× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
At the end of the counting of votes those who initially won
google_news print-icon
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

২৯৮ আসনে জয়ী হলেন যারা

২৯৮-আসনে-জয়ী-হলেন-যারা
গ্রাফিক্স: নিউজবাংলা
বিকেল ৪টা ভোটগ্রহণ পর্ব শেষে কেন্দ্রে কেন্দ্রে চলে ভোট গণনা। ভোট গণনা শেষে প্রাথমিকভাবে আসনগুলোর ফল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। সে অনুযায়ী নৌকা ২২৪, লাঙ্গল ১১, স্বতন্ত্র ৬২ ও অন্য ১ আসনে প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন।

ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক কম, কিছুসংখ্যক কেন্দ্রে গোলযোগ আর অনিয়মের অভিযোগের মধ্যে মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয়েছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। মুন্সীগঞ্জে ভোটকেন্দ্রের সামনে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। ২৯৯ আসনের ৪২ হাজার কেন্দ্রের মধ্যে অনিয়মের কারণে স্থগিত হয়েছে ৯টি আসনের ২১টি কেন্দ্রের ভোট। এর মধ্যে একটি আসনের ভোট স্থগিত করা হয়েছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল জানিয়েছেন, সারাদেশে ২৯৮টি আসনে গড়ে ৪১.৮ শতাংশ ভোট পড়েছে।

বিকেল ৪টা ভোটগ্রহণ পর্ব শেষে কেন্দ্রে কেন্দ্রে চলে ভোট গণনা। ভোট গণনা শেষে প্রাথমিকভাবে আসনগুলোর ফল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

নিউজবাংলার প্রতিবেদক, ব্যুরো অফিস, স্থানীয় প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

জয়ী হলেন যারা

ঢাকা বিভাগ

ঢাকা: ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) আসনে সালমান ফজলুর রহমান (নৌকা), ঢাকা-২ (কেরানীগঞ্জ, লালবাগের একাংশ, সাভারের একাংশ) আসনে মো. কামরুল ইসলাম (নৌকা), ঢাকা-৩ (কেরানীগঞ্জ) আসনে নসরুল হামিদ (নৌকা), ঢাকা-৪ (সূত্রাপুর-ডেমরার একাংশ) আসনে মো. আওলাদ হোসেন (ট্রাক), ঢাকা-৫ (ডেমরার একাংশ-মতিঝিলের একাংশ) আসনে মশিউর রহমান মোল্লা সজল (ট্রাক), ঢাকা-৬ (কোতয়ালী, সূত্রাপুর) আসনে মোহাম্মদ সাইদ খোকন (নৌকা), ঢাকা-৭ (লালবাগের একাংশ-কোতয়ালীর একাংশ) আসনে মোহাম্মদ সোলায়মান সেলিম (নৌকা), ঢাকা-৮ (মতিঝিলের একাংশ-রমনার একাংশ) আসনে আ ফ ম বাহাউদ্দিন (নৌকা), ঢাকা-৯ (সবুজবাগের একাংশ-ডেমরার একাংশ-মতিঝিলের একাংশ) আসনে সাবের হোসেন চৌধুরী (নৌকা), ঢাকা-১০ (ধানমণ্ডির একাংশ-লালবাগের একাংশ) আসনে ফেরদৌস আহমেদ (নৌকা), ঢাকা-১১ (গুলশানের একাংশ-সবুজবাগের একাংশ) আসনে মোহাম্মদ ওয়াকিল উদ্দিন (নৌকা), ঢাকা-১২ (রমনা) আসনে আসাদুজ্জামান খান (নৌকা), ঢাকা-১৩ (মোহাম্মদপুর) আসনে জাহাঙ্গীর কবির নানক (নৌকা), ঢাকা-১৪ (মিরপুর-সাভারের একাংশ) আসনে মো. মাইনুল হোসেন খান (নৌকা), ঢাকা-১৫ (মিরপুরের একাংশ-ক্যান্টনমেন্ট) আসনে কামাল আহমেদ মজুমদার (নৌকা), ঢাকা-১৬ (পল্লবী) আসনে মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ (নৌকা), ঢাকা-১৭ (গুলশানের একাংশ-ক্যান্টনমেন্টের একাংশ) আসনে মোহাম্মদ আলী আরাফাত (নৌকা), ঢাকা-১৮ উত্তরার একাংশ-ক্যান্টনমেন্টের একাংশ-গুলশানের একাংশ) আসনে মো. খসরু চৌধুরী (কেটলি), ঢাকা-১৯ (সাভার) আসনে মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম (ট্রাক) ও ঢাকা-২০ (ধামরাই) আসনে বেনজীর আহমদ (নৌকা)।

গাজীপুর: গাজীপুর ১ আসনে আ ক ম মোজাম্মেল হক (নৌকা), গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) সিমিন হোসেন রিমি (নৌকা)।

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) গোলাম দস্তগীর গাজী (নৌকা), নারায়ণগঞ্জ- ২ (আড়াইহাজার) নজরুল ইসলাম বাবু (নৌকা), নারায়ণগঞ্জ- ৩ (সোনারগাঁ) আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত (নৌকা), নারায়ণগঞ্জ- ৪ (ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ) একেএম শামীম ওসমান (নৌকা), নারায়ণগঞ্জ- ৫ (সদর ও বন্দর) সেলিম ওসমান (লাঙ্গল)।

নরসিংদী: নরসিংদী-১ (সদর) নজরুল ইসলাম (নৌকা), নরসিংদী-২ (পলাশ-সদরের একাংশ) আনোয়ারুল আশরাফ খান (নৌকা), নরসিংদী-৩ (শিবপুর) সিরাজুল ইসলাম মোল্লা (ঈগল), নরসিংদী-৪ (মনোহরদী-বেলাবো) নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন (নৌকা) ও নরসিংদী-৫ (রায়পুরা) রাজি উদ্দিন আহমেদ (নৌকা)।

শরীয়তপুর: শরীয়তপুর-১ (সদর-জাজিরা) মো. ইকবাল হোসেন (নৌকা), শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া-ভেদরগঞ্জ) এ কে এম এনামুল হক শামীম (নৌকা) ও শরীয়তপুর-৩ (ডামুড্যা-গোসাইরহাট-ভেদরগঞ্জের একাংশ) নাহিম রাজ্জাক (নৌকা)।

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইল-১ আবদুর রাজ্জাক (নৌকা), টাঙ্গাইল-২ তানভীর হাসান ছোট মনির (নৌকা), টাঙ্গাইল-৩ আমানুর রহমান খান (স্বতন্ত্র, ঈগল), টাঙ্গাইল-৪ আবদুল লতিফ সিদ্দিকী (স্বতন্ত্র, ট্রাক), টাঙ্গাইল-৫ ছানোয়ার হোসেন (স্বতন্ত্র, ঈগল), টাঙ্গাইল-৬ আহসানুল ইসলাম টিটু (নৌকা), টাঙ্গাইল-৭ খান আহমেদ শুভ (নৌকা), টাঙ্গাইল-৮ অনুপম শাহজাহান জয় (নৌকা)।

কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) সৈয়দা জাকিয়া নূর (নৌকা), কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) সোহরাব উদ্দিন (ঈগল), কিশোরগঞ্জ-৩ (তাড়াইল-করিমগঞ্জ) মুজিবুল হক চুন্নু (লাঙ্গল), কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক (নৌকা), কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আফজাল হোসেন (নৌকা), কিশোরগঞ্জ-৬ (কুলিয়ারচর-ভৈরব) নাজমুল হাসান (নৌকা)।

মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জ-১ (ঘিওর, দৌলতপুর ও শিবালয়) সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদ (স্বতন্ত্র, ঈগল), মানিকগঞ্জ-২ দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু (স্বতন্ত্র, ট্রাক), মানিকগঞ্জ-৩ (সদর ও সাটুরিয়া) জাহিদ মালেক (নৌকা)।

মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জ-১ (সিরাজদিখান-শ্রীনগর) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ (নৌকা), মুন্সীগঞ্জ-২ (টঙ্গিবাড়ী-লৌহজং) সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি (নৌকা), মুন্সীগঞ্জ-৩ (মুন্সীগঞ্জ সদর-গজারিয়া) মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব (স্বতন্ত্র)।

রাজবাড়ী: রাজবাড়ী-১ (সদর-গোয়ালন্দ) কাজী কেরামত আলী (নৌকা) ও রাজবাড়ী-২ (বালিয়াকান্দি-কালুখালী-পাংশা) জিল্লুল হাকিম (নৌকা)।

মাদারীপুর: মাদারীপুর-১ নূর ই আলম চৌধুরী (নৌকা), মাদারীপুর-২ শাজাহান খান (নৌকা), মাদারীপুর-৩ তাহমিনা বেগম (স্বতন্ত্র, ঈগল)।

গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জ-১ মোহাম্মদ ফারুক খান (নৌকা), গোপালগঞ্জ-২ (গোপালগঞ্জ সদর ও কাশিয়ানী আংশিক) শেখ ফজলুল করিম সেলিম (নৌকা), গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া) আসনে শেখ হাসিনা (নৌকা)।

ফরিদপুর: ফরিদপুর-১ (মধুখালী-বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা) আব্দুর রহমান (নৌকা), ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা-সালথা) শাহদাব আকবর (নৌকা), ফরিদপুর-৩ (সদর) আব্দুল কাদের আজাদ (ঈগল), ফরিদপুর-৪ (ভাংগা-চরভদ্রাসন-সদরপুর) মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন (ঈগল)।

চট্টগ্রাম বিভাগ

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম-১ মাহবুব উর রহমান রুহেল (নৌকা), চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) খাদিজাতুল আনোয়ার সনি (নৌকা), চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) মাহফুজুর রহমান মিতা (নৌকা), চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) এস এম আল মামুন (নৌকা), চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আনিসুল ইসলাম (লাঙ্গল), চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী (নৌকা), চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) ড. হাছান মাহমুদ (নৌকা), চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চাঁদগাঁও) আব্দুছ ছালাম (নৌকা), চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি) মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (নৌকা), চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-পাঁচলাইশ) মহিউদ্দিন বাচ্চু (নৌকা), চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর) এম এ লতিফ (নৌকা), চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) মোতাহেরুল ইসলাম (নৌকা), চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ (নৌকা), চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) মো. নজরুল ইসলাম (নৌকা), চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আব্দুল মোতালেব (স্বতন্ত্র, ঈগল) এবং চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) মুজিবুর রহমান (স্বতন্ত্র, ঈগল)।

কুমিল্লা: কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি-তিতাস) ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর (নৌকা), কুমিল্লা-২ (হোমনা-মেঘনা) আবদুল মজিদ (স্বতন্ত্র, ট্রাক), কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) জাহাঙ্গীর আলম সরকার (স্বতন্ত্র, ঈগল), কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আবুল কালাম আজাদ (স্বতন্ত্র, ঈগল), কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) আসনে এমএ জাহের (স্বতন্ত্র, কেটলি), কুমিল্লা-৬ (সদর) আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার (নৌকা), কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) প্রাণ গোপাল দত্ত (নৌকা), কুমিল্লা-৮ (বরুড়া) আবু জাফর মো. শফিউদ্দিন শামীম (নৌকা), কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) তাজুল ইসলাম (নৌকা), কুমিল্লা-১০ (সদর দক্ষিণ-লাঙ্গলকোট-লালমাই) আ হ ম মুস্তফা কামাল (নৌকা) ও কুমিল্লা- ১১ (চৌদ্দগ্রাম) মুজিবুল হক মুজিব (নৌকা)।

ফেনী: ফেনী-১ আলাউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী (নৌকা), ফেনী-২ নিজাম উদ্দিন হাজারী (নৌকা) ও ফেনী-৩ মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী (লাঙ্গল)।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে সৈয়দ এ.কে এমরামুজ্জামান (নৌকা), ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে মোঃ মঈনুদ্দিন মঈন (স্বতন্ত্র), ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী (নৌকা), ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আনিসুল হক (নৌকা), ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) ফয়জুর রহমান বাদল (নৌকা), ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনে ক্যাপ্টেন অব. এ.বি তাজুল ইসলাম (নৌকা)।

নোয়াখালী: নোয়াখালী-১ এইচ এম ইব্রাহীম (নৌকা), নোয়াখালী-২ মোরশেদ আলম (নৌকা), নোয়াখালী-৩ মামুনুর রশীদ কিরন (নৌকা), নোয়াখালী-৪ একরামুল করিম চৌধুরী (নৌকা), নোয়াখালী-৫ ওবায়দুল কাদের (নৌকা) ও নোয়াখালী-৬ মোহাম্মদ আলী (নৌকা)।

চাঁদপুর: চাঁদপুর-১ সেলিম মাহমুদ (নৌকা), চাঁদপুর-২ মোফাজ্জল হোসাইন চৌধুরী (নৌকা), চাঁদপুর-৩ ডা. দীপু মনি (নৌকা) ও চাঁদপুর-৪ মুহম্মদ শফিকুর রহমান (নৌকা)।

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুর-১ আনোয়ার হোসেন খান (নৌকা), লক্ষ্মীপুর-২ নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন (নৌকা), লক্ষ্মীপুর-৩ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক (নৌকা), লক্ষ্মীপুর-৪ মো. আবদুল্লাহ (স্বতন্ত্র)।

কক্সবাজার: কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীরপ্রতীক (হাতঘড়ি), কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আশেক উল্লাহ রফিক (নৌকা), কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) সাইমুম সরওয়ার কমল (নৌকা), কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) শাহিন আক্তার (নৌকা)।

খাগড়াছড়ি: কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা (নৌকা)

বান্দরবান: বীর বাহাদুর উ শৈ সিং (নৌকা)।

রাঙ্গামাটি: দীপংকর তালুকদার (নৌকা)

খুলনা বিভাগ

খুলনা: খুলনা-১ ননী গোপাল মণ্ডল (নৌকা), খুলনা-২ সেখ সালাউদ্দিন জুয়েল (নৌকা), খুলনা-৩ এসএম কামাল হোসেন (নৌকা), খুলনা-৪ আব্দুস সালাম মুর্শিদী (নৌকা), খুলনা-৫ নারায়ণ চন্দ্র (নৌকা), খুলনা-৬ মো. রশিদুজ্জামান (নৌকা)।

