× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The Wangala festival of the Garos was celebrated with dancing and singing
google_news print-icon

নেচে-গেয়ে উদযাপিত হলো গারোদের ‘ওয়ানগালা’ উৎসব

নেচে-গেয়ে-উদযাপিত-হলো-গারোদের-ওয়ানগালা-উৎসব
গারো পাহাড়ের আদিবাসী নৃ-গোষ্ঠীর অন্যতম প্রধান উৎসব সাংস্কৃতিক ও কৃষ্টির নবান্ন বা ওয়ানগালা উৎসবের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গারোদের নিজস্ব ভাষায় গান ও নৃত্য পরিবেশিত হয়। ছবি: নিউজবাংলা
মরিয়মনগর ধর্মপল্লীতে ১৯৮৫ সাল থেকে ওয়ানগালা উৎসব পালন করা শুরু হয়। এ বছরও এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন তারা। প্রতিবছরই করা হবে এ উৎসবের আয়োজন। ওয়ানগালায় প্রার্থনা পরিচালনা করেন মরিয়মনগর ধর্মপল্লীর সহকারী পালপুরোহিত ও খামাল ফাদার নিকোলাস বাড়ৈ। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গারোদের নিজস্ব ভাষায় গান ও নৃত্য পরিবেশিত হয়।

গারো পাহাড়ের আদিবাসী নৃ-গোষ্ঠীর অন্যতম প্রধান উৎসব সাংস্কৃতিক ও কৃষ্টির নবান্ন বা ওয়ানগালা উৎসব। নতুন ফসল ঘরে উঠানোর পর প্রতিবছর উৎসব মুখর পরিবেশে হয়ে থাকে নৃ-গোষ্ঠীর এ উৎসব।

ময়মনসিংহ জেলার শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঐতিহ্যবাহী গারো পাহাড় এলাকায় গারোরা ওয়ানগালা উৎসবের আয়োজন করে থাকে প্রতিবছর। এবারও ২৬ নভেম্বর গারো পাহাড়ের ঝিনাইগাতী উপজেলার মরিয়মনগর ধর্ম পল্লীতে তারা সকলেই নেচে-গেয়ে মেতে উঠেন এ উৎসবে।

এ সম্প্রদায়ের লোকদের তথ্য মতে, এক সময় গারো পাহাড়ি এলাকায় জুম চাষ হতো। তখন ওই জুম বা ধান ঘরে উঠানোর সময় গারোদের শস্য দেবতা ‘মিসি সালজং’-কে উৎসর্গ করে এ উৎসবের আয়োজন করা হতো। এ সম্প্রদায় বিশ্বাস, তাদের শস্য দেবতা এক সময় পাহাড়ি এলাকার গারোদের হাতে কিছু শস্য দিয়ে বলেছিলেন, ‘তোমরা এটা রোপন করো তাতে তোমাদের আহারের সংস্থান হবে এবং তোমরা যে শস্য পাবে তা থেকে সামান্য কিছু শস্য আমার নামে উৎসর্গ করবে।’ এরপর থেকেই গারোরা তাদের শস্য দেবতাকে এই ফসল উৎসর্গ করে। কিন্তু গারো পাহাড়ের অধিকাংশ গারো ক্যাথলিক খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত হওয়ায় এখন ধর্মীয় ও সামাজিক ভাবে একত্রে করে পালন করা হয় এ উৎসব। এখন নতুন ফসল কেটে যিশু খৃস্ট বা ঈশ্বরকে উৎসর্গ করে ওয়ানগালা পালন করেন তারা। সীমান্তবর্তী শেরপুর জেলার গারো পাহাড়ের নৃ-গোষ্ঠির বা আদিবাসীরা মনে করে ইশ্বরের দয়ায় তারা ফসল উৎপাদন করে থাকে। তাই তারা প্রতি বছরের ন্যায় আয়োজন করে থাকে নবান্ন বা গারোদের ভাষায় ওয়ানগালা উৎসব।

নেচে-গেয়ে উদযাপিত হলো গারোদের ‘ওয়ানগালা’ উৎসব

প্র‍থমে সকাল ৯টার দিকে থক্কা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু হয় এ উৎসব। এরপর ১০টার দিকে প্রার্থনা, ১২টার দিকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, দুপর ২টার দিকে বা‌ড়ি বা‌ড়ি কীর্তনের সঙ্গে উৎসবে মেতে ওঠে নৃ-গোষ্ঠীর নারী-পুরুষ ও শিশুরা। সর্বশেষ বেলা ৩টা থে‌কে প্রী‌তিভোজের আয়োজন হয়ে থাকে।

মরিয়মনগরের রওনু নকরেক বলেন, ‘আমরা এ দিনটি অনেক আনন্দের সঙ্গে কাটাই। আমাদের নতুন ফসল ঘরে তোলার আগে তার কিছু অংশ প্রভুর নামে উৎসর্গ করি। আবার যেন পরের বছর এ বছরের চেয়ে ভালো ফলন পাই।’

আরেক দ্রনিতা ধারিং বলেন, ‘আমরা আসলে নতুন ফসল প্রভুকে উৎসর্গ করার জন্যই এই উৎসব পালন করে থাকি। এটা আমাদের নবান্ন উৎসব। এ উৎসবকেই আমরা ওয়ানগালা বলে থাকি। আমরা সারাদিন নেচে-গেয়ে কাটাই। আমাদের আগের লোকেরা এই কালচার করে গেছে তাই আমরাও তা পালন করে থাকি।’

