বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা ও ইক্যুমেনিজম পরস্পর পরিপূরক বলে মন্তব্য করেছেন বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা ও ইক্যুমেনিজম’ শীর্ষক আলোচনা সভার বক্তারা। স্বাধীনতা দিবসে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তারা বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস এবং বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও সহযোগিতার গুরুত্বের উপর আলোকপাত করেন।
মঙ্গলবার মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চ এবং ইক্যুমেনিক্যাল খ্রিষ্টান ট্রাস্টের (ইসিটি) যৌথ আয়োজনে ‘বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা ও ইক্যুমেনিজম’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তরা এ কথা বলেন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের পরিচালক মৃন্ময় চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার (বাপ্পি)।
এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ইসিটি ট্রাস্টি বোর্ডের সেক্রেটারি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস, ইসিটি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও বঙ্গবন্ধু গবেষক মেজর (অব.) আফিজুর রহমান, মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চের সিনিয়র প্যাস্টর রেভারেন্ড মার্টিন অধিকারী এবং ইসিটি বোর্ডের ট্রেজারার জন সুশান্ত বিশ্বাস।
অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন অধ্যাপক ডক্টর মিল্টন বিশ্বাস।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার যে সুবর্ণ জয়ন্তী আমরা পেরিয়ে এসেছি, সেখানে বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতার সত্যতা জাতি পেয়েছে। পররাষ্ট্রনীতিতে বঙ্গবন্ধু সকলের সঙ্গে যে বন্ধুত্ব করতে চেয়েছিলেন তা ইক্যুমেনিজমের এক জ্বলন্ত উদাহরণ।
আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু গবেষক ও মেজর (অব.) আফিজুর রহমান বলেন, “৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু কোন মুক্তির কথা বলেছিলেন? তিনি বলেছিলেন- ‘আমাদের মুক্তির সংগ্রাম’ অর্থাৎ আমাদের সবার মুক্তির কথা। সেখানে কোনো ধর্ম ছিল না, উনি সবার মুক্তি চেয়েছিলেন। সেখানে ধর্মনিরপেক্ষতা ছিল।”
প্রধান অতিথি হিসেবে ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের পরিচালক মৃন্ময় চক্রবর্তী বলেন, ‘আজ মানুষ খুব আগ্রাসী মনোভাবের, এক দেশের মানুষ অন্য দেশের মানুষকে আক্রমণ করছে। এক ধর্মের মানুষ অন্য ধর্মের মানুষকে আক্রান্ত করছে। এই আগ্রাসী মনোভাব থেকে বের হয়ে আসতে হবে। সবাইকে এক হয়ে বাঁচতে হবে, একসঙ্গে থাকতে হবে। এটাই ইক্যুমেনিজমের বৈশিষ্ট্য।’
অনুষ্ঠানে বক্তারা ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র নির্মাণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের তাৎপর্য ও ইক্যুমেনিজমের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নির্মল বাইন এবং বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দীপিকা রাণী সমদ্দার।
সভাপতির ভাষণে ইসিটি ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার (বাপ্পি) ইক্যুমেনিজমের ওপর বিস্তারিত আলোকপাত করেন। তিনি নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে বিষয়টির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রার্থনা করেন রেভারেন্ড প্রিন্স কিরণ এবং অনুষ্ঠান শেষ হয় বিশপ পল শিশির সরকারের প্রার্থনার মধ্য দিয়ে। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন টমাস সিংহ।
আলোচনা সভায় উপস্থিত সকলের জন্য প্রীতিভোজের আয়োজন ছিল।
জুমার নামাজের আগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে বর্তমান খতিব ওয়ালিউর রহমান ও সাবেক খতিব রুহুল আমিনের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন।
শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খতিব ওয়ালিউর রহমান মুসল্লিদের উদ্দেশে খুতবা (বক্তব্য) দেয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নামাজ শুরুর আগে খতিব ওয়ালিউর রহমান খান বক্তব্য দিচ্ছিলেন। এ সময় খতিব মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন তার অনুসারীদের নিয়ে বায়তুল মুকাররম মসজিদে প্রবেশ করে খতিবের মাইক্রোফোন কেড়ে নিয়ে মিম্বরের কাছে বসে থাকা মুসল্লি ও খাদেমের ওপর হামলা চালান। হামলা-সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হন।
