× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Bangabandhus microphone is call ready
google_news print-icon

বঙ্গবন্ধুর সেই মাইক্রোফোন আগলে রেখেছে কল-রেডী

বঙ্গবন্ধুর-সেই-মাইক্রোফোন-আগলে-রেখেছে-কল-রেডী
বঙ্গবন্ধুর ভাষণের সরঞ্জাম সংরক্ষণ করেছে কল-রেডী। ছবি: নিউজবাংলা
ইতিহাসের চূড়াস্পর্শী সেই ভাষণে ব্যবহার করা মাইক্রোফোন, মাইক, হর্ন, এমপ্লিফায়ার, স্ট্যান্ডসহ আরও সরঞ্জাম সংরক্ষণে রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে ৭ মার্চ ভাষণে ব্যবহৃত সরঞ্জামের ৪০ ভাগ তারা সংরক্ষণ করতে পেরেছেন। কালের সাক্ষী কল-রেডীর ঐতিহাসিক যন্ত্রপাতি বেহাত হয়ে যাওয়ার ভয়ে বর্তমানে সেগুলো বিদেশে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে।

দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সাক্ষী হয়ে রাজধানীর পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে প্রথম মাইক সার্ভিস ‘কল-রেডী’ এখনও সগৌরবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের জন্য ব্যবহৃত সেই মাইক্রোফোনটি ছিল এই কল-রেডীর।

প্রতিষ্ঠানটির আদি প্রতিষ্ঠাতা দয়াল ঘোষ ২০০৪ সালে মারা গেছেন। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি চালাচ্ছেন বিশ্বনাথ ঘোষ, শিবনাথ ঘোষ, ত্রিনাথ ঘোষ সাগর ও সম্বোনাথ ঘোষ রানা। তারাই ধরে রেখেছেন বাবা-চাচার ব্যবসা ও স্মৃতি।

ইতিহাসের চূড়াস্পর্শী সেই ভাষণে ব্যবহার করা মাইক্রোফোন, মাইক, হর্ন, এমপ্লিফায়ার, স্ট্যান্ডসহ আরও সরঞ্জাম সংরক্ষণে রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে ৭ মার্চ ভাষণে ব্যবহৃত সরঞ্জামের ৪০ ভাগ তারা সংরক্ষণ করতে পেরেছেন। কালের সাক্ষী কল-রেডীর ঐতিহাসিক যন্ত্রপাতি বেহাত হয়ে যাওয়ার ভয়ে বর্তমানে সেগুলো বিদেশে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে।

দীর্ঘ এই সময়ে সরকারিভাবে যথাযথ সম্মান বা গুরুত্ব না পাওয়ার ক্ষোভে সেই মাইক্রোফোনটি নিলামে বিক্রির চিন্তাভাবনাও করছেন প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান কর্ণধাররা।

দেশ বিভাগের পর থেকে মুক্তিযুদ্ধ সংগ্রাম পর্যন্ত বাঙালির প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে অকুতভয়ে মাইক সার্ভিস দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকে এই সরঞ্জামগুলো ব্যবহার করা হয়েছে। তবে স্বাধীনতার দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও সরকারি কোনো স্বীকৃতি পায়নি।

এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান কর্ণধারেরা। দীর্ঘদিন ধরেই তারা এসব যন্ত্রপাতির যথাযথ স্বীকৃতি দিয়ে জাতীয় জাদুঘরে রাখার দাবি জানিয়েছে আসছিলেন।

কল-রেডীর ইতিহাস নিয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির এক কর্ণধার ত্রিনাথ ঘোষ সাগর জানান, ১৯৪৮ সালের দিকে দয়াল ঘোষ ও হরিপদ ঘোষ নামে দুই ভাই পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে আরজু লাইট হাউজ প্রতিষ্ঠা করেন। পরে নাম দেন কল-রেডী। অর্থাৎ কল করলেই রেডি। এরপর একে একে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনের সভা-সমাবেশে এই প্রতিষ্ঠানের মাইক্রোফোনের সামনে অগ্নিঝরা বক্তৃতা করেছেন দেশবরেণ্য রাজনীতিকরা। ১৯৭১ এ ইতিহাসিক ৭ই মার্চের সমাবেশে মাইক সার্ভিস হিসেবে ব্যবহার করা হয় কল-রেডী।

