× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Arson terrorism will stop only if the order financiers are prosecuted Information Minister
google_news print-icon

হুকুমদাতা অর্থদাতাদের বিচার হলেই অগ্নিসন্ত্রাস বন্ধ হবে: তথ্যমন্ত্রী

হুকুমদাতা-অর্থদাতাদের-বিচার-হলেই-অগ্নিসন্ত্রাস-বন্ধ-হবে-তথ্যমন্ত্রী
ছবি: নিউজবাংলা
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে তারা আগুনসন্ত্রাস চালিয়েছিল খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আর এখন চালানো হচ্ছে তারেক জিয়ার নেতৃত্বে।’

জীবন্ত দগ্ধ মানুষদের আর্তনাদ কি বিএনপি-জামাতের কানে পৌঁছায় না?- প্রশ্ন রেখে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, অগ্নিসন্ত্রাসী ও তাদের হুকুমদাতা, অর্থদাতাদের বিচার হলেই কেবল অগ্নিসন্ত্রাস বন্ধ হবে।

রোববার দুপুরে রাজধানীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ‘অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ’ সংগঠন আয়োজিত ‘মানবাধিকার লংঘনকারী বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসী ও হুকুমদাতাদের বিচার চাই’ শীর্ষক মানববন্ধন ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

‘অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ’-এর আহ্বায়ক শাহাদত হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে সমাবেশে অ্যাডভোকেট খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন এমপি, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আনোয়ার হোসেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে উপস্থিত যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল বোমা হামলায় নিহত নাহিদের মা রুনি বেগম, আগুনে ঝলসে যাওয়া সালাউদ্দিন ভূঁইয়াসহ অনেক আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্যরা অগ্নিসন্ত্রাসী ও মদদদাতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

তাদের দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বা দ্রুততম সময়ে বিচারের মাধ্যমে ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে যারা আগুনসন্ত্রাস চালিয়েছিল, তাদের এবং তাদের হুমুকদাতা ও অর্থদাতাদের যদি আমরা বিচার করতে পারতাম, তাহলে আজকে ২০২৩ সালে এই আগুনসন্ত্রাস হতো না। সেই সময় তারা আগুনসন্ত্রাস চালিয়েছিল খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আর এখন চালানো হচ্ছে তারেক জিয়ার নেতৃত্বে।’

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক দল অবরোধ ডেকে ঘরের মধ্যে ঘুমিয়ে থাকে আর তাদের কিছু কর্মী সন্ত্রাসী আর কিছু মানুষ ভাড়া করে তাদের হাতে পেট্রোল বোমা তুলে দিয়ে চোরাগোপ্তা হামলা করাচ্ছে, গাড়িতে আগুন দেয়াচ্ছে। এটি কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হতে পারে না। পৃথিবীর কোথাও গত দুই দশকে রাজনীতির জন্য এভাবে আগুনসন্ত্রাস করে মানুষ পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘটে নাই, যেটি বাংলাদেশে বিএনপি-জামাত করছে।’

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আজকে সকালে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন থেকে এসেছি। সেখানে কমনওয়েলথ সেক্রেটারির সঙ্গে বৈঠকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় প্রশ্ন রেখেছিলাম- পৃথিবীর কোথাও রাজনীতির কারণে এভাবে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করা, নিরীহ মানুষকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হত্যা করা হচ্ছে কি না, যেটি বাংলাদেশে বিএনপি জামাত ঘটাচ্ছে। তার পুরো দল স্বীকার করেছে- পৃথিবীর অন্য কোথাও এটি ঘটছে না; গত ২০ বছরে কোথাও ঘটে নাই।’

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি-জামাতের খাসলত বদলাবে আশা করেছিলাম, কিন্তু না, তারা আবার সেই পুরনো আগুনসন্ত্রাস শুরু করেছে। আসলে কয়লা ধুলে ময়লা যায় না। বিএনপি-জামায়াতও কখনো ভালো হবে না। সুতরাং এদেরকে প্রতিহত করতে হবে। গত এক মাসে তারা ৫৮০টি গাড়িতে আগুন দিয়েছে। অনেক ড্রাইভার-হেলপারকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করেছে। আর এই সমস্ত কিছু পরিচালিত হচ্ছে তারেক রহমান আর বিএনপি নেতাদের নির্দেশে। সুতরাং তারাও দোষী এবং এই অগ্নিসন্ত্রাসের যারা শিকার তাদের আর্তনাদ ও দাবী অনুযায়ী নেতাদেরকেও বিচারের আওতায় আনতে হবে।’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Inauguration of American Faco Machine in Eye Hospital in Kulaura

