× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The situation in Chittagongs two constituencies is hot and there is fear of widespread violence
google_news print-icon

চট্টগ্রামের দুই আসনের পরিস্থিতি উত্তপ্ত, সহিংসতার আশঙ্কা

চট্টগ্রামের-দুই-আসনের-পরিস্থিতি-উত্তপ্ত-সহিংসতার-আশঙ্কা
ফাইল ছবি
‘প্রার্থীরা নির্বাচনি সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় না রাখলে ৩ থেকে সাড়ে ৪ লাখ ভোটারের এত বিশাল নির্বাচনি এলাকায় শুধু আমরা পুলিশ কিংবা ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখা সম্ভাব নয়’ উল্লেখ করে এসপি এস এম শফিউল্লাহ বলেন, ‘আমাদের একটি থানায় ৩০ থেকে ৪০ জন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। তাদেরকে থানার নিরাপত্তার বিষয়টি দেখতে হয়, নিয়মিত অপরাধীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাতে হয়, আবার নির্বাচনি এলাকার পরিবেশও ঠিক রাখার জন্যও কাজ করতে হচ্ছে।’

চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনের মধ্যে দুটি আসনের পরিস্থিতি সংঘাতময় হয়ে উঠেছে। এখানে প্রতিনিয়তই হামলা, সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষণসহ নানা অঘটন ঘটছে। আসনগুলো হচ্ছে- চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) এবং চট্টগ্রাম-১৪ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া)। এ দুই আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এবং আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে দফায়-দফায় সংঘর্ষ-ভাঙচুরের ঘটনায় নির্বাচনি পরিবেশ সহিংস হয়ে উঠেছে।

চট্টগ্রাম-১৫

বুধবার রাতে চট্টগ্রাম-১৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল মোতালেবের সমর্থক এক চেয়ারম্যানের বাড়িতে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। পশ্চিম ঢেমশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিদোয়ানুল ইসলাম সুমনের বাড়ি ইছামতি আলীনগরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

এ সময় দুর্বৃত্তরা স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ মোতালেবের প্রচারকাজে নিয়োজিত একটি ভক্সি মাইক্রোবাস, একটি ড্যাম্পার পিকআপ, পুলিশ পরিবহনে নিয়োজিত একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ ২টি অটোরিকশা ও নির্বাচনি কার্যালয় ভাঙচুর করে।

ইউপি চেয়ারম্যান ও তার পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, ‘আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর সমর্থকদের নেতৃত্ব গুলিবর্ষণ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সে সময় ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টহল দল উপস্থিত ছিল। তাদের অটোরিকশাটিকেও ছাড় দেয়নি দুর্বৃত্তরা।

ওই ঘটনার পরের দিন (বৃহস্পতিবার) নৌকার প্রার্থী নদভীর স্ত্রী রিজিয়া রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে নির্বাচনি প্রচার চলাকালে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নদভীর শ্যালক চরতি ইউপি চেয়ারম্যান মো. রুহুল্লাহ চৌধুরীসহ তার অন্তত ১৫ জন কর্মী-সমর্থক আহত হন।

বৃহস্পতিবার রাতে চরতি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাটাখালী ব্রিজ এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনার পর নদভীর অভিযোগ, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ মোতালেবের নির্দেশে এবং সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে আমার নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।’

ঘটনার পর সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন বিশ্বাস, সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শিবলী নোমান ও থানার ওসি প্রিটন সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

রিদুয়ানুল ইসলাম সুমন ওপর ক্ষোভ ঝেড়ে নিউজবাংলাকে নদভী বলেন, ‘তিনি একজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। আমার ওপরও তিনি একাধিকবার হামলার চেষ্টা করেছেন। বুধবারের গুলি ও ভাঙচুরের ঘটনাটি রিদুয়ানের সাজানো নাটক।’

অন্যদিকে, স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ মোতালেবের দাবি, ‘ভোটারদের মধ্যে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে আবু রেজা নদভীর এসব ঘটনা ঘটাচ্ছেন। আমি প্রশাসনকে অনুরোধ করব, নদভী ও তার সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।’

সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শিবলী নোমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল থেকে কিছু আলামত সংগ্রহ করেছি। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ ও স্থানীয় কিছু মানুষের মোবাইলের কল লিস্ট পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। যদিও এখনও কেউ কোনো ধরনের অভিযোগ করেনি।’

