× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Sailab Book Fair for cheap and attractive books
google_news print-icon

সস্তা-চটুল বইয়ে সয়লাব বইমেলা

সস্তা-চটুল-বইয়ে-সয়লাব-বইমেলা
বইমেলয়ায় ছুটির দিনে ছিল উপচে পড়া ভিড়। ছবি: নিউজবাংলা
শিষ্টজনেরা বলছেন, কত বেশিসংখ্যক নতুন বই মেলায় এলো, তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানের দিক থেকে কত গুরুত্বপূর্ণ নতুন বই বের হলো, কত বেশি ক্ল্যাসিক পুনর্মুদিত হলো, ছাপা, বাঁধাই প্রভৃতির মান কতটা উন্নত সেগুলো।

বইমেলায় সমগ্র জাতির রুচি, মননশীলতা ও সৃষ্টিশীলতার পরিচয় পাওয়া যায়। এ মেলায় একটি জাতির অতীত ও বর্তমানের পরিচয় শুধু নয়, পূর্বাভাস পাওয়া যায় ভবিষ্যৎটি কেমন হবে সেটির বিষয়েও। অমর একুশে বইমেলা-২০২৪ এ প্রতিদিন প্রায় শ খানেক বই বের হচ্ছে। তার মধ্যে কতটি বই মানুষের চিন্তার খোরাক জোগাচ্ছে বা কতটি বই মানসম্মত সেটি এখন অবশ্য বিবেচ্য বিষয়।

শিষ্টজনেরা বলছেন, কত বেশিসংখ্যক নতুন বই মেলায় এলো, তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানের দিক থেকে কত গুরুত্বপূর্ণ নতুন বই বের হলো, কত বেশি ক্ল্যাসিক পুনর্মুদিত হলো, ছাপা, বাঁধাই প্রভৃতির মান কতটা উন্নত সেগুলো।

ফেসবুকে কারও ভালো ফলোয়ার থাকলেই তারা বই বের করে ফেলছেন আর তার অনুসারীরা সেসব বই কিনতে প্রতিদিন ভিড় জমায় মেলায়। আর এসব দেখেই তাদের বই প্রকাশে উৎসাহী হচ্ছেন অনেক প্রকাশক। এক প্রকাশক তো বলেই ফেললেন; বইয়ের মান নয় বইটি কত বিক্রি হচ্ছে সেটিই তার কাছে অধিক গুরুত্বপূর্ণ।

এই পরিস্থিতি উত্তরণে লেখকরা বলছেন, কোনটা সাহিত্য আর কোনটা সাহিত্য নয়, সেটা বোঝা উচিত। কোনটা সৃজনশীল বই, কোনটা মননশীল বই আর কোনটা সৃজনশীল-মননশীল কোনো বর্গেই পড়ে না, সেটাও বোঝা উচিত। যত দিন পর্যন্ত না আমাদের প্রকাশকরা সচেতন হবেন, তত দিন পর্যন্ত একুশে বইমেলা এসব চটুল বইয়ে সয়লাবই থাকবে।

আলোচিত তিশা-মুশতাক দম্পতির বই প্রকাশ করেছে মিজান প্রকাশনী। এই প্রকাশনীর প্রকাশক আ.ন.ম মিজানুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, ‘যারা একটু সেলিব্রিটি তাদের অনেককে আমি বলে রাখছি, ভাই তাড়াতাড়ি বই লেখেন। আপনার বই আমি প্রকাশ করবো। আর লিখতে না পারলে আমাকে বলেন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিবছর ২৫ জন নতুন লেখকের বই প্রকাশ করি।’

প্রকাশ করার জন্য মানসম্মত বই না পেলে কী করেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সব বই মানসম্মত হবে এরকম তো কোনো কথা নেই। ২৫টার মধ্যে ১০টা ভালো হলে আর পাঁচটা ভালো বিক্রি হলে তো হয়েছেই। বিক্রির জন্য পাঁচটি বই-ই যথেষ্ট। প্রয়োজনে আর ২০টি বইয়ে লস দেব। আমরা মূলত বিক্রিকেই প্রাধান্য দেই।’

তিশা-মুশতাকের বই ছাপানোর কারণ সম্পর্কে মিজানুর রহমান বলেন, ‘গতবছর তিশা-মুশতাকের বই আমি প্রকাশ করেছি। তখন ১ হাজার কপি বিক্রি হয়েছে। তাই এই বছর আমরা তার বই আবার প্রকাশ করেছি।’

