× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Prisoners body recovered after 29 hours of disappearance in Mongla
google_news print-icon

মোংলায় নিখোঁজের ২৯ ঘণ্টা পর জেলের মরদেহ উদ্ধার

মোংলায়-নিখোঁজের-২৯-ঘণ্টা-পর-জেলের-মরদেহ-উদ্ধার
বঙ্গবন্ধু মোংলা-ঘাষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌ ক্যানেলের পশ্চিম পাড় থেকে শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা
নিহত মহিদুল শেখ উপজেলার সোনাইলতলা ইউনিয়নের উলুবুনিয়া গ্রামের রশিদ শেখের ছেলে। তার ১০ মাসের ও ২ বছরের দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারে চলছে শোকের মাতম।

বঙ্গবন্ধু মোংলা-ঘাষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌ ক্যানেলের জয়খাঁ এলাকায় লাইটার জাহাজের ধাক্কায় মাছ ধরার নৌকা ডুবে নিখোঁজ জেলে মহিদুল শেখের মরদেহ ২৯ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে বঙ্গবন্ধু মোংলা-ঘাষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌ ক্যানেলের পশ্চিম পাড় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত মহিদুল শেখ উপজেলার সোনাইলতলা ইউনিয়নের উলুবুনিয়া গ্রামের রশিদ শেখের ছেলে। তার ১০ মাসের ও ২ বছরের দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারে চলছে শোকের মাতম।

মোংলা নৌ পুলিশের ইনচার্জ সৈয়দ ফকরুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মরদেহ খুঁজতে থাকা উলুবুনিয়ার বাসিন্দা শরীফ শেখ বলেন, ‘আমরা চারটি ট্রলার নিয়ে মহিদুলকে খুঁজতে থাকি। দুটি ট্রলার রামপালের দিকে আর দুটি ট্রলার মোংলার দিকে খোঁজ চালায়। এমন সময় নৌ ক্যানেলে মরদেহটি ভাসতে দেখি। পরে নৌ-পুলিশ ও আমরা মরদেহটি উদ্ধার করি।’

মোংলা নৌ-পুলিশের ইনচার্জ সৈয়দ ফকরুল ইসলাম বলেন, ‘সকালে মাদ্রাসা রোডের পশ্চিম দিকে নৌ ক্যানেলে মরদেহটি ভেসে উঠে। নিহতের ভাই মহিদুলের লাশের পরিচয় শনাক্ত করেন। পরে পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যদের সহযোগিতায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

এর আগে বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে নৌ ক্যানেলের জয়খাঁ এলাকায় এলপিজি পরিবহনকারী একটি জাহাজের পাখার সঙ্গে দঁড়ি পেচিয়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। ওই সময় ট্রলারে থাকা জেলে তারিকুল সাঁতরিয়ে কুলে উঠতে পারলেও নিখোঁজ হন মহিদুল শেখ। নিখোঁজের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান চালায় থানা পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

আরও পড়ুন:
টেকনাফে সাগরে মিলল জেলের মরদেহ
মোংলা বন্দরে শতাধিক গাড়ি নিলামে, বিড অনলাইনেও
বাগেরহাটে যাত্রীবাহী ট্রলারডুবি, আহত ১০
বঙ্গোপসাগরে লবণবাহী ৩০ ট্রলারডুবি, নিখোঁজ শতাধিক

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Sajek is open to tourists after more than a month

এক মাসের বেশি সময় পর পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত সাজেক

এক মাসের বেশি সময় পর পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত সাজেক পাখির চোখে সাজেক। ছবি: নিউজবাংলা
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কারণে সাজেক পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করেছে প্রশাসন। এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা নেই। খাগড়াছড়ির পর্যটন কেন্দ্রগুলো মঙ্গলবার থেকে উন্মুক্ত হবে। ফলে পর্যটকরা খাগড়াছড়ি হয়ে সাজেক ভ্রমণ করতে পারবেন।’

দীর্ঘ এক মাসের বেশি সময় পর মঙ্গলবার থেকে পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটির সাজেকের পর্যটন কেন্দ্রগুলো।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কারণে সাজেক পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করেছে প্রশাসন। এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা নেই।

‘খাগড়াছড়ির পর্যটন কেন্দ্রগুলো মঙ্গলবার থেকে উন্মুক্ত হবে। ফলে পর্যটকরা খাগড়াছড়ি হয়ে সাজেক ভ্রমণ করতে পারবেন।’

