সবাজার ও বরিশালে একজন করে নিহত হয়েছেন।

ঢাকা

ঢাকায় ধানমন্ডি, গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ী, উত্তরা ও ফার্মগেট এলাকায় সংঘর্ষে শিক্ষার্থীসহ অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া সাভারের আশুলিয়ায় একজন নিহত হয়েছেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নয়জনের মরদেহ আনা হয়েছে। তাদের একজন হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের বিবিএ দ্বিতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ সিদ্দিক ও এবং অপরজন তাহিদুল ইসলাম।

ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, হাসপাতালে আনার পর বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে আব্দুল্লাহ ও ৫টা ২৫ মিনিটে তাহিদুলকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

আব্দুল্লাহ জিগাতলা এলাকায় এবং তাহিদুল ফার্মগেটে গুলিবিদ্ধ হন।

মিটফোর্ড হাসপাতালের আনসার কমান্ডার আব্দুল আহাদ জানান, দুপুর ১২টার দিকে গুলিস্তান এলাকা থেকে রেজাউর রহমান নামে এক যুবককে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়। রেজাউরের বুকে গুলি লেগেছে। তার বাড়ি কুমিল্লায়।

উত্তরায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম নিহত হন।

সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক সাইফুর রহমান জানান, ওই হাসপাতালে একজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে। কেরানীগঞ্জে একজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এছাড়া ঢাকার ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অজ্ঞাত এক যুবকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া গেছে।

সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় রোববার দুপুরে হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে।

রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান এবং সিরাজগঞ্জে সেনাবাহিনীর দায়িত্বে থাকা লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাহিদ হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১০টার দিকে বিক্ষোভকারীরা এনায়েতপুর হাট থেকে কেজির মোড়ে যাচ্ছিলেন। ওই সময় পুলিশ তাদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করে এবং ছড়রা গুলি ছোড়ে। এতে শিক্ষার্থীসহ দুই শতাধিক বিক্ষোভকারী আহত হন।

ওই খবর পেয়ে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা একত্রিত হয়ে এনায়েতপুর থানায় হামলা চালায় এবং প্রথমে তারা আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে একেক করে তারা ১৩ জন পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করে।

এদিকে পুলিশ সদর দপ্তরের এক বার্তায় বলা হয়, ‘সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন এবং কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানার একজন পুলিশ সদস্যসহ এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ১৪ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।’

বার্তা সংস্থা ইউএনবি জেলায় আরও ১৩ জনের মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছে, তবে কীভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি সংবাদমাধ্যমটি।

কিশোরগঞ্জ

জেলার বিভিন্ন স্থানে সহিংসতায় নারীসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন।

কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটুর বাসাসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। সৈয়দ টিটুর বাসায় দেয়া আগুনে পুড়ে মারা গেছেন দুজন।

এ ছাড়া এক যুবলীগ নেতাকে হাত-পা বেধে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জে আন্দোলনকারী একজন স্ট্রোক করে এবং বাজিতপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন একজন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১১টার দিকে শহরের পুরান থানা মোড় থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলকারীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রথমে জেলা আওয়ামী লীগ অফিসে অগ্নি সংযোগ ও ব্যাপক ভাঙচুর করেন। পরে অফিসের সামনে থাকা তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেন তারা।

ওই সময় জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র ‍যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটুর নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা পাল্টা হামলা চালান। দুই পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়।

প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের পর আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা কিছুটা পিছু হটেন। ওই সময় আন্দোলনকারীরা জেলা আওয়ামী লীগ অফিসের পাশেই সৈয়দ টিটুর ছয় তলা বাসভবনের নিচ তলায় আগুন ধরিয়ে দেন।

পরে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভবনেও আগুন দেয় তারা। ভাঙচুর করা হয় সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাসাও।

আগুন সৈয়দ টিটুর বাসার তিন তলা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় সৈয়দ টিটুসহ তার বাসার ভাড়াটিয়ারা বাসায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। পরে বিপুলসংখ্যক পুলিশ গিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।

রাস্তায় ব্যারিকেড থাকায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কিছুটা দেরিতে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। তারা বাসার গেট ভেঙে আগুনে পোড়া এক নারীসহ দুজনের লাশ এবং আহতদের উদ্ধার করেন।

কিশোরগঞ্জের ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডা. একরাম উল্লাহ জানান, এ হাসপাতালে আগুনে পোড়া অঞ্জনা (৩০) নামে এক নারীসহ দুজনের লাশ আনা হয়েছে। চিকিৎসা দেয়া হয়েছে ২০ জনকে।

শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. হেলাল উদ্দিন জানান, এ হাসপাতালে ৩০ বছর বয়সী একজনের মরদেহ আনা হয়েছে। চিকিৎসা দেয়া হয়েছে ৬৫ জনকে। গুরুতর আহত দুজনকে ময়মনসিংহে রেফার করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের একটি সূত্রের অভিযোগ, সদর উপজেলার কর্শাকড়িয়াইল ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মবিনকে (৩০) হাত-পা বেঁধে কুপিয়ে হত্যা করেছেন আন্দোলনকারীরা। তার মরদেহটি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে।

কিশোরগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় স্ট্রোক করে মারা গেছেন ফরহাদুল ইসলাম রুবেল (৩২) নামের এক আন্দোলনকারী। তিনি তাড়াইল উপজেলার তালজাঙ্গা গ্রামের আজহারুল ইসলামের ছেলে।

চর শোলাকিয়া এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এখানে দেড় শর মতো আহত লোকজনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