যশোর: যশোর-১ শেখ আফিল উদ্দিন (নৌকা), যশোর-২ মো. তৌহিদুজজামান (নৌকা), যশোর-৩ কাজী নাবিল আহমেদ (নৌকা), যশোর-৪ এনামুল হক বাবুল (নৌকা), যশোর-৫ মো. ইয়াকুব আলী (স্বতন্ত্র), যশোর-৬ মো. আজিজুল ইসলাম (স্বতন্ত্র)।

সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা-১ ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন (নৌকা), সাতক্ষীরা-২ মো. আশরাফুজ্জামান (লাঙ্গল), সাতক্ষীরা-৩ আ ফ ম রুহুল হক (নৌকা) ও সাতক্ষীরা-৪ আতাউল হক নৌকা)।

মেহেরপুর: মেহেরপুর-১ ফরহাদ হোসেন (নৌকা), মেহেরপুর-২ (গাংনী) এএসএম নাজমুল হক সাগর (নৌকা)।

নড়াইল: নড়াইল-১ বি এম কবিরুল হক (নৌকা) ও নড়াইল-২ মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা (নৌকা।

চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গা-১ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন (নৌকা), চুয়াডাঙ্গা-২ আলী আজগার টগর (নৌকা)।

কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়া-১ মো. রেজাউল হক চোধুরী (স্বতন্ত্র), কুষ্টিয়া-২ মো. কামারুল আরেফিন (স্বতন্ত্র), কুষ্টিয়া-৩ মো. মাহবুবউল আলম হানিফ (নৌকা), কুষ্টিয়া-৪ আবদুর রউফ (স্বতন্ত্র)।

মাগুরা: মাগুরা-১ আসনে সাকিব আল হাসান (নৌকা), মাগুরা-২ আসনে বীরেন শিকদার (নৌকা),

বাগেরহাট: বাগেরহাট-১ (ফকিরহাট, মোল্লাহাট, চিতলমারী) শেখ হেলাল উদ্দিন (নৌকা), বাগেরহাট-২ (বাগেরহাট সদর ও কচুয়া) শেখ তন্ময় (নৌকা), বাগেরহাট-৩ (রামপাল ও মোংলা) হাবিবুন নাহার (নৌকা) ও বাগেরহাট-৪ (মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা) এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ (নৌকা)।

ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) মো. আব্দুল হাই (নৌকা), ঝিনাইদহ-২ মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী (স্বতন্ত্র), ঝিনাইদহ-৩ মো. সালাহ উদ্দিন মিয়াজী (নৌকা) ও ঝিনাইদহ-৪ মো. আনোয়ারুল আজীম আনার (নৌকা)।

রাজশাহী বিভাগ

রাজশাহী: রাজশাহী-১ ওমর ফারুক চৌধুরী (নৌকা), রাজশাহী-২ শফিকুর রহমান বাদশা (স্বতন্ত্র), রাজশাহী-৩ আসাদুজ্জামান আসাদ (নৌকা), রাজশাহী-৪ আবুল কালাম আজাদ (নৌকা), রাজশাহী-৫ আব্দুল ওয়াদুদ দারা (নৌকা) ও রাজশাহী-৬ শাহরিয়ার আলম (নৌকা)।

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জ-১ তানভীর শাকিল জয় (নৌকা), সিরাজগঞ্জ-২ জান্নাত আরা হেনরী (নৌকা), সিরাজগঞ্জ-৩ আব্দুল আজিজ (নৌকা), সিরাজগঞ্জ-৪ শফিকুল ইসলাম (নৌকা), সিরাজগঞ্জ-৫ আব্দুল মোমিন মন্ডল (নৌকা) এবং সিরাজগঞ্জ-৬ মো. চয়ন ইসলাম (নৌকা)।

পাবনা: পাবনা-১ শামসুল হক টুকু (নৌকা), পাবনা-২ আহমেদ ফিরোজ কবীর (নৌকা), পাবনা-৩ মকবুল হোসেন (নৌকা), পাবনা-৪ গালিবুর রহমান শরীফ (নৌকা) ও পাবনা-৫ গোলাম ফারুক প্রিন্স (নৌকা)।

বগুড়া: বগুড়া-১ সাহাদারা মান্নান (নৌকা), বগুড়া-২ শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ (লাঙ্গল), বগুড়া-৩ খান মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ্‌ আল মেহেদী (স্বতন্ত্র), বগুড়া-৪ এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন (মশাল), বগুড়া-৫ মো. মজিবর রহমান (নৌকা), বগুড়া-৬ রাগেবুল আহসান রিপু (নৌকা), বগুড়া-৭ মো. মোস্তফা আলম (নৌকা)।

নাটোর: নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ (স্বতন্ত্র, ঈগল), নাটোর-২ (সদর ও নলডাঙ্গা) শফিকুল ইসলাম শিমুল (নৌকা), নাটোর-৩ (সিংড়া) জুনাইদ আহমেদ পলক (নৌকা), নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী (নৌকা)।

জয়পুরহাট: জয়পুরহাট-১ (সদর-পাঁচবিবি) সামছুল আলম দুদু (নৌকা) ও জয়পুরহাট-২ (আক্কেলপুর-কালাই-ক্ষেতলাল) আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন (নৌকা)।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল (নৌকা), চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ মু. জিয়াউর রহমান (নৌকা), চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে আব্দুল ওদুদ।

নওগাঁ: নওগাঁ-১ (নিয়ামতপুর-পোরশা-সাপাহার) সাধন চন্দ্র মজুমদার (নৌকা), নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছী) সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী (নৌকা), নওগাঁ-৪ (মান্দা) এস.এম ব্রহানী সুলতান মামুদ (স্বতন্ত্র, ট্রাক), নওগাঁ-৫ (সদর) ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল (নৌকা), নওগাঁ-৬ (রানীনগর-আত্রাই) ওমর ফারুক সুমন (স্বতন্ত্র, ট্রাক)।

বরিশাল বিভাগ

বরিশাল: ব‌রিশাল-১ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ (নৌকা), ব‌রিশাল-২ রা‌শেদ খান মেনন (নৌকা), ব‌রিশাল-৩ গোলাম কিব‌রিয়া টিপু (লাঙ্গল), ব‌রিশাল-৪ পঙ্কজ নাথ (স্বতন্ত্র, ঈগল), ব‌রিশাল-৫ জা‌হিদ ফারুক শামীম (নৌক) ও ব‌রিশাল-৬ হা‌ফিজ ম‌ল্লিক (নৌকা)।

ঝালকাঠি: ঝালকাঠি-১ ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর (নৌকা), ঝালকাঠি-২ আমির হোসেন আমু (নৌকা)।

পটুয়াখালী: পটুয়াখালী-১ এ. বি. এম রুহুল আমিন হাওলাদার (লাঙ্গল), পটুয়াখালী-২ আ স ম ফিরোজ (নৌকা), পটুয়াখালী-৩ এস. এম. শাহজাদা (নৌকা) ও পটুয়াখালী-৪ মো. মহিববুর রহমান (নৌকা)।

