তিনি প্রধানমন্ত্রী। বরাবরের মতো এবারও নির্বাচন করছেন গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে। সংসদীয় এ আসন জেলার টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া নিয়ে।
নানা ব্যস্ততায় নিজে যেতে না পারলেও দুই উপজেলায় প্রচার থেমে ছিল না আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার। শুক্রবার সকাল আটটায় প্রচারের সময় শেষ হওয়ার আগে আসনটিতে তার প্রচার ছিল তুঙ্গে।
ভোটারদের দ্বারে দ্বারে নেতা-কর্মীরা
স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ১৮ ডিসেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার শুরুর দিন থেকে কোটালীপাড়া উপজেলায় আওয়ামী লীগ, অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা দলের সভাপতি শেখ হাসিনার পক্ষে ব্যাপক জনসংযোগ চালান। নির্বাচনের তিন দিন আগে বৃহস্পতিবারও কোটালীপাড়ায় প্রচারে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত শেখ হাসিানার পক্ষে গণসংযোগে পাড়া-মহল্লা মুখর হয়ে ওঠে। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে নেত্রীর জন্য ভোট চান আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন
১১টি ইউনিয়ন ও প্রথম শ্রেণির এক পৌরসভা নিয়ে গঠিত কোটালীপাড়া উপজেলা। নির্বাচনি প্রতীক বরাদ্দের পরই এ উপজেলার সব ইউনিয়ন ও পৌরসভায় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করে শেখ হাসিনার পক্ষে প্রচার শুরু করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। উপজেলার সব ইউনিয়নে নির্বাচনি জনসভা সম্পন্ন হয়েছে।
এসব জনসভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর অন্যতম সদস্য স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি নির্বাচন পরিচালনার চিফ এজেন্ট সাবেক সচিব শহীদ উল্লা খন্দকারের উপস্থিতি দলীয় নেতা-কর্মীদের চাঙ্গা করে তোলে।
গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলী খন্দকার, সাধারণ সম্পাদক জি এম শাহাবুদ্দিন আলম ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মুন্সী আতিয়ার রহমানকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে প্রচারে প্রায়ই কোটালীপাড়ায় ছুটে যেতে দেখা যায়।
প্রতিদিনই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা উঠান বৈঠক, মিছিল, সভা সমাবেশে মুখর করে রাখেন পুরো কোটালীপাড়া। উপজেলার রাস্তাঘাট, হাটবাজারসহ প্রতিটি গ্রামে গ্রামে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পোস্টারে ছেয়ে যায়। পাড়া-মহল্লাগুলোতে প্রতিনিয়ত শিশু থেকে বৃদ্ধরা নৌকা প্রতীকে মিছিল দেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ১৯৮৬ সাল থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-৩ (কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া) আসন থেকে রেকর্ডসংখ্যক ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়ে আসছেন। এবার এ আসনে ভোটার দুই লাখ ৯০ হাজার ২৫৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৪৮ হাজার ৬৬২ আর নারী ভোটার ১ লাখ ৪১ হাজার ৫৯১।
চায়ের দোকানে নির্বাচনি আড্ডা তুঙ্গে
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে কোটালীপাড়া উপজেলার চায়ের দোকানগুলোতে তুঙ্গে উঠে নির্বাচনি আলোচনা। গভীর রাত পর্যন্ত ভোটাররা হিসাব-নিকাশ করেন ভোটের নানা দিক নিয়ে।
উপজেলার তারাশী বাসস্ট্যান্ডের চায়ের দোকানদার তাইজেল শেখ জানান, বিকেল থেকেই তার দোকানে সাধারণ ভোটাররা নির্বাচনি আড্ডায় মেতে ওঠেন। চায়ের চুমুকে চুমুকে চলে নির্বাচনি আলোচনা। সন্ধ্যার পর থেকে এ আড্ডা আরও জমজমাট হয়ে ওঠে। তাদের সবাই শেখ হাসিনার ভক্ত, সমর্থক।
এ চা বিক্রেতা জানান, আড্ডার সময় কে কতবার শেখ হাসিনাকে ভোট দিতে পেরেছেন, তা নিয়ে চলে কথার বাহাদুরি। এতে বেচাকেনাও ভালোই হয়।
নতুন ভোটারদের ভাবনা
