× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
ECs consent to the transfer of 600 policemen
google_news print-icon

৬৫০ পুলিশ সদস্য বদলিতে ইসির সম্মতি

৬৫০-পুলিশ-সদস্য-বদলিতে-ইসির-সম্মতি
বৃহস্পতিবার ইসির উপ-সচিব মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য উপপরিদর্শক (এসআই), সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই), সার্জেন্ট, কনস্টেবলসহ পুলিশের নানা পর্যায়ের ৬৫০ জনকে বদলি ও পদায়নে সম্মতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার ইসির উপ-সচিব মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নির্বাচনকে সামনে রেখে এর আগে গত সোমবার বদলির সম্মতি দেয়া দুই পুলিশ কমিশনার, দুই ডিআইজি ও ১০ জন পুলিশ সুপারকে (এসপি) বদলির।

তার আগেও বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে বদলি করা হয়েছে। বদলি করা হয়েছে বেশকিছু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও।

আরও পড়ুন:
১৮ ডিসেম্বর থেকে মিলবে না রাজনৈতিক সভা-সমাবেশের অনুমতি
নির্বাচন ভবনের সামনে আওয়ামী লীগ স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের হাতাহাতি
খালেদাকে মুক্ত করতে চান প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া মেজর আখতার

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
PROCIAL Jamaat

পিআর আন্দোলনের আড়ালে নির্বাচনের প্রস্তুতি জামায়াতের

৩০০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত, সমমনা দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতা হলে ১০০ আসন ছাড়: গোলাম পরওয়ার
পিআর আন্দোলনের আড়ালে 
নির্বাচনের প্রস্তুতি জামায়াতের

ইসলামী সমমনা দলগুলোর সঙ্গে ঐক্যের সমঝোতা হলে জামায়াত ১০০ আসন ছেড়ে দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। গতকাল শুক্রবার খুলনার আল ফারুক সোসাইটি মিলনায়তনে ইসলামী ছাত্রশিবির খুলনা মহানগর শাখা আয়োজিত সদস্য পুনর্মিলনী (১৯৭৭-২০২৫) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘যদিও আমরা ৩০০ আসন চূড়ান্ত করেছি, প্রাথমিক বাছাই হয়ে গেছে, তবে যাদের সঙ্গে আমরা সমঝোতা করব, যাদের সঙ্গে ঐক্য হবে, যে কয়টি দলের সঙ্গেই হোক, কিছু সিট তো আমাদের ছাড়া লাগবে, তা নাহলে তো ঐক্য হবে না। আমিরে জামায়াত আমাকে একটা আইডিয়া দিয়েছেন, এমনও হতে পারে, সমঝোতা করতে করতে শেষ পর্যন্ত একশ আসনও আমাদের ছেড়ে দিতে হতে পারে। আমাদের বলেছেন মাইন্ড সেট রাখবেন, কমপক্ষে ২০০ আসনে আমরা ইনশাআল্লাহ নির্বাচন করব।’
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘দ্বীনকে সংসদে পাঠানোর জন্য এখনই সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। যারা একসময় ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাদের সবাইকে এখন আবার সক্রিয় হয়ে দেশের জন্য ভূমিকা রাখতে হবে। আমিরে জামায়াত বলেছেন, ‘মুসলমানদের সামনে ৫৪ বছরের মধ্যে ইসলামী আন্দোলনের শক্তিকে পার্লামেন্টে নেওয়ার এমন অবারিত সুযোগ অতীতে আর কোনো দিন আসেনি।’ ভবিষ্যতেও আসবে কি না আমরা জানি না। ফ্যাসিস্ট আমাদের গর্তে ঢোকাতে চেয়েছিল, আল্লাহ তাআলা তাদের গর্তে দিয়ে ইসলামী আন্দোলনকে মর্যাদার আসনে বসিয়েছে।’
জামায়াত নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়ে জামায়াতের এই সেক্রেটারি বলেন, এখন থেকে আপনারা পরিকল্পনা করেন যার যার নির্বাচনী এলাকায় কবে বাড়ি যাবেন, যতক্ষণ যেতে দেরি হবে নিজের উপজেলা, ইউনিয়ন, গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করার কথাও বলেন তিনি।
পরে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশনে আমরা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি চেয়েছি, তবে একটি বড় দলের বাধায় জুলাই সনদ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তারা মৌলিক সংস্কার চায় না। তারা মনে করছে তারা ক্ষমতায় চলে গেছে, এটা ভেবেছে বলেই ডাকসু, জাকসু নির্বাচনে ফল পেয়েছে।’ একইসঙ্গে নির্বাচন ও আন্দোলন দুই প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জামায়াত বলেও জানান তিনি।
খুলনা মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি রাকিব হোসাইনের পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন, খুলনা জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা এমরান হোসাইন, মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল ও নড়াইল জেলা জামায়াতের আমীমির অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান বাচ্চু।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Seat beer Green signal to the candidate BNP Salahuddin