আপনার প্রকাশনীর সম্পাদনা পরিষদ কয় সদস্যের- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘পাঁচ সদস্যের। তারা হলেন, লেখক নুরুল হক আর এনায়েত রসুল।’
বাকি তিনজন কারা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যখন যাকে পাওয়া যায় তখন তাকে নিয়ে নেই।’

পাণ্ডুলিপি সম্পাদনা করার ক্ষেত্রে তারা কোন বিষয়টি প্রাধান্য দেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা যে বই দেই সেই বই-ই তারা অ্যাপ্রুভ করে। তবে মানও যাচাই-বাছাই করে। তবে আমাদের বইয়ে ভুল কম।’

বই প্রকাশের ক্ষেত্রে কোন বিষয়ে নজর দেয়া উচিত জানতে চাইলে অন্বেষা প্রকাশনীর প্রকাশক শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘বই প্রকাশের ক্ষেত্রে বইয়ের বিষয়বস্তুর দিকে নজর দেয়া উচিত। বইটি পাঠকপ্রিয়তা পাবে কি না বা বইটির বিষয়বস্তু পাঠকের উপযোগী কি না সেসব বিষয় দেখে আমরা বই প্রকাশ করি। যেসব বই পাঠককে বিনোদনও দেবে না আবার কেনো জ্ঞানও অর্জন করা যাবে না সেসব বই কী কাজে লাগবে আমি জানি না।’

তিনি বলেন, ‘ভাইরাল লেখকের বই কখনো টিকে থাকে না। তারা সাময়িকভাবে আসে আর কিছুদিন হইচই করে এরপর আবার চলে যায়। তাই এগুলো নিয়ে আমরা আশাহত না। যারা ভালো লেখক, যাদের বইয়ের কনটেন্ট ভালো তাদের বই টিকে থাকে।’

এই প্রকাশক বলেন, ‘সবার আসলে লেখক হওয়া উচিত না। ভালো লেখকের এখন পর্যাপ্ত অভাব। আমরা ভাষা আন্দোলন বা গবেষণধর্মী কোনো বইয়ের পাণ্ডুলিপি পাই না। গল্প উপন্যাসের দিকে না ঝুঁকে তরুণ প্রজন্মের বিষয়ভিত্তিক বইয়ের দিকে ঝোঁকা উচিত।’

আলোচিত-সমালোচিত ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর প্রথম বই বন্দিনি প্রকাশ করেছে আহমদ পাবলিশিং হাউজ। এই হাউজের পরিচালক মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ডা. সাবরিনার বইয়ের লেখার মান ভালো। আমরা লেখা দেখেই বই প্রকাশ করেছি। বিক্রিও হয়েছে অনেক। সেলিব্রিটি ভাইরাল কি না এসব বিষয় আমাদের মূল লক্ষ্য না। আমাদের সম্পাদনা পরিষদ রয়েছে তারা যাচাই-বাছাই করেই বই প্রকাশের জন্য নির্বাচিত করেন।’

সময় প্রকাশনের প্রকাশক ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘পাণ্ডুলিপি প্রকাশের বিষয়ে ব্যতিক্রমী বিষয়কে প্রাধান্য দেয়া হয়। আর লেখার মানের ওপর প্রাধান্য থাকে সবচেয়ে বেশি। সেক্ষেত্রে সম্পাদকের ভূমিকা অনেক পরে। প্রকাশক যখন বইটি ছাপানোর সিদ্ধান্ত নেয় তখন সম্পাদকীয় বোর্ডের বিষয়টি আসবে। বই বাছাইয়ের ক্ষেত্রে প্রকাশকের ইচ্ছাটাই মুখ্য। তবে সেক্ষেত্রে কোন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বইটি বের করা হচ্ছে সেটি হচ্ছে মূল বিষয়।’

তিনি বলেন, ‘লেখালেখি করার স্বাধীনতা সবার আছে। তবে লেখাটা কি আসলে প্রকাশের উপযুক্ত হলো কি না সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বই প্রকাশের ক্ষেত্রে প্রকাশকের ভূমিকাই সব। কোন বইটি প্রকাশ করা হলো সেটি পাঠক উপযোগী কি না সেটির দায়ভার যতটা না সেই লেখকের তার বেশি যে বইটি বের করলো সেই প্রকাশকের।’

