× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
3 million rupees embezzled by Ansar members
google_news print-icon
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজারে ঘুষ নিয়ে দায়িত্ব বণ্টন

আনসার সদস্যদের ঠকিয়ে ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ!

আনসার-সদস্যদের-ঠকিয়ে-৩-কোটি-টাকা-আত্মসাৎ
ঘুষ-অনিয়মের হোতা হিসেবে উঠে এসেছে কক্সবাজার জেলা আনসার ও ভিডিপি কমান্ড্যান্ট অম্লান জ্যোতির নাম। ছবি: সংগৃহীত
অভিযোগ ও অনুসন্ধানে জানা গেছে, কক্সবাজারের চারটি সংসদীয় আসনে ৮ উপজেলার মোট ৫৫৬টি ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় যেসব আনসার সদস্য ১২শ’ থেকে ১৫শ’ টাকা ঘুষ দিতে পেরেছেন তারাই নির্বাচনি দায়িত্ব পেয়েছেন। আবার দায়িত্ব পালন শেষে প্রত্যেককে সাড়ে ৭ হাজার টাকা করে দেয়ার কথা বলা হলেও দেয়া হয়েছে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার জেলায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত আনসার সদস্যদের দায়িত্ব দেয়ার ক্ষেত্রে ঘুষ নেয়া হয়েছে। আবার দায়িত্ব শেষে তাদেরকে নির্ধারিত ভাতার চেয়ে অনেক কম টাকা দেয়া হয়েছে। আর বিষয়টি আড়াল করতে ভাতা বিকাশের মাধ্যমে না দিয়ে হাতে হাতে দেয়া হয়েছে। এভাবে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে প্রায় তিন কোটি টাকা।

কক্সবাজার জেলা আনসার ও ভিডিপি কমান্ড্যান্ট অম্লান জ্যোতির নেতৃত্বে এসব দুর্নীতি ও ঘুষ গ্রহণের ঘটনা ঘটেছে বলে ভুক্তভোগী আনসার সদস্যরা অভিযোগ করেন। তবে অভিযোগ করলে ভবিষ্যতে আর কোনো দায়িত্ব দেয়া হবে না- এমন হুমকির কারণে তারা নাম প্রকাশ করে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করতে চাননি।

বিভিন্ন অভিযোগ ও অনুসন্ধানে জানা গেছে, জেলায় যেসব আনসার সদস্য ১২শ’ থেকে ১৫শ’ টাকা পর্যন্ত আগাম ঘুষ দিতে পেরেছেন তারাই নির্বাচনি দায়িত্ব পেয়েছেন। আবার দায়িত্ব পালন শেষে প্রত্যেককে সাড়ে ৭ হাজার টাকা করে দেয়ার কথা বলা হলেও দেয়া হয়েছে আড়াই থেকে তিন হাজার। কাউকে কাউকে চার হাজার টাকা দেয়া হয়েছে।

কক্সবাজার জেলার চারটি সংসদীয় আসনে ৮ উপজেলার মোট ৫৫৬টি ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় আনসার সদস্যদের দায়িত্ব বণ্টনে এসব অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে। ঘুষ না দেয়ায় অনেক দক্ষ আনসার সদস্যকেও রাখা হয়নি ডিউটি তালিকায়।

জেলা আনসার ও ভিডিপি কমান্ড্যান্ট অম্লান জ্যোতির স্বাক্ষরে দেয়া শতাধিক কেন্দ্রের ডিউটির তালিকা ও কমান্ড সার্টিফিকেট (সিসি) এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। প্রতি কেন্দ্রে ১২ জন করে তালিকা তৈরি করে সিসি সম্পন্ন করা হয়। যাচাই করে দেখা যায়, সিসিতে উল্লিখিত প্রায় সব নাম, ঠিকানা ও মোবাইল বিকাশ নম্বর ভুয়া। ব্যক্তির নামের বিপরীতে বিকাশ নম্বর দেয়া হয়েছে অন্যজনের। একই ব্যক্তি বিকাশে টাকা তুলে নিয়েছেন একসঙ্গে ৪-৫ জনের।