তামিম চাম্বু গং বলেন, ‘নতুন ফসল হওয়ার পর আমরা প্রভুকে আগে ফসল উৎসর্গ করে থাকি। তারপর আমরা খাই। আমরা বছরের একই সময় এইটা পালন কইরা থাকি। এখানে আগের যুগের আদিকৃস্টির ব্যবহার করি। নতুন ফসল উৎসর্গ করার মাধ্যমে খৃষ্ট রাজাকে সম্মান করা হয়। এ উৎসবে অনেক বন্ধু- বান্ধব একসঙ্গে হতে পারে। বাড়িতে বাড়িতে অতিথিরা আসে।’

নেচে-গেয়ে উদযাপিত হলো গারোদের ‘ওয়ানগালা’ উৎসব

মরিয়মনগর ধর্মপল্লীতে ১৯৮৫ সাল থেকে ওয়ানগালা উৎসব পালন করা শুরু হয়। এ বছরও এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন তারা। প্রতিবছরই করা হবে এ উৎসবের আয়োজন। ওয়ানগালায় প্রার্থনা পরিচালনা করেন মরিয়মনগর ধর্মপল্লীর সহকারী পালপুরোহিত ও খামাল ফাদার নিকোলাস বাড়ৈ। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গারোদের নিজস্ব ভাষায় গান ও নৃত্য পরিবেশিত হয়।

মরিয়মনগর ধর্মপল্লীর পালপুরোহিত ও খামাল ফাদার বিপুল ডেভিড দাস বলেন, ‘আমরা তাকে রাজা হিসেবে মানি। শান্তি রাজ হিসেবে তিনি সারা পৃথিবীতে শান্তি ছড়িয়ে দিয়েছেন। শান্তির বার্তা দিয়েছেন। ওয়ানগালা হলো আদিবাসীদের ধন্যবাদদের উৎসব। যা আমরা বাঙালিরা নবান্ন বলে পালন করি। তিনি এ সমস্ত শস্যের উৎস দান করে থাকেন। তাই আদিবাসীরা তার প্রতি খুশি হয়ে কৃতজ্ঞতা জানান এ উৎসবের মাধ্যমে। সুপ্রাচীনকাল থেকে গারো সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিকে নতুন প্রজন্ম ও বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কাছে তুলে ধরাই এর মূল লক্ষ্য।’

তিনি জানান, উৎসব ঘিরে ধর্মপল্লীর ও গারো পাহাড়ে আদিবাসীদের মাঝে বইছে আনন্দ।

আরও পড়ুন:
আদিবাসীদের জন্য বিশেষ গুচ্ছগ্রামের ভাবনা
পর্যটনের নামে উচ্ছেদ ও ইসলামীকরণের প্রতিবাদ পাহাড়ে
‘আদিবাসী’র স্বীকৃতি চান পাহাড়িরা
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীতে চাকমা বেশি, সবচেয়ে কম ভিল জনগোষ্ঠী
দ্রৌপদী মুর্মুর সাফল্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর শোভাযাত্রা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Durgotsava ended with sacrifice

বিসর্জনে শেষ হলো দুর্গোৎসব

বিসর্জনে শেষ হলো দুর্গোৎসব রাজধানীর বসিলায় বুড়িগঙ্গা নদীতে রোববার বিকেলে একে একে বিভিন্ন পূজামণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়। ছবি: নিউজবাংলা
বিজয়া দশমীর দিনে রাজধানীতে বের হয় বর্ণাঢ্য বিজয়া শোভাযাত্রা। পরে শত শত ট্রাক প্রতিমা নিয়ে সদরঘাটের উদ্দেশে রওনা দেয়। সেখানে পালাক্রমে বুড়িগঙ্গা নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়। একই সময়ে রাজধানীর উপকণ্ঠে তুরাগ নদেও চলে বিসর্জন।

প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে রোববার শেষ হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।

সকালে দর্পণ-বিসর্জনের মাধ্যমে বিদায় জানানো হয় দেবী দুর্গাকে। পরে বিকেল ৪টা থেকে শুরু হয় প্রতিমা বিসর্জন। বিদায়ের করুণ ছোঁয়ায় রাজধানীতে একে একে বুড়িগঙ্গা নদীতে বিসর্জন দেয়া হয় প্রতিমা। একই সময় রাজধানীর উপকণ্ঠে তুরাগ নদেও চলে বিসর্জন।

প্রতিমা বিসর্জনের জন্য সব ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সড়কে ব্যাপকসংখ্যক পুলিশের পাশাপাশি নদীতে ছিল নৌপুলিশের টহল। ফায়ার সার্ভিসের টিমও দায়িত্ব পালন করে।

এদিকে দুপুরে পূজা উদযাপন পরিষদ এবং মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির যৌথ উদ্যোগে বের হয় বর্ণাঢ্য বিজয়া শোভাযাত্রা। বিজয়া শোভাযাত্রা ও প্রতিমা বিসর্জনে অংশ নিতে দুপুর গড়াতেই ভক্তরা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার পূজামণ্ডপ থেকে ট্রাকে করে প্রতিমা নিয়ে সমবেত হতে শুরু করেন পলাশীর মোড়ে।