গত ৩০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাচনি এলাকা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ কলেজ মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেন।
ওই সময় নতুন ভোটারদের কাছে নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়ে তিনি বলেন, ‘প্রথমবারের ভোট যেন ব্যর্থ না হয়। বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগাতে হবে।’
এ জনসভার পর উপজেলার সব স্তরের জনসাধারণের মাঝে নির্বাচন নিয়ে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দেয়।
রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের দিঘলিয়া গ্রামের পারভেজ শেখ এবার নতুন ভোটার। ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে জীবনের প্রথম ভোট দেবেন।
ভোট নিয়ে পারভেজ বলেন, ‘অধীর আগ্রহে ৭ জানুয়ারির অপেক্ষা করছি। জীবনের প্রথম ভোট শেখ হাসিনাকে নৌকা প্রতীকে দিতে চাই।’
কুশলা ইউনিয়নের টুটাপাড়া গ্রামের চাকরিজীবী ইমরান হাওলাদার সুজন বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য ছুটি নিয়ে ঢাকা থেকে চলে এসেছি। পরিবার ও এলাকাবাসী সবাইকে নিয়ে ভোট দিতে যাব।’
গোপালগঞ্জ-৩ (কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিপক্ষে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, যারা হলেন বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির এম নিজাম উদ্দিন লস্কর (একতারা), জাকের পার্টির মাহাবুর মোল্লা (গোলাপ ফুল), বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির মো. সহিদুল ইসলাম মিটু (ডাব), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শেখ আবুল কালাম (আম) ও গণফ্রন্টের সৈয়দা লিমা হাসান (মাছ)।
গত ১৮ ডিসেম্বর প্রার্থীদের প্রচার শুরু হলেও আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতা-কর্মী ছাড়া এ সংসদীয় আসনে জাকের পার্টির প্রার্থী মাহাবুব মোল্লাকে প্রচারে অংশ নিতে দেখা যায়, তবে অন্য চার প্রার্থী বা তাদের নেতা-কর্মীদের নির্বাচনি মাঠে দেখা যায়নি।
যা বলছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রচার সংশ্লিষ্টরা
কোটালীপাড়ার হিরণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাজাহারুল আলম পান্না বলেন, ‘১৯৮৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বিপক্ষে যারা নির্বাচন করেছেন, তারা কেউই জামানত নিয়ে ঘরে ফিরতে পারেননি। আশা করছি এবারও যে পাঁচ প্রার্থী আমাদের প্রিয় নেত্রীর বিপক্ষে নির্বাচন করছেন, তারা তাদের জামানত নিয়ে ঘরে ফিরতে পারবেন না।’
কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ বলেন, ‘কোটালীপাড়ার সর্বত্র ভোটের উৎসব বিরাজ করছে। নির্বাচনি প্রচার শুরুর দিন থেকেই কোটালীপাড়ার প্রতিটি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও পৌরসভার আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা শেখ হাসিনার পক্ষে জনসংযোগ করে আসছেন।
‘প্রতিটি ওয়ার্ডে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি করা হয়েছে। সকল ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে নির্বাচনি জনসভা হয়েছে। এখানের সবাই উৎসবমুখর পরিবেশে প্রধানমন্ত্রীকে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে প্রস্তুত রয়েছে।’
শেখ হাসিনার নির্বাচনি এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি নির্বাচন পরিচালনার চিফ এজেন্ট সাবেক সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার বলেন, ‘আমরা জনগণের মাঝে কোটালীপাড়াসহ সারা দেশে শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে যে উন্নয়ন-অগ্রগতি হয়েছে, তা তুলে ধরেছি। আওয়ামী লীগ যতবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা করেছে, ক্ষমতায় গিয়ে তা পদে পদে বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছে। এবারও নির্বাচনি যে ইশতেহার ঘোষণা করা হয়েছে, সেটিও বাস্তবায়ন করে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবেন।
