কুমিল্লায় স্বর্ণ ডাকাতির ঘটনায় র্যাবের অভিযানে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পাশাপাশি একটি পিকআপ ভ্যানও জব্দ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা র্যাব ১১-এর কোম্পানি কমান্ডার মাহমুদুল হাসান। তিনি জানান, ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি জেলার তিতাস উপজেলার বাতাকান্দি বাজারে কয়েকটি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
র্যাব কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, ঢাকার কদমতলী দনিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত বরিশালের বদুল্লা এলাকার বশির মোল্লা, বাবু মোল্লা, মাদারিপুরের থানতলী এলাকার সাইদুর চোকদার, পটুয়াখালীর পাগলা এলাকার মিজানুর হাওলাদার ও ফরিদপুরের গুনবহা এলাকার মো. মাহাদী হাসান ওরফে ইমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যান উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার পাঁচজন জানিয়েছেন, ঘটনার দিন তারা আগে থেকেই বাজারে অবস্থান করেন। রাতে বাজারে লোকজন কমতে থাকলে তারা দোকানের কর্মচারীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতি করেন।
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় শারদীয় দুর্গাপূজা উদ্যাপনের পরবর্তী সময়ে সম্প্রীতিরবন্ধন অটুট রাখতে ও সামাজিক সহমর্মিতার নিদর্শন স্বরূপ কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন হিন্দু ধর্মাবলম্বী ৩০০ নারীর মাঝে শাড়ি বিতরণ করেছেন।
সোমবার চরফ্যাশন ডাক বাংলোতে শাড়ি বিতরণ করা হয়।
এ সময় নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, ‘আমরা রাজনীতি করি মানুষের কল্যাণের জন্য। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। এই বিশ্বাস থেকেই আমরা হিন্দু সম্প্রদায়ের নারীদের মাঝে সামান্য এই ভালোবাসার উপহার তুলে দিয়েছি। ভবিষ্যতে এই ধারা অব্যাহত থাকবে।’
অনুষ্ঠানে উপজেলা নেতারা নুরুল ইসলাম নয়নের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এমন উদ্যোগ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতীক। এতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের মাঝে ভালোবাসা ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধি পায়।
এক উপকারভোগী নারী বলেন, ‘পূজার পরবর্তী সময়ে এমন উপহার পেয়ে আমরা সত্যিই আনন্দিত। নয়ন ভাইয়ের জন্য অনেক দোয়া রইল।’
শাড়ি বিতরণ অনুষ্ঠানে উপজেলা বিএনপির নেতারা, সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বগুড়া সারিয়াকান্দির হাটশেরপুর ইউনিয়নে যমুনা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ৩ দিনে ৩০টির বেশি পরিবারের বসতভিটা যমুনায় বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন হুমকিতে রয়েছে হাটশেরপুর গুচ্ছগ্রামের বসবাসরত ৩০০ পরিবার। ভাঙন আতঙ্কে দিনাতিপাত করছেন ৫ গ্রামের ২০ হাজার মানুষ। বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, সরেজমিন পরিদর্শন শেষে ভাঙনকবলিত এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বগুড়া সারিয়াকান্দির হাটশেরপুর ইউনিয়নের হাটশেরপুর, নিজবলাইল, করমজাপাড়া, দিঘাপাড়া, চকরথিনাথ গ্রামে যমুনা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত বছর থেকেই এখানে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। গত বছর নদী ভাঙনের শিকার বেশকিছু পরিবার বিভিন্ন এলাকায় বসতি স্থাপন করেছেন। এছাড়া গত বছরের নদী ভাঙনের ফলে এখানে একটি গুচ্ছগ্রাম নদীতে সম্পূর্ণভাবে বিলীন হয়েছে। এ বছরও একই এলাকায় গত ৩ দিন আগে থেকে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত ৩ দিনের নদী ভাঙনের শিকার হয়ে শেরপুর গ্রামের তারা প্রামাণিকের ছেলে বকুল মেম্বার, আজগর আকন্দের ছেলে ফজলু আকন্দ এবং সালামুদ্দিন তরফদারের ছেলে শাহিন মিয়াসহ প্রায় ৩০টির বেশি পরিবারের লোকজনের বসতভিটা যমুনায় বিলীন হয়েছে। এদিকে নদী ভাঙনের ফলে শেরপুর গুচ্ছগ্রাম ভাঙন হুমকিতে রয়েছে। যেখানে নদী ভাঙনের শিকার ৩০০টির বেশি পরিবারের লোকজন গত কয়েক বছর আগে বসতি স্থাপন করেছিলেন। তা ছাড়া এভাবে নদীভাঙন অব্যাহত থাকলে হাটশেরপুর ইউনিয়নের হাটশেরপুর, নিজবলাইল, করমজাপাড়া, দিঘাপাড়া, চকরথিনাথ গ্রাম যেকোনো সময়ে নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন এসব গ্রামে বসবাসরত ২০ হাজার এলাকাবাসী। হুমকিতে রয়েছে এসব এলাকায় বিভিন্ন সময়ে গড়ে ওঠা স্কুল, মসজিদসহ নানা ধরনের সামাজিক প্রতিষ্ঠান।