পরে শত শত ট্রাক প্রতিমা নিয়ে সদরঘাটের উদ্দেশে রওনা দেয়। ঢাকেশ্বরী থেকে শুরু করে বিজয়া শোভাযাত্রাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, হাইকোর্ট, পুলিশ হেডকোয়ার্টার, গোলাপ শাহ মাজার, কোর্ট এলাকা হয়ে সদরঘাটে পৌঁছে। রাস্তায়, বিভিন্ন ভবনে পুলিশ ছিল সতর্কাবস্থায়। রাস্তার পাশে দর্শনার্থীর ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

অধিকাংশ মণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হলেও ঢাকেশ্বরী মন্দিরের প্রতিমাটি রেখে দেয়া হয়। তবে এখানে পূজার কাজে ব্যবহৃত দেবীর ফুল, বেলপাতা ও ঘট বিসর্জন দেয়া হয়।

প্রথা অনুযায়ী প্রতিমা বিসর্জনের পর সেখান থেকে জল এনে (শান্তিজল) মঙ্গলঘটে নিয়ে তা আবার হৃদয়ে ধারণ করা হয়। আগামী বছর আবার এই শান্তিজল হৃদয় থেকে ঘটে, ঘট থেকে প্রতিমায় রেখে পূজা করা হবে।

রামকৃষ্ণ মিশনে সন্ধ্যা আরতির পর মিশনের পুকুরে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়। এরপর ভক্তরা শান্তিজল গ্রহণ ও মিষ্টিমুখ করেন।

সারা দেশে এ বছর ৩১ হাজার ৪৬১টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা মহানগরে পূজার সংখ্যা ছিল ২৫২টি। এসব মণ্ডপে শারদীয় উৎসব নির্বিঘ্নে উদযাপন করার জন্য প্রশাসনের পাশাপাশি প্রতিটি পূজা উদযাপন কমিটিও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। মণ্ডপে মণ্ডপে লাগানো হয় সিসিটিভি ক্যামেরা। স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি করা হয় মণ্ডপ পাহারার জন্য।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাসমতে- মানুষের মনের আসুরিক প্রবৃত্তি, কাম, ক্রোধ, হিংসা, লালসা বিসর্জন দেয়াই মূলত বিজয়া দশমীর মূল তাৎপর্য। এ প্রবৃত্তিগুলোকে বিসর্জন দিয়ে একে অন্যের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করাই এই আয়োজনের উদ্দেশ্য।

চণ্ডীপাঠ, বোধন ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে ষষ্ঠী তিথিতে ‘আনন্দময়ীর’ আগমনে ৯ অক্টোবর দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের সূচনা হয়। পরবর্তী ৫ দিন রাজধানীসহ দেশব্যাপী পূজামণ্ডপগুলোতে পূজা-অর্চনার মধ্য দিয়ে ভক্তরা দেবী দুর্গার প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন। দশমী তিথিতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় দুর্গোৎসব।

দেবী দুর্গা এ বছর মর্ত্যে আগমন করেন দোলা বা পালকিতে চড়ে। দেবীর এই আগমনের ফলাফল হবে মড়ক, যা শুভ ইঙ্গিত নয়। এ ছাড়াও দেবী স্বর্গে ফিরে যাবেন ঘোটক বা ঘোড়ায় চড়ে।

শাস্ত্রমতে, দেবীর গমন বা আগমন ঘোটকে হলে ফলাফল ছত্রভঙ্গ হয়। ঘোটকে গমন সামাজিক ও রাজনৈতিক বিশৃঙ্খল অবস্থাকে ইঙ্গিত করে। এটি যুদ্ধ-বিগ্রহ, আশান্তি, বিপ্লবের ইঙ্গিতবহ।

সনাতন ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দেবী ফিরে গেলেন স্বর্গলোকের কৈলাসে স্বামীর ঘরে। পরের বছর শরতে আবার তিনি আসবেন এই ধরণীতে, যা তার বাবার গৃহ।

আরও পড়ুন:
এবারের দুর্গাপূজা হবে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দুর্গাপূজা উপলক্ষে নিয়ন্ত্রণকক্ষ চালু ধর্ম মন্ত্রণালয়ের
শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু
শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু কাল
দুর্গাপূজা কেন্দ্র করে ঢাকায় কোনো হুমকি নেই: ডিএমপি কমিশনার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
No security risk during Durga Puja Home Advisor

দুর্গাপূজায় কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

দুর্গাপূজায় কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী রোববার বিকেলে রাজধানীতে রমনা কালীমন্দির পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ছবি: সংগৃহীত
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘পার্শ্ববর্তী দেশ অনেক কিছুই বলছে- সেটা আপনারা জানেন। অনুরোধ করব, আপনারা সত্যি ঘটনা মিডিয়ায় তুলে ধরবেন। আমরা সত্যি ঘটনা সবাইকে জানাতে চাই।’

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, আসন্ন দুর্গাপূজা ঘিরে কোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। নির্বিঘ্ন ও শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে।