এর আগে গত ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সহিংসতার ঘটনায় ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে কয়েক দফায় সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন। এতে কার্যত বন্ধ হয়ে যায় সাজেকে পর্যটকদের প্রবেশ।

সাজেক কটেজ মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, সাজেকে মোট ১২০টি রিসোর্ট-কটেজ রয়েছে। গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকশূন্য থাকার কারণে রিসোর্ট-কটেজের অধিকাংশ কর্মচারী সাজেক ছেড়ে চলে গেছেন।

এ ছাড়া সহিংসতার জেরে ৮ অক্টোবর খাগড়াছড়িসহ তিন পার্বত্য জেলার সব পর্যটন কেন্দ্র গমনে বিরত থাকার অনুরোধ জানায় প্রশাসন।

পর্যটন কেন্দ্র উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে খাগড়াছড়ি আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, ‘এখানকার পর্যটন খাতের সঙ্গে অনেক মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত। পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের ভ্রমণ বন্ধ থাকায় এ খাতে অনেকে বেকার হয়ে পরেছে। পর্যটন চালু হওয়ায় খাত সংশ্লিষ্টদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।’

এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. শহিদুজ্জামান বলেন, ‘মঙ্গলবার থেকে খাগড়াছড়ি জেলার সব পর্যটনকেন্দ্র পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। সাজেকে যেহেতু খাগড়াছড়ি জেলা সড়ক হয়ে যেতে হয়, সে ক্ষেত্রে মঙ্গলবার থেকে সাজেকেও পর্যটকরা ভ্রমণ করতে পারবেন।’

তিনি আরও জানান, এক মাস পর্যটন কেন্দ্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকায় এ খাতে ক্ষতি হয়েছে অন্তত ১৫ কোটি টাকার।

আরও পড়ুন:
খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফের তিন সদস্যকে গুলি করে হত্যা
শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা, খাগড়াছড়ি সদরে ১৪৪ ধারা জারি
সাজেকে আটকে পড়া ১৪০০ পর্যটককে উদ্ধার
খাগড়াছড়িতে সব হত্যার বিচারের আশ্বাস তথ্য উপদেষ্টার
অবরোধে সাজেকে আটকা পড়েছেন ১৪শ’ পর্যটক

মন্তব্য

বাংলাদেশ
More than 1600 complaints in the Missing Commission 

গুম কমিশনে ১ হাজার ছয় শর বেশি অভিযোগ 

গুম কমিশনে ১ হাজার ছয় শর বেশি অভিযোগ  প্রতীকী ছবি/মোয়াতানা ফর হিউম্যান রাইটস
বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘গুম সংক্রান্ত কমিশনে অভিযোগ জমা দেয়ার সময় শেষ হয়েছে গত ৩১ অক্টোবর। এই সময়ের মধ্যে ১৪০ জনের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৪০০ অভিযোগ খতিয়ে দেখা হয়েছে।’

গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারিতে এক হাজার ছয় শর বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে বলে জানিয়েছেন সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘গুম সংক্রান্ত কমিশনে অভিযোগ জমা দেয়ার সময় শেষ হয়েছে গত ৩১ অক্টোবর। এই সময়ের মধ্যে ১৪০ জনের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৪০০ অভিযোগ খতিয়ে দেখা হয়েছে।’

কমিশনের সম্মেলনকক্ষে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।

বিচারপতি মইনুল ইসলাম বলেন, পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে গাইডলাইন অনুসরণ করেনি। গুমের সঙ্গে কারা সংশ্লিষ্ট, সেসব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

গুমের সঙ্গে বাহিনীর কতজন সদস্য সংশ্লিষ্ট, প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সেই সংখ্যাটা এখনও বলা যাবে না। ৭ তারিখ থেকে বাহিনীর সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হবে। আমরা সমন ইস্যু করে দিয়েছি। প্রথম দিন সাতজনকে ডাকা হয়েছে। তারপর তিনজন, সাতজন, পাঁচজন এভাবে চলতে থাকবে।

‘এখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ডিজিএফআইয়ের সদস্য রয়েছে। প্রাথমিকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে ডিজিএফআই, র‍্যাব, ডিবি, সিটিটিসি, সিআইডি, পুলিশ তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।’

