× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Awaiting pirate communication
google_news print-icon

জলদস্যুদের যোগাযোগের অপেক্ষা

জলদস্যুদের-যোগাযোগের-অপেক্ষা
জলদস্যুদের হাতে এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজের ২৩ নাবিক-ক্রু। ছবি কোলাজ: নিউজবাংল
কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘কর্মকর্তারা বুধবার সকালে কয়েকজন ক্রুর সঙ্গে শেষবারের মতো যোগাযোগ করতে পেরেছিলেন। নাবিক-ক্রুরা নিরাপদ ও সুস্থ আছেন। আর জলদস্যুরা যোগাযোগ না করা পর্যন্ত নাবিক বা জাহাজ উদ্ধারে আলোচনা শুরুর সুযোগ নেই।’

ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এম ভি আব্দুল্লাহ সোমালিয়া উপকূলের দিকে নিয়ে যাচ্ছে জলদস্যুরা। এটি খুবই ধীরগতিতে এগুচ্ছে। জাহাজটি সোমালিয়া উপকূলে পৌঁছতে দুই থেকে তিনদিন সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জাহাজে থাকা এক নাবিকের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য নিশ্চিত হয়েছে জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম। তবে জিম্মি করে রাখা নাবিকদের সঙ্গে বুধবার দুপুরের পর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। কোনোভাবেই যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে মালিক পক্ষ।

কেএসআরএম-এর মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, জাহাজটি পুরোপুরি জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখন জাহাজটি সোমালিয়ার দিকে নিয়ে যাচ্ছে জলদস্যুরা। সেখানে তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় নিয়ে যাচ্ছে জাহাজটি। জলদস্যুরা জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি ফিশিং ট্রলারে জ্বালানি তেল সরবরাহ করেছে এমভি আব্দুল্লাহ থেকে।

জাহাজটি বুধবার সকালে সোমালিয়া উপকূল থেকে প্রায় ২৭৫ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছিল। ধীরে ধীরে সোমালিয়ার দিকে নিয়ে যাচ্ছে তারা।

এদিকে বুধবার বেলা ১১টার দিকে নাবিকদের একজন ইব্রাহীম খলিল উল্লাহ তাদের অবস্থা জানিয়ে তার ভাতিজাকে ভয়েস মেসেজ পাঠিয়েছেন।

মেসেজে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের সোমালিয়ায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমরা আগামীকাল সেখানে পৌঁছাবো। যতটুক কথা হয়েছে, সেখানে আমাদের অপর একটি পার্টির কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

মঙ্গলবার দুপুরে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি। এরপর বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জাহাজটি ভারত মহাসাগর থেকে সোমালিয়ায় নিয়ে যাওয়ার তৎপরতা শুরু করে দস্যুরা।

দস্যুদের কবলে পড়া জাহাজটি দেশের শীর্ষ শিল্প গ্রুপ কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের। এটি একটি বাল্ক ক্যারিয়ার। এর দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। প্রথমে জাহাজটির নাম ছিল ‘গোল্ডেন হক’। কেএসআরএম গ্রুপের বহরে যুক্ত হওয়ার পর এর নাম হয় ‘এমভি আবদুল্লাহ’।

কেএসআরএম জানিয়েছে, জাহাজটি ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর ছেড়ে আসে। ১৯ মার্চ সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে এটি পৌঁছানোর কথা ছিল। তার আগেই এর দখল নেয় জলদস্যুরা।

বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে জাহাজের নাবিক আসিফুর রহমান ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। এতে তিনি লেখেন, ‘সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে আমরা আক্রমণের শিকার। আমরা সবাই সুস্থ ও নিরাপদে আছি। আমাদের প্রার্থনায় রাখুন।’

কেএসআরএম এবং এর সহযোগী সংস্থা এসআর শিপিংয়ের কর্মকর্তারা এখনও জলদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি।

গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘কর্মকর্তারা বুধবার সকালে কয়েকজন ক্রুর সঙ্গে শেষবারের মতো যোগাযোগ করতে পেরেছিলেন এবং ক্রুরা নিরাপদ ও শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন।’

তিনি বলেন, ‘জলদস্যুরা যোগাযোগ না করা পর্যন্ত নাবিক বা জাহাজ উদ্ধারের জন্য আলোচনা শুরুর সুযোগ নেই। জাহাজ ছিনতাই করার পর জলদস্যুরা সাধারণত কোনো যোগাযোগ করার আগে বা মুক্তিপণ দাবি করার আগে নিরাপদ এলাকায় পৌঁছানোর চেষ্টা করে।’

জিম্মি নাবিকদের মধ্যে রয়েছেন- জাহাজের মাস্টার মোহাম্মদ আবদুর রশিদ। তিনি চট্টগ্রাম নগরীর গোসাইলডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা। চিফ অফিসার আতিক উল্লাহ খানের বাড়ি চন্দনাইশ উপজেলার বরকলে, সেকেন্ড অফিসার মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী সাতকানিয়া উপজেলার বাসিন্দা, থার্ড অফিসার এন মোহাম্মদ তারেকুল ইসলাম ফরিদপুরের মধুখালী থানার বাসিন্দা, ডেক ক্যাডেট সাব্বির হোসাইন টাঙ্গাইলের নাগপুর উপজেলার বাসিন্দা।

এছাড়া চিফ ইঞ্জিনিয়ার এ এস এম সাইদুজ্জামানের বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলায়, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. তৌফিকুল ইসলাম ও থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. রোকন উদ্দিন খুলনার সোনাডাঙ্গা উপজেলার বাসিন্দা। ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার তানভীর আহমেদ ও ইলেক্ট্রিশিয়ান ইব্রাহীম খলিল উল্লাহর বাড়ি ফেনীতে। ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খানের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রায়পুর থানায়।

ক্রুদের মধ্যে মো. শরিফুল ইসলামের বাড়ি চট্টগ্রাম নগরের বন্দর থানা এলাকায়, মো. আসিফুর রহমানের বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায়, মোশাররফ হোসেন শাকিল ও আইনুল হকের বাড়ি মিরসরাই উপজেলায়। সাজ্জাদ হোসেন, নুর উদ্দিন ও মোহাম্মদ সামসুদ্দিনের বাড়ি চট্টগ্রামের কর্ণফুলি উপজেলায়। আনোয়ারুল হকের বাড়ি নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ, জয় মাহমুদের বাড়ি নাটোরের বাগাতিপাড়া, নাজমুল হকের বাড়ি সিরাজগঞ্জের কামারাখন্দ ও আলী হোসেনের বাড়ি বরিশালের বানারীপাড়ায়।

আরও পড়ুন:
জলদস্যুর কবলে জাহাজ: টাঙ্গাইলে সাব্বিরের বাড়িতে কান্না
‘মা বলে ডাক দিলে ফোনটি কেড়ে নেয় জলদস্যুরা’
জাহাজ মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি সোমালি জলদস্যুরা: কবির গ্রুপ
জলদস্যুর কবলে পড়া জাহাজের ২৩ ক্রুর ১১ জনই চট্টগ্রামের
ভারত মহাসাগরে জলদস্যুর কবলে বাংলাদেশি জাহাজ, ২৩ নাবিক জিম্মি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Crores of taka and 11 iPhones were seized from the house of the former additional secretary