হাটশেরপুর ইউনিয়নের মৃত বদিউজ্জামানের ছেলে সাহাবুল ইসলাম বিপু বলেন, ‘গত ৩ দিনের নদী ভাঙনে ৩০টির বেশি পরিবারের বসতভিটা যমুনায় বিলীন হয়েছে। তারা তাদের ঘরবাড়ি নিয়ে অন্যের জমিতে অবস্থান করছেন। আমার বাড়িটিও ভাঙনের শিকার হতে যাচ্ছে। এভাবে নদীভাঙন অব্যাহত থাকলে এ গ্রামের ঐতিহ্যবাহী গুচ্ছগ্রাম যমুনায় বিলীন হবে। তা ছাড়া ৫ গ্রামের ২০ হাজার মানুষ এখন নদী ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে। দ্রুত এখানে নদীভাঙন মোকাবিলায় কাজ না করলে আমরা একেবারেই যমুনার জলে ভেসে যাব।’
বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির বলেন, সারিয়াকান্দি হাটশেরপুর গ্রামের যমুনা নদীর ভাঙনকবলিত এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করা হবে। পরিদর্শন শেষে ভাঙনকবলিত এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা কওে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ময়মনসিংহের ভালুকায় অবস্থিত শেফার্ড গ্রুপের শ্রমিকরা সোমবার সকালে বকেয়া বেতনসহ ১০ দফা দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
উপজেলার কাঠালী এলাকায় সকাল ১০টা থেকে প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে মহাসড়কে অবস্থান নেন শ্রমিকরা। এতে মহাসড়কের দুপাশে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করলে প্রশাসনের আশ্বাসে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেয়।
শ্রমিকরা জানান, সেপ্টেম্বর মাসের বকেয়া বেতন এখনো পরিশোধ করা হয়নি। এছাড়া ওভারটাইম হার কমানো, টিফিন বিল ও হাজিরা বোনাস কমিয়ে দেওয়াসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা হ্রাসের কারণে তারা চরম অসন্তুষ্ট। তাদের দাবি- প্রতি মাসের বেতন সময়মতো প্রদান, ওভারটাইমের হার পূর্বের মতো ৬৮ শতাংশে বহাল রাখা, টিফিন বিল বৃদ্ধি এবং অবসরোত্তর ফান্ড দ্রুত পরিশোধ করা।
এ বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ জানান, সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের সহযোগিতায় শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। সেপ্টেম্বর মাসের বেতন আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে পরিশোধ করা হবে বলে তিনি জানান।
আজ ১৩ অক্টোবর (সোমবার) বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী সদর দপ্তরে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রস্তুতি ও বাজেট বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাহিনীর উপমহাপরিচালক (প্রশাসন) কর্নেল মোঃ ফয়সাল আহাম্মদ ভূঁইয়া, পিএসসি।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন বাস্তবায়নে সরকারি প্রতিজ্ঞার বাস্তবায়নে একটি শক্তিশালী ভূমিকা পালন করবে, ইনশাআল্লাহ।
নির্বাচনী প্রস্তুতি ও বাজেট-সংক্রান্ত এই গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মোঃ সাইফুল্লাহ রাসেল (উপমহাপরিচালক, অপারেশন্স), মুহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী (পরিচালক, অপারেশন্স), মোঃ আশরাফুল ইসলাম (পরিচালক, প্রশাসন-কিউ), মোঃ জাহিদ হোসেন (পরিচালক, সিএইচটি-অপস) এবং অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের মাসব্যাপী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট (এনআইএলজির) উদ্যোগে ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এই প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, গ্রাম পুলিশ আমাদের প্রশাসনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক শক্তি। ইউনিয়ন পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, জনগণের নিরাপত্তা ও স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে তাদের ভূমিকা অপরিসীম। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গ্রাম পুলিশের দক্ষতা, দায়িত্ববোধ ও সেবার মান আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এনআইএলজির যুগ্ম পরিচালক (উপসচিব) মোহাম্মদ জাহিদ আখতার। তিনি বলেন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে যুগপোযোগী করে গড়ে তোলার জন্য গ্রাম পুলিশদের এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সারাদেশে ৪৬ হাজার গ্রাম পুলিশ রয়েছে। চলতি অর্থবছরে ২০টি উপজেলায় এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে। মাসব্যাপী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গ্রাম পুলিশের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি করে ইউনিয়ন পরিষদকে শক্তিশালী করা সরকারের উদ্দেশ্য বলে তিনি জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সহকারী অধ্যাপক মাজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শাহীনা আক্তার ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর ফারুক। এছাড়া প্রশিক্ষণার্থীদের পক্ষ থেকে অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন গ্রাম পুলিশ সেলিম আহমদ।
