× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The situation in Chittagongs two constituencies is hot and there is fear of widespread violence
google_news print-icon

চট্টগ্রামের দুই আসনের পরিস্থিতি উত্তপ্ত, সহিংসতার আশঙ্কা

চট্টগ্রামের-দুই-আসনের-পরিস্থিতি-উত্তপ্ত-সহিংসতার-আশঙ্কা
ফাইল ছবি
‘প্রার্থীরা নির্বাচনি সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় না রাখলে ৩ থেকে সাড়ে ৪ লাখ ভোটারের এত বিশাল নির্বাচনি এলাকায় শুধু আমরা পুলিশ কিংবা ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখা সম্ভাব নয়’ উল্লেখ করে এসপি এস এম শফিউল্লাহ বলেন, ‘আমাদের একটি থানায় ৩০ থেকে ৪০ জন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। তাদেরকে থানার নিরাপত্তার বিষয়টি দেখতে হয়, নিয়মিত অপরাধীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাতে হয়, আবার নির্বাচনি এলাকার পরিবেশও ঠিক রাখার জন্যও কাজ করতে হচ্ছে।’

চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনের মধ্যে দুটি আসনের পরিস্থিতি সংঘাতময় হয়ে উঠেছে। এখানে প্রতিনিয়তই হামলা, সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষণসহ নানা অঘটন ঘটছে। আসনগুলো হচ্ছে- চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) এবং চট্টগ্রাম-১৪ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া)। এ দুই আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এবং আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে দফায়-দফায় সংঘর্ষ-ভাঙচুরের ঘটনায় নির্বাচনি পরিবেশ সহিংস হয়ে উঠেছে।

চট্টগ্রাম-১৫

বুধবার রাতে চট্টগ্রাম-১৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল মোতালেবের সমর্থক এক চেয়ারম্যানের বাড়িতে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। পশ্চিম ঢেমশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিদোয়ানুল ইসলাম সুমনের বাড়ি ইছামতি আলীনগরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

এ সময় দুর্বৃত্তরা স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ মোতালেবের প্রচারকাজে নিয়োজিত একটি ভক্সি মাইক্রোবাস, একটি ড্যাম্পার পিকআপ, পুলিশ পরিবহনে নিয়োজিত একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ ২টি অটোরিকশা ও নির্বাচনি কার্যালয় ভাঙচুর করে।

ইউপি চেয়ারম্যান ও তার পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, ‘আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর সমর্থকদের নেতৃত্ব গুলিবর্ষণ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সে সময় ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টহল দল উপস্থিত ছিল। তাদের অটোরিকশাটিকেও ছাড় দেয়নি দুর্বৃত্তরা।

ওই ঘটনার পরের দিন (বৃহস্পতিবার) নৌকার প্রার্থী নদভীর স্ত্রী রিজিয়া রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে নির্বাচনি প্রচার চলাকালে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নদভীর শ্যালক চরতি ইউপি চেয়ারম্যান মো. রুহুল্লাহ চৌধুরীসহ তার অন্তত ১৫ জন কর্মী-সমর্থক আহত হন।

বৃহস্পতিবার রাতে চরতি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাটাখালী ব্রিজ এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনার পর নদভীর অভিযোগ, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ মোতালেবের নির্দেশে এবং সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে আমার নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।’

ঘটনার পর সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন বিশ্বাস, সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শিবলী নোমান ও থানার ওসি প্রিটন সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

রিদুয়ানুল ইসলাম সুমন ওপর ক্ষোভ ঝেড়ে নিউজবাংলাকে নদভী বলেন, ‘তিনি একজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। আমার ওপরও তিনি একাধিকবার হামলার চেষ্টা করেছেন। বুধবারের গুলি ও ভাঙচুরের ঘটনাটি রিদুয়ানের সাজানো নাটক।’

অন্যদিকে, স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ মোতালেবের দাবি, ‘ভোটারদের মধ্যে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে আবু রেজা নদভীর এসব ঘটনা ঘটাচ্ছেন। আমি প্রশাসনকে অনুরোধ করব, নদভী ও তার সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।’

সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শিবলী নোমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল থেকে কিছু আলামত সংগ্রহ করেছি। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ ও স্থানীয় কিছু মানুষের মোবাইলের কল লিস্ট পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। যদিও এখনও কেউ কোনো ধরনের অভিযোগ করেনি।’