‘বিগত ১৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা বাংলাদেশসহ গোপালগঞ্জ-৩ আসনের মানুষদের অনেক কিছু দিয়েছেন। বিনিময়ে তিনি আমাদের কাছে কিছুই চাননি। এখন আমাদের সময় এসেছে তাকে কিছু দেয়ার। আমরা সকলে ৭ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নৌকা প্রতীকে ভোট দেব।’
কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সারাটা জীবন নৌকায় ভোট দিয়েছি। এখন আমার বয়স ৮২ বছর। ৫ বছর পরে আর নৌকায় ভোট নাও দিতে পারি। তাই জীবনের শেষ ভোটটিও নৌকায় দিতে চাই।
‘আমি সকল ভোটারদের আহ্বান জানাচ্ছি, আপনারাও সকলে নৌকায় ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অংশীদার হন।’
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নে গোয়ালখালি এলাকায় বিসিকের অধিগ্রহণকৃত ৪০ একর জমির উপর নির্মিত হবে 'ভ্যাকসিন প্লান্ট'। যেখানে ঔষধের পাশাপাশি তৈরি হবে অ্যান্টিভেনম।
প্রকল্পটি গোপালগঞ্জে বাস্তবায়ন করার কথা থাকলেও সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা।
শনিবার সকালে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে এসে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
এসময় তিনি জমি রেজিষ্ট্রেশন সংক্রান্ত কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন।
উপদেষ্টা বলেন, গোপালগঞ্জে ভ্যাকসিন প্লান্ট একদম একপাশে হয়ে গেছে। ভ্যাকসিনটা যখন তৈরি হবে তখন এটা ফ্রিজিং করে সারা বাংলাদেশে পাঠাতে হবে। সেজন্য আমার এমন একটা জায়গা দরকার যেখান থেকে সহজে যাতায়াত ব্যবস্থা নিয়ে আমরা পাঠাতে পারবো। সেক্ষেত্রে গোপালগঞ্জটা সেজন্য আমাদের জন্য উপযুক্ত হয় না।
আর এখানে যে সমস্ত টেকনোলজিস্ট, বিশেষজ্ঞ লাগবে এটা সবসময় সেখানে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না। তাই এটা আমরা এখানে করার চেষ্টা করছি। এবং এখানে ৪০ একর জমি বিসিকের কাছ থেকে নিয়েছি। সে অনুযায়ী আমাদের একটা প্ল্যান্ট- এটা এখানেই হবে যাতে করে আমাদের সমস্ত ঔষধ তৈরি করতে পারি, ভ্যাকসিন আমরা এখানে তৈরি করতে পারি এবং একইসাথে আমরা চিন্তা করছি- অ্যান্টিভেনম যেটা হয়, যেটা আমাদেরকে পাশের দেশগুলো থেকে আনতে হয়। অনেক সময় সাপের ভ্যারাইটি একরকম না, কোন কোন সময় সাপের কারণে যে ভ্যাকসিনটা দেয়া হয় ওটা কখনো কাজ করে, কখনো করে না। কাজেই আমরা এখন চেষ্টা করছি- আমাদের যেহেতু অনেক সাপ আছে, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সাপের বিষ এনে এখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে এন্টিভেনম তৈরি করা হবে। আমাদের দেশের সাপ দিয়ে দেশেই ভ্যাকসিন-অ্যান্টিভেনম তৈরি হবে।
ভ্যাকসিন প্লান্ট নির্মাণে সময় প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, এটা সিস্টেমের ব্যাপার। বর্তমানে হাসপাতালগুলোতে দেশের মধ্যে উৎপাদিত প্রায় ৭০ শতাংশ ঔষধ সরবরাহ করা হচ্ছে। কোয়ালিটিতে দেশের বাইরের তুলনায় এটি কোন অংশেই কম না। এটাকে ১০০ শতাংশে উন্নিত করতে হলে আমাদের আরও কিছু মেশিনারিজ আনতে হবে। মেশিনারিজগুলো আমরা চেষ্টা করবো যত দ্রুত আনা যায়। সবকিছু মিলিয়ে এগুলো আনতে প্রায় ৬ মাসের মত লেগে যাবে।
তিনি বলেন, জমি আমাদের নামে রেজিষ্ট্রি করে দেয়া হবে, পাশের নদী শাসন করতে হবে। এরপরে মেশিনারিজ, প্ল্যান এগুলো পাশ করাতে হবে। ধরে নেন আগামী আড়াই থেকে তিন বছর লাগতে পারে। পরে উপদেষ্টা ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ইডিসিল এর গোপালগঞ্জ প্লান্টের ভ্যাকসিন ইউনিট এবং মানিকগঞ্জ প্ল্যান্ট স্থানান্তর করে এখানে আনা হবে। এজন্য ৪০ একর জায়গার সংস্থান করা হয়েছে। এসময় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা চট্টগ্রামে প্রক্রিয়াধীন এন্টি ভেনম প্ল্যান্টও এখানে স্থানান্তরের নির্দেশনা প্রদান করেন। এটি সামগ্রিক বিবেচনায় লাভজনক হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।
