ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আল জাবেরকে নির্বাচনি বিধি ভঙ্গের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।
রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনের স্বাক্ষরিত ওই কারণ দর্শানোর নোটিশে ১২ মে সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে স্বাক্ষরকারীর কার্যালয়ে গিয়ে কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না সেই মর্মে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়।
আল জাবের বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে চেয়রাম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।
অভিযোগে বলা হয়, নির্বাচনি বিধি ভঙ্গ করে তিনি ১০ মে বিকেল ৪টায় জনসমাবেশ, মিছিল এবং শোডাউন করেছেন। তাকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, নির্বাচন অফিসার এবং ওসি ফোন কলে প্রচার কাজ না করার জন্য বলেন। পরে সমাবেশস্থলে সশরীরে পুলিশ উপস্থিত হয়ে প্রচার কাজ বন্ধ করতে বললেও তাৎক্ষণিকভাবে প্রচার কাজ বন্ধ করেননি। উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) ২০২৬ এর বিধি ৫ এর পরিপন্থী। এরই প্রেক্ষিতে তাকে কারণ দর্শাতে বলা হয়।
রিটার্নিং অফিসার স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ১০ মে বিকেল ৪ টায় জনসভা, মিছিল, শোডাউন করেছেন। তার ভিডিও ও সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণাদি রয়েছে। এতে নির্বাচনি বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করেছেন। এটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০১৬ বিধিমালা এর ৫ এর পরিপন্থি।
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের বিক্রয় ও বিপণন কর্মকর্তাদের সংগঠন ইলেকট্রনিক মিডিয়া মার্কেটিং অ্যাসোসিয়েশন(ইমার) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মোহনা টেলিভিশনের সিইও এবং হেড অব মার্কেটিং তছলিম চৌধুরী। আর সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন জিটিভির হেড অব সেলস এন্ড মার্কেটিং ফেরদৌস নাঈম পরাগ। শনিবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে ইমার বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর প্রধান কমিশনার সহিদুল ইসলাম এবং নির্বাচন কমিশনার মিনহাজ উদ্দিন ও ডক্টর আল আমিন আগামী দুবছরের জন্য ২১ সদস্যের কমিটি গঠন করেন। এতে সহ-সভাপতি পদে ইটিভির জাকারিয়া হোসেন জয়, চ্যানেল আইয়ের জিয়াউল হক সুমন, স্টার নিউজের জহিরুল ইসলাম ও ; যুগ্ম সম্পাদকের দুই পদে গ্লোবাল টিভির রফিকুল রহমান নিক্সন ও বিজয় টিভির মাহামুদুল হাসান, অর্থ সম্পাদক এটিএন বাংলার আবদুল মালেক, সাংগঠনিক সম্পাদক দুরন্ত টেলিভিশনের আশিকুর রহমান অভী, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক জিটিভির দীন ইসলাম তপু, প্রচার-প্রকাশনা সম্পাদক এখন টিভির সরকার হানিফ রাফি, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক চ্যানেল আইয়ের লিমা আক্তার শিমু, আইন সম্পাদক এটিএন নিউজের কারিন কামাল এবং দপ্তর সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন চ্যানেল নাইনের সাইফুল আলম তপু। এছাড়া নির্বাহী সদস্যের সাতটি পদে নির্বাচিত হয়েছেন মাছরাঙ্গা টিভির আবদুস সালাম সোহাগ, একাত্তর টিভির সোহাগ হোসেন, দেশ টিভির আরিফুল ইসলাম রাজীব, এস এ টিভির শাকিলুর রহমান, এশিয়ান টিভির মাহমুদ জনি, ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির এস এম জুবায়ের ও ডিবিসি নিউজের কে এম রাশেদুল। সবার সহযোগিতায় সংগঠনকে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় জানান ইমার নব-নির্বাচিত সভাপতি তছলিম চৌধুরী।
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করেছে যে, গত ০৯ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সংঘটিত একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমে আনসার সদস্যদের ভূমিকা বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এ ধরনের প্রচার সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর ।
উল্লেখিত তারিখে সকাল আনুমানিক ১০:৩০ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্সার ভবনে আল্ট্রাসনোগ্রাম সেবার জন্য আগত সেবা প্রত্যাশীদের মধ্যে আল্ট্রাসনোগ্রামের দৈনিক সীমা পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় কিছুক্ষণ বাগবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। এসময় দায়িত্বরত রেডক্রিসেন্ট কর্মীদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির ফলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যগণ তাৎক্ষণিকভাবে উভয় পক্ষকে পৃথক করে পরিস্থিতি শান্ত রাখেন।