অন্যপ্রকাশ প্রকাশনীর প্রকাশক মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘সম্পাদনা ছাড়া আমরা কোনো বই প্রকাশ করি না। প্রকাশক যখন মনে করে বইটি প্রকাশের উপযোগী হয় তখনই তা প্রিন্টে যায়।’

বই লেখকদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের গণতান্ত্রিক দেশে বই লেখার অধিকার সবার আছে। সেটি পাঠক কিভাবে গ্রহণ করবে সেটি তাদের বিষয়। এখন অনেক বই-ই সম্পাদনা ছাড়া বের হচ্ছে। অনেক প্রকাশনীরই নিজস্ব সম্পাদকীয় বোর্ড নেই, প্রুফ রিডার নেই। প্রকাশকদের দৈন্যদশার কারণে এমনটা হচ্ছে। সাহিত্যের এই দিকটার খুবই করুণ দশা।’

এদিকে শুক্রবারের মেলা ছিলোলোকে লোকারণ্য। বিক্রয়কর্মীরা বলছেন, গত শুক্রবারের চেয়ে এই শুক্রবারের ভিড় অনেক বেশি। বিক্রিও হচ্ছে গত শুক্রবারের চেয়ে ভালো। তবে ভিড় অনুযায়ী বিক্রি তেমন হচ্ছে না। আর এটি নিয়ে দুঃখিতও নন প্রকাশক শাহাদাৎ হোসেন।

তিনি বলেন, ‘মেট্রোরেল থাকার কারণে ঢাকার এক প্রান্ত উত্তরা থেকে পাঠকরা সহজে মেলায় চলে আসতে পারছেন। এ জন্য ভিড়টাও একটু বেশি। তবে সে অনুযায়ী বিক্রি না হলেও এ জন্য আমি দুঃখিত না। মানুষ বইমেলামুখী হচ্ছে এটাই সস্তির খবর। এটাই দরকার ছিল।’

প্রতি শুক্রবারের মতো এই শুক্রবারের শিশুপ্রহরও জমিয়ে তুলেছে সিসিমপুর। বেশ কদিন আগে পহেলা ফাগুন শেষ হয়ে গেলেও মা-বাবাকে নিয়ে বাসন্তি সাজে মেলায় এসেছে অনেক ছোট্ট সোনামনিরা। তাদের হৈ-হুল্লোড় আর দৌড়াদৌড়িতে অনেক মা-বাবাও তাদের শৈশবের স্মৃতিতে ফিরে গিয়েছেন।

মিরপুর থেকে চার বছরের বাচ্চা তানহাকে নিয়ে আসা বাবা রাসেল মজুমদার বলেন, ‘বাচ্চা বাসায় থাকার কারণে খেলার বা মাঠে দৌড়াদৌড়ির সুযোগ পায় না। তাই মেলায় নিয়ে এসেছি। এখানে তার দৌড়াদৌড়ি আর সিসিমপুরের চরিত্র হালুম টুকটুকি ইকুকে সরাসরি দেখে তার মধ্যে যে খুশির উচ্ছাস দেখতে পাচ্ছি সেটি আমাকেও আনন্দিত করছে।’

১৬তম দিনে নতুন বই ২৯৮টি

এদিন মেলায় এসেছে এ বছরের সর্বোচ্চ সংখ্যক ২৯৮টি নতুন বই। এটি এখন পর্যন্ত নতুন বই আসার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সংখ্যা।

শিশু-কিশোর আবৃত্তি প্রতিযোগিতা

সকাল দশটায় বইমেলার মূলমঞ্চে অমর একুশে শিশু-কিশোর আবৃত্তি প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৩০জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। ক-শাখায় প্রথম হয়েছে ফারহিনা মোস্তাক আযওয়া, দ্বিতীয় হয়েছে অংকিতা সাহা রুদ্র এবং তৃতীয় হয়েছে ফাবলিহা মোস্তাক আরওয়া। খ-শাখায় প্রথম হয়েছে সমৃদ্ধি সূচনা স্বর্গ, দ্বিতীয় হয়েছেন সুবহা আলম এবং তৃতীয় হয়েছে অন্বেষা পণ্ডিত এবং গ-শাখায় প্রথম হয়েছে সিমরিন শাহীন রূপকথা, দ্বিতীয় হয়েছে আবদুল্লাহ আল হাসান মাহি এবং তৃতীয় হয়েছন তাজকিয়া তাহরীম শাশা। বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন আবৃত্তিশিল্পী ড. ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, ডালিয়া আহমেদ এবং ড. মো. শাহাদাৎ হোসেন।