আন্দোলনকারীরা শহরের পুরান থানা মোড় ও কাচারীবাজার বটতলা মোড়ের পুলিশ বক্স ভাঙচুর করে।

বেলা ১১টা থেকে বিকেল পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ চলে।

এদিকে কিশোরগঞ্জ শহরের পুরান থানা এলাকায় ইটনা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী কামরুল হাসানের বাসায়ও ভাঙচুর হয়েছে। এ ছাড়া জেলার বাজিতপুরে আন্দোলনকারীরা দুটি বাস ও সাতটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় এবং গণনাট্য সংসদের অফিসে আগুন দেয়।

ওই সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে কুদ্দুস (৩২) নামের একজন স্থানীয় একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। তার বাড়ি বাজিতপুরের দিঘিরপাড় এলাকায়।

সিলেট

জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বিজিবি ও পুলিশের আলাদা সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ এলাকায় তিনজন ও উপজেলা সদরের চৌমুহনীতে সংঘর্ষে দুইজন নিহত হন। এতে আহত হয়েছেন অনেকে।

চৌমুহনীতে সংঘর্ষে আহত দুজনকে রোববার সন্ধ্যায় ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক ।

এই দুজন হলেন ঢাকা দক্ষিণ দত্তরাইল গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে মিনহাজ উদ্দিন (২৪), পৌর এলাকার ঘোষগাঁও গ্রামের গৌছ উদ্দিন (৪০)।

সিলেটের ওসমানী মেডিক্যালের উপপরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী দুজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেছেন, তাদের মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়।

এর আগে উপজেলার ঢাকা দক্ষিণে সংঘর্ষের ঘটনায় আরও তিনজন মারা যান। রোববার দুপুর ২টা থেকে এ সংঘর্ষ বাধে।

ঢাকা দক্ষিণে সংঘর্ষে নিহতরা হলেন উপজেলার বারকুট গ্রামের মো. মকবুল আলীর ছেলে ব্যবসায়ী তাজ উদ্দিন (৪৩), উপজেলার শিলঘাটের বাসিন্দা সানি আহমদ (১৮) ও ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়নের নিশ্চিন্ত গ্রামের বাসিন্দা নাজমুল ইসলাম (২২)। তিনি ঢাকা দক্ষিণ বাজারের তানজিনা সুজের সত্বাধিকারী।

গোলাপগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সুদর্শন সেন সংঘর্ষে তাজ উদ্দিন ও সানি আহমদের মৃত্যুর তথ্য মিশ্চিত করেছেন, তবে তাদের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি। আর নজমুলের নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার বাবা তৈয়ব আলী।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অবরোধ চলাকালে শিক্ষার্থী ও জনতা ঢাকা দক্ষিণ এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ সংঘর্ষে পুলিশ-বিজিবি সদস্য ও বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন। কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানা খবর পাওয়া গেছে।

নিহত তাজ উদ্দিনের আত্মীয় জাবেদ মাহমুদ জানান, বেলা দুইটার দিকে ঢাকা দক্ষিণ রোডের গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে ব্যবসায়ী তাজ উদ্দিন পুলিশের গুলিতে লুটিয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিক তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।

পাবনা

পাবনা শহরে গুলিতে তিন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। শহরের ট্রাফিক মোড়ে বেলা একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তিনজনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, পাবনার ট্রাফিক মোড়ে দুপুরে বিক্ষোভ করছিলেন শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ওই সময় অতর্কিত এসে কে বা কারা গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হন। গুলিবিদ্ধ অপর দুজনকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত বলে জানান।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, ট্রাফিক মোড়ে পাবনা সদর উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাঈদের অতর্কিত গুলিতে অন্তত ১০ বিক্ষোভকারী গুলিবিদ্ধ হন, যাদের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়।

তারা আরও জানান, গুলির ঘটনার পর বিক্ষোভকারীরা আবু সাঈদকে ধাওয়া দিলে তিনি দুটি গাড়ি রেখে চলে যান। এর মধ্যে একটি জিপে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। অপর গাড়িটি ভাঙচুর করা হয়।

নরসিংদী

জেলা সদর উপজেলার মাধবদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিক্ষোভকারীদের মিছিলে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা। এর জের ধরে আওয়ামী লীগের ছয় নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন উত্তেজিত জনতা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা ইউএনবিকে জানান, আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে বের করলে আওয়ামী লীগ কর্মী-সমর্থকরা তাদের প্রতিহত করতে মিছিলে এলোপাতাড়ি গুলি চালান। এতে চারজন গুলিবিদ্ধ হন।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে সুমন মিয়া, সোহেব ও আল আমিনকে নরসিংদী সদর হাসপাতাল এবং মীর জাহাঙ্গীরকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপতালে পাঠানো হয়।

বার্তা সংস্থাটি আরও জানায়, গুলি উপেক্ষা করেই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী-সমর্থকদের ওপর চড়াও হয় চার থেকে পাঁচ হাজার বিক্ষোভাকারী। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা দৌড়ে পালাতে শুরু করলে ধাওয়া করেন আন্দোলনকারীরা।

ওই সময় ছয়জন মাধবদী বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম দিকের বড় মসজিদে আশ্রয় নেন। উত্তেজিত জনতা মসজিদ থেকে তাদের বের করে এনে মসজিদের সামনেই পিটিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়।

নিহত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন চরদিগলদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন, নরসিংদী সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের ছোট ভাই যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য শ্রমিক লীগ নেতা মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া ওরফে নাতি মনির, শ্রমিক লীগ নেতা আনিছুর রহমান সোহেল, মাধবদী পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার নওশের।

মাধবদী থানার ওসি কামরুজ্জামানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ছয়জন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন।