তিনি বলেন, ‘৭ মার্চে কল-রেডীর যে মাইক্রোফোনে বঙ্গবন্ধু তার ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন সেই মাইক্রোফোন আর কাউকে ব্যবহার করতে দেয়া হয়নি। দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে এসেও কল-রেডীর মাইক্রোফোনের সামনে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিয়েছিলেন।’

৭ মার্চে মাইক সার্ভিস দেয়ার বিষয়ে ত্রিনাথ ঘোষ সাগর বলেন, ‘বাবার মুখে শুনেছি, ৭ মার্চের ৩ দিন আগে বঙ্গবন্ধু তার ধানমন্ডির বাসায় আমার বাবা হরিপদ ঘোষ ও জ্যাঠা দয়াল ঘোষকে ডেকে সমাবেশে মাইকের ব্যবস্থা করতে বলেন। সেদিন একশোর অধিক মাইক লাগানো হয় জনসমাবেশস্থলে।

‘সমাবেশের তিন দিন পূর্ব থেকেই রাতের আঁধারে মাইকগুলো প্রস্তুত রাখার কাজ শুরু করে কল-রেডী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও কিছু মাইক মজুদ রাখা হয়। কিন্তু স্বৈরশাসকের রক্তচক্ষুতে জীবন বিপন্নের ভয় ও এতো বড় সমাবেশে মাইক ভাড়ার খরচ বেশি হওয়ার কারণে অনেকে তাদের মানা করেন। কিন্তু স্বাধীনতার ডাকে রাতের অন্ধকারে লুকিয়ে মাঠে মাইক লাগান বাবা ও অন্যরা। মাইক লাগিয়ে কাপড় দিয়ে ঢেকে দেন তারা।’

আরেক কর্ণধার বিশ্বনাথ ঘোষ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাষণে যান্ত্রিক ত্রুটি যেন না হয় সেজন্য অতিরিক্ত তিনটি মাইক্রোফোন, কিছু হ্যান্ড মাইক ও ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগসহ নিজেরা উপস্থিত ছিলেন। তবে এতে ভয়ও ছিল। সে সময় পাকিস্তানি শাসকের ভয় উপেক্ষা করে কাজ করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। পাকিস্তানি সামরিক সরকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান) সৈন্য মোতায়েন করে। যেকোন সময় হতে পারে তাদের আক্রমণ।

‘তাই এমন উৎকণ্ঠিত পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে শুধু টাকার জন্য সাড়া দেয়নি কল-রেডী। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে পাকিস্তানি স্বৈরশাসকের হুমকির মুখে রাতের অন্ধকারে সেদিন প্রায় ১০ লাখ মানুষের সেই ঐতিহাসিক সমাবেশে মাইকের আয়োজন করে কল-রেডী।’

এ সময় তিনি আক্ষেপ করে আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ভাষণের সাক্ষী হতে পরে কল-রেডী গর্ববোধ করে। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের সেই স্টান্ড, মাইক্রোফোন সবই আছে। কিন্তু কল-রেডীর কোনো স্বীকৃতি মেলেনি। সরকার এগুলো যথাযথ মর্যাদায় সংরক্ষণ করলে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ও কল-রেডীর ইতিহাস সংরক্ষিত হবে।

‘৭ মার্চ ভাষণে বঙ্গবন্ধু যে মাইক্রোফোন, মাইক্রোফোনের স্ট্যান্ড ব্যবহার করেন বর্তমানে কল-রেডীর কাছে সংরক্ষিত আছে।’ প্রধানমন্ত্রী চাইলে সেসব হস্তান্তর করবেন বলে জানান সাগর ঘোষ।

বঙ্গবন্ধুর সেই মাইক্রোফোন আগলে রেখেছে কল-রেডী
দাঁড়িয়ে আছে কালের সাক্ষী কল-রেডী। ছবি: নিউজবাংলা