পিরোজপুর: পিরোজপুর-১শ ম রেজাউল করিম (নৌকা), পিরোজপুর-২ মো. মহিউদ্দীন মহারাজ (স্বতন্ত্র), পিরোজপুর-৩ মো. শামীম শাহনেওয়াজ (স্বতন্ত্র)।

ভোলা: ভোলা-১ তোফায়েল আহমেদ (নৌকা), ভোলা-২ আলী আজম মুকুল (নৌকা), ভোলা-৩ নুরনবী চৌধুরী শাওন (নৌকা), ভোলা-৪ আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব (নৌকা)।

বরগুনা: বরগুনা-১ গোলাম সরোয়ার টুকু (স্বতন্ত্র) ও বরগুনা-২ সুলতানা নাদিরা (নৌকা)।

সিলেট বিভাগ

সিলেট: সিলেট-১ (সদর) ড. একে আব্দুল মোমেন (নৌকা), সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) শফিকুর রহমান চৌধুরী (নৌকা), সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা-ফেঞ্চুগঞ্জ-বালাগঞ্জ) হাবিবুর রহমান (নৌকা), সিলেট-৪ (কোম্পানীগঞ্জ-গোয়াইনঘাট-জৈন্তাপুর) ইমরান আহমদ (নৌকা), সিলেট-৫ (কানাইঘাট-জকিগঞ্জ) আল্লামা হুছামউদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী (স্বতন্ত্র, কেটলি) ও সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ) নুরুল ইসলাম নাহিদ (নৌকা)।

মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা-জুড়ি) মো. শাহাব উদ্দীন (নৌকা), মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল (নৌকা), মৌলভীবাজার-৩ (সদর-রাজনগর) মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান (নৌকা), মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) মো. আব্দুস শহীদ (নৌকা)।

হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী (স্বতন্ত্র, ঈগল), হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) অ্যাডভোকেট ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল (নৌকা), হবিগঞ্জ-৩ (সদর-লাখাই-শায়েস্তাগঞ্জ) অ্যাডভোকেট আবু জাহির (নৌকা), হবিগঞ্জ-৪ ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন (স্বতন্ত্র, ঈগল)।

সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জ-১ (ধর্মপাশা-মধ্যনগর-জামালগঞ্জ-তাহিরপুর) অ্যাডভোকেট রঞ্জিত সরকার, সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) ড. জয়া সেনগুপ্তা (স্বতন্ত্র), সুনামগঞ্জ-০৩ (জগন্নাথপুর-শান্তিগঞ্জ) এম এ মান্নান, সুনামগঞ্জ-৪ (সুনামগঞ্জ সদর-বিশ্বম্ভরপুর) ড. মোহাম্মদ সাদিক, সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক-দোয়ারাবাজার) মহিবুর রহমান মানিক।

রংপুর বিভাগ

রংপুর: রংপুর-১ মো. আসাদুজ্জামান (স্বতন্ত্র, কেটলি), রংপুরে-২ আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী (নৌকা), রংপুর-৩ গোলাম মোহাম্মদ কাদের (লাঙ্গল), রংপুর-৪ টিপু মুনশি (নৌকা), রংপুর-৫ মো, জাকির হোসেন সরকার (স্বতন্ত্র, ট্রাক), রংপুর-৬ শিরীন শারমিন চৌধুরী (নৌকা)।

পঞ্চগড়: পঞ্চগড়-১ নাঈমুজ্জামান ভূইয়া মুক্তা (নৌকা), পঞ্চগড়-২ নূরুল ইসলাম সুজন (নৌকা)।

দিনাজপুর: দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) জাকারিয়া জাকা (স্বতন্ত্র, ট্রাক), দিনাজপুর-২ (বিরল-বোচাগঞ্জ) খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (নৌকা), দিনাজপুর-৩ (সদর) ইকবালুর রহিম (নৌকা), দিনাজপুর-৪ (চিরিরবন্দর-খানসামা) আবুল হাসান মাহমুদ আলী (নৌকা), দিনাজপুর-৫ (পার্বতীপুর-ফুলবাড়ী) মোস্তাফিজুর রহমান (নৌকা) এবং দিনাজপুর-৬ (বিরামপুর-নবাবগঞ্জ-ঘোড়াঘাট-হাকিমপুর) শিবলী সাদিক (নৌকা)।

লালমনিরহাট: লালমনিরহাট-১ আসনে মোতাহার হোসেন (নৌকা), লালমনিরহাট-২ আসনে নুরুজ্জামান আহমেদ (নৌকা), লালমনিরহাট-৩ আসনে অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান (নৌকা),

নীলফামারী: নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আফতাব উদ্দিন সরকার (নৌকা), নীলফামারী-২ (সদর) আসাদুজ্জামান নুর (নৌকা), নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) সাদ্দাম হোসেন পাভেল (স্বতন্ত্র, কাঁচি), নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জ) সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক (জাপা বিদ্রোহী, কাঁচি)।

গাইবান্ধা: গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার (স্বতন্ত্র, ঢেঁকি), গাইবান্ধা-২ (সদর) শাহ সারোয়ার কবির (স্বতন্ত্র, ট্রাক), গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ি-সাদুল্লাপুর)অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি (নৌকা), গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনে আবুল কালাম আজাদ (নৌকা), গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) মাহমুদ হাসান রিপন (নৌকা)।

ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁও-১ রমেশ চন্দ্র সেন (নৌকা), ঠাকুরগাঁও-২ মাজহারুল ইসলাম (নৌকা) ঠাকুরগাঁও-৩ হাফিজ উদ্দিন (লাঙ্গল)।

কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রাম-১ (নাগেশ্বরী ও ভূরুঙ্গামারী) একেএম মোস্তাফিজুর রহমান (লাঙ্গল), কুড়িগ্রাম-২ (কুড়িগ্রাম সদর, ফুলবাড়ী ও রাজারহাট) ডা. হামিদুল হক খন্দকার, কুড়িগ্রাম-৩ (উলিপুর) সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে (নৌকা), কুড়িগ্রাম-৪ (রৌমারী, রাজিবপুর ও চিলমারী) অ্যাডভোকেট বিপ্লব হাসান পলাশ (নৌকা)।

ময়মনসিংহ বিভাগ

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহ-১ মাহমুদুল হক সায়েম (স্বতন্ত্র, ট্রাক), ময়মনসিংহ-২ শরীফ আহমেদ (নৌকা), ময়মনসিংহ-৪ আসনে মোহিত উর রহমান শান্ত (নৌকা), ময়মনসিংহ-৫ কৃষিবিদ নজরুল ইসলাম (স্বতন্ত্র, ট্রাক), ময়মনসিংহ-৬ আব্দুল মালেক সরকার (স্বতন্ত্র, ট্রাক), ময়মনসিংহ-৭ আসনে এবিএম আনিসুজ্জামান ((স্বতন্ত্র, ট্রাক), ময়মনসিংহ-৮ মাহমুদ হাসান সুমন (স্বতন্ত্র ঈগল), ময়মনসিংহ-৯ আব্দুস সালাম (নৌকা), ময়মনসিংহ-১০ ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল (নৌকা) ও ময়মনসিংহ-১১ মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ (স্বতন্ত্র, ট্রাক)।

