× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Local government postponed 223 by elections in September
google_news print-icon

স্থানীয় সরকারের স্থগিত ২২৩টি উপনির্বাচন সেপ্টেম্বরে

স্থানীয়-সরকারের-স্থগিত-২২৩টি-উপনির্বাচন-সেপ্টেম্বরে
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়েছে। এক্ষেত্রে স্থগিত নির্বাচনগুলো অনুষ্ঠিত হতে পারে আগামী সেপ্টেম্বরে।

স্থানীয় সরকারের স্থগিত ২২৩টি উপনির্বাচন আগামী সেপ্টেম্বরে সম্পন্ন করার কথা ভাবছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে প্রার্থীদের প্রচারের সময় বাড়তে পারে।

কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত কারফিউয়ের কারণে নির্বাচন স্থগিত করেছিল ইসি। কেননা সে সময় প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচার কাজ চালাতে পারছিলেন না। এজন্য গত ২১ জুলাই পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত ভোট স্থগিত করে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক সংস্থাটি।

ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়েছে। এক্ষেত্রে আগামী সেপ্টেম্বরে স্থগিত নির্বাচন হতে পারে। অন্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কারফিউ উঠে গেলে কমিশন নির্বাচন নিয়ে আলোচনায় বসবে।

গত ২৭ জুলাই বিভিন্ন জেলা পরিষদের ২৩টি, পৌরসভার পাঁচটি ও ইউনিয়ন পরিষদের ১৯৫টি পদে উপনির্বাচন হওয়ার কথা ছিল।

এর আগে ১১ জুলাই প্রার্থীরা প্রতীক নিয়ে প্রচার শুরু করেছিলেন। এক্ষেত্রে ১৫ দিন তারা প্রচারের সময় পেয়েছিলেন। নতুন তারিখ নির্ধারণ হলে তাদের প্রচারের সময় বাড়তে পারে। এসব নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হবে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)।

আরও পড়ুন:
ফের বাংলাদেশ সোসাইটি অফ নিউরোসার্জনসের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ হোসেন
স্থানীয় সরকারের ২২৩ পদে উপনির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ কাল

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Two words synonymous with democracy and BNP Fakhrul

গণতন্ত্র ও বিএনপি সমার্থক দুটি শব্দ: ফখরুল

গণতন্ত্র ও বিএনপি সমার্থক দুটি শব্দ: ফখরুল নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মঙ্গলবার আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গত ১৬ বছরে আমাদের অনেক নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপির বহু নেতা নির্বাসিত হয়েছেন। আজকে আমরা যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি সেটা যেন হেলায় না চলে যায়।’

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্র ও বিএনপি দুটি সমার্থক শব্দ। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপিই প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিল।

আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বিএনপির উদ্যোগে দলের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মঙ্গলবার এক বিশাল সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গত ১৬ বছরে আমাদের (বিএনপি) অনেক নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপির বহু নেতা নির্বাসিত হয়েছেন। আজকে আমরা যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি সেটা যেন হেলায় না চলে যায়।’

তিনি বলেন, ‘আজকে সরকারে যারা আছেন, তাদের বলব- এখনও ফ্যাসিস্ট সরকারের অনেকে তাদের চেয়ারে বসে আছেন। এরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বাধা হয়ে নানা ষড়যন্ত্র করতে চাচ্ছেন। তাদেরকে দ্রুত চেয়ার থেকে সরাতে হবে।’

সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘জনগণের অধিকার এখনও ফয়সালা হয়নি। এই অন্তর্বর্তী সরকার নানা সংস্কারের কথা বলছে। একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যে সংস্কার সেটা সবচেয়ে বড় প্রয়োজন। এই সরকারকে অনুরোধ করতে চাই, অনতিবিলম্বে দেশে একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘সাজানো মামলায় জেল খেটেছি, এর বিচার আমরা করব। গত কয়েক দিন ধরে আওয়ামী লীগের নেতারা গ্রেপ্তার হচ্ছেন। যেখানেই তাদের পেয়েছে গণপিটুনি দিয়েছে। এই ১৭ বছরে ৩৪ বার গ্রেপ্তার হয়েছি। কই আমাদের তো ফুল দিয়ে বরণ করেছে। আমরা জেলে গিয়েছি বীরের মতো, বেরও হয়েছি বীরের মতো।’

স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘বাংলাদেশের মুক্তিকামী ছাত্র-জনতা যে ইতিহাস তৈরি করেছে, তা পুরো পৃথিবীর ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। ছাত্র-জনতার স্রোতে স্বৈরাচার হাসিনা ভেসে গেছে। ছাত্র-জনতাকে বিএনপি সমর্থন দিয়েছে ও দেবে। তবে নির্ধারিত সময়ে প্রথম ম্যান্ডেট নির্বাচন দিতে হবে। একইসঙ্গে গত ১৬ বছরে যে জুলুম ও নির্যাতন করা হয়েছে তার বিচার করতে হবে।’

সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়। তীব্র রোদ ও ভ্যাপসা গরম উপেক্ষা করে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসেন নেতাকর্মীরা।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, দেশনায়ক তারেক রহমানের নামে নেতা-কর্মীদের স্লোগান দিতে দেখা যায়। স্বৈরাচার, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সমালোচনা সংবলিত স্লোগানের উত্তাল হয়ে ওঠে নয়াপল্টন এবং আশপাশের পুরো এলাকা।

নেতাকর্মীরা মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে আনন্দ-উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। নয়াপল্টনে আশপাশের এলাকা ও অলিগলিতে অবস্থান করেন ঢাকার আশপাশের জেলা থেকে আসা নেতা-কর্মীরা। সমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টন, কাকরাইল, মালিবাগ, শান্তিনগর, বিজয়নগর, ফকিরাপুল ও আরামবাগ এলাকায় যান চলাচল কিছুটা ব্যাহত হয়।

আশপাশের সড়কে অবস্থান নেন নেতাকর্মীরা। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কোনোরকম বাধা-বিপত্তি ছাড়াই সমাবেশে আসতে পেরে সবার মধ্যেই আনন্দ-উদ্দীপনা কাজ করেছে বলে উপস্থিত নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন।

সরেজমিনে নয়াপল্টন ও আশপাশের এলাকায় দেখা যায়, দুপুর ১২টার আগে থেকেই নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে খণ্ড খ্ণ্ড মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করেন সমাবেশস্থল নয়াপল্টনে। এসময় নেতাকর্মীদের হাতে বিভিন্ন ফেস্টুন, প্লাকার্ড ও পোস্টার দেখা যায়।

সমাবেশে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত রাখতে জাতীয়বাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) নেতা-কর্মীরা গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন।

বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা জয়নুল আবদীন ফারুক, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, আমানউল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আবদুস সালাম আজাদ, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, কামরুজ্জামান রতন, গাজীপুর জেলা বিএনপির ফজলুল হক মিলন, ঢাকা জেলা বিএনপির নিপুণ রায় চৌধুরী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির রফিকুল আলম মজনু, গাজীপুরের শওকত হোসেন সরকার, যুবদলের আব্দুল মোনায়েম মুন্না, কৃষকদলের হাসান জাফির তুহিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজিব আহসান, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসাইন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক খান, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, জাসাসের হেলাল খান, মৎসজীবী দলের আব্দুর রহিম, ছাত্রদলের রাকিবুল ইসলাম রাকিব প্রমুখ বক্তব্য দেন।

আরও পড়ুন:
অন্তর্বর্তী সরকার বেশিদিন থাকলে জনগণ মেনে নেবে না: ফখরুল
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বিএনপির ৪২২ জন নিহত: ফখরুল
ঐক্য ধরে রাখতে পারলেই ছাত্র-জনতার বিজয় সুসংহত হবে: ফখরুল
প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের ভিশন স্পষ্ট: ফখরুল
সংকট সমাধানে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে: ফখরুল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The interim government should not fail itself
নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে তারেক রহমান

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেন নিজেই ব্যর্থতার কারণ না হয়

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেন নিজেই ব্যর্থতার কারণ না হয় রাজধানীর নয়াপল্টনে মঙ্গলবার বিএনপি আয়োজিত সমাবেশের একাংশ। ছবি: নিউজবাংলা
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘এই সরকারের ব্যর্থতা হবে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণের ব্যর্থতা। বাংলাদেশ কিংবা যেকোনো দেশেই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত সরকার অবশ্যই জনগণের সরকার। তাই জনগণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে, রাখবে।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো কার্যক্রম সবার কাছে সাফল্য হিসেবে বিবেচিত না-ও হতে পারে; তবে এই সরকারের ব্যর্থতা হবে সবার ব্যর্থতা। তাই অন্তর্বর্তী সরকারকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না। তবে নিজেরাই যেন ব্যর্থতার কারণ হয়ে না দাঁড়ায় সে ব্যাপারে তাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে।’

রাজধানীর নয়াপল্টনে আয়োজিত সমাবেশে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান এসব কথা বলেন। বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার এই সমাবেশ আয়োজন করে বিএনপি।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেন নিজেই ব্যর্থতার কারণ না হয়
নয়াপল্টনের সমাবেশে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: নিউজবাংলা

