× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Although the tumultuous year ended peacefully BNP is unwavering in its determination to topple the government
google_news print-icon

উত্তাল বছর শান্তভাবে শেষ হলেও সরকার পতনের সংকল্পে অটুট বিএনপি

উত্তাল-বছর-শান্তভাবে-শেষ-হলেও-সরকার-পতনের-সংকল্পে-অটুট-বিএনপি
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষক আলী রিয়াজ বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশে বিপুলসংখ্যক মানুষের অংশগ্রহণ প্রমাণ করে যে তাদের সমর্থন বেড়েছে। ৭ জানুয়ারির পর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট কেমন হবে তার সঙ্গে দলটির ভবিষ্যৎ জড়িত। তবে যদি কেউ বিএনপিকে বিলুপ্তপ্রায় শক্তি বলে অভিহিত করতে চায়, সেটি স্পষ্টতই ভুল।’

বিএনপি ২০২২ সালটি যেভাবে শেষ করেছিল ২০২৩ সালের শুরুটাও ছিল তেমন। দলটির নেতা-কর্মীরা রাজপথে সক্রিয় থেকে সারা দেশে নিয়মিত মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। দলটির সমর্থকরা আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারকে উৎখাত এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ১৭ বছর পর ক্ষমতায় ফিরে আসার উচ্চাশা জাগিয়ে তুলেছিল।

বিএনপি সারা বছর যা কিছু করেছে তার লক্ষ্য ছিল নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন। আর সেই নির্বাচনে অংশ নিয়ে আবার ক্ষমতায় যাওয়া। কিন্তু যদি নির্বাচনটি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয় তবে তা নয়।

কিছু প্রভাবশালী বিদেশি সরকার, বিশেষত ওয়াশিংটন তাদের লক্ষ্য অর্জনে আন্দোলনে গতি বাড়াতে কাজ করেছিল।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত বছরটি বিএনপির জন্য চরম হতাশায় শেষ হয়েছে। গত দু’মাসে তাদের কর্মকাণ্ডের ওপর নতুন করে দমন-পীড়ন শুরু হয়েছে। দলটির শীর্ষ নেতৃত্বের প্রায় সবাই হয় কারাগারে নয়তো পলাতক।

উত্তাল বছর শান্তভাবে শেষ হলেও সরকার পতনের সংকল্পে অটুট বিএনপি

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ প্রশাসনের দাবি মেনে নিতে সরকারকে বাধ্য করতে ব্যর্থ হওয়ায় ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আগামী বছরগুলোতে রাজনীতিতে ফিরে আসা এবং নেতা-কর্মীদের পুনরুজ্জীবিত করা বিএনপির জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে।

বিএনপি আগামীতে চরম নেতৃত্ব সংকটের মুখোমুখি হবে- এমন আশঙ্কাও করেন তাদের অনেকে। কারণ বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের প্রায় দেড় হাজার নেতা-কর্মী ইতোমধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এবং প্রায় ২৬ হাজার নেতা-কর্মী কারাগারে গেছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, আগামীতে দলকে পুনর্গঠনের পাশাপাশি বিএনপিকে সুচিন্তিত পরিকল্পনা ও কৌশল নিয়ে আসতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক আলী রিয়াজ বলেন, ‘বিএনপির অহিংস আন্দোলন ক্ষমতাসীন সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা এবং নির্বাচন পরিচালনার জন্য একটি নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের লক্ষ্য অর্জনে সফল না হলেও এটি প্রায় সব বিরোধী দল এ দাবিকে সমর্থন করে।

‘বিএনপির প্রতিটি সমাবেশে বিপুলসংখ্যক মানুষের অংশগ্রহণ প্রমাণ করে যে তাদের সমর্থন বেড়েছে। সংগঠনটিকে বিভক্ত করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নানা প্রচেষ্টা সত্ত্বেও দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখা নেতৃত্বের বড় সাফল্য।’

ড. রিয়াজ বলেন, ‘বিশেষ করে ২৮ অক্টোবরের পর সরকারের কর্মকাণ্ডে এটা স্পষ্ট হয়, তারা আসলে বিএনপিকে বাইরে রেখেই একটি নির্বাচন করতে চেয়েছিল। সুতরাং বিএনপি বর্জন করতে চায় কি না, তা অপ্রাসঙ্গিক বলে মনে হচ্ছে।