তবে ঘটনার সময় পুলিশের টহল দলের উপস্থিতি এবং তাদের নীরব ভূমিকা পালনের অভিযোগের ব্যাপারটি কৌশলে এড়িয়ে যান তিনি। বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’

চট্টগ্রাম-১২

এদিকে, গত কয়েকদিন ধরে পটিয়া অঞ্চলের পরিস্থিতিও উত্তপ্ত রয়েছে। প্রতিনিয়তই হামলা, ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান এমপি হুইপ শামসুল হক চৌধুরীর সমর্থকদের মধ্যে এসব ঘটনা ঘটছে।

বুধবার কাশিয়াইসে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তার সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছনহরা ইউনিয়নে ফের হামলার ঘটনা ঘটে। এসব হামলা নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ করে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছেন দুই প্রার্থী।

ছনহরা ইউনিয়নের আলমদর পাড়া এলাকায় বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর নির্বাচনি ক্যাম্প ও প্রচারের মাইক ভাঙচুর এবং চালককে মারধরের অভিযোগ ওঠে।

উপজেলার কোলাগাঁওয়ের নলন্দায় স্বতন্ত্র ‘ঈগল’ প্রতীকের প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরী গণসংযোগকালে নৌকার সমর্থকরা প্রচারণায় বিঘ্ন ঘটিয়ে উস্কানিমূলক স্লোগান দেয় বলে সাংবাদিকদের জানান স্বতন্ত্র প্রার্থী হুইপ সামশুল হকের নির্বাচন সমন্বয়কারী নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, পটিয়ার বিভিন্ন জায়গায় নৌকার কর্মী-সমর্থকরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্যাম্প ও গাড়ি ভাঙচুর অব্যাহত রেখেছে। আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ঘোষণাকে পটিয়ায় প্রশ্নবিদ্ধ করছেন নৌকার প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকরা।’

তিনি বলেন, ‘সড়কের পাশে রশি দিয়ে গাছের সঙ্গে টাঙানো আমাদের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। এ সময় ক্যাম্পের পাশে ঈগল সমর্থক আবছার উদ্দিনের বাড়িতে বাইরে থেকে টিনের বেড়া ও দরজায় রামদা ও লাঠি দিয়ে একের পর এক আঘাত করে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়।’

তবে এ বিষয়টিকে বরাবরের মতই অস্বীকার করে নৌকার প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘এগুলো আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ছাড়া কিছুই নয়। নৌকার কেউ এ ধরনের কাজে জড়িত নয়।’

অথচ, নৌকার প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর পক্ষের লোকজনই ওই ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ করেন ছনহরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও ঈগলের সমর্থক ওসমান আলমদার।

এ বিষয়ে এলাকার লোকজনের দাবি, ‘আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর গাড়িবহর যাওয়ার আগে আগে ৭০-৮০ নৌকার সমর্থকরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’

ঈগলের সমর্থক ২৬ বছর বয়সী রিয়াদ বলেন, ‘ক্যাম্পের পাশের দোকানে আমি বাজার করতে আসলে কয়েকজন লোক আমাকে মারধর করে।’

এ বিষয়ে পটিয়া থানার ওসি (তদন্ত) সোলাইমান বলেন, ‘কোলাগাঁওয়ে নৌকা পক্ষে মিছিল করেছে শুনেছি। ওখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হকেরও গণসংযোগ চলছিল। তাই আমরা কালারপোল পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যদের এলাকার আশপাশে থাকতে বলেছি। তবে ছনহরায় ক্যাম্প ভাঙচুর ও হামলার বিষয়ে এখনও মৌখিক বা লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি।’

চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ আজাদীকে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রতিটি সংসদীয় আসনভিত্তিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া আছে। তবে পটিয়া, সাতকানিয়া-লোহাগাড়া এবং বাঁশখালীর দিকে আমরা বিশেষ দৃষ্টি রাখছি। এর মধ্যে এই তিনটি আসনে কিছু কিছু ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোর ব্যাপারে মামলা হয়েছে। আমরা আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছি।