তবে ঘটনার সময় পুলিশের টহল দলের উপস্থিতি এবং তাদের নীরব ভূমিকা পালনের অভিযোগের ব্যাপারটি কৌশলে এড়িয়ে যান তিনি। বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’

চট্টগ্রাম-১২

এদিকে, গত কয়েকদিন ধরে পটিয়া অঞ্চলের পরিস্থিতিও উত্তপ্ত রয়েছে। প্রতিনিয়তই হামলা, ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান এমপি হুইপ শামসুল হক চৌধুরীর সমর্থকদের মধ্যে এসব ঘটনা ঘটছে।

বুধবার কাশিয়াইসে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তার সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছনহরা ইউনিয়নে ফের হামলার ঘটনা ঘটে। এসব হামলা নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ করে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছেন দুই প্রার্থী।

ছনহরা ইউনিয়নের আলমদর পাড়া এলাকায় বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর নির্বাচনি ক্যাম্প ও প্রচারের মাইক ভাঙচুর এবং চালককে মারধরের অভিযোগ ওঠে।

উপজেলার কোলাগাঁওয়ের নলন্দায় স্বতন্ত্র ‘ঈগল’ প্রতীকের প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরী গণসংযোগকালে নৌকার সমর্থকরা প্রচারণায় বিঘ্ন ঘটিয়ে উস্কানিমূলক স্লোগান দেয় বলে সাংবাদিকদের জানান স্বতন্ত্র প্রার্থী হুইপ সামশুল হকের নির্বাচন সমন্বয়কারী নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, পটিয়ার বিভিন্ন জায়গায় নৌকার কর্মী-সমর্থকরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্যাম্প ও গাড়ি ভাঙচুর অব্যাহত রেখেছে। আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ঘোষণাকে পটিয়ায় প্রশ্নবিদ্ধ করছেন নৌকার প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকরা।’

তিনি বলেন, ‘সড়কের পাশে রশি দিয়ে গাছের সঙ্গে টাঙানো আমাদের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। এ সময় ক্যাম্পের পাশে ঈগল সমর্থক আবছার উদ্দিনের বাড়িতে বাইরে থেকে টিনের বেড়া ও দরজায় রামদা ও লাঠি দিয়ে একের পর এক আঘাত করে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়।’

তবে এ বিষয়টিকে বরাবরের মতই অস্বীকার করে নৌকার প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘এগুলো আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ছাড়া কিছুই নয়। নৌকার কেউ এ ধরনের কাজে জড়িত নয়।’

অথচ, নৌকার প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর পক্ষের লোকজনই ওই ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ করেন ছনহরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও ঈগলের সমর্থক ওসমান আলমদার।

এ বিষয়ে এলাকার লোকজনের দাবি, ‘আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর গাড়িবহর যাওয়ার আগে আগে ৭০-৮০ নৌকার সমর্থকরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’

ঈগলের সমর্থক ২৬ বছর বয়সী রিয়াদ বলেন, ‘ক্যাম্পের পাশের দোকানে আমি বাজার করতে আসলে কয়েকজন লোক আমাকে মারধর করে।’

এ বিষয়ে পটিয়া থানার ওসি (তদন্ত) সোলাইমান বলেন, ‘কোলাগাঁওয়ে নৌকা পক্ষে মিছিল করেছে শুনেছি। ওখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হকেরও গণসংযোগ চলছিল। তাই আমরা কালারপোল পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যদের এলাকার আশপাশে থাকতে বলেছি। তবে ছনহরায় ক্যাম্প ভাঙচুর ও হামলার বিষয়ে এখনও মৌখিক বা লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি।’

চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ আজাদীকে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রতিটি সংসদীয় আসনভিত্তিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া আছে। তবে পটিয়া, সাতকানিয়া-লোহাগাড়া এবং বাঁশখালীর দিকে আমরা বিশেষ দৃষ্টি রাখছি। এর মধ্যে এই তিনটি আসনে কিছু কিছু ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোর ব্যাপারে মামলা হয়েছে। আমরা আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছি।

‘পটিয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। সাতকানিয়ার ঘটনায়ও মামলা হয়েছে। আসামিও গ্রেপ্তার করেছি। বাঁশখালীর ঘটনায়ও মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ কাউকে নষ্ট করতে দেয়া হবে না। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্টকারীদের ছাড় দেয়া হবে না।’

