ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক কম, কিছুসংখ্যক কেন্দ্রে গোলযোগ আর অনিয়মের অভিযোগের মধ্যে মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয়েছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। মুন্সীগঞ্জে ভোটকেন্দ্রের সামনে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। ২৯৯ আসনের ৪২ হাজার কেন্দ্রের মধ্যে অনিয়মের কারণে স্থগিত হয়েছে ৯টি আসনের ২১টি কেন্দ্রের ভোট। এর মধ্যে একটি আসনের ভোট স্থগিত করা হয়েছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল জানিয়েছেন, সারাদেশে ২৯৮টি আসনে গড়ে ৪১.৮ শতাংশ ভোট পড়েছে।
বিকেল ৪টা ভোটগ্রহণ পর্ব শেষে কেন্দ্রে কেন্দ্রে চলে ভোট গণনা। ভোট গণনা শেষে প্রাথমিকভাবে আসনগুলোর ফল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
নিউজবাংলার প্রতিবেদক, ব্যুরো অফিস, স্থানীয় প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
জয়ী হলেন যারা
ঢাকা বিভাগ
ঢাকা: ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) আসনে সালমান ফজলুর রহমান (নৌকা), ঢাকা-২ (কেরানীগঞ্জ, লালবাগের একাংশ, সাভারের একাংশ) আসনে মো. কামরুল ইসলাম (নৌকা), ঢাকা-৩ (কেরানীগঞ্জ) আসনে নসরুল হামিদ (নৌকা), ঢাকা-৪ (সূত্রাপুর-ডেমরার একাংশ) আসনে মো. আওলাদ হোসেন (ট্রাক), ঢাকা-৫ (ডেমরার একাংশ-মতিঝিলের একাংশ) আসনে মশিউর রহমান মোল্লা সজল (ট্রাক), ঢাকা-৬ (কোতয়ালী, সূত্রাপুর) আসনে মোহাম্মদ সাইদ খোকন (নৌকা), ঢাকা-৭ (লালবাগের একাংশ-কোতয়ালীর একাংশ) আসনে মোহাম্মদ সোলায়মান সেলিম (নৌকা), ঢাকা-৮ (মতিঝিলের একাংশ-রমনার একাংশ) আসনে আ ফ ম বাহাউদ্দিন (নৌকা), ঢাকা-৯ (সবুজবাগের একাংশ-ডেমরার একাংশ-মতিঝিলের একাংশ) আসনে সাবের হোসেন চৌধুরী (নৌকা), ঢাকা-১০ (ধানমণ্ডির একাংশ-লালবাগের একাংশ) আসনে ফেরদৌস আহমেদ (নৌকা), ঢাকা-১১ (গুলশানের একাংশ-সবুজবাগের একাংশ) আসনে মোহাম্মদ ওয়াকিল উদ্দিন (নৌকা), ঢাকা-১২ (রমনা) আসনে আসাদুজ্জামান খান (নৌকা), ঢাকা-১৩ (মোহাম্মদপুর) আসনে জাহাঙ্গীর কবির নানক (নৌকা), ঢাকা-১৪ (মিরপুর-সাভারের একাংশ) আসনে মো. মাইনুল হোসেন খান (নৌকা), ঢাকা-১৫ (মিরপুরের একাংশ-ক্যান্টনমেন্ট) আসনে কামাল আহমেদ মজুমদার (নৌকা), ঢাকা-১৬ (পল্লবী) আসনে মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ (নৌকা), ঢাকা-১৭ (গুলশানের একাংশ-ক্যান্টনমেন্টের একাংশ) আসনে মোহাম্মদ আলী আরাফাত (নৌকা), ঢাকা-১৮ উত্তরার একাংশ-ক্যান্টনমেন্টের একাংশ-গুলশানের একাংশ) আসনে মো. খসরু চৌধুরী (কেটলি), ঢাকা-১৯ (সাভার) আসনে মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম (ট্রাক) ও ঢাকা-২০ (ধামরাই) আসনে বেনজীর আহমদ (নৌকা)।
গাজীপুর: গাজীপুর ১ আসনে আ ক ম মোজাম্মেল হক (নৌকা), গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) সিমিন হোসেন রিমি (নৌকা)।
নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) গোলাম দস্তগীর গাজী (নৌকা), নারায়ণগঞ্জ- ২ (আড়াইহাজার) নজরুল ইসলাম বাবু (নৌকা), নারায়ণগঞ্জ- ৩ (সোনারগাঁ) আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত (নৌকা), নারায়ণগঞ্জ- ৪ (ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ) একেএম শামীম ওসমান (নৌকা), নারায়ণগঞ্জ- ৫ (সদর ও বন্দর) সেলিম ওসমান (লাঙ্গল)।
নরসিংদী: নরসিংদী-১ (সদর) নজরুল ইসলাম (নৌকা), নরসিংদী-২ (পলাশ-সদরের একাংশ) আনোয়ারুল আশরাফ খান (নৌকা), নরসিংদী-৩ (শিবপুর) সিরাজুল ইসলাম মোল্লা (ঈগল), নরসিংদী-৪ (মনোহরদী-বেলাবো) নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন (নৌকা) ও নরসিংদী-৫ (রায়পুরা) রাজি উদ্দিন আহমেদ (নৌকা)।
শরীয়তপুর: শরীয়তপুর-১ (সদর-জাজিরা) মো. ইকবাল হোসেন (নৌকা), শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া-ভেদরগঞ্জ) এ কে এম এনামুল হক শামীম (নৌকা) ও শরীয়তপুর-৩ (ডামুড্যা-গোসাইরহাট-ভেদরগঞ্জের একাংশ) নাহিম রাজ্জাক (নৌকা)।
টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইল-১ আবদুর রাজ্জাক (নৌকা), টাঙ্গাইল-২ তানভীর হাসান ছোট মনির (নৌকা), টাঙ্গাইল-৩ আমানুর রহমান খান (স্বতন্ত্র, ঈগল), টাঙ্গাইল-৪ আবদুল লতিফ সিদ্দিকী (স্বতন্ত্র, ট্রাক), টাঙ্গাইল-৫ ছানোয়ার হোসেন (স্বতন্ত্র, ঈগল), টাঙ্গাইল-৬ আহসানুল ইসলাম টিটু (নৌকা), টাঙ্গাইল-৭ খান আহমেদ শুভ (নৌকা), টাঙ্গাইল-৮ অনুপম শাহজাহান জয় (নৌকা)।
কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) সৈয়দা জাকিয়া নূর (নৌকা), কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) সোহরাব উদ্দিন (ঈগল), কিশোরগঞ্জ-৩ (তাড়াইল-করিমগঞ্জ) মুজিবুল হক চুন্নু (লাঙ্গল), কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক (নৌকা), কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আফজাল হোসেন (নৌকা), কিশোরগঞ্জ-৬ (কুলিয়ারচর-ভৈরব) নাজমুল হাসান (নৌকা)।
মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জ-১ (ঘিওর, দৌলতপুর ও শিবালয়) সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদ (স্বতন্ত্র, ঈগল), মানিকগঞ্জ-২ দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু (স্বতন্ত্র, ট্রাক), মানিকগঞ্জ-৩ (সদর ও সাটুরিয়া) জাহিদ মালেক (নৌকা)।
মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জ-১ (সিরাজদিখান-শ্রীনগর) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ (নৌকা), মুন্সীগঞ্জ-২ (টঙ্গিবাড়ী-লৌহজং) সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি (নৌকা), মুন্সীগঞ্জ-৩ (মুন্সীগঞ্জ সদর-গজারিয়া) মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব (স্বতন্ত্র)।
রাজবাড়ী: রাজবাড়ী-১ (সদর-গোয়ালন্দ) কাজী কেরামত আলী (নৌকা) ও রাজবাড়ী-২ (বালিয়াকান্দি-কালুখালী-পাংশা) জিল্লুল হাকিম (নৌকা)।
মাদারীপুর: মাদারীপুর-১ নূর ই আলম চৌধুরী (নৌকা), মাদারীপুর-২ শাজাহান খান (নৌকা), মাদারীপুর-৩ তাহমিনা বেগম (স্বতন্ত্র, ঈগল)।
গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জ-১ মোহাম্মদ ফারুক খান (নৌকা), গোপালগঞ্জ-২ (গোপালগঞ্জ সদর ও কাশিয়ানী আংশিক) শেখ ফজলুল করিম সেলিম (নৌকা), গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া) আসনে শেখ হাসিনা (নৌকা)।
ফরিদপুর: ফরিদপুর-১ (মধুখালী-বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা) আব্দুর রহমান (নৌকা), ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা-সালথা) শাহদাব আকবর (নৌকা), ফরিদপুর-৩ (সদর) আব্দুল কাদের আজাদ (ঈগল), ফরিদপুর-৪ (ভাংগা-চরভদ্রাসন-সদরপুর) মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন (ঈগল)।
চট্টগ্রাম বিভাগ
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম-১ মাহবুব উর রহমান রুহেল (নৌকা), চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) খাদিজাতুল আনোয়ার সনি (নৌকা), চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) মাহফুজুর রহমান মিতা (নৌকা), চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) এস এম আল মামুন (নৌকা), চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আনিসুল ইসলাম (লাঙ্গল), চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী (নৌকা), চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) ড. হাছান মাহমুদ (নৌকা), চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চাঁদগাঁও) আব্দুছ ছালাম (নৌকা), চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি) মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (নৌকা), চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-পাঁচলাইশ) মহিউদ্দিন বাচ্চু (নৌকা), চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর) এম এ লতিফ (নৌকা), চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) মোতাহেরুল ইসলাম (নৌকা), চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ (নৌকা), চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) মো. নজরুল ইসলাম (নৌকা), চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আব্দুল মোতালেব (স্বতন্ত্র, ঈগল) এবং চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) মুজিবুর রহমান (স্বতন্ত্র, ঈগল)।
কুমিল্লা: কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি-তিতাস) ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর (নৌকা), কুমিল্লা-২ (হোমনা-মেঘনা) আবদুল মজিদ (স্বতন্ত্র, ট্রাক), কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) জাহাঙ্গীর আলম সরকার (স্বতন্ত্র, ঈগল), কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আবুল কালাম আজাদ (স্বতন্ত্র, ঈগল), কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) আসনে এমএ জাহের (স্বতন্ত্র, কেটলি), কুমিল্লা-৬ (সদর) আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার (নৌকা), কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) প্রাণ গোপাল দত্ত (নৌকা), কুমিল্লা-৮ (বরুড়া) আবু জাফর মো. শফিউদ্দিন শামীম (নৌকা), কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) তাজুল ইসলাম (নৌকা), কুমিল্লা-১০ (সদর দক্ষিণ-লাঙ্গলকোট-লালমাই) আ হ ম মুস্তফা কামাল (নৌকা) ও কুমিল্লা- ১১ (চৌদ্দগ্রাম) মুজিবুল হক মুজিব (নৌকা)।
ফেনী: ফেনী-১ আলাউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী (নৌকা), ফেনী-২ নিজাম উদ্দিন হাজারী (নৌকা) ও ফেনী-৩ মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী (লাঙ্গল)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে সৈয়দ এ.কে এমরামুজ্জামান (নৌকা), ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে মোঃ মঈনুদ্দিন মঈন (স্বতন্ত্র), ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী (নৌকা), ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আনিসুল হক (নৌকা), ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) ফয়জুর রহমান বাদল (নৌকা), ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনে ক্যাপ্টেন অব. এ.বি তাজুল ইসলাম (নৌকা)।
নোয়াখালী: নোয়াখালী-১ এইচ এম ইব্রাহীম (নৌকা), নোয়াখালী-২ মোরশেদ আলম (নৌকা), নোয়াখালী-৩ মামুনুর রশীদ কিরন (নৌকা), নোয়াখালী-৪ একরামুল করিম চৌধুরী (নৌকা), নোয়াখালী-৫ ওবায়দুল কাদের (নৌকা) ও নোয়াখালী-৬ মোহাম্মদ আলী (নৌকা)।
চাঁদপুর: চাঁদপুর-১ সেলিম মাহমুদ (নৌকা), চাঁদপুর-২ মোফাজ্জল হোসাইন চৌধুরী (নৌকা), চাঁদপুর-৩ ডা. দীপু মনি (নৌকা) ও চাঁদপুর-৪ মুহম্মদ শফিকুর রহমান (নৌকা)।
লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুর-১ আনোয়ার হোসেন খান (নৌকা), লক্ষ্মীপুর-২ নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন (নৌকা), লক্ষ্মীপুর-৩ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক (নৌকা), লক্ষ্মীপুর-৪ মো. আবদুল্লাহ (স্বতন্ত্র)।
কক্সবাজার: কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীরপ্রতীক (হাতঘড়ি), কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আশেক উল্লাহ রফিক (নৌকা), কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) সাইমুম সরওয়ার কমল (নৌকা), কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) শাহিন আক্তার (নৌকা)।
খাগড়াছড়ি: কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা (নৌকা)
বান্দরবান: বীর বাহাদুর উ শৈ সিং (নৌকা)।
রাঙ্গামাটি: দীপংকর তালুকদার (নৌকা)
খুলনা বিভাগ
খুলনা: খুলনা-১ ননী গোপাল মণ্ডল (নৌকা), খুলনা-২ সেখ সালাউদ্দিন জুয়েল (নৌকা), খুলনা-৩ এসএম কামাল হোসেন (নৌকা), খুলনা-৪ আব্দুস সালাম মুর্শিদী (নৌকা), খুলনা-৫ নারায়ণ চন্দ্র (নৌকা), খুলনা-৬ মো. রশিদুজ্জামান (নৌকা)।
যশোর: যশোর-১ শেখ আফিল উদ্দিন (নৌকা), যশোর-২ মো. তৌহিদুজজামান (নৌকা), যশোর-৩ কাজী নাবিল আহমেদ (নৌকা), যশোর-৪ এনামুল হক বাবুল (নৌকা), যশোর-৫ মো. ইয়াকুব আলী (স্বতন্ত্র), যশোর-৬ মো. আজিজুল ইসলাম (স্বতন্ত্র)।
সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা-১ ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন (নৌকা), সাতক্ষীরা-২ মো. আশরাফুজ্জামান (লাঙ্গল), সাতক্ষীরা-৩ আ ফ ম রুহুল হক (নৌকা) ও সাতক্ষীরা-৪ আতাউল হক নৌকা)।
মেহেরপুর: মেহেরপুর-১ ফরহাদ হোসেন (নৌকা), মেহেরপুর-২ (গাংনী) এএসএম নাজমুল হক সাগর (নৌকা)।
নড়াইল: নড়াইল-১ বি এম কবিরুল হক (নৌকা) ও নড়াইল-২ মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা (নৌকা।
চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গা-১ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন (নৌকা), চুয়াডাঙ্গা-২ আলী আজগার টগর (নৌকা)।
কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়া-১ মো. রেজাউল হক চোধুরী (স্বতন্ত্র), কুষ্টিয়া-২ মো. কামারুল আরেফিন (স্বতন্ত্র), কুষ্টিয়া-৩ মো. মাহবুবউল আলম হানিফ (নৌকা), কুষ্টিয়া-৪ আবদুর রউফ (স্বতন্ত্র)।
মাগুরা: মাগুরা-১ আসনে সাকিব আল হাসান (নৌকা), মাগুরা-২ আসনে বীরেন শিকদার (নৌকা),
বাগেরহাট: বাগেরহাট-১ (ফকিরহাট, মোল্লাহাট, চিতলমারী) শেখ হেলাল উদ্দিন (নৌকা), বাগেরহাট-২ (বাগেরহাট সদর ও কচুয়া) শেখ তন্ময় (নৌকা), বাগেরহাট-৩ (রামপাল ও মোংলা) হাবিবুন নাহার (নৌকা) ও বাগেরহাট-৪ (মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা) এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ (নৌকা)।
ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) মো. আব্দুল হাই (নৌকা), ঝিনাইদহ-২ মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী (স্বতন্ত্র), ঝিনাইদহ-৩ মো. সালাহ উদ্দিন মিয়াজী (নৌকা) ও ঝিনাইদহ-৪ মো. আনোয়ারুল আজীম আনার (নৌকা)।
রাজশাহী বিভাগ
রাজশাহী: রাজশাহী-১ ওমর ফারুক চৌধুরী (নৌকা), রাজশাহী-২ শফিকুর রহমান বাদশা (স্বতন্ত্র), রাজশাহী-৩ আসাদুজ্জামান আসাদ (নৌকা), রাজশাহী-৪ আবুল কালাম আজাদ (নৌকা), রাজশাহী-৫ আব্দুল ওয়াদুদ দারা (নৌকা) ও রাজশাহী-৬ শাহরিয়ার আলম (নৌকা)।
সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জ-১ তানভীর শাকিল জয় (নৌকা), সিরাজগঞ্জ-২ জান্নাত আরা হেনরী (নৌকা), সিরাজগঞ্জ-৩ আব্দুল আজিজ (নৌকা), সিরাজগঞ্জ-৪ শফিকুল ইসলাম (নৌকা), সিরাজগঞ্জ-৫ আব্দুল মোমিন মন্ডল (নৌকা) এবং সিরাজগঞ্জ-৬ মো. চয়ন ইসলাম (নৌকা)।
পাবনা: পাবনা-১ শামসুল হক টুকু (নৌকা), পাবনা-২ আহমেদ ফিরোজ কবীর (নৌকা), পাবনা-৩ মকবুল হোসেন (নৌকা), পাবনা-৪ গালিবুর রহমান শরীফ (নৌকা) ও পাবনা-৫ গোলাম ফারুক প্রিন্স (নৌকা)।
বগুড়া: বগুড়া-১ সাহাদারা মান্নান (নৌকা), বগুড়া-২ শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ (লাঙ্গল), বগুড়া-৩ খান মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ্ আল মেহেদী (স্বতন্ত্র), বগুড়া-৪ এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন (মশাল), বগুড়া-৫ মো. মজিবর রহমান (নৌকা), বগুড়া-৬ রাগেবুল আহসান রিপু (নৌকা), বগুড়া-৭ মো. মোস্তফা আলম (নৌকা)।
নাটোর: নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ (স্বতন্ত্র, ঈগল), নাটোর-২ (সদর ও নলডাঙ্গা) শফিকুল ইসলাম শিমুল (নৌকা), নাটোর-৩ (সিংড়া) জুনাইদ আহমেদ পলক (নৌকা), নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী (নৌকা)।
জয়পুরহাট: জয়পুরহাট-১ (সদর-পাঁচবিবি) সামছুল আলম দুদু (নৌকা) ও জয়পুরহাট-২ (আক্কেলপুর-কালাই-ক্ষেতলাল) আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন (নৌকা)।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল (নৌকা), চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ মু. জিয়াউর রহমান (নৌকা), চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে আব্দুল ওদুদ।
নওগাঁ: নওগাঁ-১ (নিয়ামতপুর-পোরশা-সাপাহার) সাধন চন্দ্র মজুমদার (নৌকা), নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছী) সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী (নৌকা), নওগাঁ-৪ (মান্দা) এস.এম ব্রহানী সুলতান মামুদ (স্বতন্ত্র, ট্রাক), নওগাঁ-৫ (সদর) ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল (নৌকা), নওগাঁ-৬ (রানীনগর-আত্রাই) ওমর ফারুক সুমন (স্বতন্ত্র, ট্রাক)।
