× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Prelude to surrender talks
google_news print-icon
মিত্রবাহিনীর বীর যোদ্ধা নির্ভয় শর্মার স্মৃতিকথা

আত্মসমর্পণ আলোচনার পূর্বকথা

আত্মসমর্পণ-আলোচনার-পূর্বকথা
‘জেনারেল নিয়াজির বিড়বিড় করে স্বগতোক্তি আমার স্পষ্ট মনে আছে- ‘পিন্ডি মে বৈঠে হারামজাদন নে মারওয়া দিয়া (রাওয়ালপিন্ডিতে যারা বসে আছে তারা আমাদের হতাশ করেছে)।’ রাওয়ালপিন্ডি সেই সকাল পর্যন্ত তাকে বোকা বানিয়েছিল, যা আমাদের পথে সহায়ক হয়েছিল।”

পাকিস্তানি সৈন্যরা ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সংক্ষিপ্ত আলোচনার পর ভারত ও বাংলাদেশের মিত্রবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। সম্প্রতি ভারতীয় সামরিক বাহিনীর একজন সাবেক ক্যাপ্টেন বিজয়ী ও পরাজিতের আলাপচারিতার প্রাথমিক মুহূর্তগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরে প্রথমবারের মতো এর পূর্বকথা সামনে এনেছেন।

অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল নির্ভয় শর্মা জানান, একজন তরুণ ভারতীয় ক্যাপ্টেন হিসেবে তিনি অগ্রসর মিত্র বাহিনীর অংশ হিসেবে ঢাকা শহরে পা রাখা ভারতীয় সৈন্যদের প্রথম দলে ছিলেন।

সম্প্রতি লেখা স্মৃতিকথায় সেদিনের প্রথম ঘণ্টার ঘটনাগুলোর স্বল্প পরিচিত কাহিনী তিনি তুলে ধরেছেন। বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের সিদ্দিকীও এ পর্বের অংশ ছিলেন বলে স্বীকার করেন তিনি।

পরবর্তী জীবনে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ ও মিজোরামের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী শর্মা বলেন, ‘আমরা পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর সদর দফতরে যাওয়ার জন্য মিরপুর ব্রিজ দিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করি।

কিন্তু কিছু ঘটনার কারণে পাকিস্তানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এএকে নিয়াজীর কাছে পৌঁছানোর আমাদের প্রথম প্রচেষ্টা ভেস্তে যায়। অবশ্য পরে আমরা ভারতের ১০১০ অঞ্চলের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং মেজর জেনারেল গান্ধর্ব নাগরার একটি বার্তা নিয়ে তার কাছে পৌঁছি।

‘আমাদের দ্বিতীয় যাত্রায়, ভারতের ২ প্যারা ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার কর্নেল পান্নু এবং আরও কয়েকজনের সঙ্গে এবার আমরা প্রথম সৈন্য হিসেবে শত্রু-অধিকৃত ঢাকা সেনানিবাসে প্রবেশ এবং বার্তা পৌঁছাতে সফল হই।’

ভারতের ‘দ্য প্রিন্ট’ পত্রিকায় প্রকাশিত শর্মার নিবন্ধে বলা হয়, ‘ব্যাটালিয়নটি সফলভাবে প্রবেশ করতে সক্ষম হওয়ার পর কর্নেল পান্নু, আরও কয়েকজন ও আমি অফিসারের সঙ্গে দ্রুত সদর দফতরে জেনারেল নিয়াজীর কাছে যাই।

‘যখন আমরা পাকিস্তানের ইস্টার্ন কমান্ড হেডকোয়ার্টারে প্রবেশ করে জেনারেল নিয়াজীর অফিসের পাশে আমাদের জিপ দাঁড় করাই তখন একজন স্মার্ট পোশাকপরা, দীর্ঘকায় ও সুঠামদেহী সৈনিক আমাদের সামনে এসে দাঁড়ান।’

তিনি লিখেছেন, ‘কড়া শৃঙ্খলাবদ্ধ স্ট্যান্ডিং গার্ড ভারতীয়দের অফিসে প্রবেশে বাধা দেয়। সৈন্যটি ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে একেবারেই অবহিত ছিলেন না এবং কী করবেন বা বলবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না।

‘তিনি আমাদেরকে তার জেনারেলের জন্য সংরক্ষিত জায়গায় আমাদের জিপ পার্ক করতে নিষেধ করেন। আমরা তাকে একপাশে ঠেলে জেনারেলের ঘরে ঢুকে পড়ি।’

তিনি স্মরণ করেন, কর্নেল পান্নু নিয়াজীর দিকে কঠোর দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলেন এবং নিয়াজী তার চোখের দিকে তাকাতে পারছিলেন না। মুখে খোঁচা খোঁচা দাড়ি নিয়ে শীর্ষ পাকিস্তানি জেনারেল হতাশায় দু’হাত দিয়ে তার মাথা চেপে ধরেন।