শিগগিরই আসনভিত্তিক একক প্রার্থীকে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দেবে বিএনপি: সালাহউদ্দিন

শিগগিরই আসনভিত্তিক একক 
প্রার্থীকে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ 
দেবে বিএনপি: সালাহউদ্দিন

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বিএনপির প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চলছে। খুব শিগগিরই আসনভিত্তিক একক প্রার্থীকে মাঠে কাজ করার জন্য ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে সমসাময়িক রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বিএনপি একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক, উদার নৈতিক রাজনৈতিক দল। প্রত্যেকটি আসনে আমাদের একাধিক যোগ্য প্রার্থী রয়েছে। অনেক আসনে ১০ থেকে ১২ জনের মতো প্রার্থী আছে। এখন আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ করছি। খুব শিগগিরই আসনভিত্তিক একক প্রার্থীকে মাঠে কাজ করার জন্য ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দেব। তবে সেটি অফিশিয়াল হবে তফসিল ঘোষণার পরে।
তিনি বলেন, জরুরি কিছু ব্যতীত এমন কোনো বিষয় সামনে আনা উচিত হবে না, যা জাতীয় জীবনে নতুন সংকট তৈরি করতে পারে। নির্বাচনকেন্দ্রিক জোট গঠনের বিষয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও জানান সালাহউদ্দিন আহমদ।
গণতন্ত্র রক্ষায় রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকলেও ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো গণতন্ত্রের প্রশ্নে এক থাকবে।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আওয়ামী লীগকে বিচারের মুখোমুখি করতে বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে। তবে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার পক্ষপাতী নয় বিএনপি। এ বিষয়ে যা হবে তা বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই হওয়া উচিত।
তিনি আরো বলেন, ‘গণহত্যা চালানোর পরও আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনো অনুশোচনা নেই। বরং তারা দিল্লিতে বসে দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। সরকারের উচিত আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আইসিটি কোর্টে মামলা করা।’
আওয়ামী লীগের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক বক্তব্য প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘বর্তমান সরকারকে মানুষ পাঁচ বছর চায়, এমন কথা উত্থাপন না করলেও পারতেন প্রধান উপদেষ্টা।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In the week of Meherpur The price of vegetables