বরিশাল বিভাগ
বরিশাল: বরিশাল-১ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ (নৌকা), বরিশাল-২ রাশেদ খান মেনন (নৌকা), বরিশাল-৩ গোলাম কিবরিয়া টিপু (লাঙ্গল), বরিশাল-৪ পঙ্কজ নাথ (স্বতন্ত্র, ঈগল), বরিশাল-৫ জাহিদ ফারুক শামীম (নৌক) ও বরিশাল-৬ হাফিজ মল্লিক (নৌকা)।
ঝালকাঠি: ঝালকাঠি-১ ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর (নৌকা), ঝালকাঠি-২ আমির হোসেন আমু (নৌকা)।
পটুয়াখালী: পটুয়াখালী-১ এ. বি. এম রুহুল আমিন হাওলাদার (লাঙ্গল), পটুয়াখালী-২ আ স ম ফিরোজ (নৌকা), পটুয়াখালী-৩ এস. এম. শাহজাদা (নৌকা) ও পটুয়াখালী-৪ মো. মহিববুর রহমান (নৌকা)।
পিরোজপুর: পিরোজপুর-১শ ম রেজাউল করিম (নৌকা), পিরোজপুর-২ মো. মহিউদ্দীন মহারাজ (স্বতন্ত্র), পিরোজপুর-৩ মো. শামীম শাহনেওয়াজ (স্বতন্ত্র)।
ভোলা: ভোলা-১ তোফায়েল আহমেদ (নৌকা), ভোলা-২ আলী আজম মুকুল (নৌকা), ভোলা-৩ নুরনবী চৌধুরী শাওন (নৌকা), ভোলা-৪ আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব (নৌকা)।
বরগুনা: বরগুনা-১ গোলাম সরোয়ার টুকু (স্বতন্ত্র) ও বরগুনা-২ সুলতানা নাদিরা (নৌকা)।
সিলেট বিভাগ
সিলেট: সিলেট-১ (সদর) ড. একে আব্দুল মোমেন (নৌকা), সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) শফিকুর রহমান চৌধুরী (নৌকা), সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা-ফেঞ্চুগঞ্জ-বালাগঞ্জ) হাবিবুর রহমান (নৌকা), সিলেট-৪ (কোম্পানীগঞ্জ-গোয়াইনঘাট-জৈন্তাপুর) ইমরান আহমদ (নৌকা), সিলেট-৫ (কানাইঘাট-জকিগঞ্জ) আল্লামা হুছামউদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী (স্বতন্ত্র, কেটলি) ও সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ) নুরুল ইসলাম নাহিদ (নৌকা)।
মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা-জুড়ি) মো. শাহাব উদ্দীন (নৌকা), মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল (নৌকা), মৌলভীবাজার-৩ (সদর-রাজনগর) মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান (নৌকা), মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) মো. আব্দুস শহীদ (নৌকা)।
হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী (স্বতন্ত্র, ঈগল), হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) অ্যাডভোকেট ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল (নৌকা), হবিগঞ্জ-৩ (সদর-লাখাই-শায়েস্তাগঞ্জ) অ্যাডভোকেট আবু জাহির (নৌকা), হবিগঞ্জ-৪ ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন (স্বতন্ত্র, ঈগল)।
সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জ-১ (ধর্মপাশা-মধ্যনগর-জামালগঞ্জ-তাহিরপুর) অ্যাডভোকেট রঞ্জিত সরকার, সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) ড. জয়া সেনগুপ্তা (স্বতন্ত্র), সুনামগঞ্জ-০৩ (জগন্নাথপুর-শান্তিগঞ্জ) এম এ মান্নান, সুনামগঞ্জ-৪ (সুনামগঞ্জ সদর-বিশ্বম্ভরপুর) ড. মোহাম্মদ সাদিক, সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক-দোয়ারাবাজার) মহিবুর রহমান মানিক।
রংপুর বিভাগ
রংপুর: রংপুর-১ মো. আসাদুজ্জামান (স্বতন্ত্র, কেটলি), রংপুরে-২ আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী (নৌকা), রংপুর-৩ গোলাম মোহাম্মদ কাদের (লাঙ্গল), রংপুর-৪ টিপু মুনশি (নৌকা), রংপুর-৫ মো, জাকির হোসেন সরকার (স্বতন্ত্র, ট্রাক), রংপুর-৬ শিরীন শারমিন চৌধুরী (নৌকা)।
পঞ্চগড়: পঞ্চগড়-১ নাঈমুজ্জামান ভূইয়া মুক্তা (নৌকা), পঞ্চগড়-২ নূরুল ইসলাম সুজন (নৌকা)।
দিনাজপুর: দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) জাকারিয়া জাকা (স্বতন্ত্র, ট্রাক), দিনাজপুর-২ (বিরল-বোচাগঞ্জ) খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (নৌকা), দিনাজপুর-৩ (সদর) ইকবালুর রহিম (নৌকা), দিনাজপুর-৪ (চিরিরবন্দর-খানসামা) আবুল হাসান মাহমুদ আলী (নৌকা), দিনাজপুর-৫ (পার্বতীপুর-ফুলবাড়ী) মোস্তাফিজুর রহমান (নৌকা) এবং দিনাজপুর-৬ (বিরামপুর-নবাবগঞ্জ-ঘোড়াঘাট-হাকিমপুর) শিবলী সাদিক (নৌকা)।
লালমনিরহাট: লালমনিরহাট-১ আসনে মোতাহার হোসেন (নৌকা), লালমনিরহাট-২ আসনে নুরুজ্জামান আহমেদ (নৌকা), লালমনিরহাট-৩ আসনে অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান (নৌকা),
নীলফামারী: নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আফতাব উদ্দিন সরকার (নৌকা), নীলফামারী-২ (সদর) আসাদুজ্জামান নুর (নৌকা), নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) সাদ্দাম হোসেন পাভেল (স্বতন্ত্র, কাঁচি), নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জ) সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক (জাপা বিদ্রোহী, কাঁচি)।
গাইবান্ধা: গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার (স্বতন্ত্র, ঢেঁকি), গাইবান্ধা-২ (সদর) শাহ সারোয়ার কবির (স্বতন্ত্র, ট্রাক), গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ি-সাদুল্লাপুর)অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি (নৌকা), গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনে আবুল কালাম আজাদ (নৌকা), গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) মাহমুদ হাসান রিপন (নৌকা)।
ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁও-১ রমেশ চন্দ্র সেন (নৌকা), ঠাকুরগাঁও-২ মাজহারুল ইসলাম (নৌকা) ঠাকুরগাঁও-৩ হাফিজ উদ্দিন (লাঙ্গল)।
কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রাম-১ (নাগেশ্বরী ও ভূরুঙ্গামারী) একেএম মোস্তাফিজুর রহমান (লাঙ্গল), কুড়িগ্রাম-২ (কুড়িগ্রাম সদর, ফুলবাড়ী ও রাজারহাট) ডা. হামিদুল হক খন্দকার, কুড়িগ্রাম-৩ (উলিপুর) সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে (নৌকা), কুড়িগ্রাম-৪ (রৌমারী, রাজিবপুর ও চিলমারী) অ্যাডভোকেট বিপ্লব হাসান পলাশ (নৌকা)।
ময়মনসিংহ বিভাগ
ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহ-১ মাহমুদুল হক সায়েম (স্বতন্ত্র, ট্রাক), ময়মনসিংহ-২ শরীফ আহমেদ (নৌকা), ময়মনসিংহ-৪ আসনে মোহিত উর রহমান শান্ত (নৌকা), ময়মনসিংহ-৫ কৃষিবিদ নজরুল ইসলাম (স্বতন্ত্র, ট্রাক), ময়মনসিংহ-৬ আব্দুল মালেক সরকার (স্বতন্ত্র, ট্রাক), ময়মনসিংহ-৭ আসনে এবিএম আনিসুজ্জামান ((স্বতন্ত্র, ট্রাক), ময়মনসিংহ-৮ মাহমুদ হাসান সুমন (স্বতন্ত্র ঈগল), ময়মনসিংহ-৯ আব্দুস সালাম (নৌকা), ময়মনসিংহ-১০ ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল (নৌকা) ও ময়মনসিংহ-১১ মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ (স্বতন্ত্র, ট্রাক)।
শেরপুর: শেরপুর-১ (সদর) মোঃ ছানুয়ার হোসেন ছানু (স্বতন্ত্র, ট্রাক) শেরপুর-২ আসনে মতিয়া চৌধুরী (নৌকা), শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) এডিএম শহিদুল ইসলাম (নৌকা)।
জামালপুর: জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশিগঞ্জ) নূর মোহাম্মদ (নৌকা), জামালপুর-২ (ইসলামপুর) ফরিদুল হক খান (নৌকা), জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) মির্জা আজম (নৌকা), জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ি) আব্দুর রশিদ (স্বতন্ত্র, ট্রাক), জামালপুর-৫ (সদর) আবুল কালাম আজাদ (নৌকা)।
নেত্রকোণা: নেত্রকোনা-১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) আসনে মোশতাক আহমেদ রুহী, নেত্রকোনা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু, নেত্রকোনা-৩ (আটপাড়া-কেন্দুয়া) আসনে ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু (স্বতন্ত্র-ট্রাক), নেত্রকোনা-৪ (মোহনগঞ্জ-মদন-খালিয়াজুরী) সাজ্জাদুল হাসান ও নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আহমদ হোসেন।
আরও পড়ুন:স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, বাহিরের ইন্ধনে দুষ্কৃতকারীরা পূজাকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছিল। তারা সফল হতে পারেনি।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের ইছাপুরায় শ্রী শ্রী সার্বজনীন দুর্গাপূজা মণ্ডপ পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, পূজার শুরুতে ধর্ষণের ঘটনা প্রচার করে পূজাকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হয়েছে। এ কাজে বাহিরের ইন্ধন ছিল কিন্তু দুষ্কৃতকারীরা সফল হতে পারেনি।
এবার বাংলাদেশের সব জায়গায় ভালোভাবে উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে পূজা সম্পন্ন হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিতিশীল বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, দুর্গাপূজা ও বৌদ্ধদের বিজু উৎসব যাতে ভালোভাবে হতে না পারে তার জন্য পার্শ্ববর্তী দেশের সহযোগিতায় কিছু সন্ত্রাসী এ ধরনের কাজ করেছে।
তিনি বলেন, স্থানীয় প্রশাসন এবং বিশেষ করে পূজা কমিটির সহযোগিতায় এ বছর শান্তিপূর্ণভাবে পূজা সম্পন্ন হয়েছে। এ জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা আক্তার, সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল ) মো. ইব্রাহিম, পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি বাদর পাল। সূত্র : বাসস
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা দ্রুত প্রত্যাহার হবে এমন কোন সম্ভাবনা নেই।
বরিশাল নগরীর শংকর মঠ পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আজ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যখন একটা দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়, স্থায়ী কি অস্থায়ী এ ধরনের প্রশ্ন থাকে। আওয়ামী লীগের কার্যক্রমের উপর দেয়া নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়া হবে এরকম কোনো সম্ভাবনা আমি দেখছি না।
বিদেশি গণমাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অশান্ত পাহাড় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পাহাড়কে যারা অশান্ত করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার।
তিনি আজ দুপুরে বরিশাল সার্কিট হাউজে পৌঁছে নগরীর নতুন বাজার সংলগ্ন শংকর মঠ পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সাঙ্গে সাক্ষাৎ ও কুশল বিনিময় করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- বরিশাল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার মো. শরীফ উদ্দীন, শংকর মঠ পূজা মণ্ডপ কমিটির সভাপতি কানু লাল সাহা ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক তম্ময় তপু প্রমুখ।