শর্মা বলেন, “ওই সময় বিড়বিড় করে তার স্বগতোক্তি আমার স্পষ্ট মনে আছে- ‘পিন্ডি মে বৈঠে হারামজাদন নে মারওয়া দিয়া (রাওয়ালপিন্ডিতে যারা বসে আছে তারা আমাদের হতাশ করেছে)।’

“রাওয়ালপিন্ডি সেই সকাল পর্যন্ত তাকে বোকা বানিয়েছিল, যা আমাদের জন্য সহায়ক হয়েছিল।”

ঢাকার দোরগোড়ায় ভারতীয় ব্যাটালিয়নের অ্যাডজুট্যান্ট শর্মা স্মরণ করেন, তাদের সৈন্যরা ১৫-১৬ ডিসেম্বর মধ্যরাতে মিরপুর ব্রিজ পয়েন্টে ঢাকার দরজায় টোকা মেরে শত্রুকে হতচকিত করে তুলেছিল। আর ১৬ ডিসেম্বর সকাল পর্যন্ত গোলাবর্ষণ এবং বিক্ষিপ্ত গুলিবর্ষণ অব্যাহত ছিল।

তিনি বলেন, ‘নাগরা সকালে ঘটনাস্থলে আসেন এবং আমাদের জানান যে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করতে রাজি হয়েছে এবং আমরা লেফটেন্যান্ট জেনারেল এএকে নিয়াজীর কাছে একটি বার্তা নিয়ে যাচ্ছি।’

বার্তাটি ছিল: ‘প্রিয় আব্দুল্লাহ, আমি এখানে। খেলা শেষ, আমি আপনাকে আমার কাছে নিজেকে সঁপে দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছি এবং আমি আপনার দায়িত্ব নেব।’

শর্মা বলেন, নাগরার সহযোগী ডি ক্যাম্প ক্যাপ্টেন হিতেশ মেহতাকে তার সঙ্গে যেতে বলা হল। এ সময় পাকিস্তানি সৈন্যরা সেতুর অপর পাশে অবস্থান করছিল।

প্রাথমিকভাবে দুজন ক্যাপ্টেন নিয়াজীর জন্য নাগরার হাতে লেখা বার্তা নিয়ে একটি জিপে ওঠেন। নিয়াজী ছোটবেলা থেকেই নাগরার সঙ্গে পরিচিত ছিলেন এবং তারা একে-অপরকে নাম ধরে ডাকতেন।

শর্মা বলেন, ‘তারা দুজন জিপের দিকে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্য দুই অফিসার মেজর জেএস শেঠি ও লেফটেন্যান্ট তেজিন্দর সিং লাফ দিয়ে গাড়িতে ওঠেন।

শর্মা লিখেছেন, ‘আমরা সবাই আসন্ন বিপদ বিস্মৃত হয়ে আত্মসমর্পণের বার্তা নিয়ে ঢাকা প্রবেশ ও ইতিহাস সৃষ্টির চিন্তায় উত্তেজিত ছিলাম।’

তিনি স্মরণ করেন, ‘আমরা তরুণ অফিসাররা সে সময় খুব কমই জানতাম যে ওপারে পাকিস্তান সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণের নির্দেশ পায়নি এবং তাই আমরা সেতু পার হওয়ার সঙ্গে সঙোগ তারা গুলি চালালো। আমরা থামলাম।’

‘সব সাহস সঞ্চয় করে আমি চিৎকার করে তাদের গুলি চালানো বন্ধ করতে বললাম। গুলিবর্ষণ বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু অবিলম্বে শত্রু সৈন্যরা ছোট ভারতীয় সৈন্য দলটিকে ঘিরে ফেলে এবং নিরস্ত্র করে ফেলে।

‘ভারতীয় অফিসাররা তখন একজন পাকিস্তানি জুনিয়র কমিশন্ড অফিসারকে (জেসিও) একজন সিনিয়র অফিসারকে ফোন করতে বলেন। একইসঙ্গে আমি তাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করলে ভয়ানক পরিণতির হুমকি দিয়ে বলি- ভারতীয় সেনাবাহিনী ঢাকাকে ঘিরে রেখেছে এবং তাদের জেনারেলরা আত্মসমর্পণ করতে রাজি হয়ে গেছেন।’

শর্মা বলেন, ‘সৌভাগ্যক্রমে অচিরেই একজন পাকিস্তানি ক্যাপ্টেন এসে দলটিকে মিরপুর গ্যারিসনে নিয়ে যান। সেখানে গ্যারিসনের কমান্ডার তাদের অপেক্ষা করতে বলেন। প্রায় এক ঘণ্টা পর ঢাকা গ্যারিসনের জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ জামশেদ সেখানে আসেন।’