বিএনপির দ্বিতীয় শীর্ষ এই নেতা বলেন, ‘এই সরকারের ব্যর্থতা হবে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণের ব্যর্থতা। বাংলাদেশ কিংবা যেকোনো দেশেই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত সরকার অবশ্যই জনগণের সরকার। তাই জনগণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে, রাখবে।

‘তবে কোনো এক পর্যায়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জবাবদিহিতাও কিন্তু নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমেই নিশ্চিত করা হয়। সুতরাং, জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সংসদ এবং সরকার প্রতিষ্ঠাই অন্তর্বর্তী সরকারের সব সংস্কার কার্যক্রমের প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্য হওয়া জরুরি।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, অগ্রাধিকারভিত্তিতে জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা গঠিত জবাবদিহিমূলক সরকার এবং সংসদ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যকে সামনে রেখেই সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নেয়া দরকার।

‘কারণ জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ছাড়া সংস্কার কার্যক্রমের প্রক্রিয়ায় জনগণের সরাসরি সম্পৃক্ততা ছাড়া উন্নয়ন-গণতন্ত্র কিংবা সংস্কার কোনোটিই টেকসই এবং কার্যকর হয় না। কেবল একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিটি ভোটারের ভোট প্রদানের অধিকার নিশ্চিত করে ভোটারদের কাঙ্ক্ষিত প্রতিনিধি নির্বাচন করার অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা সম্ভব।’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেন নিজেই ব্যর্থতার কারণ না হয়

তিনি বলেন, ‘সেই লক্ষ্যে বিশেষ করে নির্বাচন কমিশন ও জনপ্রশাসনের সংস্কার এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সক্ষম এবং উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে অগ্রাধিকারভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে হবে।

‘বিএনপি মনে করে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এজেন্ডা সেটিংয়ের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করতে না পারলে গণঅভ্যুত্থানের সাফল্য ব্যাহত করতে ষড়যন্ত্রকারী চক্র নানা সুযোগ নিতে পারে। এর কিছু আলামত ইতোমধ্যে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।’

তারেক রহমান বলেন, ‘এবারের গণঅভ্যুত্থানের চরিত্র অতীতের যে কোনো গণঅভ্যুত্থানের চেয়ে ব্যতিক্রম। কারণ এবারের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে কেবল মানুষের অধিকারই প্রতিষ্ঠিত হয়নি, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা পেয়েছে।

‘দেশ এবং জনগণ এখন গুম, খুন, অপহরণ আর বিভীষিকাময় আয়নাঘরের আতঙ্কমুক্ত এবং স্বাধীন। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার পর এবার দেশ ও জনগণের স্বাধীনতা সুরক্ষায় প্রথম কাজ হতে হবে রাষ্ট্র এবং সমাজে মানুষের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক অধিকার ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।’

তিনি বলেন, ‘দেশে বর্তমানে প্রায় সাড়ে ১২ কোটি ভোটার। এর মধ্যে ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ভোটার তালিকায় প্রায় আড়াই কোটি নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছে। ভোটার হওয়ার পর তরুণ প্রজন্মের এই আড়াই কোটি ভোটার একটি জাতীয় নির্বাচনেও ভোট দিয়ে তাদের কাঙ্ক্ষিত জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারেননি। কিংবা তাদের নিজেরাও কেউ ভোটে নির্বাচিত হয়ে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাননি।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশের জনশক্তির অর্ধেক নারী ও তরুণ। এই বৃহৎ অংশকে রাজনৈতিক অংশীদারত্বের বাইরে রেখে বৈষম্যহীন মানবিক রাষ্ট্র গঠন সম্ভব নয়। সংবিধান কিংবা প্রবিধানে যা-ই থাকুক জনগণের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা না গেলে, সংস্কার প্রক্রিয়ায় জনগণকে সম্পৃক্ত করা না হলে কোনো সংস্কার কার্যক্রমেরই কার্যকরী ফল পাওয়া যাবে না।’

তিনি উল্লেখ করেন, ২০২৩ সালেই বিএনপি ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল। তবে ঘোষিত ৩১ দফাই শেষ কথা নয়। বিএনপি মনে করে, রাষ্ট্র কিংবা রাজনীতি- সব ক্ষেত্রেই সংস্কার কার্যক্রম একটি ধারাবাহিক ও চলমান প্রক্রিয়া। সুতরাং রাষ্ট্র এবং রাজনীতি সংস্কারে বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচির আরও প্রয়োজনীয় পরিবর্তন-পরিমার্জনকেও দল স্বাগত জানায়।’