নামাজ পড়তে আসা আবদুল হামিদ বলেন, ‘সাবেক এই ইমাম যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বসে সমস্যার সমাধান করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা না করে লোক এনে হামলা চালান। এটা সত্যিই লজ্জাজনক।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এটি বড় কোনো ঘটনা নয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’
তিনি জানান, বায়তুল মুকাররম উত্তর গেট ও পল্টন মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) ও সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন ইউএনবির প্রতিবেদক।
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় পাহাড়িদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও তাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে তাদের এ কর্মসূচি শুরু হয।
কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা পাহাড় থেকে সেনা প্রত্যাহার, হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিসহ হামলার প্রতিবাদে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের একজন বলেন, ‘আমরা মানবেন্দ্র নারায়ণ লার্মার যোগ্য উত্তরসূরি। মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার রক্ত কোনো আপস মানে না।
‘সেই রক্তের শপথ নিয়ে আমরা বলতে চাই, জুম্ম জনগণের ওপর যত মানবাধিকার লঙ্ঘন সংগঠিত হয়েছে, তার সবগুলোর বিচার আমরা নিয়েই ছাড়ব।’
প্রায় দুই ঘণ্টা সমাবেশ শেষে জুম্ম ছাত্র-জনতার কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড়ের দিকে যান। তারা প্রায় ২০ মিনিটের মতো মোড়টি অবরোধ করে রাখেন।
একই ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মশাল মিছিল করেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।
আরও পড়ুন:ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাবেক উপকমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঢাকার বিমানবন্দর এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার রাতে গোয়েন্দারা তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি শুক্রবার নিশ্চিত করেন ডিএমপি ডিবির যুগ্ম কমিশনার রবিউল ইসলাম।
তিনি বলেন, ডিবির সাবেক এ কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শককে ঢাকার নিউ মার্কেট থানায় করা এক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের পানি সরবরাহ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. ফজলুর রহমান।
বুধবার স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো. আব্দুর রহমানের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ আইন ১৯৯৬-এর ২৮(২) ধারা অনুযায়ী ঢাকা ওয়াসার দৈনন্দিন কার্যক্রম সুচারুরূপে পরিচালনা এবং চলমান উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের পানি সরবরাহ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে তার নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে সাময়িকভাবে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব দেয়া হলো।
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনকালে তিনি বিধি মোতাবেক দায়িত্ব ভাতা পাবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
প্রসঙ্গত, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কয়েক দফায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত এমডি তাকসিম এ খানের চুক্তি বাতিল করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তার স্থলে ডেপুটি এমডি ভারপ্রাপ্ত এমডির দায়িত্ব পালন করছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া মেট্রো রেলের কাজীপাড়া স্টেশন আগামীকাল শুক্রবার থেকে চালু হচ্ছে। তবে সংস্কার কাজ শেষ না হওয়ায় মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশনটি আপাতত বন্ধই থাকবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আগামীকাল ২০ সেপ্টেম্বর থেকে চালু হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত কাজীপাড়া মেট্রো স্টেশন। ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ নম্বর মেট্রো স্টেশনও দ্রুত চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’
