× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
UN Peacekeeper Day is tomorrow
google_news print-icon

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস কাল

জাতিসংঘ-শান্তিরক্ষী-দিবস-কাল
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করা হচ্ছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী বিশ্বের সব দেশের শান্তিরক্ষীদের অসামান্য অবদানকে এই দিনে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হবে।

আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস আগামীকাল বুধবার। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় এ বছর দিবসটি পালন করা হচ্ছে।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী বিশ্বের সব দেশের শান্তিরক্ষীদের অসামান্য অবদানকে এই দিনে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হবে।

আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উদযাপনে বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয়ভাবে নানা কর্মসূচি নিয়েছে। সকালে শান্তিরক্ষীদের স্মরণের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হবে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে ‘শান্তিরক্ষী দৌড়-২০২৪’ উদ্বোধন করবেন।

পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শহীদ শান্তিরক্ষীদের নিকটাত্মীয় ও আহত শান্তিরক্ষীদের জন্য সংবর্ধনা এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ওপর বিশেষ উপস্থাপনার আয়োজন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

দীর্ঘ চার দশকের শান্তিরক্ষার ইতিহাসে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা বিশ্বের ৪৩টি দেশ ও স্থানে, ৬৩টি জাতিসংঘ মিশন সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে ১৩টি দেশে বাংলাদেশের ছয় হাজার ৯২ জন শান্তিরক্ষী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে ও কার্যক্রমে নিয়োজিত আছেন, যাদের মধ্যে ৪৯৩ জন নারী শান্তিরক্ষী রয়েছেন।

শুরু থেকে এ পর্যন্ত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের সর্বমোট ১৬৮ জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন। এ বছর তিনজন আহত শান্তিরক্ষীকে সম্মাননা দেয়া হচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শহীদ ও আহত শান্তিরক্ষীদের সম্মানে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যগণ, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত/হাইকমিশনারগণ, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী, তিন বাহিনী প্রধানগণ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, পুলিশের মহাপরিদর্শক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বসহ উর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাগণ উপস্থিত থাকবেন।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Another 8 million cubic feet of gas from Sylhets Haripur well to the national grid

সিলেটের হরিপুর কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে আরও ৮০ লাখ ঘনফুট গ্যাস

সিলেটের হরিপুর কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে আরও ৮০ লাখ ঘনফুট গ্যাস সিলেটের হরিপুর গ্যাসক্ষেত্র। ছবি: ইউএনবি
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘জাতীয় গ্রিডে ১৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করে আসছে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড। এবার আরও ৮ মিলিয়ন ঘনফুট বাড়ল।’

৩০ বছর আগে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয় হরিপুরের সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ৭ নম্বর গ্যাসকূপ। তারপর চলতি বছর এ কূপে পুনর্খনন করে নতুন গ্যাসের সন্ধান পাওয়ার পর এবার জাতীয় গ্রিড লাইনে আনুষ্ঠানিকভাবে সঞ্চালন শুরু হয়েছে।

জাতীয় সঞ্চালন লাইনে সোমবার বিকেল সোয়া তিনটার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত করা হয় এ কূপের গ্যাস। এর ফলে জাতীয় গ্রিডে দৈনিক ৮ মিলিয়ন (৮০ লাখ) ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হচ্ছে।

সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘জাতীয় গ্রিডে ১৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করে আসছে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড। এবার আরও ৮ মিলিয়ন ঘনফুট বাড়ল।’

তিনি আরও বলেন, ‘১৯৮৬ সালে এই কূপ খনন করা হয়। ১৯৮৭ সাল থেকে ২ হাজার মিটার গভীরে তেল পাওয়া যায়। ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তেল উৎপন্ন করা হয়। এরপর ২০০৪ সালে ওয়ার্ক ওভার করে ১৯০০ মিটার গভীরে গ্যাস মেলে। গত জুন মাসে এটি বন্ধ হয়ে যায়।

‘জুলাইয়ে ফের ওয়ার্ক ওভারে গেলে ১২০০ মিটার গভীরে ৯০ থেকে ৯৫ বিলিয়ন কিউসেক ঘনফুট গ্যাসের মজুত পাওয়া যায়। এ গ্যাস আগামী ১৫ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত উত্তোলন করা যাবে।’

আরও পড়ুন:
সিলেট মহানগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি, সভাপতি পদে পরিবর্তন
শিল্প-কারখানায় পুনরায় গ্যাস সংযোগ চালুর চিন্তা-ভাবনা
সিলেটে চোরাচালান বহাল, কেবল সিন্ডিকেটের হাতবদল
রূপগঞ্জে গ্যাস বিস্ফোরণে একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ
রাজধানীর কোন কোন এলাকায় ৮ ঘণ্টা থাকবে না গ্যাস 