কুলাউড়ায় চক্ষু হাসপাতালে আমেরিকান ফ্যাকো মেশিনের উদ্বোধন

কুলাউড়ায় চক্ষু হাসপাতালে আমেরিকান ফ্যাকো মেশিনের উদ্বোধন

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় চক্ষু হাসপাতালে যুক্ত হলো উন্নত প্রযুক্তির অত্যাধুনিক ফ্যাকো মেশিন। শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাতে পৌরশহরের উছলাপাড়াস্থ জুঁই প্লাজায় অবস্থিত হাসপাতালে নতুন এ মেশিনের ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন কুলাউড়া প্রেসক্লাব সভাপতি এম শাকিল রশীদ চৌধুরী।

হাসপাতালের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সৌম্য প্রদীপ ভট্টাচার্য সজলের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল ওয়াহিদ। বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই চক্ষু রোগীদের সার্বিক চিকিৎসা, পরামর্শ, চোখের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের মাধ্যমে কৃত্রিম লেন্স সংযোজন সেবা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি সার্বক্ষণিক অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, চশমা ও ওষুধ সরবরাহের ব্যবস্থাও রয়েছে।

চেয়ারম্যান সৌম্য প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, শুরু থেকেই আমরা স্বল্প খরচে রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে আসছি। এখন থেকে রোগীরা আরও আধুনিক সেবা পাবেন। হাসপাতালে আমেরিকা থেকে আমদানিকৃত ‘এলকন ইনফিনিটি ফ্যাকো মেশিন’ সংযোজন করা হয়েছে, যা দিয়ে উন্নত মানের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রবীণ চিকিৎসক ডা. অরুনাভ দে, বিশিষ্ট ফার্মেসি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সেলুর রহমান প্রমুখ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মীর মো. মঈন উদ্দিন ইমন, হাসপাতালের পরিচালক ইন্তাজ আলী, জালাল উদ্দিন, সত্যজিৎ ভট্টাচার্য, ডা. হেমন্ত পাল, বুরহান উদ্দিন, জিয়াউর রহমান বাবলু, জুবায়ের আবেদিন, মুক্তাদির আলী, শফিক মিয়া আফিয়ান, তোফায়েল আহমদ ডালিম, ম্যানেজার মো. জাহিদ আহমদ, মার্কেট মালিক আব্দুস শহীদ প্রমুখ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Autorickshaw driver

পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে অ্যাসিড হামলার শিকার অটোরিকশা চালক

পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে অ্যাসিড হামলার শিকার অটোরিকশা চালক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে মাত্র ৭০০ টাকা পাওনা চাওয়াকে কেন্দ্র করে আবির মিয়া (২৬) নামে এক অটোরিকশাচালকের ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। একই সঙ্গে তাকে 'চোর' অপবাদ দিয়ে জোরপূর্বক মাথা নেড়া করে দেওয়া হয়। শুক্রবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের কনিকাড়া এলাকায় এ নৃশংস ঘটনা ঘটে।

আহত আবির মিয়া নবীনগর পূর্ব ইউনিয়নের বগডহর গ্রামের আরফাত আলীর ছেলে। বর্তমানে তিনি গুরুতর অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন।

আবির মিয়া জানান, নবীনগরের আলিয়াবাদ গ্রামের অটোরিকশাচালক ওবায়দুল মিয়ার কাছে তার ৭০০ টাকা পাওনা ছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় দেখা হলে তিনি টাকা চাইলে ওবায়দুল তা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতির একপর্যায়ে ওবায়দুল তার গায়ে অটোরিকশার ব্যাটারির অ্যাসিড নিক্ষেপ করেন। পরে আরও কয়েকজন মিলে তাকে 'চোর' অপবাদ দিয়ে মাথা কামিয়ে হেনস্তা করে।

স্থানীয়রা তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ বিষয়ে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর ইসলাম বলেন, "এ ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Poorism farming is becoming profitable in Rangpur region