‘আমাদের জোর দিয়ে বলতে হবে, বিএনপি একা নির্বাচন বর্জন করছে না। বিএনপির অনুপস্থিতি প্রমাণ করেছে যে, এই নির্বাচন একটি পাতানো অনুষ্ঠান।’

তিনি বলেন, ‘হাজার হাজার নেতা-কর্মী কারাগারে এবং দেড় হাজারেরও বেশি নেতা-কর্মীকে দোষী সাব্যস্ত করার কারণে বিএনপি একটি গুরুতর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে।

‘তবে এটা দুর্ঘটনাবশত নয়, দলকে নেতৃত্বশূন্য করার পরিকল্পনার অংশ। ২৮ অক্টোবর থেকে এর কর্মসূচিগুলো আকর্ষণ হারাচ্ছে। তবে ৭ জানুয়ারির পর এটি কী কৌশল গ্রহণ করে তা দেখার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।’

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করেন, বিএনপিকে রাজপথে ফিরে আসতে হবে এবং জনসমাবেশে অংশ নিতে হবে, তা যত কঠিনই হোক না কেন।

তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারির পর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট কেমন হবে তার সঙ্গে বিএনপির ভবিষ্যৎ জড়িত। তাদের ভবিষ্যৎ অন্যান্য বিরোধী দল থেকে আলাদা হবে না। যে কেউ বিএনপিকে বিলুপ্তপ্রায় শক্তি বলে অভিহিত করতে চায়, সেটি স্পষ্টতই ভুল।’

উত্তাল বছর শান্তভাবে শেষ হলেও সরকার পতনের সংকল্পে অটুট বিএনপি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী বলেন, ‘পশ্চিমা দেশগুলোর চাপে সরকার তাদের রাজনৈতিক সুযোগ দেয়ায় বিএনপি ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যাপক জনসমর্থন নিয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেছে।

‘সরকার যেমন ভেবেছিল, বিএনপি রাজপথে সক্রিয় থাকলে তারা ক্ষমতায় থাকতে পারবে না; তাই তারা আবারও কঠোর দমন-পীড়ন চালিয়ে বিএনপির রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। বিএনপির রাজনীতি সঠিক পথেই চলছে এবং দলটি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের দাবির পক্ষে জনসমর্থন গড়ে তুলতে পারে।’

অধ্যাপক আলী রিয়াজের সঙ্গে একমত পোষণ করে ড. বেপারী বলেন, ‘বিএনপিকে সব বাধা অতিক্রম করে রাজপথে আন্দোলন জোরদার করতে হবে। কারণ আমি বিশ্বাস করি ৭ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচন দেশ-বিদেশে গ্রহণযোগ্যতা পাবে না।

‘বিএনপি যদি সঠিক কৌশল নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যেতে পারে, তাহলে তারা সফল হতে পারে।’

বিএনপির আন্দোলনের বিবর্তন

২০২৩ সালকে নির্বাচনি বছর হিসেবে বিবেচনা করে জানুয়ারির শুরু থেকেই সমাবেশ ও বিক্ষোভসহ বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে কঠোর আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে বিএনপি। দলের সাংগঠনিক সক্ষমতা জোরদার করার জন্য বিভিন্ন ইউনিট এবং সহযোগী সংগঠনগুলোও সংস্কার করা হয়েছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত জনগণের বিপুল সমর্থন নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করায় দলটি সাফল্য অর্জন করে।

আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে গত ২৭ জুলাই যুগপৎ এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা দেয় বিএনপি। এক দফা দাবিতে বিএনপিসহ তিন ডজনেরও বেশি দল যুগপৎভাবে রোডমার্চসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রাজপথে বিএনপি ও অন্যান্য সমমনা দলের সমর্থকদের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়।

টার্নিং পয়েন্ট ২৮ অক্টোবর

আগের কর্মসূচিগুলোতে দলের সাফল্যের সুবাদে ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভা করার ঘোষণা দেয় বিএনপি। হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহণে অভূতপূর্বভাবে এই সমাবেশ শুরু হলেও পুলিশ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষে এক পুলিশ কনস্টেবলসহ তিনজন নিহত ও কয়েক শ’ আহত হওয়ার পর তা মাঝপথে ভণ্ডুল হয়ে যায়।