বিশ্বনাথ ঘোষ বলেন, ‘ইতিহাসের অংশ আমাদের এই প্রতিষ্ঠান। খুব গর্ব হয়। বঙ্গবন্ধু আমাদের মাইকে কথা বলে যুদ্ধের ডাক দিয়েছেন- এর চেয়ে গর্বের আর কি হতে পারে! আমরা সেই মাইক্রোফোন সংরক্ষণ করে রেখেছি। চাইলে যে কোনো সময় প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেব। কেননা এগুলো আরো ভালোভাবে সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।’

৭ মার্চের ভাষণের দিনের আগে আগে বঙ্গবন্ধু দয়াল ঘোষকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। দয়াল ঘোষের ছেলে বিশ্বনাথ ঘোষ বলেন, ‘বাবাকে সারা শহরে মাইক সেট করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। সেই অনুযায়ী শহরের বিভিন্ন প্রান্তে তিন শতাধিক হর্ন লাগানো হয়েছিল, যাতে লাখো মানুষের কাছে শেখ মুজিবের ভাষণ পৌঁছানো যায়।’

৭ মার্চের ভাষণ সমাবেশস্থল ও শহরের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা মানুষজনের কাছে যাতে পৌঁছায়, সে জন্য বঙ্গবন্ধুর সামনে ও পাশে অন্তত ২০টি মাইক্রোফোন লাগানো হয়েছিল।

সরেজমিনে কলরেডির সংগ্রহশালায় ঘুরে ততকালীন সময়ে ব্যবহৃত বেশ কিছু মাইক্রোফোন দেখা যায়। যেগুলোর সামনে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিয়েছেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, এ কে ফজলুল হক, ইন্দিরা গান্ধী, প্রণব মুখার্জি, অটল বিহারি বাজপেয়ি, ইয়াসির আরাফাত, নেলসন ম্যান্ডেলা, বিল ক্লিনটনসহ দেশ ও বিদেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ আরও অনেকে। এগুলো দেশের স্বাধীনতা যাদুঘরে সংগ্রহ করে যথাযথ স্বীকৃতি মিললে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস রক্ষিত থাকবে বলে মনে করেন কল-রেডীর বর্তমান কর্ণধাররা।

কল-রেডীর ইতিহাস নিয়ে জানতে চাইলে বর্তমাম কর্ণধাররা জানান, হরিপদ ঘোষ ও দয়াল ঘোষ নামে দুই ভাই, পুরান ঢাকায় ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নেন। বাবার ইচ্ছে ছিল ইসলামপুরে কাপড়ের পাইকারী দোকান দেবেন দুই সন্তান। কিন্তু তাদের আগ্রহ ছিল না কাপড়ের ব্যবসায়। কারণ পুরান ঢাকায় কাপড়ের দোকানের অভাব ছিল না।

দুই ভাই তখন সিদ্ধান্ত নেন বাতি ও লাইটের ব্যবসা করবেন। পুরান ঢাকার মানুষ আলোকসজ্জা পছন্দ করে, বেশ ভালো চলবে। এরপর দুজন ১৯৪৮ সালে ‘আরজু লাইট হাউস’ নামে একটি দোকান চালু করেন।

দোকানের প্রথম গ্রাহক ছিলেন স্থানীয় শ্যামলকান্তি বড়াল। তিন টাকা অগ্রিম দিয়ে তিনি বিয়েবাড়ির আলোকসজ্জার দায়িত্ব দিয়ে যান দুই ভাইকে। কিন্তু সমসাময়িক আরও অনেক দোকান গড়ে ওঠায় শঙ্কায় পড়েন তারা।

এমন সময় বুদ্ধি খাটিয়ে লাইটের পাশাপাশি ব্যবসায় সাউন্ড সিস্টেম যুক্ত করার কথা চিন্তা করেন হরিপদ ঘোষাল। শুরুতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গ্রামোফোন ভাড়া ও আলোকসজ্জার কাজ করতেন। চাহিদা দিন দিন বাড়তে লাগল।

