× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Establishment of National Gene Bank ahead of schedule
google_news print-icon

নির্ধারিত সময়ের আগেই জাতীয় জিন ব্যাংক স্থাপন

নির্ধারিত-সময়ের-আগেই-জাতীয়-জিন-ব্যাংক-স্থাপন
জাতীয় জিন ব্যাংকের নির্মাণাধীন ভবন। ছবি: নিউজবাংলা
একটি প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৪০ লাখ নমুনা ধারণক্ষমতাসম্পন্ন জিন ব্যাংক স্থাপন করা হচ্ছে। তবে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েক মাস আগেই সব কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন এনআইবির মহাপরিচালক ড. মো. সলিমুল্লাহ।

প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েক মাস আগেই জাতীয় জিন ব্যাংক স্থাপনের কাজ শেষ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি অবহিতকরণ নিয়ে বৃহস্পতিবার এক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রকল্পটিতে চুরির কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।

গতকাল সকালে সাভারের গণকবাড়ি এলাকায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বায়োটেকনোলজিতে (এনআইবি) এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

সেমিনার শেষে প্রধান অতিথি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমার এখানে পরিষ্কার একটা কথা যে, আমার এখানে কেউ চুরিচামারি করতে পারবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘পশুপাখি থেকে আরম্ভ করে সবকিছুর জিন আমরা এখানে রক্ষা করব, যাতে এটা আবার ভবিষ্যতে আমরা এখান থেকে তৈরি করতে পারি। এটা বঙ্গবন্ধুকন্যার নিজের চিন্তা থেকে নেয়া এবং আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে এটা আমরা করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মেধা কাজে লাগাতে পারলে জ্ঞান-বিজ্ঞানে আমরা অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবো। আওয়ামী লীগ সরকার গবেষণার ওপর গুরুত্বারোপ করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় জাতীয় জিন ব্যাংক স্থাপনের কাজ চলছে।’

আনুমানিক ৫০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এনআইবি এবং গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে এই প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয় ২০১৮ সালের মার্চ মাসে, যা ২০২৫ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

এ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৪০ লাখ নমুনা ধারণক্ষমতাসম্পন্ন জিন ব্যাংক স্থাপন করা হচ্ছে। তবে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েক মাস আগেই সব কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন এনআইবির মহাপরিচালক ড. মো. সলিমুল্লাহ।

তিনি বলেন, জীববৈচিত্র্য রক্ষাসহ টেকসই ব্যবহারের জন্য উদ্ভিদ, প্রাণী, অণুজীব প্রভৃতির জেনেটিক উপাদান সংগ্রহ ও দীর্ঘমেয়াদে রক্ষণাবেক্ষণের উদ্দেশ্যে এই জিন ব্যাংক স্থাপন করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয়ভাবে এ সম্পদ সংরক্ষণ এবং এদের ডাটাবেজ প্রণয়ন করা হবে।

সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প পরিচালক ড. জাহাঙ্গীর আলমসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিসহ এনআইবির বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন:
ওয়েব ফিল্মে তানজিন তিশা
বাংলাদেশ-চীনের মধ্যে গভীর রাজনৈতিক আস্থা ও সহযোগিতা বিদ্যমান: শি জিনপিং
ইঞ্জিন বিকল: দুই ঘণ্টা পর উত্তরবঙ্গে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
সেন্ট গ্রেগরী স্কুলে বিজ্ঞান উৎসব শুরু
টাঙ্গাইলে ইঞ্জিন বিকল, উত্তরবঙ্গ-ঢাকা ট্রেন চলাচল বন্ধ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Three people won the Nobel Prize in Chemistry for their research on proteins