তারেক রহমান বলেন, ‘এমনকি কেউ যদি মনে করেন একটি উন্নত এবং নিরাপদ বাংলাদেশের জন্য আরও নতুন রাজনৈতিক দলের প্রয়োজন রয়েছে, তাতেও দোষের কিছু নেই। কারণ শেষ পর্যন্ত জনগণই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে- তারা কাকে সমর্থন জানাবে কিংবা কাকে সমর্থন দেবে না।

এ কারণেই বিএনপি বার বার জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দিয়েছে। বিএনপি মনে করে, একমাত্র অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমেই রাষ্ট্র-রাজনীতি ও রাজনৈতিক বন্দোবস্তের সঙ্গে জনগণের প্রত্যক্ষ অংশীদারত্ব তৈরি হয়।’

তিনি বলেন, ‘সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে রাজনীতির মাঠে নানারকম কথা হচ্ছে। গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে এটি স্বাভাবিক এবং গ্রহণযোগ্য রীতি যে প্রত্যেকেই তাদের নিজ নিজ দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করবেন।

‘রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি বিশ্বাস করি, ফৌজদারি অপরাধের বিচার যেমন বিচারিক আদালতে হয় তেমনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড কিংবা রাজনৈতিক আচরণের বিচার হয় জনগণের আদালতে।’

তারেক রহমান বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি যে ক্ষমতার পরিবর্তন মানে শুধুই রাষ্ট্রক্ষমতার হাতবদল নয়। ক্ষমতার পরিবর্তন মানে রাষ্ট্র এবং রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন। তাই প্রতিটি রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর মনে রাখা প্রয়োজন রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের জন্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের আচার-আচরণেও গুণগত পরিবর্তন জরুরি।

‘সুতরাং, আমার আহ্বান- কোনো প্রলোভন কিংবা উস্কানিতে বিভ্রান্ত না হয়ে জ্ঞানভিত্তিক রাষ্ট্র ও সমাজের নেতৃত্বদানের জন্য নিজেদেরকে প্রস্তুত রাখুন।’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে সমাবেশে আর‌ও বক্তব্য দেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস প্রমুখ।

বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হয়। অবশ্য তার আগেই লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় সমাবেশ নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কসহ পুরো এলাকা।

প্রসঙ্গত, আবহাওয়ার প্রতিকূলতার কারণে পূর্বঘোষিত ১৫ সেপ্টেম্বরের সমাবেশ দুদিন পিছিয়ে ১৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার আয়োজন কের বিএনপি।

আরও পড়ুন:
টানা দুই মেয়াদের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না: তারেক রহমান
আগামী নির্বাচন সবচেয়ে কঠিন হবে: তারেক রহমান
বিএনপি সবসময়ই জনসমর্থনের ওপর নির্ভরশীল: তারেক রহমান
গুম মানবতাবিরোধী অপরাধ: তারেক
গণমাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে আইনগত বাধা দূর

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Agitation until an elected government is established Salahuddin
চট্টগ্রামে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ

নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন: সালাহউদ্দিন

নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন: সালাহউদ্দিন বিশ্ব গণতন্ত্র দিবসে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগরীতে মিছিল বের করে বিএনপি। ছবি: নিউজবাংলা
জয়নাল আবদীন ফারুক বলেন, ‘রাষ্ট্রের অতি জরুরি কিছু সংস্কার করে দ্রুত নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিত্বশীল সংসদ ও সরকার গঠন করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। উন্নয়ন যেমন গণতন্ত্রের বিকল্প নয়, তেমনই সংস্কারও ভোটের বিকল্প নয়।’

নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন জারি রাখার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর আলমাস মোড়ে গণতন্ত্রের শোভাযাত্রা-পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান। কেন্দ্রীয়ভাবে ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই সমাবেশ ও শোভাযাত্রার আয়োজন করে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপি।

সালাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে শোভাযাত্রাটি আলমাস মোড় হয়ে কাজীর দেউরী, লাভ লেইন, জুবলী রোড, নিউমার্কেট, কোতোয়ালি হয়ে লালদিঘি পাড়ে গিয়ে শেষ হয়।

নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন: সালাহউদ্দিন
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগরীর আলমাস মোড়ে শোভাযাত্রা-পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য দেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। ছবি: নিউজবাংলা

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহর সভাপতিত্বে সমাবেশটি পরিচালনা করেন সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান।

কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূইয়া, জয়নাল আবদীন ফারুক, গোলাম আকবর খোন্দকার, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিভাগীয় শোভাযাত্রার সমন্বয়কারী মাহবুবের রহমান শামীম ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রবর্তন আমরা করেছিলাম। তা হয়েছিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতৃত্বে, বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে। সেই কেয়ারটেকার সরকার বিলুপ্ত করে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে নতুনভাবে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদী শাসনের প্রবর্তন করেন।