‘প্রার্থীরা নির্বাচনি সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় না রাখলে ৩ থেকে সাড়ে ৪ লাখ ভোটারের এত বিশাল নির্বাচনি এলাকায় শুধু আমরা পুলিশ কিংবা ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখা সম্ভাব নয়’ উল্লেখ করে এসপি এস এম শফিউল্লাহ বলেন, ‘আমাদের একটি থানায় ৩০ থেকে ৪০ জন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। তাদেরকে থানার নিরাপত্তার বিষয়টি দেখতে হয়, নিয়মিত অপরাধীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাতে হয়, আবার নির্বাচনি এলাকার পরিবেশও ঠিক রাখার জন্যও কাজ করতে হচ্ছে। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে প্র্রার্থীদের বড় একটি ভূমিকা রয়েছে। তাদেরকে অবশ্যই আচরণবিধি মেনে চলতে হবে।’

এদিকে, আগামী ২৫ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম যাচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলম। পরদিন ২৬ ডিসেম্বর সকালে এলজিইডি মিলনায়তনে চট্টগ্রামের-১৬ আসনের ১২২ প্রার্থীর সঙ্গে মতবিনিময় সভা করবেন সিইসি। এরপর দুপুর ১২টায় পিটিআই মিলনায়তনে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা আঞ্চলের সকল জেলার প্রশাসনের কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করার কথা রয়েছে তার।

আরও পড়ুন:
‘গলা নামিয়ে দেয়ার’ হুমকি: শাজাহান খানের ছেলে আসিবুরকে শোকজ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

কথাকাটাকাটির জেরে গুলিতে আহত ভাই, বোন

কথাকাটাকাটির জেরে গুলিতে আহত ভাই, বোন ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগ এলাকা। ফাইল ছবি
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (পরিদর্শক) মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ‘আজ ভোরের দিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ভাই-বোনকে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসা হয়েছে। জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।’

রাজধানীর পল্লবীতে শনিবার ভোরে কথাকাটাকাটির জেরে গুলিতে মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন ও শাহিনুর বেগম নামের দুই সহোদর আহত হয়েছেন।

তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা তাদের ভগ্নিপতি আমির হোসেন বলেন, ‘আমার শ্যালক জসিম টিভি শোরুমের ব্যবসায়ী। আজ ভোরের দিকে শবে বরাতের নামাজ পড়ে বাসায় ফেরার সময় বাসার সামনে আমাদের এলাকার কয়েকজন ছেলে শরিফ, তুহিন, শহিদুল, সুজন, রিয়াজের সঙ্গে জসিমের কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে জসিমকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে শহিদুল। এতে জসিমের দুই পায়ের হাঁটুর ওপর দুটি গুলি বিদ্ধ হয়।

‘এ দৃশ্য দেখে তার বোন শাহিনুর বেগম এগিয়ে আসলে শাহিনুর বেগমের ডান পায়ের হাঁটুর নিচে একটি গুলি বিদ্ধ হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে। দুইজনকে ওই অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোরের দিকে তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে।’

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (পরিদর্শক) মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ‘আজ ভোরের দিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ভাই-বোনকে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসা হয়েছে। জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The Awami League demanded the ban on the custody of Islam

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি হেফাজতে ইসলামের

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি হেফাজতে ইসলামের হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের লোগো। ছবি: বাসস
বিবৃতিতে হেফাজত নেতাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‌‘জাতিসংঘের ফ্যাক্টচেকিং মিশনের দীর্ঘ অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দোসরদের ভয়াবহ মানবতাবিরোধী অপরাধগুলো তথ্য-প্রমাণসহ উঠে এসেছে। হাসিনার পরিকল্পনা ও নির্দেশে তার আজ্ঞাবাহী বাহিনীর সদস্যরা গুম, খুন ও নির্যাতনে নৃশংসতার সকল সীমা ছাড়িয়েছে।’

জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

সংগঠনটির আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান শুক্রবার দেওয়া বিবৃতিতে এ দাবি জানান।

বিবৃতিতে হেফাজতের নেতাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‌‘জাতিসংঘের ফ্যাক্টচেকিং মিশনের দীর্ঘ অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দোসরদের ভয়াবহ মানবতাবিরোধী অপরাধগুলো তথ্য-প্রমাণসহ উঠে এসেছে। হাসিনার পরিকল্পনা ও নির্দেশে তার আজ্ঞাবাহী বাহিনীর সদস্যরা গুম, খুন ও নির্যাতনে নৃশংসতার সকল সীমা ছাড়িয়েছে।’