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Reorganization of Planning Commission 

পরিকল্পনা কমিশন পুনর্গঠন 

পরিকল্পনা কমিশন পুনর্গঠন  গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের লোগো। ফাইল ছবি
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, “সরকার ‘বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন’ গঠন করেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে ভাইস চেয়ারপারসন এবং পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যদের এ কমিশনের সদস্য করা হয়েছে। পরিকল্পনা বিভাগের সচিবকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।”

বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন পুনর্গঠন করা হয়েছে।

এ কমিশনের চেয়ারপারসন হয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বিকল্প চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পেয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সোমবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

এতে বলা হয়, “সরকার ‘বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন’ গঠন করেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে ভাইস চেয়ারপারসন এবং পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যদের এ কমিশনের সদস্য করা হয়েছে। পরিকল্পনা বিভাগের সচিবকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।”

কমিশনের কার্যপরিধিতে বলা হয়, দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ থেকে অনুমোদনের লক্ষ্যে উপস্থাপনের জন্য বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ও সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (আরএডিপি) খসড়া চূড়ান্ত করা, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে উপস্থাপনের জন্য স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন পর্যালোচনা ও হালনাগাদকরণের নির্দেশনা দেয়া, জাতীয় পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলী পর্যালোচনা এবং জাতীয় পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত বিষয়াবলী সম্পর্কে আন্তমন্ত্রণালয় মতপার্থক্য দূর করা।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশের সঙ্গে স্থিতিশীল সম্পর্ক চায় ভারত: প্রণয় ভার্মা
রাষ্ট্র সংস্কারে আরও চারটি কমিশন গঠন, নেতৃত্বে যারা
গুম সংক্রান্ত কমিশনে অভিযোগ জানানোর সময় বাড়ল
পুলিশে সংস্কারে প্রয়োজনে ওয়েবসাইটে সাধারণের মতামত নেবে কমিশন
রাষ্ট্র সংস্কারে পাঁচটি কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
More than 1600 complaints in the Missing Commission 

গুম কমিশনে ১ হাজার ছয় শর বেশি অভিযোগ 

গুম কমিশনে ১ হাজার ছয় শর বেশি অভিযোগ  প্রতীকী ছবি/মোয়াতানা ফর হিউম্যান রাইটস
বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘গুম সংক্রান্ত কমিশনে অভিযোগ জমা দেয়ার সময় শেষ হয়েছে গত ৩১ অক্টোবর। এই সময়ের মধ্যে ১৪০ জনের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৪০০ অভিযোগ খতিয়ে দেখা হয়েছে।’

গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারিতে এক হাজার ছয় শর বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে বলে জানিয়েছেন সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘গুম সংক্রান্ত কমিশনে অভিযোগ জমা দেয়ার সময় শেষ হয়েছে গত ৩১ অক্টোবর। এই সময়ের মধ্যে ১৪০ জনের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৪০০ অভিযোগ খতিয়ে দেখা হয়েছে।’

কমিশনের সম্মেলনকক্ষে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।

বিচারপতি মইনুল ইসলাম বলেন, পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে গাইডলাইন অনুসরণ করেনি। গুমের সঙ্গে কারা সংশ্লিষ্ট, সেসব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

গুমের সঙ্গে বাহিনীর কতজন সদস্য সংশ্লিষ্ট, প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সেই সংখ্যাটা এখনও বলা যাবে না। ৭ তারিখ থেকে বাহিনীর সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হবে। আমরা সমন ইস্যু করে দিয়েছি। প্রথম দিন সাতজনকে ডাকা হয়েছে। তারপর তিনজন, সাতজন, পাঁচজন এভাবে চলতে থাকবে।

‘এখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ডিজিএফআইয়ের সদস্য রয়েছে। প্রাথমিকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে ডিজিএফআই, র‍্যাব, ডিবি, সিটিটিসি, সিআইডি, পুলিশ তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।’

আরও পড়ুন:
‘ঢাকা কাচ্চি ডাইন’-এ রক্তমাখা মাংস, অতঃপর
হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গুমের শিকার সাবেক সেনা কর্মকর্তার
গুম সংক্রান্ত কমিশনে অভিযোগ জানানোর সময় বাড়ল
ইউএনওকে ফাঁসাতে গিয়ে ফাঁসলেন মদনের কৃষক লীগ নেতা
শ্রম-সংক্রান্ত অভিযোগ পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
National Consensus Election After All Reforms Information Advisor