বিদেশে পাচার হয়ে যাওয়া অর্থের একটি অংশ আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আশাবাদী অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি মঙ্গলবার এ কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর মাধ্যমে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার প্রক্রিয়া ক্রমান্বয়ে এগোচ্ছে। এটি সময়সাপেক্ষ বিষয়, একদিনে সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, যারা বিদেশে টাকা পাচার করে তারা সাধারণত খুব কৌশলী ও প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষ হয়। ফলে ফেরত আনার কাজ দীর্ঘমেয়াদি ও জটিল হয়ে পড়ে।
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, ‘অর্থ ফেরত আনা মানে সুইস ব্যাংকে ফোন দিয়ে টাকা নিয়ে আসা নয়। আন্তর্জাতিক আইনি ও আর্থিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই এটি করতে হয়। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে কিছু অগ্রগতি হয়েছে এবং বেশ কিছু বিখ্যাত আইনি সংস্থার সঙ্গে আলোচনা চলছে। কিছু নির্দিষ্ট বিচার ব্যবস্থার সঙ্গেও আলোচনা এগোচ্ছে। আমরা আশা করি ফেব্রুয়ারির মধ্যে কিছু ফল পাওয়া যাবে।’
অর্থ উপদেষ্টা জানান, সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ইতোমধ্যে ১১-১২ টি মানিলন্ডারিং মামলা চিহ্নিত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট সম্পদের তদন্ত অব্যাহত আছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক সম্পদ জব্দ করেছে, বিদেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট শনাক্ত করেছে এবং সংশ্লিষ্টদের পাসপোর্ট ও বসবাসের তথ্য সংগ্রহ করেছে। এসব মামলা আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই এগোচ্ছে।’
আগামী নির্বাচনের পর নতুন সরকার আপনাদের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে কি না-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘বাধ্য হয়ে তাদের চালিয়ে যেতে হবে। কারণ আমরা প্রক্রিয়াগুলো চালু করে গেলাম, সেটা অব্যাহত না থাকলে তো টাকা ফেরত আনতে পারবে না। তারা বসে থাকলে টাকা ফেরত আসবে না। আর যদি আনতে হয় এই প্রক্রিয়াগুলো মানতে হবে। এটা তো ইন্টারন্যাশনাল প্র্যাকটিস। আমরা যে প্রক্রিয়া শুরু করেছি তা বজায় রাখতে হবে।’
খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘পর্যাপ্ত মজুত থাকা সত্ত্বেও সরকার সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা আতপ চালের একটি বাফার মজুত রাখি। অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটলে যাতে সংকট না হয় সে জন্য নীতিগতভাবে আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, সার বিশেষ করে-ডিএপি ও ইউরিয়া আমদানিতে সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে। সুখবর হচ্ছে-আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম কিছুটা কমেছে। আমরা বাজার স্থিতিশীল রাখতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করছি, পাশাপাশি যথেষ্ট চাল ও সারের মজুদও রাখছি।
সাম্প্রতিক বিবিএস প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সরকার শিশু ও মাতৃকল্যাণ বিষয়ে সতর্ক। তাই ভিজিএফ কর্মসূচি এবং উপকূলীয় ও হাওর অঞ্চলের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, আসন্ন মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞাকালে জেলেদের প্রতিটি পরিবারকে ২০ কেজি চাল দেওয়া হবে।’
বর্তমান বাজার পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মজুত ভালো থাকায় চালের দাম সম্প্রতি কমেছে। তবে শাকসবজি ও অন্যান্য দ্রুত নষ্ট হওয়া পণ্যের দাম মৌসুমি কারণে ওঠানামা করে। পাইকারি ও খুচরা বাজারে এক শ্রেণির ব্যবসায়ীর কারসাজি এখনো অব্যাহত রয়েছে। ‘ এ কারণেই আমরা এখনো পূর্ণ সাফল্য দাবি করতে পারছিনা,’ স্বীকার করেন তিনি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন সিটি লেভেল কো-অর্ডিনেশন কমিটি (সিএলসিসি) এর প্রথম সভা আজ নগর ভবন অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিএসসিসি প্রশাসক জনাব মোঃ শাহজাহান মিয়া এঁর সভাপতিত্বে স্থানীয় সরকার বিভাগের "সিটি কর্পোরেশন নাগরিক সম্পৃক্ততকরণ নির্দেশিকা" এর আলোকে গঠিত সিএলসিসির ৭১ জন সদস্য উপর্যুক্ত সভায় অংশগ্রহণ করেন।
সিটি লেভেল কো-অর্ডিনেশন কমিটি (সিএলসিসি) সভায় আলোচনাপূর্বক উন্নয়ন ও সেবামূলক কর্মপরিকল্পনা সুপারিশ করতে পারে। এ সভায় সিটি কর্পোরেশনের বার্ষিক বাজেট ও উন্নয়ন পরিকল্পনা, আর্থিক বিবরণীসহ বার্ষিক অর্জন সম্পর্কিত প্রতিবেদন, নাগরিক জরিপ, সামাজিক সমস্যাবলি সমাধানের জন্য গৃহীত পদক্ষেপ, সিটি কর্পোরেশনের সেবাসমূহের মান উন্নয়ন, উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন ও নাগরিকদের যথাযথভাবে সেবা প্রদানে চ্যালেঞ্জসমূহ আলোচিত হতে পারে।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে ডিএসসিসি প্রশাসক বলেন, "জুলাই পরবর্তী নাগরিক প্রত্যাশা পূরণে সিএলসিসি কমিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কেননা তাদের মাধ্যমে সরাসরি নাগরিকদের মতামতের প্রতিফলন হয়।" এ সময় প্রশাসক ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ ও জলাবদ্ধতা নিরসনে ডিএসসিসির গৃহীত পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরে জনগণকে এ বিষয়ে আরও সচেতন ও সম্পৃক্ত করতে সিটি লেভেল কো-অর্ডিনেশন কমিটির সদস্যদের সহযোগিতা কামনা করেন।