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড, গুম-খুন, ৫ মে শাপলা চত্বর ও চব্বিশের গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। তা না হলে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ সরকার ও জনগণকে এক মুহূর্তও শান্তিতে থাকতে দেবে নাৎ।

‘তারা একের পর এক স্যাবোট্যাজ ঘটিয়ে ছাত্র নেতৃত্ব ও তৌহিদি জনতাকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। কালচারাল ঘরানার ফ্যাসিবাদপন্থি আওয়ামী লোকজন আবারও মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে। গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষগুলোর মধ্যে তারা বিভেদ-বিভক্তি ছড়িয়ে দিতে তৎপর।’

এতে আরও বলা হয়, ‘ভারত এখনও শত্রু রাষ্ট্রের মতো আচরণ করছে। হাসিনা পরবর্তী নতুন বাংলাদেশকে এখনও তারা মেনে নিতে পারছে না; বরং তাদের আশ্রয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে একের পর এক ষড়যন্ত্র করার সুযোগ দিয়ে যাচ্ছে। তাই গুম-খুন ও গণহত্যার দায়ে হাসিনার বিচার কাজ ত্বরান্বিত করতে হবে।

‘সেই সাথে বিভিন্ন বাহিনীতে তাদের অনুগত চিহ্নিত দোসরদেরও দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। তবেই গণ-অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-জনতার জুলাই বিপ্লব সুরক্ষিত হবে বলে আমরা মনে করি।’

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশে সরকার পতনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা ছিল না: ট্রাম্প
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে পদক্ষেপ শিগগিরই: উপদেষ্টা আসিফ
ডিবি হেফাজতে অভিনেত্রী শাওন
পুলিশের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নেওয়া আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
আওয়ামী লীগ ক্ষমা না চাইলে কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হবে না: প্রেস সচিব

মন্তব্য

বাংলাদেশ
People will not forgive if Sheikh Hasina does not face trial Dr Yunus

শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি না করলে জনগণ ক্ষমা করবে না: ড. ইউনূস

শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি না করলে জনগণ ক্ষমা করবে না: ড. ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: বাসস
ড. ইউনূস বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছি এবং আশা করছি এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। এটি অবশ্যই করা হবে, অন্যথায় জনগণ আমাদের ক্ষমা করবে না।’

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি বলেন, ‘যদি তাদের অপরাধের বিচার না করা হয়, তাহলে দেশের মানুষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ক্ষমা করবে না।’

সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রীয় ইংরেজি দৈনিক পত্রিকা দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই কথা বলেন।

দুবাইয়ের ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টস সামিটের (ডব্লিউজিএস) এক ফাঁকে অধ্যাপক ইউনূস এ সাক্ষাৎকার দেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা তাকে (হাসিনা) বিচারের আওতায় আনব। এটি অবশ্যই করা হবে। অন্যথায় জনগণ আমাদের ক্ষমা করবে না।’

তিনি উল্লেখ করেন, ‘ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের খুঁজে বের করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে এবং আইনের মুখোমুখি করা হবে।’

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশত্যাগ করেন। এর মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার টানা ১৫ বছরের একদলীয় শাসনের অবসান হয়। এরপর গত বছরের ৮ আগস্ট নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী অধ্যাপক ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন।

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন পুলিশ ও শেখ হাসিনার দলের লোকজন প্রায় ১ হাজার ৪০০ জনকে হত্যা করে এবং আহত করে ১১ হাজার জনকে।

ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গিয়ে এখনও সেখানে অবস্থান করছেন।

হাসিনার প্রত্যর্পণ প্রসঙ্গে ভারতকে নোটিশ

প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস দ্য ন্যাশনাল পত্রিকার ওই সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, ‘আমরা ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছি, শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে অপরাধ সংগঠিত হওয়ার বিপুল পরিমাণ প্রমাণ আছে, যার মধ্যে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টও অন্তর্ভুক্ত।

‘জাতিসংঘ এটিকে নথিভুক্ত করেছে এবং আমাদের কাছে শেখ হাসিনা, তার সরকার এবং ঘনিষ্ঠ সমর্থকদের অপরাধের প্রচুর প্রমাণ রয়েছে।’