আরও পড়ুন:
‘ঢাকা কাচ্চি ডাইন’-এ রক্তমাখা মাংস, অতঃপর
হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গুমের শিকার সাবেক সেনা কর্মকর্তার
গুম সংক্রান্ত কমিশনে অভিযোগ জানানোর সময় বাড়ল
ইউএনওকে ফাঁসাতে গিয়ে ফাঁসলেন মদনের কৃষক লীগ নেতা
শ্রম-সংক্রান্ত অভিযোগ পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Death of a young man who was stabbed in Munshiganj

মুন্সীগঞ্জে ছুরিকাঘাতে আহত যুবকের মৃত্যু

মুন্সীগঞ্জে ছুরিকাঘাতে আহত যুবকের মৃত্যু ছুরিকাঘাতে নিহত যুবক শুভ বেপারি (২৩)। ছবি: নিউজবাংলা
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি খলিলুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে পরিবারের অভিযোগ সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিমে ছুরিকাঘাতে আহত যুবক শুভ বেপারির (২৩) মৃত্যু হয়েছে।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সোমবার রাত দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

এর আগে গত শনিবার রাত ১২টার দিকে রামগোপালপুর এলাকায় ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন ওই যুবক।

নিহত শুভ মিরকাদিমের কালিন্দীপাড়া এলাকার মুকুল বেপারীর ছেলে।

তার বাবা মুকুল বেপারি ছেলের মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়ে বলেন, ‘শনিবার রাতে আমাদের সাথে বাড়িতেই অবস্থান করছিল শুভ। তখন স্থানীয় নাজমুল নামে একজনকে কয়েকজন আটকে রেখেছে, এ রকম খবর পেয়ে আমার ছেলে রামগোপালপুর চিশতী বাড়ির সামনে যায়। সেখানে ফয়সাল নামের একজন তাকে ছুরি দিয়ে পেটে আঘাত করে।

‘পরে ছুরিকাঘাতের খবর পেয়ে আমরা উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিই। সেখান থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার ছেলে মারা যায়। ওর পেটে ছুরির আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছেলে কাপড়ের ব্যবসা করত। কারও সাথে শত্রুতা নাই।

‘কারা, কী কারণে এ ঘটনা ঘটাল, আমরা বুঝতে পারছি না। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।’

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি খলিলুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে পরিবারের অভিযোগ সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আরও পড়ুন:
গভীর রাতে ঘরে ঢুকে গুলি করে নারীকে হত্যা
ছিনতাইয়ের অভিযোগে দুজনকে পিটিয়ে হত্যা
নড়াইলে গরুচোর সন্দেহে তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা 
সুনামগঞ্জ শহরে নিজ বাড়িতে মা-ছেলে খুন, ঘাতক ‘শনাক্ত’
খুলনায় আলোচিত জাহিদ হত্যা মামলায় পাঁচজনের ফাঁসি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Allegation of misappropriation of farmers allocation money That agriculture officer transferred

কৃষকের বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ: সেই কৃষি কর্মকর্তা বদলি

কৃষকের বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ: সেই কৃষি কর্মকর্তা বদলি সুমন কুমার সাহা ২০২৩ সালের ১৭ মে থেকে কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায় কর্মরত ছিলেন। ছবি: নিউজবাংলা
বদলি হওয়া কৃষি কর্মকর্তার নাম সুমন কুমার সাহা, যিনি ২০২৩ সালের ১৭ মে থেকে কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায় কর্মরত ছিলেন। 

প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে বিল ভাউচার, কোথাও কোথাও নামমাত্র বাস্তবায়ন, কোথাও আবার কৃষকের ফসলি জমিতে সাইনবোর্ড লাগিয়ে প্রদর্শনী দেখিয়ে বরাদ্দের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠা কৃষি কর্মকর্তাকে বদলি করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক ছাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত আদেশে এ বদলি করা হয়।

এ আদেশের এক কপি এসেছে এ প্রতিবেদকের হাতে।

কিশোরগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদও বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বদলি হওয়া কৃষি কর্মকর্তার নাম সুমন কুমার সাহা, যিনি ২০২৩ সালের ১৭ মে থেকে কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায় কর্মরত ছিলেন।

এ কর্মকর্তার অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে গত ২ নভেম্বর ‘উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকম। এরপর ৩ নভেম্বর তাকে সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