অনুসন্ধান ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালনের জন্য সরকার থেকে ভাতা হিসেবে কক্সবাজার জেলা আনসার ভিডিপিকে প্রতি কেন্দ্রের জন্য ৭৮ হাজার ৪৮০ টাকা করে ৫৫৬ কেন্দ্রের জন্য মোট ৪ কোটি ৩৬ লাখ ৩৪ হাজার ৮৮০ টাকা দেয়া হয়। টাকাটা দেয়া হয় জেলা কমান্ড্যান্ট অম্লান জ্যোতি নাগের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে। আর উক্ত টাকা বিতরণে জেলা কমান্ড্যান্ট কোনো ধরনের সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করেননি।

আর এভাবে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে এই অর্থ থেকে প্রায় তিন কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, এবার সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট নির্দেশনা ছিল দায়িত্ব পালনকারী পিসি, এপিসি ও আনসার সদস্য-সদস্যাদের ভাতার টাকা যেন যার যার ব্যক্তিগত বিকাশ, নগদ বা রকেট একাউন্টে পাঠিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু তাদের বেশিরভাগকে টাকা দেয়া হয়েছে হাতে হাতে। দায় এড়ানোর জন্য খুব অল্পসংখ্যক আনসার সদস্যকে মোবাইল সার্ভিসের মাধ্যমে টাকা পাঠানো হয়েছে। বিকাশে টাকা প্রেরণে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিকাশ এজেন্ট ও ৩৯ আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্য খলিলুর রহমান কতজনের কাছে টাকা পাঠিয়েছেন তার সদুত্তর দিতে পারেননি।

এসবের পেছনে সহযোগী ছিলেন প্রতিটি উপজেলার আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা, ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্বে থাকা উপজেলা প্রশিক্ষক ও ইউনিয়ন দলনেতা-নেত্রীরা। তাদের মাধ্যমে দায়িত্ব পালনে ইচ্ছুক সদস্যদের প্রতিজনের কাছ থেকে ১২শ’ থেকে ১৫শ’ টাকা করে ঘুষ আদায় করা হয়। কোথাও কোথাও পিসি এবং এপিসিরাও এই অনিয়মে অংশীদার হয়েছেন।

অভিযোগ উঠেছে, উত্তোলিত ঘুষের টাকা থেকে কেন্দ্রপ্রতি ছয় হাজার টাকা করে নির্বাচনের আগেই জেলা কমান্ড্যান্ট বরাবর পৌঁছে দেন উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা ও দলনেতা-নেত্রীরা। নির্বাচনের পর পৌঁছে দেন কেন্দ্রপ্রতি আরও ছয় হাজার টাকা। দলনেতা-নেত্রীরা ঠিকাদারদের মতো কেন্দ্রগুলো ভাগবাটোয়ারা করে কিনে নেন। ফলে তাদের মর্জিমতো তৈরি করা হয় কমান্ড সার্টিফিকেট (সিসি)। যার কাছ থেকে ঘুষের টাকা পেয়েছেন তাকে রাখা হয়েছে তালিকায়।

ক্ষুব্ধ আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা বলেন, ছয় থেকে সাত হাজার টাকা করে ভাতার প্রলোভন দেখিয়ে নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য তাদের কাছ থেকে এক থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত অগ্রিম নেয়া হয়েছে।

কক্সবাজার সদর উপজেলার ৮১ নম্বর কেন্দ্র ইসলামপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রের সিসি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, সিসিতে উল্লিখিত ভিডিপি পুরুষ সদস্য আব্দুল আলীমের নামের পাশে উপজেলা কোম্পানি কমান্ডার ইয়াছিন আরাফাতের বিকাশ নম্বর দেয়া আছে।

ইয়াছিন আরাফাতের মা জাহেদা বেগম ওই এলাকার সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য এবং ভিডিপি দলনেত্রী হওয়ায় ব্যাপক অনিয়মের সুযোগ পেয়েছেন। এই সিসিতে উল্লিখিত নারী ভিডিপি সদস্যদের নির্বাচনের দিন দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়নি। অথচ তাদের নামে ভাতা তুলে নেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট উপজেলা আনসার অফিসার মোস্তফা গাজী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বললেও উল্টো ইয়াছিনের পদ রক্ষায় তোড়জোড় শুরু করেন তিনি।