সাবেক অতিরিক্ত সচিবের বাসা থেকে কোটি টাকা ও ১১ আইফোন জব্দ, গ্রেপ্তার

সাবেক অতিরিক্ত সচিবের বাসা থেকে কোটি টাকা ও ১১ আইফোন জব্দ, গ্রেপ্তার সাবেক অতিরিক্ত সচিব আমজাদ হোসেন খান ও তার ছেলেকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পশ্চিম থানায় নিয়ে আসা হয়। ছবি: সংগৃহীত
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রোববার রাতে উত্তরা-১১ নম্বর সেক্টরের ৩৩ নম্বর বাড়িতে যৌথবাহিনী ওই অভিযান চালায়। এ সময় বাসাটি থেকে নগদ এক কোটি সাড়ে ৯ লাখ টাকা, বেশকিছু বিদেশি মুদ্রা, ১১টি আইফোন এবং বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মূল্যবান ঘড়ি জব্দ করা হয়। পরে সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন ও তার ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রাজধানীর উত্তরায় পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন খানের বাসায় অভিযান চালিয়ে নগদ এক কোটি টাকা ও ১১টি আইফোন জব্দ করে যৌথ বাহিনী। গ্রেপ্তার করা হয়েছে আমজাদ হোসেন ও তার ছেলেকে।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রোববার রাতে উত্তরা-১১ নম্বর সেক্টরের ৩৩ নম্বর বাড়িতে যৌথবাহিনী ওই অভিযান চালায়।

সোমবার সকালে উত্তরা পশ্চিম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

অভিযান সূত্রে জানা যায়, রোববার রাত ১০টায় যৌথবাহিনী পরিচালিত অভিযানে বাসাটি থেকে নগদ এক কোটি সাড়ে ৯ লাখ টাকা, বেশকিছু বিদেশি মুদ্রা, ১১টি আইফোন এবং বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মূল্যবান ঘড়ি জব্দ করা হয়। পরে সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন ও তার ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে কর্মরত অবস্থায় অবসরে যান আমজাদ হোসেন খান। তার গ্রামের বাড়ি গাজীপুর সদরে।

আরও পড়ুন:
পোশাক শ্রমিকদের ১৮ দফা দাবি মেনে নেয়ার সিদ্ধান্ত
সাবেক এমপির ছেলের শ্বশুরালয় থেকে কোটি টাকা ও বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার
চার দিনে ৫৩ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২৫
অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর অপারেশন শুরু হচ্ছে বুধবার রাতে
শিল্পাঞ্চলে অস্থিরতার চেষ্টা রোধে রাত থেকে যৌথ অভিযান

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Investigation proceedings against Shahidul Alam suspended
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের মামলা

শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত

শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের মামলায় এফআইআর ও তদন্ত কার্যক্রম বাতিল চেয়ে শহিদুল আলমের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও মো. রিয়াজ উদ্দিন খান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দিয়েছে।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন চলাকালে ২০১৮ সালে আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় করা মামলার তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত করেছে হাইকোর্ট।

এফআইআর ও তদন্ত কার্যক্রম বাতিল চেয়ে শহিদুল আলমের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও মো. রিয়াজ উদ্দিন খান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দিয়েছে।

আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন ও আইনজীবী আবদুল্লাহ আল নোমান।

আইনজীবী সারা হোসেন বলেন, ‘শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের আগস্টে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা হয়। একই বছরের অক্টোবর মাসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হয়। নতুন আইনে বলা হয়েছে, আগের আইনের ৫৭ ধারার যে মামলাগুলোর তদন্ত শেষ হয়নি, বিচারের জন্য যায়নি বা বিচারাধীন না, সে মামলাগুলো আর চলবে না।

‘যেহেতু শহিদুলের বিরুদ্ধে মামলাটি তখন পর্যন্ত তদন্তনাধীন ছিল তাই এ মামলা আর চলতে পারে না। আদালত শুনানি শেষে রুল ও স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।’

নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের সময় ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট শহিদুল আলমকে ধানমন্ডির বাসা থেকে তুলে নেয় পুলিশ। এরপর ‘উস্কানিমূলক মিথ্যা’ প্রচারের অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় করা মামলায় ৬ আগস্ট তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়। একই দিন সিএমএম আদালতে তার জামিন আবেদন না-মঞ্জুর হয়। মামলায় ১০৭ দিন কারাভোগের পর শহিদুল আলম একই বছরের ২০ নভেম্বর জামিনে মুক্তি পান।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
9 abducted farmers returned to Teknaf with ransom