তাড়াইল উপজেলায় পাঁচটি প্রকল্পে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে সুমন সাহা প্রায় এক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা।

এ অভিযোগ অস্বীকার করে কৃষি কর্মকর্তার দাবি, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কৃষকদের সব উপকরণ বিতরণ করেন তিনি। যদিও তার এমন দাবি নাকচ করেছেন সংশ্লিষ্ট উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা। তাদের ভাষ্য, কোনো প্রদর্শনীর বরাদ্দের পরিমাণ জানেন না তারা।

আরও পড়ুন:
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বরাদ্দের টাকায় অনিয়মের অভিযোগ
১৬ বছরে বঞ্চিত ২৫শ’ কর্মকর্তার ‘সুবিধা’ চেয়ে আবেদন
কাঁকরোলের গ্রাম ঝিনাইগাতীর ‘গোমড়া’
তাড়াইলে বজ্রপাতে প্রাণ গেল জেলের
কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Crores of taka and 11 iPhones were seized from the house of the former additional secretary

সাবেক অতিরিক্ত সচিবের বাসা থেকে কোটি টাকা ও ১১ আইফোন জব্দ, গ্রেপ্তার

সাবেক অতিরিক্ত সচিবের বাসা থেকে কোটি টাকা ও ১১ আইফোন জব্দ, গ্রেপ্তার সাবেক অতিরিক্ত সচিব আমজাদ হোসেন খান ও তার ছেলেকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পশ্চিম থানায় নিয়ে আসা হয়। ছবি: সংগৃহীত
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রোববার রাতে উত্তরা-১১ নম্বর সেক্টরের ৩৩ নম্বর বাড়িতে যৌথবাহিনী ওই অভিযান চালায়। এ সময় বাসাটি থেকে নগদ এক কোটি সাড়ে ৯ লাখ টাকা, বেশকিছু বিদেশি মুদ্রা, ১১টি আইফোন এবং বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মূল্যবান ঘড়ি জব্দ করা হয়। পরে সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন ও তার ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রাজধানীর উত্তরায় পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন খানের বাসায় অভিযান চালিয়ে নগদ এক কোটি টাকা ও ১১টি আইফোন জব্দ করে যৌথ বাহিনী। গ্রেপ্তার করা হয়েছে আমজাদ হোসেন ও তার ছেলেকে।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রোববার রাতে উত্তরা-১১ নম্বর সেক্টরের ৩৩ নম্বর বাড়িতে যৌথবাহিনী ওই অভিযান চালায়।

সোমবার সকালে উত্তরা পশ্চিম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

অভিযান সূত্রে জানা যায়, রোববার রাত ১০টায় যৌথবাহিনী পরিচালিত অভিযানে বাসাটি থেকে নগদ এক কোটি সাড়ে ৯ লাখ টাকা, বেশকিছু বিদেশি মুদ্রা, ১১টি আইফোন এবং বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মূল্যবান ঘড়ি জব্দ করা হয়। পরে সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন ও তার ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে কর্মরত অবস্থায় অবসরে যান আমজাদ হোসেন খান। তার গ্রামের বাড়ি গাজীপুর সদরে।

আরও পড়ুন:
পোশাক শ্রমিকদের ১৮ দফা দাবি মেনে নেয়ার সিদ্ধান্ত
সাবেক এমপির ছেলের শ্বশুরালয় থেকে কোটি টাকা ও বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার
চার দিনে ৫৩ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২৫
অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর অপারেশন শুরু হচ্ছে বুধবার রাতে
শিল্পাঞ্চলে অস্থিরতার চেষ্টা রোধে রাত থেকে যৌথ অভিযান

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Investigation proceedings against Shahidul Alam suspended
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের মামলা

শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত

শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের মামলায় এফআইআর ও তদন্ত কার্যক্রম বাতিল চেয়ে শহিদুল আলমের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও মো. রিয়াজ উদ্দিন খান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দিয়েছে।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন চলাকালে ২০১৮ সালে আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় করা মামলার তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত করেছে হাইকোর্ট।

এফআইআর ও তদন্ত কার্যক্রম বাতিল চেয়ে শহিদুল আলমের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও মো. রিয়াজ উদ্দিন খান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দিয়েছে।

আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন ও আইনজীবী আবদুল্লাহ আল নোমান।

