দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় প্রতীক্ষার পর অবশেষে বুড়িমারী-ঢাকা রুটে যাত্রা শুরু করল আন্তঃনগর ট্রেন ‘বুড়িমারী এক্সপ্রেস’। মঙ্গলবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে লালমনিরহাট স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় ট্রেনটি।
‘বুড়িমারী এক্সপ্রেস’ চালুর মধ্যদিয়ে উত্তরাঞ্চলবাসীকে দেয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন ঘটল। আর ট্রেনটি যাত্রা শুরু করার মুহূর্তটি উচ্ছ্বাসভরে উদযাপন করলো উত্তরাঞ্চলবাসী।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে ফিতা কেটে ট্রেনটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন লালমনিরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন।
এ সময় লালমনিরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান আহমেদ ও লালমনিরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান এবং পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম, রাজশাহী) অসীম কুমার তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ১৯ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লালমনিরহাট জেলার তিনবিঘা করিডোর, দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা পরিদর্শনে এসে বুড়িমারী থেকে ঢাকার সঙ্গে সহজে ও সরাসরি যোগাযোগে একটি আন্তঃনগর ট্রেন চালুর প্রতিশ্রুতি দেন।
২০১৮ সালের ১৬ জুন এই রুটের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে লালমনিরহাট বুড়িমারী রেলপথ পরিদর্শনে আসেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক।
এরপর ২০২১ সালের ১২ নভেম্বর সাবেক রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন লালমনিরহাট স্টেশন পরিদর্শনে এসে ট্রেনটি চালুর আশ্বাস দেন। কিন্তু প্রতিশ্রুতি আর আশ্বাসের মধ্যেই কেটে গেছে এক যুগের বেশি সময়। স্থানীয়রাও এ নিয়ে আশাহত হয়ে পড়েন। সেই হতাশা থেকেই উত্তরাঞ্চলের বিশেষ করে গাইবান্ধা-লালমনিরহাট জেলাবাসী আন্দোলনে নামে।
এছাড়া আগের প্রস্তাবিত এই ট্রেনটি গাইবান্ধার ওপর দিয়ে চলাচলসহ দ্রুততম সময়ে চালু করতে দীর্ঘদিন থেকেই মানববন্ধন, মিছিল-মিটিং এবং নানাভাবে আন্দোলন করে আসছিল গাইবান্ধার সচেতন মহলসহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।
ট্রেনটি চালুর দাবিতে সবশেষ গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর প্রচণ্ড বৃষ্টি উপেক্ষা করে গাইবান্ধা রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্মে ব্যানার নিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে ‘গাইবান্ধা সামাজিক সংগ্রাম পরিষদ’।
২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনটির জন্য ১৪টি কোচ লালমনিরহাট স্টেশনে আসার পর ৬ ডিসেম্বর ওই স্টেশন থেকেই গাইবান্ধা স্টেশন পর্যন্ত পরীক্ষামূলক চলাচল করে ‘বুড়িমারী এক্সপ্রেস’।
এদিকে ‘বুড়িমারী এক্সপ্রেস’ ট্রেন উদ্বোধনের নির্ধারিত তারিখ ছিল গত বছরের ৩০ নভেম্বর। পরে সেটি পরিবর্তন করে ৬ ডিসেম্বর এবং পরে ১৬ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়। সেদিনও উদ্বোধন করা যায়নি এই ট্রেন। এরপর চলতি বছরের ১ জানুয়ারি, এরপর ১৮ ফেরুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করা হয়। সবশেষে দিনেও উদ্বোধন হয়নি এই ট্রেনটি।
অবশেষে শনিবার (৯ মার্চ) রিপোর্টার্স ফর রেল অ্যান্ড রোড (আরআরআর) রেল ভবনে আয়োজিত রেলওয়ের পরিচালন ও উন্নয়নবিষয়ক এক কর্মশালায় জানানো হয় যে সব ঠিকঠাক থাকলে ১২ মার্চ (মঙ্গলবার) ট্রেনটি চালু হবে। ওইদিন থেকেই নতুন এই ট্রেনের টিকিটও বিক্রি শুরু করে রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ। আর ট্রেনটি গাইবান্ধার উপর দিয়ে চলাচল করবে এমন খবরে সন্তোষ প্রকাশ করেন এই জেলার যাত্রী, সচেতন মহলসহ জেলার ওপর দিয়ে ট্রেনটি চলাচলের জন্য বিভিন্ন সময়ে নানা কর্মসূচি পালন করা আন্দোলনকারীরাও।