রংপুর অঞ্চলে লাভজনক হয়ে উঠছে চীনাবাদাম চাষ

রংপুর অঞ্চলে লাভজনক হয়ে উঠছে চীনাবাদাম চাষ

রংপুর অঞ্চলে কৃষকদের কাছে লাভজনক হয়ে উঠছে চীনাবাদাম চাষ। রংপুর কৃষি অঞ্চলের পাঁচ জেলার কৃষকরা এ বছরের রবি ও সদ্য সমাপ্ত খরিফ-১ মৌসুমে রেকর্ড ২৩ হাজার ১২ টন চীনাবাদাম উৎপাদন করেছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, কৃষকরা তাদের উৎপাদিত চীনাবাদাম পাইকারদের কাছে মানভেদে মণ প্রতি (প্রতি ৪০ কেজি) ৪ হাজার ২০০ থেকে ৪ হাজার ৪০০ টাকা বিক্রি করতে পারছে। চীনাবাদাম চাষে উচ্চ মুনাফা পাওয়ায় আনন্দিত এ অঞ্চলের কৃষকরা।

রংপুর অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘গত রবি মৌসুমে এই অঞ্চলে ৫ হাজার ৭৬১ হেক্টর জমি থেকে ১২ হাজার ৩৮০ টন চীনাবাদাম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু কৃষকরা শেষ পর্যন্ত ৫ হাজার ৬৭৯ হেক্টর জমিতে চীনাবাদাম চাষ করেছে এবং গত রবি মৌসুমে ১১ হাজার ৯২৮ টন উৎপাদন করেছে।’

একইভাবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খরিফ-১ মৌসুমে এই অঞ্চলের রংপুর, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও নীলফামারী জেলার জন্য ৫ হাজার ৩৮৪ হেক্টর জমি থেকে ১১ হাজার ৪৭০ টন চীনাবাদাম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল।

কৃষিবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘সদ্য শেষ হওয়া খরিফ-১ মৌসুমে কৃষকরা ৫ হাজার ২৫৩ হেক্টর জমিতে চীনাবাদাম চাষ করেছে এবং ১১ হাজার ৮৪ টন ফসল উৎপাদিত হয়েছে।’

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রংপুর অঞ্চলের কৃষকরা বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) উদ্ভাবিত উচ্চ-ফলনশীল জাতের চীনাবাদাম চাষ করে ভালো ফলন পাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের ক্রমবর্ধমান খাদ্য খাতে চীনাবাদামের চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কৃষকরা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাম্পার ফলন এবং ভালো দাম পাওয়ায় চাষের মূল জমি এবং বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে চীনাবাদামের চাষের হার বাড়িয়েছে।’

দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের পিএইচডি ফেলো মো. মামুনুর রশিদ বলেন, ‘প্রতি একর জমিতে ২২ থেকে ২৮ মণ চীনাবাদাম উৎপাদন করে কৃষকরা ৮০ হাজার টাকা আয় করতে পারেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত কয়েক বছরে চরের সাধারণ কৃষক এবং সাধারণ মানুষ চীনাবাদাম চাষকে লাভজনক অর্থকরী ফসল হিসেবে বিবেচনা করে এর প্রতি ঝুঁকছে। চীনাবাদাম চাষ তাদের জীবিকা ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ঘটিয়েছে।’

এছাড়াও খাদ্য ও কৃষি পণ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদা ও ভালো দামের কারণে চাষের জমি এবং নদী তীরবর্তী বিশাল বালুকাময় চরাঞ্চলে প্রতি বছর চীনাবাদাম চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

রংপুর সিটি মার্কেটের চীনাবাদাম ব্যবসায়ী মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘ গত খরিফ-১ মৌসুমে জাত ও মান ভেদে কৃষকরা প্রতি মণ চীনাবাদাম ৪ হাজার ২০০ থেকে ৪ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি করছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘রংপুরের পাঁচটি জেলার গ্রামাঞ্চলের স্থানীয় বাজারে কৃষকদের কাছ থেকে চীনাবাদাম কিনে আমরা খুচরা বিক্রেতাদের কাছে মণ প্রতি ৪ হাজার ৮০০ থেকে ৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি করি।’

রংপুরের গঙ্গাচড়া ও কাউনিয়া উপজেলার আনোয়ারুল ইসলাম, লুৎফর রহমান, ইয়াসিন আলী, সাইদুল ইসলাম, নুরুল হক এবং মোহাম্মদ আলী বলেন, গত রবি ও খরিফ-১ মৌসুমে তারা চীনাবাদামের বাম্পার ফলন পেয়েছেন এবং দামও ভালো ছিল।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
This years Daksu elections will be voted in that center

