সোমালি জলদস্যুদের অপহরণের শিকার বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি আব্দুল্লাহ’র জিম্মি নাবিকদের পরিবারগুলো জানিয়েছে, দস্যুরা এখন যেন অনেকটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
জলদস্যুরা গত সপ্তাহে ভারত মহাসাগরে জাহাজটি দখলে নেয়ার পর এ ক’দিন নাবিকদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগসহ কিছু সুবিধা দিলেও গত দু’দিনে তারা তা-ও বন্ধ করে দিয়েছে।
এদিকে জলদস্যুদের কবল থেকে জাহাজটি উদ্ধারে অভিযান পরিকল্পনার কথা শোনা গেলেও নাবিকদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে তাতে সায় দেয়নি বাংলাদেশ।
এর আগে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, এমভি আব্দুল্লাহ ও জিম্মি নাবিকদের জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত করতে সোমালি পুলিশ ও আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছে পান্টল্যান্ড অঞ্চলের পুলিশ।
এছাড়া রোববার এমভি আব্দুল্লাহ ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত হিসেবে অভিযুক্ত দুই জলদস্যুকে আটকের কথা জানিয়েছে পান্টল্যান্ড পুলিশ।
জিম্মি নাবিকদের পরিবার যা বলছে
জিম্মি নাবিকরা তাদের পরিবারকে জানিয়েছেন, জলদস্যুরা জাহাজে থাকা খাবার শুধু খাচ্ছেই না, সেগুলো নষ্টও করছে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা জানান নাবিকরা।
জিম্মি থাকা ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খানের সঙ্গে তার বড় ভাই ওমর ফারুকের সবশেষ কথা হয় দু’দিন আগে।
ওমর ফারুক মঙ্গলবার জানান, তখন সে জানিয়েছিল যে জলদস্যুরা প্রতিদিন প্রায় একশ’জনের খাবার নষ্ট করছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বড় সংকটে পড়তে হবে তাদের।
এমন পরিস্থিতিতে এমভি আব্দুল্লাহ ও জিম্মি নাবিকদের জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত করতে সোমালি পুলিশ এবং আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, ভারতীয় কমান্ডোরা জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে থাকা মাল্টার পতাকাবাহী জাহাজ এমভি রুয়েনে অভিযান চালিয়ে ১৭ ক্রুকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করার পর এমভি আব্দুল্লাহতেও অভিযানের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
তবে এ ধরনের অভিযানের প্রস্তাবে বাংলাদেশের সরকার রাজি হয়নি।
জাহাজটির মালিক কোম্পানি কেএসআরএম গ্রুপও এ ধরনের অভিযানে রাজি নয়। প্রতিষ্ঠানটির মিডিয়া অ্যাডভাইজার মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘নাবিক ও ক্রুদের জীবন বিপন্ন হয় এমন কোনো অপারেশন আমরা চাই না।’
জাহাজের চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খানের মা শাহানুর বেগম বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘ভারতীয় নৌবাহিনীর হেলিকপ্টার দেখার পর থেকে ওরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে আমরা জেনেছি। অভিযান চললে আমরা আর আমাদের সন্তানদের জীবিত ফেরত পাব না। আমরা শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই।’
জাহাজটির অবস্থান এখন কোথায়?
পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ না থাকলেও জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে থাকা জাহাজটির সবশেষ অবস্থান মনিটর করছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ নৌপরিবহন অধিদপ্তরের পাশাপাশি বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনও (বিএমএমওএ) জাহাজটির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছে।
জলদস্যুরা ইতোমধ্যে জাহাজটিকে নিয়ে কয়েক দফায় ভারত মহাসাগরে স্থান পরিবর্তন করেছে।
জাহাজটির এই গতিপথ ও অবস্থান দেখে বিএমএমওএ বলছে, নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পর প্রথমেই জলদস্যুরা বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজটিকে দেড় দিনের মাথায় সোমালিয়া উপকূলের কাছাকাছি নিয়ে যায়।
জলদস্যুদের কবলে পড়ার পরদিন বুধবার এটি ছিল সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসু উপকূলের কাছাকাছি অবস্থানে। পরবর্তীতে সেটিকে আরও উত্তর দিকে সরিয়ে প্রথমে নেয়া হয় গারদাকে।
এরপরই ভারতীয় নৌবাহিনী জাহাজটি ঘিরে নজরদারি বাড়ালে সেটি আবারও সরিয়ে নেয়া হয় গদবজিরান উপকূলে।
তিনদিন ধরে জাহাজটি একই জায়গায় নোঙ্গর করে আছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। তারা জানাচ্ছে, জাহাজটি গদবজিরান শহর থেকে ৪ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছে।
অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী বলেন, ‘এমভি আব্দুল্লাহ যে জায়গায় ছিল গত তিনদিন ধরে সেখানেই আছে। আমরা আশা করছি এখানে থেকেই তারা মালিকপক্ষের সঙ্গে দেনদরবার শুরু করবে।’
ফুরিয়ে আসছে খাবার, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন পরিবার
আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে আরব আমিরাত যাওয়ার পথে ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরের সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ।
জিম্মি হওয়ার দু’দিন পর্যন্ত জাহাজটির অবস্থানসহ বিভিন্ন তথ্য পরিবারের কাছে জানানোর সুযোগ পেয়েছিলেন জিম্মি নাবিকরা। কিন্তু গত দু’দিন ধরে সে যোগাযোগও বন্ধ রয়েছে।
এই জাহাজে থাকা তিনজন জিম্মি নাবিকের পরিবারের সঙ্গে মঙ্গলবার কথা বলেছে বিবিসি বাংলা। তারা জানিয়েেছন, গত দু’দিনে জাহাজ থেকে তাদের সঙ্গে স্বজনরা যোগাযোগ করেননি।
সবশেষ শনিবার চিফ অফিসার ক্যাপ্টেন আতিকুল্লাহ খানের সঙ্গে তার পরিবারের লোকজনের কথা হয়।
আতিকুল্লাহ খানের মা শাহানুর বেগম বলেন, ‘শেষ যখন কথা হয়েছে তখন ছেলে আমাকে বলেছে যে ওরা গায়ে হাত না দিলেও অনেক দুর্ব্যবহার করা শুরু করেছে।
‘বিশেষ করে ভারতীয় নৌবাহিনীর হেলিকপ্টার টহল দেখার পর থেকে জলদস্যুদের আচরণে পরির্বতন হয়েছে।’
ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি মালিকানাধীন জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর খাবার ও পানি দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। এর মধ্যে জিম্মি নাবিকদের খাবারে ভাগ বসাচ্ছে সশস্ত্র জলদস্যুরা।
সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার তৌফিকুল ইসলামের শ্যালক সিব্বির মাহমুদ বলেন, ‘শনিবারের পর থেকে আমাদের সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ হয়নি। এ নিয়ে পুরো পরিবার দুশ্চিন্তায় আছি।’
এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ। কয়েক দফায় দস্যুরা জাহাজে আসা-যাওয়া করছে। প্রায় সব সময় জাহাজে থাকছে ৩০-৪০ জন জলদস্যু। তারা নিয়মিত জাহাজের খাবার খাচ্ছে বলেও নাবিকরা তাদের পরিবারকে জানিয়েছেন।
জিম্মি ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খানের বড় ভাই ওমর ফারুক বলেন, ‘আমার ভাই সবশেষ দু’দিন আগে ফোন দিয়েছিলেন। তখন জানিয়েছিলেন যে জিম্মি আব্দুল্লাহর নাবিকদের সবচেয়ে বড় ভয় খাদ্য ও পানি সংকট।
‘কারণ সোমালি জলদস্যুরা খাবার শুধু খাচ্ছে না। তারা প্রতিবেলায় খাবার নিয়ে সেগুলো আবার নষ্ট করছে। প্রতিবেলায় গড়ে একশ’জনের খাবার নষ্ট হচ্ছে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে খুব শিগগির জাহাজে খাদ্য ও পানি সংকট দেখা দেবে।’
উদ্ধারে আন্তর্জাতিক অভিযান?