মেহেরপুরে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে সবজির দাম

মেহেরপুরে সপ্তাহের ব্যবধানে
বেড়েছে সবজির দাম

বৃষ্টির অজুহাতে ফের দামে চড়া কৃষি নির্ভর সবজি উৎপাদনে সেরা জেলা মেহেরপুরের সবজির বাজার। সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে প্রায় সব ধরনের সবজি দাম।
বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টির কারণে বাজারে সবজির সরবরাহ কমায় দাম বাড়ছে।
তবে কৃষকরা বলছেন, অতি বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতায় ফসল নষ্টের পাশাপাশি কমেছে উৎপাদন। তারপরও ন্যায্য দাম পাওয়া থেকে বঞ্চিত।
আর সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টি কিংবা পূজা যেকোনো অযুহাত পেলেই চলবে। অটোমেটিক সবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাবে। বলা কিংবা দেখার কেউ নেই।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার জেলার ঐতিহ্যবাহী সবজি বাজার বামন্দী বাজারে, প্রতি কেজি বরবটি বিক্রি হয়েছে ৬০-৭০ টাকা, যা সাত দিন আগেও ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি ঢ্যাঁড়শ বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা, যা সাত দিন আগেও ৫০-৬০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি ঝিঙা বিক্রি হয়েছে ৭০-৮০ টাকা, যা আগে ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি পিস লাউ বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা। যা সাত দিন আগেও ৩৫-৪০ টাকায়, পাশাপাশি খুচরা বাজারে প্রতি কেজি সিম বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা, উস্তা ১২০ টাকা, কচুর লতি ৮০-৯০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা করে,বাধা কপি ৬০ টাকা করে, আর সবচেয়ে আকাশ চুম্বি দামে বিক্রি হচ্ছে সাদা ও লাল আলতাপাটি আলু, আলতা পাটি লাল আলু ৩৫০ টাকা ও সাদা আলতাপাটি আলু ২৫০ টাকা কেজি, এবং আঞ্চলিক টমেটো ১৭০ টাকা,কাচ কলা প্রতি কেজি ৬০ টাকা।
সবজি বিক্রেতা ইকবাল বলেন, পূজার ছুটির কারনে দেশের বাহির থেকে কাঁচামরিচ আমদানি কমে গেছে। তাছাড়া বৃষ্টির কারণে এই এলাকার মাঠ থেকেও মরিচ কম উঠেছে। যার ফলে মরিচের দাম বেড়েছে।
সবজি বিক্রেতা নাঈম বলেন, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে বাজারে দেশীয় সবজির সরবরাহও কিছুটা কম। সপ্তাহের ব্যবধানে অধিকাংশ সবজির দাম কেজিতে ১৫-২০ টাকা করে বেড়েছে। তাছাড়া চাষিরা ক্ষেত থেকে সবজি কম সংগ্রহ করতে পারছে। সেজন্যও তারাও বাড়তি দাম ছাড়া সবজি দিতে চাইছে না।
বেগুন চাষি গোলাম হোসেন বলেন, বৃষ্টির সাথে বাতাস হওয়াই মাঠে এবার গাছ মরে যাওয়ায় উৎপাদন কমে গেছে। তারপর বেগুনে প্রচুর পরিমাণে পোকা লাগছে। কিটনাশক প্রয়োগেও মিলছে না সমাধান।
যার ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এজন্য দাম কিছুটা বেশি। আমরা বাজারে যে দামে বেগুন বিক্রি করে আসলাম। পরে শুনি তার দ্বিগুণ দামে বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
আরেক সবজি চাষি আইনাল হক বলেন,বেশ কয়েকদিন বৃষ্টির সাথে বাতাস বইছে। বৃষ্টি আর বাতাস এক সাথে হলে ঝাল গাছের গোড়া নড়ে গিয়ে গাছ মারা যায়। যার ফলে গাছ বাচাতে গেলে মরিচ সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে যায়। তারপরও এখন বামন্দী বাজারে মরিচ পাইকারি বিক্রি করে আসলাম ২৫০ টাকা কেজি হিসেবে। আর এখন বাড়ি এসে শুনছি খুচরা কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা করে। আর বেগুন পাইকারি বিক্রি করলাম ৪০ টাকা করে। আর বাজারে খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা করে। আমরা চাষিরা কষ্ট করেও ন্যায্য দাম পাইনি। অথচ ব্যবসায়ীরা আমাদের কাছ থেকে কিনে আমাদের সামনেই ডবল দামে বিক্রি করছে।
মেহেরপুর জেলা কৃষি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক সামসুল আলম বলেন, চলতি মৌসুমে এ অঞ্চলে বৃষ্টিপাত একটু বেশিই হয়েছে। অনেক মাঠে জলাবদ্ধতা আছে এটা ঠিক। তবে আমরা চাষিদের সব সময় বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করে আসছি। এবং ফসলের রোগ বালায় দেখা দিলে তা থেকে কিভাবে প্রতিকার পাবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Sariakandi The crowd of visitors to see