‘পটিয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। সাতকানিয়ার ঘটনায়ও মামলা হয়েছে। আসামিও গ্রেপ্তার করেছি। বাঁশখালীর ঘটনায়ও মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ কাউকে নষ্ট করতে দেয়া হবে না। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্টকারীদের ছাড় দেয়া হবে না।’

‘প্রার্থীরা নির্বাচনি সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় না রাখলে ৩ থেকে সাড়ে ৪ লাখ ভোটারের এত বিশাল নির্বাচনি এলাকায় শুধু আমরা পুলিশ কিংবা ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখা সম্ভাব নয়’ উল্লেখ করে এসপি এস এম শফিউল্লাহ বলেন, ‘আমাদের একটি থানায় ৩০ থেকে ৪০ জন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। তাদেরকে থানার নিরাপত্তার বিষয়টি দেখতে হয়, নিয়মিত অপরাধীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাতে হয়, আবার নির্বাচনি এলাকার পরিবেশও ঠিক রাখার জন্যও কাজ করতে হচ্ছে। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে প্র্রার্থীদের বড় একটি ভূমিকা রয়েছে। তাদেরকে অবশ্যই আচরণবিধি মেনে চলতে হবে।’

এদিকে, আগামী ২৫ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম যাচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলম। পরদিন ২৬ ডিসেম্বর সকালে এলজিইডি মিলনায়তনে চট্টগ্রামের-১৬ আসনের ১২২ প্রার্থীর সঙ্গে মতবিনিময় সভা করবেন সিইসি। এরপর দুপুর ১২টায় পিটিআই মিলনায়তনে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা আঞ্চলের সকল জেলার প্রশাসনের কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করার কথা রয়েছে তার।

আরও পড়ুন:
‘গলা নামিয়ে দেয়ার’ হুমকি: শাজাহান খানের ছেলে আসিবুরকে শোকজ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Corruption at Nuclear Power Center Palaya Limited is banned from departure from 5 people

পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্নীতি : প্রচ্ছায়া লিমিটেডের ৮ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্নীতি : প্রচ্ছায়া লিমিটেডের ৮ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রচ্ছায়া লিমিটেডের আট পরিচালকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

দেশ ত্যাগে যাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে তারা হচ্ছেন: প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক বুশরা সিদ্দিক, শেহতাজ মুন্নাসী খান, শহিদ উদ্দিন খান, শাহিন সিদ্দিক, শফিক আহমেদ শফিক, পারিজা পাইনাজ খান, নওরিন তাসমিয়া সিদ্দিক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারজানা আনজুম।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এই আদেশ দেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা ও তাঁর ছোট বোনের মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকী ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের নামে প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ সংক্রান্ত অভিযোগ অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সাত সদস্য বিশিষ্ট অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।

প্রচ্ছায়া লিমিটেড নামীয় প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারহোল্ডারগণ যাতে সপরিবারে গোপনে দেশ ত্যাগ করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনি দেশত্যাগ করে বিদেশে পালিয়ে গেলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডপত্র প্রাপ্তিতে ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে। তাছাড়া সার্বিক অনুসন্ধানকাজে বিঘ্ন সৃষ্টিসহ সমূহ ক্ষতির কারণ রয়েছে। এজন্য অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ যাত্রা রোধে আদালতের আদেশ দেয়া একান্ত প্রয়োজন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

মন্তব্য

তন্ময়সহ শেখ পরিবারের চারজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

তন্ময়সহ শেখ পরিবারের চারজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা শেখ তন্ময়। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়, খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দিন, তার ভাই শেখ সোহেল ও শেখ জালাল উদ্দিন রুবেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিন দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, বিগত সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অকল্পনীয় অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট এই ব্যক্তিরা তাদের নামে অবৈধভাবে অর্জিত সম্পত্তি হস্তান্তর করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন মর্মে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়।

তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে তদন্ত কার্যক্রম দীর্ঘায়িত বা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অভিযোগটি সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া একান্ত প্রয়োজন।

শুনানি শেষে আদালত তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Former DB chief Aarons flat and plot seizure order

সাবেক ডিবি প্রধান হারুনের ফ্ল্যাট ও প্লট জব্দের আদেশ

সাবেক ডিবি প্রধান হারুনের ফ্ল্যাট ও প্লট জব্দের আদেশ

সাবেক ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের নামে রাজধানীর উত্তরায় থাকা একটি ফ্ল্যাট ও মোট ১৮ কাঠার তিনটি প্লট জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