সংঘর্ষের পর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর অভিযান শুরু করে এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অনেক জ্যেষ্ঠ নেতাকে গ্রেপ্তার করে। শেষ পর্যন্ত রাজপথে বিএনপির নেতা-কর্মীদের অনুপস্থিতিতে আন্দোলন দুর্বল হয়ে পড়ে।

২৮ অক্টোবরের ঘটনার পর দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশের অধিকাংশ কার্যালয় তালাবদ্ধ রাখা হয়। ১৬ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির হাজার হাজার নেতা-কর্মী বিজয় শোভাযাত্রা বের করলেও তারা তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় খোলেনি।

বিএনপির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত দুই মাসে পুলিশ দলটির প্রায় ২৪ হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন ২৫ জন নেতা-কর্মী।

এছাড়া পাঁচ থেকে দশ বছর আগের বিভিন্ন রাজনৈতিক মামলায় বিএনপির তিন ভাইস চেয়ারম্যানসহ দেড় হাজারের বেশি নেতা-কর্মীকে সাজা দেয়া হয়। আদালতের মাধ্যমে মামলাগুলো পুনরুজ্জীবিত করা ও রায় দেয়া হয়।

উত্তাল বছর শান্তভাবে শেষ হলেও সরকার পতনের সংকল্পে অটুট বিএনপি

ফিরে এল হরতাল-অবরোধ

২৮ অক্টোবর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের পর বিএনপির আন্দোলন গতি হারানোয় দীর্ঘদিন পর হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করে দলটি।

বিরোধী দলগুলো ২৯ অক্টোবর থেকে ১২ দফায় ২৩ দিন দেশব্যাপী অবরোধ এবং চার দফায় পাঁচ দিন হরতাল পালন করে। অবশেষে বিরোধী দল ২০ ডিসেম্বর অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয়, যা কার্যত জনগণের মধ্যে সাড়া জাগাতে ব্যর্থ হয়।

৭ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন এবং আওয়ামী লীগ সরকারকে সহযোগিতা না করার আহ্বানের পক্ষে জনসমর্থন আদায়ে দেশব্যাপী গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ২০২৩ সাল শেষ ও ২০২৪ সাল শুরু করতে যাচ্ছে দলটি।

নির্বাচন বর্জন

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করলেও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি পূরণ না হওয়ায় বিএনপি তা প্রত্যাখ্যান করে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় নির্বাচন বর্জন করছে দলটি।

বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলো নির্বাচন বর্জন করলেও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমরসহ প্রায় ২৪ জন মধ্যম পর্যায়ের নেতা দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

২৮ অক্টোবরের সহিংসতার মামলায় গ্রেপ্তার শাহজাহান ওমর জামিনে মুক্তি পাওয়ার একদিন পর আওয়ামী লীগে যোগ দেন এবং ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

বিএনপির শরিকদের মধ্যে কেবল কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

বিএনপির নেতারা দাবি করেন, সরকার দলের অনেক জ্যেষ্ঠ নেতাকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার প্রলোভন দেখিয়ে অথবা ভয়াবহ পরিণতির ভয় দেখিয়ে নির্বাচনে আনার চেষ্টা করেছে। তবে শাহজাহান ওমর ছাড়া অন্য কোনো বড় নেতা চাপের মুখে বিএনপি ছাড়েননি।

উত্তাল বছর শান্তভাবে শেষ হলেও সরকার পতনের সংকল্পে অটুট বিএনপি

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে শঙ্কা

লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট, চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বিদায়ী বছর জুড়ে বেশ কয়েকবার চিকিৎসা নিয়েছেন।

৭৮ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী ৯ আগস্ট শেষবারের মতো বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

২৬ অক্টোবর খালেদা জিয়ার পেট ও বুকে পানি বৃদ্ধি এবং লিভারে রক্তক্ষরণ বন্ধে ট্রান্সজুগুলার ইন্ট্রাহেপাটিক পোর্টোসিস্টেমিক শন্ট (টিআইপিএস) নামে পরিচিত হেপাটিক পদ্ধতি সম্পন্ন করেন যুক্তরাষ্ট্রের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।

সফল হেপাটিক অপারেশনের পর থেকে খালেদা জিয়ার অবস্থার উন্নতি হলেও তিনি এখনও শঙ্কামুক্ত নন বলে চিকিৎসকরা তাকে ছাড়পত্র দেননি। সূত্র: ইউএনবি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
BNP submitted feedback on the July certificate

