× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The last book fair has accumulated
google_news print-icon

জমে উঠেছে শেষ সময়ের বইমেলা

জমে-উঠেছে-শেষ-সময়ের-বইমেলা
শেষ সময়ে জমে উঠেছে বইমেলা। ছবি: নিউজবাংলা
শেষ সময়ে এসে বইপ্রেমীদের মনে বিদায়ের সুর বাজতে শুরু করেছে। এই সময়ে ক্রেতাদের ভিড়ে মেলা প্রাঙ্গণ জমজমাট হয়ে উঠেছে।

মাসব্যাপী চলছে বাঙালির প্রাণের মেলা অমর একুশে বইমেলা। দেখতে দেখতে এ বছরের মেলা প্রায় শেষের পথে। আর মাত্র দুদিন পরই পর্দা নামবে অমর একুশে বইমেলার।

শেষ সময়ে এসে বইপ্রেমীদের মনে বিদায়ের সুর বাজতে শুরু করেছে। এই সময়ে ক্রেতাদের ভিড়ে মেলা প্রাঙ্গণ জমজমাট হয়ে উঠেছে।

রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় ঐতিহ্যবাহী অমর একুশে বইমেলার। তবে বইয়ের দোকান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বেশি হওয়ায় এই অংশেই দর্শনার্থীদের বেশি ভিড় দেখা যায়।

মঙ্গলবার বিকেলে মেলায় বেশ ভিড় লক্ষ্য করা যায়। মেলায় ক্রেতারা আসছেন, দেখছেন, বই কিনছেন। তবে অনেক দর্শনার্থীদের মেলা প্রাঙ্গণে আড্ডায় মেতে থাকতে দেখা যায়। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামতেই মেলায় বইপ্রেমীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়।

এদিন লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে মেলা প্রাঙ্গণ। বিভিন্ন বয়সের মানুষের হাতেই ছিল বইয়ের ব্যাগ। অন্যান্য দিনের মতো বেশি ভিড় দেখা যায় মেলার শিশু কর্ণার ও স্টলগুলোতে।

বইমেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন বয়সী ক্রেতাদের ভিড়। তবে ক্রেতার থেকে দর্শনার্থীদের সংখ্যাই মেলায় বেশি। বিক্রিও হচ্ছে দেদারসে।
বইমেলা প্রাঙ্গণে এদিন যেন তিল ধারণের জায়গা নেই। সব বয়সের মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয় মেলা। লোকসমাগমে জমজমাট হয়ে ওঠে বইমেলা। স্টলগুলোতে বিক্রি বাড়ায় খুশি বইয়ের দোকানিরাও।

বাতিঘর, মাওলা ব্রাদার্স, কথা প্রকাশ, ঐতিহ্য, অন্যপ্রকাশ, আগামী প্রকাশনীসহ অধিকাংশ স্টল ও প্যাভিলিয়নে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় ছিল এদিন। ছোট প্রকাশনীগুলোতেও ছিল প্রচুর মানুষের সমাগম।

মঙ্গলবারের মেলায় তরুণ-তরুণীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসেছেন তরুণ-তরুণীরা। কেউ এসেছেন পরিবার নিয়ে, বন্ধু-বান্ধবীর সঙ্গে, আবার কেউ এসেছেন প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে।

প্রকাশকরা বলছেন, মেলার শেষ সময়ে পছন্দের বই কিনতে ক্রেতাদের উপস্থিতি বাড়ছে। নানা শ্রেণি-পেশা ও বয়সী মানুষের পদচারণায় মুখরিত মেলা। এতে ব্যস্ত সময় পার করছেন স্টলের বিক্রয়কর্মীরা। অন্যদিকে লেখক-পাঠক আড্ডায় বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পরিণত হয়েছে মিলন মেলায়।

মেলার দর্শনার্থীরা বলছেন, দুই দিন পরে শেষ হয়ে যাবে মেলা। ফলে যারা নানা ব্যস্ততার কারণে এতোদিন মেলায় আসতে পারেননি, তারাও শেষ সময় এসে নিজেদের পছন্দের লেখকের বই কিনছেন।

মেলার বিভিন্ন স্টলের দায়িত্বরতদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শেষ সময়ে এসে বেচাবিক্রি বেড়েছে, কমবেশি সবাই বই কিনছেন। তবে ক্রেতারা তাদের বাছাই করা তালিকা ধরেই পছন্দের লেখকের বই ক্রয় করছেন।