প্রোটিন নিয়ে গবেষণায় রসায়নে নোবেল পেলেন তিনজন

প্রোটিন নিয়ে গবেষণায় রসায়নে নোবেল পেলেন তিনজন রসায়নে চলতি বছর নোবেল পুরস্কার পাওয়া ডেভিড বেকার, ডেমিস হ্যাসাবিস ও জন এম. জাম্পার। ছবি: নোবেল প্রাইজ আউটরিচ
নোবেল পুরস্কারের ওয়েবসাইটে বুধবার জানানো হয়, এ বছর তিন গবেষকের মধ্যে একজনকে পুরস্কারের অর্ধেক এবং বাকি দুজনকে অর্ধেক দেয়া হয়েছে।

প্রোটিন নিয়ে গবেষণা করে ২০২৪ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিন রসায়নবিদ।

নোবেল পুরস্কারের ওয়েবসাইটে বুধবার জানানো হয়, এ বছর তিন গবেষকের মধ্যে একজনকে পুরস্কারের অর্ধেক এবং বাকি দুজনকে অর্ধেক দেয়া হয়েছে।

সাইটে উল্লেখ করা হয়, কম্পিউটেশনাল প্রোটিন ডিজাইন নিয়ে গবেষণার জন্য এ বছর রসায়নে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছে ডেভিড বেকারকে। অন্যদিকে প্রোটিনের কাঠামো নিয়ে পূর্বাভাসের জন্য ডেমিস হ্যাসাবিস ও জন এম. জাম্পারকে এ পুরস্কারের অর্ধেক দেয়া হয়।নো হ বু এ

তিন গবেষকের মধ্যে হ্যাসাবিস ও জাম্পার জ্ঞাত প্রায় সব প্রোটিনের কাঠামো নিয়ে পূর্বাভাস দিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে (এআই) সফলভাবে কাজে লাগান। অন্যদিকে ডেভিড বেকার প্রোটিনের বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ জানার পাশাপাশি সম্পূর্ণ নতুন কিছু প্রোটিন উদ্ভাবন করেন।

আরও পড়ুন:
শান্তিতে নোবেল পেলেন ইরানের কারাবন্দি মানবাধিকারকর্মী নার্গিস  
রসায়ন পরীক্ষায় ফেল করা ছেলেটিই পেল রসায়নে নোবেল
সাহিত্যে নোবেল পেলেন নরওয়ের লেখক জন ফসে
ন্যানোটেকনোলজি নিয়ে গবেষণায় রসায়নে নোবেল পেলেন তিনজন
পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন ৩ বিজ্ঞানী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two researchers won the Nobel Prize in Physics

কৃত্রিম স্নায়বিক নেটওয়ার্ক নিয়ে গবেষণায় পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন দুজন

কৃত্রিম স্নায়বিক নেটওয়ার্ক নিয়ে গবেষণায় পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন দুজন পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল ‍পুরস্কার পাওয়া দুই গবেষক জন জে. হপফিল্ড ও জেফরি ই. হিন্টন। ছবি: নোবেল প্রাইজ আউটরিচ
নোবেল পুরস্কারের ওয়েবসাইটে জানানো হয়, কৃত্রিম স্নায়বিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মেশিন লার্নিংকে সক্ষম করা মৌলিক আবিষ্কার ও উদ্ভাবনের জন্য ২০২৪ সালের নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছে জন জে. হপফিল্ড ও জেফরি ই. হিন্টনকে।

পদার্থবিজ্ঞানে এবার নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির গবেষক জন জে. হপফিল্ড ও কানাডার টরন্টো ইউনিভার্সিটির গবেষক জেফরি ই. হিন্টন।

সুইডেনের স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিট) পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ীর নাম ঘোষণা করে রয়েল সুইডিশ অ্যাকাডেমি।

নোবেল পুরস্কারের ওয়েবসাইটে জানানো হয়, কৃত্রিম স্নায়বিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মেশিন লার্নিংকে সক্ষম করা মৌলিক আবিষ্কার ও উদ্ভাবনের জন্য ২০২৪ সালের নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছে জন জে. হপফিল্ড ও জেফরি ই. হিন্টনকে।