‘অন্তহীন সংগ্রাম, ত্যাগ-তিতিক্ষা, রক্ত, শ্রম আর প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশের মানুষ পুনরায় স্বাধীনতা অর্জন করেছে। এই স্বাধীনতা, এই গণতন্ত্রের জন্য যারা যুদ্ধ করেছে, বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য যারা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে, তাদের মধ্যে বাংলাদেশে প্রথম শহীদ রংপুরের সাঈদ। দ্বিতীয় শহীদ চকরিয়ার পেকুয়ার সন্তান, আমার সন্তান ওয়াসিম।’

তিনি বলেন, ‘সব গণতান্ত্রিক সংগ্রামে-আন্দোলনে, যুদ্ধে চট্টগ্রাম সবসময় নেতৃত্ব দিয়েছে। আপনারা যদি মনে করেন যে সবকিছু এমনি এমনি এসেছে, তাহলে এটা ভুল কথা। এই গণঅভ্যুত্থানে, এই গণবিপ্লবে শহীদদের মধ্যে ৪২২ জন বিএনপির নেতাকর্মী। ১১৩ জনের বেশি ছাত্রদলের নেতাকর্মী।

‘এই আন্দোলন সংগ্রামে সাতশ’র বেশি মানুষ গুম-খুনের শিকার হয়েছে, যার মধ্যে ৪২৩ জন শুধু বিএনপির নেতাকর্মী। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামে দুই হাজার ৭০০ মানুষ বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে, বিচারবর্হিভূত হত্যার শিকার হয়েছে। তাদের মধ্যে শত শত মানুষ বিএনপির নেতাকর্মী।

তিনি বলেন, ‘এত রক্ত, এত ঘাম, এত প্রাণ, এত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা অর্জন করেছি বাংলাদেশে নতুন স্বাধীনতা দিবস, বাংলাদেশের নতুন গণতন্ত্র দিবস। বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রকে ছিনিয়ে নিয়ে এসেছে।

‘কিন্তু গণতন্ত্র, এই নতুন স্বাধীনতা, এই বিজয়কে যদি আপনারা অর্থবহ করতে চান, তাহলে ধৈর্য্য ধরতে হবে। আন্দোলন জারি রাখতে হবে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করতে হবে। প্রকৃত গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যতদিন পর্যন্ত একটি রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠিত না হবে, সংসদ প্রতিষ্ঠিত না হবে, ততদিন পর্যন্ত আমরা রাজপথে এই আন্দোলন অব্যাহত রাখবো।’

বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশে গণহত্যাকারীদের আর কোনোদিন জায়গা হবে না। শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের, গণহত্যাকারীদের কোনো রাজনীতি চলবে না। যদি গণহত্যাকারীদের রাজনীতি চলে, তাহলে বাংলাদেশ আবার পরাধীন হবে। কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের এখানে তাঁবেদারি চলবে না।

‘যদি সত্যিকারভাবে স্বাধীন-সার্বভৌম, গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন, সাম্যভিত্তিক রাষ্ট্র নির্মাণ করতে চাইলে শহীদদের রক্তের প্রতি সম্মান দেখিয়ে আমাদের পরস্পরের অধিকারকে স্বীকৃতি দিতে হবে। কেউ আইনের চেয়ে বড় নন।’

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং উপদেষ্টাবৃন্দকে আহ্বান জানাই, যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনমুখী সংস্কার সাধন করুন এবং গণতান্ত্রিক নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করুন।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, বিগত ১৭ বছর নির্যাতনের পরও বিএনপিকে স্তব্ধ করতে পারেনি। আগামী ১৭ বছর চেষ্টা করলেও পারবে না। রাত যত গভীর হয় ভোর তত নিকটে আসে।

‘আওয়ামী লীগ মনে করেছিল ভোর বুঝি আর হবে না। কিন্তু সকাল ঠিকই হয়েছে। শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে হয়েছে। হাসিনার মত স্বৈরশাসক ইতিহাসেও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে তাই বলে আমাদের নেতাকর্মীদের ছত্রছায়ায় আওয়ামী লীগের কেউ যেন আশ্রয় না পায়। আওয়ামী লীগের নেতাদের অনেক টাকা। তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।’

আবুল খায়ের ভূইয়া বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে বাংলাদেশকে ভঙ্গুর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। নির্বাচনকে নির্বাসনে পাঠিয়ে জবরদস্তির শাসন কায়েম করেছিল। জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিতদের শাসন ফিরিয়ে আনাই হবে রাষ্ট্রের বড় সংস্কার।’

