× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The gazette declaring the boat candidate Abdul Hai as MP has been suspended
google_news print-icon

নৌকার প্রার্থী আব্দুল হাইকে এমপি ঘোষণা করে দেয়া গেজেট স্থগিত

নৌকার-প্রার্থী-আব্দুল-হাইকে-এমপি-ঘোষণা-করে-দেয়া-গেজেট-স্থগিত-
মো. আব্দুল হাই। ফাইল ছবি
গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী আব্দুল হাইকে বিজয়ী ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ঝিনাইদহ-১ আসনের নৌকার প্রার্থী মো. আব্দুল হাইকে সংসদ সদস্য পদে বিজয়ী ঘোষণার গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত করেছে হাইকোর্ট।

বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ আগামী দুই মাসের জন্য বৃহস্পতিবার এই স্থগিত আদেশ দেয়। খবর বাসসের

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে ঝিনাইদহ-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম দুলাল বিশ্বাসের আনা আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেয় উচ্চ আদালত।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করে আইনজীবী মজিবুর রহমান।

গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী আব্দুল হাইকে বিজয়ী ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

নির্বাচনে ৯৪ হাজার ৩৭৯ ভোট পান আব্দুল হাই। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম দুলাল (ট্রাক প্রতীক) পেয়েছেন ৮০ হাজার ৫৪৭ ভোট।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Naogaon Government Fish Farm Renu demand is increasing day by day

নওগাঁর সরকারি মৎস্য খামারের রেনুর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে

চাহিদার তুলনায় কম উৎপাদন, তবুও জনপ্রিয় সরকারি রেনু
নওগাঁর সরকারি মৎস্য খামারের রেনুর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে

নওগাঁয় সরকারি মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার থেকে উন্নত মানের রেনু সরবরাহ করায় মাছ চাষিদের কাছে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তবে চাহিদা থাকলেও পর্যাপ্ত পরিমাণ রেনু উৎপাদন হচ্ছে না। চাষিদের বাড়তি দামে বেসরকারি খামার থেকে কিনতে হচ্ছে। উপকরণ ও জনবল বাড়ানো গেলে রাজস্ব আয়ের পাশাপাশি জেলায় মাছ চাষিরা চাহিদা মতো রেনু পেয়ে উপকৃত এবং লাভবান হবেন।
কৃষিতে সমৃদ্ধ উত্তরের জেলা নওগাঁ। পাশাপাশি মৎস্য খাতেও এগিয়ে এ জেলা। সরকারি মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার থেকে উন্নত মানের রেনু সরবরাহ করায় সুবিধা পাচ্ছে মাছ চাষিরা। তবে উন্নত মানের রেনু সরবরাহ নিশ্চিত করার মাধ্যমে, এটি দেশের সামগ্রিক মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি প্রোটিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে কাজ করবে এমন প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
জানা যায়, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২০০ কেজি রেনু। যা থেকে রাজস্ব আয় হবে ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এছাড়া বিগত অর্থবছরগুলোতে আয় হয়েছে সন্তোষজনক। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১৩৭ কেজি রেনু থেকে রাজস্ব আয় ৭ লাখ ৯ হাজার টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১২২ কেজি রেনু থেকে রাজস্ব আয় ৬ লাখ ৮৫ হাজার ৫০০ টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১২০ কেজি রেনু থেকে রাজস্ব আয় ৬ লাখ ৫২ হাজার ৫০০ টাকা। এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে ৭৭ কেজি রেনু থেকে রাজস্ব আয় ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
নওগাঁ শহরের আরজি-নওগাঁয় অবস্থিত সরকারি মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারের আয়তন প্রায় ১১ একর। যেখানে সাড়ে ৪ একর জায়গায় রয়েছে ১০টি পুকুর। এসব পুকুরে কার্প জাতীয় মা-মাছ- রুই, মৃগেল, কাতলা, কালবাউস ও পাঙাশসহ অন্য মাছ চাষ করা হয়। যা থেকে উন্নত মানের রেনু উৎপাদন করে চাষিদের কাছে সরবরাহ করা হয়। এ খামার থেকে বছরে ৫ মাস রেনু উৎপাদন হলেও চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। সরকারি খামারে রেনু উৎপাদন কম হওয়ায় বেসরকারি খামারের রেনু দিয়ে চাহিদা পুরণ করে মাছ চাষিরা। জেলায় ৩১টি বেসরকারি মৎস্য বীজ (হ্যাচারি) উৎপাদন খামার রয়েছে। যা থেকে বছরে প্রায় ১৩ মেট্রিক টন কার্প জাতীয় রেনু উৎপাদন হয়। জেলার চাহিদা মিটিয়ে পাশের জেলায় সরবরাহ করা হয়।
মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারগুলো মৎস্য চাষ, সরবরাহ এবং জনসাধারণের জন্য অনেকভাবে উপকারী। এই খাবারগুলোর উন্নত মানের পোনা সরবরাহ করে মৎস্য চাষিদের উপকৃত করে, যা মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
মাছ চাষিরা জানান, সরকারি খামারে তুলনামূলক রেনুর দাম কম ও মানে ভালো। তবে এ খামার থেকে চাহিদা মতো রেনু না পাওয়ায় মাছ চাষিদের ভরসা বেসরকারি খামার। প্রতি কেজিতে অন্তত ৫০০-৯০০ টাকা বেশি দামে বেসরকারি খামার থেকে কার্প জাতীয় রেনু কিনতে হয়। তবে সরকারি খামারের রেনু থেকে গুণগত মানসম্পন্ন মাছ উৎপাদন হওয়ায় লাভবান চাষিরা।