জানা গেছে, মাসব্যাপী চলা এ প্রশিক্ষণে ইউনিয়ন পর্যায়ের গ্রাম পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বশীলতা, প্রশাসনিক কার্যক্রম, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং সেবার মানোন্নয়নে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেবেন। প্রশিক্ষণে ৪০ জন গ্রাম পুলিশ অংশগ্রহণ করছে।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় চোরাচালানবিরোধী অভিযানে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় বিড়ি ও সিগারেট জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গত রোববার গভীর রাতে উপজেলার আলীনগর ও লালারচক সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে বিড়ি ও সিগারেট জব্দ করা হয়।
৪৬ বিজিবি সূত্রে জানা যায়, নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে গত রোববার রাতে উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় মালিকবিহীন অবস্থায় ৩ লাখ ১ হাজার টাকা মূল্যের ১ হাজার ২৮০ প্যাকেট ভারতীয় সিগারেট ও ৯০০ প্যাকেট নাসির পাতার বিড়ি জব্দ করা হয়।
৪৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম জাকারিয়া বলেন, মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া, কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার ১১৫ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় বিজিবি সদস্যরা দিবারাত্রী ২৪ ঘণ্টা টহল ও চোরাচালানবিরোধী অভিযান পরিচালনা করছেন। সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি এ কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে।
চলতি মৌসুমে নরসিংদী জেলার ৬টি উপজেলায় ২,৫৬৭ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন শাকসবজির চাষ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গ্রীষ্মকালীন শাকসবজি ভাল ফলন হওয়ায় এবং উপযুক্ত দাম পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসির ঝলক ফুটে উঠেছে।
নরসিংদী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে নরসিংদী জেলার ৬টি উপজেলায় ২৫৬৭ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন শাকসবজির চাষ করা হয়েছে। তার মধ্যে নরসিংদী সদর উপজেলার ১৫৫ হেক্টর, পলাশে ১৫৩ হেক্টর, শিবপুরে ৪০০ হেক্টর, মনোহরদীতে ৮৫ হেক্টর, বেলাবতে ১১৪৪ হেক্টর এবং রায়পুরা উপজেলায় ৬৩০ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন শাকসবজির চাষ করা হয়েছে। গ্রীষ্মকালীন শাকসবজির মধ্যে রয়েছে কাঁকরোল, বেগুন, ঢেঁড়শ, শশা, সিম, চাল কুমড়া, মূলা, ডাটা, মূলাশাক, ডাঁটাশাক, লাউ, পুঁইশাক, পালংশাক, পাটশাক, কলমীশাক, বরবটি, ঝিংগা, চিচিঙ্গা, ধুন্দুল, করলা, উচ্ছে, সজিনা, পটল, কাঁচকলা, মুথীকচু, পানিকচু এবং পেঁপে ইত্যাদি। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সবুজ রঙের শাকসবজিতে ভরে গেছে খেত।
গ্রীষ্মকালীন শাকসবজি চাষ করেও লাভবান হয়েছেন এখানকার কৃষকরা। গত সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিক থেকে বিভিন্ন এলাকায় এরই মধ্যে বাজারে বিক্রি শুরু হয়েছে এই সকল শাকসবজি। ভালো দাম পাওয়ায় খুশি কৃষকরা।
শিবপুর উপজেলার কোন্দারপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল জলিল জানান, ধান চাষ করে আমরা খুব একটা লাভবান হতে পারিনি। তাই এ বছর গ্রীষ্মকালীন শাকসবজির চাষ করেছি। বর্তমান বাজারে দামও পাচ্ছি বেশ ভাল। তিনি আরো জানান, ‘এ বছর তিনি দুই বিঘা জমিতে শাকসবজির চাষ করেছি। বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত আমি দুই বিঘা জমি থেকে প্রায় ২৫ হাজার টাকার সবজি বিক্রি করেছি।’
রায়পুরা উপজেলার বারৈচা গ্রামের অপর এক চাষি আব্দুল জব্বার জানায়, ‘অন্যান্য ফসলের তুলনায় গ্রীষ্মকালীন শাকসবজি চাষ অধিক লাভজনক। আমি এক বিঘা জমিতে সবজির চাষ করেছি। এ পর্যন্ত আমি প্রায় ১২ হাজার টাকার সবজি বিক্রি করেছি।’
নরসিংদী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আজিজুল হক জানান, চলতি মৌসুমে জেলার সর্বত্র আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গ্রীষ্মকালীন শাকসবজির ফলন খুব ভাল হয়েছে এবং কৃষকরা দামও ভালো পাচ্ছে।
মন্তব্য