শেরপুর: শেরপুর-১ (সদর) মোঃ ছানুয়ার হোসেন ছানু (স্বতন্ত্র, ট্রাক) শেরপুর-২ আসনে মতিয়া চৌধুরী (নৌকা), শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) এডিএম শহিদুল ইসলাম (নৌকা)।

জামালপুর: জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশিগঞ্জ) নূর মোহাম্মদ (নৌকা), জামালপুর-২ (ইসলামপুর) ফরিদুল হক খান (নৌকা), জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) মির্জা আজম (নৌকা), জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ি) আব্দুর রশিদ (স্বতন্ত্র, ট্রাক), জামালপুর-৫ (সদর) আবুল কালাম আজাদ (নৌকা)।

নেত্রকোণা: নেত্রকোনা-১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) আসনে মোশতাক আহমেদ রুহী, নেত্রকোনা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু, নেত্রকোনা-৩ (আটপাড়া-কেন্দুয়া) আসনে ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু (স্বতন্ত্র-ট্রাক), নেত্রকোনা-৪ (মোহনগঞ্জ-মদন-খালিয়াজুরী) সাজ্জাদুল হাসান ও নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আহমদ হোসেন।

আরও পড়ুন:
ভোটকেন্দ্র থেকে ফিরেই মারা গেলেন করিম উল্লাহ
চট্টগ্রামে পিস্তল উঁচিয়ে গুলি করা যুবক ‘ব্ল্যাক শামীম’
নির্বাচন বর্জনের আহ্বানে সাড়া দেয়ায় জনগণকে স্যালুট: বিএনপি
কোটালীপাড়ায় নারী ভোটার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো
২০ জেলায় ৪২ প্রার্থীর ভোট বর্জনের ঘোষণা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Live to appeal hearing next Sunday in the August 28 grenade attack case

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় লিভ টু আপিল শুনানি আগামী রোববার

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় লিভ টু আপিল শুনানি আগামী রোববার

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল আগামী রোববার শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসবে।

আসামি পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, আজ জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চে শুনানির জন্য আপিলটি ছিলো। কিন্তু এই মামলায় হাইকোর্টের অথর জাজ বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান আজ আপিল বিভাগের বেঞ্চে ছিলেন।

নিয়ম অনুযায়ী হাইকোর্টে রায় দানকারী বিচারপতি একই মামলা আপিল বেঞ্চে শুনানি গ্রহণ করতে পারেন না।

এজন্য আগামী রোববার পুনর্গঠিত বেঞ্চে আপিলটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসবে। আদালত বিষয়টিতে আজ নট টুডে আদেশ দিয়েছেন।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নিহত ও বহু মানুষ আহত হন। ওই গ্রেনেড হামলার ঘটনায় মতিঝিল থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা হয়। ২০০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সিআইডি এই মামলার তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র দিলে শুরু হয় বিচার।

তবে, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এই মামলায় অধিকতর তদন্তে আসামির তালিকায় যুক্ত করা হয় বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৩০ জনকে।

দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন আলোচিত মামলার রায় দেন।

আলোচিত ওই রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন- আব্দুস সালাম পিন্টুর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিন, হুজি’র সাবেক আমির ও ইসলামিক ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক মাওলানা শেখ আবদুস সালাম, কাশ্মীরি জঙ্গি আব্দুল মাজেদ ভাট, আবদুল মালেক ওরফে গোলাম মোস্তফা, মাওলানা শওকত ওসমান, মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান, মাওলানা আবু সাঈদ ওরফে ডা. জাফর, আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুল, মো. জাহাঙ্গীর আলম, হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, হোসাইন আহম্মেদ তামিম, মঈন উদ্দিন শেখ ওরফে মুফতি মঈন, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. উজ্জল, এনএসআই-এর সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম ও হানিফ পরিবহনের মালিক মোহাম্মদ হানিফ।

বিচারিক আদালতের রায়ে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন ও ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। সে রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামীরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিএনপি’র সাবেক সংসদ সদস্য শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, হুজি সদস্য হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, শাহাদাৎ উল্লাহ ওরফে জুয়েল, মাওলানা আবদুর রউফ, মাওলানা সাব্বির আহমেদ, আরিফ হাসান ওরফে সুমন, আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম মাওলাদার, মো. আরিফুল ইসলাম, মহিবুল মুত্তাকিন ওরফে মুত্তাকিন, আনিসুল মুরছালিন ওরফে মুরছালিন, মো. খলিল ওরফে খলিলুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম বদর, মো. ইকবাল ওরফে ইকবাল হোসেন, লিটন ওরফে মাওলানা লিটন, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আব্দুল হাই ও রাতুল আহমেদ ওরফে রাতুল বাবু।

এছাড়া, বিচারিক আদালতের রায়ে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) মো. আশরাফুল হুদা ও শহিদুল হক, বিএনপি চেয়ারপারসন ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ভাগ্নে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার, ডিজিএফআই-এর মেজর জেনারেল (অব.) এটিএম আমিন, ডিএমপি’র সাবেক উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) খান সাঈদ হাসান, আরেক সাবেক উপ-কমিশনার (পূর্ব) ওবায়দুর রহমান খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক খোদা বক্স চৌধুরী, সিআইডি’র সাবেক বিশেষ সুপার মো. রুহুল আমিন, সাবেক এএসপি আবদুর রশিদ ও সাবেক এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমানকে দুই বছর করে কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এই মামলার আরেকটি ধারায় খোদা বক্স চৌধুরী, রুহুল আমিন, আবদুর রশিদ ও মুন্সি আতিকুর রহমানকে তিন বছর করে কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন আদালত।

বিচারিক আদালতে এই রায়ের দেড় মাসের মাথায় ২০১৮ সালের ২৭ নভেম্বর মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্সসহ মামলার নথি হাইকোর্টে আসে। ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর থেকে ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের আপিল ও জেল আপিল শুনানি শুরু হয়। বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি চলছিল।

তবে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর হাইকোর্ট বেঞ্চ পুনর্গঠন হলে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি হয়। শুনানি শেষে গত ১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট এই মামলার সব আসামীকে খালাস দিয়ে রায় দেন। সে রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।

মন্তব্য

দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভূমিকম্প

দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভূমিকম্প প্রতীকী ছবি
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের ডেটা অনুযায়ী, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের সাগাইংয়ের ১৬ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে।

ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।

ভূমিকম্পটি শুক্রবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে অনুভূত হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের ডেটা অনুযায়ী, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের সাগাইংয়ের ১৬ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে।

এ ভূমিকম্পে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন:
জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প
চীনে ভূমিকম্পে নিহত ৫৩, আহত ৬২
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প
বছরের শুরুতেই ভূমিকম্পে কাঁপল সিলেট

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The United States will pay and 1 million for the Rohingya