এসময় ইডিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সামাদ মৃধাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরিকল্পনা কমিশন থেকে জানা গেছে, ৩ হাজার ১২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ভ্যাকসিন প্লান্টটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এই কারখানায় ১৫ ধরনের টিকা উৎপাদন করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্লান্টটিতে ২০২৮ সালের মধ্যে ছয় ধরনের ও ২০২৯ সালে আরও ৯ ধরনের টিকা উৎপাদনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। ২০৩০ সালে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।
বাংলাদেশে ধর্ম, জাতি ও গোত্রের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বক্তব্যে উৎসবে আমন্ত্রণের জন্য সেনাপ্রধান আয়োজনকারীদের ধন্যবাদ জানান।
সেনাপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশ সম্প্রীতির দেশ। শত বছর ধরে এখানে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, পাহাড়ি, বাঙালি, উপজাতি সবাই মিলে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। এই দেশ সবার। আমরা সবাই এই দেশের নাগরিক। এখানে কোনো ধর্ম, জাতি বা গোত্রের মধ্যে ভেদাভেদ থাকবে না। এই দেশের প্রতিটি বিষয়ে আমাদের সমান অধিকার। সেইভাবেই আমরা সামনের সোনালি দিনগুলো দেখতে চাই।’
অনুষ্ঠানে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খানসহ অন্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সেনাপ্রধান আরও বলেন, ‘আজকের এই দিনে আমাদের অঙ্গীকার হবে— আমরা সবসময় শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখব এবং সবাই মিলে শান্তিতে বসবাস করব। সারা বাংলাদেশে স্বশস্ত্র বাহিনী মোতায়েত রয়েছে। আমরা সব সময় জনগণের পাশে থাকব এবং এক হয়ে আপনাদের সাথে কাজ করে যাব।’
তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা নিশ্চিন্তে এ দেশে বসবাস করবেন এবং আপনারা আপনারা ধর্মীয় উৎসব আনন্দের সঙ্গে উদযাপন করবেন। আমরা একসঙ্গে এই আনন্দ ভাগাভাগি করব।’
সেনাপ্রধান আশাপ্রকাশ করেন, ‘জন্মাষ্টমীর এই দিনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে। এই আদর্শের ভিত্তিতেই আমরা একসঙ্গে সুন্দরভাবে বসবাস করব।’
প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকদের উদ্দেশে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, আপনাদের মতে চিকিৎসা খাতে ৪-৫ বিলিয়ন ডলারের একটা বাজার আছে। এই বাজার আপনারা নিতে পারেন না? কেন মানুষ চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে চায়? ভারত, ব্যাংককে এমন মানুষও চিকিৎসা নিতে যায়, যারা কখনও ঢাকায় আসেনি। তারা বিরক্ত ও নিরুপায় হয়ে যায়। তাদের যাওয়া বন্ধ করেন। এখানে সেবা দিলে মানুষ কখনোই বিদেশ যাবে না। যাওয়ার কোনও কারণই নাই। এই বাজার দখল করলে আপনাদের লাভ, দেশেরও লাভ।
শনিবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর শহীদ আবু সাইদ ইন্টারন্যাশনাল কনভনেশন সেন্টারে বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক ও বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আসিফ নজরুল বলেন, অনেক চিকিৎসক অনর্থক টেস্ট দেন। আমার বাসার হেল্পিং হ্যান্ড, গরিব ছেলে, ঢাকার একটি হাসপাতালে ১৪টি টেস্ট দিয়েছে। সে রাগ করে বাড়ি চলে গেছে। সেখান থেকে টেস্ট ছাড়া ভালো হয়ে ফেরত এসেছে। ওখানে তার পরিচিত ডাক্তার ছিল। এই অত্যাচার বন্ধ হয় নাই। গরিব রোগীদের অনর্থক ১৪-১৫টা টেস্ট দেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ করা দরকার। আরেকটা বিষয় হলো, নির্দিষ্ট ওষুধ কিনতে হবে, কেন? পৃথিবীতে কোন জায়গায় প্রাইভেট ক্লিনিকে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধির জন্য নির্দিষ্ট সময় থাকে ডাক্তারের। আপনারা কি ওষুধ কোম্পানির দালাল, এ দেশের বড় বড় হাসপাতালের ডাক্তাররা কি ওষুধ কোম্পানির মধ্যসত্ত্বভোগী? কোন জায়গায় নামান আপনারা নিজেদের!