সারিয়াকান্দিতে কাশফুল দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড়

সারিয়াকান্দিতে কাশফুল 
দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড়

বগুড়ার সারিয়াকান্দির বিভিন্ন চলাঞ্চলে ফুটেছে নয়নাভিরাম কাশফুল, যা নীল মেঘের নিচে আলাদা সৌন্দর্যের সৃষ্টি করেছে। কাশফুলের শুভ্রতার ছোঁয়ায় আকৃষ্ট হচ্ছেন পর্যটকরা। ফুলের সাথে নিজেকে ক্যামেরাবন্দি করতে বিভিন্ন এলাকা থেকে পর্যটকরা ভিড় করছেন সারিয়াকান্দির যমুনা নদীর চরে।
বগুড়া সারিয়াকান্দির ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে একটি ইউনিয়ন যমুনা নদী বিধৌত। তাই এ উপজেলার বিশালাকার চরাভূমি রয়েছে। এসব চরাভূমির ওপরে দিগন্ত বিস্তৃত নীল আকাশ। নীল আকাশের নিচেই ফুটে রয়েছে সারি সারি কাশফুল, যা প্রখর রোদের সাথে মিতালি করে এক ভিন্ন ধারার সৌরভ ছড়াচ্ছে, যে সৌন্দর্য আকৃষ্ট করছে প্রকৃতি প্রেমীদের। উপজেলার চরাঞ্চলে বিশালাকার কাশফুলের বাগান রয়েছে, সেখানে যেতে হয় নৌকাযোগে।
তবে উপজেলার কালিতলা গ্রোয়েনবাঁধ, প্রেম যমুনার ঘাট এবং মথুরাপাড়া গ্রোয়েনবাঁধের সামনে জেগে ওঠা চরেও ফুটেছে কাশফুল। এসব পয়েন্টে হেঁটেই যাতায়াত করা যাচ্ছে অনায়াসে। তাই পর্যটকরা এসব পয়েন্টে কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এবং নিজেকে কাশফুলের সাথে ক্যামেরাবন্দি করতে ভিড় জমাচ্ছেন প্রতিনিয়নত। প্রতিদিন এসব পয়েন্টে শতশত তরুণ-তরুণীদের আগমন ঘটছে।
বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর যমুনা বুকে জেগে ওঠা চর-কাজলা, বাটিয়া, শালুকা, কুড়িপাড়া, পাকুরিয়া, বাগবেড়, দিঘলকান্দি, মথুরাপাড়া, নাড়াপালাসহ বিভিন্ন কাশবনে শ্বেত-শুভ্র কাশফুল মুগ্ধতা ছড়িয়ে বাতাসের দোলায় ঢেউ খেলে যাচ্ছে। কাশফুল শুধু মুগ্ধতাই ছড়ায় না, এর অর্থনৈতিক নানা দিকও রয়েছে। কাশফুল ও এর পাতা মাটিতে ঝরে জৈবসার তৈরি করে, যা জমির উর্বরতা শক্তি বাড়ায়। সবুজ কাশ গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
কাশফুলের বাগানেই উপজেলার মহিষের বাথানের খাবারের একমাত্র অবলম্বন। প্রতি বছর শরৎকাল এলেই যমুনার তীরে জন্ম নেওয়া এসব কাশফুল নতুন করে প্রাণ এনে দেয় চরে। কাঠখোট্টা বালুচরে এ যেন এক নতুন সৌরভ। নদীর ধারে দাঁড়িয়ে দোল খায় সাদা কাশফুল, বাতাসে দুলে দুলে জানান দেয় ঋতুর আগমন বার্তা। সূর্যের আলো ছড়িয়ে পড়তেই কাশফুলগুলো ঝলমল করে ওঠে এক অপার্থিব সৌন্দর্যে।
উপজেলার পৌর এলাকার সিরাজুল ফুল বলেন, কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এ উপজেলায় প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষরা বিভিন্ন স্থান থেকে বেড়াতে আসেন। বিভিন্ন বয়সী এসব মানুষের মধ্যে তরুণ-তরুণীদের সংখ্যাই বেশি। তবে এ ফুল বেশিদিন থাকে না। ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যেই ফুলগুলো বাতাসের সাথে উড়ে যায়। অর্থাৎ কয়েকদিন পরেই এ ফুল আর দেখা যাবে না।
সারিয়াকান্দি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আতিকুর রহমান বলেন, কাশফুল এবং যমুনা নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে বগুড়া জেলাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে সারিয়াকান্দিতে পর্যটকদের আগমন ঘটে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তারা নির্বিঘ্নে এ উপজেলায় বিভিন্ন ধরনের সৌন্দর্য উপভোগ করে নিরাপদে বাড়িতে ফিরছেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
There is no legal barrier to implementing the July Certificate Attorney General