পরবর্তীতে কিছু ব্যক্তি হাসপাতালের রেজিস্ট্রার মহোদয়ের কক্ষে অনধিকার প্রবেশ করে উত্তেজনাপূর্ণ আচরণ করেন এবং মব সৃষ্টির চেষ্টা করেন। রেজিস্ট্রার মহোদয়ের অনুরোধে আনসার সদস্যরা দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে মব নিয়ন্ত্রণে আনেন ও চিহ্নিত দুইজন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করেন।
এ ঘটনায় দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পেশাদারিত্ব, ধৈর্য ও সংযমের পরিচয় দিয়েছেন। কোনো সাংবাদিককে বাধা প্রদান বা সংবাদ প্রচারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়নি—এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও অসত্য।
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের নিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারি স্থাপনা, চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান ও জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট স্থানে আনসার সদস্যরা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন এবং ভবিষ্যতেও জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ থাকবে।
সুতরাং,বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে যে বিভ্রান্তিকর তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও কিছু সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে, তার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে এবং সেসব অসত্য সংবাদ প্রত্যাহারের অনুরোধ করা হচ্ছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গত সেপ্টেম্বর-২০২৫ মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে সর্বমোট ১৭১ কোটি ৬০ লক্ষ ৫১ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে।
জব্দকৃত চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে- ৬ কেজি ৩৫৬ গ্রাম স্বর্ণ, ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম রূপা, ৯,২৪৮টি শাড়ী, ১৩,৫৫৮টি থ্রিপিস/শার্টপিস/চাদর/কম্বল, ১১,৪৬১টি তৈরী পোশাক, ১,২৮৬ মিটার থান কাপড়, ৩,৯১,৭৯৩টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ২,৯৫২ পিস ইমিটেশন গহনা, ১৩,৬১,২৭৬টি আতশবাজি, ৪,২০২ ঘনফুট কাঠ, ২,০৩৫ কেজি চা পাতা, ১১,৩৭৭ কেজি সুপারি, ৮১,৭৮০ কেজি কয়লা, ৭৩৫ ঘনফুট পাথর, ৪,৬৩০ ঘনফুট বালু, ৬,৩৪৯ কেজি সুতা/কারেন্ট/দুয়ারি জাল, ৩৭৯টি মোবাইল, ৩,৪৪৩টি মোবাইল ডিসপ্লে, ৩৫,০৬২টি চশমা, ১৭,২৬৯ পিস যানবাহনের যন্ত্রাংশ, ৩২,৭৭৮ কেজি জিরা, ১৭,৬৪১ কেজি চিনি, ৯,৪৫১ কেজি পিয়াজ, ১৩০ কেজি রসুন, ১৩,২৭৬ কেজি সার,
৪,১৬৪ প্যাকেট বিভিন্ন প্রকার বীজ, ১,৫৮১ প্যাকেট কীটনাশক, ১৮৯ লিটার ডিজেল, ৪,৩৯,০৩৪ পিস চকোলেট, ৭৩,৫৪০ ভারতীয় রূপি, ৩০ হাজার ইউএস ডলার, ১,৫২৫টি গরু/মহিষ ১৯টি ট্রাক/কাভার্ড ভ্যান, ১২টি পিকআপ/মহেন্দ্র, ১টি ট্রাক্টর, ৪টি প্রাইভেটকার/মাইক্রোবাস, ৬টি ট্রলি, ১৩০টি নৌকা, ৩৬টি সিএনজি/ইজিবাইক, ৬৬টি মোটরসাইকেল এবং ৬৭টি বাইসাইকেল/ভ্যান।
উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- ২টি দেশী/দেশীয় পিস্তল, ০২টি ম্যাগাজিন, ১০০ রাউন্ড গোলাবারুদ এবং ৩টি অন্যান্য অস্ত্র।
এছাড়াও গত মাসে বিজিবি কর্তৃক বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে- ২০,৮৭,১৪৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৪ কেজি ৬৬৩ গ্রাম হেরোইন, ৪,৪৯১ বোতল ফেনসিডিল, ১২,১১৩ বোতল বিদেশী মদ, ৩৮৪ লিটার বাংলা মদ, ১,১০৮ ক্যান বিয়ার, ১,২৯৮ কেজি গাঁজা, ২,২৪,৮১১ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ১০ কেজি তামাক পাতা, ৫৭,৭৪৫টি নেশাজাতীয় ট্যাবলেট/ইনজেকশন, ৪,৩৮৪ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ১২,২৪৯টি এ্যানেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট, এম কফিডিল ৪০টি, এবং ৭,৫৪,২৫৮পিস বিভিন্ন প্রকার ঔষধ ও অন্যান্য ট্যাবলেট।
সীমান্তে বিজিবি’র অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৯৮ জন চোরাচালানী এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ১১৯৭ জন বাংলাদেশী নাগরিক ও ০৯ জন ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে ৮০৫ জন মায়ানমার নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত প্রদান করা হয়েছে।