জুলাই সনদ নিয়ে মতামত জমা দিল বিএনপি

জুলাই সনদ নিয়ে মতামত জমা দিল বিএনপি

জুলাই সনদের খসড়া পর্যালোচনা করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে নিজেদের মতামত জমা দিয়েছে বিএনপি। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় দলটির পক্ষ থেকে এই মতামত জমা দেওয়া হয়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের বরাত দিয়ে দলের মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছিল দলটি ২১ আগস্ট তাদের মতামত জমা দেবে।

এদিকে জুলাই সনদের মতামত জমাদানের সময় আগামী ২২ আগস্ট বিকেল ৩টা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। গতকাল বুধবার এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে গত শনিবার মতামত চেয়ে জুলাই সনদের খসড়া রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সনদের পটভূমিতে পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ড এবং ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

জুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়ায় প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এই সনদের কোনো বিধান, প্রস্তাব ও সুপারিশ সাংবিধানিক ও আইনগতভাবে বলবৎ হিসেবে গণ্য হবে বিধায় এর বৈধতা, প্রয়োজনীয়তা কিংবা জারির কর্তৃত্ব সম্পর্কে কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না।

জুলাই সনদের যেসব সুপারিশ অবিলম্বে বাস্তবায়নযোগ্য বলে বিবেচিত, সেগুলো কোনো প্রকার কালক্ষেপণ না করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করবে, তা বলা হয়েছে।

ঐকমত্য কমিশন বলছে, সনদে এমন অনেক বিষয় রয়েছে যেগুলো কোনো কোনো দল একমত হননি। সেসব বিষয়ে দলগুলো নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছেন।

ওই সব বিষয়ও ‘নোট অব ডিসেন্ট’ বা ভিন্নমতের বিষয়গুলোও উল্লেখ করা হয়েছে জুলাই সনদের খসড়ায়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
People in the country do not want PR method Mirza Fakhrul

দেশের মানুষ পিআর পদ্ধতি চায় না: মির্জা ফখরুল

রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য নির্বাচনের বিকল্প নেই
দেশের মানুষ পিআর পদ্ধতি চায় না: মির্জা ফখরুল

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনে জনগণের অধিকার পরিপূর্ণ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। থাইল্যান্ড থেকে চিকিৎসা শেষে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের পক্ষ নয় বিএনপি এমনটা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, পিআর পদ্ধতিতে এদেশের মানুষ অভ্যস্ত নয়, এতে জনগণের অধিকার পরিপূর্ণ হবে না। দেশে যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট আছে তা থেকে উদ্ধারের একমাত্র পথ হচ্ছে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন।

তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ নির্বাচন চায়, সংকট নিরসনের একমাত্র পথ দ্রুত নির্বাচন। যারা সংস্কার চাচ্ছে না, সেটা তাদের দলের ব্যাপার।

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, ‘সবার অংশগ্রহণে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হোক, এটাই প্রত্যাশা।’

এর আগে গত বুধবার সকালে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে স্ত্রীসহ চিকিৎসার জন্য ঢাকা ত্যাগ করেন তিনি। দেশে ফিরে সুস্থ আছেন বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The inauguration of the Naogaon District BNP biennial conference will be led by the leadership?

উদ্বোধন হলো নওগাঁ জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন; কারা আসবে নেতৃত্বে?

উদ্বোধন হলো নওগাঁ জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন; কারা আসবে নেতৃত্বে?

নওগাঁ জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার ১১ আগষ্ট দুপুর ১ টায় নওগাঁ কনভেনশন সেন্টারে এই সম্মেলনের অধিবেশনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন বিএনপির রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম

উদ্বোধনের শুরুতেই জাতীয় সংগীত ও দলীয় গান পরিবেশন করে সন্মান প্রদর্শন করা হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে সকল শহীদ ও জুলাই আন্দোলনে সকল শহীদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি নতুনভাবে দল পরিচালনার পাশাপাশি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন।

প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম ও এ এইচ এম ওবায়দুর রহমান চন্দন।

এদিন বিকেল ৩টা থেকে শুরু হবে ভোট গ্রহণ। চলবে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত। কাউন্সিলে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং দুটি সাংগঠনিক সম্পাদক পদে জেলার ১৪টি ইউনিটের ১ হাজার ৪১৪ ভোটার গোপন ব্যালটে জেলা বিএনপির নেতৃত্ব নির্ধারণ করবেন।