টেকনাফে মুক্তিপণ দিয়ে ফিরলেন অপহৃত ৯ কৃষক

টেকনাফে মুক্তিপণ দিয়ে ফিরলেন অপহৃত ৯ কৃষক টেকনাফে মুক্তিপণ দিয়ে অপহরণকারীদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া নয় কৃষক। ছবি: নিউজবাংলা
টেকনাফের হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মোজাহার হোসেন বলেন, ‘অপহৃত কৃষকদের উদ্ধারে আমরা বিভিন্ন জায়গায় জোরদার অভিযান পরিচালনা করেছি। ভিকটিমের পরিবারের মাধ্যমে জানতে পারলাম অপহৃতরা বাড়ি ফিরে এসেছেন। তবে মুক্তিপণের বিষয়টি আমার জানা নেই।’

কক্সবাজারের টেকনাফে অপহরণের শিকার নয় কৃষক মুক্তিপণের বিনিময়ে ঘরে ফিরেছেন। অপহরণকারী ডাকাতদের আড়াই লাখ টাকা দিয়ে সোমবার সকালে তারা মুক্তি পেয়েছেন।

ডাকাতের হাত থেকে ফিরে আসা ভিকটিম আনোয়ার ইসলামের ভাই ছৈয়দ কামাল বলেন, ‘গত শনিবার (২ নভেম্বর) সকালে করাচি পাড়ার পাহাড়ি এলাকায় আমার ভাইসহ ১০ কৃষক জমিতে কৃষি কাজ ও পাহাড়ে লাকড়ি সংগ্রহ করছিলেন। এ সময় ওঁৎপেতে থাকা একদল ডাকাত অস্ত্রের মুখে তাদেরকে ধরে নিয়ে যায়।

‘অপহৃতদের মধ্যে একজন পরে কৌশলে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন। এরপর থেকে অপহরণকারীরা পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপন দাবি করে। আজ সোমবার সকালে ২ লাখ ৭৪ হাজার টাকা মুক্তিপণ দেয়ার পর আমার ভাইসহ নয় কৃষক ডাকাতের হাত থেকে বাড়িতে ফিরে আসেন।’

টেকনাফের হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মোজাহার হোসেন এ বিষয়ে বলেন, ‘অপহৃত কৃষকদের উদ্ধারে আমরা প্রথম থেকে পাহাড়ি এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করেছি। ভিকটিমের পরিবারের মাধ্যমে জানতে পারলাম অপহৃত কৃষকরা বাড়ি ফিরে এসেছেন। তবে মুক্তিপণের বিষয়টি আমার জানা নেই।’

আরও পড়ুন:
ট্রলারে মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে এক জেলে নিহত, দুজন আহত
২১ কোটি টাকার তিমির বমিসহ পাচারকারী আটক
টেকনাফে শিশুর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে স্বজনদের হামলা, ভাঙচুর
কানের দুলের জন্য শিশু তাহমিনাকে হত্যা, অভিযোগ পরিবারের
মিয়ানমার থেকে গুলি এসে পড়ছে টেকনাফে, স্থলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Former minister Shajahan Khan from DB to CCU of DMK

সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান ডিবি থেকে ঢামেকের সিসিইউতে

সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান ডিবি থেকে ঢামেকের সিসিইউতে শাজাহান খানকে সোমবার ডিবি কার্যালয় থেকে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসা হয়। ছবি: নিউজবাংলা
দায়িত্বরত চিকিৎসক তৌকির আহামেদ বলেন, ‘শাজাহান খানের ইসিজি করা হয়েছে। উচ্চ রক্তচাপ পাওয়া গেছে। এমনিতেই তার ডায়াবেটিস ও হার্টের সমস্যা রয়েছে। পরে তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে পাঠানো হয়। সেখানে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ কার্যালয়ে অসুস্থ পড়ার পর সাবেক নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার বিকেলে বুকে ব্যথাজনিত কারণে অসুস্থ বোধ করায় তাকে ঢামেক হাসপাতালে নেয় ডিবি পুলিশ। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে ভর্তি করে নেয়া হয়।

