বরিশালের হিজলায় আসন্ন সংসদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ নাথের নির্বাচনি অফিস হামলা ও তার এক সমর্থককে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে।
স্বতন্ত্র এ প্রার্থীর সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগও উঠেছে।
হিজলার বড়জালিয়া ইউনিয়নের টেকেরহাট বাজার এবং ধূলখোলা ইউনিয়নের আলীগঞ্জ বাজার ও সংলগ্ন এলাকায় শনিবার গভীর রাত ও রোববার ভোরে এসব ঘটনা ঘটে।
আহত অহিদ সরদার ও তার স্বজনরা জানান, গত রাতে দুর্বৃত্তরা বড়জালিয়া ইউনিয়নের টেকেরহাট বাজারে ঈগল প্রতীকের নির্বাচনি অফিসে হামলা চালায়। ওই সময় তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম হন অহিদ সরদার।
পঙ্কজ নাথের অনুসারীদের দাবি, রোববার সকালে ধূলখোলা ইউনিয়নের আলীগঞ্জ বাজারে পঙ্কজ নাথের অনুসারীরা লিফলেট বিতরণের পাশাপাশি নির্বাচনি প্রচারের কাজ চালাচ্ছিলেন। ওই সময় তাদের ওপর লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আকস্মিক হামলা চালানো হয়। সেই সঙ্গে আলিগঞ্জ বাজার মন্দির কমিটির সভাপতি রাম প্রসাদের বাড়িও ভাঙচুর করা হয়।
বরিশাল-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজের অনুসারীরা আরও দাবি করেন, ভোটার না হয়েও জামাল ঢালী, রবি ঢালী, সালাউদ্দিন, নিজাম, রফিকসহ একটা পক্ষ ধূলখোলায় দীর্ঘদিন ধরে শাম্মী আহমেদের অনুসারী বলে প্রভাব দেখিয়ে আসছেন এবং আজ এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছেন।
আলিগঞ্জ বাজার মন্দির কমিটির সভাপতি রাম প্রসাদ বলেন, ‘সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাজারে আমরা ঈগল প্রতীকের প্রচারণার কাজ শুরু করি। তখন আকস্মিক ৪০ থেকে ৫০ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। সে সময় মামুন নামে ঈগল প্রতীকের এক কর্মী গুরুতর আহত হন।’
পুলিশের উপস্থিতির কারণে সেই যাত্রায় প্রাণে রক্ষা পান জানিয়ে রাম প্রসাদ বলেন, ‘১৬ দিন আগে আমার বাড়িতে হামলা হয়েছে। ওই সময় ভয় পেয়ে বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং পরের দিনই মৃত্যুবরণ করেন। পরবর্তীতে আজ বাবার আত্মার শান্তির জন্য শ্রাদ্ধের আয়োজন করা হয় বাড়িতে, কিন্তু তার আগে ৫০ থেকে ৬০ জন মিলে বাড়িতে দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালাল।
‘হামলার সময় বাড়ির নারীদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। আর এখন তো বাজারেও যেতে পারছি না হামলার ভয়ে। ওরা আবার হামলার জন্য ওত পেতে রয়েছে।’
হামলার ঘটনায় আহত কর্মীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে জানিয়ে ঈগল প্রতীকের প্রার্থী পঙ্কজ নাথ বলেন, ‘আগে কর্মীদের সুস্থ করার কাজটি করছি। সেই সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানিয়েছি।’
এসব ঘটনায় মামলা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কারও বিরুদ্ধে কথা বলতে চাই না, তবে এখন তো নিরাপত্তহীনতায় ভুগছি। কখন যে কার ওপর হামলা হবে, বলা যাচ্ছে না।’
জানতে চাইলে হিজলা থানার ওসি জুবাইর আহমেদ বলেন, ‘গত রাতের ঘটনায় মামলার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। আর আজকে ধূলখোলার ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তবে হামলার খবর আমার জানা নেই।’
আলিগঞ্জ বাজার মন্দির কমিটির সভাপতি রাম প্রসাদের বাড়িতে হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আরও পড়ুন:রাজধানীর আদাবর থানায় দায়ের করা গার্মেন্টস কর্মী রুবেল হত্যা মামলায় সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
ফরহাদ হোসেনকে রোববার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আদাবর থানার পরিদর্শক আব্দুল মালেক সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে সাতদিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে শনিবার রাতে রাজধানীর ইস্কাটন এলাকা থেকে ফরহাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ৫ আগস্ট সকাল ১১টার দিকে রুবেলসহ কয়েক শ’ ছাত্র-জনতা আদাবর থানার রিংরোড এলাকায় প্রতিবাদী মিছিল বের করে। এ সময় পুলিশ, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, তাঁতী লীগ, কৃষক লীগ, মৎসজীবী লীগের নেতাকর্মীরা গুলি চালায়। এতে রুবেল গুলিবিদ্ধ হন। পাশের একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ২২ আগস্ট আদাবর থানায় রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৫৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরও ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা ছাড়া এ মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক সংসদ সদস্য ও ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, চিত্রনায়ক ও সাবেক এমপি ফেরদৌস এবং সাবেক এমপি ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন।
আরও পড়ুন:অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পদ্মা সেতুর নিচে চুবানো ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সেতু থেকে ফেলে দেয়ার হুমকির ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে রোববার মামলাটি দায়ের করেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি সৌরভ প্রিয় পাল।
বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একমাত্র আসামি করে মামলার আবেদন করা হয়।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বা সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা দিয়ে তদন্ত করে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০২২ সালের ১৮ মে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে নিয়ে খালেদা জিয়াকে টুস করে ফেলে দেওয়া উচিত।’ একইসঙ্গে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধে চেষ্টার অভিযোগ তুলে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পদ্মা নদীতে দুটি চুবানি দিয়ে সেতুর ওপর তোলা উচিত বলে মন্তব্য করেন তৎকালীন সরকার প্রধান।