এতে উল্লেখ করা হয়, হপফিল্ড একটি কাঠামো নির্মাণ করেন, যেটি তথ্য মজুত ও পুনর্নির্মাণ করতে পারে। অন্যদিকে হিন্টন এমন একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন, যা ডেটাতে স্বতন্ত্রভাবে প্রোপার্টি আবিষ্কার করতে পারে। বর্তমানে ব্যবহৃত বৃহদাকার স্নায়বিক নেটওয়ার্কের জন্য এ উদ্ভাবন গুরুত্বপূর্ণ।

পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার দেয়া হচ্ছে ১৯০১ সাল থেকে। আজকের আগে ১১৭ জন এ পুরস্কার পান।

এ শাস্ত্রে সবচেয়ে কম ২৫ বছর বয়সে নোবেল পান লরেন্স ব্র্যাগ, যিনি ১৯১৫ সালে পুরস্কারটি পেয়েছিলেন। সবচেয়ে বেশি ৯৬ বছর বয়সে নোবেল পুরস্কার পান আর্থার অ্যাশকিন। তিনি ২০১৮ সালে পুরস্কারটি পেয়েছিলেন।

আরও পড়ুন:
রসায়ন পরীক্ষায় ফেল করা ছেলেটিই পেল রসায়নে নোবেল
সাহিত্যে নোবেল পেলেন নরওয়ের লেখক জন ফসে
ন্যানোটেকনোলজি নিয়ে গবেষণায় রসায়নে নোবেল পেলেন তিনজন
পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন ৩ বিজ্ঞানী
করোনার টিকা উদ্ভাবনে ভূমিকায় চিকিৎসায় নোবেল পেলেন দুই গবেষক

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The name of the Nobel laureate in physics will be announced in the afternoon

পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ীর নাম ঘোষণা বিকেলে

পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ীর নাম ঘোষণা বিকেলে নোবেল পদক। ছবি: বাসস
সুইডেনের স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিট) পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ীর নাম ঘোষণা করবে রয়েল সুইডিশ অ্যাকাডেমি।

পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে মঙ্গলবার।

সুইডেনের স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিট) পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ীর নাম ঘোষণা করবে রয়েল সুইডিশ অ্যাকাডেমি।

পুরস্কার ঘোষণার সব তথ্য নোবেলপ্রাইজ নামের ওয়েবসাইটে গিয়ে সরাসরি দেখা যাবে। এ বছরের নোবেল পুরস্কারের সমস্ত ঘোষণা nobelprize.org ও নোবেল পুরস্কার কমিটির ইউটিউব চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

প্রথা অনুযায়ী অক্টোবরের প্রথম সোমবার হিসেবে এবার ৭ অক্টোবর চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।

যৌথভাবে ২০২৪ সালের চিকিৎসাশাস্ত্রের নোবেল পুরস্কার জিতে নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই বিজ্ঞানী ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রাভকান।

ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের নোবেল অ্যাসেম্বলি মাইক্রোআরএনএ আবিষ্কার এবং পোস্ট-ট্রান্সক্রিপশনাল জিন নিয়ন্ত্রণে এর ভূমিকার জন্য তাদের এ পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

নোবেল কমিটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের নোবেল অ্যাসেম্বলি ‘মাইক্রোআরএনএ আবিষ্কার এবং পোস্ট-ট্রান্সক্রিপশনাল জিন নিয়ন্ত্রণে এর ভূমিকার জন্য’ ভিক্টর অ্যামব্রোস এবং গ্যারি রাভকানকে সোমবার চিকিৎসা বা ওষুধশাস্ত্রে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার-২০২৪ প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

১৯০১ সালে পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান জার্মানির নাগরিক ভিলহেল্ম কনরাড রন্টগেন। এক্সরে বা রঞ্জন রশ্মি আবিষ্কার এবং এবং এ ধরনের রশ্মির যথোপযুক্ত ব্যবহারিক প্রয়োগে সফলতা অর্জনের জন্য তিনি এ পুরস্কার পান।