বিকেল চারটায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘স্মরণ: ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিক’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হারিসুল হক। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভী, ফজিলাতুন নেছা মালিক এবং এস এম মোস্তফা জামান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, ‘দেশের মানুষের হৃদরোগ চিকিৎসার জন্য অধ্যাপক আব্দুল মালিক আজীবন কাজ করে গেছেন। তিনি কেবল ভালো চিকিৎসকই ছিলেন না, একজন অসাধারণ শিক্ষক ও জনদরদী মানুষও ছিলেন। তার কীর্তির মধ্য দিয়েই তিনি গণমানুষের হৃদয়ে চিরকাল বেঁচে থাকবেন।’

‘লেখক বলছি’ অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন গবেষক ড. এম আবদুল আলীম, কথাসাহিত্যিক নাহার মনিকা, কবি স্নিগ্ধা বাউল এবং শিশুসাহিত্যিক অপু বড়ুয়া।

শনিবারের বইমেলা

শনিবার মেলা শুরু হবে সকাল এগারোটায় এবং চলবে রাত নয়টা পর্যন্ত। সকাল এগারোটা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত মেলায় থাকবে শিশুপ্রহর। সকাল দশটায় বইমেলার মূলমঞ্চে শিশু-কিশোর সংগীত প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। বিকেল চারটায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে স্মরণ: শহীদ সাবের এবং স্মরণ: পান্না কায়সার শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান।

প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন যথাক্রমে মনির ইউসুফ এবং মামুন সিদ্দিকী। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন গিয়াস উদ্দিন, সুভাষ সিংহ রায়, রতন সিদ্দিকী এবং শমী কায়সার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন রামেন্দু মজুমদার।

আরও পড়ুন:
মেলায় গবেষণাধর্মী বইয়ের প্রকাশ ও বিক্রি দুটোই কম
বসন্ত-ভালোবাসায় রাঙানো প্রাণের মেলা
বসন্ত আর ভালোবাসার দিনের অপেক্ষায় বইমেলা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Many students could not vote in Chaksu elections despite being a student

ছাত্র হয়েও ভোট দিতে পারেননি চাকসু নির্বাচনে অনেক শিক্ষার্থী

ছাত্র হয়েও ভোট দিতে পারেননি চাকসু নির্বাচনে অনেক শিক্ষার্থী

দীর্ঘ ৩৬ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন, হল ও হোস্টেল সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনকে ঘিরে বুধবার সকাল থেকেই চবিতে ঈদের উৎসব বিরাজমান। শিক্ষার্থীরা দলে দলে শাটলে ও বাসে এসে সবুজের রাজ্য খ্যাত চবি ক্যাম্পাসে নামছেন। সকাল নয়টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে এখনো চলমান রয়েছে। ভোট প্রদানের পর শিক্ষার্থীরা স্মার্টফোন হাতে ছবি, ভিডিও নিয়ে উল্লাসে মেতে ওঠেছেন। তবে এসব আনন্দের অংশ হতে পারেনি ২৪২ জন ভোটার।

দীর্ঘ ৩৬ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন এবং হল ও হোস্টেল সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনের কারণে বুধবার সকাল থেকেই চবি ক্যাম্পাসে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে। শাটল ট্রেন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে দলে দলে শিক্ষার্থীরা ছুটে আসেন সবুজে ঘেরা ক্যাম্পাসে।

ছাত্র হয়েও ভোট দিতে পারেননি চাকসু নির্বাচনে অনেক শিক্ষার্থী

সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ দুপুর পর্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে চলতে থাকে। ভোট প্রদান শেষে শিক্ষার্থীরা স্মার্টফোনে ছবি ও ভিডিও ধারণ করে আনন্দ-উচ্ছ্বাস ভাগাভাগি করেন।

তবে এই আনন্দের অংশ হতে পারেননি ২৪২ জন শিক্ষার্থী, যারা বৈধ ছাত্র হয়েও ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

চাকসু নির্বাচনে এবার ২৭ হাজার ৫০০ ভোটারের মধ্যে ২৪২ জন ভোটার রয়েছে পিএইচডি ও এমফিল গবেষক শিক্ষার্থী। যারা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ায় নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গেও তারা যুক্ত আছেন। এতে নৈতিকতার দিক থেকে ভোট প্রদান করতে পারবেন না তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান, “চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ২৭ হাজার ৫০০ ভোটারের মধ্যে ২৪২ জন পিএইচডি ও এমফিল পর্যায়ের শিক্ষার্থী। নিয়ম অনুযায়ী তারাও এবার ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। ফলে এসব শিক্ষকদেরও ভোটার হিসেবে ধরা হয়েছে, যেহেতু তারা এখনো শিক্ষার্থী হিসেবে নিবন্ধিত।