তিনি বলেন, ‘জামশেদের সঙ্গে আমরা আমাদের ভারতীয় সেনাবাহিনীর জিপে মিরপুর ব্রিজে ফিরে আসি। তখন একটি পাকিস্তানি জিপ আমাদের অনুসরণ করে। ফেরার পথে আমাদের ওপর আবার গুলি চালানো হয়। আমরা কারা তা কোনো পক্ষই জানত না।

‘মেজর শেঠির বাম পায়ে মাঝারি মেশিনগানের একটি গুলি লাগে এবং আরেকটি বুলেট সিংয়ের হেলমেটের ঠিক মাঝখানে আঘাত করে, যদিও ভাগ্যক্রমে তা লক্ষ্যচ্যুত হয়। কিন্তু পরিস্থিতি মোকাবেলা করা হয় এবং আমরা সেতুর অপর পাশে পৌঁছি।’

বাসস-এর সঙ্গে আলাপকালে কাদের সিদ্দিকী স্মরণ করেন, তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সাদা পতাকা পাওয়া না যাওয়ায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর জুনিয়র অফিসারদের জিপের উপরে একটি সাদা শার্ট উড়ানো হয়। মিরপুর ব্রিজে ফেরার পথে শার্টটি কোথাও পড়ে যায়। এতে তারা অরক্ষিত হয়ে পড়েন এবং গাড়ি লক্ষ্য করে শত্রুপক্ষ গুলি চালায়।

শর্মা লিখেছেন, ‘এর কিছুক্ষণ পর সকাল ১০টা ৪২ মিনিটে, নিয়াজীকে নাগরার চিরকুটটি হস্তান্তর করতে পাকিস্তানি অফিসারদের সঙ্গে ভারতীয় অফিসারদের দলটি ঢাকায় পুনঃপ্রবেশ করে।’

পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র মেজর সিদ্দিক সালিক তার ‘উইটনেস টু সারেন্ডার’-এ লিখেছেন, ‘নাগরার বার্তা পেয়ে নিয়াজী পূর্ব পাকিস্তানে নৌবাহিনীর শীর্ষ কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ শরিফ এবং মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলীসহ উপস্থিত সিনিয়র জেনারেলদের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন।

‘তারা উভয়েই নিয়াজীকে হাল ছেড়ে দেয়ার এবং নাগরার আহ্বানে সাড়া দেয়ার পরামর্শ দেন। কারণ পাকিস্তানি পক্ষের ঢাকা রক্ষা করার মতো যথেষ্ট শক্তি ছিল না।’

সালিক লিখেছেন, ‘জেনারেল নিয়াজী মেজর জেনারেল জামশেদকে নাগরাকে অভ্যর্থনা জানাতে পাঠান।’

কাদের সিদ্দিকীর বর্ণনা

বাসস-এর সঙ্গে আলাপকালে কাদের সিদ্দিকী বলেন, জামশেদ একটি মার্সিডিজ গাড়িতে ঘটনাস্থলে আসেন। এরপর আসে বেশ কয়েকটি পাকিস্তানি সামরিক যান। নাগরা ও আরও দুই ভারতীয় ব্রিগেডিয়ার, সান সিং ও ক্লেয়ার এবং আমি নিজে গাড়ির পেছনের সিটে উঠে বসি।’

তিনি বলেন, ‘জামশেদ ঢাকা সেনানিবাসে যাওয়ার পথে চালকের পাশে সামনের সিটে বসেন। গাড়িটি ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল স্কুলে জামশেদের অস্থায়ী অফিসে কিছুক্ষণ থামে। সেখান থেকে নিয়াজীকে ফোন করার চেষ্টা করলেও লাইনটি বিকল পাওয়া যায়।’

প্রতিনিধি দলটি সরাসরি ঢাকা সেনানিবাসে নিয়াজীর অফিসে চলে যায়। সেখানে একজন পাকিস্তানি ক্যাপ্টেন তাদের অভ্যর্থনা জানান। তিনি তাদের জানান, জেনারেল খুব শিগগির সেখানে আসবেন।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘৪/৫ মিনিট পর নিয়াজী এলেন এবং উভয় পক্ষ সালাম বিনিময় এবং করমর্দন করল। আমি তার (নিয়াজীর) সঙ্গে করমর্দনের জন্য আমার হাত বাড়াতে পারলাম না।’

১৯৭১ সালের যুদ্ধের নথি থেকে জানা যায়, প্রায় এক ঘণ্টা পর ভারতীয় ইস্টার্ন ফ্রন্টের জেনারেল চিফ অফ স্টাফ মেজর জেনারেল জেএফআর জ্যাকব নিয়াজীর সদর দফতরে আসেন। এরপর আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণ আলোচনা শুরু হয়।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
ACCs mass hearing was held in Sirajganj