ড. ইউনূস বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছি এবং আশা করছি এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। এটি অবশ্যই করা হবে, অন্যথায় জনগণ আমাদের ক্ষমা করবে না।’

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশে স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা চালু করতে মাস্ক-ইউনূস আলোচনা
ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটে যোগ দিতে দুবাইয়ে প্রধান উপদেষ্টা
ড. ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন
প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে: প্রেস সচিব
ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ শক্তভাবে প্রতিহত করা হবে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Infant of July coup UNICEF wants protection and accountability

জুলাই অভ্যুত্থানে শিশুমৃত্যু: সুরক্ষা ও জবাবদিহি চায় ইউনিসেফ

জুলাই অভ্যুত্থানে শিশুমৃত্যু: সুরক্ষা ও জবাবদিহি চায় ইউনিসেফ বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স। ফাইল ছবি/ইউনিসেফ
বাংলাদেশের শিশুদের সঙ্গে আর কখনোই যেন এমনটি না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে দেশের সব মানুষের কাছে আহ্বান জানিয়েছে ইউনিসেফ।

গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন প্রকাশের পর এটিকে ‌হৃদয়বিদারক বলে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক অঙ্গ সংস্থা ইউনিসেফ।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক অফিসের প্রতিবেদনটির বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে যে ১ হাজার ৪০০ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে শতাধিক শিশু ছিল। ইউনিসেফ এসব মৃত্যুর অনেকের বিষয়ে ইতোমধ্যে রিপোর্ট করেছে এবং মোট কত শিশু নিহত বা আহত হয়েছে, তা স্পষ্ট করার জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা তাদের প্রত্যেকের জন্য শোক প্রকাশ করছি।’

অভ্যুত্থানে নারী ও শিশুদের ওপর সহিংসতার চিত্রও তুলে ধরেন তিনি। তার ভাষ্য, ‘এ সময় নারীদের বিক্ষোভে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখার জন্য শারীরিক নির্যাতন ও ধর্ষণের হুমকিসহ নানা ধরনের জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতার ঘটনার নথি পাওয়া গেছে।

‘শিশুরাও এই সহিংসতা থেকে রেহাই পায়নি; তাদের অনেককে হত্যা করা হয়, পঙ্গু করে দেওয়া হয়, নির্বিচারে গ্রেপ্তার করা হয়, অমানবিক অবস্থায় আটক করে রাখা হয় এবং নির্যাতন করা হয়।’

বিবৃতিতে শিশুদের ওপর সহিংসতার তিনটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন ফ্লাওয়ার্স।

তিনি বলেন, ‘একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে ধানমণ্ডিতে, যেখানে ২০০টি ধাতব গুলি ছোড়ার কারণে ১২ বছর বয়সী এক বিক্ষোভকারী অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের ফলে মারা যায়। আরেকটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে নারায়ণগঞ্জে, সেখানে ছয় বছর বয়সী এক কন্যাশিশু তার বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে সংঘর্ষ প্রত্যক্ষ করার সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়।

‘এই বিক্ষোভের সবচেয়ে ভয়ংকর দিন ৫ আগস্ট পুলিশের গুলি চালানোর বর্ণনা দিয়ে আজমপুরের ১২ বছর বয়সী একটি ছেলে বলে, সব জায়গায় বৃষ্টিপাতের মতো গুলি চলছিল। সে অন্তত এক ডজন মৃতদেহ দেখতে পেয়েছিল সেদিন।’

তিনি বলেন, ‘এই ঘটনাগুলো অবশ্যই আমাদের সবাইকে আতঙ্কিত করে তুলছে।’

বাংলাদেশের শিশুদের সঙ্গে আর কখনোই যেন এমনটি না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে দেশের সব মানুষের কাছে আহ্বান জানিয়েছে ইউনিসেফ।

প্রাপ্ত এসব ফলাফলের আলোকে এবং এই মর্মান্তিক ঘটনা-বিষয়ক ইউনিসেফের আগের বিবৃতিগুলোর জের ধরে বাংলাদেশের সমস্ত নীতিনির্ধারক, গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও কর্মকর্তাদের বাংলাদেশের শিশু, যুবসমাজ ও পরিবারগুলোকে শারীরিক ও মানসিক ক্ষত সারিয়ে ওঠার পাশাপাশি আশা সঞ্চার করে তাদের এগিয়ে যেতে সহায়তা করতে আহ্বান জানিয়েছে ইউনিসেফ।