সব সংস্কার শেষে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন: তথ্য উপদেষ্টা

সব সংস্কার শেষে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন: তথ্য উপদেষ্টা উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের সঙ্গে সোমবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অফিস কক্ষে সাক্ষাৎ করেন নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হাকোন অ্যারাল্ড গুলব্রান্ডসেন। ছবি: পিআইডি
নাহিদ ইসলাম বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইন এক সপ্তাহের মধ্যে বাতিল হবে এবং এই আইনের অধীনে যত মামলা হয়েছে সব মামলাও বাতিল হবে। শুধু এই আইন নয়, মতপ্রকাশে বাধা সৃষ্টি করে এমন সব আইন পর্যালোচনা করা হচ্ছে।’

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, প্রয়োজনীয় সব সংস্কার শেষে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে।

সোমবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অফিস কক্ষে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হাকোন অ্যারাল্ড গুলব্রান্ডসেনের সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। ফ্যাসিস্ট সরকার গত ১৬ বছর দেশে অনেক অনিয়ম-দুর্নীতি করেছে। অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেছে, যাতে দেশ ও দেশের মানুষ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারে।’

দেশ পুনর্গঠনে নরওয়ের পরামর্শ ও সহযোগিতা কামনা করেন উপদেষ্টা।

রাষ্ট্রদূত হাকোন অ্যারাল্ড গুলব্রান্ডসেন বলেন, ‘নরওয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে থেকে নতুন বাংলাদেশ পুনর্গঠনে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।

নাহিদ ইসলাম বলেন, সরকার উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে নরওয়ের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার পাশাপাশি তথ্য-প্রযুক্তির বিকাশ ও গণমাধ্যমের উন্নয়নে বিনিয়োগ প্রত্যাশা করে।

রাষ্ট্রদূত সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘এক সপ্তাহের মধ্যে আইনটি বাতিল হবে এবং এই আইনের অধীনে যত মামলা হয়েছে সব মামলাও বাতিল হবে।

‘শুধু এই আইন নয়, মতপ্রকাশে বাধা সৃষ্টি করে এমন সব আইন পর্যালোচনা করা হচ্ছে। সংস্কারের ক্ষেত্রে স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

রাষ্ট্রদূত সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়ে জানতে চাইলে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা নিরাপদে রয়েছেন। সবশেষ দুর্গাপূজায় তাদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি ছুটি বাড়ানো হয়।’

তিনি বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার সংখ্যালঘুদের নিয়ে রাজনৈতিক খেলায় মেতে উঠেছিল। তারা সংখ্যালঘুদের ভোটব্যাংক হিসেবে চিহ্নিত করেছে। অথচ তাদের আমলেই সংখ্যালঘু নির্যাতনের বড় বড় ঘটনা ঘটলেও তারা বিচার করেনি।’

জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে বহির্বিশ্বে নানারকম নেতিবাচক প্রচারণা করা হচ্ছে জানিয়ে এ বিষয়ে সত্য ঘটনা প্রচার করতে নরওয়ের সহযোগিতা কামনা করেন নাহিদ ইসলাম।

সাক্ষাৎকালে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হয়।

এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, নরওয়ের ডেপুটি হেড অফ মিশন মারিয়ান রাবে ন্যাভেলসউরড প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
কলরেট হ্রাস ও মেয়াদহীন ইন্টারনেট চালুর আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
আওয়ামী লীগের রাজনীতি পুনঃপ্রতিষ্ঠা হতে দেব না: তথ্য উপদেষ্টা
রাষ্ট্রপতি ইস্যুটি রাজনৈতিক, আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত: নাহিদ
বঙ্গবন্ধুকে জাতির জনক মনে করে না এই সরকার: তথ্য উপদেষ্টা
অংশীজনের পরামর্শের ভিত্তিতে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন: তথ্য উপদেষ্টা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Mahfuz Alam is not a member of Hizb ut Tahrir

‘মাহফুজ আলম হিযবুত তাহরীরের সদস্য নন’