তাম্রলিপি প্রকাশনীতে তাশফিকালের লেখা সামিনব্বই দশকের ভালোবাসা বইটি কিনছিলেন ফৌজিয়া আফিয়া। তিনি বলেন, প্রথম বইমেলায় এসেছি। যদিও শেষ সময় তবুও ইচ্ছা আছে বেশ কয়েকটা বই কেনার।

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছোট গল্পের বই বিক্রি করা হচ্ছে ভাষাপ্রকাশ প্রকাশনীতে। বইটি কিনছিলেন ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী রাহি বুশরা। তিনি বলেন, ছোট ভাইকে উপহার দেবার জন্যই বইটি কিনলাম।

অনন্যা প্রকাশনের সর্বাধিক বিক্রিত বই হুমায়ুন আহমেদের হিমু সমগ্র। স্মিতা দেবনাথ নামে এক চাকরিজীবী কেনেন বইটি। তিনি বলেন, হুমায়ুন আহমেদ স্যার চির যৌবনা। স্যারের বই সংগ্রহে রাখার জন্যই কেনা।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে বন্ধুদের সঙ্গে মেলায় এসেছেন রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের শিক্ষার্থী জুবায়ের হোসেন শান্ত। তিনি বলেন, এবার মেলায় এর আগে দুই দিন এসেছি। তবে খুব বেশি বই কেনা হয়নি। আমরা এবার সব বন্ধুরা একসঙ্গে মেলায় এসেছি। সবাই-সবাইকে একটি করে বই উপহার দিয়েছি। এছাড়া সবাই নিজেদের পছন্দের বইগুলোও কিনেছি।

ঢাকা কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী তরিকুল ইসলাম এবছর প্রথমবারের মতো মেলায় এসেছেন। তিনি বলেন, দিনের বেশিভাগ সময় টিউশনি করে সময় পার হয়ে যায়। ফলে এবারের মেলায় আসা হয়নি। এজন্য সকালে একটি টিউশনি করার পর বাকি দুইটি থেকে ছুটি নিয়ে মেলায় এসেছি।
মাওলা ব্রাদার্সের বিক্রয়কর্মী রুহুল সরকার বলেন, মেলা প্রায় শেষের দিকে। বেশ কয়েক দিন ধরে মেলায় মানুষের উপস্থিতি আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। এ কারণে আমাদের বিক্রিও বেড়েছে।

অন্যপ্রকাশের বিক্রয়কর্মী আশিক মাহমুদ বলেন, আমাদের প্রকাশনী থেকে নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের বেশিরভাগ বই ছাপানো হয়। এজন্য আমাদের স্টলে হুমায়ূনপ্রেমীদের ভীড় সবসময় একটু বেশিই থাকে, বিক্রিও হয় অনেক।

পাঞ্জেরী প্রকাশনীর বিক্রেতা অনামিকা শিকদার জানান, আমাদের এখানে প্রতিদিন প্রায় ৩০০ বই বিক্রি হচ্ছে। আগে যেখানে পঞ্চাশ হাজার টাকার বই বিক্রি হতো, সেখানে এখন লাখ ছুঁই ছুঁই অবস্থা। বিক্রি বেশ ভালো চলছে।

অনুপম প্রকাশনীর প্রকাশক মিলন কান্তি নাথ বলেন, শেষ সময়ে ক্রেতা বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। সবসময় এমনটাই হয়ে আসছে। বিক্রি নিয়ে আমাদের সন্তুষ্টির কিছু নেই। কেননা বইয়ের বিক্রি সংখ্যা কিন্তু তেমন নয়। আমরা যতটা আশা করছি বা সবাই যা ভাবছে বাস্তবে তা হচ্ছে না।

শব্দশৈলীর প্রকাশক ইফতেখার আমীন বলেন, সারা বছর যে বই আমরা বিক্রি করি তার একটা বড় অংশই মেলায় বিক্রি হয়। আর সেই বিক্রিটাই হয় মেলার শেষ সময়ে। স্বভাবতই আমরা খুব ব্যস্ত সময় পার করছি। তবে আমরা এতোটাও সন্তুষ্ট হতে পারিনি। আশা করছি শেষ দুই দিন বেচাকেনা ভালো হবে।

অমর একুশে বইমেলার ২৭তম দিন মঙ্গলবার মেলা শুরু হয় বিকেল তিনটায় এবং চলে রাত নয়টা পর্যন্ত। এদিন নতুন বই এসেছে ৯৫টি। বিকেল চারটায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণ: সেলিম আল দীন শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লুৎফর রহমান। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন রশীদ হারুন এবং জাহিদ রিপন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নাট্যজন নাসিরউদ্দিন ইউসুফ।