আরও পড়ুন:
সাহিত্যে নোবেল পেলেন নরওয়ের লেখক জন ফসে
ন্যানোটেকনোলজি নিয়ে গবেষণায় রসায়নে নোবেল পেলেন তিনজন
পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন ৩ বিজ্ঞানী
করোনার টিকা উদ্ভাবনে ভূমিকায় চিকিৎসায় নোবেল পেলেন দুই গবেষক
প্রতারণার মামলায় জামিন পেলেন নোবেল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two Americans won the Nobel Prize in Medicine

চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পেলেন দুই আমেরিকান

চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পেলেন দুই আমেরিকান বিজ্ঞানী ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রাভকুন। ছবি: সংগৃহীত
মাইক্রোআরএনএ আবিষ্কার ও জিন নিয়ন্ত্রণে এর ট্রান্সক্রিপশন-পরবর্তী ভূমিকাবিষয়ক গবেষণার জন্য তাদেরকে এই পুরস্কার দেয়া হয়েছে। বিজ্ঞানী ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রাভকুনের এই আবিষ্কার কোনো প্রাণীর দেহ গঠন ও কীভাবে কাজ করে তা বুঝতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

চলতি বছর চিকিৎসাবিজ্ঞান ও শারীরতত্ত্বে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন বিজ্ঞানী ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রাভকুন। দুজনই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।

মাইক্রোআরএনএ আবিষ্কার ও জিন নিয়ন্ত্রণে এর ট্রান্সক্রিপশন-পরবর্তী ভূমিকাবিষয়ক গবেষণার জন্য তাদেরকে এই পুরস্কার দেয়া হয়েছে। এই আবিষ্কার কোনো প্রাণীর দেহ গঠন ও কীভাবে কাজ করে তা বুঝতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

বাংলাদেশ সময় সোমবার বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে সুইডেনের স্টকহোমে এ বছরের চিকিৎসাবিজ্ঞান ও শারীরতত্ত্বে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে দ্য রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অফ সায়েন্সেস।

ভিক্টর অ্যাবব্রোস ১৯৫৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৯ সালে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

এছাড়া ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত একই প্রতিষ্ঠানে পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা করেন। ১৯৮৫ সালে তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যামব্রিজ, ম্যাসাচুয়েটসের প্রধান গবেষক হন। বর্তমানে তিনি ম্যাসাচুসেটস মেডিক্যাল স্কুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যাচারাল সায়েন্সের প্রফেসর হিসেবে কাজ করছেন।

নোবেল জয়ী গ্যারি রাভকুন ১৯৫২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮২ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন। তিনি ১৯৮৫ সালে ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতাল এবং হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের প্রধান গবেষক হন। বর্তমানে তিনি এখানেই জেনেটিকসের প্রফেসর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

চিকিৎসাশাস্ত্রে গত বছর নোবেল পুরস্কার জিতেছিলেন ক্যাথলিন কারিকো ও ড্রিউ ওয়েইসম্যান। এমআরএন করোনা টিকা আবিষ্কারের জন্য তাদেরকে পুরস্কার দেয়া হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার ‘নোবেল’, যা ১৯০১ সাল থেকে দেয়া হয়ে আসছে। এ পুরস্কারটির নামকরণ করা হয়েছে সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নামানুসারে।

উনবিংশ শতকে এই বিজ্ঞানী শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিনামাইট আবিষ্কার করে বিপুল অর্থের মালিক হন। তিনি উইল করে যান যে তার যাবতীয় অর্থ থেকে যেন প্রতি বছর পদার্থ, রসায়ন, চিকিৎসা, শান্তি ও সাহিত্য এই পাঁচটি খাতে বিশেষ অবদান রাখা ব্যক্তিদের পুরস্কার দেয়া হয়। ১৯৬৯ সাল থেকে এই পাঁচ বিভাগের সঙ্গে যুক্ত হয় অর্থনীতিও।