নরসিংদী শহরের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের জেলখানা মোড় চত্বরে রোববার সকাল থেকেই ছাত্র-জনতা জমায়েত হতে শুরু করেন। দুপুর ১টার দিকে তারা জেলখানা মোড় থেকে নরসিংদী স্টেডিয়াম পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করেন।

ফেনী

জেলায় সহিংসতায় আটজন নিহত ও ২৫ জন আহত হন।

সকাল থেকে জেলার মহিপাল এলাকায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ছিল শান্তিপূর্ণ। তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক সড়কের সংযোগস্থল মহিপাল সিক্স লেইন ফ্লাইওভার এলাকায় অবস্থান করে মিছিল করেন।

দুপুর দুইটার পর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের সময় গুলিতে আটজন নিহত হন বলে জানান ফেনী সদর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আসিফ ইকবাল।

তিনি জানান, নিহত সবার বয়স ১৭ থেকে ২৬ বছরের মধ্যে।

সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় হাসপাতালের আরএমও গুলিতে আটজন নিহত হয়েছেন বলে জানান।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিকেল তিনটা থেকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে মরদেহগুলো নিয়ে আসার পর কিছু সময় সেখানে পড়ে ছিল। পরে খবর পেয়ে মৃত ব্যক্তির স্বজনরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে পড়ে থাকা মরদেহ নিজেরা শনাক্ত করে ময়নাতদন্ত ছাড়াই জোরপূর্বক নিজ নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। ফলে হাসপাতালে এসব মৃত ব্যক্তিদের কোনা হিসাব থাকল না।

সংঘর্ষে নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ এভাবে বিনা ময়নাতদন্তে স্বজনদের দিয়ে দেয়ার কোনা নিয়ম আছে কি না জানতে চাইলে ফেনী সদর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবুল খায়ের মিয়াজি মুঠোফোনে বলেন, ‘মরদেহগুলো মর্গে নিতে বাধা দেয় কিছু লোক। তারা হাসপাতালের মর্গেও হামলা করার চেষ্টা করে।

‘এ সময় হাসপাতালের পুলিশ বক্সের দায়িত্বে থাকা পুলিশরাও চলে যায়। নিরুপায় হয়ে তারা মরদেহগুলো স্বজনদের দিতে বাধ্য হয়েছেন।’

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে মরদেহ নিতে আসা স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, নিহত লোকজন হলেন ফেনীর দাগনভূঁঞা উপজেলার উত্তর জায়লস্কর গ্রামের কলেজ শিক্ষার্থী সরোয়ার জাহান মাসুদ, ফেনী সদর উপজেলার কাশিমপুর এলাকার বাসিন্দা দোকান কর্মচারী শিহাব উদ্দিন, সোনাগাজী উপজেলার মান্দারী গ্রামের বাসিন্দা পথচারী সাকিব, ফেনীর ফাজিলপুর এলাকার বাসিন্দা আবু সাঈদ, ফেনী সদর পৌরসভার গাজী ক্রস রোডের বাসিন্দা ও কলেজ শিক্ষার্থী ইশতিয়াক আহমেদ শ্রাবণ, সাইদুল হক। অপর দুজনের নাম জানা যায়নি।

হাসপাতালের একটি সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষে গুলিতে ও ইট-পাটকেলে আহত ২৫ জনকে ফেনী সদর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত আরও কিছু লোকজন বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

বিকেলে বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা-কর্মীরা মাঠে নামেন। তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা-কর্মীদের একাধিকবার পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের অবস্থা থমথমে দেখা যায়।

পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাবের টহল থাকলেও তাদের কার্যকর কোনো ভূমিকা দেখা যায়নি।

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার বা অন্য কোনো পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বারবার কল দিয়েও কথা বলা যায়নি।

রংপুর

জেলায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে চারজন নিহত হন। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন।

রংপুর মেডিক্যাল কলেজ মর্গের দায়িত্বে থাকা আবদুল জলিল দুজন নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও দুজন নিহত হওয়ার তথ্য জানান।

মুন্সীগঞ্জ

জেলায় আন্দোলনকারী ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে তিনজন নিহত হন। গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আন্দোলনকারী ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের মধ্যে টানা পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষে রোববার রণক্ষেত্রে পরিণত হয় মুন্সীগঞ্জ শহরের থানারপুল চত্বর। এতে তিনজনের প্রাণহানি হয়।

সংঘর্ষের সময় ভাঙচুর করা হয় অর্ধশত দোকানপাট ও বিএনপির কার্যালয়। আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয় পাঁচটি মোটরবাইক, একটি কাভার্ডভ্যান ও একটি পিকআপ ভ্যান।

তিনজন নিহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত হওয়া গেছে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল ও সিরাজদীখান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে।
নিহত তিনজনই শ্রমিক বলে জানা গেছে।

মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল দুজন নিহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

জেলার সিরাজদীখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার একেএম তাইফুল হক একজন নিহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, নিহতের নাম মো. সজল। তিনি আলী আকবরের ছেলে। তাকে মৃত অবস্থায় আনা হয়।

এ ব্যাপারে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান জানান, উভয় পক্ষকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায় পুলিশ। ফাঁকা গুলি, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়েন বাহিনীর সদস্যরা।

মাগুরা

মাগুরায় অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে দুই শিক্ষার্থীসহ চারজন নিহত হয়েছেন।