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, এমভি আব্দুল্লাহ ও জিম্মি নাবিকদের জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত করতে সোমালি পুলিশ ও আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির পান্টল্যান্ড অঞ্চলের পুলিশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় কমান্ডোরা জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে থাকা মাল্টার পতাকাবাহী জাহাজ এমভি রুয়েনে অভিযান চালিয়ে ১৭ ক্রুকে উদ্ধারের পর এমভি আবদুল্লাহতে অভিযানের এই পরিকল্পনা করা হয়েছে।
সোমালিয়ার একটি আধা-স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল পান্টল্যান্ডের পুলিশ গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, এমভি আব্দুল্লাহকে দখল করে থাকা জলদস্যুদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নৌবাহিনীর অভিযানের একটি পরিকল্পনা তারা জানতে পেরেছে। সে কারণে তারা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং অভিযানে অংশ নিতেও প্রস্তুত রয়েছে।
এর আগে রোববার এমভি আব্দুল্লাহ ছিনতাইয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত দুজনকে আটকের কথাও জানায় পাটল্যান্ড পুলিশ।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ভারত মহাসাগরে দস্যুদের কবলে থাকা জাহাজ ও নাবিকদের কোনো ধরনের ক্ষতি ছাড়া অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা যাবে কীনা?
এমন প্রশ্নে বাংলাদেশের স্পষ্ট জবাব- না। কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভাবে উদ্ধার অভিযানে গেলে প্রাণহানির আশঙ্কা বেশি থাকবে।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী বলেন, ‘মাল্টার জাহাজ রুয়েন তিন মাস আগে দস্যুদের কবলে পড়েছিল। সেই জাহাজের প্রেক্ষাপট আর বাংলাদেশের জাহাজের প্রেক্ষাপট এক না।
‘রুয়েনের মতো একই প্রক্রিয়ায় এমভি আব্দুল্লাহ উদ্ধার করা সম্ভব না। কেননা, বাংলাদেশি জাহাজটি কয়লাবাহী। উদ্ধার অভিযানের সময় গোলাগুলি হতে পারে। সেটি যদি হয় তাহলে ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়তে হবে বাংলাদেশকেই। কেননা কয়লাবাহী জাহাজ মেরিটাইম খাতে ঝুঁকিপূর্ণ কার্গো হিসেবে পরিচিত।’
জিম্মি নাবিকদের পরিবারও এই ধরনের অভিযান না চালানোর অনুরোধ জানিয়েছেন।
চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খানের মা বলেন, ‘আমরা কোনো যুদ্ধ করে সন্তান ফেরত চাই না। এমনিতেই টহলের হেলিকপ্টার দেখার পর থেকে দস্যুরা জিম্মিদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছে। আমরা চাই মুক্তিপণের মাধ্যমে ওদের ফেরত আনা হোক।’
বাংলাদেশি জাহাজটির মালিকপক্ষও এমন অভিযানের পক্ষে না। আনুষ্ঠানিকভাবে এ ধরনের অভিযানের প্রস্তাব এলে তা নাকচ করা হবে বলেও জানিয়েছে কেএসআরএম গ্রুপ।
কেএসআরএম-এর মিডিয়া অ্যাডভাইজার মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা জলদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। অভিযান নয়, আমরা শান্তিপূর্ণ যে কোনো উপায়ে অক্ষত অবস্থায় নাগরিকদের ফেরত আনতে চাই।’
আরও পড়ুন:র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) এ কে এম শহিদুর রহমান বলেছেন, র্যাবের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ আছে গুম ও খুনের। নারায়ণগঞ্জের সাত খুনসহ সেসব বিষয়ে সবার কাছে ক্ষমা চাইছি। পাশাপাশি স্বীকার করছি যে র্যাবে আয়নাঘর ছিল, আছে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক এসব কথা বলেন। যদিও ৭ অক্টোবর তিনি দাবি করেছিলেন যে র্যাবে আয়নাঘর বলে কিছু নেই।
র্যাবের গোপন বন্দিশালা বা আয়নাঘরের বিষয়ে মহাপরিচালক বলেন, ‘র্যাবে আয়নাঘর ছিল, আছে। সেটা সেভাবেই রাখা হয়েছে। গুম, খুন কমিশন নির্দেশ দিয়েছে আয়নাঘরসহ যা যে অবস্থায় আছে সেভাবেই রাখার জন্য। আমরা কোনো পরিবর্তন, পরিবর্ধন করিনি।’
তিনি বলেন, ‘র্যাব সৃষ্টির পর থেকে যারা র্যাব সদস্যদের দ্বারা নির্যাতিত, অত্যাচারিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের কাছে এবং নারায়ণগঞ্জের সাত খুনসহ যারা র্যাবের দ্বারা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, তাদের পরিবারের কাছে আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি এবং ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘আপনাদের নিশ্চয়তা দিচ্ছি- আমি যতদিন দায়িত্ব পালন করব এবং আমার এই কর্মকর্তারা যারা দায়িত্বে আছেন, তারা কখনও কারও নির্দেশে গুম-খুনের মতো ফৌজদারি অপরাধে জড়িত হবেন না। র্যাব সদস্যদের দ্বারা নির্যাতন ও অত্যাচারের মতো ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে যেন বিচার হয়, সেটা আমরা প্রত্যাশা করি।’