সদর উপজেলার চকআবরশ গ্রামের মাছচাষি মীর বকস বলেন, ‘সরকারি খামারের রেনু উন্নত মানের। এ রেনু থেকে মাছ চাষ করলে মাছের স্বাস্থ্য ও বৃদ্ধি বেশি হয়। এতে দাম ভালো পাওয়া যায় এবং লাভবান হওয়া যায়।’
হ্যাচারি টেকনিশিয়ান ইমরান হোসেন বলেন, ‘এ খামারে খামার ব্যবস্থাপকসহ পদসংখ্যা রয়েছে ৫ জন। জনবল কম থাকায় উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। জনবল ও উপকরণ বাড়ানো গেলে আরও বেশি পরিমাণ রেনু উৎপাদন হবে এবং রাজস্ব বেশি আয় হতো।’
মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার ব্যবস্থাপক কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান বলেন, ‘আমাদের প্রধান উদ্যেশ্য গুণগত মানসম্পন্ন রেনু ও পোনা উৎপাদন করা। পাশাপাশি চাষিদের উদ্বৃদ্ধ করা এবং ভালো মানের পোনা সরবরাহ করা। এছাড়া চাষিদের প্রশিক্ষণ প্রদানসহ চাষকৃত পুকুর পরিদর্শন করা হয়। তবে খামারে গবেষণা করে নতুন জাত সরবরাহ করা হলে চাষিরা আরও উপকৃত হবে।’
তিনি বলেন, ‘জেলায় বেশকিছু বেসরকারি মাছের খামার (হ্যাচারি) গড়ে উঠেছে। যা আমাদের বিভাগ থেকে তদারকি করা হয়। সরকারি এবং বেসরকারি হ্যাচারি মিলে মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারছি বলে মনে করা হচ্ছে।’
নওগাঁ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ফেরদৌস আলী বলেন, ‘মা-বাবা মাছ যদি ভালো হয় তা থেকে উৎপাদিত রেনু ভালো হবে। পদ্মা ও যমুনাসহ বিভিন্ন উৎস থেকে ভালো মানের মা-মাছ সংগ্রহ করে রেনু উৎপাদন করা হয়। সরকারি খামার থেকে মাছ চাষিদের রেনু কেনার জন্য উদবুদ্ধ করা হয়। এতে ভালো রেনু পেয়ে চাষিরা লাভবান ও উপকৃত হবেন।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
3 including two children students were killed when a truck loaded with bamboo overturned in Pabna