যাত্রাবাড়ী থানার এসআই মো. মোজাহিদ জানান, ডিবি কার্যালয়ে শাজাহান খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হৃদরোগ বিভাগের করোনারি কেয়ার ইউনিটে ভর্তি রাখা হয়েছে।

ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, সোমবার বিকেলে শাজাহান খানকে জরুরি বিভাগের ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সেন্টারে (ওসেক) নেয়া হয়। পরে অবস্থার কিছুটা অবনতি হওয়ায় তাকে ভর্তি করা হয়েছে।

দায়িত্বরত চিকিৎসক তৌকির আহামেদ বলেন, ‘শাজাহান খানের ইসিজি করা হয়েছে। উচ্চ রক্তচাপ পাওয়া গেছে। এমনিতেই তার ডায়াবেটিস ও হার্টের সমস্যা রয়েছে। পরে তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) পাঠানো হয়। সেখানে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’

আরও পড়ুন:
হত্যা মামলায় শাজাহান খান সাত দিনের রিমান্ডে
সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান গ্রেপ্তার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
S Alam Group properties to be auctioned

এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি নিলামে

এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি নিলামে
এস আলম গ্রুপের কাছে পাওনা এক হাজার ৮৫০ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ আদায়ের জন্য জনতা ব্যাংক গ্রুপটির অন্যতম সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশন লিমিটেডের জামানত সম্পত্তি নিলাম করার ঘোষণা দিয়েছে। ২০ নভেম্বর এই নিলাম অনুষ্ঠিত হবে।

বকেয়া ঋণের টাকা আদায়ে এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি নিলামে তুলছে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক। এস আলম গ্রুপের কাছে পাওনা এক হাজার ৮৫০ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ আদায়ের জন্য জনতা ব্যাংক গ্রুপটির অন্যতম সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশন লিমিটেডের জামানত সম্পত্তি নিলাম করার ঘোষণা দিয়েছে।

গত ১ নভেম্বর জনতা ব্যাংক পত্রিকায় নিলাম সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ২০ নভেম্বর নিলামের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।

ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ তথ্য অনুযায়ী, এই ঋণের বিপরীতে বন্ধক রাখা হয়েছে চট্টগ্রাম ও গাজীপুরে এস আলম গ্রুপের ১৮৬০ শতাংশ জমি, যার বাজারমূল্য সর্বোচ্চ ৩৫৮ কোটি টাকা। এই দাম পাওনা টাকার এক পঞ্চমাংশেরও কম। ফলে এই সম্পত্তি নিলামে বিক্রি করেও খেলাপি ঋণ পুরোপুরি আদায় করা সম্ভব নয়।

বকেয়া বাকি টাকা আদায়ে আরও আইনি পদক্ষেপের প্রয়োজন হতে পারে। অর্থঋণ আদালত আইনের ১২(৩) ধারা অনুযায়ী, ব্যাংক মামলা করার আগেই জামানতের সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা আদায় সম্ভব।

দেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের (সিএজি) ২০২১ সালের এক নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশিকা না মেনে ঋণসীমা অতিক্রম করে অতিরিক্ত ঋণ নিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১২ সালে সাধারণ বিমা ভবনে অবস্থিত জনতা ব্যাংকের চট্টগ্রাম করপোরেট শাখা থেকে গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশন প্রাথমিকভাবে ৬৫০ কোটি টাকা ঋণ নেয়। এই ঋণ ২০২১ সাল পর্যন্ত সুদ-আসলে মোট এক হাজার ৭০ কোটি ৬৫ লাখ টাকায় পৌঁছেছে।