রোববার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শ্রীশ্রী রমনা কালীমন্দির পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আসন্ন দুর্গাপূজা নির্বিঘ্ন ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। মাঠ প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ইতোমধ্যে আট দফা নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।

তাছাড়া দুর্গাপূজায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ, র‌্যাব ও আনসারের পর্যাপ্ত সদস্যের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী মোতায়েন থাকবে। কোথাও কোনো ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে তথ্য পেতে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, এবার সব পূজামণ্ডপে পূজা উদযাপন কমিটির মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অনেক সময় দেখা যায়, স্বেচ্ছাসেবকদের রাত ৩টার পর পূজামণ্ডপে পাওয়া যায় না। এবার কোনো স্বেচ্ছাসেবক কোনো পূজামণ্ডপ ছেড়ে যাবেন না। তারা ২৪ ঘন্টাই দায়িত্ব পালন করবেন। তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করবেন। তাদের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদান করতে সুবিধা হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘পার্শ্ববর্তী দেশ অনেক কিছুই বলছে- সেটা আপনারা জানেন। আপনাদের অনুরোধ করব, আপনারা সত্যি ঘটনা মিডিয়ায় তুলে ধরবেন। আমরা সত্যি ঘটনা সবাইকে জানাতে চাই।’

হিন্দুদের নিয়ে বছরের পর বছর যে নীলনকশা ও ষড়যন্ত্র হচ্ছে সেগুলো বন্ধ হবে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘এ বিষয়ে আপনারাই আমাদের সাহায্য করতে পারেন। আপনারা বিষয়টি জনগণের কাছে তুলে ধরতে পারেন। অনুরোধ করবো, আপনারা সবসময় সত্যিটা প্রকাশ করবেন। যদি কোথাও আমাদের ঘাটতি থাকে, সেটা আমরা ঠিক বা পূরণ করে নেব। ভুল থাকলে সংশোধন করে নেব।’

বিগত ১৫ বছরে রামু ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও সহিংস ঘটনার বিচার হয়নি। সেসব ঘটনার পুনঃতদন্ত ও বিচার হবে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘এসব অপকর্মের সঙ্গে জড়িতদের অবশ্যই বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। বর্তমান সরকার ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে।’

পরিদর্শনকালে শ্রীশ্রী রমনা কালীমন্দির ও আনন্দময়ী আশ্রম পূজা পরিচালনা পরিষদের আহ্বায়ক অপর্ণা রায় দাস ও সদস্য সচিব বিশ্বজিৎ ভদ্রসহ মন্দিরের পূজা পরিচালনা পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
৫ থেকে ৭ আগস্ট অনেকে পালিয়ে গেছেন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দেশ থেকে ইলিশ ও সার চোরাচালানের ঝুঁকি আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সীমান্তে ফেলানীর মতো হত্যাকাণ্ড আর দেখতে চাই না
পলিটিক্যাল অ্যাক্টের মধ্যে থেকে দলগুলোকে রাজনীতি করতে হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Durgotsava Last minute preparations are underway

দুর্গোৎসব: চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

দুর্গোৎসব: চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
সরকারি হিসাবে এ বছর সারা দেশে ৩২ হাজার ৬৬৬টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে। বুধবার মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে দুর্গোৎসব। এরপর মহাসপ্তমী, মহাঅষ্টমী, মহানবমী ও ১৩ অক্টোবর রোববার দশমীতে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনব্যাপী এই উৎসবের।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হচ্ছে ৯ অক্টোবর বুধবার। শুভ মহালয়ায় দেবীর আবাহন শেষে মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে দেবী বরণের প্রস্তুতি। প্রতিমা তৈরিতে মাটির কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। চলছে রং-তুলির আঁচড় শেষে প্রতিমা মণ্ডপে নেয়ার প্রস্তুতি।

দুর্গোৎসবে মন্দিরে আগত দর্শনার্থীদের নজর কাড়তে সাজসজ্জায় নানা উপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিভিন্ন মন্দিরে চলছে থিমভিত্তিক সাজসজ্জার কাজ। সারাদেশে বইছে উৎসবের আমেজ। সায়ংকালে ধূপের ধোঁয়া, ঢাক-ঢোল, উলুধ্বনি আর কাঁসর-মন্দিরার সঙ্গে ভক্তিমন্ত্রে মেতে ওঠার অপেক্ষায় পূজামণ্ডপ।

সরকারি হিসাবে এ বছর সারা দেশে ৩২ হাজার ৬৬৬টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে। বুধবার মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে দুর্গোৎসব। এরপর মহাসপ্তমী, মহাঅষ্টমী, মহানবমী ও ১৩ অক্টোবর রোববার দশমীতে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনব্যাপী এই উৎসবের।

কৈলাশ থেকে এ বছর দেবী দুর্গা মর্ত্যে আগমন করবেন দোলায় চড়ে। আর স্বর্গলোকে ফিরে যাবেন ঘোড়ায় চড়ে।

সরেজমিনে রাজধানীর ভিন্ন মন্দিরে দেখা গেছে, বরাবরের মতোই পূজার জোর প্রস্তুতি চলছে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রমনা কালি মন্দির, রামকৃষ্ণ মিশন, লালবাগ ঋষিপাড়া মন্দির, রাজারবাগ কালিমন্দির, শাঁখারি বাজার মন্দির, সিদ্ধেশ্বরী কালি মন্দিরসহ বিভিন্ন মন্দিরে।