প্রসঙ্গত, গত ১৯ জুলাই বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকালে কাফরুল থানার কাজীপাড়া মেট্রো স্টেশনে ৫-৬ হাজার লোক হামলা করে। তারা প্রবেশ-বহির্গমন গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে স্টেশনের কনকোর্সে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এ সময় মূল্যবান যন্ত্রপাতি এবং সরঞ্জাম লুটের ঘটনাও ঘটে।
মামলায় ঢালাওভাবে আসামি না করে সম্ভাব্য প্রকৃত অপরাধীদের নাম দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সদরদপ্তরে বৃহস্পতিবার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ আহ্বান জানান।
নামে-বেনামে মামলা করে হয়রানির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আগে পুলিশ মামলায় ১০ জনের নাম দিয়ে ১০০ জনের নাম দিত অজ্ঞাত, কিন্তু এখন পুলিশ মামলা দিচ্ছে না। এটা সাধারণ পাবলিকরা দিচ্ছে। এখন যারা মামলা দিচ্ছে, এটা তো সাধারণ জনগণ।
‘আমার অনুরোধ, শুধু যারা দোষী, তাদেরই নাম দেন। অন্য কাউকে নাম দিয়েন না। অন্য নাম দিলে এটা তদন্ত করতে সময়ও বেশি যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘অনেক সময় নিরীহ লোকও যেন হেনস্তা না হয়, এদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এ জন্য আমরা কিন্তু বলে দিয়েছি যে, সাধারণ লোক যেন হেনস্তা না হয়। তদন্ত ছাড়া কাউকেই গ্রেপ্তার করা হবে না।
‘আমি ডিবিকে ইনস্ট্রাকশন দিয়ে দিয়েছি। পরিচয় তারা নিজেরা দেবে। তারপর ধরবে।’
ট্রাফিক সমস্যা ও চাঁদাবাজি বন্ধে ডিএমপিকে একগুচ্ছ নির্দেশনা দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘পুলিশের মনকে উজ্জীবিত করে কীভাবে তাদের পুরোনো গৌরব ফিরে পাবে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। জনবান্ধব পুলিশ, এটা যেন বাস্তবে হয়। থানা পর্যায়ে লোকজনকে অনেক সময় বিভিন্ন কাজের জন্য গিয়ে তাদের সমস্যা সমাধান করতে পারে না। সবসময় সমাধান সম্ভবও নয়, কিন্তু তারপরও তাদের যেন একটা প্যাশেন্ট হিয়ারিং দেয়া হয়। তাদের কাজগুলো কীভাবে সমাধান করা যায় এটা বলা হয়েছে।’
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ট্রাফিকে যে একটা সমস্যা হচ্ছে, এই ট্রাফিকটা কীভাবে উন্নত করা যায়, এ ক্ষেত্রে বলা হয়েছে। চাঁদাবাজি কীভাবে বন্ধ করা যায়, এই সস্পর্কে বলা হয়েছে। চাঁদাবাজিটা যদি বন্ধ হয়, জিনিসপত্রের দাম একটু সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে।
‘এই চাঁদাবাজি যেন না হয়। এ ছাড়া ঘুষ এবং দুর্নীতি সমাজটাকে গ্রাস করে নিচ্ছে। এটাকে কীভাবে বন্ধ করা যায়, এগুলো সমন্ধে তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।’
মব জাস্টিসের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এটার ক্ষেত্রে জনসচেতনতাটা একটু বাড়াতে হবে। কাল দেখলাম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে…তারা তো সবচেয়ে শিক্ষিত। তাদের ক্ষেত্রে তো এই সচেতনতাটা আসতে হবে। একজন অন্যায় করলে তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করেন। কিন্তু আইন তো হাতে তুলে নেয়ার কারও অধিকার নেই। আইনের হাতে তাকে সোপর্দ করতে হবে।
‘এ ক্ষেত্রে আপনারাও (সাংবাদিকরা) একটু আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারেন। জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। ইনোসেন্ট লোকের যেন কোনো অবস্থায়ই কোনো হেনস্তা না হয়।’
আরও পড়ুন:বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর উত্তরার পূর্ব থানার পোশাককর্মী আজিজকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
তাকে সাত দিনের রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক সজল চন্দ্র পাল।
শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম মো. আরিফুর রহমানের আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখায়। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
গত ১১ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর মহাখালী ফ্লাইওভার এলাকা থেকে আছাদুজ্জামান মিয়াকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরের দিন বৃহস্পতিবার তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ।
ওই আদালতে ছাত্রদল নেতা নুরুজ্জামান জনিকে পুলিশি হেফাজতে হত্যার অভিযোগে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সাত দিনের রিমান্ড শেষে আজ তাকে পোশাককর্মী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য