সিরাজগঞ্জে দুদকের গণশুনানি অনুষ্ঠিত

সিরাজগঞ্জে দুদকের গণশুনানি অনুষ্ঠিত

সিরাজগঞ্জে দুদকের ১৮১তম গণশুনানিতে ১৩৪টি অভিযোগের মধ্যে উত্থাপিত ৯৫ টি অভিযোগের মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে ৩৪টি অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়,৩২টি অভিযোগ দুদুক কর্তৃক অনুসন্ধান হবে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ২৬ টি অভিযোগের এবং আদালতে মামলা থাকায় ৩ টি অভিযোগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং দুর্নীতি প্রতিরোধের লক্ষ্যে রবিবার সকাল ৯টায় সিরাজগঞ্জ জেলার জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে দুদকের ১৮১ তম গণশুনানি উদ্বোধন করে প্রধান অতিথি দুদকের কমিশনার ( তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী বলেন, সুনীতি নয় তাই দুর্নীতি। সেবাদাতা ও সেবাগ্রহীতার মধ্যে দ্বন্দ্ব ও অনৈতিক কর্মকান্ডের কারণে দুর্নীতির প্রসার ঘটে। ছোট ছোট অসংগতি দিনে দিনে কিভাবে ক্ষোভের বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে তা বিগত গণহত্যাকারী পতিত সরকার হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে,এর চেয়ে আর ভাল উদাহরণ হতে পারে না।

বর্তমান দুর্নীতি দমন কমিশন ( মোমেন কমিশন) জিরো টলারেন্স নীতিতে চলছে,চলবে। আর দুর্নীতি নয়,দুর্নীতি নির্মূল করে সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলাই গণশুনানির উদ্দেশ্য।

দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয় আয়োজিত ও সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় দুদকের ১৮১তম গণশুনানিতে সভাপতিত্ব করেন সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।

গণশুনানিতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দুর্নীতি দমন কমিশনের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মোঃ ফজলুল হক। অতিথিবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুদকের মহাপরিচালক ( প্রতিরোধ) মোঃ আখতার হোসেন, মহাপরিচালক ( তদন্ত ১) মুহাম্মদ রেজাউল করিম ও পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক হোসেন।

কানায় কানায় পূর্ণ অডিটোরিয়ামে জেলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ,ছাত্র জনতাসহ সহকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারী গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে দাখিলকৃত ১৩৪ অভিযোগের মধ্যে ৯৫টি উত্থাপিত হয়। সকাল ৯টা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকেলে ৫টা পর্যন্ত গণ শুনানির মডারেট করেন জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।

দুদকের উপপরিচালক ( জনসংযোগ) মোঃ আকতারুল ইসলাম জানান গণশুনানিতে বিভিন্ন সরকারি অফিসে সেবা প্রাপ্তিতে হয়রানীর শিকার বা সেবা বঞ্চিত সংক্ষুব্ধ জনসাধারণ তাদের অভিযোগসমূহ সিরাজগঞ্জ জেলার সকল সরকারি দপ্তর প্রধানদের উপস্থিতিতে কমিশনের সামনে তুলে ধরেন। একই সাথে সেবা বঞ্চিত জনসাধরণের উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে দুদক কর্তৃক তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। সরকারি পরিষেবা প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ এবং সরকারি কর্মকর্তাদের মাঝে সততা, নিষ্ঠা, জবাবদিহিতা ও মূল্যাবোধ বৃদ্ধি করার মাধ্যমে দেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূল করাই ছিল এই গণশুনানির মূল অভিপ্রায়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Meeting the chief adviser to Pakistan Deputy Prime Minister and Foreign Minister Ishaq Dar

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সাক্ষাৎ

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সাক্ষাৎ

পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আজ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাসস’কে এ তথ্য জানান।
ইসহাক দার দুই দিনের বাংলাদেশ সফরে গতকাল ঢাকায় পৌঁছান।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Government is committed to amending NHRC Act 20 Law Advisor

সরকার এনএইচআরসি আইন, ২০০৯ সংশোধনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: আইন উপদেষ্টা

সরকার এনএইচআরসি আইন, ২০০৯ সংশোধনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: আইন উপদেষ্টা

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এনএইচআরসি আইন, ২০০৯ সংশোধনের বিষয়ে সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘কমিশনার নিয়োগ অবশ্যই স্বচ্ছ, উন্মুক্ত ও প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হতে হবে। কেবলমাত্র সর্বোচ্চ সততার অধিকারী ব্যক্তিরাই নাগরিকদের অধিকার রক্ষায় দায়িত্ব পালন করবেন।’

শনিবার সিলেটে আয়োজিত এক সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি একথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আসিফ নজরুল বলেন, আইন সংশোধন ও এর যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও আস্থাভাজন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উদাহরণ স্থাপন করতে পারবে।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে (এনএইচআরসি) একটি স্বাধীন, গ্রহণযোগ্য ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে এবং জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে দেশব্যাপী পরামর্শ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