রং-তুলির কাজে দেবী দুর্গার অনিন্দ্য সুন্দর রূপ ফুটিয়ে তোলায় সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমাশিল্পীরা। তাদের নিখুঁত হাতের ছোঁয়ায় কৃত্রিম জীবন পাবেন দেবী দুর্গা, শিব, লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, অসুরসহ অন্যান্য প্রতিমা।

কোনো কোনো প্রতিমায় পরানো হচ্ছে শাড়ি, হাতের বালাসহ নানা গহনা। পাশাপাশি আলোকসজ্জা, প্যান্ডেল তৈরি, মণ্ডপ ও তার আশপাশে সাজসজ্জার কাজসহ নানা কাজে ব্যস্ত পূজার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। দুর্গোৎসব উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবম্বীদের মধ্যে বিরাজ করছে সাজ সাজ রব। কেউ কেউ কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।

পূজাকে সামনে রেখে সারা দেশে জেলা প্রশাসন প্রস্তুতিমূলক সভা করেছে। পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তা, আইন-শৃঙ্খলা সমুন্নত রাখা ও প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সরকার তার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

রমনা কালি মন্দিরের পুরোহিত হরিচাঁদ চক্রবর্তী জানান, আগামী ৯ অক্টোবর সকাল ৮টা ৪৪ মিনিটের মধ্যে মহাষষ্ঠী কল্পনারম্ভ শেষ করতে হবে। শায়ণকালে দেবীর অধিবাস ও আমন্ত্রণ। ১০ অক্টোবর সকাল ৭টা ৫৩ মিনিট ২৭ সেকেন্ডের মধ্যে দেবীর মহাসপ্তমী পূজা শেষ করতে হবে।

১১ অক্টোবর সকাল ৬টা ৫২ মিনিটের মধ্যে মহাষ্টমী পূজা ও ৬টা ৫২ মিনিটে আরম্ভ হবে কুমারী পূজা। পরে ৭টা ৪১ মিনিটের মধ্যে সন্ধী পূজা শেষ করতে হবে। ওইদিনই সকাল ৭টা ৪১ মিনিট পর মহানবমী আরম্ভ ও ৯টা ৫৭ মিনিটের মধ্যে মহানবমীর বিহিত পূজা শেষ করতে হবে।

১২ অক্টোবর ৬টা ১২ মিনিটের মধ্যে মহানবমীর বিহিত অধিক পূজা শেষ করতে হবে। একই দিন সকাল ৭টা ৩৭ গতে পূর্বাহ্নের মধ্যে দশমী পূজা সমাপনান্তে বিসর্জন।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর বলেন, পূজার প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। সারা দেশেই কেন্দ্রীয় ও প্রান্তিক পর্যায়ে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে পূজার। ইতোমধ্যে আমরা সারাদেশে নির্দেশনা দিয়েছি ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে পূজা করার জন্য। সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে পূজার সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে।

ইতোমধ্যে সরকারের সঙ্গে আমরা বৈঠক করেছি। সেখানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ আইজিপি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, পূজাকে ঘিরে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না। প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নিরাপত্তায় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। সবার মধ্যে আস্থার মনোভাব রয়েছে। আশা করছি, শারদীয় দুর্গোৎসবে কোনো সমস্যা হবে না।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The festival ended with a chariot procession

উল্টো রথযাত্রায় শেষ হলো উৎসব

উল্টো রথযাত্রায় শেষ হলো উৎসব ছবি: সংগৃহীত
উল্টো রথযাত্রা উপলক্ষে সোমবার বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন এবং মন্দির নানা মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সকালে বিভিন্ন মাঙ্গলিক আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠানমালা। ইসকন বিকেলে রাজধানীতে শোভাযাত্রা বের করে।

উল্টো রথ টানার মধ্য দিয়ে সোমবার শেষ হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় পর্ব শ্রীশ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসব।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস- জগন্নাথ দেব হলেন জগতের নাথ বা অধীশ্বর। জগত হচ্ছে বিশ্ব আর নাথ হচ্ছেন ঈশ্বর। তাই জগন্নাথ হচ্ছে জগতের ঈশ্বর। তার অনুগ্রহ পেলে মানুষের মুক্তিলাভ হয়। জীবরূপে তাকে আর জন্ম নিতে হয় না। এ বিশ্বাস থেকেই রথের ওপর জগন্নাথ দেবের প্রতিমা রেখে রথযাত্রা করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

উল্টো রথযাত্রা উপলক্ষে সোমবার বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন এবং মন্দির নানা মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সকালে বিভিন্ন মাঙ্গলিক আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠানমালা। এর মধ্যে ছিল হরিনাম সংকীর্তন, বিশ্ব শান্তি ও মঙ্গল কামনায় অগ্নিহোত্রী যজ্ঞ, মহাপ্রসাদ বিতরণ, আলোচনা সভা, পদাবলী কীর্তন, আরতি কীর্তন, ভাগবত কথা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শ্রীমদ্ভাগবত গীতা পাঠ।