সভায় সদস্যবৃন্দ ডিএসসিসির সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনা ও সুপারিশ প্রদান করেন এবং সিটি কর্পোরেশন নাগরিক জরিপে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে ডিএসসিসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মোঃ জহিরুল ইসলাম, সচিব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, সকল বিভাগীয় প্রধান এবং মিস নাউকু আনজাই, টিম লিডার, সিফরসি২ উপস্থিত ছিলেন।
তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরত নারী শ্রমিকদের মধ্যে বাল্যবিয়ে ও কিশোরী অবস্থায় গর্ভধারণের প্রবণতা উদ্বেগজনক আকারে বেড়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, এই শ্রমিকদের দুই-তৃতীয়াংশের বেশি (৬৬ শতাংশ) ১৮ বছরের আগেই বিয়ে হয়েছে। তাদের অধিকাংশই অপ্রাপ্ত বয়সে প্রথমবারের মতো গর্ভধারণ করেছেন। একই সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ ও গর্ভপাতের হারও এ জনগোষ্ঠীর মধ্যে তুলনামূলক বেশি।
গতকাল সোমবার রাজধানীর মহাখালীতে আইসিডিডিআরবি মিলনায়তনে ‘তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরত নারী শ্রমিকদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার’ শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করা হয়।
গবেষণা বলছে, প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নারী শ্রমিক অন্তত একবার অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন এবং প্রতি চারজনের একজন গর্ভপাত বা মেনস্ট্রুয়াল রেগুলেশন করেছেন।
জানা গেছে, গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার সহায়তায় আইসিডিডিআরবি প্রায় ২৪ মাসব্যাপী এই গবেষণা পরিচালনা করে, যা বাংলাদেশে পরিচালিত প্রথম এমন কোনো গবেষণা। ২০২২ সালের আগস্ট থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত গবেষণাটি কড়াইল ও মিরপুর বস্তি এবং গাজীপুরের টঙ্গী বস্তিতে আইসিডিডিআরবির আর্বান হেলথ অ্যান্ড ডেমোগ্রাফিক সার্ভেইলেন্সের আওতাধীন এলাকায় পরিচালিত হয়। ১৫-২৭ বছর বয়সি মোট ৭৭৮ জন বিবাহিত নারী গার্মেন্ট শ্রমিককে এই গবেষণাটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং প্রতি ছয় মাস অন্তর অন্তর এদের ওপর জরিপ পরিচালনা করা হয়।
সেমিনারে গবেষণার ফলাফল তুলে ধরে জানানো হয়, গার্মেন্টস কর্মীদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি সম্পর্কে সচেতন ছিলেন ৪৯ শতাংশ শ্রমিক, যা দুই বছর শেষে বেড়ে দাঁড়ায় ৭০ শতাংশে। জরুরি গর্ভনিরোধক বড়ি সম্পর্কে জ্ঞান ছিল মাত্র ১৫ শতাংশ নারীর; গবেষণা শেষে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৯ শতাংশে। একই সময়ে পরিবার পরিকল্পনায় লিঙ্গ সমতার প্রতি ইতিবাচক মনোভাব ৫৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭১ শতাংশে পৌঁছেছে।
গবেষণায় দেখা যায়, নারী শ্রমিকরা ঘর ও কর্মস্থল দুই জায়গাতেই সহিংসতার শিকার হচ্ছেন। গত ১২ মাসে স্বামীর সহিংসতার হার ছিল উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। যৌন সহিংসতা ছাড়া অন্য সব ধরনের সহিংসতা গত দুই বছরে বেড়েছে। কর্মক্ষেত্রেও সহিংসতার প্রবণতা উল্টোদিকে গেছে— গবেষণার শুরুতে যেখানে প্রায় ৪৮ শতাংশ শ্রমিক কর্মক্ষেত্রে মানসিক সহিংসতার শিকার হয়েছিলেন, গবেষণার শেষ দিকে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫৫ শতাংশে।
তবে সহিংসতার শিকার হওয়ার পরও খুব কম সংখ্যক নারী আনুষ্ঠানিকভাবে সাহায্য চাইছেন। গবেষণার শুরুতে যেখানে ৩৫ শতাংশ নারী অনানুষ্ঠানিকভাবে (পরিবার বা বন্ধুদের কাছে) সাহায্য চাইতেন, গবেষণার শেষ দিকে তা কমে দাঁড়ায় মাত্র ২১ শতাংশে। কর্মক্ষেত্রের সহিংসতার ঘটনাতেও মাত্র এক-পঞ্চমাংশ নারী কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন, এবং দুই বছর পরেও এ হার অপরিবর্তিত থাকে।
তরুণ বয়সে গর্ভধারণের ঝুঁকি কমাতে কিছু নিয়ামকও চিহ্নিত হয়েছে গবেষণায়। দেখা গেছে, যারা সন্তান ধারণের আগেই গর্ভনিরোধক ব্যবহার শুরু করেছিলেন, তাদের কিশোরী অবস্থায় গর্ভধারণের ঝুঁকি ৪৭ শতাংশ কম। এছাড়া যারা প্রথম গর্ভধারণের আগে গার্মেন্ট খাতে কাজ শুরু করেছিলেন, তাদের ঝুঁকি আরও কম।
অন্যদিকে, স্বামী কর্তৃক সহিংসতার অভিজ্ঞতা থাকলে কিশোরী অবস্থায় গর্ভধারণের ঝুঁকি ২৬ শতাংশ বেড়ে যায় বলেও গবেষণায় উঠে এসেছে।
গবেষণার উপাত্ত বিশ্লেষণে আরও দেখা যায়, নারীর ক্ষমতায়নের বিভিন্ন মাত্রা স্বামীর সহিংসতাকে নানাভাবে প্রভাবিত করে। যেমন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা বেশি থাকলে মানসিক ও যৌন সহিংসতা থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায়। মতামত প্রকাশের ক্ষমতা থাকলে যৌন সহিংসতা কমে। আবার চলাচলে স্বাধীনতা থাকলে শারীরিক সহিংসতার ঝুঁকিও কমে যায়।
ঢাকার মহাখালীতে আইসিডিডিআরবি ক্যাম্পাসে আয়োজিত সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (পরিকল্পনা ও গবেষণা) সহকারী পরিচালক ডা. সেকেন্দার আলী মোল্লা, পপুলেশন কাউন্সিল বাংলাদেশের সাবেক পরিচালক ডা. উবাইদুর রব, বিকেএমইএর যুগ্ম সচিব ফারজানা শারমিন এবং মেরী স্টোপস বাংলাদেশের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ও স্বতন্ত্র গবেষক ইয়াসমিন এইচ আহমেদ।
বিকেএমইএর যুগ্ম সচিব ফারজানা শারমিন বলেন, গার্মেন্টস কারখানাগুলোতে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে পরামর্শমূলক সেবা বৃদ্ধির কাজ চলছে। তবে আরও কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।