এবারের ডাকসু নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে ৮ কেন্দ্রে

ক্যাম্পাসে প্রচারণার ব্যানার-বিলবোর্ড সরিয়ে ফেলার নির্দেশ
এবারের ডাকসু নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে ৮ কেন্দ্রে

ক্যাম্পাসের ৮টি কেন্দ্রে এবারের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল, অমর একুশে হল ও ফজলুল হক মুসলিম হলের শিক্ষার্থীদের ভোটগ্রহণ করা হবে কার্জন হল কেন্দ্রে। শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে ভোট দেবেন জগন্নাথ হল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের শিক্ষার্থীরা। ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) ভোট দেবেন কেবল রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া বাংলাদেশ–কুয়েত মৈত্রী হল ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ছাত্রীরা ভোট দেবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব কেন্দ্রে।

এতে আরও বলা হয়, নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে স্যার এ এফ রহমান হল, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ও বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থীদের জন্য। সূর্য সেন হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও কবি জসীম উদ্‌দীন হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দেবেন উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগ কেন্দ্রে ভোট দেবেন কবি সুফিয়া কামাল হল এবং ইউল্যাব স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেবেন শামসুন নাহার হলের শিক্ষার্থীরা।

অন্যদিকে, গতকাল শুক্রবার দেওয়া আরেকটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের উদ্দেশে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যেসব প্রচারণামূলক বিলবোর্ড/ব্যানার টানানো রয়েছে কিংবা ইতোমধ্যে টানানো হয়েছে, সেগুলো অনতিবিলম্বে সরিয়ে ফেলতে হবে। প্রচারণা শুরুর নির্ধারিত দিন থেকে আচরণবিধি অনুযায়ী প্রচারকাজ চালানো যাবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৫ সালের ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী ও সংশ্লিষ্ট পক্ষকে জানানো যাচ্ছে যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যেসব প্রচারণামূলক বিলবোর্ড/ব্যানার টানানো রয়েছে কিংবা ইতোমধ্যে টানানো হয়েছে, সেগুলো অনতিবিলম্বে সরিয়ে ফেলতে হবে।

প্রচারণা শুরুর নির্ধারিত দিন থেকে আচরণবিধি অনুযায়ী প্রচার কাজ চালানো যাবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে আলাদা আরেকটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডাকসু নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা ২১ থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত কেউ হল কিংবা ক্যাম্পাসে প্রচারণা চালাতে পারবেন না। ২৬ আগস্ট থেকে প্রার্থীরা প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এই সময়ের মধ্যে প্রচারণা চালালে সেটি ডাকসু নির্বাচনের আচরণবিধি ভঙ্গ হিসেবে বিবেচিত হবে। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গত বৃহস্পতিবার ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী, ডাকসুতে ২৮ পদে ৪৬২ জন আর হল সংসদে ১ হাজার ১০৮ জন বৈধ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ডাকসুতে ৪৭ জন এবং হল সংসদে একজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। বাতিল হওয়া প্রার্থীরা ২৩ আগস্টের মধ্যে আপিল করতে পারবেন।

প্রাথমিক তালিকা অনুযায়ী, এবার ডাকসুতে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ৪৮ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ১৯ জন এবং সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) ২৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তবে চূড়ান্ত তালিকায় এই সংখ্যা কমতে বা বাড়তে পারে।

তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ আগস্ট দুপুর ১টা পর্যন্ত। প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৬ আগস্ট বিকেল ৪টায়। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Train disruption in the airport area

বিমানবন্দর এলাকায় ট্রেন লাইনচ্যুত, ঢাকামুখী ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন

বিমানবন্দর এলাকায় ট্রেন লাইনচ্যুত, ঢাকামুখী ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন

ঢাকা থেকে জামালপুরের তারাকান্দি পর্যন্ত চলাচলকারী আন্তনগর যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকার বিমানবন্দর রেলস্টেশনে প্রবেশের মুখে লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে ঢাকামুখী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

শনিবার (২৩ আগস্ট) সকাল ৮টা ১০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে বলে রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

কমলাপুর রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। লাইনচ্যুত বগি সরিয়ে নিতে কাজ চলছে।