মহেশখালীতে হোয়ানক ইউনিয়নের বড়ছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে (৪১ নম্বর কেন্দ্র) এপিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জালাল আহমেদ। তিনি জানান, সিসিতে উল্লিখিত বিকাশ নম্বরটি তার নয়। ফলে তিনি বিকাশে কোনো টাকা পাননি। দলনেতা আলমগীর তার হাতে চার হাজার টাকা বুঝিয়ে দেন।

তিনি আরও জানান, সিসিতে দলনেতা আলমগীর তার নিজের লোকের বিকাশ নাম্বার বসিয়ে দিয়ে রেখেছেন।

৩০ বছর ধরে আনসার বাহিনীতে চাকরি করা আমিনুল হক দায়িত্ব পালন করেছেন মহেশখালীর হিন্দুপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে। তিনি জানান, ঘুষের টাকা দিতে না পারায় তাকে সিসিতে নাম তালিকাভুক্ত করা হয়নি। আবার এপিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করালেও প্রাপ্য ভাতার পূর্ণাঙ্গ অংশ দেয়া হয়নি।

এছাড়াও বিভিন্ন উপজেলা থেকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরও অনেক সদস্য জানিয়েছেন, তারা কেউ বিকাশে টাকা পাননি। হাতে হাতে টাকা দেয়া হয়েছে। তা-ও ন্যায্য টাকা বুঝে পাননি। তারা আড়াই থেকে তিন হাজার টাকার বেশি পাননি।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা আনসার ও ভিডিপি কমান্ড্যান্ট অম্লান জ্যোতি নাগ সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘সব টাকাই বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট করা হয়েছে। সব তথ্য আমাদের সংগ্রহে রয়েছে। কেউ তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করলে আমরা তা দেখাব।’

তিনি বলেন, ‘কেউ যদি টাকা কম পেয়ে থাকে এবং তা নিয়ে অভিযোগ দেয় তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেব। আমি দুর্নীতি বা ঘুষ গ্রহণ করেছি এমন কোনো প্রমাণ নেই। সব উপজেলায় কমিটি গঠন করে যাচাই করেও কোনো ধরনের অনিয়ম পাওয়া যায়নি।’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Chief Justice of the proposal to establish a separate commercial court

পৃথক বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব প্রধান বিচারপতির

পৃথক বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব প্রধান বিচারপতির

দেশের অর্থনৈতিক বাস্তবতা ও বিচার ব্যবস্থার চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একটি পৃথক বাণিজ্যিক আদালত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

গতকাল রোববার সিলেটের দ্য গ্র্যান্ড সিলেট হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টে বাণিজ্যিক আদালত শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ প্রস্তাব দেন।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও ইউএনডিপির যৌথ উদ্যোগে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

প্রধান বিচারপতি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে বাণিজ্যিক বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য কোনো পৃথক বিচারিক ফোরাম নেই। এখন কোটি কোটি টাকার বাণিজ্যিক বিরোধগুলো ছোটখাটো দেওয়ানি মামলার সঙ্গে একই সারিতে নিষ্পত্তি করতে হওয়ায় দ্রুত, কার্যকর বিচার প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। এটি আমাদের বিচারকদের প্রতি কোনো সমালোচনা নয়। তাদের নিষ্ঠা প্রশ্নাতীত। বরং এটি একটি কাঠামোগত অসংগতি। ফলে মামলার জট যেমন বাড়ছে, তেমনি ব্যবসায়িক সম্পর্ক ও বিনিয়োগ পরিবেশও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, ২০২৫ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত শুধু অর্থঋণ আদালতে প্রায় ২৫ হাজারের বেশি মামলা অমীমাংসিত রয়ে গেছে।

পৃথক বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি কারও একক কোনো দাবি নয় বরং বাণিজ্যিক মামলাগুলো বিশেষায়িত আদালতে নির্দিষ্ট সময়সীমা ও কার্যকর রায়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হওয়ার জন্য বৃহৎ বিনিয়োগকারী থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী সবাই দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন সভা-সেমিনারে এই দাবি জানিয়ে আসছে।