‘মাহফুজ আলম হিযবুত তাহরীরের সদস্য নন’
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বলেছে, ফেসবুকে দেয়া পোস্টটিতে ইংরেজি দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডে প্রকাশিত একটি নিবন্ধের স্ক্রিনশট ছিল। এতে আবদুল্লাহ আল মাহফুজ নামে এক ব্যক্তিকে হিযবুত তাহরীরের কথিত সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত আবদুল্লাহ আল মাহফুজ ও বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম দু’জন ভিন্ন ব্যক্তি।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমকে হিযবুত তাহরীরের সদস্য বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে যে পোস্ট দেয়া হয়েছে তা সত্য নয়। দৈনিক আজকের পত্রিকার ফ্যাক্ট চেকিং ইউনিট এক প্রতিবেদনে বিষয়টি স্পষ্ট করেছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের সোমবারের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইউএনবি এই তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পোস্টটিতে ইংরেজি দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডে প্রকাশিত একটি নিবন্ধের স্ক্রিনশট ছিল। এতে আবদুল্লাহ আল মাহফুজ নামে এক ব্যক্তিকে হিযবুত তাহরীরের কথিত সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত আবদুল্লাহ আল মাহফুজ ও বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম দু’জন ভিন্ন ব্যক্তি।

মাহফুজ আলম ছাত্র আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। তিনি শেখ হাসিনার স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান আন্দোলনে ভূমিকা পালন করেছেন।

মাহফুজ আলম এক পোস্টে বলেছেন, তিনি কখনোই হিযবুত তাহরীর বা অন্য কোনো নিষিদ্ধ বা ইসলামপন্থী গোষ্ঠীর সদস্য ছিলেন না।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Malaysias labor market deadline opens on January 31

খুলছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার, সময়সীমা ৩১ জানুয়ারি

খুলছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার, সময়সীমা ৩১ জানুয়ারি ফাইল ছবি।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে, কর্মী পাঠানোর জন্য মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে চাহিদাপত্র সত্যায়নের শেষ তারিখ ৩১ ডিসেম্বর। আর বিএমইটি থেকে বহির্গমন ছাড়পত্র নেয়ার শেষ তারিখ ১৫ জানুয়ারি। রিক্রুটিং এজেন্টরা কর্মীদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত সর্বোচ্চ অভিবাসন ব্যয় ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকার অতিরিক্ত অর্থ নিতে পারবেন না।

মালয়েশিয়ায় প্ল্যান্টেশন সেক্টরে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দেশটির সরকার প্ল্যান্টেশন সেক্টরের জন্য নির্বাচিত বাংলাদেশি কর্মীদের সে দেশে প্রবেশের সবশেষ সময়সীমা আগামী ২০২৫ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্ধারণ করেছে।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব গাজী মো. শাহেদ আনোয়ারের সই করা এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়ায় প্ল্যান্টেশন সেক্টরে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সভাপতিত্বে ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সভায় নিম্নরূপ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সিদ্ধান্তে জানানো হয়, কর্মী পাঠানোর জন্য মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে চাহিদাপত্র সত্যায়নের শেষ তারিখ ৩১ ডিসেম্বর। আর জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) থেকে বহির্গমন ছাড়পত্র নেয়ার শেষ তারিখ ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫।

নির্দেশনা তুলে ধরে চিঠিতে বলা হয়েছে, রিক্রুটিং এজেন্টরা কর্মীদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত সর্বোচ্চ অভিবাসন ব্যয় ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকার অতিরিক্ত অর্থ নেবেন না। সব লেনদেন উপযুক্ত লিখিত দলিল, রসিদ বা ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে সম্পন্ন করবেন এবং অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্ট ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কর্মীদের লেনদেন না করার বিষয় নিশ্চিত করবেন।

এছাড়াও সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্ট নির্ধারিত তারিখের আগে কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ভিসা, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) বহির্গমন ছাড়পত্র এবং বিমান টিকিট, প্রাক-বহির্গমন ওরিয়েন্টেশনসহ সব প্রস্তুতি নিশ্চিত করবেন।

রিক্রুটিং এজেন্টরা যথাসময়ে চাকরির শর্ত, বেতন-ভাতা, অন্যান্য সুবিধা, চাকরির পরিবেশসহ সব বিষয়ে কর্মীকে সুস্পষ্টভাবে অবহিত করবেন।

আরও পড়ুন:
মালয়েশিয়ায় নিহত তিন রেমিট্যান্স যোদ্ধাকে মুন্সীগঞ্জে দাফন
মালয়েশিয়ায় ভবন ধসে বাংলাদেশি শ্রমিক নিহত 
মালয়েশিয়ায় ১৮ হাজার কর্মী প্রবেশে কাজ চলছে: উপদেষ্টা
বাংলাদেশ থেকে ১৮ হাজার শ্রমিক প্রবেশে পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর
মালয়েশিয়ায় যেতে না পারাদের টাকা ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে ফেরত দিতে হবে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
After the ban there is no hilsa in the net but the market is sold