পাবনায় বাঁশ বোঝাই ট্রাক উল্টে দুই শিশু শিক্ষার্থীসহ নিহত ৩

পাবনায় বাঁশ বোঝাই ট্রাক উল্টে দুই শিশু শিক্ষার্থীসহ নিহত ৩

পাবনায় বাঁশ বোঝাই ট্রাক উল্টে দুই শিশু শিক্ষার্থীসহ তিনজন নিহত হয়েছ। পাবনা সদর উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের বাঙ্গাবাড়িয়া নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। রোববার সকাল ৭টার দিকে একটি স্কুলগামী ভ্যানের উপড় বেড়া থেকে ছেড়ে আসা একটি বাঁশ বোঝাই ট্রাক অপর একটি গাড়িকে বাঁচাতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে স্কুল ভ্যানের উপড় পড়লে ভ্যানে থাকা দুই শিক্ষার্থীসহ ভ্যানচালক ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।

এ ঘটনায় আহত সদর উপজেলার মধুপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে সাদ হোসেনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতদের মাঝে গয়েশপুর ইউনিয়নের পঞ্চমপুর গ্রামের বাসিন্দা আহম্মদ আলী শেখের ছেলে ৫ম শ্রেণির ছাত্র নূর মোহাম্মদ তোহা (১৩), জাফরাবাজ গ্রামের শামসুল মোল্লার মেয়ে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী তাসমিয়া (১৩) ও গঙ্গারাম পুর ইউনিয়ন এর ধর্মগ্রামের মৃত আব্বাস হোসেনের ছেলে ভ্যানচালক আকরাম আলী (৫৬)। দুই শিক্ষার্থী পাবনার জালালপুরের পাবনা ক্যাডেট কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষার্থী।

প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, স্থানীয় জনতা এগিয়ে এসে বাঁশের স্তূপ সরিয়ে মরদেহগুলো উদ্ধার করেন। এবং সড়কজুড়ে বাঁশ পড়ে, যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এসে সড়ক থেকে গাড়ি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়ার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক মাসে এই স্থানে কয়েকজনের প্রাণহানি ঘটেছে, সড়কে স্পিড ব্রেকার না থাকায় এমন দুর্ঘটনা ঘটে থাকে তারা একটি স্পিড ব্রেকার স্থাপনের জোর দাবি জানায়।

মাধপুর হাইওয়ে থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বেড়া থেকে বাঁশ বোঝাই ট্রাক পাবনা আসার পথে দুর্ঘটনা ঘটে এবং ট্রাকের হেলপার চালিয়ে আসছিল। ভ্যান ড্রাইভারসহ তিনজন নিহত ও একজন আহত হয়েছ তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাকটি জব্দ করতে পারলেও তাৎক্ষণিকভাবে ট্রাকচালককে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Farmers of Burichong benefit from bumper crop of gourds

বাম্পার ফলনে করলা চাষে লাভবান বুড়িচংয়ের কৃষক

এবার উপজেলায় ৬০ হেক্টর জমিতে হচ্ছে করলা চাষ
বাম্পার ফলনে করলা চাষে লাভবান বুড়িচংয়ের কৃষক বুড়িচংয়ের মাচা পদ্ধতিতে চাষ করা করলার খেত পরিচর্যায় ব্যস্ত এক কৃষক।

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা অঞ্চলে করলা চাষে বাম্পার ফলন হওয়ায় সত্যিই কৃষকদের জন্য আনন্দের বিষয়। বিগত বছরগুলোর চেয়ে করলা (বিটার গার্ড) ও মাচা পদ্ধতিতে এ বছর করলা চাষ করে কৃষকরা ভালো ফলন পেয়েছে। ফলে অন্যান্য বছরের চেয়ে এবারে লাভ পাচ্ছেন বেশি।

বুড়িচং উপজেলার কৃষি অফিসার মিসেস আফরিন আক্তার বলেন, ‘বিশেষ করে আধুনিক কৃষিপ্রযুক্তি, মানসম্মত বীজ ও সঠিক পরিচর্যার কারণে উৎপাদন বেড়েছে।’