রোহিঙ্গাদের জন্য ৭৩ মিলিয়ন ডলার দেবে যুক্তরাষ্ট্র

রোহিঙ্গাদের জন্য ৭৩ মিলিয়ন ডলার দেবে যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা ক্যাম্প। ছবি: বাসস
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এক্সে একটি পোস্টে বলেন, ‘বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিওইএফ) মাধ্যমে এ খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা ১০ লাখেরও বেশি মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা প্রদান করবে। এটা গুরুত্বপূর্ণ যে, আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদাররা এ ধরনের জীবন রক্ষাকারী সহায়তার মাধ্যমে বোঝা ভাগ করে নেওয়ার সঙ্গে যুক্ত।’

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত বৃহত্তম জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের সাহায্য কমে যাওয়ার ফলে সংকট আরও গভীর হওয়ার উদ্বেগের মধ্যে ট্রাম্প প্রশাসন বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, তারা জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির মাধ্যমে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ৭৩ মিলিয়ন (সাত কোটি ৩০ লাখ) ডলার নতুন আর্থিক সহায়তা দেবে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এক্সে একটি পোস্টে বলেন, ‘বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিওইএফ) মাধ্যমে এ খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা ১০ লাখেরও বেশি মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা প্রদান করবে।

‘এটা গুরুত্বপূর্ণ যে, আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদাররা এ ধরনের জীবন রক্ষাকারী সহায়তার মাধ্যমে বোঝা ভাগ করে নেওয়ার সঙ্গে যুক্ত।’

সিনহুয়া জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার প্রশাসন ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ এজেন্ডার অংশ হিসেবে বিদেশি সহায়তায় ব্যাপক কাটছাঁট এবং ফেডারেল ব্যয় ব্যাপকভাবে হ্রাস এবং যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কিছু অংশ ভেঙে ফেলার বিস্তৃত প্রচেষ্টার মধ্যেই এ অনুদান দেওয়া হলো।

জাতিসংঘের দুটি সংস্থা সতর্ক করে দিয়েছিল যে, তহবিলের ঘাটতি গত আট বছর ধরে প্রতিবেশী মিয়ানমারে সহিংসতার কারণে পালিয়ে আসা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য রেশনের পরিমাণ কমিয়ে দেবে।

রোহিঙ্গারা আশঙ্কা করছেন, তহবিল হ্রাসের ফলে ক্ষুধা পরিস্থিতির অবনতি হবে। গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা এবং জ্বালানি হ্রাস পাবে।

পররাষ্ট্র দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সবচেয়ে বড় সহায়তা প্রদানকারী দেশ ছিল। প্রায় ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়ে আসছে দেশটি। কিন্তু জানুয়ারিতে ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর সাম্প্রতিক তহবিল স্থগিত করার ফলে কমপক্ষে পাঁচটি হাসপাতাল তাদের সেবা কমিয়ে ফেলতে বাধ্য হয়েছে।

ট্রাম্প ও বিলিয়নেয়ার মিত্র ইলন মাস্ক প্রধান মার্কিন বৈদেশিক সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডি বন্ধ করে দিয়েছেন এবং এর অবশিষ্টাংশগুলোকে পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে একীভূত করেছেন। শত শত কর্মী এবং ঠিকাদারকে বরখাস্ত করেছেন এবং কোটি কোটি ডলারের পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছেন, যার ওপর বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ নির্ভরশীল।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ফেব্রুয়ারিতে সমস্ত জীবন রক্ষাকারী সহায়তা এবং এ ধরনের সহায়তা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় যুক্তিসঙ্গত প্রশাসনিক খরচ মওকুফ করেছিলেন।

ওয়াশিংটন টাইমস জানায়, এ মাসের শুরুতে ইউএসএআইডি ভেঙে দেওয়ার তত্ত্বাবধানকারী ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তা রোহিঙ্গাদের জন্য পর্যায়ক্রমে সাহায্য বন্ধের প্রস্তাব করেছিলেন।

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্য সহায়তা হ্রাস করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছে।

কক্সবাজার উপকূলের বিভিন্ন শিবিরের বাসিন্দারা এখন জনপ্রতি মাসিক ১২ ডলার করে খাদ্য বরাদ্দ পাবেন, যা আগের ১২ দশমিক ৫০ ডলার থেকে কম।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘ডব্লিউএফপি একটি চিঠিতে এই সিদ্ধান্তের কথা আমাদের জানিয়েছে, যা ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।’

তিনি আরও বলেন, ভাসানচরে বসবাসকারী রোহিঙ্গারা জনপ্রতি ১৩ ডলার করে পাবে, যা কক্সবাজারের তুলনায় এক ডলার বেশি।

বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্য সহায়তা কমানোর পরিকল্পনা ডব্লিউএফপি পূর্বে জানানোর পর এ পরিবর্তন এসেছে।

গত ৫ মার্চ বাংলাদেশের শরণার্থী কমিশন ডব্লিউএফপি থেকে একটি চিঠি পায়, যেখানে বলা হয়, তহবিল সংকটের কারণে এপ্রিল থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য মাসিক খাদ্য বরাদ্দ জনপ্রতি ১২ দশমিক ৫০ ডলার থেকে কমিয়ে ৬ ডলার করা হবে।

চিঠিতে শরণার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

গত ১৪ মার্চ জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেন।

তার সফরের সময় তাকে ছয় ডলারে রোহিঙ্গারা কী খাবার পাবে তার বিস্তারিত বিবরণ উপস্থাপন করা হয়েছিল। সে সময় অপর্যাপ্ত পরিমাণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন:
ঢাকা-বেইজিংয়ের মধ্যে ৯ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
ঋণের সুদহার কমাতে ইতিবাচক সাড়া চীনের, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতার আশ্বাস
২৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ
রোহিঙ্গাবাহী নৌকাডুবি: উদ্ধার ২৫, বিজিবি সদস্যসহ নিখোঁজ অনেকে
যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে সতর্কতা যুক্তরাজ্য ও জার্মানির

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The government is working to implement the demands of the workers Home Ministry

শ্রমিকদের দাবি বাস্তবায়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

শ্রমিকদের দাবি বাস্তবায়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের লোগো। ফাইল ছবি
বিবৃতিতে বলা হয়, ‌‘গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন শিল্প কলকারখানার শ্রমিকদের পাওনা বেতন-ভাতাদিসহ যৌক্তিক দাবির ব্যাপারে সরকার অত্যন্ত আন্তরিক ও একমত। শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে এবং এ ব্যাপারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে মালিকপক্ষ ও বিজিএমইএকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে এবং তাদের কর্মকাণ্ড মনিটর করা হচ্ছে।’

গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন শিল্পকারখানার শ্রমিকদের পাওনা বেতন-ভাতাসহ যৌক্তিক দাবির ব্যাপারে সরকার আন্তরিক ও একমত বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‌‘গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন শিল্প কলকারখানার শ্রমিকদের পাওনা বেতন-ভাতাদিসহ যৌক্তিক দাবির ব্যাপারে সরকার অত্যন্ত আন্তরিক ও একমত। শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে এবং এ ব্যাপারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে মালিকপক্ষ ও বিজিএমইএকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে এবং তাদের কর্মকাণ্ড মনিটর করা হচ্ছে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘অন্যায্য ও অযৌক্তিক দাবির নামে গার্মেন্টস শিল্পে অস্থিরতা সৃষ্টি, অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ, নৈরাজ্য ও সহিংসতা কোনোভাবেই কাম্য নয় এবং তা কখনোই মেনে নেয়া হবে না।

‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় সরকার তা কঠোরভাবে প্রতিহত করবে। গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন শিল্প কলকারখানায় সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখা এবং দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে সরকার এ বিষয়ে মালিকপক্ষ ও শ্রমিকপক্ষ উভয়ের সহযোগিতা কামনা করছে।’

আরও পড়ুন:
গাজীপুরে শ্রমিক বিক্ষোভ, ছুটির পর চালু বিভিন্ন কারখানা
বকেয়া বেতন পরিশোধের আশ্বাস, রেলের অস্থায়ী শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার
ঈদ বোনাসসহ বিভিন্ন দাবিতে গাজীপুরে শ্রমিক বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ
ঐতিহ্য ও আভিজাত্যে মোড়া লা রিভের ঈদ কালেকশন
টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ধর্মঘট টেকনাফ স্থলবন্দরের শ্রমিকদের

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Environment adviser

আন্তসীমান্ত বায়ুদূষণ রোধে পদক্ষেপের আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার

আন্তসীমান্ত বায়ুদূষণ রোধে পদক্ষেপের আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ছবি: ইউএনবি
তিনি দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর কাঠমান্ডু রোডম্যাপ ও অন্যান্য সমঝোতার কথা উল্লেখ করে বলেন, এগুলো যথেষ্ট নয়, আরও জোরালো উদ্যোগ প্রয়োজন।

পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, আন্তসীমান্ত বায়ুদূষণ মোকাবিলায় কার্যকর আঞ্চলিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশের বায়ুদূষণের ৩০-৩৫ শতাংশ আসে প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে। তাই এ সমস্যা সমাধানে রাজনৈতিক আলোচনার গণ্ডি পেরিয়ে বাস্তব পদক্ষেপ ও আঞ্চলিক সহযোগিতা জরুরি।

তিনি দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর কাঠমান্ডু রোডম্যাপ ও অন্যান্য সমঝোতার কথা উল্লেখ করে বলেন, এগুলো যথেষ্ট নয়, আরও জোরালো উদ্যোগ প্রয়োজন।

কলম্বিয়ার কার্টাগেনায় অনুষ্ঠিত ডব্লিউএইচওর দ্বিতীয় বৈশ্বিক সম্মেলনের বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া সাইড ইভেন্টে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

ঢাকাস্থ বাসভবন থেকে সংযুক্ত হয়ে তিনি বাংলাদেশের বায়ুদূষণ সমস্যা, বিশেষ করে ঢাকার ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন।

উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশের বহুমাত্রিক বায়ুদূষণ সমস্যা মোকাবিলায় বায়ুমান নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে, যা ডব্লিউএইচওর অন্তর্বর্তীকালীন লক্ষ্যমাত্রার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এ আইনি বিধিমালায় দূষণকারী খাতগুলোর জন্য নির্দিষ্ট মানদণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছে এবং অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের কাঠামো তৈরি করা হয়েছে।

তিনি জানান, ২০২৪ সালে চূড়ান্ত হওয়া জাতীয় বায়ুমান ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার বাস্তবায়ন রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পিছিয়ে ছিল, তবে এখন তা কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে। পরিকল্পনার লক্ষ্য হলো মানুষের দূষণজনিত ঝুঁকি কমানো ও পরিষ্কার বায়ুর দিন বৃদ্ধির মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা।

পরিবেশ উপদেষ্টা আরও জানান, বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় বাংলাদেশ ক্লিন এয়ার প্রকল্প চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে, যা সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে শিগগিরই বাস্তবায়ন শুরু হবে। এ প্রকল্প নিয়ন্ত্রক কাঠামো শক্তিশালী করা, আইন প্রয়োগ জোরদার করা, শিল্প কারখানায় দূষণ পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ এবং গণপরিবহন খাত আধুনিকায়নের ওপর গুরুত্ব দেবে।

তিনি ঢাকার আশেপাশের এলাকাগুলোকে ইটভাটামুক্ত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করার পরিকল্পনার কথা জানান, যেখানে ইটভাটা স্থাপন নিষিদ্ধ থাকবে।

এ ছাড়া ২০২৫ সালের মে থেকে পুরনো বাস ধাপে ধাপে তুলে দেওয়া হবে, যা পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে।

তিনি বায়ুদূষণের অন্যতম প্রধান কারণ ধুলাবালি দূষণ রোধে ঢাকা শহরের খোলা সড়কগুলোতে সবুজায়নের উদ্যোগ এবং রাস্তা পরিস্কারে আরও শ্রমিক নিয়োগের পরিকল্পনার কথা জানান।

উপদেষ্টা জানান, অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ অভিযানের ফলে এরই মধ্যে বায়ুমানের কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে এ অগ্রগতি ধরে রাখতে কঠোর নজরদারি ও খাতগুলোর আধুনিকায়ন জরুরি।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ মানুষ বায়ুদূষণের কারণে মারা যায় এবং ঢাকার মতো দূষিত শহরগুলোতে মানুষের গড় আয়ু ৫-৭ বছর কমে যাচ্ছে। এই সংকট আমাদের সবার জন্য, আমাদের শিশু, বাবা-মা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য হুমকি। নিষ্ক্রিয়তার মূল্য অনেক বেশি। আমাদের এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমি আশাবাদী। কারণ আমি বিশ্বাস করি, এ সমস্যার সমাধান সম্ভব। প্রযুক্তি ও বিকল্প ব্যবস্থা আমাদের হাতে রয়েছে, শুধু প্রতিশ্রুতি ও বাস্তবায়ন দরকার।

‘বায়ুদূষণ শুধুই পরিবেশগত ইস্যু নয়, এটি মানবিক সংকট।’

সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধি, পরিবেশ ও জ্বালানি খাতের নীতিনির্ধারক, আন্তর্জাতিক ও উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি, গবেষক, স্থানীয় প্রশাসন, পরিবহন ও শিল্প খাতের বিশেষজ্ঞ এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

তারা দক্ষিণ এশিয়ায় বায়ুদূষণ রোধে যৌথভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন।

আরও পড়ুন:
‘অস্বাস্থ্যকর বাতাস’ নিয়ে বিশ্বে পঞ্চম দূষিত শহর ঢাকা
বায়ুদূষণে বিশ্বে প্রতিদিন ২ হাজার শিশুর মৃত্যু: প্রতিবেদন
ছুটির দিনে বাতাসের নিম্ন মানে সপ্তম ঢাকা
সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ঢাকার বাতাস
ছুটির দিনে মানে উন্নতি, তবু ‘অস্বাস্থ্যকর’ ঢাকার বাতাস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Holy Lilatul Kadar today

পবিত্র ‘লাইলাতুল কদর’ আজ

পবিত্র ‘লাইলাতুল কদর’ আজ প্রতীকী ছবি
মহান আল্লাহ লাইলাতুল কদরের রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম।

পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর বৃহস্পতিবার। এর অর্থ ‘অতিশয় সম্মানিত ও মহিমান্বিত রাত’ বা ‘পবিত্র রজনী’।