আইনজীবী সারা হোসেন বলেন, ‘শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের আগস্টে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা হয়। একই বছরের অক্টোবর মাসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হয়। নতুন আইনে বলা হয়েছে, আগের আইনের ৫৭ ধারার যে মামলাগুলোর তদন্ত শেষ হয়নি, বিচারের জন্য যায়নি বা বিচারাধীন না, সে মামলাগুলো আর চলবে না।

‘যেহেতু শহিদুলের বিরুদ্ধে মামলাটি তখন পর্যন্ত তদন্তনাধীন ছিল তাই এ মামলা আর চলতে পারে না। আদালত শুনানি শেষে রুল ও স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।’

নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের সময় ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট শহিদুল আলমকে ধানমন্ডির বাসা থেকে তুলে নেয় পুলিশ। এরপর ‘উস্কানিমূলক মিথ্যা’ প্রচারের অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় করা মামলায় ৬ আগস্ট তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়। একই দিন সিএমএম আদালতে তার জামিন আবেদন না-মঞ্জুর হয়। মামলায় ১০৭ দিন কারাভোগের পর শহিদুল আলম একই বছরের ২০ নভেম্বর জামিনে মুক্তি পান।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
9 abducted farmers returned to Teknaf with ransom

টেকনাফে মুক্তিপণ দিয়ে ফিরলেন অপহৃত ৯ কৃষক

টেকনাফে মুক্তিপণ দিয়ে ফিরলেন অপহৃত ৯ কৃষক টেকনাফে মুক্তিপণ দিয়ে অপহরণকারীদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া নয় কৃষক। ছবি: নিউজবাংলা
টেকনাফের হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মোজাহার হোসেন বলেন, ‘অপহৃত কৃষকদের উদ্ধারে আমরা বিভিন্ন জায়গায় জোরদার অভিযান পরিচালনা করেছি। ভিকটিমের পরিবারের মাধ্যমে জানতে পারলাম অপহৃতরা বাড়ি ফিরে এসেছেন। তবে মুক্তিপণের বিষয়টি আমার জানা নেই।’

কক্সবাজারের টেকনাফে অপহরণের শিকার নয় কৃষক মুক্তিপণের বিনিময়ে ঘরে ফিরেছেন। অপহরণকারী ডাকাতদের আড়াই লাখ টাকা দিয়ে সোমবার সকালে তারা মুক্তি পেয়েছেন।

ডাকাতের হাত থেকে ফিরে আসা ভিকটিম আনোয়ার ইসলামের ভাই ছৈয়দ কামাল বলেন, ‘গত শনিবার (২ নভেম্বর) সকালে করাচি পাড়ার পাহাড়ি এলাকায় আমার ভাইসহ ১০ কৃষক জমিতে কৃষি কাজ ও পাহাড়ে লাকড়ি সংগ্রহ করছিলেন। এ সময় ওঁৎপেতে থাকা একদল ডাকাত অস্ত্রের মুখে তাদেরকে ধরে নিয়ে যায়।

‘অপহৃতদের মধ্যে একজন পরে কৌশলে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন। এরপর থেকে অপহরণকারীরা পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপন দাবি করে। আজ সোমবার সকালে ২ লাখ ৭৪ হাজার টাকা মুক্তিপণ দেয়ার পর আমার ভাইসহ নয় কৃষক ডাকাতের হাত থেকে বাড়িতে ফিরে আসেন।’

টেকনাফের হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মোজাহার হোসেন এ বিষয়ে বলেন, ‘অপহৃত কৃষকদের উদ্ধারে আমরা প্রথম থেকে পাহাড়ি এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করেছি। ভিকটিমের পরিবারের মাধ্যমে জানতে পারলাম অপহৃত কৃষকরা বাড়ি ফিরে এসেছেন। তবে মুক্তিপণের বিষয়টি আমার জানা নেই।’

আরও পড়ুন:
ট্রলারে মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে এক জেলে নিহত, দুজন আহত
২১ কোটি টাকার তিমির বমিসহ পাচারকারী আটক
টেকনাফে শিশুর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে স্বজনদের হামলা, ভাঙচুর
কানের দুলের জন্য শিশু তাহমিনাকে হত্যা, অভিযোগ পরিবারের
মিয়ানমার থেকে গুলি এসে পড়ছে টেকনাফে, স্থলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ

মন্তব্য

p
উপরে