তবে আমি নিজেও নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। ভোটকেন্দ্রের বাইরে নিরাপত্তা, হোস্টেল, হল ও প্রবেশপথসহ বিভিন্ন পয়েন্টে শিক্ষকরা দায়িত্ব পালন করছেন। তাই আমি মনে করি, ভোটার তালিকায় নাম থাকলেও আমাদের ভোট প্রদান করা নৈতিক হবে না। এ কারণেই সংশ্লিষ্ট সবাই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে আমি বিশ্বাস করি।”

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Teachers at Shaheed Minar withdraws from Press Club on Sound Grenade

সাউন্ড গ্রেনেডে উত্তেজনা, প্রেস ক্লাব থেকে সরে শহীদ মিনারে শিক্ষকরা

সাউন্ড গ্রেনেডে উত্তেজনা, প্রেস ক্লাব থেকে সরে শহীদ মিনারে শিক্ষকরা

২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়ার দাবিতে দেশের বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনে পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানীর প্রেস ক্লাব এলাকায়। পুলিশের বাধার মুখে সেখান থেকে সরে তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছেন।

রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুরে সেখানে সরে গিয়ে ওই স্থান থেকেই তারা লাগাতার কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, জনদুর্ভোগ এড়াতে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমাদের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি এখন থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলবে। প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখান থেকেই কর্মসূচি চালিয়ে যাব।

তিনি আরও বলেন, আমাদের শীর্ষ নেতারা এরইমধ্যে শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছেন। যারা এখনো প্রেস ক্লাবে আছেন, তাদের অনুরোধ করছি মিছিলসহ শহীদ মিনারে চলে আসতে। আমরা এখান থেকেই আমাদের আন্দোলন পরিচালনা করব এবং বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে লাগাতার আন্দোলনকে সাজাবো ইনশাআল্লাহ।

অধ্যক্ষ আজিজী বলেন, আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি—যতক্ষণ পর্যন্ত জাতীয়করণের প্রজ্ঞাপন জারি না হবে, আমরা শহীদ মিনার ছাড়ব না, ঢাকার রাজপথও ছাড়ব না। আলোচনার মাধ্যমে, সহযোগিতার মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন নিয়েই বিজয়ী বেশে আমরা শ্রেণিকক্ষে ফিরব।

অন্যদিকে প্রেস ক্লাব এলাকা থেকে শিক্ষক নেতাদের সরাতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে শিক্ষকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। অনেকেই আবার প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টাও করেন। তবে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোন সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Sarah Cook recycled the UK support for a fair election in Bangladesh

বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত সারাহ কুকের

বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত সারাহ কুকের

ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনের সাথে বৈঠক করেন। ছবি: ফেসবুক

বাংলাদেশে আগামী বছর একটি অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।

আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সাথে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

সারাহ কুক বলেন, ‘যুক্তরাজ্য কয়েক মাস আগে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণাকে স্বাগত জানায়। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সাথে বৈঠকে খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে আগামী বছর বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছি।'

তিনি বলেন, 'নির্বাচন কমিশন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করি। যুক্তরাজ্য বিশেষ করে জাতীয় নাগরিক শিক্ষা কর্মসূচির মাধ্যমে, বিশেষ করে দেশের দুর্বল গোষ্ঠীগুলির জন্য এবং ভোটগ্রহণ কর্মীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করছে। তাই আমাদের এজেন্ডা ছিল নির্বাচন কমিশনের সাথে যুক্তরাজ্যের সমর্থন নিয়ে আলোচনা করা। যেমনটি আমি বলেছি, জাতীয় নাগরিক শিক্ষা এবং ভোটগ্রহণ কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্যও আমরা কাজ করছি। এই বিষয়গুলো নিয়ে আজ নির্বাচন কমিশনের সাথে আলোচনা করেছি।'

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি যে যুক্তরাজ্য আগামী বছর বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে সমর্থন করছে।’