শেখ হাসিনা এসব মন্তব্যের মাধ্যমে বিষোদগার করে বেগম খালেদা জিয়া ও দেশের একমাত্র নোবেল লরিয়েট ড. ইউনূসকে হত্যার সুপ্ত ইচ্ছা ব্যক্ত ও মানহানি করেছিলেন। তিনি খালেদা জিয়া ও ড. ইউনূসকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিয়ে এবং হত্যার ষড়যন্ত্র করে, হত্যার জন্য প্ররোচনা দিয়ে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠন তথা ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগের সন্ত্রাসীদের প্ররোচিত করেছিলেন।
আরও পড়ুন:মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মুগদাপাড়া এলাকার কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শ্রীমঙ্গলের রাধানগর এলাকার প্যারাগন রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে শনিবার বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার নামে মুগদা থানায় মামলা রয়েছে।
রিসোর্ট সূত্রে জানা যায়, সিরাজুল ইসলাম শনিবার দুপুর ১২টার দিকে তাদের রিসোর্টে ওঠেন। তার সঙ্গে আরও ১০ থেকে ১২ জন ছিলেন। সবাই মিলে এক দিনের জন্য চার-পাঁচটি রুম বুকিং করেন।
মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সিরাজুল ইসলাম ছাত্রদের বিপরীত অবস্থানে গিয়ে সরাসরি নেতৃত্ব দেন। মুগদা থানার তিনি এজাহারনামীয় আসামি।
‘আমাদের কাছে খবর ছিল, তিনি আজ (শনিবার) রাতে মৌলভীবাজারের সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যেতে চাচ্ছিলেন। যেহেতু তার বিরুদ্ধে মামলা আছে, শুধু তাকেই আমরা গ্রেপ্তার করছি। তার পরিবারের লোকদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হচ্ছে।’
সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
রাজধানীর ইস্কাটন এলাকা থেকে শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো খুদেবার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
বার্তায় বলা হয়, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে রাজধানীর ইস্কাটন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
ফরহাদ হোসেন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। এর আগে তিনি এ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।
ফরহাদ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মেহেরপুর-১ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন:ঢাকার আশুলিয়া থানায় হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ছেলে সাফি মোদ্দাসের খান জ্যোতির চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। এর আগে শনিবার ভোরে রাজধানী ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা জেলা পুলিশ।
শনিবার তাকে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক আবু তাহের মিয়া সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম তার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ভুক্তভোগী মো. রবিউল সানি বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় এই মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার ৪ নং এজাহারনামীয় আসামি হলেন সাফি।
এ মামলার উল্লেখযোগ্য অপর আসামিরা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ইউজিসির সাবেক সচিব ড. ফেরদৌস জামান, সাবেক সদস্য ড. মুহাম্মদ আলমগীর, ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র, ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ।
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে বন্ধুর ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
উপজেলার থুমনিয়া শালবনের পাশে একটি ধানক্ষেত থেকে শনিবার সকালে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত রাসেল ইসলাম সদর উপজেলার কাকডোব গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে।
এ ঘটনায় আনিছুরের বন্ধু সাহেদকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় লোকজন।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আনাম ডন।
স্থানীয়দের বরাতে ওসি জানান, বন্ধুকে খুন করে রক্তাক্ত দেহ নিয়ে ঘুরছিলেন সাহেদ। পরে স্থানীয়রা আটক করে গায়ে রক্তের কারণ জানতে চাইলে তিনি খুনের কথা স্বীকার করেন। পরে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে দেয় তাকে।
আটক সাহেদের বরাত দিয়ে থানা পুলিশ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যার পর থুমনিয়া শালবাগানে দুই বন্ধু নেশা করতে আসেন। নেশা করা অবস্থায় তুচ্ছ বিষয় নিয়ে দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে সাহেদ তার বন্ধু রাসেলকে ছুরি দিয়ে পেটে ও গলায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ রাতেই সাহেদকে সঙ্গে নিয়ে মরদেহের সন্ধানে শালবনে যায়। অনেক খোাঁজাখুজির পরও মরদেহ না পেয়ে ফিরে আসে পুলিশ।
এক কৃষক শনিবার সকালে শালবনের পাশে ধানক্ষেত পরিচর্যার জন্য গিয়ে মরদেহের সন্ধান পায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ধানক্ষেত থেকে রাসেলের মরদেহ উদ্ধার করে।
ওসি খায়রুল আনাম জানান, রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আটক সাহেদকে চিকিৎসার জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ছেলে সাফি মোদাচ্ছের খান জ্যোতিকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানা পুলিশ।
আশুলিয়া থানার একটি মামলায় শুক্রবার রাতে রাজধানী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঢাকার পুলিশ সুপার (এসপি) আহম্মদ মুঈদ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এসপি বলেন, ‘গতকাল (শুক্রবার) রাতে অভিযান চালিয়ে ঢাকার উত্তরা থেকে জ্যোতিকে আটক করা হয়। আশুলিয়া থানার হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
‘জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।’
মন্তব্য