এর মধ্যে ৬১৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা পিএডি (পেমেন্ট এগেইনস্ট ডকুমেন্ট), ২২৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা এলটিআর (ট্রাস্ট রিসিপ্ট) ঋণ এবং ২২৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা সিসি হাইপো ঋণ। সুদ-আসল মিলিয়ে ঋণের পরিমাণ ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮৫০ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন:
টাকা না পেয়ে সিলেটে ন্যাশনাল ব্যাংকে গ্রাহকদের তালা
এস আলম পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
1 killed 8 injured in fire at filling station in Mymensingh

ময়মনসিংহে ফিলিং স্টেশনে আগুন, নিহত ১ আহত ৮

ময়মনসিংহে ফিলিং স্টেশনে আগুন, নিহত ১ আহত ৮ আজাহার সিএনজি পাম্পে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে সার্ভিস সার্ভিস। ছবি: নিউজবাংলা
ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আহত আটজনের মধ্যে সাতজন পুরুষ ও একজন নারী রয়েছেন। নারীসহ ছয়জনের অবস্থা গুরুতর। তাদেরকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়েছে।’

ময়মনসিংহে ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে মো. হিমেল নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দগ্ধ হয়েছেন আরও আটজন।

সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে নগরীর রহমতপুর বাইপাস সড়ক এলাকায় আজাহার সিএনজি পাম্পে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

নিহত হিমেল একই এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় প্রাইভেটকারের চালক ছিল।

ময়মনসিংহে ফিলিং স্টেশনে আগুন, নিহত ১ আহত ৮
ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা আহতদের একজন। ছবি: নিউজবাংলা

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দুপুরে ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হিমেল ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় আহত হন আরও আটজন। আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

‘খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। অগ্নিকাণ্ডের মূল কারণসহ বিস্তারিত পরে জানা যাবে।’

ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আহত আটজনের মধ্যে সাতজন পুরুষ ও একজন নারী রয়েছেন। নারীসহ ছয়জনের অবস্থা গুরুতর। তাদেরকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
ডাকাতিয়া নদীতে তেলবাহী জাহাজে আগুন, আহত ৬
চট্টগ্রামে টায়ার কারখানায় আগুন
কুতুবদিয়ায় এলপিজিবাহী জাহাজে আগুন, ৩২ জনকে জীবিত উদ্ধার
জাহাজে আগুন নাশকতা হতে পারে: বিএসসি
শুক্রাবাদে গ্যাসের আগুনে স্বামীর পর প্রাণ গেল স্ত্রীর

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Gun Bangla chairman Tapas arrested

গান বাংলা’র চেয়ারম্যান তাপস গ্রেপ্তার

গান বাংলা’র চেয়ারম্যান তাপস গ্রেপ্তার কৌশিক হোসেন তাপস। ছবি: সংগৃহীত
ডিএমপি উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার রওনক জাহান জানান, রোববার রাত ১২টায় ভাটারার প্রগতি সরণি থেকে তাপসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গুলি করে হত্যার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।

বেসরকারি বিনোদন চ্যানেল গান বাংলার চেয়ারম্যান কৌশিক হোসেন তাপসকে রাজধানীর ভাটারা থেকে গ্রেপ্তার করেছে উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ।

জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গণহত্যার ঘটনায় করা মামলায় রোববার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) রওনক জাহান জানান, রোববার রাত ১২টায় ভাটারার প্রগতি সরণি থেকে তাপসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গুলি করে হত্যার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।

তিনি আরও জানান, ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে রোববার তাপসকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন:
সাবেক মন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির পাঁচদিনের রিমান্ডে
সাবেক মন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির গ্রেপ্তার
সাভারে ছাত্র হত্যার একাধিক মামলার আসামি ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার 
আব্দুস শহীদ গ্রেপ্তারের খবরে শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জে আনন্দ মিছিল
ডিবি হারুনের ‘ক্যাশিয়ার’ মোকাররম ফতুল্লায় গ্রেপ্তার

মন্তব্য

p
উপরে