তিনি জানান, দুর্ঘটনার পর কমলাপুর থেকে রিলিফ ট্রেন পাঠানো হয়েছে। এতে ঢাকার বাইরে থেকে আসা ট্রেনগুলো বিমানবন্দর স্টেশনে ঢুকতে সমস্যা হচ্ছে। তবে ঢাকার ভেতর থেকে ট্রেন বের হওয়ার লাইন সচল আছে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে কামরুলাপুর থেকে দেশের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল— এমন কয়েকটি ট্রেন নির্ধারিত সময়ে ছাড়তে নাও পারে। ফলে যাত্রীদের দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হতে পারে।

প্রত্যাশিত সময়ে ট্রেন না ছাড়ায় কামরুলাপুরে অপেক্ষমাণ যাত্রীরা ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The body of the missing journalist Bibhuranjan was found in Meghna

নিখোঁজ সাংবাদিক বিভুরঞ্জনের লাশ মিলল মেঘনায়

নিখোঁজ সাংবাদিক বিভুরঞ্জনের লাশ মিলল মেঘনায়

নিখোঁজের পরদিন মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদী থেকে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও কলাম লেখক বিভুরঞ্জন সরকারের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার বিকেলে গজারিয়ার কলাগাছিয়া এলাকার চর বলাকিয়ায় তার মৃতদেহ ভাসতে দেখা যায়। খবর পেয়ে নৌপুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।

সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকার (৭১) দৈনিক আজকের পত্রিকার জ্যেষ্ঠ সহকারী সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়জনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার দুপুর একটার দিকে গজারিয়া উপজেলাধীন মেঘনা নদীর চর বলাকী এলাকায় একজন পুরুষের লাশ ভেসে থাকতে দেখেন তারা। বিষয়টি স্থানীয়রা পুলিশকে জানালে তারা এসে লাশটি উদ্ধার করে।

স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘শুক্রবার জুমার দিন, আমি বাসা থেকে নামাজের প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদে যাওয়ার জন্য বের হয়েছিলাম। যাবার পথে দেখলাম মেঘনা নদী থেকে আমাদের বাজারের দিকে যাবার খালে এক ব্যক্তির লাশ ভাসছে। লাশটি উল্টা হয়ে ছিল তবে এটি কিভাবে এখানে আসল তা আমার জানা নেই। নামাজ পড়ে এসে দেখি উৎসুখ জনতার ভিড় জমে গেছে। পরে আমরা বিষয়টি পুলিশকে জানাই’।

নৌপুলিশের নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন জানান, মৃতদেহ দেখে ধারণা করা হচ্ছে একদিন আগে তার মৃত্যু হয়। মৃতদেহ কিছুটা বিকৃত হতে শুরু করেছে। দেহে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। ময়নাতদন্তে তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে তিনি বাসা থেকে বের হন। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ মেলেনি। এ বিষয়ে রাজধানীর রমনা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে কর্মস্থল বনশ্রীর ‘আজকের পত্রিকা’ কার্যালয়ে যাওয়ার কথা বলে তিনি বাসা থেকে বের হন। যদিও পরে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, তিনি সেখানে যাননি। তিনি মোবাইল ফোনটিও বাসায় ফেলে যান। ‘আজকের পত্রিকা’ সূত্রে জানা যায়, ১৬ আগস্ট থেকে সাত দিনের ছুটিতে ছিলেন বিভুরঞ্জন।

বিভুরঞ্জন সরকারের ভাই চিররঞ্জন সরকার বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুকে লেখেন, ‌আমার দাদা সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকার বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় অন্যান্য দিনের মতো অফিস (আজকের পত্রিকা) যাবেন বলে বাসা থেকে বের হন। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি অফিসে যাননি। পরিচিত পরিমণ্ডলের কোথাও যাননি। আজ কেউ তাকে দেখেননি। রাত ১টা পর্যন্ত বাসায় ফেরেননি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The UN observer acknowledges the famine in Gaza

গাজায় দুর্ভিক্ষের কথা স্বীকার করল জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক সংস্থা

‘মানবসৃষ্ট বিপর্যয়: সমগ্র বিশ্বের জন্য লজ্জাজনক ব্যর্থতা’
গাজায় দুর্ভিক্ষের কথা স্বীকার করল জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক সংস্থা

গাজা শহর এবং এর আশেপাশের এলাকাগুলো এখন দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন বলে প্রথমবারের মতো স্বীকার করল জাতিসংঘ-সমর্থিত বৈশ্বিক ক্ষুধা পর্যবেক্ষক সংস্থা ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন (আইপিসি)।