রেলের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নতুন বুড়িমারী এক্সপ্রেস ৮০৯/৮১০ নম্বর ট্রেনটি একটি ‘খ’ শ্রেণির আন্তঃনগর ট্রেন। ১৪টি কোচের এই ট্রেনে মোট আসন সংখ্যা ৬৫৩টি।
ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা বুড়িমারী-৮০৯ নম্বর ট্রেনটি যাত্রাবিরতি করবে ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশন, ঈশ্বরদী বাইপাস, নাটোর, সান্তাহার, বগুড়া, বোনারপাড়া, গাইবান্ধা, কাউনিয়া, লালমনিরহাট, তুষভান্ডার, হাতিবান্ধা, বড়খাতা ও পাটগ্রাম রেল স্টেশনে।
অন্যদিকে বুড়িমারী থেকে কমলাপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া-৮১০ নম্বর ট্রেনটি পাটগ্রাম স্টেশন, বড়খাতা, হাতিবান্ধা, তুষভান্ডার, লালমনিরহাট, কাউনিয়া, গাইবান্ধা, বোনারপাড়া, বগুড়া, সান্তাহার, নাটোর ও ঢাকা বিমানবন্দর রেল স্টেশনে থামবে।
ট্রেনটি ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে সকাল সাড়ে ৮টায় ছেড়ে এসে গাইবান্ধার বোনারপাড়ায় প্রবেশ করবে বিকেল ৪টা নাগাদ। এছাড়া গাইবান্ধা রেল স্টেশনে ৪টা ২৪ মিনিট এবং লালমনিরহাট স্টেশনে পৌঁছবে সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে। তবে লালমনিরহাট-বুড়িমারী পর্যন্ত আপাতত একটি শাটল ট্রেনের ব্যবস্থা রয়েছে।
অপরদিকে লালমনিরহাট স্টেশন থেকে রাত ৯টা ১০ মিনিটে ছেড়ে এসে বুড়িমারী এক্সপ্রেস গাইবান্ধা স্টেশনে পৌঁছবে পৌনে ১১টায় এবং ১২টা ১০ মিনিটে বোনারপাড়া অতিক্রম করে ঢাকায় পৌঁছবে সকাল ৭টায়।
বুড়িমারী এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে সাপ্তাহিক বন্ধ থাকবে সোমবার এবং বুড়িমারী-লালমনিরহাট থেকে বন্ধ থাকবে মঙ্গলবার।
গাইবান্ধায় ট্রেনের দাবিতে বিভিন্ন সময়ে আন্দোলনে জড়িত গাইবান্ধা নাগরিক মঞ্চের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ট্রেনটি গাইবান্ধার ওপর দিয়ে চালু হওয়ায় আমরা তথা গাইবান্ধাবাসী উচ্ছ্বসিত, আনন্দিত।’
গাইবান্ধা রেল স্টেশন মাস্টার আবুল কাশেম বলেন, এই রুটে ট্রেনটি চালু হওয়ায় যাত্রীদের মাঝে একটি ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। যাত্রীদের অনেকটাই দুর্ভোগ লাগব হবে।’
জেলার বামনডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার হাইয়্যুল ইসলাম মোবাইল ফোনে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখানেও যাত্রীদের টিকিটের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। যে দুটি ট্রেন এই রুটে চলে, সেখানে সব সময়ই টিকিটের সংকট দেখা যায়। যাত্রীদের সুবিধার্থে এখানে বুড়িমারী এক্সপ্রেস যাত্রাবিরতি করলে যাত্রীদের অনেকটাই চাহিদা পূরণ হবে।’
ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার নুরুন্নবী ইসলাম মোবাইল ফোনে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের পৌনে এক ঘণ্টা পর ৯টা ৪৫ মিনিটে লালমনিরহাট স্টেশন ছেড়ে গেছে ট্রেনটি।’
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার অসীম কুমার তালুকদার মোবাইল ফোনে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ট্রেনটি চালু হওয়ায় বুড়িমারী থেকে ঢাকার রেল যোগাযোগে উত্তরাঞ্চল বিশেষ করে গাইবান্ধা-লালমনিরহাট জেলার মানুষের জন্য নতুন দিগন্তের সূচনা হলো।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ট্রেনটির যাত্রাবিরতি চাওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার ইসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
তিনি বলেন, ‘আইনগতভাবে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। স্থগিত দল হওয়া মানে তাদের যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত। তাই আগামী নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করতে পারবে না।’
তিনি আজ রোববার সকালে সিলেটে সাংবাদিকদের এই কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার জেলা পুলিশ লাইনে নির্বাচনী দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে পুলিশের দক্ষতা বৃদ্ধিতে আয়োজিত প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’র প্রতীক সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রতীক নির্ধারণ সংবিধান ও নির্বাচনী বিধিমালার আওতায় করা হয়। শাপলা প্রতীক সেই তালিকায় নেই।