এই গবেষণার প্রধান গবেষক ছিলেন আইসিডিডিআরবির ইমেরিটাস সায়েন্টিস্ট ড. রুচিরা তাবাসসুম নভেদ। তিনি বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি পেলে তারা শুধু পরিবারে নয়, কর্মক্ষেত্রেও সহিংসতা থেকে সুরক্ষিত হতে পারেন। গার্মেন্ট শ্রমিক নারীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, খাগড়াছড়ির বর্তমান পরিস্থিতি সন্তোষজনক অবস্থায় রয়েছে।
তিনি বলেন, খাগড়াছড়িতে স্থিতিশীল পরিস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সোমবার রাজধানীর রমনায় ডিএমপি’র পাঁচটি থানার ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, খাগড়াছড়িতে কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, খাগড়াছড়িতে স্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সেখানে আছেন। তিনি বিষয়টি দেখাশোনা করছেন এবং স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলছেন।
খাগড়াছড়িতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টিতে প্রতিবেশী একটি দেশের অর্থ ও অস্ত্র সহায়তা সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি কোনো দেশের নাম উল্লেখ করতে চাই না, তবে পতিত ফ্যাসিস্টদের দল খাগড়াছড়িতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে।’
তিনি আরো বলেন, ফ্যাসিস্ট দলটি সারা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। যাতে চলমান দুর্গাপূজা উৎসবমুখর ও বাধাহীনভাবে উদযাপন করা না যায়।
দুর্গাপূজা নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, গতকাল থেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বড় ধর্মীয় উৎসব শুরু হয়েছে। কেউ যেন কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করে ও পূজা নির্বিঘ্নে আয়োজিত হয়, সেজন্য সবাইকে সহায়তা করতে হবে।
পাহাড়ে আটকে পড়া পর্যটকদের বিষয়ে তিনি বলেন, আটকে পড়া পর্যটকদের অধিকাংশকেই নিরাপদভাবে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, ডিএমপিতে ৫০টি থানা রয়েছে, যার অর্ধেক ভাড়া করা ভবনে আছে। আমরা সমস্ত থানাকে তাদের নিজস্ব ভবনে স্থানান্তর করার জন্য কাজ করছি।
খাগড়াছড়িতে সাম্প্রতিক অস্থিরতায় তিনজন নিহত এবং পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর সদস্যসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে খাদ্য অপচয় ও ক্ষতি রোধ করতে হবে। তিনি বলেন, একদিকে অনেক মানুষ খাদ্যের অভাবে অনাহারে থাকছে, অন্যদিকে উৎপাদিত বিপুল খাদ্যের একটি বড় অংশ অপচয় হচ্ছে- যা দুঃখজনক।
উপদেষ্টা আজ সকালে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত “Towards Zero Food Waste and Loss: Building a Sustainable Food Value Chain in Bangladesh” -শীর্ষক জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, বিশ্ব খাদ্য সংস্থা ১৯৯৬ সাল থেকে খাদ্যের নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলেছে। তখন খাদ্য প্রাপ্ততা বড় বিষয় ছিল। এখন খাদ্য নিরাপত্তার সঙ্গে পুষ্টিও যুক্ত হয়েছে। দেশে বর্তমানে মাছের উৎপাদন সম্পর্কে তিনি বলেন, আগে যেখানে প্রাকৃতিক উৎস থেকে ৬০ শতাংশ ও চাষ থেকে ৪০ শতাংশ আসতো বর্তমানে চাষ থেকে আসছে ৬০ শতাংশ ও প্রাকৃতিক উৎস থেকে ৪০ শতাংশ। আর তাই প্রাকৃতিক মাছ নষ্ট হওয়া প্রতিরোধে কাজ করতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, কৃষি, প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য খাতের পণ্য পচনশীল হওয়ায় সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণে অবকাঠামোগত দুর্বলতা এবং ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত না হওয়ায় কৃষকরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ছেন। ফলে দুধ, ডিম, মাছ ও মাংসসহ নানা খাদ্যপণ্য অপচয়ের শিকার হচ্ছে।
মৎস্য উপদেষ্টা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সামুদ্রিক মৎস্য খাতে অনিয়ন্ত্রিত ও অবৈধ জাল ব্যবহার, লক্ষ্যভিত্তিক মাছ ধরা এবং অপ্রচলিত প্রজাতি বাজারজাতের অভাবে বিপুল পরিমাণ মাছ ফেলে দিতে হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, মাছের বৈচিত্র্য হারিয়ে যাচ্ছে; একসময় ২৬৭ প্রজাতির দেশীয় মাছ পাওয়া যেত, এখন তা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। এটি দীর্ঘমেয়াদে খাদ্য নিরাপত্তায় মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।
উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করে বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে খাদ্য অপচয় ও ক্ষতি উল্লেখযোগ্য হারে কমাতে পারলে খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি সুরক্ষা ও জনগণের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন করেন বাংলাদেশে ডেনমার্ক দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মি. অ্যান্ডায়ার্স কার্লসেন ( Mr. Anders Karlsen), খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)-এর ডেপুটি প্রতিনিধি মি. দিয়া সানু ( Mr. Dia Sanou), ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি)-এর ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর মি. জেসে উড ( Mr. Jsse Wood) । অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইয়াসিন।
মন্তব্য