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আইনগত কোন বাধা নেই : অ্যাটর্নি জেনারেল

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আইনগত কোন বাধা নেই : অ্যাটর্নি জেনারেল

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আইনগত কোন বাধা নেই বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করা হবে।

ঝিনাইদহে জোহান ড্রীম ভ্যালি পার্ক মিলনায়তনে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আজ শুক্রবার এ কথা বলেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের শাসনামলে দেশের সাংবিধানিক সকল প্রতিষ্ঠানকে অকার্যকর করে রাখা হয়েছিল। আওয়ামী লীগের শাসনামলে প্রশাসনে দায়িত্ব পালনকালে যারা বড় ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত ছিলেন না, তারা দেশের জন্য, রাষ্ট্রের জন্য আগামীতেও চাকরি করবেন। তবে যারা আওয়ামী লীগের নির্দেশে অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, সরকার তাদের অপরাধ বিবেচনায় নিয়ে আইনগত সিদ্ধান্ত নেবে। ’

এর আগে সকাল ১০টায় ঢাকাস্থ ঝিনাইদহ সাংবাদিক ফোরামের সঙ্গে জেলার স্থানীয় সংবাদকর্মীদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি আসিফ কাজল।

ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সহসভাপতি আসিফ ইকবাল মাখন ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লিটনের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এমএ মজিদ, ঢাকাস্থ ঝিনাইদহ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মেহেদী হাসান পলাশ, সাধারণ সম্পাদক শাহনাজ বেগম পলি, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহনেওয়াজ খান সুমন, ঝিনাইদহ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম বাদশা।সূত্র : বাসস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Start campaigning to implement the ban on hinging

ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে প্রচারণা শুরু

# মধ্যরাত থেকে ২২ দিন বন্ধ
ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে প্রচারণা শুরু

ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিতে আজ শানবার মধ্যরাত থেকে শুরু হচ্ছে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান। আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিন রাজবাড়ীর ও গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদী সহ দেশের বিভিন্ন নদনদী-সাগরে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
গোয়ালন্দ উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, অভিযানে মৎস্য কর্মকর্তাদের পাশাপাশি কাজ করবে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী। নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে জেলেদের সহায়তায় ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় চাল বিতরণ করা হবে।
মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞায় রাজবাড়ী ও গোয়ালন্দ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চলছে প্রচার। এই সময়ে কাজ না থাকায় জেলেদের ২৫ কেজি করে চাল দেবে সরকার। বরাদ্দ পেতে সঠিকভাবে তালিকা তৈরির দাবি জানিয়েছেন জেলেরা।
অভিযান সফল করতে প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করবে নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড। নিষেধাজ্ঞা মেনে চলতে জেলে পল্লীগুলোতে লিফলেট বিতরণের পাশাপাশি নদী তীরবর্তী এলাকায় করা হয়েছে মাইকিং।
স্থানীয়রা বলছেন, জেলেরা এখন অনেক সচেতন। সরকারের আইন অমান্য করে নদীতে কেউ যাবে না।
এদিকে, ইলিশ বন্ধের খবর শুনে ক্রেতারা ইলিশ কিনতে ছুটছে মৎস্য ঘাটগুলোতে। ক্রেতারা বলেছেন, ইলিশের দাম স্বাভাবিক রয়েছে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম পাইলট বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ ২২ দিন নদীতে কঠোর নজরদারিতে থাকবে। আমরা এ বিষয়ে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি।
নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ত্রিনাথ সাহা বলেন, ‘জেলেদের ২২ দিন ধৈর্য ধরে মা ইলিশ রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। সরকার এ সময় বিকল্প কর্মসংস্থান ও সহায়তা দেবে। তবুও যদি কেউ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে নামে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও মো. নাহিদুর রহমান জেলেদের উদ্দেশ্যে বলেন, নিষিদ্ধ সময় নদী থেকে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় সম্পন্ন নিষেধ। যারা এই আইন অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য