তারা হলো সদরের বরণাতৈল বিশ্বাসপাড়ার প্রয়াত ময়েন উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে মেহেদী হাসান রাব্বী (২৬), যিনি জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। অপর তিনজন হলেন শ্রীপুরের নাকোল ইউনিয়নের রায়নগর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে ফরহাদ হোসেন (২২) ,মহম্মদপুর সদরের ইউনুস আলীর ছেলে আহাদ আলী বিশ্বাস (১৯) ও মহম্মদপুরের বালিদিয়া গ্রামের কানু মোল্যার ছেলে সুমন শেখ (১৭) ।

নিহত ফরহাদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদালয়ের শিক্ষার্থী ও আহাদ আলী বিশ্বাস মহম্মদপুর আমিনুর রহমান ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। এ সংঘর্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে।

সকাল থেকে মাগুরা শহরের নতুন বাজার, কেশব মোড়, চৌরঙ্গী মোড়, ঢাকা রোড়,পারনান্দুয়ালী ব্রিজ ও ভায়না এলাকায় পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেন।

সকাল ৯টায় মাগুরা-ঢাকা মহাসড়কের পারনান্দুয়ালী ব্যাপারীপাড়া জামে মসজিদ এলাকায় ছাত্রদের কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকেন। ওই সময় পারনান্দুয়ালী এলাকার ৫ শতাধিক মানুষ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সমবেত হন।

বেলা ১১টার দিকে পুলিশ ওই এলাকায় পৌঁছে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেয়। মুহূর্তের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে যায় চারদিকে।

পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শিক্ষার্থীদের লক্ষ করে টিয়ার শেল ও কয়েকটি গুলি ছোড়ে। ওই সময় পুলিশের গুলিতে মেহেদী হাসান রাব্বী (২৬) আহত হন। পরে গুলিবিদ্ধ রাব্বীকে মাগুরা সদর হাসপাতালে আনলে কতর্ব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

দুপুরে পারনান্দুয়ালী এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জেলা ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে।

সংঘর্ষ চলাকালে ছাত্রলীগের গুলিতে ফরহাদ (২২) গুলিবিদ্ধ হন। পরে আহত অবস্থায় তাকে সদর হাসপাতালে আনলে তিনি অপারেশন থিয়েটারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

অন্যদিকে মহম্মদপুর উপজেলায় পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ চলাকালে দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে তারা মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাদের মৃত্যু হয়।

বগুড়া

জেলায় অসহযোগ আন্দোলনে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে বগুড়া শহরের সাতমাথাসহ বিভিন্ন স্থান অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। ওই সময় দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মাঝে।

আন্দোলনকারীরা তিন থানায় হামলা, টিঅ্যান্ডটি, পিবিআই, সদর ভূমি অফিস, আওয়ামী লীগ কার্যালয়সহ সদর আসনের সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসান রিপুর বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।

এ ছাড়া বিটাক বগুড়া কার্যালয়ের ফটকসহ কম্পিউটার হিউ মেডিকেল কন্ট্রোল রুমের দরজা-জানালা ভাঙচুর করেন।

ছাত্রদের এই আন্দোলনে বিএনপির শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের রাজপথে দেখা যায়। তারাও ছাত্রদের সাথে বিক্ষোভে যোগ দেন।

সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত দুজনের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম মুনিরুল ইসলাম (২২)। তার বাড়ি কাহালু উপজেলার বীরকেদার এলাকায়।

মুনিরুল মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। অপর জনের পরিচয় (৬০) এখনও পাওয়া যায়নি।

এ ছাড়া সংঘর্ষে আহত হয়ে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ৩২ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

দুপচাঁচিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শামসুন্নাহার জানান, মুনিরুলের মাথায় গুলি লেগেছিল।

শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা সাজিদ হাসান সিদ্দিকী জানান, এখানে যারা আহত অবস্থায় এসেছেন তাদের বেশির ভাগই গুলিবিদ্ধ। তাদের কমপক্ষে ১০ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়ার শজিমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার জাকির হাসান জানান, বগুড়া সদর, দুপচাঁচিয়া ও শেরপুর থানায় হামলা করা হয়েছে। এ ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা করা হয়। জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনাতেও হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

কুমিল্লা

পুলিশ সদরদপ্তরের এক বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানার একজন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।

বার্তা সংস্থা ইউএনবি জেলাটিতে আরও দুজন নিহত হয়েছেন জানালেও কীভাবে তারা নিহত হয়েছেন, সে বিষয়ে কিছু জানায়নি।

লক্ষ্মীপুর

জেলা সদরের উত্তর স্টেশনসহ বিভিন্ন এলাকায় সকাল থেকে বিক্ষোভকারী ও আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে গোলাগুলি হয়। এতে দুই পক্ষের অর্ধশতাধিক মানুষ গুলিবিদ্ধ হন।

আহত লোকজনকে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুরুতে একজন প্রাণ হারান। হাসপাতালে নেয়ার পর মৃত ঘোষণা করা হয় তিনজনকে।

অন্যদিকে জেলার বাগবাড়ি ও ‍ঝুমুর এলাকায় দুপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় চারজন নিহত হন। গুলিতে নিহত চারজনের নাম জানা গেছে, যারা হলেন সাব্বির, মিরাজ, কাউসার ও আফনান।

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) অরূপ পাল চারজনের মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছেন।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে বাকি চারজনের মৃত্যুর বিষয়টি জানা গেলেও এ নিয়ে কোনো কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এর বাইরে শেরপুরে দুজন, কুমিল্লায় তিনজন, জয়পুরহাট, ভোলা, হবিগঞ্জ, কক্সবাজার ও বরিশালে একজন করে নিহত হওয়ার খবর জানায় ইউএনবি, তবে তারা কীভাবে নিহত হন, সে বিষয়ে কিছু জানায়নি বার্তা সংস্থাটি।