দুদকের আবেদন সূত্রে জানা যায়, হারুনের নামে থাকা পৃথক তিনটি প্লট রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত। এছাড়াও জব্দের আদেশ দেয়া ১৫৭০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটটিও উত্তরার ১০ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত।

এদিন হারুনের এসব সম্পদ জব্দের আবেদন করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন।

আবেদনে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে সাবেক ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে শত শত কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে।

অনুসন্ধান চলাকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, তিনি এসব সম্পদ বিক্রয় বা হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন। এজন্য সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে হারুনের এসব সম্পদ জব্দের আদেশ দেয়া প্রয়োজন।

এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি হারুন অর রশিদের ১০০ বিঘা জমি, পাঁচটি ভবন ও দুটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে তার নামে বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি হিসাবে থাকা ১ কোটি ২৬ লাখ ৯০ হাজার ৪৬৮ টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দেয়া হয়।

পাশাপাশি এদিনই তার ভাই এবিএম শাহরিয়ারের ৩০ বিঘা জমি জব্দ, ১১টি ব্যাংক হিসাব এবং তিনটি কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দেন ঢাকার আদালত।

মন্তব্য

পারভেজ হত্যার এজহারনামীয় আরও ২ আসামি গ্রেপ্তার

এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার ৬
পারভেজ হত্যার এজহারনামীয় আরও ২ আসামি গ্রেপ্তার

রাজধানীর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলার এজহারনামীয় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বুধবার তাদের গাইবান্ধা ও চট্টগ্রাম থেকে পৃথক অভিযানে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব ও পুলিশ।

এর মধ্যে এজাহারনামীয় ১ নম্বর আসামি মো. মেহেরাজ ইসলামকে (২০) গাইবান্ধা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১৩ এবং ৩ নম্বর আসামি মাহাথির হাসানকে (২০) চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে বনানী থানা পুলিশ।

বিকেলে র‌্যাব সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মেহরাজ ইসলামকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এছাড়া বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাসেল সারওয়ার মাহাথির হাসানের গ্রেপ্তারের বিষয়িটি দৈনিক বাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।

র‌্যাব-১৩ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) বিপ্লব কুমার গোস্বামী জানান, তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যে জনা যায়, পাভেজ হত্যা মামলার এজহারনামীয় ১ নম্বর আসামি মেহেরাজ ইসলাম গাইবান্ধায় অবস্থান করছে। পরে গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে গাইবান্ধা সদরের ভবানীপুর গ্রামে অভিযান চলানো হয়। অভিযানে এরশাদ হোসেন নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে মেহরাজ ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে বনানী থানার ওসি মো. রাসেল সারওয়ার দৈনিক বাংলাকে বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যে পারভেজ হত্যা মামলার ৩ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি মাহাথির হাসানের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরে গতকাল সকালে চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে বনানী থানায় আনা হয়েছে।

এর আগে গত রোববার রাতে পারভেজ হত্যা মামলায় তিন আসামিকে রাজধানীর মহাখালী ও আশপাশের এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা হলেন- আল কামাল শেখ ওরফে কামাল (১৯), আলভী হোসেন জুনায়েদ (১৯) এবং আল আমিন সানি (১৯)। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া গত সোমবার রাতে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মনাইরকান্দি গ্রাম থেকে হৃদয় মিয়াজি (২৩) নামে মামলার এজহারনামীয় আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব ১ ও র‌্যাব-১১ ব্যাটালিয়নের যৌথ দল। পরে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তাকে বনানী থানায় হস্তান্তর করা হয়। সব মিলিয়ে পারভেজ হত্যা মামলায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে একটি দোকানে ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের দুই ছাত্রী সিঙ্গারা খাচ্ছিলেন। একই সময় পারভেজ তার বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলার সময় হাসছিলেন। ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের দুই ছাত্রীর অভিযোগ পারভেজ তাদের দেখে হাসছিলেন। তাদের মধ্যে একজন প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী পিয়াসের বান্ধবী। পরে বান্ধবীরা মুঠোফোনে খবর দিলে পিয়াস ও তার দুই বন্ধু মেহরাজ ও মাহথির এসে পারভেজের সঙ্গে তর্ক-বিতর্কে জড়ান। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়।