সুইস দূতাবাসের সহযোগিতায় এই উদ্যোগে নেতৃত্ব দিচ্ছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ (এলপিএডি) ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)।

সংস্কার প্রক্রিয়াটি এনএইচআরসি আইন, ২০০৯ সংশোধনের মাধ্যমে বিদ্যমান আইনগত ও প্রাতিষ্ঠানিক ঘাটতি দূর করা এবং কমিশনকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানদণ্ড, বিশেষত জাতিসংঘের প্যারিস প্রিন্সিপলস এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে বলে ইউএনডিপি’র এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নের জন্য প্রতিষ্ঠিত এনএইচআরসি তাদের পূর্ণাঙ্গ ম্যান্ডেট কার্যকরভাবে বাস্তবায়নে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। সীমিত ক্ষমতা ও স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্নের কারণে এর কার্যকারিতা ব্যাহত হয়েছে। তাই সংস্কার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কমিশনের ভূমিকা ও সক্ষমতা জোরদার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে দেশের আটটি বিভাগে বহুপক্ষীয় পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হবে, শেষে ঢাকায় জাতীয় পরামর্শ সভা হবে। এসব পরামর্শ সভায় সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজ, মানবাধিকার কর্মী, শিক্ষাবিদ, গণমাধ্যম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার ব্যক্তিরা একত্রিত হয়ে সংস্কারের জন্য বাস্তবসম্মত প্রস্তাব দেবেন।

প্রথম পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ২৩ আগস্ট ২০২৫ সিলেটে। সেখানে অংশগ্রহণকারীরা আইনগত ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার, জবাবদিহিতা জোরদার এবং রাষ্ট্রীয় ও অরাষ্ট্রীয় উভয় ধরনের নির্যাতন থেকে নাগরিক সুরক্ষার বিষয়ে মতামত ও সুপারিশ দেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন এলপিএডি সচিব ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘ভালো আইন প্রয়োজনীয়, কিন্তু এর কার্যকর প্রয়োগ সমান গুরুত্বপূর্ণ। এনএইচআরসি আইনকে আরও শক্তিশালী ও কার্যকর করার জন্য আমরা আজ সিলেট থেকে শুরু করে দেশব্যাপী পরামর্শ সভার মাধ্যমে সংশোধন প্রক্রিয়া শুরু করেছি।’

জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) বাংলাদেশ-এর ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ আনোয়ারুল হক বলেন, ‘এনএইচআরসি শক্তিশালী করা দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা এবং মানবাধিকারের প্রতি প্রতিশ্রুতি রক্ষার জন্য অপরিহার্য। এই পরামর্শ সভার মাধ্যমে আমরা কমিশনের স্বাধীনতা, গ্রহণযোগ্যতা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে চাই, যা বৈশ্বিক মানদণ্ডের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’

এলপিএডি’র যুগ্ম-সচিব ড. এস এম শফায়েত হোসেন সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

তিনি এনএইচআরসি আইন, ২০০৯-এর ম্যান্ডেট, সীমাবদ্ধতা ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন।

সিলেটের জেলা প্রশাসক সরওয়ার আলমও সভায় বক্তব্য রাখেন।

সভায় আলোচনার মূল বিষয় ছিল কমিশনারদের নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা, তদন্ত ক্ষমতা জোরদার, কার্যক্রমের স্বাধীনতা বৃদ্ধি এবং সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমের সঙ্গে উন্নত সহযোগিতা।

বিভাগীয় পরামর্শ সভা থেকে প্রাপ্ত সুপারিশগুলো ঢাকার জাতীয় পরামর্শ সভায় আইন সংস্কারের রোডম্যাপে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

এই সংস্কার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরকার ও এর সহযোগী সংস্থাগুলোর আইনের শাসনকে আরও শক্তিশালী করা, নাগরিক অধিকার সুরক্ষিত করা এবং মানবাধিকারকে অংশগ্রহণমূলক শাসনব্যবস্থা ও টেকসই উন্নয়নের মূল ভিত্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্য নিয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Teachers do not want to stay in haor because of social and political problems Primary and Mass Education Advisor

সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যার কারণে শিক্ষক হাওরে থাকতে চান না: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যার কারণে শিক্ষক হাওরে থাকতে চান না: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