জয়নাল আবদীন ফারুক বলেন, ‘স্বৈরাচারের পতনের পর গণতন্ত্রের পথে নতুন করে অভিযাত্রা শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রের অতি জরুরি কিছু সংস্কার করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিত্বশীল সংসদ ও সরকার গঠন করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। উন্নয়ন যেমন গণতন্ত্রের বিকল্প নয়, তেমনই সংস্কারও ভোটের বিকল্প নয়।’

আরও পড়ুন:
সংস্কারের নামে নতুন করে বৈষম্য সৃষ্টি করবেন না: গয়েশ্বর
আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে নয়াপল্টনে সমাবেশ বিএনপির
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বিএনপির ৪২২ জন নিহত: ফখরুল
সিলেটে এবার মাঠের শক্তি দেখাতে নামছে বিএনপি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Dont create new Vaishyam in the name of reforms Gayeshwar
খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ

সংস্কারের নামে নতুন করে বৈষম্য সৃষ্টি করবেন না: গয়েশ্বর

সংস্কারের নামে নতুন করে বৈষম্য সৃষ্টি করবেন না: গয়েশ্বর নগরীর শিববাড়ী মোড়ে মঙ্গলবার বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেন গয়েশ্বর রায়। ছবি: নিউজবাংলা
বিএনপি ও তারেক রহমান সম্পর্কে দায়িত্বজ্ঞানহীন কথাবার্তা না বলার হুশিয়ারি উচ্চারণ করে গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘আমাদেরকে বিরোধী দলে ঠেলে দেবেন না। উস্কানিমূলক মন্তব্য করলে দলের নেতাকর্মীরা চুপ করে বসে থাকবে না।’

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য যেসব সংস্কারের পদক্ষেপ নিতে হবে এবং যতটুকু সময় প্রয়োজন সে পর্যন্ত অন্তর্বতীকালীন সরকারকে বিএনপি সমর্থন দেবে।

বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকেলে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত শোভাযাত্রা-পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর রায় এসব কথা বলেন।

সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারের রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার না হওয়ার সমালোচনা করেন দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম এই সদস্য।

তিনি বলেন, ‘আপনাদের নামের মামলাগুলো তো প্রত্যাহার করে নিলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধের মামলাগুলো কেন এতোদিনেও প্রত্যাহার করে নিলেন না।

‘গত ১৬ বছরে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পতন আন্দোলনে কি আমরা রক্ত দেইনি? আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী খুন হয়েছে, গুম হয়েছে। বৈষম্যহীন সংস্কারের নামে নতুন করে বৈষম্যের সৃষ্টি করবেন না।’

সংস্কারের নামে নতুন করে বৈষম্য সৃষ্টি করবেন না: গয়েশ্বর

বিএনপি ও তারেক রহমান সম্পর্কে দায়িত্বজ্ঞানহীন কথাবার্তা না বলার হুশিয়ারি উচ্চারণ করে গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘আমাদেরকে বিরোধী দলে ঠেলে দেবেন না। উস্কানিমূলক মন্তব্য করলে দলের নেতাকর্মীরা চুপ করে বসে থাকবে না।’

তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের জন্য বিএনপির নেতাকর্মীরা ১৬ বছর ধরে আন্দোলন করেছে। তাকে ১৬ দিনের হিসাবে বিচার করলে চলবে না। সরকারের পতন হয়েছে, কিন্তু জনগণ এখনও গণতন্ত্র ফেরত পায়নি।

‘ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোট নিজের হাতে না দেয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না। এতোদিন ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসরদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য ষড়যন্ত্র প্রতিহত করেছি। এখন অদৃশ্য ষড়যন্ত্রকারীদের মোকাবেলা করতে বিএনপি নেতাকর্মী-সমর্থকরা প্রস্তুত।’

আইন উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে অবিলম্বে সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত রাজনৈতিক মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।

বিএনপির বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘জনপ্রশাসন উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার সূক্ষ্মভাবে আওয়ামী দোসরদের দিয়ে প্রশাসন সাজাচ্ছেন। এর ফল ভালো হবে না।

‘শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী দোসরদের জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলকে ধূলিসাৎ করে নতুন করে বৈষম্য সৃষ্টি করে গণহত্যাকারীদের ফিরে আসার পথ সুগম করছেন।’

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের গেল ১৬ বছরে খুলনার খালিশপুরে বন্ধ সব পাটকল চালুর উদ্যোগ নিতে হবে। আওয়ামী স্বৈরাচার ও তাদের দোসরদের গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

‘বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মী-সমর্থকদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে- যেন স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা দেশে আবারও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড ও গণহত্যা চালাতে না পারে।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির জাতীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেন, ‘সংগ্রাম কিন্তু শেষ হয়নি। সব ষড়যন্ত্রের বিষদাঁত উপড়ে ফেলতে হবে।