আরও পড়ুন:
রসায়ন পরীক্ষায় ফেল করা ছেলেটিই পেল রসায়নে নোবেল
সাহিত্যে নোবেল পেলেন নরওয়ের লেখক জন ফসে
ন্যানোটেকনোলজি নিয়ে গবেষণায় রসায়নে নোবেল পেলেন তিনজন
পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন ৩ বিজ্ঞানী
করোনার টিকা উদ্ভাবনে ভূমিকায় চিকিৎসায় নোবেল পেলেন দুই গবেষক

মন্তব্য

বাংলাদেশ
One and a half million tons of water found on Mars

মঙ্গলগ্রহে দেড় লাখ টন পানির সন্ধান

মঙ্গলগ্রহে দেড় লাখ টন পানির সন্ধান মঙ্গলগ্রহের সবচেয়ে উঁচু আগ্নেয়গিরি অলিম্পাস মনসের ওপরে বরফের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ছবি: স্পেস ডটকম
বিজ্ঞানীরা এই প্রথম মঙ্গলের বিষুবরেখার এত কাছে বরফের আকারে পানির সন্ধান পেলেন। এর আগে তাদের ধারণা ছিল, পাতলা বায়ুমণ্ডল ও তীব্র সূর্যালোকের কারণে সেখানে বরফের স্তর হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

মঙ্গগ্রহে পানির অস্তিত্বের ব্যাপারে আগেই জানিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। এবার এক গবেষণায় জানা গেছে, লাল এই গ্রহের সবচেয়ে উঁচু আগ্নেয়গিরিতে বরফের আকারে পানি রয়েছে, যার পরিমাণ প্রায় দেড় লাখ টন।

একটি আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীদের দ্বারা দ্বারা পরিচালিত এই গবেষণায় মঙ্গলগ্রহের সবচেয়ে উঁচু আগ্নেয়গিরি অলিম্পাস মনসের ওপরে বরফের সন্ধান পাওয়া গেছে, যা এই গ্রহে বিরল কিন্তু সক্রিয় জলচক্রের উপস্থিতি নির্দেশ করে।

এ বিষয়ে নেচার জিওসায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়, মঙ্গলগ্রহের ঠান্ডা ঋতুতে প্রতিদিন সকালে কয়েক ঘণ্টার জন্য থারসিস আগ্নেয়গিরি অঞ্চলের প্রাচীন ক্যালডেরাসে তুষারপাত হয়। মঙ্গলপৃষ্ঠ থেকে আর্দ্র বাতাস আগ্নেয়গিরির ঢালে পৌঁছায়। যখন এই বাতাস ঠান্ডা ক্যালডেরাসে পৌঁছায়, তখন এটি ঘনীভূত হয় এবং তুষারপাতের সৃষ্টি করে। এর ফলে তৈরি বরফের পাতলা স্তরটি মঙ্গলগ্রহের অনেক বড় এলাকা জুড়ে বিস্তৃত, যা দেখে অনুমান করা যায়, সেখানে প্রায় দেড় লাখ টন পানি থাকতে পারে, যা পৃথিবীর ৬০টি বড় সুইমিং পুলের পানির সমান।

বিজ্ঞানীরা এই প্রথম মঙ্গলের বিষুবরেখার এত কাছে বরফের আকারে পানির সন্ধান পেলেন। এর আগে তাদের ধারণা ছিল, পাতলা বায়ুমণ্ডল ও তীব্র সূর্যালোকের কারণে সেখানে বরফের স্তর হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

গবেষকদলের পক্ষে অ্যাডোমাস ভালান্টিনাস বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম এরকম স্তর থাকা অসম্ভব। তবে এখন মনে হচ্ছে, ওই অঞ্চলে আগে সম্ভবত তুষারপাত হয়েছিল।’