আজ সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হবে কদরের রজনী।

যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে সারা দেশে রাতটি পালন করা হবে।

মহান আল্লাহ লাইলাতুল কদরের রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম।

এ রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষণ করা হয়। নির্ধারণ করা হয় মানবজাতির ভাগ্য।

৬১০ সালে কদরের রাতেই মক্কার নূর পর্বতের হেরা গুহায় ধ্যানরত মহানবী হযরত মুহাম্মদের (সা.) কাছে সর্বপ্রথম সুরা আলাকের পাঁচ আয়াত নাজিল হয়। এরপর আল্লাহর নির্দেশে ফেরেশতা জিবরাইল (আ.)-এর বহনকৃত ওহির মাধ্যমে পরবর্তী ২৩ বছর ধরে মুহাম্মদ (সা.)-এর কাছে বিভিন্ন প্রয়োজনীয়তা এবং ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট আয়াত আকারে বিভিন্ন সুরা নাজিল করা হয়।

পবিত্র কুরআনে আল্লাহ ঘোষণা করেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তা (কোরআন) অবতীর্ণ করেছি কদরের রাতে। আর কদরের রাত সম্বন্ধে তুমি কি জানো? কদরের রাত হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। সে রাতে ফেরেশতারা ও রুহ অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক কাজে তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে।

‘শান্তিই শান্তি, বিরাজ করে ঊষার আবির্ভাব পর্যন্ত। (সূরা আল- কদর, আয়াত ১-৫)।’

হাদিসে বর্ণিত আছে, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) রমজান মাসের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করতেন এবং বলতেন, ‘তোমরা রমজানের শেষ ১০ রাতে লাইলাতুল কদর সন্ধান করো (বুখারি ও মুসলিম)।’

মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় পবিত্র রাতটি ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে কাটিয়ে দেন। কামনা করেন মহান রবের অসীম রহমত, নাজাত, বরকত ও মাগফিরাত।

এরই ধারাবাহিকতায় আজ রাত থেকে পরের দিন ভোররাত পর্যন্ত মসজিদসহ বাসা-বাড়িতে এবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আসকার, দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও আখেরি মোনাজাত করবেন তারা।

এই উপলক্ষে শুক্রবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ উপলক্ষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে রাতব্যাপী ওয়াজ মাহফিল, ধর্মীয় বয়ান ও আখেরি মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে।

এ ছাড়া দেশের সব মসজিদেই তারাবির নামাজের পর থেকে ওয়াজ মাহফিল, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন থাকবে।

পবিত্র লাইলাতুল কদর/শবে কদর উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এবং বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি রেডিওগুলো বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করবে।

এ ছাড়া সংবাদপত্রগুলোতে বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ করা হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The chief adviser to create a clear roadmap to build a prosperous Asia

সমৃদ্ধ এশিয়া গড়তে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ তৈরির আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

সমৃদ্ধ এশিয়া গড়তে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ তৈরির আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার চীনের হাইনানে বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া (বিএফএ) সম্মেলনে বৃহস্পতিবার বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: পিআইডি
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘পরিবর্তনশীল এ বিশ্বে এশীয় দেশগুলোর ভাগ্য পরস্পরের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। আমাদের অবশ্যই একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে যা অভিন্ন ভবিষ্যৎ এবং যৌথ সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাবে।’

এশীয় দেশগুলোকে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ও যৌথ সমৃদ্ধির জন্য সুস্পষ্ট রোডম্যাপ তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

চীনের হাইনানে বৃহস্পতিবার বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া (বিএফএ) সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘পরিবর্তনশীল এ বিশ্বে এশীয় দেশগুলোর ভাগ্য পরস্পরের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। আমাদের অবশ্যই একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে যা অভিন্ন ভবিষ্যৎ এবং যৌথ সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাবে।’

আর্থিক সহযোগিতা প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এশিয়াকে অবশ্যই একটি টেকসই অর্থায়ন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে এবং আঞ্চলিক উন্নয়ন ব্যাংক (এমডিবি) ও অনুরূপ প্রতিষ্ঠানগুলোর এ প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দেওয়া উচিত।

তিনি বলেন, ‘আমাদের এমন নির্ভরযোগ্য তহবিল দরকার যা আমাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ করবে।’

বাণিজ্য সহযোগিতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এশিয়া এখনও বিশ্বের অন্যতম কম সংযুক্ত অঞ্চল।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘এ দুর্বল সংযুক্তি বিনিয়োগ ও বাণিজ্যকে বাধাগ্রস্ত করছে। আমাদের অবশ্যই বাণিজ্য সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য দ্রুত কাজ করতে হবে।’

খাদ্য ও কৃষি সহযোগিতা বিষয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এশীয় দেশগুলোকে অবশ্যই সম্পদ-সাশ্রয়ী কৃষিকে উৎসাহিত এবং খাদ্য নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় উৎপাদন বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের আমদানির ওপর নির্ভরতা কমাতে হবে। স্বনির্ভরতা অর্জন করতে হবে। টেকসই প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষি সমাধান ও জলবায়ুবান্ধব চাষাবাদের ক্ষেত্রে উদ্ভাবন বাড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‌এশিয়াকে অবশ্যই একটি শক্তিশালী প্রযুক্তি ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে হবে, যা পুনর্গঠনমূলক, সমবণ্টনমূলক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে।

তিনি বলেন,‘আমাদের জ্ঞান, তথ্য ভাগ করে নিতে হবে এবং প্রযুক্তি ইনকিউবেশন ও উদ্ভাবনে বিনিয়োগ করতে হবে। ডিজিটাল সমাধানে সহযোগিতা আমাদের অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করবে।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘পরিশেষে বলব আমাদের সম্মিলিত কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রে মেধা সম্পদ ও যুবশক্তিকে রাখতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই একটি নতুন সভ্যতার ভিত্তি স্থাপন করতে হবে—একটি আত্মরক্ষা ও আত্মস্থায়ী সমাজ। আমাদের শূন্য-বর্জ্যের জীবনধারার ওপর ভিত্তি করে একটি পাল্টা সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। ভোগ সীমিত রাখতে হবে মৌলিক প্রয়োজনের মধ্যে।

‘আমাদের অর্থনীতিকে সামাজিক ব্যবসার ওপর ভিত্তি করে গড়ে তুলতে হবে, যা ভবিষ্যতের ব্যবসায়িক কাঠামো হিসেবে উদ্ভাসিত হবে, যেখানে উদ্ভাবন, লক্ষ্য ও দায়িত্ববোধ একীভূত থাকবে।’

অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, বোয়াও ফোরাম ও অন্যান্য অনুরূপ উদ্যোগগুলোকে যুবসমাজ ও উদ্যোক্তাদের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে হবে, যেন আগামী প্রজন্মের জন্য এশিয়াকে আরও উন্নত করা যায়।

আরও পড়ুন:
চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা
জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা প্রধান উপদেষ্টার
স্টারলিংকের ইন্টারনেট বাণিজ্যিকভাবে চালু করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
দেশবিরোধী আন্দোলনে উসকানিদাতাদের গ্রেপ্তার করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন প্রধান উপদেষ্টা

মন্তব্য

p
উপরে