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার পুলিশ কনস্টেবল পাপেল হাসানের (বিপি-৯৩১৩১৬৯২৮২) বিরুদ্ধে একাধিক বিয়ে, যৌতুক দাবি এবং স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগ তুলে তৃতীয় স্ত্রী হাফিজা আক্তার আঁখি সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
রবিবার (১২ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় বদলগাছীর বিষ্ণুপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে হাফিজা আক্তার বলেন, ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর পারিবারিকভাবে পাপেল হাসানের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় তার পরিবারের কাছ থেকে বাড়ি মেরামতের কথা বলে ৭ লাখ টাকা যৌতুক নেওয়া হয়। বিয়ের পর পাপেল কর্মস্থল বগুড়ায় থাকাকালীন তারা ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে সুস্থ হওয়ার পর তাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় এবং পরবর্তীতে ভাড়া বাসা ছেড়ে দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, সাত মাস পর পাপেলের নতুন কর্মস্থল বগুড়ার সারিয়াকন্দির চন্দন বাইশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ওঠার পর সংসার শুরু হলেও সেখানে কোনো খরচ দিতেননা পাপেল। এরপর শুরু হয় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। বিষয়টি জানিয়ে শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
হাফিজা আক্তারের দাবি, পরে পাপেল আবারও ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় মারধর করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন এবং ভরণপোষণ বন্ধ করে দেন। এরপর তালাক দেওয়ার হুমকি দেন। কিছুদিন পর হাফিজা জানতে পারেন, পাপেল এর আগেও দুটি বিয়ে করেছেন এবং যৌতুকের জন্য তাদেরও তালাক দিয়েছেন। একই কৌশলে তাকে গোপনে তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করেন।
তিনি জানান, এসব ঘটনায় তিনি বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার, পাবনা পুলিশ সুপার, রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টারেও লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু কোনো পক্ষই এখনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। বরং তাকে মৌখিকভাবে বলা হয়েছে বিষয়টি পারিবারিকভাবে মীমাংসা করতে করতে বলেছেন।
পাপেলের প্রথম স্ত্রী সোনালী আক্তার বলেন, পাপেলের পরিবারের অবস্থা ভালো ছিল না। পুলিশে চাকরির জন্য তার বাবার কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা নেওয়ার পর তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু কিছুদিন পরই পাপেল তালাক দিয়ে নতুন জীবন শুরু করেন। তিনি দাবি করেন, পাপেল একজন অর্থলোভী মানুষ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কনস্টেবল পাপেল হাসান মুঠোফানে বলেন, আমি সরকারি চাকরি করি, কেন ভরণপোষণ দিব না? আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে, তদন্ত চলছে। এর বেশি কিছু বলবোনা।
সংবাদ সম্মেলনে হাফিজা আক্তারের বাবা রকিব উদ্দিন, চাচা রফিকুল ইসলাম, চাচাতো ভাই জহুরুল ইসলামসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ব্রিজের নিচের অবৈধ বাঁধ অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন।
এদিকে বাঁধ অপসারনে স্বস্তি প্রকাশ করেছে দুর্ভোগে থাকা পানিবন্দি অর্ধশতাধিক পরিবার।
রবিবার (১২ অক্টোবর) সকালে উপজেলা সহকারি কমিশিনার (ভূমি) মো: মাসুম বিল্লাহ কান্দি ইউনিয়নের লেবুবাড়ি গ্রামে এক অভিযান চালিয়ে ব্রিজের নিচের এই বাঁধ অপসারণ করেন।
এ সময় সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম শাহজাহান সিরাজ, উপজেলা প্রকৌশলী শফিউল আজম, কোটালীপাড়া থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
দীর্ঘদিন ধরে ব্রিজের নিচে অবৈধভাবে পাকা দেওয়াল দেওয়ায় পানিবন্দি অবস্থায় চরম দুর্ভোগে পরে অর্ধশতাধিক পরিবার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পানিবন্দী একাধিক ভূক্তভোগী বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে জিম্মি হয়ে আছি প্রভাবশালী ঘের মালিকদের কাছে। ভয়ে আমরা কিছু বলতেও সাহস পাইনি। বাধ্য হয়ে বাঁধ অপসারনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত আবেদন জানাই।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম শাহজাহান সিরাজ বলেন, ব্রিজের নিচে পাকা দেয়াল দিয়ে পানি আটকিয়ে বর্ষা মৌসুমে জলাভূমিকে ঘের বানিয়ে মাছ চাষ করে আসছিল স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল। এতে জলাভূমির মাঝে বসত করা প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পরে। মাছের ঘেরের কারনে এ সকল বাড়ির পাড়গুলো দিন দিন ভেঙে পড়ছিল। বর্ষার পানি কমে গেলেও ব্রিজের নিচে পাকা বাঁধ থাকার কারনে জলাভূমির পানি না কমায় দূর্ভোগে পরে ঘেরের ভিতরে বসবাস করা পরিবারগুলো।