প্রথম দিকে ভারত থেকে কয়েকটি মাইক নিয়ে এসে এবং নিজেরাই হ্যান্ড মাইক তৈরি করে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও সভা-সমাবেশে ভাড়া দেয়া শুরু করেন। কিন্তু এক সময় চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় চীন, তাইওয়ান ও জাপানসহ অন্যান্য দেশ থেকেও মাইক আনতে হয় দুই ভাইকে।

কল-রেডী নামের ইতিহাস সম্পর্কে জানা যায়, মাইক যারা ভাড়া করবেন তারা কল করলে যাতে তাদের প্রতিষ্ঠান রেডি থাকে এই ভাবনা থেকেই নামটি এসেছে। অর্থাৎ কল করলে মাইক পৌঁছে যাবে দ্রুত। কল-রেডী দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে স্মরণীয়।

কল-রেডীর মাইক্রোফোনের সামনে কথা বলেছেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক এবং অবশ্যই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বিদেশিদের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা, ভারতের ইন্দিরা গান্ধী, ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন প্রমুখ।

‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ একাত্তরের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণে সেদিন রেসকোর্স ময়দানের জনসভায় সাউন্ড সিস্টেমের দায়িত্ব পালন করে কল-রেডী। এই ভাষণ সেদিন ৭ কোটি বাঙালির পথের দিশা দেখিয়েছিল। ভাষণটি এখন বৈশ্বিক সম্পদ। ইউনেস্কো এই ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে।

এর আগে ব্রিটিশ ঐতিহাসিক জ্যাকব এফ ফিল্ড বিশ্বের সেরা ভাষণগুলো নিয়ে ‘উই শ্যাল ফাই অন দ্য বিচেস: স্পিচেস দ্যাট ইন্সপায়ার হিস্ট্রি’ নামে যে বই প্রকাশ করেছিলেন, সেখানে তিনি বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণটিকে বিশ্বের অন্যতম অনুপ্রেরণাদায়ক বক্তৃতা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেন।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Everyone is urged to remain calm in the three hill districts

পার্বত্য তিন জেলায় সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান

পার্বত্য তিন জেলায় সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়েছে- পার্বত্য চট্টগ্রামে চলমান হামলা, আক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনায় সরকার গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে। খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সৃষ্ট সমস্যা নিরসনে আন্তরিকভাবে কাজ করছে সরকার।

পার্বত্য চট্টগ্রামে বুধবার এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি ও পরবর্তীতে তার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চলমান হামলা, আক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনায় সরকার গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে। সূত্র: বাসস

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় দুঃখ প্রকাশ করে বলা হয়, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) খাগড়াছড়ি ও আজ (শুক্রবার) রাঙামাটিতে সৃষ্ট সমস্যা নিরসনে আন্তরিকভাবে কাজ করছে সরকার।

বার্তায় উল্লেখ করা হয়, সরকারের পক্ষ থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সব বাহিনীকে সর্বোচ্চ সংযম দেখাতে এবং পার্বত্য তিন জেলায় বসবাসকারী সব জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেখানে শান্তি, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি নিশ্চিতকরণে সরকার বদ্ধপরিকর।

আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়া এবং ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত না হওয়ার জন্য সবাইকে নির্দেশ প্রদান করে ওই বার্তায় বলা হয়, আইন নিজ হাতে তুলে নেয়া এবং যে কোনো সম্পত্তি ধ্বংস করা দণ্ডনীয় ও গর্হিত অপরাধ। সহিংসতার সঙ্গে সম্পর্কিত সব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিচার নিশ্চিত করা হবে।

বার্তায় বলা হয়, এ লক্ষ্যে সরকার খুব শিগগির একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠন করবে। এছাড়া আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এদিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল আগামীকাল শনিবার খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি পরিদর্শন করবে। প্রতিনিধি দলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এবং প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী থাকবেন।

আরও পড়ুন:
রাঙ্গামাটিতে সংঘর্ষ-ভাঙচুর, ১৪৪ ধারা জারি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Strict action if you take law into your own hands Police

আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা: পুলিশ

আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা: পুলিশ পুলিশ সদরদপ্তরের নামফলক। ফাইল ছবি
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি কোথাও কোথাও গণপিটুনি দিয়ে মানুষ হত্যার নৃশংস ঘটনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ ধরনের মব জাস্টিস কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে বাংলাদেশ পুলিশ বদ্ধপরিকর।’

আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে শুক্রবার হুঁশিয়ারি করে দিয়েছে পুলিশ সদরদপ্তর।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘবদ্ধ পিটুনিতে দুজন নিহত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ এমন হুঁশিয়ারি দেয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি কোথাও কোথাও গণপিটুনি দিয়ে মানুষ হত্যার নৃশংস ঘটনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ ধরনের মব জাস্টিস কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে বাংলাদেশ পুলিশ বদ্ধপরিকর।

‘কেউ অন্যায় করলে বা অপরাধী হলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ওই ব্যক্তির বিচারের বিধান রয়েছে। আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার অধিকার কারো নেই। কোনো ব্যক্তি অন্যায় এবং অপরাধ করলে তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করতে হবে; কোনোভাবেই আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া যাবে না।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কোনো ব্যক্তি অন্যায় বা অপরাধ করলে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ অথবা নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করুন। আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়ার জন্য পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স সকলের প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছে। মব জাস্টিস বা গণপিটুনির মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স দেশের সকল সচেতন নাগরিকের সহযোগিতা কামনা করছে।

‘বাংলাদেশ পুলিশ দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

আরও পড়ুন:
সাবেক দুই আইজিপি গ্রেপ্তার
সাত মেট্রোপলিটন পুলিশে নতুন কমিশনার পদায়ন
চট্টগ্রামে ১২ থানার ওসিকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত
পুলিশের শীর্ষ পর্যায়ে বড় ধরনের বদলি-পদায়ন
জনমুখী পুলিশ গড়তে কাজ করছে সরকার: রিজওয়ানা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Trust us we are ready to help

‘আমাদের ওপর আস্থা রাখুন, আমরা সাহায্য করতে প্রস্তুত’

‘আমাদের ওপর আস্থা রাখুন, আমরা সাহায্য করতে প্রস্তুত’ তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার। ছবি: পিআইডি
বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার এজেন্ডা দেখে উচ্ছ্বসিত। অনেক প্রত্যাশা রয়েছে। ব্যাংকিং, কর, শুল্ক, ভ্যাট, ডিজিটাইজেশন, দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপে সংস্কার প্রয়াসে সহায়তা করতে বিশ্বব্যাংক প্রস্তুত।

আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংকের সফররত ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার বলেছেন, বিশ্বব্যাংক অন্তর্বর্তী সরকারের মূল অর্থনৈতিক সংস্কারের অংশ হতে প্রস্তুত।

বিশ্বব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের এই কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার ঢাকার তেজগাঁও কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এ মন্তব্য করেন।

সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা অর্থনীতির সমস্যা কাটিয়ে ওঠা, দুর্নীতি দূর করা এবং বিচার ব্যবস্থার মতো ক্ষেত্রগুলোতে মৌলিক সংস্কার পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রয়াসে ব্যাপকতর সহায়তার আহ্বান জানান। প্রতিক্রিয়ায় বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাইসার বলেন, ‘আমাদের ওপর আস্থা রাখুন। আমরা সাহায্য করতে প্রস্তুত।’

রাইসার বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক সরকারের সংস্কার এজেন্ডা দেখে উচ্ছ্বসিত। আমি মনে করি এখন বাংলাদেশ সফর করা মূল্যবান। অনেক প্রত্যাশা রয়েছে।’

সফররত বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ব্যাংকিং, কর, শুল্ক, ভ্যাট, ডিজিটাইজেশন, দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপে সংস্কার প্রয়াসে সহায়তা করতে বিশ্বব্যাংক প্রস্তুত।