মন্তব্য

উত্তরায় বাসের ধাক্কায় মোটরবাইক চালকের মৃত্যু

উত্তরায় বাসের ধাক্কায় মোটরবাইক চালকের মৃত্যু

রাজধানীর উত্তরার কবি জসীমউদ্দীন রোডে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় এক মোটরবাইক চালক নিহত হয়েছেন। মোহাম্মদ আরমান মির্জা (২১) নামের ওই তরুণ কলেজ শিক্ষার্থী ছিলেন।

সোমবার ভোররাত ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পথচারীরা আহত আরমানকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর সাড়ে ৬ টার দিকে মারা যান।

নিহতের খালা নাজনীন আক্তার জানান, ‘খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেল জরুরি বিভাগে এসে আমার ভাগিনা আরমানের মরদেহ দেখতে পাই। সে আব্দুল্লাহপুরের নবাব হাবিবুল্লাহ কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছে। গভীর রাতে আরমান মোটরবাইক চালিয়ে যাওয়ার সময় জসিম উদ্দিন রোডে বেপরোয়া গতির একটি বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়।

তিনি আরও জানান, আরমানের বাড়ি চাঁদপুর জেলার হাজিগঞ্জ থানার পূর্ব হাতিআলা গ্রামে।

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Dhaka South City Corporation is working to reduce temporary waterlogging caused by thunderstorms with thunderstorms

বজ্রসহ মুষলধারার বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট অস্থায়ী জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন

বজ্রসহ মুষলধারার বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট অস্থায়ী জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্টিতব্য লঘূচাপের প্রভাবে রাজধানী ঢাকায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি এবং ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে, রাত হতে রাজধানীতে বজ্রসহ মুষলধারে বৃষ্টির ফলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বেশ কিছু এলাকায় অস্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।

বজ্রসহ মুষলধারার বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট অস্থায়ী জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রতিটি ওয়ার্ডে ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া, ওয়ার্ডভিত্তিক ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম (Emergency Response Team) কাজ করে চলেছে। গ্রীন রোড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, শান্তিনগর, বেইলি রোড, কাকরাইল, পল্টন, সাত মসজিদ রোড, ধানমণ্ডি এলাকার জলাবদ্ধতা ইতোমধ্যে সমাধান হয়েছে। তবে, পানি নির্গমনের আউটলেট অংশ এবং খাল-নদীর অংশের পানির লেভেল প্রায় একই হওয়ার ফলে পানি নিষ্কাশনের ধীরগতি বিদ্যমান থাকায় কিছু এলাকার পানি নামতে আরও কয়েক ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। এ সব এলাকা থেকে অস্থায়ী পোর্টেবল পাম্পের মাধ্যমে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া, কমলাপুরে স্থাপিত হাই প্রেসার ভার্টিক্যাল পাম্পের মাধ্যমে দ্রুত পানি নামানোর কাজ চলমান রয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ০১৭০৯৯০০৮৮৮ (01709900888) মাধ্যমে সার্বিক পরিস্থিতি তদারকি অব্যাহত রয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Rains from night

রাত থেকে বৃষ্টি, রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে পানি

রাত থেকে বৃষ্টি, রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে পানি

রাজধানীতে গতকাল রাত থেকে শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টি। মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া অবিরাম বৃষ্টি আজ সোমবার সকালেও থামেনি। বৃষ্টির সঙ্গে ছিলো বজ্রপাতও। মুষলধারে হওয়া এই বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে পানি জমেছে। ফলে সড়কে আটকে আছে গণপরিবহন। এতে সাতসকালেও ঘর থেকে কাজে বের হওয়া লোকজন পরেছেন ভোগান্তিতে।

এদিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ধানমন্ডি, আসাদগেট, কলাবাগান, মোহাম্মদপুর, মিরপুর ১০, মিরপুর শেওড়াপাড়া, নিউমার্কেট, মগবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় পানি জমতে দেখা যায়। এসব এলাকায় কোথাও হাঁটুপানি পরিমাণ জমলেও আসাদগেট, মগবাজার, মিরপুরের শেওড়াপাড়ায় ছিল কোমরসমান পানি।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার দিবাগত রাত ১২টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে রাজধানীতে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারী অবস্থায় রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি লঘূচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পূর্ব মধ্যে বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর আরেকটি লঘূচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এবং এটি ঘণীভূত হতে পারে।