প্রধান বিচারপতি বৈশ্বিক উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, রুয়ান্ডা, ভারত ও পাকিস্তানের মতো দেশগুলো বাণিজ্যিক আদালত গড়ে তুলে একটি দক্ষ, স্বচ্ছ ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি করেছে। তিনি বলেন, এসব দেশের অভিজ্ঞতাগুলো বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা বহন করে।

প্রধান বিচারপতি প্রস্তাবিত বাণিজ্যিক আদালত ব্যবস্থার সাতটি মূল স্তম্ভের কথা উল্লেখ করেন। সেগুলো হলো- স্পষ্ট ও একীভূত এখতিয়ার নির্ধারণ, আর্থিক সীমারেখা ও স্তরভিত্তিক কাঠামো, বাধ্যতামূলক কেস ম্যানেজমেন্ট ও কঠোর সময়সীমা, সমন্বিত মধ্যস্থতা ব্যবস্থা, প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার (যেমন, ই-ফাইলিং, ডিজিটাল ট্র্যাকিং, হাইব্রিড শুনানি), সবার জন্য ন্যায়সংগত প্রবেশাধিকার এবং জবাবদিহি ও কর্মক্ষমতা পর্যবেক্ষণ। তিনি জোর দিয়ে বলেন, বাণিজ্যিক আদালতের কার্যক্রম হবে পূর্ণাঙ্গভাবে কার্যকর, জবাবদিহিমূলক এবং বাণিজ্যের পরিবর্তনশীল চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

সেমিনারে সূচনা বক্তব্য দেন সিলেটের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান। হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি জাফর আহমেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফান লিলার।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Sagar Rooney Murder Report Report is a record of 120 times

সাগর-রুনি হত্যা মামলা তদন্ত প্রতিবেদন ১২০ বার পেছানোর রেকর্ড

সাগর-রুনি হত্যা মামলা তদন্ত প্রতিবেদন ১২০ বার পেছানোর রেকর্ড

বহুল আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল আবার পেছানো হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমানের আদালত গতকাল সোমবার আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর নতুন দিন ধার্য করেন।

এ পর্যন্ত এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময়সীমা মোট ১২০ বার পিছিয়ে এসেছে।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি নির্মমভাবে খুন হন। ঘটনার সময় বাসায় তাদের সাড়ে চার বছরের ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ উপস্থিত ছিলেন। সাগর বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙা এবং রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন।

এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। মামলার প্রধান আসামিরা হলেন — রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মাসুম মিন্টু, কামরুল ইসলাম ওরফে অরুন, আবু সাঈদ, সাগর-রুনির বাড়ির দুই নিরাপত্তা রক্ষী পলাশ রুদ্র পাল ও এনায়েত আহমেদ এবং তাদের ‘বন্ধু’ তানভীর রহমান খান।

এদের মধ্যে তানভীর ও পলাশ জামিনে রয়েছেন, বাকিরা বর্তমানে কারাগারে আটক রয়েছেন।

তদন্ত প্রতিবেদন বারবার পিছিয়ে আসায় এ মামলার দ্রুত বিচার ও ন্যায়বিচার প্রত্যাশায় সংশ্লিষ্ট পক্ষের মাঝে উদ্বেগ বিরাজ করছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Abu Saeed Murder Hearing the charges against the accused today

আবু সাঈদ হত্যা: ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ

আবু সাঈদ হত্যা: ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় পুলিশের সদস্যসহ ৩০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের শুনানি আজ।

সোমবার (২৮ জুলাই) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ এই শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ আজ এই মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি করবেন বলে জানানো হয়েছে।

এর আগে, শুক্রবার (২৫ জুলাই) কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ছয় আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

এই ছয় আসামি হলেন— সাবেক সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন, সাবেক কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরীফুল ইসলাম, রাফিউল, আনোয়ার পারভেজ এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা ইমরান চৌধুরী আশেক।

গত ১০ জুলাই পলাতক ২৬ আসামিকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন আদালত।