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বব্যাংকের সহায়তাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার দুর্নীতি থেকে মুক্তি পেতে এবং একটি নতুন যাত্রার সূচনা করতে জনগণের কাছ থেকে ব্যাপক ম্যান্ডেট পেয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এটি সংস্কারের মৌসুম। আমরা এখনই শুরু করতে চাই। জুলাই-আগস্টে ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থান বিদ্যমান ব্যবস্থায় বড় ধরনের সংস্কারের জন্য মাঠ প্রস্তুত করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পেছনে ফিরে যেতে চাই না। এই আন্দোলন অতীতকে পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করেছে। এখন এটি একটি পরিচ্ছন্ন স্লেট।’

অধ্যাপক ইউনূস তার সরকার এখন পর্যন্ত যেসব সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে তার রূপরেখা তুলে ধরে বলেন, ‘অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পদক্ষেপগুলোর মধ্যে দুর্নীতি, শ্রম সংস্কার এবং যুব সমাজের উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।

‘সরকার শ্রম সংস্কারে আইএলও কনভেনশন বাস্তবায়ন করবে, যা বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াবে এবং স্থানীয় উৎপাদনকারীদের আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে স্থান পেতে সহায়তা করবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা এ কাজটি সম্পন্ন করতে চাই। বৈশ্বিক খাতে তৈরি পোশাক ছাড়া অন্যান্য খাতেও বাংলাদেশের ভূমিকা রাখা উচিত।’

সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার পদক্ষেপের প্রশংসা করে রাইসার বলেন, ‘বাংলাদেশে বার্ষিক এফডিআই দেশের জিডিপির প্রায় অর্ধ শতাংশ এবং এই অঞ্চলে এটি সর্বনিম্ন।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক রোহিঙ্গা মানবিক সংকট এবং কক্সবাজারের স্বাগতিক জনগোষ্ঠীর জন্য ৭০ কোটি ডলার অনুমোদন করেছে।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বেড়ে ওঠা লাখ লাখ তরুণ-তরুণীর জন্য সহায়তা লাভের বিষয়ে আমরা আগ্রহী। আমাদের এ বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে।’

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, সিনিয়র সচিব ও এসডিজি বিষয়ক প্রধান লামিয়া মোরশেদ, বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী প্রমুখ।

আরও পড়ুন:
ব্যাংকিং খাত সংস্কারে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে বিশ্বব্যাংক: অর্থ উপদেষ্টা
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নেয়া প্রকল্প সংশোধন হবে: প্রধান উপদেষ্টা 
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম একনেক সভায় চার প্রকল্প অনুমোদন
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট ঢাকায়
বাংলাদেশকে দুই বিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি বিশ্বব্যাংকের

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The reform commission started its work in October and reported in December

সংস্কার কমিশনের কাজ শুরু অক্টোবরে, রিপোর্ট ডিসেম্বরে

সংস্কার কমিশনের কাজ শুরু অক্টোবরে, রিপোর্ট ডিসেম্বরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৃহস্পতিবার তার কার্যালয়ে সংস্কার কমিশনগুলোর প্রধানগণ বৈঠক করেন। ছবি: পিআইডি
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘সংস্কারের বিষয়ে আওয়ামী লীগ ছাড়া সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা হবে। যারা গণহত্যা চালিয়েছে, হাজারের ওপর মানুষকে হত্যা করেছে, হাজার হাজার মানুষকে আহত করেছে, যারা বিচারের ভয়ে পালিয়ে আছে তাদের সঙ্গে আলোচনা হবে না।’

রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত কমিশনগুলো আগামী অক্টোবরে কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, এসব কমিশন ডিসেম্বরের মধ্যে সংস্কারের প্রতিবেদন জমা দেবে।

আইন উপদেষ্টা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হেয়ার রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

এর আগে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সংস্কার কমিশনগুলোর প্রধানগণ বৈঠক করেন।