তিনি বলেন, পাঁচ বছর ধরে বিজ্ঞানীরা গবেষণা চালিয়েছেন। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি ও মার্স এক্সপ্রেস অরবিটারের তথ্য এবং ৩০ হাজার ছবি খতিয়ে দেখে তারা এই সিদ্ধান্তে এসেছেন।

এর ফলে তারা ধারণা করছেন, সেখানে অবশ্যই আগে বৃষ্টি হয়েছিল এবং সম্ভবত তুষারপাতও হয়েছিল। তারপরই এই বরফ ক্যালডেরাসে জমা হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Science Festival begins at St Gregorys School

সেন্ট গ্রেগরী স্কুলে বিজ্ঞান উৎসব শুরু

সেন্ট গ্রেগরী স্কুলে বিজ্ঞান উৎসব শুরু সেন্ট গ্রেগরী স্কুল অ্যান্ড কলেজে বৃহস্পতিবার বেলুন উড়িয়ে বিজ্ঞান মেলার উদ্বোধন করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা
মেলার ইভেন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে অলিম্পিয়াড, সায়েন্স প্রজেক্ট ডিসপ্লে, বিজ্ঞানভিত্তিক ওয়াল ম্যাগাজিন কম্পিটিশন ও প্রোজেক্ট আইডিয়া প্রেজেন্টেশন। প্রতিটি ইভেন্টের জন্য স্পট রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা রয়েছে।

ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সেন্ট গ্রেগরী স্কুল অ্যান্ড কলেজে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী বার্ষিক বিজ্ঞান উৎসব। বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে এই মেলা।

শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমনস্ক করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সেন্ট গ্রেগরী হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের গ্রেগরিয়ান সায়েন্স ক্লাব এই আয়োজন করেছে।

বিজ্ঞান মেলায় সেন্ট গ্রেগরী উচ্চ বিদ্যালয়, সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার্স গার্লস হাই স্কুল, বাংলাবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, উইলস লিটল ফ্লাওয়ার্স, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছে।

সেন্ট গ্রেগরী স্কুলে বিজ্ঞান উৎসব শুরু

মেলার ইভেন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে অলিম্পিয়াড, সায়েন্স প্রজেক্ট ডিসপ্লে, বিজ্ঞানভিত্তিক ওয়াল ম্যাগাজিন কম্পিটিশন ও প্রোজেক্ট আইডিয়া প্রেজেন্টেশন। প্রতিটি ইভেন্টের জন্য স্পট রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা রয়েছে।

বিজ্ঞানমেলায় অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে ৫টি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির জন্য কিডস গ্রুপ, পঞ্চম-ষষ্ঠ শ্রেণির জন্য জুনিয়র গ্রুপ, সপ্তম-অষ্টম শ্রেণির জন্য ইন্টারমিডিয়েট গ্রুপ, নবম-দশম শ্রেণির জন্য সিনিয়র গ্রুপ এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির জন্য কলেজ গ্রুপ নির্ধারণ করা হয়েছে।

সেন্ট গ্রেগরী স্কুলে বিজ্ঞান উৎসব শুরু

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ব্রাদার উজ্জ্বল প্লাসিড পেরেরা সি. এস. সি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. শাহজাহান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কোতোয়ালি থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফারহানা শাহীন লিপি।

মেলায় প্রায় ২৫০-৩০০টি প্রজেক্ট প্রদর্শিত হয়। পাশাপাশি আয়োজক কমিটি প্রায় ৩৩৫টি পুরস্কারের ব্যবস্থা রেখেছে। প্রজেক্টগুলো মূল্যায়ন করবেন বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২৫ জন শিক্ষক।

সেন্ট গ্রেগরী স্কুলে বিজ্ঞান উৎসব শুরু

৯ই মার্চ শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মেলার সমাপ্তি ঘটবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মো. শৌকত আকবর।

সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং-এর অধ্যাপক গ্রেগরিয়ান ড. মো. শহিদুল ইসলাম এবং সিএসআরএম-এর পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম।

মন্তব্য

p
উপরে