কৃষিবিদ আফরিন আক্তার ও সহকারী কৃষিবিদ নাছরিন সুলতানা বলেন, ‘করলা চাষে মাচা পদ্ধতি ও বিটার গার্ড পদ্ধতি অনুসরণ করলেই করলা চাষে বাম্পার ফলন সম্ভব।’

জানা যায়, কুমিল্লার উর্বর দোআঁশ মাটি ও অনুকূল জলবায়ু করলা চাষের জন্য উপযুক্ত। নিয়মিত সেচ, আগাছা দমন ও রোগ-বালাই নিয়ন্ত্রণ করায় ফলন বেড়েছে। মৌসুমের শুরুতে করলার দাম ভালো থাকায় কৃষকরা ভালো লাভ পাচ্ছেন বলে অনেকে জানিয়েছেন।

বুড়িচং উপজেলার বাকশিমুল ইউনিয়নে হরিপুর, কালিকাপুর এলাকায় সরেজমিন ঘুরে কৃষক কবির হোসেন, মিজানুর রহমান, ফারুক জানান, অন্যান্য সবজির তুলনায় করলা চাষে কম খরচে বেশি লাভ করা যায়। তারা বলেন, প্রতি একর জমিতে উৎপাদনে খরচ হয় ৬০-৭০ হাজার টাকা। আর ফসল বাজারে বিক্রি প্রায় দু থেকে তিন গুণ লাভ হচ্ছে।

কৃষক কবির বলেন, ‘আমি সামন্য কিছু জমিতে করলা বীজ রোপণ করে সময় মতো পরিচর্যা করে অল্প খরচে দ্বিগুণ লাভ করেছি। এ মৌসুমেই মাচা পদ্ধতিতে করলা চাষ করে ভালো ফলন হওয়ায় মোটামুটি লাভবান হয়েছি। তবে, সরকারি সহযোগিতা কিংবা প্রণোদনা হিসেবে সার বীজ, কিটনাশক পেলে ফসল উৎপাদনে কৃষকের আগ্রহ আরও বাড়বে।’

কৃষক কবির আরও বলেন, ‘মৌসুমি সবজি করলা, বেগুন, লাউ, পেঁপে, চিচিঙ্গা, টমেটো, সিম, ফুলকফি, বাধাকপি, লালশাক, আলু, চাষে উৎসাহ জোগাতে কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ দিয়ে পাশে থাকার আহ্বান জানান।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Human chain demanding train stop at Ahsanganj station

আহসানগঞ্জ স্টেশনে ট্রেনের স্টপেজের দাবিতে মানববন্ধন

আহসানগঞ্জ স্টেশনে ট্রেনের স্টপেজের দাবিতে মানববন্ধন

নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে ঢাকাগামী সকল আন্তঃনগর ট্রেনের স্টপেজ পুনরায় চালু ও স্টেশনটির সংস্কারের দাবিতে রোববার সকাল ৯টায় আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আত্রাই উপজেলাবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত এ মানববন্ধনে অংশ নেন আত্রাইয়ের বিভিন্ন ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী রাণীনগর, বাগমারা ও সিংড়া উপজেলার হাজারও সাধারণ মানুষ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আহসানগঞ্জ স্টেশন এ অঞ্চলের মানুষের যাতায়াত, ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রাণকেন্দ্র। সকল আন্তঃনগর ট্রেনের স্টপেজ না থাকায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি প্রার্থী ও আত্রাই উপজেলার ৪নং পাঁচুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খবিরুল ইসলাম এবং আত্রাই নতুন বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু শাহীন।

তারা বলেন, ‘আহসানগঞ্জ স্টেশন শুধু আত্রাই নয়, আশপাশের কয়েকটি উপজেলার মানুষের জীবন ও জীবিকার সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই ঢাকাগামী সকল আন্তঃনগর ট্রেনের এখানে স্টপেজ দেওয়া ও স্টেশনটির সংস্কার এখন সময়ের দাবি।’

এ সময় মানববন্ধনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা অবিলম্বে আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে সকল আন্তঃনগর ট্রেনের নিয়মিত স্টপেজ চালু ও স্টেশনটির অবকাঠামোগত সংস্কার দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য রেল মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানান।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In the noise of the guest birds the canal bill of the mouth watering ghatail