তাই তা বরাদ্দ দেওয়ার সুযোগও নেই।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে না হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। রমজানের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
নির্বাচনকে সামনে রেখে সব বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোনো চ্যালেঞ্জ হিসেবে থাকবে না বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ইসি আনোয়ারুল বলেন, ‘অতীতের মতো বিতর্কিত নির্বাচন আর হবে না। সবার সহযোগিতায় একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিতর্কিত বা প্রশ্নবিদ্ধ কোনো কর্মকর্তা যাতে নির্বাচনী দায়িত্বে না থাকেন, সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশন কঠোর অবস্থানে রয়েছে।’ সূত্র: বাসস
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পাটওয়ারীকে।
অন্য সদস্যরা হলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রথম সচিব মুঃ রইচ উদ্দিন খান ও মোঃ তারেক হাসান এবং ঢাকা কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার মুহাম্মদ কামরুল হাসান। কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের উপসচিব পঙ্কজ বড়ুয়া।
কমিটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে সরকারের কাছে প্রতিবেদন দেবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডও বিশেষ ব্যবস্থায় ঢাকা কাস্টম হাউসে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম অব্যাহত রাখার উদ্যোগ নিয়েছে। সূত্র: বাসস
গত ১৬ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড SRO No-404-Law/2025 এর মাধ্যমে বাংলা ভাষায় প্রণীত আয়কর আইন, ২০২৩ এর Authentic English Text সরকারি গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে।
আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ বাতিল করে ২০২৩ সালে বাংলা আয়কর আইন, ২০২৩ প্রণয়ন করার পর হতেই বিদেশি বিনিয়োগকারীগণ সরকারি গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে আয়কর আইনের Authentic English Text প্রকাশের দাবি জানাচ্ছিলেন।
আয়কর আইনের Authentic English Text না থাকায় বিদেশী বিনিয়োগকারীগণ আইনের সঠিক ব্যাখ্যা ও অনুশীলনের বিষয়ে সংশয়ের মধ্যে থাকতেন এবং বিভিন্ন আইনি জটিলতার সম্মুখীন হতেন।
আয়কর আইনের Authentic English Text সরকারী গেজেটে প্রকাশ হবার ফলে দেশী-বিদেশি বিনিয়োগকারীগণ আয়কর আইন সম্পর্কে স্বচ্ছ ব্যাখ্যা পাবেন বিধায় করদাতাগণের আস্থা অধিকতর বৃদ্ধি পাবে এবং আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে দ্ব্যর্থবোধকতা দূর করে স্বচ্ছতা ও সঠিকতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
কাস্টমস আইন, ২০২৩ এবং মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর Authentic English Text সরকারি গেজেটে প্রকাশের প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। অচিরেই এই দুটি আইনের Authentic English Text সরকারি গেজেট আকারে প্রকাশের মাধ্যমে দেশি-বিদেশী বিনিয়োগকারীগনের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটবে মর্মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আশা করছে।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের আওতাধীন পদ্মা সেতুতে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ক্যাশলেস, টোল কালেক্টর ব্যতীত ননস্টপ ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ETC) সিস্টেম চালু করা হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের টোল পরিশোধ প্রক্রিয়া আরও দ্রুত, স্বচ্ছ ও ডিজিটাল ব্যবস্থার আওতায় এসেছে।