বিশ্বজুড়ে ক্ষুধার মাত্রা চিহ্নিত করার জন্য সরকার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো আইপিসির মানদণ্ড ব্যবহার করে থাকে। সংস্থাটি খাদ্য সংকটের মানদণ্ডে গাজা শহরকে তাদের শ্রেণীবিভাগে ‘পঞ্চম পর্যায়ে’ উন্নীত করেছে। অর্থাৎ গাজায় খাদ্য সংকট সর্বোচ্চ এবং সবচেয়ে গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছেছে।

আইপিসি জানিয়েছে, ২২ মাসের সংঘাতের পর পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি হচ্ছে। অনাহার, তীব্র অপুষ্টি এবং মৃত্যুহার - এটি একটি বিপর্যয়কর পরিস্থিতি। আরও ১১ লাখের মতো মানুষ জরুরি অবস্থার মুখোমুখি হচ্ছে (আইপিসি-চতুর্থ পর্যায়ে আছেন তারা)। সেই সঙ্গে ৩ লাখ ৯৬ হাজার মানুষ সংকটে রয়েছে (আইপিসি পর্যায় তিন-এ)।

জাতিসংঘের সংস্থা, এনজিও, কারিগরি সংস্থা এবং আঞ্চলিক সংস্থাসহ ২১টি সংস্থা নিয়ে গঠিত ‘আইপিসি’ গাজা উপত্যকায় তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা এবং তীব্র অপুষ্টি বিশ্লেষণ শুরু করার পর থেকে বর্তমানে সবচেয়ে গুরুতর অবনতি লক্ষ্য করা গেছে।

আইপিসি জানিয়েছে, ২০২৬ সালের জুন নাগাদ তীব্র অপুষ্টির কারণে পাঁচ বছরের কম বয়সি কমপক্ষে ১ লাখ ৩২ হাজার শিশুর মৃত্যু হতে পারে। ২০২৫ সালের মে মাসে প্রকাশিত আইপিসির আগের অনুমানের তুলনায় এই সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে।

সেই সঙ্গে অঞ্চলটিতে কমপক্ষে ৪১ হাজার গুরুতর রোগী রয়েছে, যাদের মৃত্যুর ঝুঁকি আরও বেড়েছে। আইপিসি বলেছে, প্রায় ৫৫ হাজার ৫০০ অপুষ্টিতে ভোগা গর্ভবতী এবং বুকের দুধ খাওয়ানো নারীর জরুরি পুষ্টি সহায়তার প্রয়োজন।

এদিকে, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, গাজার দুর্ভিক্ষ একটি মানবসৃষ্ট বিপর্যয়, একটি নৈতিক অবক্ষয় এবং মানবতারই ব্যর্থতা।

তিনি বলেন, ‘দুর্ভিক্ষ কেবল খাদ্যের জন্য নয়; এটি মানুষের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার ইচ্ছাকৃত পতন। মানুষ অনাহারে আছে। শিশুরা মারা যাচ্ছে। যাদের দায়িত্ব আছে তারা ব্যর্থ হচ্ছে।’

জাতিসংঘের প্রধান বলেন, আমরা এই পরিস্থিতিকে দায়মুক্তি দিয়ে চলতে দিতে পারি না। আর কোনো অজুহাত নেই। পদক্ষেপ নেওয়ার সময় আগামীকাল নয় - এখনই।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, অঞ্চলজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৬২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। একই সময়ে দেড় লাখের বেশি বেশি মানুষ আহত হয়েছে। অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।

চলতি বছরের শুরুতে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের পর ২৭ মে থেকে ইসরায়েল জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলোকে এড়িয়ে গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে একটি পৃথক সাহায্য বিতরণ উদ্যোগ শুরু করেছে। এতে সমর্থন দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এই পদক্ষেপ বিশ্বব্যাপী ত্রাণ সম্প্রদায় ব্যাপকভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।

ইসরায়েলি বাহিনী খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে শত শত মানুষ নিহত হচ্ছে।

গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য নেতানিয়াহু ও তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। উপত্যকাজুড়ে যুদ্ধের জন্য ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখি।

আইপিসির এই প্রতিবেদন দেওয়ার পর মানবিক দাতব্য সংস্থা ‘ইসলামিক রিলিফ’ বলেছে, গাজায় দুর্ভিক্ষের বিষয়ে আইপিসির নিশ্চিতকরণ ‘সমগ্র বিশ্বের জন্য লজ্জাজনক ব্যর্থতা’।