প্রাবন্ধিক বলেন, বাংলা নাটকের ইতিহাসে সেলিম আল দীনের অবদান অবিস্মরণীয়। তিনি সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় অস্থির পরিস্থিতিতে প্রকৃত বাস্তবকে বিশ্বস্ততার সঙ্গে উপস্থাপন করাকেই তার কর্তব্য বলে মনে করেছেন। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক চিত্র তার নাটকে মূর্তরূপ লাভ করেছে। নাটক রচনাকালে তার চেতনার ভূগোল তৈরি হয়েছে সমগ্র প্রকৃতি, মানুষ, জনপদ, জীবন এবং গ্রামীণ ও নাগরিক সমাজের বিদ্যমান দ্বন্দ্বের প্রেক্ষাপটে।

আলোচকরা বলেন, সচেতন নাট্যকার হিসেবে সেলিম আল দীন সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতাকে উপেক্ষা করতে পারেননি। তার নাটকের ভেতর সমকালীন বাস্তবতার চিত্র উন্মোচিত হয়েছে। সমাজ-চেতনা এবং পরিবেশ-পরিস্থিতির পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সেলিম আল দীনের নাটকেও বিবর্তন এসেছে। তিনি এ অঞ্চলের শিল্পরীতি ও শিল্পদর্শনকে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে চালিত করেছেন এবং বাঙালির নাট্য- সংস্কৃতি ও নাট্যযাত্রার পথকে সুগম করার জন্যে আজীবন কাজ করে গেছেন।

সভাপতির বক্তব্যে নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বলেন, সেলিম আল দীন রাজনীতি ও মানুষকে একীভূত করে তার নাট্যভূমি নির্মাণ করেছেন। কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক মতবাদের পক্ষাবলম্বন না করে শিল্পীর নির্মোহ অবস্থান থেকে তিনি নাট্যচর্চা করেছেন।

বইমেলায় হুমায়ুন আজাদকে স্মরণ

বহুমাত্রিক লেখক হুমায়ুন আজাদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার বার্ষিকীতে এদিন বিকেল পাঁচটার দিকে হুমায়ুন আজাদ দিবস পালন উপলক্ষে লেখক-পাঠক ফোরামের উদ্যোগে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বইমেলার তথ্যকেন্দ্রের সামনে এক স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।

বিশিষ্ট প্রকাশক ওসমান গনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। বক্তৃতা প্রদান করেন কবি মোহন রায়হান, কবি আসলাম সানী, প্রকাশক মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ।

আরও পড়ুন:
বইমেলা ২ দিন বাড়ল
ক্যাটালগ দেখে ‘পছন্দের’ বই সংগ্রহে বইপ্রেমীরা
প্রাণের বইমেলায় বিদায়ের সুর

মন্তব্য

আরও পড়ুন

মুগদায় মায়ের সঙ্গে অভিমানে বিষপানে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু

মুগদায় মায়ের সঙ্গে অভিমানে বিষপানে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু

রাজধানীর মুগদায় মায়ের সঙ্গে অভিমানে ইঁদুর মারার বিষ পান করে সামিয়া আক্তার (১৫) নামে এক স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

রোববার (২৪ আগস্ট) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত সামিয়া মুগদা মাল্টিমিডিয়া স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী ও উত্তর মান্ডার এলাকার আজিজুল হকের মেয়ে।

সামিয়ার ভাই সাহিম জানান, সামিয়া একটু রাগী স্বভাবের ছিল। রাতে মায়ের সঙ্গে তুচ্ছ বিষয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে অভিমানে বাসায় রাখা ইঁদুর মারার বিষ পান করে। পরে দ্রুত ঢামেকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক মিয়া বলেন, ‘নিহত শিক্ষার্থীর মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি মুগদা থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The city of Brazil in the top ten in pollution is good today

দূষণে শীর্ষ দশে ব্রাজিলের শহর, ঢাকার বাতাস আজ ‘ভালো’

দূষণে শীর্ষ দশে ব্রাজিলের শহর, ঢাকার বাতাস আজ ‘ভালো’

বেশ কয়েক দিন পর বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার শীর্ষস্থানে রদবদল হয়েছে। আজ রবিবার সকালে চিরচেনা লাহোর, দিল্লির কোনো শহরই শীর্ষ দশের ধারেকাছে নেই। তবে এই তালিকায় আজ চলে এসেছে ব্রাজিলের সাও পাউলোর নাম।