সামজিক ও রাজনৈতিক সমস্যার কারণে হাওর এবং চরাঞ্চলের দুর্গম এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা থাকতে চান না এবং তারা শহরে চলে আসতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যার কারণে শিক্ষক হাওরে থাকতে চান না: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণের সাথে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, আমার বাড়ি হাওরে আমি সবই জানি। বিষয়গুলো নিয়ে আমি পরিষ্কার। এটা শুধু হাওরের সমস্যা না। সব জায়গাতেই চরাঞ্চলে শিক্ষকেরা থাকতে চায় না এবং তারা শহরে আসতে চায়। এই বিষয়টি সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা শুধুমাত্র যদি আমাদের সমস্যা হতো তাহলে সমাধান করা যেতো। আমাদের নিয়ম কি? আমাদের নিয়ম হচ্ছে শিক্ষকেরা উপজেলাতে নিয়োজিত হবেন, যেখানে চাকরি পাবেন সেখানে থাকবেন। কিন্তু বদলির বিষয়গুলো কোথা থেকে আসে? উপর থেকে আসে। তদবিরগুলো কোথা থেকে আসে? উপর থেকে আসে। উপর থেকে আসে সমস্যাগুলো। এগুলো কিসের সমস্যা? এগুলো আমাদের সামাজিক সমস্যা, আমাদের রাজনৈতিক সমস্যা। বিষয়টি জটিল উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, এগুলোকে যতটুকু সম্ভব কাটিয়ে উঠার জন্য চেষ্টা করছি। আমরা বরাবরই চাই হাওরে শিক্ষকেরা থাকুক। কিন্তু বিভিন্নভাবে বিষয়গুলো হয় না।

সম্প্রতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার, তাদের নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারগণও একই গ্রেডে আছে, এক্ষেত্রে প্রশাসনিক চেইন অব কমান্ড বজায় রাখার জন্য এটিইওদের গ্রেড উন্নয়নে সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আমাদের অনেক ক্ষেত্রেই একই গ্রেডের কর্মকর্তারা রয়েছেন। যারা নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা। কলেজগুলোতে যান যেখানে প্রিন্সিপাল এবং প্রফেসররা একই। মেডিকেল কলেজে যান সেখানেও একই। এমন অনেক জায়গাতেই রয়ে গেছে। ফলে এইটা হলেই যে করা যায় না এটা ঠিক না। এটা হচ্ছে আমার অবস্থান। দুই নাম্বার অবস্থান তাদের গ্রেডের উন্নতি প্রয়োজন কিনা? অবশ্যই প্রয়োজন। কারণ তারা দশম গ্রেডে ঢুকছেন তাদের তো পদোন্নতি প্রয়োজন। সুতরাং তাদের গ্রেড উন্নতি করা প্রয়োজন। আমি মনে করি এটা প্রয়োজন। আমরা সেজন্য কতৃপক্ষের কাছে লিখছি যে তাদের গ্রেডের উন্নতি করা হউক। উন্নতি না হলেই চেইন অফ কমাণ্ড ভেঙে যাবে এটি আমরা ঠিক মনে করি না।

মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, বেসরকারি বিদ্যালয়গুলো বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে অভিভাবকদের আর্কষণ করার জন্য। এটা তাদের ব্যবসা। আর অভিভাবকরা মনে করে সরকারি বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করলে প্রেস্টিজ চলে যাবে। অনেক কিছু চলে যেটা সংবিধান বা আইন মেনে চলে না। কিন্তু আমাদের অবস্থান কি সেটা জানা আমাদের কর্তব্য। আমাদের সংবিধান বলে শিক্ষা আমাদের মৌলিক অধিকার। আমরা একটা আইন করেছি বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা। অর্থাৎ দেশের প্রত্যেকটা শিশু অবৈতনিক শিক্ষা পাবে। এজন্য অভিভাবকরা প্রত্যেকটা শিশুকে এটা গ্রহণ করাতে বাধ্য। আমাদের শিশুদের ছোট বেলা থেকেই বিভিন্নভাবে ভাগ করে ফেলছে। আমাদের যাদের অর্থের অভাব নেই তারা দামি দামি স্কুল খুললাম। আমাদের যারা নীতিনির্ধারক তাদের সন্তানেরা পড়ছে দামি স্কুলে। সাধারণ মানুষের সন্তানেরা পড়ছে সরকারি স্কুলে। ফলে সরকারি স্কুল, অবৈতনিক স্কুল যে মনোযোগ পাওয়ার কথা তা পায় না। সেজন্য আমাদের শিক্ষাখাতে বরাদ্দের প্রয়োজন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মোঃ মাসুদ রানা বলেন, জেলায় ৮০৫ জন শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিহীন রয়েছে। অহেতুক কারন দেখিয়ে যেন কেউ প্রশিক্ষণ থে‌কে‌ বিরত না থা‌কেন। নির্বাচন ব্যতীত অন্যান্য দায়িত্ব যেনো পালন করতে না হয় সেজন্য আমরা কাজ করছি। প্রধান শিক্ষকরা ১০ম গ্রেড পে‌য়ে‌ছেন। এতে আপনা‌দের প্রতিও রা‌ষ্ট্রের চা‌হিদা বে‌ড়ে‌ছে, সে‌দিক‌টি খোয়াল রাখ‌তে হ‌বে। সহকা‌রি শিক্ষক‌দেরও মূল‌্যায়ন করা প্রয়োজন। স্কুল ফি‌ডিং কার্যক্রম চালু হ‌বে ১৮০‌টি স্কু‌লে। খা‌দ্যের মান নি‌য়ে প্রশ্ন উঠ‌লে নমুনা সংগ্রহ ক‌রতে হবে। খাদ্যের নমুনাতে কোনো সমস্যা দেখা দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ কর‌তে হ‌বে। ইউপিইটি‌সি ইন্সট্রাক্টররা ম‌ডেল স্কু‌লে স‌ঠিকভাবে ম‌নিট‌রিং ক‌রে না। পি‌টিআই'র ইন্সট্রাক্টরদেরও এ কা‌জে লাগা‌তে হ‌বে। প্রাথ‌মি‌কের সকল শূন‌্যপ‌দ পূর‌নের বিষ‌য়ে দ্রুত ব‌্যবস্থা নেয়া হ‌বে। বিদ্যালয়ের জ‌মি সংক্রান্ত মামলা জট কমানোর জন‌্য জেলা প্রশাসক ব‌্যবস্থা নি‌বেন ব‌লে তিনি আশা ক‌রেন।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মোঃ শামসুজ্জামান মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, আমাদের এই মূহুর্তে কিন্তু শিক্ষকদের শূন্য পদের সংখ্যা বেশি নয়। সাড়ে ১৩ হাজার পদ শূন্য। আমরা আশা করতেছি এই মাসের মধ্যেই বিজ্ঞপ্তি দিব এবং ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করব। জেলায় ১৩টি উপজেলার মধ্যে ১০টি উপজেলাতেই মিড ডে মিল চালু আছে।