আসিফ নজরুল জানান, সংস্কার কমিশনগুলো রিপোর্ট দিলে সেগুলো প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় পর্যালোচনার পর অনলাইনে উন্মুক্ত করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘সংস্কারের বিষয়ে আওয়ামী লীগ ছাড়া সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা হবে। যারা গণহত্যা চালিয়েছে, হাজারের ওপর মানুষকে হত্যা করেছে, হাজার হাজার মানুষকে আহত করেছে, যারা বিচারের ভয়ে পালিয়ে আছে তাদের সঙ্গে আলোচনা হবে না। এটা আমাদের পরিষ্কার বক্তব্য।’

মব জাস্টিস বা গণপিটুনিতে হত্যার মতো ঘটনার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হত্যার ঘটনায় আমরা মর্মাহত। এ ধরনের প্রতিটি ঘটনার বিচার করা হবে। আমরা এটা নিয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছি।’

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম ও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান আলী রীয়াজ
রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে ইসি গঠন হওয়া উচিত: বদিউল আলম
অল্প সময়ে সংবিধান সংস্কার সম্ভব নয়: হাসান আরিফ
ক্রীড়াঙ্গন সংস্কারে সার্চ কমিটি গঠন
একই ব্যক্তিকে সরকার ও দলীয় প্রধান না করার প্রস্তাব টিআইবির

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Dhaka Wasas new MD Fazlur Rahman

ঢাকা ওয়াসার নতুন এমডি ফজলুর রহমান

ঢাকা ওয়াসার নতুন এমডি ফজলুর রহমান মো. ফজলুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কয়েক দফায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত এমডি তাকসিম এ খানের চুক্তি বাতিল করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।  তার স্থলে ডেপুটি এমডি ভারপ্রাপ্ত এমডির দায়িত্ব পালন করছিলেন।

ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের পানি সরবরাহ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. ফজলুর রহমান।

বুধবার স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো. আব্দুর রহমানের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ আইন ১৯৯৬-এর ২৮(২) ধারা অনুযায়ী ঢাকা ওয়াসার দৈনন্দিন কার্যক্রম সুচারুরূপে পরিচালনা এবং চলমান উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের পানি সরবরাহ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে তার নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে সাময়িকভাবে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব দেয়া হলো।

ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনকালে তিনি বিধি মোতাবেক দায়িত্ব ভাতা পাবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

প্রসঙ্গত, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কয়েক দফায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত এমডি তাকসিম এ খানের চুক্তি বাতিল করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তার স্থলে ডেপুটি এমডি ভারপ্রাপ্ত এমডির দায়িত্ব পালন করছিলেন।

আরও পড়ুন:
ঢাকা ওয়াসা এমডির দায়িত্ব পালন করবেন সহিদ উদ্দিন
তাকসিমের দুর্নীতি তদন্তে নির্দেশ হাইকোর্টের
ওয়াসায় তাকসিমের নিয়োগ বৈধ কি না, আদেশ মঙ্গলবার
ওয়াসার এমডি পদে তাকসিমের নিয়োগ চ্যালেঞ্জ করে রিট

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bhola has two trillion cubic feet of gas reserves Energy Advisor

ভোলায় গ্যাসের মজুত দুই ট্রিলিয়ন ঘনফুট: জ্বালানি উপদেষ্টা

ভোলায় গ্যাসের মজুত দুই ট্রিলিয়ন ঘনফুট: জ্বালানি উপদেষ্টা ভোলার ইলিশা-১ গ্যাস কূপ এলাকা। ফাইল ছবি
সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার প্রেস ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভোলায় ৫ দশমিক ১০৯ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুত রয়েছে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এই তথ্যটা যদি সঠিক হতো, তাহলে আজ আমরা উৎসব করতাম। তাহলে আমাদের গ্যাসের কোনো সংকট থাকত না; আমদানির প্রয়োজন হতো না। ‘তাই যারা গ্যাস সেক্টর সম্পর্কে এবং গ্যাসের মজুত সম্পর্কে ভালো জানেন তাদের সঙ্গে আমরা আজ বসেছি।’

ভোলায় গ্যাসের প্রকৃত মজুত দুই ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ) বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