কাজেই সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের গুরুত্বপূর্ণ পদ কারা পাচ্ছেন, কারা হাসবে জয়ের হাসি, কাদের নেতৃত্বে চলবে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের সাংগঠনিক কার্যক্রম তা নিয়ে চলছে গুঞ্জন।

দীর্ঘ ১৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জেলা বিএনপির সম্মেলন ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। এতদিন নানা সীমাবদ্ধতায় সম্মেলন করতে না পারলেও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বেশ ঘটা করে সম্মেলনের আয়োজন করেছে দলটি। তাই সম্মেলন ঘিরে পুরো শহর সেজেছে নতুন কমিটির নেতৃত্বে আসা নেতাদের ছবি, ব্যানার, ফেস্টুন আর বিলবোর্ডে। এই সম্মেলন ঘিরে ১৭ বছর হামলা, মামলা, নির্যাতন ও কারাবরনে জর্জরিত নেতাকর্মীরা ফিরে পেয়েছেন প্রাণচাঞ্চল্য। কর্মীরাও মুখে আছেন নতুন নেতৃত্ব বাছাইয়ে।

এই সম্মেলনে নেতৃত্বে কারা আসছেন এ নিয়ে তৃনমূল থেকে শুরু করে শহরের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। অনেক নেতাকর্মী ভাবছেন নতুন নেতৃত্ব আসবে, আবার কেউ কেউ ভাবছেন ধারাবাহিক নেতার মধ্যে দুই একজন জয়ী হতে পারেন।

তবে নেতাকর্মীরা বলছেন, যারা বিএনপির রাজনীতিতে রাজপথে ছিলেন, রাজপথ থেকে উঠে এসেছেন, রাজনীতিতে যাদের দলীয় পরিচয় বেশি, যারা কর্মী বান্ধব তারাই আসুক নেতৃত্বে। দলের দুর্দিনে যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন, নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন তারা যেন সঠিক মূল্যায়ন পান। এছাড়াও সম্মেলনের মধ্য দিয়ে নতুন করে দলকে পুনরুজ্জীবিত ও সুসংগঠিত করে আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে বিজয়ী করতে ভূমিকা রাখবে এমন নেতৃত্ব চান নেতাকর্মীরা।

দলীয় সুত্রে জানা যায়, সর্বশেষ ২০১০ সালে জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত হন সামসুজ্জোহা খান, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন মামুনুর রহমান রিপন। ২০১৫ সালে ওই কমিটি বিলুপ্ত হওয়ার পর সম্মেলনের মাধ্যমে আর কোনো কমিটি গঠন হয়নি।

এরপর ২০২২ সালে আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নুকে আহ্বায়ক ও বায়েজিদ হোসেন পলাশকে সদস্য সচিব করে গঠিত আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম চলছিল।

পট পরিবর্তনের পর বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুসারে, ঘোষিত সম্মেলন উপলক্ষে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। গত রোববার (৩ আগষ্ট) তফসিল ঘোষণা করেন সম্মেলন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী ও বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা। পরের দিন সোমবার জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক এই দুইটি পদপ্রত্যাশী প্রার্থীদের মধ্যে মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হয়। একই দিনে মনোনয়নপত্র জমা, যাচাই-বাছাই ও চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়।

উল্লেখ, সভাপতি পদপ্রত্যাশীরা হলেন- জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজমুল হক সনি, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মাষ্টার হাফিজুর রহমান, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান তুহিন, পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবদুস শুকুর, জেলা বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ এস এম মামুনুর রহমান ও জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য এ বি এম আমিনুর রহমান।

সাধারণ সম্পাদক পদ পাওয়ার জন্য লড়ছেন চারজন। তারা হলেন- জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন পলাশ, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রহমান রিপন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম ও আমিনুল হক বেলাল। এবং সাংগঠনিক সম্পাদকের দুটি পদের জন্য আটজন মনোনয়ন তুলেছেন। তারা হলেন শফিউল আজম (ভিপি) রানা, নূর-ই আলম, ফরিদুজ্জামান, খায়রুল আলম, শবনম মোস্তারী, সুলতান মামুনুর রশিদ, কামরুজ্জামান কামাল ও জহুরুল হক।

এদিকে এই সম্মেলনের আগের দিন রোববার (১০ আগস্ট) দুপুর ২টায় নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে সম্মেলনের কাউন্সিলর বা ভোটার তালিকাকে ‘বিতর্কিত’ উল্লেখ করে সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলাম বেলাল।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Mirza Fakhrul the top five leaders of the BNP will be going to the July Declaration