দাতব্য সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘প্রতিদিন আমাদের দল সেখানে আরও বেশি মানুষকে অনাহারে মারা যেতে দেখছে। শিশুরা আমাদের চোখের সামনে জীবন্ত কঙ্কাল হয়ে উঠছে। বিশ্ব এখনই ব্যবস্থা না নিলে আরও অনেক মানুষ মারা যাবে।’

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই দুর্ভিক্ষ কোনো দুর্ঘটনা নয়, এটি সম্পূর্ণরূপে মনুষ্যসৃষ্ট। ইসরায়েলের নিষ্ঠুর-অবৈধ অবরোধ এবং প্রতিদিন চলমান যুদ্ধাপরাধ বন্ধ করতে ব্যর্থ বিশ্ব নেতাদের সহযোগিতার কারণে এটি ঘটেছে। ব্যাপকভাবে দুর্ভিক্ষের ভবিষ্যদ্বাণী করা হলেও বারবার সতর্কবার্তা উপেক্ষা করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাহায্য সংস্থা ‘মার্সি কর্পস-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তজাদা ডিওয়েন ম্যাককেনা, গাজা শহরে দুর্ভিক্ষের জাতিসংঘের ঘোষণাকে ‘একেবারে ভয়াবহ, তবুও অবাক করার মতো নয়’ বলে বর্ণনা করেছেন।

তিনি বলেন, ‘সাহায্যের ওপর মাসের পর মাস ইচ্ছাকৃত নিষেধাজ্ঞা, খাদ্য, স্বাস্থ্য ও পানি ব্যবস্থা ধ্বংস এবং অবিরাম বোমাবর্ষণের প্রত্যক্ষ ফলাফল এটি। এটি একটি মানবসৃষ্ট বিপর্যয়, সম্পূর্ণরূপে প্রতিরোধযোগ্য এবং সম্পূর্ণরূপে অযৌক্তিক।’

ম্যাককেনা বলেন, মার্সি কর্পসের কর্মীরা ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন। আমরা আমাদের নিজস্ব দলের সদস্যদের না খেয়ে থাকতে দেখছি। তারা খাবারের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলেও খাবার এড়িয়ে যাচ্ছে, যাতে তাদের বাচ্চারা খেতে পারে। প্রতিদিন রুটি ও পানি খুঁজে পেতে তারা জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছে।

ম্যাককেনা আরও বলেন, ‘গাজায় আমরা যা দেখছি, তা হলো সর্বোচ্চ নৈতিক ব্যর্থতা। বিশ্ব জানে কীভাবে দুর্ভিক্ষ থামাতে হয় - আমাদের কেবল পদক্ষেপ নেওয়ার ইচ্ছাশক্তি প্রয়োজন।’

গাজায় দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে বিশ্ব ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করে দাতব্য সংস্থা অক্সফাম। তারা বলেছে, দাতব্য সংস্থাগুলো কয়েক মাস ধরে গাজায় যা প্রত্যক্ষ করছে, আইপিসির দুর্ভিক্ষ ঘোষণা সেটিই নিশ্চিত করেছে।

অক্সফামের নীতি প্রধান হেলেন স্টওস্কি বলেন, এই দুর্ভিক্ষ সম্পূর্ণরূপে খাদ্য ও গুরুত্বপূর্ণ সাহায্যের ওপর ইসরায়েলের অবরোধ, ইসরায়েলের সহিংসতার ভয়াবহ পরিণতি এবং যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে অনাহার ব্যবহারের কারণেই ঘটেছে।

তিনি বলেন, ‘জুলাই মাসে দুর্ভিক্ষ আসন্ন বলে সতর্ক করা সত্ত্বেও ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের খাদ্য থেকে বঞ্চিত করে চলেছে। দীর্ঘস্থায়ী মানবিক সংস্থাগুলোর প্রায় প্রতিটি অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। ক্ষুধা, অপুষ্টি এবং রোগ প্রতিরোধ করতে পারে - এমন গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য এবং সাহায্য সরবরাহ করতে বাধা দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েলের ওপর অর্থবহ চাপ প্রয়োগে যুক্তরাজ্য সরকারের ব্যর্থতা, শিশুসহ মানুষ অনাহারে মারা যাওয়ার সময় অলসভাবে দাঁড়িয়ে থাকা - এগুলো যতটা বিভ্রান্তিকর, ঠিক ততটাই নিন্দনীয়। এটা বন্ধ করতে হবে।’

মন্তব্য

p
উপরে