নিষেধাজ্ঞা শেষে জালে ইলিশ মিলছে না অথচ বাজার সয়লাব

নিষেধাজ্ঞা শেষে জালে ইলিশ মিলছে না অথচ বাজার সয়লাব
নিষেধাজ্ঞার ২২ দিনে নদীতে জাল ফেলা থেমে থাকেনি। অব্যাহত ছিলো মৌসুমি জেলেদের ইলিশ শিকার। ওই সময়টাতে ধরা পড়া ইলিশ বরফ দিয়ে মজুত করা ছিল। আর নিষেধাজ্ঞা ওঠার পরপরই সেসব ইলিশ তোলা হচ্ছে বাজারে। অথচ নদীতে আশানুরূপ ইলিশ মিলছে না।

নিষেধাজ্ঞা শেষে রোববার রাত থেকে ঝালকাঠির সুগন্ধা ও বিষখালী নদীতে মাছ শিকারে নেমেছেন জেলেরা। দীর্ঘ ২২ দিন পর রোববার মধ্যরাত থেকে নদীতে জাল ফেলছেন তারা। কিন্তু তারা হতাশ। কারণ আশানুরূপ ইলিশ মিলছে না।

এদিকে নদীতে জেলের জালে ইলিশ ধরা না পড়লেও নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার ৭/৮ ঘণ্টা যেতে না যেতেই ঝালকাঠির বাজারগুলোতে বিক্রেতারা ইলিশের পসরা সাজিয়ে বসেছেন।

কোথা থেকে সরবরাহ হচ্ছে এই ইলিশ- এমন তথ্য খুঁজতে গিয়ে জানা গেল, নিষেধাজ্ঞার ২২ দিনে নদীতে জাল ফেলা থেমে থাকেনি। অব্যাহত ছিলো মৌসুমি জেলেদের ইলিশ শিকার। ওই সময়টাতে ধরা পড়া ইলিশ অজ্ঞাত স্থানে বরফ দিয়ে মজুত করা ছিল। আর নিষেধাজ্ঞা ওঠার পরপরই সেসব ইলিশ তোলা হচ্ছে বাজারে।

মৌসুমি জেলেদের জমানো ইলিশে সোমবার সকালে বাজার সয়লাব হয়ে যায়। এর জন্য নিষেধাজ্ঞা চলাকালে মৎস্য দপ্তরের ঢিলেঢালা অভিযানকে দায়ী করছেন পেশাদার জেলেরা।

মা ইলিশ রক্ষায় সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞা জারির পর জেলা প্রশাসনের কয়েকটি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান ছাড়া বাকি সময়গুলো সুগন্ধা ও বিষখালী নদীতে শতাধিক নৌকা নিয়ে মৌসুমি জেলেদের মা ইলিশ নিধন উৎসব অব্যাহত ছিলো।

নদী-তীরবর্তী বাসিন্দা নান্টু খলিফা, আমজেদ ডাকুয়া, অলি আহম্মেদ, নাইমসহ অনেকের সঙ্গে কথা এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

পেশাদার জেলে ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, অভিযান মাত্র শেষ হয়েছে। নদীতে এখনও তেমন একটা ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে তারা ইলিশ পাবেন বলে আশাবাদী।

জেলে হালিম হাওলাদার বলেন, ‘মধ্যরাতে নিষেধাজ্ঞা ওঠার পরই আমরা নদীতে নৌকায় জাল নিয়ে ইলিশ শিকারে নামি। যেভাবে মাছ পাওয়ার আশা করেছিলাম সেভাবে পাইনি। কিছু কিছু জায়গায় জালে এখনও ডিমওয়ালা ইলিশ উঠছে। সামনে মাছের পরিমাণ বাড়বে বলে আশা করছি।’

আড়তদাররা বলছেন, ‘নিষেধাজ্ঞার ২২ দিনে আমাদের কোনো ব্যবসা ছিল না। এ সময়টাতে জেলেদের অনেককে দাদন দিতে হয়েছে। এছাড়া কিছু করার ছিল না। জেলেরা খেয়ে বেঁচে থাকলে আমাদের ব্যবসা হবে। এখন নিষেধাজ্ঞা উঠেছে। আশা করা যায় আবার মাছের ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠবে।’

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, ‘মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্সের সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত ছিল। জেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, মৎস্য বিভাগ মিলে অভিযান সফল করেছি। এরপরও কিছু অসাধু জেলে আমাদের অগোচরে নদীতে জাল ফেলে ইলিশ শিকার করেছে।’

জেলেদের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত না এমন কিছু লোক মৌসুমি জেলে হয়ে মাছ শিকার করেছে। যতটা সম্ভব আমরা তাদের আইনের আওতায় এনেছি।’

আরও পড়ুন:
ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা উঠল
ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শুরু, নদীতে চলছে অভিযান

মন্তব্য

p
উপরে