জুলাই ঘোষণাপত্র অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি’র শীর্ষ ৫ নেতা

জুলাই ঘোষণাপত্র অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি’র শীর্ষ ৫ নেতা

জুলাই ঘোষণাপত্র অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন বিএনপি’র শীর্ষ ৫ জন নেতা। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে স্থায়ী কমিটির ৫ সদস্য এই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।

বিএনপি’র মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অন্যান্য সদস্যরা হলেন- বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ডক্টর আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও সালাহউদ্দিন আহমদ।

এদিকে, সোমবার রাতে বিএনপি’র সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকটি রাজধানীর গুলশানে বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হয়ে রাত সাড়ে ১০টায় শেষ হয়।

বৈঠকে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Khaleda Zia and Tareq Rahman are expected to surround the BNP leader

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঘেরাও করতে চাওয়া সেই বিএনপি নেতা বহিষ্কার

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঘেরাও করতে চাওয়া সেই বিএনপি নেতা বহিষ্কার বহিষ্কৃত নেতার ছবি

বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঘেরাও করতে চাওয়া নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার বিএনপির সদস্য লুৎফর রহমান খোকাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা চিঠিতে এই বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়। তবে বহিষ্কারের বিষয়টি বুধবার সকালে প্রকাশ পায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব। তিনি বলেন, বহিষ্কারের তথ্যটি সঠিক।

চিঠিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলীয় নীতি, আদর্শ ও সংহতির পরিপন্থি কার্যকলাপের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার বিএনপির সদস্য লুৎফর রহমান খোকাকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এর আগে, গত ২৩ জুলাই বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার ফতুল্লায় সোনালি সংসদ মাঠে বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন লুৎফর রহমান খোকা। তিনি বলেন, শাহ আলমের (নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী) জন্য আমরা নমিনেশন আনবো। প্রয়োজনে আমরা আত্মাহুতি দেবো কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে। তারেক রহমান ও দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে ও বিএনপির মহাসচিবকে ঘেরাও করবো।

তিনি বলেন, বিএনপির সর্বোচ্চ মহলকে পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, ফতুল্লাকে নিয়ে যদি কোনো ষড়যন্ত্র করা হয়, তাহলে কাউকে ছাড়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, এখানে কোনো জোট চলবে না। এই খেলা আর খেলবেন না। ধানের শীষ ছাড়া ফতুল্লায় কিছু চলবে না। ফতুল্লার জনগণের আবেগ, আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন না। ফতুল্লার মানুষদের প্রিয় নেতা শাহ আলমকে বাদ দিয়ে এখানে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া মানেই জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা।

এদিকে এই ঘটনার দুই দিন পর বিএনপির শীর্ষ নেতাদের ঘেরাও করার মন্তব্যটি সঠিক হয়নি বলে স্বীকার করেন লুৎফর রহমান খোকা। তিনি বলেন, মন্তব্যটি স্লিপ অব টাং বলতে পারেন। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের প্রায় ৮০ ভাগ ভোটার বিএনপির। এখানে যদি জোটের অন্য কাউকে দেওয়া হয়, তাহলে সেটা ভোটারদের জন্য কষ্টদায়ক। বিষয়টি কেন্দ্রকে বোঝাতে গিয়ে একটু বেশি বলে ফেলেছি। এটা আমার ঠিক হয়নি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The actual reform is not possible without the elected representative Fakhrul

নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়া প্রকৃত সংস্কার সম্ভব নয়: ফখরুল

নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়া প্রকৃত সংস্কার সম্ভব নয়: ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত না করে এবং একটি সঠিক গণতান্ত্রিক কাঠামো জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা না করে কোনও প্রকৃত সংস্কার সম্ভব নয়।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) এক আলোচনাসভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি তাদের সমালোচনা করেন যারা মনে করেন, সংস্কার রাতারাতি বা কয়েকটি বৈঠকের মধ্য দিয়েই হয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, ‘সংস্কার একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন করতে হয়। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।’

বিএনপি নেতা বলেন, যদি সরকার মনে করে যে, তারা চাইলেই কাল থেকে পুলিশ ঘুষ নেওয়া বন্ধ করে দেবে, তাহলে সেটা হবে না। ‘আপনাকে এমন একটি কাঠামো তৈরি করতে হবে যেখানে ঘুষ নেওয়াকে নিরুৎসাহিত করা হয়।’