অতিথি পাখির কোলাহলে মুখর ঘাটাইলের খাল-বিল

অতিথি পাখির কোলাহলে মুখর ঘাটাইলের খাল-বিল

শরৎ বিদায় নিচ্ছে, হেমন্তের পরশে প্রকৃতি যখন শীতের আগমনের প্রস্তুতি নিচ্ছে- ঠিক তখনই টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে ধলাপাড়া ইউনিয়নের শহরগোপিনপুর এলাকার খালপাড়ে দেখা মিলছে অতিথি পরিযায়ী পাখির ঝাঁক।

অতিথি পাখির কোলাহলে মুখর ঘাটাইলের খাল-বিল

প্রতি বছরের মতো এবারও তারা এসেছে হাজার মাইল দূরের শীতপ্রধান সাইবেরিয়া ও উত্তরাঞ্চলীয় দেশগুলো থেকে। এখানে তারা ডিম ফোটানো, বাচ্চা বড় করা ও কিছু সময় কাটানোর জন্য অবস্থান নেয়।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার পূর্বাঞ্চলীয় পাহাড়ি জনপদ শহরগোপিনপুরে ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত খাল ও বিলজুড়ে নানা রঙের অতিথি পাখির আনাগোনা চোখে পড়ে। সকালবেলায় ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি খাবারের সন্ধানে বিলে নেমে আসে, আবার বিকেলে দলবেঁধে ফিরে যায়। পাখিদের এমন অবাধ বিচরণ ও কলকাকলি দেখে বিমোহিত হচ্ছেন এলাকাবাসী ও পথচারীরা।

অতিথি পাখির কোলাহলে মুখর ঘাটাইলের খাল-বিল

তবে আনন্দের এই দৃশ্যের মাঝেও রয়েছে দুঃসংবাদ- শিকারিদের সক্রিয়তা। স্থানীয়দের অভিযোগ, কিছু শিকারি ছদ্মবেশে খাল-বিলে ঘোরাফেরা করে বিষটোপ ও জাল পেতে পাখি ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এতে ধীরে ধীরে এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হুমকির মুখে পড়ছে।

ইতোমধ্যে নেদার বিল ও চাপড়া বিলে এসেছে নানা প্রজাতির অতিথি পাখি। স্থানীয়দের মতে, এখানে বেশি দেখা যাচ্ছে বড় পানকৌড়ি, পাতি-কুট, গিরিয়া হাঁস ও তিলা হাঁস। পাশাপাশি বছরজুড়ে কিছু দেশীয় বিরল প্রজাতির পাখিও এখানে আশ্রয় নেয়। ফলে এসব বিল এখন পাখিদের জন্য নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে।

অতিথি পাখির কোলাহলে মুখর ঘাটাইলের খাল-বিল

গোপিনপুর গ্রামের শাহাদত হোসেন জানান, সাধারণত নভেম্বর মাসের শেষ দিকে পাখি আসা শুরু হয়। কিন্তু এবার অক্টোবরের শেষ দিক থেকেই ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি আসতে শুরু করেছে। প্রতিদিন ভোরে বিলে নেমে তাদের কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে ওঠে চারপাশ।

ধলাপাড়ার আষাঢ়িয়াচালা এলাকার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘বালি হাঁস, পাতি সরালি, বেগুনি কালিমসহ নানা প্রজাতির হাঁস আসছে। তারা খাল ও বিলের চারপাশে কচুরিপানার ভেতর অবস্থান করছে। এখন পুরো এলাকা যেন পাখির রাজ্য।

অতিথি পাখির কোলাহলে মুখর ঘাটাইলের খাল-বিল

অন্যদিকে স্থানীয় রফিকুল ইসলাম জানান, ‘দিনে গরু-মহিষ চড়ানোর অজুহাতে কিছু লোক হাওরে ঘোরাফেরা করে। সুযোগ বুঝে তারা বিষটোপ বা জাল ফেলে পাখি ধরে। রাতেরবেলাতেই তাদের আসল শিকার শুরু হয়।’