আইন উপদেষ্টা বলেন, আরেকটা অভিযোগ করা হয়, টেস্টের রেজাল্ট ভুল। অনেক জায়গায় অনেক ভালো রেজাল্ট হয়, আমি খারাপ জায়গার কথা বলছি। একটা জেনারেল কমপ্লেইন যেটা আমার কাছে হৃদয়বিদারক লাগে, নার্সদের ব্যবহার খারাপ। নার্সদের মন খারাপ থাকে, হাসপাতালের কর্মচারীদের মন খারাপ থাকে, তারা ক্ষিপ্ত হয়ে থাকেন, ভালো সেবা দিতে চায় না। কেন চায় না– নার্সদের বেতন ১২ হাজার টাকা, আপনারা কি কম টাকা লাভ করেন? আপনারা যারা অনেকে হাসপাতালের মালিক আছেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি, আপনাদের কোটি টাকার বাগানবাড়ি থাকতে পারে, নার্সদের ভালো বেতন দিতে পারেন না? নার্স যদি ১২ হাজার টাকা বেতন পায়, তাহলে কি ভালো সেবা দেবে? সে তো বিরক্ত হয়ে থাকবে। আপনারা লাভ করেন কিন্তু ন্যায্যভাবে করেন।
তিনি বলেন, আজ মানুষ ভারত-থাইল্যান্ড যেতে চায় না। আপনাদের চিকিৎসা দেওয়ার সক্ষমতা আছে। আপনারা করোনাকালে প্রমাণ করেছেন। নিজের জীবন উৎসর্গ করে সেবা দিয়েছেন। কর্মীর যদি বেতন বাড়িয়ে দেন সামান্য লাভ থেকে কতো টাকা চলে যাবে? যদি ১০০ কোটি টাকা লাভ করেন, তাহলে ১০ শতাংশ কম লাভ হয়। ১০ শতাংশ কম লাভের বিনিময় সেই কর্মী যে সেবা দেবে সেটা দিয়ে পূরণ হয়ে যায়। আপনারা এদিকে একটু লক্ষ্য রাখবেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ উপলক্ষ্যে দেয়া বাণীতে বলেছেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রীতির এই বন্ধনকে অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, সমাজে বিদ্যমান শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে কেউ যেন নষ্ট করতে না পারে সেজন্য সকলকে সজাগ থাকতে হবে।
শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে আজ শুক্রবার এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এ সব কথা বলেছেন। তিনি এ সময় ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ উপলক্ষ্যে দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বী সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ধর্মাবতার শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। সমাজে সাম্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে শ্রীকৃষ্ণ আজীবন ন্যায়, মানবপ্রেম ও শান্তির বাণী প্রচার করেছেন। শ্রীকৃষ্ণ যেখানেই অন্যায়-অবিচার দেখেছেন, সেখানেই অপশক্তির হাত থেকে শুভশক্তিকে রক্ষার জন্য আবির্ভূত হয়েছেন।
তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের সংস্কৃতির অনন্য বৈশিষ্ট্য। আবহমানকাল থেকে এ দেশের মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে নিজ নিজ ধর্ম পালন করছে। শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ ও শিক্ষা পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করবে বলে উল্লেখ করে তিনি সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে ভরপুর বৈষম্যমুক্ত এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানান।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে ফুলের তোড়া পাঠিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার বিকেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন, আজ গণতন্ত্রের মা, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন। তিনি এ দিনটি উদযাপন করেন না, তবে দল থেকে সারাদেশে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা আজ বিকেলে ম্যাডামের (বেগম জিয়া) জন্য ফুলের তোড়া পাঠিয়েছেন। তাঁর কর্মকর্তারা এটি বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসভবনে পৌঁছে দেন।
বিকেল প্রায় ৪টায় প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিব সজীব এম খায়রুল ইসলাম ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় গিয়ে তাঁর একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তারের হাতে ফুলের তোড়াটি হস্তান্তর করেন।