জিয়া পরিষদ এই আলোচনাসভার আয়োজন করে, যার শিরোনাম ছিল ‘জুলাই অভ্যুত্থান: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’। এটি গত বছরের গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়।

ফখরুল দেশের উন্নয়নে বাধা হিসেবে বিদ্যমান আমলাতন্ত্রকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের আমলাতন্ত্র উন্নয়নের একটি বড় বাধা। এটি একটি নেতিবাচক আমলাতন্ত্র এবং এটিকে একটি ইতিবাচক কাঠামোয় রূপান্তর করতে হবে। তা করতে হলে মূলত জনগণকে এই প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’

বিএনপি নেতা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত জনগণের কাছে ফিরে যাওয়া, তাদের চাহিদা বোঝা এবং সেই চাহিদাকে রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রতিফলিত করা।

নির্বাচন চাওয়ার কারণে বিএনপিকে ঘিরে চলমান সমালোচনার প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘আমরা নির্বাচন নিয়ে কথা বলা শুরু করতেই বলা হলো, বিএনপি শুধু নির্বাচন চায়। কিন্তু কেউ কি ভেবে দেখেছে, আমরা কেন নির্বাচন চাই?’

তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, নির্বাচন ছাড়া প্রকৃত জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করা যায় না। ‘আর যদি প্রতিনিধি না থাকে, তাহলে তারা কীভাবে সংসদে যাবে? আর যদি নির্বাচিত সংসদ না থাকে, তাহলে কীভাবে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে?’

ফখরুল বলেন, ‘আপনি দেশ চালাতে বাড়ি ও বিদেশ থেকে কয়েকজন লোক ভাড়া করে আনতে পারেন না। এটি সম্ভব নয়।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Every crisis in the country must deal with solidarity from unity Tareq Rahman

ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশের প্রতিটি সংকটকে সংহতি নিয়ে মোকাবিলা করতে হবে : তারেক রহমান

ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশের প্রতিটি সংকটকে সংহতি নিয়ে মোকাবিলা করতে হবে : তারেক রহমান

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং প্রতিটি সংকটকে সংহতি নিয়ে মোকাবিলা করতে হবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলেন, জাতির এই শোকের সময়ে আমি সকল গণতন্ত্রপন্থী সহযোদ্ধার প্রতি শান্ত ও সংহত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, বিভেদমূলক সংঘাত কিংবা জনতার উচ্ছৃঙ্খল আচরণ বন্ধ করতে হলে আমাদের সহনশীলতা ও আত্মসংযমের ভিত্তিতে একটি শক্তিশালী সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।

তারেক রহমান বলেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র রাজনৈতিক সংগঠনের কিছু সদস্যের মাধ্যমে জনতা ও পুলিশের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টির এবং সহিংসতা উসকে দেওয়ার উদ্বেগজনক খবর পাওয়া যাচ্ছে। এসব গোষ্ঠীকে অনুরোধ করব, বাংলাদেশের ইতিহাসের এমন একটি শোকাবহ মুহূর্তকে নিজেদের স্বার্থে কাজে লাগানোর অপচেষ্টা থেকে বিরত থাকুন। এর পরিবর্তে জাতি হিসেবে ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং সহানুভূতি ও সংহতি প্রদর্শনের দিকেই আমাদের মনোযোগ দেওয়া উচিত।

তিনি বলেন, আমাদের শক্তি ব্যয় হোক নিখোঁজ প্রিয়জনদের খুঁজে বের করা, নিহতদের সঠিকভাবে তালিকাভুক্ত করা, আহতদের সর্বোত্তম চিকিৎসা নিশ্চিত করা এবং বিমান দুর্ঘটনার মূল কারণ নির্ধারণে কর্তৃপক্ষকে নিরপেক্ষ ও কার্যকর তদন্তের সুযোগ করে দেওয়ার কাজে।

তারেক রহমান বলেন, প্রাণহানির শিকার নিরীহ ব্যক্তিবর্গ এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলোর পাশে রয়েছে আমাদের হৃদয়ের গভীর সহানুভূতি। বাংলাদেশকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং প্রতিটি সংকটকে সংহতি নিয়ে মোকাবিলা করতে হবে।

মন্তব্য

p
উপরে