অভিযান পরিচালনাকারী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো: মাসুম বিল্লাহ বলেন, ভূক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাগুফতা হক স্যারের নির্দেশনায় সরেজমিনে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ব্রিজের নিচে পানি আটকিয়ে রাখা পাকা ইটের দেওয়াল ভেঙ্গে দেওয়া হয়। জনদুর্ভোগ রোধে উপজেলা প্রশাসন সবসময়ই তৎপর রয়েছে।
নওগাঁর বদলগাছীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে শিশুদের নিয়ে প্রাণবন্ত ‘শিশু সমাবেশ’। শনিবার (১১ অক্টোবর ২০২৫) সকালে বদলগাছী কারিগরি ও বাণিজ্যিক কলেজ মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল মেডিয়েশন সোসাইটি (বিসম)-এর আয়োজনে এই অনুষ্ঠানটি হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর রহমান।সম্মানিত বক্তা ছিলেন ফটোসাংবাদিক মো. সাজ্জাদ হোসেন এবং সোহানি ইসলাম সমাপ্তি, বিসম অ্যাসোসিয়েটস-এর প্রতিনিধি। অতিথি বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা সমাজকল্যাণ সংস্থা-এর প্রকাশনা সম্পাদক আলেয়া বেগম আলো।
ফটোসাংবাদিক সাজ্জাদ বলেন, “শিশুরা দেশের ভবিষ্যৎ— তাদের সঠিক পথে এগিয়ে নিতে পরিবার ও সমাজকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”
অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ত্ব করেন মিস অন্নি ইসলাম, অ্যাক্রেডিটেড মেডিয়েটর ও কিউনিটি মেডিয়েশন সেন্টারের যুগ্ম সম্পাদক।মডারেটর ও সমাপনী বক্তব্য রাখেন জনাব এস. এন. ঘোষামী, সিনিয়র অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও বিসম-এর চেয়ারম্যান।অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া শিশুদের হাতে জাতীয় পতাকা, খাতা ও শিক্ষাসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। বক্তারা শিশুদের দেশপ্রেম, নৈতিকতা ও স্বপ্নমুখী জীবনের গুরুত্ব সম্পর্কে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য রাখেন।অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিক্ষার্থী, অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন।
২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়ার দাবিতে দেশের বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনে পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানীর প্রেস ক্লাব এলাকায়। পুলিশের বাধার মুখে সেখান থেকে সরে তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছেন।
রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুরে সেখানে সরে গিয়ে ওই স্থান থেকেই তারা লাগাতার কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, জনদুর্ভোগ এড়াতে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমাদের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি এখন থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলবে। প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখান থেকেই কর্মসূচি চালিয়ে যাব।
তিনি আরও বলেন, আমাদের শীর্ষ নেতারা এরইমধ্যে শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছেন। যারা এখনো প্রেস ক্লাবে আছেন, তাদের অনুরোধ করছি মিছিলসহ শহীদ মিনারে চলে আসতে। আমরা এখান থেকেই আমাদের আন্দোলন পরিচালনা করব এবং বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে লাগাতার আন্দোলনকে সাজাবো ইনশাআল্লাহ।
অধ্যক্ষ আজিজী বলেন, আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি—যতক্ষণ পর্যন্ত জাতীয়করণের প্রজ্ঞাপন জারি না হবে, আমরা শহীদ মিনার ছাড়ব না, ঢাকার রাজপথও ছাড়ব না। আলোচনার মাধ্যমে, সহযোগিতার মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন নিয়েই বিজয়ী বেশে আমরা শ্রেণিকক্ষে ফিরব।
অন্যদিকে প্রেস ক্লাব এলাকা থেকে শিক্ষক নেতাদের সরাতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে শিক্ষকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। অনেকেই আবার প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টাও করেন। তবে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোন সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য