এ জন্য তিনটি বিশেষ ক্ষেত্রে জরুরিভাবে কাজ করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক অঙ্গ সংস্থাটি।

প্রথমত, যেসব শিশু প্রাণ হারিয়েছে, তাদের ও তাদের শোকাহত পরিবারের জন্য জবাবদিহি নিশ্চিত করা এবং প্রয়োজনীয় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

দ্বিতীয়ত, যারা এখনও আটক অবস্থায় আছে এবং যাদের জীবন কোনো না কোনোভাবে এই ঘটনাগুলোর দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে, তাদের সবার জন্য পুনর্বাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একজোট হওয়া।

তৃতীয়ত ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, এ সময়টাকে ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য সার্বিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। সব রাজনৈতিক নেতা, দল ও নীতিনির্ধারকদের পুলিশ ও বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য একজোট হতে হবে, যাতে বাংলাদেশের কোনো শিশুকে আর কখনও এমন বিচার-বহির্ভূতভাবে ও যথাযথ প্রক্রিয়ার অভাবে আটক থাকতে না হয়। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে গিয়ে, যা তাদের অধিকার, তাদের যেন নির্যাতন ও সহিংসতার শিকার হতে না হয়। আর এভাবে বাংলাদেশের শিশুদের সুরক্ষা, মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের অধিকার সমুন্নত রাখা সম্ভব।

আরও পড়ুন:
অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া শুরু
শাহবাগ মোড় অবরোধ, বিচার ও পুনর্বাসনের দাবি শহিদ পরিবারের স্বজনদের
কিডস টাইম ফেয়ার: গান-গল্পে শিশুদের মন জিতে নিল শক্তি মাসকট লায়ন
জুলাই অভ্যুত্থানকালীন মানবাধিকার লঙ্ঘন: জাতিসংঘ মিশনের প্রতিবেদন মধ্য ফেব্রুয়ারিতে
অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা বাবদ ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ সরকারের

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Father suicide after killing two children in Habiganj Police

হবিগঞ্জে দুই সন্তানকে বিষ পান করিয়ে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা: পুলিশ

হবিগঞ্জে দুই সন্তানকে বিষ পান করিয়ে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা: পুলিশ হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানা ভবন। ছবি: ওমর ফারুক
চুনারুঘাট থানার ওসি মোহাম্মদ নূর আলম জানান, পারিবারিক কলহের জেরে আবদুর রউফ সন্তানদের বিষ পান করানোর পর নিজেও বিষ পানে আত্মহত্যা করেন।

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে দুই সন্তানকে বিষ পান করিয়ে হত্যার পর বাবা একই উপায়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

চুনারুঘাটের আতিকপুর গ্রামে শুক্রবার ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে।

ওই তিনজন হলেন চুনারুঘাট উপজেলার আতিকপুর গ্রামের আবদুর রউফ (৩২) এবং তার দুই সন্তান আয়েশা আক্তার (৩) ও খাদিজা আক্তার (৫)।

হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, আবদুর রউফ বিদেশে যাওয়ার জন্য স্থানীয় এক দালালের কাছে টাকা দিলেও বিষয়টি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। এ নিয়ে সম্প্রতি তার স্ত্রী হাফসার সঙ্গে ঝগড়া হয়। এর জেরে দুই দিন আগে হাফসা দুই শিশু সন্তানকে রেখে এক বছরের অপর শিশুকে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যান।

পুলিশ আরও জানায়, পারিবারিক বিষয় নিয়ে ক্ষোভ ও অভিমানে আবদুর রউফ শুক্রবার ভোররাতে প্রথমে তার দুই সন্তানকে বিষ পান করিয়ে নিজে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। বিষয়টি টের পেয়ে পরিবারের লোকজন তাদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক প্রথমে দুই সন্তান ও পরে আবদুর রউফকে মৃত বলে জানান।

খবর পেয়ে হবিগঞ্জ সদর থানা পুলিশ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নূর আলম জানান, পারিবারিক কলহের জেরে আবদুর রউফ সন্তানদের বিষ পান করানোর পর নিজেও বিষ পানে আত্মহত্যা করেন।