আরও পড়ুন:
সিলেটের গোলাপগঞ্জে সংঘর্ষে নিহত ২, আহত অনেকে
রাজধানীসহ ১১ জেলায় নিহত কমপক্ষে ৩২, আহত শতাধিক
ঢামেক হাসপাতালে আনা হয়েছে ৮০ আহতকে, এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু
নাশকতাকারীদের শক্ত হাতে দমনে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
জাতীয় প্রেস ক্লাবে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ-পুলিশ সংঘর্ষ, আহত শতাধিক

মন্তব্য

আরও পড়ুন

তদন্ত কমিশনের সংবাদ সম্মেলন

গুমের শিকার ব‍্যক্তিদের চার ধরনের পরিণতি হতো

গুমের শিকার ব‍্যক্তিদের চার ধরনের পরিণতি হতো

রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই গুম করা হতো বলে জানিয়েছেন গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিটির সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী। গুমের শিকার ব্যক্তিদের সম্ভাব্য ৪ ধরনের পরিণতি হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে সংবাদ সম্মেলনে গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিটির সভাপতি এসব তথ্য জানান। কমিশনে দাখিল করা অভিযোগ বিশ্লেষণে এসব তথ্য দেন তিনি।

তিনি বলেন, গুমের শিকার ব্যক্তিদের সম্ভাব্য যে ৪ ধরনের পরিণতি হয়েছে, তা হলো: ১. গুমের শিকার ব্যক্তিকে হত্যা করা। ২. বিচারের আগেই মিডিয়ার সামনে উপস্থাপন করে জঙ্গি তকমা দিয়ে বাংলাদেশেই বিচারাধীন বা নতুন ফৌজদারি মামলায় গ্রেফতার দেখানো।৩. তাকে সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাঠিয়ে সে দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মাধ্যমে গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা করা। ৪. ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে, অল্পসংখ্যক ক্ষেত্রে মামলা না দিয়ে ছেড়ে দেওয়া।

গুম কমিশনের ২য় অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন গত ৪ জুন প্রধান উপদেষ্টা বরাবর জমা দেওয়ার পর আজ দুপুরে রাজধানীর গুলশানে গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মইনুল ইসলাম চৌধুরী এ সব কথা বলেন।

গুম কমিশনের সভাপতি বলেন, বিগত কর্তৃত্ববাদী সরকারের আমলে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি এবং ভিন্ন মতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে পদ্ধতিগত দমননীতির অংশ হিসেবে গুমকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরেও বহু অপরাধী ও তাদের শুভাকাঙ্ক্ষীরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকায় অনেক জোরালো প্রমাণ ও নিদর্শন ধ্বংস, অনেক ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক অসহযোগিতা, সাক্ষীদের ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানারকম ভীতিকর ও আতঙ্কজনক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। তবুও বহু ভুক্তভোগী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের অভিযোগ ও অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন। তারা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বিস্তারিতভাবে সে কাহিনি তুলে ধরেছেন।

গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারির সভাপতি আরো বলেন, বিগত সরকারের শাসনামলে গুম একটি সুশৃঙ্খল ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপে ‘জঙ্গিবাদবিরোধী’ অভিযানের ছায়াতলে ইসলামি উগ্রবাদের হুমকিকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করা, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন ও শাসন দীর্ঘায়িত করার উদ্দেশে পরিচালিত হয়েছিল। ভুক্তভোগীদের মধ্যে ছিলেন- মেধাবী শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক কর্মী ও সাংবাদিক থেকে সাধারণ জনগণ।

মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এ প্রক্রিয়ায় তারা ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাকে অস্ত্র বানিয়েছিল। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও নিরাপত্তা বাহিনীকে রাজনৈতিক প্রভাবাধীন করে এবং নির্যাতন ও গোপন আটকের সংস্কৃতি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে চালু করেছিল। এমনকি সাধারণ নাগরিকদের বেআইনি পন্থায় বারবার ভারতীয় বাহিনীর হাতেও তুলে দেওয়া হয়েছিল।

কমিশন অফ ইনকোয়ারি অ্যাক্টের ধারা ১০ এ(১) ও (২) অনুযায়ী কমিশনে দাখিলকৃত ১৩১টি অভিযোগের বিষয়ে আইন মোতাবেক জিডি রেকর্ডপূর্বক ভিকটিমদের সন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পুলিশ মহাপরিদর্শক বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, গোপন আটক কেন্দ্রের অস্তিত্ব এখন আর অস্বীকার করা যায় না। সকল ক্ষেত্রেই ভুক্তভোগীরা প্রায় একই ধরনের প্রক্রিয়ার শিকার হয়েছেন। পদ্ধতিগত নির্যাতন, সন্ত্রাসী হিসেবে প্রচার, একই ধরনের আইন অনুযায়ী অভিযোগ দায়ের ও একই ধরনের ভাষায় বর্ণনা। বিভিন্ন পটভূমি থেকে আসা ব্যক্তিদের অভিজ্ঞতার এই সামঞ্জস্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যকে স্পষ্ট করে।

তিনি বলেন, প্রতিবেদনে ১৯ শতাংশ ফেরত না আসা ১২ জন ভিকটিমের বিষয়ে অগ্রগতি তুলে ধরেছি, যাদের বিষয়ে প্রাথমিকভাবে অনুসন্ধান সম্পন্ন হয়েছে। তাদের গুমের জন্য কারা দায়ী, তা প্রাথমিকভাবে আমরা শনাক্ত করতে পেরেছি। চলমান অনুসন্ধানের স্বার্থে এই মুহূর্তে এর চেয়ে বেশি প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না।