চিংড়ি মাছ ধরতে নৌকায় ‘কিরণমালা’ ফাঁদ

চিংড়ি মাছ ধরতে নৌকায় ‘কিরণমালা’ ফাঁদ

বিকেল নামলেই হাওরপারের গ্রামগুলো চঞ্চল হয়ে ওঠে। জেলেরা নৌকা নিয়ে ভেসে যান হাওরের বুকে। কেউ সারা রাত নোকার মাঝে ভেসে থাকেন পানিতে, কেউ আবার ফাঁদ পেতে রেখে সন্ধ্যার পর ফিরে আসেন বাড়িতে। তবে ভোর হওয়ার সাথে সাথে আবার ছুটে যান ফাঁদ সংগ্রহ করতে। এই ব্যস্ততার মূল কারণ চিংড়ি, যাকে স্থানীয় লোকজন ‘ইছা মাছ’ বলেন। আবার কেউ কেউ অন্যজাতের ছোট মাছ ধরার জন্য ফাঁদ ব্যবহার করেন যার নাম দাড়কি। সিলেট অঞ্চলে দড়ি নামেই পরিচিত।
মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার অন্তেহরি গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবার বর্ষাকালে এই হাওরে চিংড়ি ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। তাদের প্রধান ভরসা ‘কিরণমালা’ নামে পরিচিত এক বিশেষ ফাঁদ। প্লাস্টিকের তৈরি এই ফাঁদে টোপ দেওয়া থাকে মাছের খাদ্য। টোপের আকর্ষণে চিংড়ি ঢুকে পড়ে ফাঁদের ভেতরে। তারা নৌকা বোঝাই করে এই ফাঁদ নিয়ে হাওরে যান।
প্রতিটি নৌকা বোঝাই কিরণমালা ফাঁদ। সন্ধ্যা ঘনাতেই অন্তেহরির ভেতর থেকে আরও নৌকা হাওরের দিকে ছুটতে লাগল। আবার কিছু জেলে মাছ ধরে নৌকা নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। তাদের চেহারায় সারা দিনের রোদে পোড়া ক্লান্তি।
জেলেরা জানান, মাছ ধরা তাদের পেশা। বর্ষা এলে মাছ ধরেই তাদের সংসার চলে। প্রতিদিন শতাধিক নৌকা হাওরে নামে শুধু চিংড়ির টোপ ফেলতে। প্রতিদিন এসব ফাঁদে দুই থেকে চার কেজি পর্যন্ত চিংড়ি ধরা পড়ে। কখনো আরও বেশি। পাইকারি দরে প্রতি কেজি চিংড়ি বিক্রি হয় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। আষাঢ় থেকে কার্তিক পর্যন্ত এভাবেই চলে চিংড়ি শিকার। তবে বর্ষা মৌসুমে সংসার চলে ভালোভাবে।
অন্তেহরি গ্রামের উজ্জ্বল বিশ্বাস এই প্রতিবেদককে জানান, চিংড়ি ধরার জন্য ‘কিরণমালা’ একটি অভিনব ও কার্যকর ফাঁদ, যা প্লাস্টিকের বোতল, দড়ি এবং বাঁশের কুঠি দিয়ে তৈরি হয়। এই ফাঁদে টোপ বা মাছের খাবার দেওয়া থাকে, যা চিংড়ির আকর্ষণ করে এবং ফাঁদের ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়, এরপর চিংড়ি আটকা পড়ে। জেলেরা নৌকাযোগে হাওরে গিয়ে সারারাত ধরে এই ফাঁদগুলো পেতে রাখে এবং পরের দিন সকালে চিংড়ি ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন।
অন্যদিকে কাদিপুর গ্রামের মিঠুন সরকার জানান, ৪০০টি ফাঁদ নিয়ে তিনি হাওরে যাচ্ছেন। যে যার সুবিধামতো হাওরের পানিতে ফাঁদগুলো পেতে রাখেন। কেউ কাছাকাছি ফাঁদ ফেলে রাতে ফিরে আসেন, আবার কেউ হাওরের অনেকটা ভেতরে চলে যান। হাওরেই রাত কাটান।
একই গ্রামের সংকর সরকার বলেন, মাছ ধরা তাদের পেশা। বর্ষা এলে মাছ ধরেই তাদের সংসার চলে। প্রতিদিন শতাধিক নৌকা হাওরে নামে শুধু চিংড়ির টোপ ফেলতে। যা দিয়ে তাদের জীবন চলে, চলে সংসার বাচ্চাদের পড়াশোনাসহ চিকিৎসা।

মন্তব্য

p
উপরে