একপর্যায়ে দুই পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি মীমাংসার করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার পর পারভেজকে একদল যুবক ছুরিকাঘাত করে। তার বুকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পরদিন রোববার তার ভাই হুমায়ুন কবির প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বহিরাগতসহ আট জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত পরিচয় ২৫-৩০ জনের বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Arrested across the country in a special police operation

পুলিশের বিশেষ অভিযানে সারাদেশে গ্রেপ্তার ১৬১০

পুলিশের বিশেষ অভিযানে সারাদেশে গ্রেপ্তার ১৬১০

রাজধানীসহ সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গত ২৪ ঘন্টায় ১ হাজার ৬১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত ৯০৬ জন আসামি এবং অন্যান্য ঘটনায় ৭০৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, এসব অভিযানে বিভিন্ন ধরণের অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- ১টি দেশীয় পাইপগান, ১টি একনালা বন্দুক, ১ রাউন্ড কার্তুজের খোসা ও ২ রাউন্ড অকেজো কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে গত সোমবার ২৪ ঘন্টায় সারাদেশে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ১ হাজার ৬৩১ জনকে। তার মধ্যে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত ১ হাজার ১৩ জন আসামি এবং অন্যান্য ঘটনায় ৬১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তার আগে গত রোববার ২৪ ঘণ্টায় বিশেষ অভিযানে ১ হাজার ৫৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

দেশের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Death Reference and Appeal Hearing Major Sinha Kill Tomorrow

মেজর সিনহা হত্যার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি আগামীকাল

মেজর সিনহা হত্যার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি আগামীকাল

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি আগামীকাল।

সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা যায় মামলাটি বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চে বিষয়টি আগামীকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে মূলতবি/নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে প্রধান বিচারপতি আলোচিত এই মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য এই হাইকোর্ট বেঞ্চে পাঠান।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এই ঘটনায় করা মামলার বিচার শেষে ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত দুজনকে মৃত্যুদণ্ড, ছয়জনকে যাবজ্জীবন ও সাতজনকে খালাস দিয়ে রায় দিয়েছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক বরখাস্ত লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত, সাগর দেব, রুবেল শর্মা, টেকনাফ থানায় পুলিশের করা মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

বিচারিক আদালতের রায়ের পরে নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের দণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। অন্যদিকে, দণ্ডিত আসামিরা আপিল ও জেল আপিল করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The news of the burning of the Sagar Rooney murder case is not correct

সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথি পুড়ে যাওয়ার খবর সঠিক নয়

সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথি পুড়ে যাওয়ার খবর সঠিক নয়

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা ডিবিতে থাকা নথি আগুনে পড়ে গেছে বলে দাবি করা হয়েছে, সঠিক নয়।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগে নতুন উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এমন তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচারিত সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথিপত্র ডিবি হেফাজতে পুড়ে যাবার তথ্যটি সঠিক নয়।’

‘সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তের সময় আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। এ নিয়ে কেউ কেউ ডিবির নথি পুড়ে যাওয়ার নিউজ করছেন, যা সঠিক না,’ যোগ করেন তিনি।

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আদালতে আগুনে এসব নথি পুড়ে যাওয়ার কথা বলা হয়নি। এডিশনাল অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদ রউফ বলেছেন, ডিবির অধিকাংশ অফিসার বদলি হওয়ায় পুরনো নথি খুঁজে পাওয়া সময়সাপেক্ষ।’

‘এ জন্য রাষ্ট্রপক্ষ নয় মাস সময় চাইলে বাদীপক্ষ তিন মাস সময়ের কথা বলেন। পরবর্তীতে আদালত ছয়মাস সময় দেন,’ যোগ করেন তিনি।

এরআগে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ করা হয়েছে, সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার ডিবিতে থাকা নথি আগুনে পুড়ে গেছে বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।

অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আরসাদুর রউফ বলেন, ‘আমি এমন কোনো কথা কখনোই বলিনি। সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথি পোড়েনি। আমি বলেছি, এটা পুরনো মামলা।’

মন্তব্য

p
উপরে