‘ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে সমর্থন করি। এই সরকারের ব্যর্থতা মানে বাংলাদেশের ব্যর্থতা। এই সরকারকে দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার গঠনের দিকে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

নগরীর শিববাড়ী মোড়ে জিয়া হলের সামনে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি শিববাড়ী মোড় থেকে লোয়ার যশোর (খান এ সবুর) রোড হয়ে পাওয়ার হাউজ মোড়, ফেরিঘাট মোড়, ডাকবাংলো মোড়, পিকচার প্যালেস মোড় হয়ে খুলনা সার্কিট হাউজ ময়দান, খুলনা জিলা স্কুলের সামনে ঘুরে কে.ডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

দুপুর গড়াতেই বিভাগের ১০ জেলার বিভিন্ন ইউনিট থেকে আসা বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এতে অংশ নেন।

খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এসএম শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু।

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবীব, খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন প্রমুখ।

আরও পড়ুন:
আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে নয়াপল্টনে সমাবেশ বিএনপির
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বিএনপির ৪২২ জন নিহত: ফখরুল
সিলেটে এবার মাঠের শক্তি দেখাতে নামছে বিএনপি
খুলনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিখোঁজ কর্মীকে উদ্ধার
হাসিনার প্রেতাত্মারা দেশবিরোধী নানা ষড়যন্ত্র করছে: ডা. জাহিদ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The mass solidarity movement got EC registration

ইসির নিবন্ধন পেল গণসংহতি আন্দোলন

ইসির নিবন্ধন পেল গণসংহতি আন্দোলন
নির্বাচন কমিশনের সচিব শফিউল আজিম মঙ্গলবার গণসংহতি আন্দোলনের একটি প্রতিনিধি দলের কাছে দলটির নিবন্ধন সনদ হস্তান্তর করেন। দলটির প্রতীক ‘মাথাল’। নিবন্ধন নম্বর ৫৩।

রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন পেল জুনায়েদ সাকির নেতৃত্বাধীন ‘গণসংহতি আন্দোলন’। দলটিকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ এর (চ্যাপটার ৬এ) বিধানবলে নিবন্ধন দেয়া হয়েছে। দলটির প্রতীক ‘মাথাল’। নিবন্ধন নম্বর ৫৩।

নির্বাচন কমিশনের সচিব শফিউল আজিম মঙ্গলবার গণসংহতি আন্দোলনের একটি প্রতিনিধি দলের কাছে দলটির নিবন্ধন সনদ হস্তান্তর করেন।

নির্বাচন কমিশন সচিব শফিউল আজিম স্বাক্ষরিত নিবন্ধন সংক্রান্ত গেজেটে বলা হয়, ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশনে দেয়া রায় ও আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ‘দ্য রিপ্রেজেন্টেশন অফ দ্য পিপল অর্ডার, ১৯৭২ চ্যাপ্টার ৬এ-এর বিধান অনুযায়ী গণসংহতি আন্দোলনকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন করেছে।

জানা গেছে, রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন চেয়ে ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করে গণসংহতি আন্দোলন। তবে ইসি থেকে তা অগ্রাহ্য হওয়ায় গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে প্রধান সমন্বয়ক মো. জোনায়েদ সাকি হাইকোর্টে রিট করেন। ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল ৩০ দিনের মধ্যে নিবন্ধন দিতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন আপিল আবেদন করেন। তবে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনার সরকারের পদত্যাগের পর কমিশন তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে।

জানা গেছে, গত ৫ সেপ্টেম্বর পদত্যাগের আগে বিদায়ী হাবিবুল আওয়াল কমিশন আপিল না চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। গত ১০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে নির্বাচন কমিশনের করা আবেদন প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। একই দিনে দলটির বিষয়ে কারও কোনও দাবি-আপত্তি রয়েছে কিনা, সেজন্য ছয় দিনের সময় দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব। গত রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) ছিল তার শেষ সময়।

আরও পড়ুন:
সিইসি হাবিবুল আউয়ালসহ কমিশনারদের পদত্যাগ
পদত্যাগের ঘোষণা দিতে যাচ্ছে আউয়াল কমিশন! 
সালমান রহমানমুক্ত আইএফআইসি ব্যাংকে নতুন পর্ষদ
নাগরিক ঐক্যের প্রতীক কেটলি, গণঅধিকার পরিষদের ট্রাক
নিবন্ধন পেল এবি পার্টি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP rally in Nayapaltan on the occasion of International Democracy Day

আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে নয়াপল্টনে সমাবেশ বিএনপির

আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে নয়াপল্টনে সমাবেশ বিএনপির আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে উপস্থিত বিএনপি নেতা-কর্মীদের একাংশ। ছবি: বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ
সমাবেশে যোগ দিতে দুপুর ১২টা থেকেই স্লোগান দিতে দিতে দলীয় পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।

আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করেছে বিএনপি।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে দুপুর বেড়া আড়াইটার দিকে সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

সমাবেশে যোগ দিতে দুপুর ১২টা থেকেই স্লোগান দিতে দিতে দলীয় পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।

এর আগে বুধবার আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে গত ১৭ বছরে কর্তৃত্ববাদী শাসনবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে ও আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল বিএনপি। পরে সমাবেশের তারিখ পিছিয়ে মঙ্গলবার নির্ধারণ করা হয়।

দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নয়াপল্টনের সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন, যেখানে যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

আরও পড়ুন:
নেত্রকোণায় চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপি নেতা বহিষ্কার
হাসিনার প্রেতাত্মারা দেশবিরোধী নানা ষড়যন্ত্র করছে: ডা. জাহিদ
নির্বাচন কমিশন ও দুদক পুনর্গঠনের দাবি বিএনপির
মানহানির পাঁচ মামলায় খালেদা জিয়াকে খালাস
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠার শপথ নিয়েছে বিএনপি: ফখরুল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The people will not accept if the interim government lasts long

অন্তর্বর্তী সরকার বেশিদিন থাকলে জনগণ মেনে নেবে না: ফখরুল

অন্তর্বর্তী সরকার বেশিদিন থাকলে জনগণ মেনে নেবে না: ফখরুল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। ফাইল ছবি
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রাখতে বেশ কিছু সংগঠন ও গোষ্ঠী ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। তারা (অন্তর্বর্তী সরকার) একেবারেই পরিবর্তন করে দেবে। সব সংস্কার তারাই করে দেবে। তাহলে তো জনগণের দরকার নেই, পার্লামেন্টের দরকার নেই।’

অন্তর্বর্তী সরকার বেশিদিন থাকলে জনগণ তা মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘একটি জরিপে বলা হয়েছে- ৮০ শতাংশ লোক চায় যে যতদিন খুশি এই সরকার থাকবে। জানি না এই কথা তারা কোথা থেকে পেল, কীভাবে পেল। কিন্তু জনগণ এটা কোনোদিনই মেনে নেবে না।’

পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) এই আলোচনা সভা আয়োজন করে।

ওই জরিপের প্রসঙ্গ তুলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি পত্রিকার নাম বলছি না। একটা জরিপের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি লিখেছে। এই জরিপ কারা করেছে আমি ঠিক বলতে পারব না। এ ধরনের কথা, রিপোর্ট আমার মনে হয় ভেবেচিন্তে করা উচিত। যেন বিভ্রান্তি সৃষ্টি না হয় সে বিষয়টি আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রাখতে বেশ কিছু সংগঠন ও গোষ্ঠী ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। তারা (অন্তর্বর্তী সরকার) একেবারেই পরিবর্তন করে দেবে। সব সংস্কার তারাই করে দেবে। তাহলে তো জনগণের দরকার নেই, পার্লামেন্টের দরকার নেই।’

নতুন দল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অবিলম্বে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়ে সুযোগ তৈরি করেছে সামনে এগিয়ে যাওয়ার, আমাদের ব্যবস্থাকে জনগণ যেভাবে চায় সেভাবে নিয়ে আসার। সেটা কি নস্যাৎ করার জন্য ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে?

‘যারা দায়িত্ব পেয়েছেন, এই সরকার যাদের দায়িত্ব দিয়েছে, তাদের মধ্য থেকে যখন বলেন নতুন দল তৈরি করতে হবে, তখন বিস্মিত না হয়ে পারা যায় না। যদি বলেন নতুন দল তৈরি করতে হবে, তাহলে জনগণ কী করে বুঝবে যে তারা নিরপেক্ষভাবে কাজ করছেন?’

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব। এ সময় আরও বক্তব্য দেন জেএসডি সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া, কে এম জাবির, এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব আবু ইউসুফ সেলিম ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম।

আরও পড়ুন:
ভারত প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আধিপত্যের রাজনীতি করে যাচ্ছে: ফখরুল
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠার শপথ নিয়েছে বিএনপি: ফখরুল
বিএনপির নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করতে এলে পুলিশে দিন: ফখরুল
১৫ বছরে সব গুমের ঘটনা জাতিসংঘের অধীনে তদন্ত চাই: ফখরুল
প্রয়োজনীয় সংস্কার করে অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা দেবে: ফখরুল

মন্তব্য

p
উপরে