পাখি গবেষক ও আলোকচিত্রী মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, ‘ঘাটাইলের বিস্তীর্ণ বনভূমি, খাল-বিল ও নদী এলাকায় পানকৌড়ি, ডাহুক, জলপিপি, সরালি, বালি হাঁসসহ অসংখ্য প্রজাতির পাখির সমাগম ঘটে। এসব দৃশ্য ধারণ করতে অনেক ফটোগ্রাফার ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেন। তবে এসব পাখির টিকে থাকার জন্য নিরাপদ আবাস গড়া ও শিকার বন্ধে প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।’

ঘাটাইল ব্রাহ্মণশাসন সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সাবেক শিক্ষক জুলফিকার-ই-হায়দার বলেন, ‘উত্তরের সাইবেরিয়া অঞ্চলে তীব্র তুষারপাতের কারণে এই পাখিরা উষ্ণতার খোঁজে আমাদের দেশে আসে। তারা প্রতি বছর একই পথে উড়ে আসে এবং এই অভ্যাস থেকে সরে আসে না। এ কারণে তাদের ‘পরিযায়ী পাখ’ বলা হয়।’

শীতের আগমনে ঘাটাইলের খাল-বিল এখন পরিণত হয়েছে অতিথি পাখির অভয়ারণ্যে। প্রকৃতিপ্রেমীরা যেমন উপভোগ করছেন তাদের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য, তেমনি স্থানীয়রা চান- এই অতিথিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন ও সচেতন মহল একসঙ্গে এগিয়ে আসুক।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Import and export stop at Benapole port after 6 oclock

বেনাপোল বন্দরে ৬টার পর আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

*পণ্য অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সরকারের কঠোর সিন্ধান্ত *কাস্টমসের হঠকারী সিদ্ধান্ত বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের
বেনাপোল বন্দরে ৬টার পর আমদানি-রপ্তানি বন্ধ বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে পণ্যবাহী ট্রাক বের হচ্ছে।

কাগজপত্র বিহীন ও চোরাই পণ্য অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কোনো পূর্ব ঘোষণা বা প্রস্ততি ছাড়াই বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে সন্ধ্যা ৬টার পর সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ করেছে বেনাপোল কাস্টমস।

বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, এক সপ্তাহ ধরে চলছে এই নিয়ম।

তাদের এমন সিদ্ধান্তে দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দরে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। দুদেশের সীমান্ত জুড়ে পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ জটের সৃষ্টি হয়েছে। বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ী, আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকরা।

তবে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলছেন, সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অপরদিকে সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা বলছেন, এ ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে তবে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

আগে প্রতিদিন গড়ে ৪০০ থেকে ৪৫০ ট্রাক পণ্য বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করলেও এ সিদ্ধান্তের পর তা কমে ১৮০-২০০টিতে নেমে এসেছে। বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হতো প্রতিদিন ১৩০ থেকে ১৫০ ট্রাক পণ্য।

জানা যায়, ২০১৭ সালের ১ আগাস্ট দুদেশের সিদ্ধান্তে বেনাপোল-পেট্রাপোল ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট (আইসিপি) ২৪ ঘণ্টা চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়। ২০২৪ সালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) দেশের সব কাস্টমস হাউসকে ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার নির্দেশ দেয়। কিন্তু বেনাপোলে তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি।

বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলছেন, বন্দর ও কাস্টমস কার্যক্রমে সমন্বয়ের অভাবে প্রায়ই প্রশাসনিক জটিলতা তৈরি হয়। প্রতিদিন গড়ে ২০০-২৫০ কোটি টাকার আমদানি-রপ্তানি হয় এ বন্দর দিয়ে। সময়সীমা কমে যাওয়ায় বাণিজ্যে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী আনারুল ইসলাম বলেন, পূর্ব ঘোষণা ছাড়া সন্ধ্যার পর বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ করায় ব্যবসায়ীরা হতবাক। দুপাশে শত শত ট্রাক আটকে আছে। কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। এভাবে সিদ্ধান্ত চলতে থাকলে ব্যবসায়ীরা বিকল্প হিসেবে ভোমরা, হিলি বা সোনামসজিদমুখী হতে বাধ্য হবে, এতে সরকারের রাজস্বও কমে যাবে।