রবিবার (২৪ আগস্ট) সকাল সোয়া ৯টার দিকে ১২৩ একিউআই স্কোর নিয়ে অষ্টম শীর্ষ দূষিত বাতাসের শহর হয়ে ওঠে সাও পাউলো। আইকিউ এয়ারের সূচক অনুযায়ী যার মান ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’।

তবে এই সময়ে ১৬৪ একিউআই স্কোর নিয়ে সবচেয়ে দূষিত বাতাসে শ্বাস নিচ্ছিল ইন্দোনেশিয়ার বাতাম শহরের বাসিন্দারা। ১৬৩ ও ১৫২ স্কোর নিয়ে তার পরেই ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই এবং কঙ্গোর কিনশাসার অবস্থান।

আর দিল্লির বাতাসের একিউআই সূচক ছিল ৯৫। লাহোরের বাতাসে দূষণের মান তখন আরও কম, ৮৪। অর্থাৎ প্রতিবেশী দুই দেশের শহরদুটির বাতাসের মান ছিল ‘মাঝারি’।

ঠিক সেই সময়ে তালিকার উপরের দিকে খুঁজেও ঢাকার নাম পাওয়া যায়নি। যাবে কীভাবে? ঢাকার অবস্থান তখন তলানির দিকে, বিশ্বের স্বাস্থ্যকর বায়ুর শহরগুলো মধ্যে। ৪২ একিউআই স্কোর নিয়ে সেই সময় স্বাস্থ্যকর বাতাস গ্রহণ করছে ঢাকাবাসী। তালিকার ৬৮তম স্থানে ছিল ঢাকার নাম।

কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।

বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Sheikh Hasina has made the liberation war as a fathers property Tuku

শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধকে বাপের সম্পত্তি বানিয়ে পঁচিয়ে দিয়েছে: টুকু

শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধকে বাপের সম্পত্তি বানিয়ে পঁচিয়ে দিয়েছে: টুকু

জামালপুরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল তারা এখন মুক্তিযুদ্ধকে চ্যালেঞ্জ করার সাহস পাচ্ছে। শেখ হাসিনার জন্যই এটা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ না হলে, জিয়াউর রহমান যুদ্ধের ঘোষণা না করলে এই ভূখন্ড হতো না। কিন্তু বাপের সম্পত্তি বানিয়ে হাসিনা এটাকে পঁচিয়ে দিয়েছে। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানকে একটা শ্রেণী বলার চেষ্টা করে এটা দ্বিতীয় স্বাধীনতা। সন্তান একবারই জন্মগ্রহণ করে। যে মুক্তিযুদ্ধ আমাদের মানচিত্র দিয়েছে সেটাই স্বাধীনতা, দ্বিতীয় স্বাধীনতা হতে পারে না। জামালপুর জেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, একটা নতুন আবিষ্কার হয়েছে পিআর পদ্ধতি। আমাদের বাংলাদেশের মানুষ যারা ভোট দেয় তারা তাদের প্রার্থীকে দেখতে চায়। যার ভোট সে দিবে, একজনকে ভোট দিবে, যাকে ভোট দিবে তাকে চিনতে হবে। পিআর মানুষ খায়ও না পড়েও না বিশ্বাসও করে না।

শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধকে বাপের সম্পত্তি বানিয়ে পঁচিয়ে দিয়েছে: টুকু

শনিবার (২৩ আগষ্ট) শহরের বেলটিয়া এলাকায় স্থানীয় একটি মাঠে জামালপুর জেলা বিএনপি এই ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলনের উদ্বোধক হিসেবে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল। জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামীমের সভাপতিত্বে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: শরিফুল আলম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ, অ্যাডভোকেট শাহ মো: ওয়ারেছ আলী মামুনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। এবারের সম্মেলনে ৭টি উপজেলা ও ৮টি পৌর শাখা বিএনপির ১ হাজার ৫১৫ জন কাউন্সিলরসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন। ৯ বছর পর আয়োজিত জেলা বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা ও উৎসবের আমেজ বিরাজ করে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The air quality of Dhaka is moderate today

ঢাকার বাতাসের মান আজ ‘মাঝারি’

ঢাকার বাতাসের মান আজ ‘মাঝারি’

আজ সোমবার, সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস। আজ সকালে ঢাকার আকাশে উঁকি দিয়েছে রোদ। বৃষ্টি কমে রোদ উঠতেই ঢাকার বাতাসের মানে অবনতি দেখা গেছে।

সোমবার (১৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৬৬। বায়ুমান সূচক অনুযায়ী, এই স্কোর নিয়ে শহরটির বাতাসের মান ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত হয়েছে।