ফিরে না আসা ভিকটিমদের বিষয়ে অপরাধী ও গুমের অপরাধ সংঘটনের স্থানসহ নানাবিধ বিষয়ে তথ্যের ঘাটতি বা পুরোনো কললিস্ট না পাওয়াসহ নানারকম বিলম্বঘটিত প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হলেও কমিশন আন্তরিকতার সঙ্গে অনুসন্ধান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

প্রতিবেদনে কমিশন সন্ত্রাসবিরোধী যে সব মামলায় অপব্যবহার হয়েছে, তা ন্যায় বিচারের মানদণ্ড বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতনের সঙ্গে আলোচনার প্রেক্ষিতে মালয়েশিয়া-ইন্দোনেশিয়ার মতো উপযুক্ত কাউন্টার টেরোরিজম মেথড বের করার জন্য দুটি সুপারিশ করা হয়।

এ সময় গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত বিচারক মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকার কর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কমিশনের সদস্য নাবিলা ইদ্রিস, মানবাধিকার কর্মী ও কমিশনের সদস্য সাজ্জাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The accused in the murder case

আদালত থেকে পালাল হত্যা মামলার আসামি

আদালত থেকে পালাল হত্যা মামলার আসামি

ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের এজলাস থেকে হাজতখানায় নেওয়ার পথে পুলিশকে মারধর করে পালিয়েছেন হত্যা মামলার এক আসামি।

আসামি শরিফুল ইসলাম (২২) দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ থানার হরিপুর গ্রামের মৃত শফিক আহম্মেদের ছেলে। তিনি রাজধানীর খিলগাঁও থানার জিসান হোসেন (১৪) হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। মামলাটি বর্তমানে সাক্ষ্যগ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টার পর সংশ্লিষ্ট আদালতের দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবল শহিদুল্লাহকে মারধর করে ছুটে পালিয়ে যান আসামি শরিফুল। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানার ইনচার্জ এসআই রিপন।

তিনি বলেন, আসামিকে আদালত থেকে হাজতখানায় নেওয়ার সময় পুলিশকে আঘাত করে তিনি পালিয়ে যায় আসামি শহিদুল।

ডিএমপির প্রসিকিশন বিভাগের এডিসি মাইন উদ্দিন বলেন, আসামির হাতে হাতকড়া পরানো ছিল। তিনি ধাতব কিছু দিয়ে হাতকড়া ঢিলা করে কৌশলে খুলে ফেলে। পরে পুলিশ কনস্টেবলের হাতে আঘাত করে পালিয়ে যায়।

তিনি বলেন, আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। কোতোয়ালি থানাকে জানানো হয়েছে আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলমান।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Shakib Al Hasan including the ACC

সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের নামে দুদকের মামলা

শেয়ারবাজার থেকে ২৫৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের নামে দুদকের মামলা

প্রতারণার মাধ্যমে শেয়ার বাজার থেকে ২৫৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন বাদী হয়ে সংস্থাটির সমন্বিত ঢাকা জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সেগুন বাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এসব তথ্য জানান।

আক্তার হোসেন বলেন, তিনটি কোম্পানির শেয়ারে সাকিব আল হাসান বিনিয়োগ করেছেন। বিনিয়োগ কার্যক্রমে মার্কেট ম্যানিপুলেট করা হয়েছে। মার্কেট ম্যানিপুলেশনের সঙ্গে তিনি (সাকিব) জড়িত।

এর আগে গত সোমবার সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। সাকিব ছাড়া ১৪ আসামি হলেন— সমবায় অধিদপ্তরের উপনিবন্ধক মো. আবুল খায়ের (ওরফে হিরু) ও তার স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান, আবুল কালাম মাদবর, কনিকা আফরোজ, মোহাম্মদ বাশার, সাজেদ মাদবর, আলেয়া বেগম, কাজী ফুয়াদ হাসান, কাজী ফরিদ হাসান, শিরিন আক্তার, জাভেদ এ মতিন, মো. জাহেদ কামাল, মো. হুমায়ুন কবির ও তানভির নিজাম।

আসামিদের বিরুদ্ধে ২৫৬ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজার ৩০৪ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক দ্রুত আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার অসৎ অভিপ্রায়ে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ সংক্রান্ত প্রচলিত আইন ও বিধি (সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬১ এর ১৭ ধারা) পরিকল্পিতভাবে লঙ্ঘনপূর্বক নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিও অ্যাকাউন্টসমূহে অসাধু, অনৈতিক ও অবৈধ উপায়ে ফটকা ব্যবসার মতো একাধিক লেনদেন, জুয়া ও গুজবের মাধ্যমে বাজারের কারচুপি করেছেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, পরিকল্পিতভাবে নির্দিষ্ট কিছু শেয়ার সংঘবদ্ধভাবে ক্রমাগত ক্রয়-বিক্রয়পূর্বক কৃত্রিমভাবে দাম বাড়িয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ওই শেয়ারসমূহে বিনিয়োগে প্রতারণাপূর্বক প্রলুব্ধ করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে তাদের ২৫৬ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজার ৩০৪ টাকা আত্মসাৎপূর্বক অস্বাভাবিক রিয়ালাইজড ক্যাপিটাল গেইনের নামে অর্জিত অপরাধলব্ধ অর্থ বা প্রসিড অব ক্রাইম শেয়ার বাজার থেকে সংঘবদ্ধভাবে উত্তোলন করেছেন। আসামি মো. আবুল খায়ের (ওরফে হিরু) কর্তৃক তার স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসানের সহায়তায় ক্যাপিটাল গেইনের নামে অর্জিত অপরাধলব্ধ অর্থের ২১ কোটি ১৪ লাখ ৪২ হাজার ১৮৫ টাকার উৎস গোপনের অভিপ্রায়ে লেয়ারিং করে বিভিন্ন খাতে স্থানান্তর করেন। তিনি ১৭টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সর্বমোট ৫৪২ কোটি ৩১ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ টাকার অস্বাভাবিক, অযৌক্তিক এবং সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন।