বর্তমানে বিকাশ, ট্রাস্ট ব্যাংকের TAP অ্যাপ এবং মিডল্যান্ড ব্যাংকের অ্যাপ এর মাধ্যমে পদ্মা সেতুর টোল পরিশোধ করা যাচ্ছে। ব্যবহারকারীরা বিকাশ অ্যাপে গিয়ে “টোল” অপশনের অধীনে “মোটরযান রেজিস্ট্রেশন করুন” এ প্রবেশ করে গাড়ির নম্বর ও চেসিস নম্বরের শেষ ৪ (চার) ডিজিট প্রদান করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন। সফল রেজিস্ট্রেশনের পর ফিরতি এসএমএসে একটি Ekpass ID প্রেরণ করা হবে।
এই Ekpass ID ব্যবহার করে বিকাশ অ্যাপের “Pay Bill” অপশনের “D-Toll Top-Up” সেবার মাধ্যমে রিচার্জ করতে হবে। এরপর পদ্মা সেতুর মাওয়া টোল প্লাজার নিকটস্থ রেজিস্ট্রেশন বুথে বিআরটিএ অনুমোদিত RFID ট্যাগ প্রথমবারের মতো যাচাই করে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। একবার রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হলে, যানবাহন কমপক্ষে ৩০ কিলোমিটার/ঘণ্টা গতিতে ETC লেন ব্যবহার করে নির্বিঘ্নে পারাপার হতে পারবে।
১৮ অক্টোবর সেতু বিভাগের সচিব এবং বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক জনাব মোহাম্মদ আবদুর রউফ পদ্মা সেতুর ইটিসি বুথ পরিদর্শন করেন এবং ইটিসি সেবা ব্যবহার করে পদ্মা সেতু পারাপার করেন।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে ট্রাস্ট ব্যাংকের TAP অ্যাপের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর ETC সিস্টেমের লাইভ পাইলটিং কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর থেকে ধীরে ধীরে এই সেবার পরিসর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতোমধ্যে ETC সিস্টেমের মাধ্যমে মোট ১,৮১৪টি যানবাহন পারাপার হয়েছে এবং মোট ৩৪,৯১,৭০০ টাকা টোল আদায় সম্পন্ন হয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান মহোদয়ের বিশেষ নির্দেশনা ও দিকনির্দেশনায় পদ্মা সেতুতে এই ETC সিস্টেম বাস্তবায়িত হয়েছে। এটি দেশের টোল ব্যবস্থাপনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যা সময়, জ্বালানি ও মানবসম্পদের অপচয় হ্রাসে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
ভবিষ্যতে আরও বিভিন্ন ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাপ এই সেবার আওতায় যুক্ত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ-এর a2i (এটুআই) কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং নতুন ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডারদের সাথে সংযুক্তির কাজ অব্যাহত রয়েছে।
এই টোল কালেক্টর ব্যতীত নন স্টপ ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন সিস্টেমের মাধ্যমে পদ্মা সেতু ব্যবহারকারীরা দ্রুত, নিরাপদ ও স্বচ্ছভাবে টোল পরিশোধ করতে পারবেন—যা বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরের যাত্রায় একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি দমনে পরিচালিত হত্যাকাণ্ডে শাহাদাতবরণকারী শহিদ পরিবারের সদস্যদের মাঝে চেক বিতরণ অনুষ্ঠান ২০২৫ আজ ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া প্রধান অতিথি হিসেবে এবং ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ডা. আ ফ ম খালিদ হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞে শহিদ ৫৮ টি পরিবার এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি দমনে পরিচালিত হত্যাকাণ্ডে শহিদ ১৯টি পরিবারের সদস্যদের মাঝে পরিবার প্রতি ১০ লক্ষ টাকা করে, মোট ৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, "শহীদদের রক্ত কখনো বৃথা যায় না। ঐতিহাসিক শাপলা চত্বর এবং মোদি বিরোধী আন্দোলনে শহীদদের আজকের এই স্বীকৃতি তারই প্রমাণ।" শহীদ পরিবারদেরকে স্বীকৃতি দিতে পেরে সরকার গর্বিত উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন ইতিহাস থেকে যেনো কেউ ঐতিহাসিক শাপলা চত্বরের শহীদদের নাম মুছতে না পারে, এজন্য শাপলা চত্বরেই খোদাই করে লেখা হবে শহীদদের নাম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ডা. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন,"শাপলা চত্বর এবং মোদি বিরোধী আন্দোলনে শহিদদের আর্থিক সহায়তা প্রদান স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এক ঐতিহাসিক উদ্যোগ।" এই উদ্যোগের মাধ্যমে দুই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার স্বীকৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়ার সূচনা হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের হত্যাযজ্ঞ এবং ২০২১ সালের মোদি বিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে শাহাদতবরণকারী শহিদ পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে আন্তরিক সাধুবাদ জানিয়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মাওলানা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, "স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার এই মহতী উদ্যোগে সারা বাংলার আলেম সমাজ সম্মানিত হয়েছে। "
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব জনাব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, এবি পার্টির চেয়ারম্যান জনাব মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি জনাব নুরুল হক নুর, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা সাজিদুর রহমান এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক জনাব মোঃ শাহজাহান মিয়া।
‘জুলাই সনদ’ স্বাক্ষরকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ঐক্য ও সংস্কারের পথে বড় ধরনের অগ্রগতি হিসেবে অভিহিত করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।
তিনি আরও বলেন, এটি ২০২৬ সালের নির্বাচনের প্রস্তুতিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে দিয়েছে।
শুক্রবার ফেসবুক পোস্টে মিলার লেখেন, ‘জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে আমি আনন্দিত। এই দলিল মৌলিক সংস্কার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গড়ে ওঠা ব্যাপক ঐকমত্যের প্রতিফলন।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালাবদলের এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। ২০২৬ সালের নির্বাচনের পথে দেশটি ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এটি তারই প্রমাণ।
‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ মোট ২৫টি রাজনৈতিক দল যোগ দেয়।
অনুষ্ঠানে মিলারের উপস্থিতি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ও শাসনব্যবস্থা সংস্কারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগীতা অব্যাহত রাখার ইঙ্গিত বহন করে।
সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও প্রাতিষ্ঠানিক জবাবদিহিতা বাড়াতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছে।
সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতের পক্ষে তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে।
এ লক্ষ্যে ইইউ কারিগরি সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনে নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর প্রস্তাবও দিয়েছে। এসব উদ্যোগ গণতান্ত্রিক চর্চা ও টেকসই উন্নয়নের প্রতি ইইউর প্রতিশ্রুতির অংশ। সূত্র: বাসস
ইতালির রোমে অনুষ্ঠেয় বিশ্ব খাদ্য ফোরাম ২০২৫-এ যোগ দিয়েছেন কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধিদলে আরও রয়েছেন কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান ও অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি উইং) ড. মো. মাহমুদুর রহমান।
উপদেষ্টার নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল ফোরামে দেশের কৃষি, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিয়ে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময় ও সদস্য দেশসমূহের সাথে বিভিন্ন সেশনে অংশগ্রহণ করবে। সফরকালে স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা ইতালির ইন্টেরিয়র মিনিস্টার এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ইতালির রোমস্থ জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিতব্য এ ফোরাম ১০ অক্টোবর শুরু হয়ে চলবে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত। সূত্র: বাসস
মন্তব্য