এর আগে, ৩০ জুন আবু সাঈদ হত্যায় পুলিশের সদস্যসহ মোট ৩০ জনের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলনের সময় ১৬ জুলাই বিকালে পুলিশের গুলিতে তিনি নিহত হন। আবু সাঈদ ছিলেন জুলাই আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত প্রথম শিক্ষার্থী।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Former Chief Justice ABM Khairul Haque arrested

সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক গ্রেপ্তার

সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক গ্রেপ্তার

সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ধানমণ্ডির বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

ডিবির যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ রবিউল হোসেন ভূঁইয়া তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে কোন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে পারেননি এই পুলিশ কর্মকর্তা।

তিনি জানান, তথ্য এলে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

দেশের ১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে ২০১০ সালে খায়রুল হক শপথ নেন। পরের বছর ৬৭ বছর পূর্ণ হওয়ায় তিনি অবসর গ্রহণ করেন।

২০১৩ সালে তাকে তিন বছরের জন্য আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এই মেয়াদ শেষে কয়েক দফা একই পদে পুনর্নিয়োগ দেওয়া হয় সাবেক এই বিচারপতিকে।

গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটলে ১৩ আগস্ট তিনি আইন কমিশন থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর তাকে আর প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছিল না।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
All courts have observed a minute of silence before the trial begins

বিচার শুরুর আগে এক মিনিট নীরবতা পালন করেছে সকল আদালত

বিচার শুরুর আগে এক মিনিট নীরবতা পালন করেছে সকল আদালত

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে কোমলমতি ছাত্রছাত্রীসহ বহু হতাহতের ঘটনায় আজ বিচারিক কার্যক্রম শুরুর আগে এক মিনিট নীরবতা পালন করেছে দেশের সকল আদালত।

আজ সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৭ বিচারপতি আপিল বিভাগ তাদের বিচারিক কার্যক্রম শুরুর আগে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করেন। এদিকে আজ হাইকোর্ট বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম শুরুর আগেও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

অন্যদিকে, প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমদ ভূঞা স্বাক্ষরিত অধস্তন আদালতে নীরবতা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে হৃদয়বিদারক এই দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে সরকার ২২ জুলাই সারা দেশে শোক দিবস ঘোষণা করেছে। দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দেশের সর্বস্তরের মানুষ শোক প্রকাশ করছেন। বিচার বিভাগীয় পর্যায়েও বিষয়টি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা আবশ্যক। এমতাবস্থায়, এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে ও তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ২২ জুলাই দেশের সকল অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। সেই সাথে দেশের সকল অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হবে। এছাড়া ২২ জুলাই হতে ২৪ জুলাই পর্যন্ত সকল জেলা জজশীপ ও ম্যাজিস্ট্রেসিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান স্থগিত রাখার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Corruption in the mural project in the Mujib year

মুজিববর্ষে ম্যুরাল প্রকল্পে দুর্নীতি, ৬৪ জেলায় দুদকের চিঠি

মুজিববর্ষে ম্যুরাল প্রকল্পে দুর্নীতি, ৬৪ জেলায় দুদকের চিঠি

সারাদেশে মুজিব শতবর্ষ পালন ও শেখ মুজিবুর রহমানের ১০ হাজারের বেশি ম্যুরাল নির্মাণের আর্থিক হিসাব চেয়ে ৬৪ জেলায় চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগ অনুসন্ধানে উপপরিচালকের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি টিম অনুসন্ধানের দায়িত্ব পালন করছে।

গতকাল সোমবার রাজধানীর সেগুন বাগিচায় দুদকের উপপরিজালক আকতারুল ইসলাম ব্রিফিংয়ে চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