এ সময় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য বেলায়েত হোসেন, বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এবং চেয়ারপার্সনের ব্যক্তিগত উইংয়ের কর্মকর্তা মাসুদ রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে চীনের রাষ্ট্রদূতের কার্যালয় থেকেও বিএনপি চেয়ারপার্সনের জন্য জন্মদিনের ফুলের তোড়া পাঠানো হয়।
বেগম খালেদা জিয়া ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট দিনাজপুরে জন্মগ্রহণ করেন। এ বছর তিনি ৮১ বছরে পা রেখেছেন।
ধূমপান ও তামাকমুক্ত রেল পরিষেবা গড়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা রাখায় ২২ কর্মকর্তা/কর্মচারীকে পুরস্কৃত করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
বৃহষ্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর রেল ভবনে “বাংলাদেশ রেলওয়েকে তামাকমুক্ত করার উদ্যোগ” শীর্ষক প্রকল্পের উদ্যোগে এক বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এতে ধূমপান ও তামাকমুক্ত রেল পরিষেবা গড়ে তুলতে রেল স্টেশনে তামাক সচেতনতা ও প্রতিরোধ কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য আরএনবি ও জিআরপি (পুলিশ) এবং রেলওয়ের ২২ কর্মকর্তা/কর্মচারীকে সম্মাননা পদক ২০২৫ প্রদান করা হয়। এই স্বীকৃতির মাধ্যমে রেলওয়ে কর্মীদের উৎসাহিত করে দেশের সকল স্টেশন ও ট্রেনকে ধূমপান ও তামাকমুক্ত করার প্রক্রিয়া আরও ত্বরান্বিত হবে বলে আয়োজকরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন-
মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম মজুমদার, উপসচিব (বাজেট অধিশাখা), রেলপথ মন্ত্রণালয়; মোঃ জাকির হোসেন, পরিচালক ট্রাফিক (পরিবহণ), বাংলাদেশ রেলওয়ে; মোঃ আনসার আলী, উপ-পরিচালক (টিসি), বাংলাদেশ রেলওয়ে; গৌতম কুমার কুণ্ডু, বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (পাকশী), বাংলাদেশ রেলওয়ে; মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (লালমনিরহাট), বাংলাদেশ রেলওয়ে; ফারহান মাহমুদ, এডিসিও (চট্টগ্রাম), বাংলাদেশ রেলওয়ে; মোহাম্মদ আমিনুল হক, এসিও-১ (ঢাকা), বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে “বাংলাদেশ রেলওয়েকে তামাকমুক্ত করার উদ্যোগ” শীর্ষক প্রকল্পের বেজলাইন ও এন্ডলাইন সার্ভের তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন ও এর বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান আর্ক এর নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ ফাহিমুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মোঃ আফজাল হোসেন। এছাড়া রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা/কর্মচারীরা এতে অংশগ্রহণ করেন।
ধূমপান ও তামাকের ব্যবহার যাত্রীসেবার মানের ওপর যেসব নেতিবাচক প্রভাব ফেলে অনুষ্ঠানে তার বিস্তারিত আলোচনা করেন তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের অপব্যবহার রোধে ভূমিকা পালনকারী সাবেক ও বর্তমান সরকারী ও বেসরকারী কর্মকর্তারা। তাঁরা রেলওয়ের প্রতিটি স্টেশন, প্ল্যাটফর্ম এবং ট্রেনে ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানান। এ লক্ষ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি, কঠোর নজরদারি এবং আইন প্রয়োগের পাশাপাশি যাত্রী ও কর্মীদের মধ্যে ইতিবাচক আচরণ গড়ে তোলার ওপর তাঁরা গুরুত্বারোপ করেন।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ ফাহিমুল ইসলাম প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, “রেলপথ জনগণের জন্য একটি নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে চায়। তাই ধূমপানমুক্ত পরিবেশ তৈরিতে আমরা কোনো ধরনের শৈথিল্য দেখাবো না।”
অনুষ্ঠানে সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও উপস্থিত অতিথিবৃন্দ ধূমপান ও তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
উপদেষ্টা পরিষদের সভা আজ (বৃহস্পতিবার) অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এতে সভাপতিত্ব করেন।
মন্তব্য