আরও পড়ুন:
হবিগঞ্জে আকিজের কারখানায় গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে নিহত ৪
সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত ছবি ছড়ানোর অভিযোগ, বিষপানে আত্মহত্যা
হবিগঞ্জে মা-মেয়ে হত্যায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড
ভিডিও কলে নববধূর, পরে প্রবাসী প্রেমিকের আত্মহত্যা: পুলিশ
লাখাইয়ে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Chief prosecutors commentary

চিফ প্রসিকিউটরের ভাষ্যে গোপন বন্দিশালার নির্মমতা

চিফ প্রসিকিউটরের ভাষ্যে গোপন বন্দিশালার নির্মমতা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। ছবি: বাসস
গোপন বন্দিশালার আলামত নষ্টের বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘অনেক আলামত আমরা জব্দ করেছি। তবে আমরা দেখেছি গোপন বন্দিশালা বা নির্যাতন কেন্দ্রগুলোর ব্যাপক আলামত নষ্ট করা হয়েছে।’

একজন মানুষকে পৈশাচিকভাবে কতটা নির্মম নির্যাতন করা যায়, তা গোপন বন্দিশালাগুলো পরিদর্শন না করলে বিশ্বাস করাটা কঠিন ছিল বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আয়নাঘর হিসেবে পরিচিত পাওয়া গোপন বন্দিশালা পরিদর্শনের ভয়াবহ বর্ণনা দিয়ে বৃহস্পতিবার নিজ কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গতকাল (বুধবার) তিনটি গোপন বন্দিশালা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। গুম কমিশন, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সাংবাদিক, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সমন্বয়কসহ আমি (চিফ প্রসিকিউটর) বন্দিশালাগুলো পরিদর্শন করেছি এবং বীভৎসতার চিত্র আমরা দেখেছি।

‘সেখানে ইলেক্ট্রনিক শক দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল। বন্দিদের চোখ বেঁধে রাখা হতো। তিন ফিট বাই তিন ফিট এবং দুই ফিট বাই দুই ফিট অমানবিক সব সেল। একটা মানুষকে পৈশাচিকভাবে কতটা নির্মম নির্যাতন করা যায়, তা গোপন বন্দিশালাগুলো পরিদর্শন না করলে মানুষের পক্ষে এগুলো বিশ্বাস করাটাই কঠিন ছিল।’

গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার পদ্ধতিগতভাবে ভিন্নমত দমন করার জন্য নির্যাতন ও গোপন হত্যাকে যে সংস্কৃতিতে পরিণত করেছিল, সেটি উন্মোচিত হয়েছে উল্লেখ করে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন,‘যারা এই নির্যাতন বা নির্যাতন কেন্দ্রগুলোর সাথে সম্পৃক্ত, আমরা তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে চাই।’

মায়ের সঙ্গে এক মেয়ের বন্দিদশার কথা তুলে ধরে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘একটা ১১ বছরের মেয়েকে তার মাসহ তুলে নেওয়া হয়েছিল। মেয়েটির সামনে মাকে হাতকড়া দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। মেয়েটির মা মোটা ছিল বলে হাতকড়া কেটে তার শরীরের মধ্যে বসে গিয়েছিল। ১১ বছরের মেয়েটাকে পাশেই চোখ বেঁধে রাখা হতো। বাথরুম করার সময়ও মেয়েটির মায়ের হাতকড়া খুলে দেওয়া হতো না।

‘১১ বছরের মেয়েসহ একজন নারী রেহাই পায়নি। পুরুষ সদস্যরা নির্যাতন করেছে। এমনকি মেয়েটির মা আজও ফিরে আসেনি। আমরা ধারণা করছি, হয়তো তাকে হত্যা করে তার লাশ কোথাও ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) ১১ বছরের মেয়েটি কিন্তু চিহ্নিত করতে পেরেছে কোথায় তাদের রাখা হয়েছিল, নির্যাতন করা হয়েছিল।’

গোপন বন্দিশালার আলামত নষ্টের বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘অনেক আলামত আমরা জব্দ করেছি। তবে আমরা দেখেছি গোপন বন্দিশালা বা নির্যাতন কেন্দ্রগুলোর ব্যাপক আলামত নষ্ট করা হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
জুলাই গণহত্যার ‘টপ কমান্ডার’দের বিচার এক বছরের মধ্যে
আত্মহত্যার চিরকুট লিখে আত্মগোপনে
ধর্ষণ মামলায় ১৮ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার আতঙ্কে চট্টগ্রাম বিএনপির নেতা-কর্মীরা
দ্বিতীয় বিয়ের ক্ষোভে স্বামীর গোপনাঙ্গ কাটলেন প্রথম স্ত্রী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Shahbag blockade recommended teachers