দুদক জানায়, ৬৪ জেলা পরিষদ বরাবর পাঠানো চিঠিতে মুজিবর্ষ পালনে কত টাকা ব্যয় হয়েছে, ব্যয় করা মন্ত্রণালয়ের নাম, ব্যয়িত অর্থের পরিমাণ, ব্যয়ের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তার নাম পরিচয় জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়া, জেলায় কতগুলো এবং কোথায় ম্যুরাল তৈরি হয়েছে, ম্যুরাল নির্মাণে কত টাকা খরচ হয়েছে, ব্যয়ের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তার পরিচয় জানতে চাওয়া হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে শেখ মুজিবের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ পালন ও শেখ মুজিবের ১০ হাজারেরও বেশি ম্যুরাল ও ভাস্কর্য নির্মাণ করে ওই অর্থ অপচয় ও ক্ষতিসাধন করার অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করা একান্ত প্রয়োজন। তাই রেকর্ডপত্র দ্রুত দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।

বিভিন্ন দপ্তর থেকে পাওয়া তথ্যনুযায়ী, জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানোর আগে দেশে শেখ মুজিবুর রহমানের ১০ হাজারের বেশি ম্যুরাল, ভাস্কর্য ও প্রতিকৃতি স্থাপন করে আওয়ামী লীগ সরকার। টানা ১৫ বছর ধরেই ভাস্কর্য, ম্যুরাল ও প্রতিকৃতি তৈরির মহোৎসবে মেতে উঠেছিল দলটি। অভিযোগ রয়েছে, অপ্রয়োজনীয় ম্যুরাল ও ভাস্কর্য তৈরিতে ৪ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ব্যয় হয়ে থাকতে পারে। শুধু তাই নয়, পুরো প্রকল্পই ছিল প্রশ্নবিদ্ধ।

সূত্র জানায়, জেলা পরিষদে পাঠানোর আগে একই চিঠি বাংলাদেশ বেতার, কৃষি গবেষণা কাউন্সিলেও পাঠানো হয়েছে।

গত বছরের আগস্টে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর মুজিববর্ষ পালনে অর্থ অপচয় ও এ বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করা হবে বলে জানিয়েছিল দুদক।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Mob Violence cannot disrupt the normal activities of the country RAB Director General

মব ভায়োলেন্স করে দেশের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করা যাবে না: র‌্যাব মহাপরিচালক

মব ভায়োলেন্স করে দেশের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করা যাবে না: র‌্যাব মহাপরিচালক

র‍্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি), অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমান বলেছেন, মব ভায়োলেন্স বা মব সন্ত্রাস করে এ দেশের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করা যাবে না। অপরাধী যেই হোক বা যে দলেরই হোক, আমরা তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করব।

শনিবার (১২ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে ঘটে যাওয়া ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবস্থা গ্রহণের অগ্রগতিসহ আরও কয়েকটি ঘটনায় অপরাধীদের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে প্রেস ব্রিফিং করেন র‌্যাবের ডিজি। ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এ কে এম শহিদুর রহমান বলেন, ‘র‍্যাব এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেকোনো ধরনের অপরাধ সংঘটনের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের বিষয়ে তৎপর রয়েছে। দেশে বিগত কয়েক মাসে ঘটে যাওয়া অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের র‍্যাব গ্রেপ্তার করেছে। তাদের যেন শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়, সে ব্যাপারে আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছি। মব ভায়োলেন্স সৃষ্টির অপরাধে এ পর্যন্ত প্রায় ২০ জন অপরাধীকে র‍্যাব আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে।’

‘গত ২ জুলাই লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম থানায় সন্ত্রাসী কর্তৃক মব সৃষ্টির মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের আহত করে আসামিদের ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আমরা ৩ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। এ ছাড়াও গত ৩ জুলাই কুমিল্লার মুরাদনগরে ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় একই পরিবারের মা ও দুই সন্তানের ওপর মব ভায়োলেন্সের অযাচিত ঘটনায় ৬ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

সলিমুল্লাহ মেডিকেলের সামনে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটন ও জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র‍্যাব কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত এজাহারনামীয় ৪ নম্বর আসামি আলমগীর (২৮) এবং ৫ নম্বর আসামি মনির ওরফে লম্বা মনিরকে (৩২) আমরা গতকাল (শুক্রবার) রাজধানীর কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।’

‘এ ঘটনায় আমরা ছায়া তদন্ত করছি, আর পুরো বিষয়টি দেখছে ডিএমপির তদন্ত বিভাগ।’

র‍্যাবের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।

মন্তব্য

p
উপরে