ভারতের পেট্রোপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, বাংলাদেশের এই একতরফা সিদ্ধান্তে ভারতীয় ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। দুদেশের বাণিজ্যে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। পেট্রাপোল বন্দরে প্রতিদিন ট্রাক জটের মধ্যে পড়ছি। প্রতিদিন হাজারেরও বেশি ট্রাক পণ্য নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকছে পেট্রাপোল বন্দরে। বিগত সময়ে রাত ১২টা পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানি চালু ছিল।

বেনাপোলে বন্দর ইমপোর্ট-এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মতিউর রহমান বলেন, সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট পক্ষদের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল। তা না করে একতরফাভাবে সময়সীমা কমানো হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী, কর্মচারী এবং সরকারও। আমরা কাস্টমস কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রতিদিন অন্তত ৪০০-৫০০ আমদানিমুখী ট্রাক প্রবেশ নিশ্চিত করা জরুরি।

বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা বলেন, কয়েকদিন আগে আমাদের সাথে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের একটি বৈঠক হয়েছিল। তারা প্রস্তাব করেছিল সন্ধ্যা ৬টার পর আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকার। আমরা বলেছি বন্দর ব্যবহারকারী সবার সাথে কথা বলে বিষয়টি জানানো হবে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক শামীম হোসেন বলেন, আমরা বন্দর পরিচালনা করি। তবে কাস্টমস অনুমোদন ছাড়া কোনো পণ্য ক্লিয়ার করা সম্ভব নয়। আকস্মিক এই সিদ্ধান্ত রাজস্ব এবং বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

বেনাপোল কাস্টমসের কোনো কর্মকর্তা সংবাদকর্মীদের সাথে কথা বলছেন না। কাস্টমসের কোনো তথ্য ও সংবাদকর্মীদের জানানো হয় না। বর্তমান বেনাপোল কাস্টম হাউসে কর্মরত কাস্টমস কমিশনার হাউসের কোনো কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়নি সংবাদকর্মীদের সাথে কথা বলার। এর আগে একজন সহকারী কমিশনার পর্যায়ের কর্মকর্তা সংবাদকর্মীদের সাথে কথা বলতেন।

তবে কাস্টমসের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক সমন্বয়ের কারণে সাময়িকভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দ্রুত সমাধান হতে পারে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Courtesy meeting of Pakistan Joint Force Chairman with Chief Adviser

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যানের সৌজন্য সাক্ষাৎ

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যানের সৌজন্য সাক্ষাৎ পাকিস্তানের যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা শনিবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

পাকিস্তানের যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যান (সিজেসিসি) জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা গতকাল (শনিবার) রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।

সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

দুই দেশের ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও জনগণের পারস্পরিক সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করে জেনারেল মির্জা পাকিস্তানের পক্ষ থেকে নানা খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য, যোগাযোগ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।

‘আমাদের দুই দেশ একে অপরকে সহায়তা করবে,’ বলেন জেনারেল মির্জা। তিনি আরও জানান, করাচি ও চট্টগ্রামের মধ্যে দুইমুখী নৌপথ ইতোমধ্যে চালু হয়েছে এবং অদূর ভবিষ্যতে ঢাকা-ুকরাচি আকাশপথও চালু হবে।

দুই পক্ষ মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে উত্তেজনা প্রশমনের প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি ভুয়া তথ্য এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের মাধ্যমে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার প্রবণতার চ্যালেঞ্জ নিয়েও মতবিনিময় হয়।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ভুয়া খবর ও বিভ্রান্তিকর তথ্য এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এই বিপদের বিরুদ্ধে বৈশ্বিকভাবে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা প্রয়োজন।’

সাক্ষাৎকালে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, সিনিয়র সচিব ও এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: বাসস

মন্তব্য

p
উপরে