শাহবাগ অবরোধ সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের, জলকামান ও লাঠিচার্জ পুলিশের

শাহবাগ অবরোধ সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের, জলকামান ও লাঠিচার্জ পুলিশের রাজধানীর শাহবাগে বৃহস্পতিবার আন্দোলনকারীদের মুখোমুখি অবস্থানে পুলিশ সদস্যরা। ছবি: নিউজবাংলা
সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার বেলা একটার দিকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। এর কিছুক্ষণ পর লাঠিচার্জ করার পাশাপাশি জলকামান ছিটানো হলে সোয়া দুইটার দিকে তারা মোড় ছেড়ে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেন।

ফের শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ বাতিল হওয়া তৃতীয় ধাপের সুপারিশপ্রাপ্তরা।

তাদের এ অবরোধ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। এর আগেই পুলিশ জলকামান ছিটিয়ে আন্দোলকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেন।

সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার বেলা একটার দিকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। এর কিছুক্ষণ পর লাঠিচার্জ করার পাশাপাশি জলকামান ছিটানো হলে সোয়া দুইটার দিকে তারা মোড় ছেড়ে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেন।

ছত্রভঙ্গ করার সময় কয়েকজন আন্দোলনকারীকে আটক করতে দেখা যায় পুলিশকে। বর্তমানে শাহবাগ মোড় স্বাভাবিক রয়েছে।

এদিকে আন্দোলনকারীরা মোড় ছেড়ে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নিলে সেখানে থেকেও ধাক্কা ও বাঁশি বাজিয়ে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে তাদের সরানো যায়নি। সেখানে দাঁড়িয়েই স্লোগান দিতে দেখা যায় আন্দোলকারী নারীদের।

এর আগে সকাল ৯টা থেকে সুপারিশপ্রাপ্তরা শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে জড়ো হয়ে অবস্থান নেওয়া শুরু করেন।

ওই সময় তারা ‘সুপারিশপ্রাপ্ত করছে কে, এই সরকার এই সরকার’, ‘আমি কে তুমি কে, শিক্ষক শিক্ষক’, ‘প্রথম ধাপ চাকরি করে, আমরা কেন রাজপথে’ ধরনের স্লোগান দেন।

এ ছাড়া তারা ‘হয়তো মোদের যোগদান দিন, নয়তো মোদের জীবন নিন’, ‘হয় নিয়োগ, নয় মৃত্যু’সহ নানা প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

আন্দোলনকারীদের দাবি, তাদের নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে তাদের যোগদান নিশ্চিত করতে হবে। এ দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা তাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করবেন না।

গত ৩১ অক্টোবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া) চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ৬ হাজার ৫৩১ জন।

এরপর কোটা অনুসরণ করে এ ফল প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নিয়োগ বঞ্চিত ৩০ প্রার্থী একটি রিট আবেদন করেন।

পরে গত ৬ ফেব্রুয়ারি এ ছয় হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ বাতিল করে হাইকোর্ট। রায়ে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

সেদিন থেকে আন্দোলন করে আসছেন তৃতীয় ধাপের সুপারিশপ্রাপ্তরা। ফলে এ নিয়ে টানা অষ্টম দিনের মতো আন্দোলন করছেন সুপারিশপ্রাপ্তরা।

তাদের দাবি, হাইকোর্টের এ রায় বাতিল করে তাদের নিয়োগ দিতে হবে।

আরও পড়ুন:
সিআরপি নার্সিং কলেজ শিক্ষার্থীদের ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ
পাঁচ ঘণ্টা পর শাহবাগ মোড় ছাড়লেন ট্রেইনি চিকিৎসকরা, কর্মবিরতি চলবে
ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে ট্রেইনি চিকিৎসকদের শাহবাগ অবরোধ
রেললাইন ছেড়েছেন বিক্ষুব্ধ কর্মীরা, ট্রেন চলাচল শুরু
মেজর আখতারের রোষানলে ফিরতে পারছেন না চাকরিতে, অভিযোগ কলেজশিক্ষকের

মন্তব্য

p
উপরে