এদিকে রাজধানীতে সকালে হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষ। শ্যামলী থেকে তেজগাঁও সাতরাস্তায় আসতে গিয়ে আসাদগেট কোমরসমান পানিতে আটকা পড়েন ওবায়দুর রহমান। তিনি বলেন, সকালে বাসা থেকে অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে বের হলেও বৃষ্টির কারণে সময়মত অফিসের জন্য বের হতে পারিনি। কোনোভাবে যাও বের হয়েছিলাম, তা পথের বিভিন্ন জায়গায় হাঁটুসমান থেকে কোমরসমান পানির জন্য আটকে থাকতে হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, রাস্তায় পানি জমে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে পরেছে। অফিসগামী লোকজনদের পরতে হয়েছে দুর্ভোগে।

এছাড়া শেওড়াপাড়া থেকে ফাহিম নামের এক তরুণ বলেন, বৃষ্টির কারণে গাড়ি পাচ্ছি না। রাস্তায় এত পরিমাণ পানি জমেছে যে, হেঁটে যাওয়ারও কোনো উপায় নেই। রিকশায়ও ভাড়া অনেক বেশি চাচ্ছে।

রোববার সন্ধ্যা ৬টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

প্রসঙ্গত, গতকয়েক দিন ধরেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রচণ্ড ভ্যাপসা গরম ছিল। এ অবস্থায় গত শনিবার ও রোববার রাজধানীর আকাশ খানিকটা ঘোলাটে ছিল। তবে আজ সোমবার থেকে বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The Grand Opening of Tripology began in Dhaka

ট্রিপোলজির জমকালো যাত্রা শুরু, গ্র্যান্ড ওপেনিং অনুষ্ঠিত হলো ঢাকায়

ট্রিপোলজির জমকালো যাত্রা শুরু, গ্র্যান্ড ওপেনিং অনুষ্ঠিত হলো ঢাকায়

রাজধানীর বনানীতে যাত্রা শুরু করলো ভ্রমণ ও পর্যটনভিত্তিক নতুন প্রতিষ্ঠান ট্রিপোলজি। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জুই গার্ডেনে অবস্থিত ট্রিপোলজির অফিসে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে এর উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রাভেল ব্লগার শিশির দেব। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও যোগ দেন ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা: আশীষ কুমার চক্রবর্ত্তী এবং কোরিওগ্রাফার গৌতম সাহা।

উদ্বোধনী আয়োজনে ছিল রিবন কাটিং, অফিসিয়াল ফটো সেশন এবং দর্শকদের জন্য বিশেষ মিট অ্যান্ড গ্রিট সেশন। অনুষ্ঠান ঘিরে ভ্রমণপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা যায় এবং তারা বাংলাদেশের ভ্রমণ শিল্পে ট্রিপোলজির সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ট্রিপোলজির কো-ফাউন্ডার তাজরিন আখতার, আবু বক্কর সিদ্দিক ও তৌহিদুল ইসলাম জানান, তাদের লক্ষ্য হলো আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে বাংলাদেশে ট্রাভেল ইন্ডাস্ট্রিকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়া। কোম্পানির সিইও ইমতিয়াজ কাইসুল বলেন, “ট্রিপোলজি শুধুমাত্র একটি ট্রাভেল এজেন্সি নয়; আমরা চাই মানুষ যেন ভ্রমণের প্রতিটি ধাপে নিশ্চিন্ত সেবা পায়। ভিসা প্রসেসিং থেকে শুরু করে এয়ার টিকিট, হোটেল বুকিং ও হলিডে প্যাকেজ সবকিছুতেই আমরা সর্বোচ্চ পেশাদার মান নিশ্চিত করতে চাই।”

ট্রিপোলজি বর্তমানে প্রথম বিশ্বের দেশগুলোর ভিসা প্রসেসিংয়ে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেছে। পাশাপাশি সব ধরনের দেশি-বিদেশি হলিডে প্যাকেজ, এয়ার টিকিট, হোটেল বুকিং, থার্ড ওয়ার্ল্ড ভিসা প্রসেসিং ও স্টুডেন্ট ভিসা সংক্রান্ত সেবা দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা আশা প্রকাশ করেন, ট্রিপোলজির উদ্যোগ বাংলাদেশের ভ্রমণশিল্পকে আরও গতিশীল করবে।

ঠিকানা: জুই গার্ডেন, হাউস ২/এ, লেভেল-৭, ব্লক এল, রোড ২/১, বনানী-১২১৩, ঢাকা।

মন্তব্য

p
উপরে