বিচারের মাধ্যমে দায়মুক্তি চেয়ে র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার গুমের ঘটনা তদন্তে কমিশন করেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ ধরনের অপরাধ আমলে নিয়ে বিচার কাজ পরিচালনা করছে।’
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে র্যাবের বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগগুলোর বিচার হবে বলে জানান তিনি। এভাবেই র্যাবের দায়মুক্তি সম্ভব বলেও উল্লেখ করেন ডিজি শহিদুর রহমান।
সম্প্রতি একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল (বিএনপি) র্যাব বিলুপ্তির দাবি তুলেছে। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে, তা-ই মেনে নেয়া হবে। সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আমরা থাকলাম।’
র্যাব ডিজি বলেন, ‘দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে প্রত্যাশিত জায়গায় এখনও পৌঁছায়নি। আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে র্যাব তার দায়িত্ব আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবে।’
মহাপরিচালক বলেন, ‘৫ আগস্টের পর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। পরে র্যাবের সদস্যরা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে। এ কাজ করতে গিয়ে র্যাবের ১৬ জন সদস্য বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মাদক ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া যায়।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে র্যাবের ৫৮ জন কর্মকর্তা ও চার হাজার ২৪৬ জন সদস্যকে বিভিন্ন অপরাধে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। ৫ আগস্টের পর আমাদের কিছু চ্যালেঞ্জ ছিল। আনসার বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে বিদ্রোহ, গার্মেন্টস সেক্টরে অস্থিতিশীলতা, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে কর্মবিরতিসহ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে র্যাব।’
র্যাবের পোশাক পরিবর্তনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘র্যাবের পোশাক পরিবর্তনের ব্যাপারে দাবি উঠেছে। আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি। আর র্যাবের নিজস্ব কোনো আইন নেই। পুলিশ আইনে র্যাব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। র্যাবের জন্য আমরা আলাদা একটি আইন করার চিন্তা-ভাবনা করছি। এছাড়া আর কোন কোন বিষয় সংস্কার করা যায় সেজন্য গণমাধ্যম ও জনসাধারণের মতামতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে র্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘মামলাটি হাইকোর্টের আদেশে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই কমিটিতে র্যাবের প্রতিনিধিও রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে র্যাবের সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’
আরও পড়ুন:রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টিকে (বিডিপি) নিবন্ধন দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা (এব্যাসিলিউট) করে বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই রায় দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) আদালতের এই রায় বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিকী।
এর আগে রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টিকে (বিডিপি) নিবন্ধন দিতে রুল জারি করেছিল হাইকোর্ট। নিবন্ধন চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন দলটির চেয়ারম্যান এ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম।
২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি। দলের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম ইসির কাছে নথিসহ আবেদনপত্র জমা দেন।
স্ত্রী-সন্তানসহ সাবেক পাঁচ সংসদ সদস্যের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের নতুন কমিশনের প্রথম কার্যদিবসেই সাবেক পাঁচ সংসদ সদস্য এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের বিদেশযাত্রার এই নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত হয়।
বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়া এসব সাবেক সংসদ সদস্য হলেন- ফেনী-১ আসনের আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম, ভোলা-৩ আসনের নূর নবী চৌধুরী শাওন, হবিগঞ্জ-৩ আসনের আবু জাহির, নোয়াখালী-১ আসনের এইচ এম ইব্রাহিম এবং লক্ষ্মীপুর-২ আসনের নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন।
কক্সবাজারের টেকনাফে জামায়াত নেতা মো. ইসমাইলকে প্রধান আসামি করে মামলা করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
মামলায় সরকারি কাজে বাধা, কর্মকর্তাদের মারধর ও অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
টেকনাফ মডেল থানায় মঙ্গলবার মামলাটি করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের টেকনাফ বিশেষ জোন।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, গত ৯ ডিসেম্বর দুপুরে পৌরসভার কুলালপাড়া এলাকায় চিহ্নিত মাদক কারবারি আলমগীরের বসতঘরে অভিযান চালিয়ে ১ লাখ ১০ হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করে ডিএনসি। এ ঘটনায় আলমগীরকে আসামি করে মামলা করা হয়।
এ অভিযানের কিছুক্ষণ পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী টেকনাফ পৌরসভার সহসভাপতি ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইসমাইলের বাড়িতে আরও কিছু ইয়াবা মজুত আছে–এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই দিন সন্ধ্যায় অভিযানে যায় ডিএনসি কর্মকর্তারা।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ওই সময় ইসমাইল অভিযানে বাধা প্রদান করেন এবং লোকজন জড়ো করে অভিযানিক টিমের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ডিএনসির তিন সদস্য আহত হন। পরে তার অনুসারীরা সংঘবদ্ধ হয়ে ডিএনসি অফিসে ভাঙচুর চালায়।
এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন উল্লেখ করে অভিযুক্ত জামায়াত নেতা মোহাম্মদ ইসমাইল অভিযোগ করেন, ‘সন্ধ্যা ছয়টার দিকে চারজন ব্যক্তি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা পরিচয়ে আমাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন। তখন স্থানীয় কিছু লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে।
‘ওই কর্মকর্তারা সাদা পোশাকে এসেছিলেন। স্থানীয় লোকজনের বাধার মুখে তারা দ্রুত চলে যান। কারা অফিস ভাঙচুর করছে, আমার জানা নেই।’
মামলার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বিষয়টি তিনি আইনিভাবে মোকাবিলা করবেন বলেও জানান।
জানতে চাইলে ডিএনসি টেকনাফ বিশেষ জোনের সহকারী পরিচালক সিফাত তাসনিম বলেন, ‘ইসমাইলকে প্রধান আসামি করে ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভিডিও ও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বাকিদের শনাক্ত করা হবে।
‘এ ঘটনা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে জানানো হয়েছে। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।’
আরও পড়ুন:প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বুধবার বলেছে, মঙ্গলবার ঢাকার উত্তরা এলাকায় একজন ইসকন সদস্যের ওপর হামলা হয়েছে বলে দাবি করে বেশ কয়েকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদটি ভুয়া।
১০ ডিসেম্বর এবিপি আনন্দ এবং সংবাদ প্রতিদিনসহ বেশ কয়েকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, ঢাকার উত্তরায় একজন ইসকন সদস্যের ওপর হামলা হয়েছে।
সিএর প্রেস উইংয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টসে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকার উত্তরা এলাকার রাধারমণ মন্দিরের (ইসকন উত্তরা) পুরোহিত কৃষ্ণ প্রিয়া নিতাই দাস বলেছেন, তিনি উত্তরা এলাকায় কোনো ইসকন ভক্ত বা সদস্যের ওপর হামলার ঘটনা সম্পর্কে অবগত নন।’
ঢাকার পুলিশও জানিয়েছে, তারা এ ধরনের কোনো অভিযোগ পায়নি।
প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ভারতীয় মিডিয়া ‘ভুক্তভোগীর’ কোনো বক্তব্য বা পরিচয় প্রকাশ করেনি। বাংলাদেশ পুলিশ অথবা কোনো ইসকন নেতারও বক্তব্য নেই এসব প্রতিবেদনে, যা সার্বিক বিবেচনায় খবরগুলোকে অসত্য, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং সাংবাদিকতার নীতি বহির্ভূত হিসেবে চিহ্নিত করে।
প্রেস উইং জানায়, বাংলাদেশ ইসকনের কেন্দ্রীয় নেতা হৃষিকেশ গৌরাঙ্গ দাস বলেছেন, উত্তরায় সাম্প্রতিক একটি পারিবারিক ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক রূপ দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, পারিবারিক বিষয়ে জড়িত যুবকরা ইসকনের সদস্য নন।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে বদলি ও রদবদলের ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন জেলার ১২ পুলিশ সুপারকে (এসপি) একযোগে বদলি করা হয়েছে।
বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ-১ শাখার উপসচিব আবু সাঈদের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এই বদলির আদেশ দেয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পুলিশ অধিদপ্তরের (টিআর) পুলিশ সুপার আবু সাইমকে রংপুরের পুলিশ সুপার, গাইবান্ধার কমান্ড্যান্ট (পুলিশ সুপার) ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার আবু সায়েম প্রধানকে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার, পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলমকে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার, এসবির পুলিশ সুপার জাকির হোসেনকে দিনাজপুরের পুলিশ সুপার, পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার শরিফ উদ্দীনকে বরিশালের পুলিশ সুপার, এসবির পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলামকে রাজশাহীর পুলিশ সুপার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া পুলিশ অধিদপ্তরের পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী মো. যাবের সাদেককে গাজীপুরের পুলিশ সুপার, এন্টি টেররিজম ইউনিটের ঢাকার পুলিশ সুপার ইয়াছমিন খাতুনকে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার, এপিবিএন সদর দপ্তরের পুলিশ সুপার নিশাত অ্যাঞ্জেলাকে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার, ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের পুলিশ সুপার আসলাম শাহাজাদাকে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার, পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এহতেশামুল হককে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার এবং এসবির বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ারকে নওগাঁর পুলিশ সুপার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আইনি সুযোগ না থাকায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় কারান্তরীণ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন শুনানি হয়নি। এ সংক্রান্তে ঢাকা থেকে আসা এক আইনজীবীর তিনটি আবেদনই নাকচ হয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাইফুল ইসলামের আদালতে বুধবার উপস্থিত হয়ে চিন্ময়ের জামিন শুনানি এগিয়ে আনাসহ তিনটি আবেদন করেছিলেন হাইকোর্টের এক আইনজীবী। কিন্তু ওকালতনামা না থাকায় আদালত তার তিনটি আবেদনই নামঞ্জুর করে।
এ সময় ওই আদালতে উপস্থিত চট্টগ্রামের সিনিয়র আইনজীবী ও সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন বার্তা সংস্থা বাসসকে জানান, আসামি পক্ষে ঢাকা থেকে আসা আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ আদালতে তিনটি দরখাস্ত দিয়েছিলেন। এর একটি চিন্ময়ের জামিন শুনানির তারিখ ২ জানুয়ারি থেকে এগিয়ে আনার জন্য, একটি নথি উপস্থাপনের জন্য এবং অপরটি তাকে শুনানি করার অনুমতি দেয়ার বিষয়টি বিবেচনার জন্য।
আদালত অ্যাডভোকেট রবীন্দ্র ঘোষের কাছে জানতে চায়, তার কাছে ওকালতনামা আছে কিনা বা মামলা পরিচালনার জন্য আসামি পক্ষের আইনজীবীর অনুমতি আছে কিনা। এ সময় তিনি নেই বলে জানালে আদালত তাকে আইন মেনে আসতে বলেন।’
অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা আদালতকে বলেছি ওনার এ ধরনের দরখাস্ত দেয়ার আইনি অধিকার নেই। তার কাছে আসামির ওকালতনামা নেই এবং যিনি এই মামলা ফাইল করেছেন তার পক্ষ থেকেও তাকে কোনো পাওয়ার দেয়া হয়নি।
‘শুনানি করা বা নথি উপস্থাপনের জন্য অবশ্যই ওকালতনামা দিতে হবে অথবা ফাইলিং আইনজীবীকে বলতে হবে- ঢাকা থেকে যিনি এসেছেন তিনি তাকে ক্ষমতা দিয়েছেন। কিন্তু ওই আইনজীবীর কাছে এর কোনোটাই ছিল না। তাই আদালত এটা রিজেক্ট করে দিয়েছেন।’
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে গত ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়। এরপর ২৫ নভেম্বর ঢাকায় শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করা হয়। ২৬ নভেম্বর জামিন আবেদন করা হলে তা নামঞ্জুর করে চিন্ময় দাসকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত। ৩ ডিসেম্বর জামিন শুনানির দিন থাকলেও কোনো আইনজীবী না থাকায় শুনানির দিন আগামী ২ জানুয়ারি ধার্য রয়েছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য