ইসকনসহ রাজধানীর রাম-সীতা মন্দির ও তাঁতীবাজার জগন্নাথ মন্দিরে এ উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

রাজধানী ঢাকায় আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) উল্টো রথযাত্রা উপলক্ষে সোমবার বিকেলে শোভাযাত্রা বের করে। উল্টোরথ যাত্রার উদ্বোধনী উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের মেলা প্রাঙ্গণে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

পরে এখান থেকে বর্ণাঢ্য সাজে তিনটি বিশাল রথে জগন্নাথ দেব, শুভদ্রা ও বলরামের প্রতিকৃতিসহ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রা পলাশী মোড়, জগন্নাথ হল, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট, সরকারি কর্মচারী হাসাপাতাল, বঙ্গবাজার, গুলিস্তান, বঙ্গভবন, দৈনিক বাংলা, মতিঝিল, ইত্তেফাক মোড় ও টিকাটুলি হয়ে ইসকন মন্দিরে গিয়ে শেষ হয়।

সনাতনী রীতি অনুযায়ী, প্রতি বছর চন্দ্র আষাঢ়ের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে শুরু হয় জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা।

এর আগে ৭ জুলাই রথযাত্রা উৎসব শুরু হয়। ইসকন রথযাত্রা উপলক্ষে ৯ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

আরও পড়ুন:
মানিকগঞ্জে রথযাত্রা উৎসব শুরু
বগুড়ায় রথযাত্রার গাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু ৫, আহত ৪০
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের রথযাত্রা উৎসব শুরু মঙ্গলবার
যাত্রার জন্য প্রস্তুত রথ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Rath Yatra festival started in Manikganj

মানিকগঞ্জে রথযাত্রা উৎসব শুরু

মানিকগঞ্জে রথযাত্রা উৎসব শুরু রোববার মানিকগঞ্জ শহরের শ্রীশ্রী আনন্দময়ী কালিবাড়ী কালিমন্দিরের সামনে থেকে রথযাত্রা বের হয়। ছবি: নিউজবাংলা
আনন্দমুখর পরিবেশে রোববার মানিকগঞ্জ শহরের শ্রীশ্রী আনন্দময়ী কালিবাড়ী কালিমন্দিরের সামনে থেকে শোভাযাত্রা বের হয়। এতে শত শত নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। সাতদিন পর ১৫ জুলাই বিকেলে জগন্নাথ দেবের উল্টো শোভাযাত্রার মাধ্যমে শেষ হবে এই রথ উৎসব।

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে মানিকগঞ্জে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসব শুরু হয়েছে।

সনাতন ধর্মীয় রীতি অনুসারে রোববার দুপুরে আনন্দমুখর পরিবেশে মানিকগঞ্জ শহরের শ্রীশ্রী আনন্দময়ী কালিবাড়ী কালিমন্দিরের সামনে থেকে রথযাত্রা বের হয়। রথযাত্রায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শত শত নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। সাতদিন পর ১৫ জুলাই বিকেলে জগন্নাথ দেবের উল্টো শোভাযাত্রার মাধ্যমে শেষ হবে এই রথ উৎসব।

সাতদিন ব্যাপী রথযাত্রা উদ্বোধন করেন মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. রমজান আলী। এ সময় শ্রীশ্রী আনন্দময়ী কালিবাড়ী মন্দিরের সভাপতি শংকর লাল ঘোষ, সহ-সভাপতি সুভাষ সরকার, সাধারণ সম্পাদক দোলন ঘোস্বামী, সদস্য অসিম বিশ্বাস, সৌমিত্র সরকার মনা ও পুরোহিত কানু ঘোস্বামীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
বগুড়ায় রথযাত্রার গাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু ৫, আহত ৪০
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের রথযাত্রা উৎসব শুরু মঙ্গলবার
যাত্রার জন্য প্রস্তুত রথ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Sadarghat is bustling with people returning to Dhaka after Eid

ঈদ শেষে ঢাকায় ফিরছে মানুষ, সরগরম সদরঘাট

ঈদ শেষে ঢাকায় ফিরছে মানুষ, সরগরম সদরঘাট পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ শেষে ঢাকায় ফিরছেন কর্মজীবী মানুষেরা। বৃহস্পতিবার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকার চিত্র। ছবি: নিউজবাংলা
পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর বরিশালগামী লঞ্চগুলোতে যাত্রী কমায় ঢাকার সদরঘাটের চেনা রূপ অনেকটাই হারিয়ে গিয়েছিল। ঈদের ছুটির সঙ্গে ফিরেছে চেনা সেই ভিড়। তবে ঈদের পর ঢাকার সদরঘাটে ভিড় বাড়লেও আগের মতো যাত্রী নেই বলে জানিয়েছেন লঞ্চ-সংশ্লিষ্টরা।

ঈদের ছুটি শেষে অফিস শুরুর প্রথম দিন বুধবার থেকেই রাজধানী ঢাকার প্রধান নদীবন্দর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে নগরমুখী মানুষের ভিড় শুরু হয়। বৃহস্পতিবারও ছিল একই চিত্র।