ওই মামলায় সাকিব আল হাসানের সম্পৃক্ততা প্রসঙ্গে বলা হয়, আসামি মো. আবুল খায়ের (ওরফে হিরু) কর্তৃক শেয়ার বাজারে কারসাজিকৃত প্যারামাউন্ট ইস্যুরেন্স লি., ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স লি. এবং সোনালী পেপারস লি.-এর শেয়ারে সাকিব আল হাসান বিনিয়োগ করে বাজার কারসাজিতে যোগসাজশ করেন। সরাসরি সহায়তাপূর্বক সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কারসাজিকৃত শেয়ারে বিনিয়োগে প্রতারণাপূর্বক প্রলুব্ধ করে তাদের ২ কোটি ৯৫ লাখ ২ হাজার ৯১৫ টাকা রিয়ালাইজড ক্যাপিটাল গেইনের নামে অপরাধলব্ধ আয় হিসেবে শেয়ার বাজার হতে উত্তোলনপূর্বক আত্মসাৎ করেছেন।

আসামিদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) এবং দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/১২০বি/১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

চলতি বছরের এপ্রিলে সাকিবের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। অর্থপাচার ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য দুদকের উপ-পরিচালক মাহবুবুল আলমের নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
I will not be afraid to bomb the trial I will take the trial to the shore
দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান

বোমা মারলেও ভয় পাব না, বিচারের তরী বয়ে নিয়ে যাব তীরে

বোমা মারলেও ভয় পাব না, বিচারের তরী বয়ে নিয়ে যাব তীরে

মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে ভয়হীন ও পক্ষপাতহীনভাবে কাজ করবেন বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, কেউ বোমা মারলেও তিনি ভয় পাবেন না।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে পুরোনো হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারপতিদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার ত্বরান্বিত করতে গত ৮ মে ট্রাইব্যুনাল-২ গঠন করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনার মাধ্যমে ট্রাইব্যুনাল-২ এর কার্যক্রম শুরু হয়ে গেল। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা আল্লাহর ওপর নির্ভর করে পথ চলি। তার ওপর নির্ভর করে কাজ করি। কেউ বোমা মারলেও ভয় পাব না। কেউ গুলি করে মেরে ফেললে আমার সব গুনাহ নিয়ে যাবে। ফলে আমার ভয়ের কারণ নেই। আমি কবরের পাশে দাঁড়ানো, আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। ভয়ের কিছু নেই। বিচারের এই তরি বয়ে নিয়ে যাব।’ বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী আরও বলেন, কিছু লোক গত ১৫ বছর ক্ষমতা দখল করে রেখেছিল। তারা নিষ্ঠুরভাবে শাসন করেছে। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলার সাহস করেনি। মানুষ নিজেদের কথা বলতে পারেনি। সেই ফ্যাসিস্টরা এখনো ফিরে আসার চেষ্টা করছে।

বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, শত শত ছাত্র-জনতা জীবন দিয়ে মানুষকে স্বাধীনভাবে কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছেন। অনেকে আহত হয়েছেন। তাদের অনেকে এখনো যথাযথ চিকিৎসা পাননি। বিচারকেরা চেষ্টা করছেন ছাত্র-জনতার দুর্ভোগ কমাতে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তাদের নাম উল্লেখ করে বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ভয়হীন ও পক্ষপাতহীনভাবে তারা কাজ করবেন। তাদের কাছ থেকে ন্যায়বিচার আশা করা যায়। তারা আন্তর্জাতিক নিয়ম ও প্রক্রিয়া মেনে চলবেন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের বিষয়গুলোও মেনে চলবেন বলেও উল্লেখ করেন নজরুল ইসলাম চৌধুরী। এ সময় ট্রাইব্যুনাল-২ এর সদস্য বিচারপতি মো. মঞ্জুরুল বাছিদ ও বিচারপতি নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সংবর্ধনার পর অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা দেখতে চাই আমাদের এই বিচার নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে যেন কোন প্রশ্ন না ওঠে। আমরা দেখতে চাই এই বিচার যেন হয় আন্তর্জাতিক মানের।’

চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, আজকের সংবর্ধনায় এজলাসে বসা শুরুর মধ্য দিয়ে ট্রাইব্যুনাল-২ এর যাত্রা শুরু হলো। ট্রাইব্যুনাল-১ থেকে কিছু মামলা এখানে আসবে বলে আশা করছি। আর কিছু নতুন মামলা এখানে দাখিল করব। ইনশাআল্লাহ, বিচারের অগ্রগতি দেশবাসী দেখতে পাবে। গত ৮ মে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীকে চেয়ারম্যান করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গঠন করে সরকার। এই ট্রাইব্যুনালের সদস্য পদে নিয়োগ পান অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মঞ্জুরুল বাছিদ এবং মাদারীপুরের জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর। এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান ও সদস্যরা হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকের প্রাপ্য বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন। এছাড়া প্রজ্ঞাপনে বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদার, বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বিদ্যমান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান নির্মূলে আওয়ামী লীগ সরকার, তার দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেছে বলে শত শত অভিযোগ জমা পড়ে। জাজ্বল্যমান এসব অপরাধের বিচার অনুষ্ঠিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The capitals notorious extortionist leiton arrested