এ সময় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এনডিসি (পলিসি এন্ড অপারেশন) মোহাম্মদ কামরুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মুকিত সরকার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মজিব আলম। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Changing the overall system to protect the environment of Dhaka is essential Environment Advisor

ঢাকার পরিবেশ রক্ষায় সামগ্রিক ব্যবস্থার পরিবর্তন জরুরি: পরিবেশ উপদেষ্টা

ঢাকার পরিবেশ রক্ষায় সামগ্রিক ব্যবস্থার পরিবর্তন জরুরি: পরিবেশ উপদেষ্টা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ঢাকার পরিবেশ রক্ষায় সামগ্রিক ব্যবস্থার পরিবর্তন প্রয়োজন। শুধু ব্যক্তির পরিবর্তন নয়, দেশের সামগ্রিক ব্যবস্থার পরিবর্তন প্রয়োজন। আমাদের সবাইকে পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত হতে হবে এবং পরিবর্তনের দিকে এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি আজ ঢাকার মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশন (এফজিডি) শীর্ষক “ডি-সেন্ট্রালাইজেশন অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ওয়েলফেয়ার অফ দ্য ক্যাপিটাল: টুয়ার্ডস আ সাসটেইনেবল ঢাকা” অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা জানান, শিল্প দূষণের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করা হবে এবং ঢাকার আশেপাশের নদী দূষণ রোধে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হবে। পলিথিন বিরোধী প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। ঢাকাকে বায়ুদূষণের কারণে সাভারকে ‘ডিগ্রেডেড এয়ারশেড’ ঘোষণা করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, ভবন ও কক্ষের নকশা পরিবেশবান্ধবভাবে করতে হবে। গ্রামীণ আবহই টেকসই এবং একজন আদর্শ কৃষকের জীবনযাপন-ই টেকসই উন্নয়নের প্রতিচ্ছবি। অনাবৃত জায়গায় ঘাস লাগাতে হবে। শুধু সরকারের উদ্যোগ যথেষ্ট নয়, জনগণের সক্রিয় সম্পৃক্ততা অপরিহার্য।

উপদেষ্টা আরও বলেন, বর্তমান সরকার টেকসই উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে এবং জনগণকে সম্পৃক্ত করছে। তিনি দেশ নিয়ে নতুন করে ভাবার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকার দিকনির্দেশনা দেবে, কিন্তু পরিবর্তনের পথে এগিয়ে আসতে হবে সবার।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রাজউক-এর চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভিত্তি স্থপতিবৃন্দ লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্থপতি ইকবাল হাবিব। ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-এর সভাপতি তাসকিন আহমেদ এফজিডি-এর সভাপতিত্ব এবং সঞ্চালনা করেন।

অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মোঃ জহিরুল ইসলাম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি); মোঃ জিয়াউল হক, পরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর (ডিওই), বাংলাদেশ সরকার; কাজী গোলাম নাসির, সাবেক প্রধান স্থপতি, স্থাপত্য অধিদপ্তর, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়; মোঃ আশরাফুল ইসলাম, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ, রাজউক; ড. মোঃ শামসুল হক, অধ্যাপক, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, বুয়েট; লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি, রিহ্যাব; দিলবাহার আহমেদ, ভৌগোলিক ও নগর পরিকল্পনাবিদ, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি); ড. আদিল মোহাম্মদ খান, সভাপতি, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)।

আলোচনায় বক্তারা ঢাকার বিকেন্দ্রীকরণ, পরিবেশ সুরক্ষা ও টেকসই নগর উন্নয়ন নিয়ে মতামত প্রদান করেন। তারা মনে করেন, নগরের স্থায়ী কল্যাণ নিশ্চিত করতে সমন্বিত পরিকল্পনা ও শক্তিশালী নীতিমালা বাস্তবায়ন জরুরি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Trying to occupy the center will be stopped CEC

কেন্দ্র দখলের চেষ্টা রুখে দেওয়া হবে: সিইসি

কেন্দ্র দখলের চেষ্টা রুখে দেওয়া হবে: সিইসি

আসন্ন ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কেন্দ্র দখলের যেকোনো অপচেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। এ ধরনের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের ভোট বাতিল করা হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

রাজশাহীর আঞ্চলিক লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে আজ শনিবার তিনি বলেন ‘যারা ভোটকেন্দ্র দখলের স্বপ্ন দেখছেন, তাদের সেই স্বপ্ন এবার দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে, আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত’।

নির্বাচনী প্রস্তুতির অগ্রগতি সম্পর্কে সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, পবিত্র রমজানের আগে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শক্রমে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন,‘ নির্বাচন বিষয়ে কোনো রাজনৈতিক দলের বক্তব্যের বিষয়ে আমরা কিছু বলছি না। সংবিধান অনুযায়ী আমাদের দায়িত্ব পালন করছি’।

নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিইসি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী বর্তমানে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির কোনো সুযোগ নেই। তাই প্রচলিত আইন মেনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি আরও বলেন, ‘আইনের পরিবর্তন হলে কমিশন সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।’

নির্বাচনে সেনাবাহিনীর ভূমিকা প্রসঙ্গে সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, তারা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করবে। এই মুহূর্তে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) বদলির কোনো পরিকল্পনা নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সিইসি জানান, নির্বাচন কমিশনের তালিকাভুক্ত প্রশিক্ষিত কর্মকর্তার সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার ৭০০ জন। এদের অনেকেরই নির্বাচন পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তবে যাদের বিরুদ্ধে আগের নির্বাচনগুলোতে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে, তাদের এবারের নির্বাচনে দায়িত্ব দেওয়া হবে না।

‘নির্বাচন কমিশনের ওপর সরকারের কোনো চাপ নেই’ উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘কোনো হস্তক্ষেপ করা হলে, আমি পদত্যাগ করব, দায়িত্বে থাকব না।’

রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগ বর্তমানে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নির্ভর করছে সস্পূর্ণ আইনি প্রক্রিয়ার ওপর।

রাজশাহী অঞ্চলে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে সিইসি বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়ে সভা শেষ করেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
All preparations are being taken for the next national election Home Advisor

আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ঘোষিত সময় অনুযায়ী আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আজ শনিবার বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)’র হিমাগার, কেন্দ্রীয় বীজ পরীক্ষাগার ও সবজি বীজ প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি যেভাবে নেওয়া দরকার, আমরা সেভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি। আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনে আমাদের প্রস্তুতি নিতে কোন অসুবিধা হবে না। এখন জনগণ, রাজনৈতিক দল ও গণমাধ্যম সবাই নির্বাচনমুখী। এটি বাধাগ্রস্ত করতে কোনো ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না।

বাজারে সবজির দামের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বৃষ্টির কারণে সবজি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দাম কিছুটা বেড়েছে। আবার বাজারে আলুর দাম কিন্তু কম। আমাদের দেশে গবেষণার কাজ আরো জোরালো হলে বিদেশ থেকে বীজ আলু আর আনতে হবে না, তখন আলুর উৎপাদন খরচ আরো কমে আসবে।

তিনি বলেন, সরকারি মাধ্যমে আলু ক্রয় করা হবে, দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হবে যেন কৃষক ন্যায্যমূল্য পান।

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে, এটি চলমান প্রক্রিয়া।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আগের তুলনায় এখন সীমান্ত অনেক বেশি সুরক্ষিত আছে এবং সীমান্ত এলাকায় যারা বসবাস করেন তারাও অনেক সচেতন।

তিনি বলেন, বিগত সময়ে মানুষ মত প্রকাশ করতে পারতো না কিন্তু এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অনেক কিছুই লিখতে পারছেন।

মন্তব্য

p
উপরে