ভোলায় ৫ দশমিক ১০৯ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুত রয়েছে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তর এবং বিশেষজ্ঞদের নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার প্রেস ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভোলায় ৫ দশমিক ১০৯ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুত রয়েছে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এই তথ্যটা যদি সঠিক হতো, তাহলে আজ আমরা উৎসব করতাম। তাহলে আমাদের গ্যাসের কোনো সংকট থাকত না; আমদানির প্রয়োজন হতো না। ‘তাই যারা গ্যাস সেক্টর সম্পর্কে এবং গ্যাসের মজুত সম্পর্কে ভালো জানেন তাদের সঙ্গে আমরা আজ বসেছি।

‘জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ম. তামিম, কানাডায় গ্যাসের মজুত বিশেষজ্ঞ হোসনে আরা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক বদরুল ইমামসহ কয়েকজনকে নিয়ে বসেছি। তাদের সঙ্গে আলোচনায় এই তথ্যের সত্যতা মেলেনি।’

ব্রিফিংয়ে তিনি বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স) লিমিটেডের কর্মকর্তাকে ভোলায় গ্যাসের মজুতের বিষয়ে তথ্য তুলে ধরার অনুরোধ জানান।

বাপেক্স কর্মকর্তার বরাতে তিনি বলেন, ‘ভোলার চরফ্যাশনে আমাদের কোনো সিসমিক সার্ভের ডাটা নেই। শাহবাজপুর, ভোলা এবং ইলিশা গ্যাসক্ষেত্রে ২ দশমিক ০৪৭ টিসিএফ (উত্তোলনযোগ্য ১.৪৩২ টিসিএফ) প্রমাণিত গ্যাস রিজার্ভ রয়েছে। ভোলা জেলার অন্তর্গত তিনটি (শাহবাজপুর, ভোলা ও ইলিশা) গ্যাসক্ষেত্রে এ পর্যন্ত সর্বমোট ৯টি কূপ খনন করা হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
রাজধানীতে শুক্রবার ৯ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
রাজধানীর যেসব এলাকায় মঙ্গলবার ৮ ঘণ্টা থাকবে না গ্যাস
গ্যাস সংকট কখন কাটবে তা জানাল জ্বালানি মন্ত্রণালয়
‘সারা দেশে ১৫ জুলাই থেকে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ’
২২ ঘণ্টা পর ময়মনসিংহ নেত্রকোনায় গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Farooq Wasif is the new DG of PIB

পিআইবির নতুন ডিজি ফারুক ওয়াসিফ

পিআইবির নতুন ডিজি ফারুক ওয়াসিফ পিআইবির মহাপরিচালক লেখক ও সাংবাদিক ফারুক ওয়াসিফ। ছবি: বাসস
উপসচিব এ টি এম শরিফুল আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) আইন, ২০১৮-এর ধারা ৯ (২) অনুযায়ী ফারুক ওয়াসিফকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী ২ বছর মেয়াদে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)-এর মহাপরিচালক পদে নিয়োগ দেয়া হলো।’

প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক (ডিজি) হয়েছেন লেখক ও সাংবাদিক ফারুক ওয়াসিফ।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে বুধবার তার নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

উপসচিব এ টি এম শরিফুল আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) আইন, ২০১৮-এর ধারা ৯ (২) অনুযায়ী ফারুক ওয়াসিফকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী ২ বছর মেয়াদে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)-এর মহাপরিচালক পদে নিয়োগ দেয়া হলো।

‘এই নিয়োগের অন্যান্য শর্ত অনুমোদিত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে।’

আরও পড়ুন:
পাপনের পদত্যাগ, বিসিবির নতুন সভাপতি ফারুক
স্ট্রোক করে আইসিইউতে নির্মাতা ফারুকী
‘অসভ্যতার শেষ হোক’ বলা ফারুকী দিলেন ‘সাজেশন’
প্রেমে প্রতারণায় হত্যা: দুই বছর পর গ্রেপ্তার
কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধের আহ্বান ফারুকীর

মন্তব্য

p
উপরে