রাজধানীর কুখ্যাত চাঁদাবাজ লিটন গ্রেপ্তার

রাজধানীর কুখ্যাত চাঁদাবাজ লিটন গ্রেপ্তার

রাজধানীর কুখ্যাত চাঁদাবাজ লিটনকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। তার বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় ছিনতাই ও অপহরণের মামলা ছিল।

বুধবার (২৮ মে) রাত ১০টার দিকে পুরানো পল্টনের নিউ বন্ধু হোটেলের একটি কক্ষ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে মতিঝিল এলাকায় ব্যবসায়ীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায়, অপহরণ ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছিল লিটন। গত বছরের ৫ আগস্টের পর এসব কার্যক্রম আরও বেড়ে যায়।

পুরানা পল্টন এলাকায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক টাকা আদায়ের অভিযোগে ভুক্তভোগীরা একাধিকবার সেনাবাহিনীর কাছে অভিযোগ করেন। এরপর সেনাবাহিনী ও সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থাগুলো লিটনের গতিবিধি নজরদারিতে রাখে।

বুধবার রাতে নিউ বন্ধু হোটেলের পাশের একটি ভবনে থাকা লিটনের ব্যক্তিগত অফিসে অভিযান চালানো হয়। হোটেলের একটি কক্ষ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে হোটেল কক্ষ, অফিস ও তার বাসায় তল্লাশি চালিয়ে পাঁচটি মোবাইল ফোন, নগদ ২ লাখ টাকা ও ১ হাজার ১০০ ডলার উদ্ধার ও জব্দ করা হয়।

সেনাবাহিনীর মেজর শাকিব সাংবাদিকদের জানান, লিটনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
One of our commitments to judge massacre Law Advisor

গণহত্যার বিচার আমাদের অন্যতম অঙ্গীকার: আইন উপদেষ্টা

গণহত্যার বিচার আমাদের অন্যতম অঙ্গীকার: আইন উপদেষ্টা
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। ছবি: সংগৃহীত

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, গণহত্যার বিচার আমাদের অন্যতম অঙ্গীকার।

উপদেষ্টা আজ তার ভেরিফাইড ফেসবুকে এক পোস্টে বলেছেন, ‘বিচার শুরু হচ্ছে শিগগির। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের প্রক্রিয়া দৃশ্যমান করার দাবি আছে সমাজে। এটি দৃশ্যমান করা হয়েছিল আট মাস আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত পুনর্গঠনের মধ্যে দিয়েই।

এরপর তদন্তকারী অফিস ও প্রসিকিউশন অফিস পুনর্গঠন করা হয়েছে। তদন্তকারী দল কয়েকটি মামলার তদন্ত শেষ করেছে। প্রসিকিউশন টিম পরীক্ষা নিরীক্ষা করে একটি মামলার ফরমাল চার্জ গঠন করেছে। গতকাল রোববার এটি ট্রাইব্যুনালে জমা দেয়ার পর তা আমলে নেয়া হয়েছে।’

উপদেষ্টা বলেছেন, ‘ট্রাইব্যুনাল ফরমাল চার্জ আমলে নেওয়ার মাধ্যমে একটি বিচার প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে। সেটি গতকাল থেকে শুরু হয়ে গেছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রধান আসামি হিসেবে শেখ হাসিনার মামলার বিচারের শুনানি পর্ব শুরু হচ্ছে অচিরেই। ইনশাল্লাহ্, অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলেই এই বিচারের রায় পেয়ে যাবো আমরা। গণহত্যার বিচার, আমাদের অন্যতম অঙ্গীকার।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Former Agriculture Minister Razzaqs bank account is blocked with wife and daughter

স্ত্রী-কন্যাসহ সাবেক কৃষিমন্ত্রী রাজ্জাকের ৯ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

স্ত্রী-কন্যাসহ সাবেক কৃষিমন্ত্রী রাজ্জাকের ৯ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

স্ত্রী-কন্যাসহ আওয়ামী লীগের সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের নামে থাকা মোট নয়টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত। এসব হিসাবে মোট ১ কোটি ৩৯ লাখ ৮ হাজার ৯৬ টাকা রয়েছে।

বুধবার (২১ মে) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। এদিন দুদকের সহকারী পরিচালক আব্দুল মালেক আদালতে হিসাব অবরোধের আবেদন করেন।

অবরুদ্ধ হওয়া হিসাবে মো. আব্দুর রাজ্জাকের নিজ নামে থাকা চারটি ব্যাংকে হিসাবে, ৪২ লাখ ৫১ হাজার ৫০০ টাকা, তার স্ত্রী শিরিন আকতার বানুর চারটি ব্যাংক হিসাবে ৬৬ লাখ ৫৬ হাজার ৫৯৫ টাকা ও তার মেয়ে ফারজানা আক্তার তন্দ্রার হিসাবে ২৮ লাখ টাকা রয়েছে।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়, সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, টেন্ডার ও মনোনয়ন বাণিজ্য, নিয়োগে দুর্নীতি, সরকারি জমি দখল, এসিআই ও আদম ব্যবসায়ী নূর আলীর মাধ্যমে শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার এবং পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান চলছে।

এতে আরও বলা হয়, অনুসন্ধানকালে রাজ্জাক ও তার স্ত্রী-মেয়ের নামে অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। এই সম্পদ হস্তান্তরের চেষ্টা করলে তদন্ত ব্যাহত হতে পারে এবং ভবিষ্যতে তা পুনরুদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়বে। তাই তদন্তের স্বার্থে এসব হিসাব অবরুদ্ধ অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।

মন্তব্য

p
উপরে