গতকাল একই সময়ে ঢাকার বাতাসের মান ছিল ‘ভালো’, দূষণ-মান ছিল ৫০। এই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার ৭৪তম স্থানে নেমে গিয়েছিল ঢাকা। তবে আজ আবার তালিকার ২৬তম স্থানে উঠে এসেছে শহরটি।

এদিকে, গতকালের তুলনায় পাকিস্তানের লাহোরের বাতাসের মানে উন্নতি দেখা গেছে। ৮৩ স্কোর নিয়ে তালিকার ১২ তম স্থানে রয়েছে লাহোর। তবে ভারতের দিল্লির বায়ুদূষণ আজও অব্যাহত রয়েছে। ১২৩ স্কোর নিয়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি।

একই সময়ে ১৬৬ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে সৌদি আরবের রিয়াদ এবং ১৪৯ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কঙ্গোর কিনশাসা।

কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।

বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।

মন্তব্য

লালবাগে গণপিটুনিতে একজনের মৃত্যু 

লালবাগে গণপিটুনিতে একজনের মৃত্যু 

রাজধানীর লালবাগের শহীদনগর এলাকায় গণপিটুনিতে তৌফিকুল ইসলাম নামে এক যুবকের (২৬) মৃত্যু হয়েছে। তিনি স্থানীয়ভাবে ‘কিলার বাবু’ ওরফে ‘টেরা বাবু’ নামেও পরিচতি।

রোববার সকাল পৌনে ৮টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় সেনা সদস্যরা ওই যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

লালবাগ থানার ওসি মোস্তফা কামাল খান সমকালকে বলেন, ‘নিহত বাবুর বিরুদ্ধে চুরি ও মাদকের ১০-১২টি মামলা রয়েছে। তিনি এলাকার চিহ্নিত চোর এবং মাদক চোরাকারবারী। শনিবার রাত ২টার পরে শহীদ নগর এলাকায় লোকজন তাকে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তার মৃত্যু হয়।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
DMPs 24 cases in violation of traffic laws in the capital

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপি’র ২,২৪৬ মামলা

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপি’র ২,২৪৬ মামলা

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে গত দুই দিনে ২ হাজার ২৪৬টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

এছাড়াও অভিযানকালে ৩২২টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৯৯টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।

ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সোমবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করে।

ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
TCBs fair priced products in the capital started selling

রাজধানীতে টিসিবির ন্যায্যমূল্যের পণ্য বিক্রি শুরু

রাজধানীতে টিসিবির ন্যায্যমূল্যের পণ্য বিক্রি শুরু

ঢাকা মহানগরীতে দরিদ্র ও অসচ্ছল মানুষের জন্য ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে আজ সকাল থেকে।

ঢাকার সচিবালয়ের সামনে থেকে শুরু করে যাত্রাবাড়ী, বাড্ডা, ধোলাইপাড়, ধোলাইখাল, রামপুরাসহ বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি করছেন নির্বাচিত ডিলাররা।

প্রতিটি ট্রাক থেকে দরিদ্র একটি পরিবার ২ কেজি ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল ন্যায্য মূল্যে কিনতে পারছেন।

টিসিবির উপ পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, স্বল্প আয়ের মানুষের সুবিধার্থে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) উদ্যোগে রোববার থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ভর্তুকি মূল্যে রাজধানীতে ৬০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। পণ্যগুলো হল ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডাল।

জানা যায়, ঢাকা মহানগরীতে আজ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩০ দিন (শুক্রবার ছাড়া) টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে।

এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২৫টি, গাজীপুর মহানগরীতে ৬টি, কুমিল্লা মহানগরীতে ৩টি এবং ঢাকা জেলায় ৮টি, কুমিল্লা জেলায় ১২টি, ফরিদপুর জেলায় ৪টি, পটুয়াখালী জেলায় ৫টি ও বাগেরহাট জেলায় ৫টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে আজ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১৯ দিন (শুক্রবার ছাড়া) পণ্য বিক্রি করা হবে।

দৈনিক প্রতিটি ট্রাক থেকে ৫শ’ জন সাধারণ মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। একজন ভোক্তা একসঙ্গে সর্বোচ্চ ২ লিটার ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল কিনতে পারবেন। ভোজ্যতেল ২ লিটার ২৩০ টাকা, চিনি ১ কেজি ৮০ টাকা এবং মসুর ডাল ২ কেজি ১৪০ টাকায় বিক্রি করা হবে। যে কোনো ভোক্তা ট্রাক থেকে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।

উল্লেখ্য, স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি এসব পণ্য বিক্রি করা হবে।

মন্তব্য

p
উপরে