গ্রামে যাওয়া মানুষেরা ক্রমে ক্রমে ঢাকা ফিরতে থাকায় চাপ কম লক্ষ্য করা গেছে সদরঘাটে। শুক্র-শনিসহ ঈদের তিন দিন মিলে পাঁচদিনের লম্বা ছুটি শেষে কর্মমুখী মানুষ ঢাকায় ফিরতে থাকায় বৃহস্পতিবারও দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা যাত্রীর চাপ ছিল সদরঘাটে। তবে যাত্রীর উপচেপড়া ভিড় বলতে যা বুঝায় তেমনটা দেখা যায়নি।

বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকেই ঢাকা-বরিশাল নৌরুটের লঞ্চগুলো ডেকে পরিপূর্ণ যাত্রী নিয়ে সদরঘাটের পন্টুনে ভিড়তে থাকে। সন্ধ্যা পর্যন্ত সদরঘাটের লঞ্চ টার্মিনালে মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

দুপুরের পর থেকে গ্রিন লাইন-৩ ও সন্ধ্যার পর পারাবত-৯, ১০, ১২ ও ১৮; মানামী, কুয়াকাটা-২, কীর্তনখোলা-২ ও ১০, সুরভী-৮ ও ৯, অ্যাডভেঞ্চার-১ ও ৯, সুন্দরবন-১২ লঞ্চসহ মোট ১৫টি লঞ্চ বরিশাল নদীবন্দর থেকে সদরঘাটে এসে পৌঁছায়।

ধারণ ক্ষমতার বেশি যাত্রী নিয়েও কিছু লঞ্চ ঢাকায় এসে পৌঁছায়। এছাড়াও নিকটবর্তী জেলা চাঁদপুর, ভোলা, ইলিশা থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চগুলোও ছিলো কানায় কানায় পূর্ণ।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সদরঘাট টার্মিনাল থেকে দেশের ৩১টি নৌপথে নিয়মিত ৭০টি লঞ্চ চলাচল করে। তবে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তা দ্বিগুণের বেশি করা হয়েছে। ঈদের আগে-পরের প্রায় ১৫ দিন ছোট-বড় মিলিয়ে ১৭৫টিরও বেশি লঞ্চ যাতায়াত করেছে। আগে ঢাকা থেকে ৪১টি নৌপথে লঞ্চসহ পণ্যবাহী বিভিন্ন নৌযান চলত। নদী খনন ও ড্রেজিংয়ে অনিয়মের কারণে ঢাকা থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলগামী ১০টি নৌপথ বন্ধ হয়ে গেছে।

সরকারি ছুটি শেষ হওয়ায় কর্মস্থল ঢাকায় ফিরতে লঞ্চে মানুষের ঢল নেমেছে বলে জানিয়েছেন জাহাজ মালিক, স্টাফ ও কর্মকর্তারা।

মানামি লঞ্চের চালক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘এবার ঈদের আগে যেমন যাত্রী চাপ ছিলো পরে তেমন হচ্ছে না। সরকারি ছুটি শেষ হওয়ায় অনেকেই এখন ঢাকা ফিরছে। তবে অনেকে বুধ ও বৃহস্পতি ছুটি নিয়ে সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে নিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে সামনের সাপ্তাহিক ছুটির দুদিন বিশেষ করে শনিবার যাত্রীর চাপ অনেকটা বাড়বে।’

রাজধানীর মিরপুরের বাসিন্দা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী থেকে ফিরেছেন ঢাকায়। তিনি বলেন, ‘এমভি টিপু-৭ লঞ্চের টিকিট পেয়েছিলাম। তবে লঞ্চে অনেক মানুষের ভিড় ছিলো। ঠিকভাবে ঢাকায় আসতে পেরেছি এটাই অনেক।’

মনপুরা থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকায় এসেছে এমভি তাসরিফ-৮। লঞ্চটির কর্মী আসাদ মুন্সি বলেন, ‘এই ট্রিপে পাঁচ-ছয়শ’ মানুষ এসেছে। ছুটি শেষ হওয়ায় মানুষ ঢাকায় ফিরছে। আরামের যাত্রা লঞ্চ। এজন্য অনেকেই লঞ্চে যাতায়াত করেন।’

ভোলার চরফ্যাশন ও বেতুয়া থেকে ছেড়ে সন্ধ্যায় সদরঘাটে ভিড়েছে এমভি টিপু-১৩। লঞ্চটিতে ঘাটে ভিড়তেই দেখা যায়, ডেকভর্তি মানুষ। অনেকে দাঁড়িয়েও এসেছেন।

ভোলা থেকে আসা যাত্রী আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘কাপড়ের দোকানে কাজ করি। ঈদের আগের দিনও খোলা ছিল। চাঁদ রাতে ঈদ করতে ঢাকা থেকে বাড়িতে গিয়েছিলাম। ছুটি শেষ, মার্কেট খুলবে। এজন্য আবার চলে আসলাম।’

পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর বরিশালগামী লঞ্চগুলোতে যাত্রী কমায় ঢাকার সদরঘাটের চেনা রূপ অনেকটাই হারিয়ে গিয়েছিল। ঈদের ছুটির সঙ্গে ফিরেছে চেনা সেই ভিড়। তবে ঈদের পর ঢাকার সদরঘাটে ভিড় বাড়লেও আগের মতো যাত্রী নেই বলে জানিয়েছেন লঞ্চ-সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে রাজধানীর প্রধান নদীবন্দর সদরঘাটে ঢাকামুখী মানুষের ভিড় থাকলেও লঞ্চে ফিরতি পথের যাত্রী ভিড় অনেকটাই কম। বরিশাল ও ভোলার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকা লঞ্চগুলোর কর্মীরা যাত্রীদের ডাকাডাকি করছেন। অল্পসংখ্যক মানুষ লঞ্চে উঠেছেন। বেশ কয়েকটি লঞ্চের ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, ডেকের সিট অধিকাংশই ফাঁকা। ভেততে কিছু মানুষ বসে আছে। কেউ আবার কেবিন নিয়ে দরদাম করছেন।

নৌপথেই স্বস্তি খুঁজবে যাত্রীরা- এবারের ঈদযাত্রায় এমনটা প্রত্যাশা ছিলো লঞ্চ মালিকদের। তবে ঈদের পর তা আবার কমে যাওয়ায় হতাশ তারা।

ডলার কোম্পানির ২৪টি লঞ্চের মালিক ও যাত্রী পরিবহন সংস্থার সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল কালাম বলেন, ‘আমাদের লঞ্চ আছে অনেক। কিন্তু সে অনুযায়ী যাত্রী নেই। তাই লঞ্চ কম ছাড়ছে। যেগুলো ছাড়ছে সেগুলো যাত্রী ভরেই যাচ্ছে। ঈদের পরও আমরা যাত্রীর চাপ আশা করেছিলাম। কিন্তু পাইনি।’

লঞ্চ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, ‘ঈদের আগে যাত্রীর চাপ বাড়ায় আশা পেয়েছিলাম। এখন সে আশা আর দেখছি না। সামনের দিনগুলোতে কী হয় দেখা যাক।’

সার্বিক বিষয়ে ঢাকার প্রধান নদীবন্দর সদরঘাটের দায়িত্বে থাকা বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন জানান, ‘ঈদের পর যাত্রীর চাপ স্বাভাবিক রয়েছে। আমাদের নিয়মিত লঞ্চগুলোই চলাচল করছে। অতিরিক্ত কোনো লঞ্চের প্রয়োজন পড়ছে না। আর ভাড়া বেশি নেয়ার অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।'

টার্মিনাল এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সদরঘাট নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম বলেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) যাত্রীর চাপ আগের থেকে বেড়েছে। পুলিশ, র‍্যাবসহ আনসার সদস্যরা যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে কাজ করছেন। সন্দেহজনক কিছু দেখলে তল্লাশিও চালানো হচ্ছে। যাত্রীর চাপ বাড়লে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হবে।’

আরও পড়ুন:
ঘরে ফেরা মানুষের পদচারণায় মুখর সদরঘাট
ছুটি শুরুর দিনেই সদরঘাটে যাত্রীর চাপ
ঈদযাত্রার প্রভাব নেই সদরঘাটে, গার্মেন্টস ছুটির অপেক্ষা
সদরঘাট থেকে সব রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
This Eid is a difficult day for the countrymen Fakhrul

এবারের ঈদ দেশবাসীর কাছে একটা কষ্টের দিন: ফখরুল

এবারের ঈদ দেশবাসীর কাছে একটা কষ্টের দিন: ফখরুল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। ফাইল ছবি
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ঈদুল আজহা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকে দেশে দুর্নীতির ব্যাধি ছড়িয়ে পড়েছে। প্রত্যাশা, ঈদুল আজহার ত্যাগের মাধ‌্যমে যারা দুর্নীতিতে নিমজ্জিত আছেন তারা তা ত্যাগ করবেন। একইসঙ্গে মানুষের কল্যাণে তারা কাজ করবেন।’

ঈদুল আজহা এবার দেশের মানুষের কাছে একটা কষ্টের দিন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার সকালে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায়ের পর দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানি‌য়ে তিনি এ কথা বলেন।

ঠাকুরগাঁও শহরের কালিবাড়ী তাঁ‌তিপাড়া এলাকায় পৈতৃক বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ঈদুল আজহা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকে দেশে দুর্নীতির ব্যাধি ছড়িয়ে পড়েছে। প্রত্যাশা, ঈদুল আজহার ত্যাগের মাধ‌্যমে যারা দুর্নীতিতে নিমজ্জিত আছেন তারা তা ত্যাগ করবেন। একইসঙ্গে মানুষের কল্যাণে তারা কাজ করবেন।’

ফখরুল বলেন, এবার ঈদ বাংলাদেশের মানুষের কাছে একটা কষ্টের দিন। কারণ যারা পশু কোরবানি করেন তারাও একটা বড় মূল্যস্ফীতিতে আক্রান্ত হয়েছেন।

‘সাধারণ মানুষ কোরবানি দিতে পারেন না। তাদের অনেকে বিভিন্নভাবে কোরবানির গোশত সংগ্রহ করেন। তাদের পক্ষে তা রান্না করাও কঠিন হয়ে দাঁড়ি‌য়ে‌ছে। কারণ রান্নার সব মসলা ও অন‌্যান‌্য উপকরণ সংগ্রহ করা কঠিন।’

তিনি বলেন, ‘আজকে দ্রব্যমূল্য যেভাবে বেড়েছে সাধারণ মানুষের জীবন একেবারে অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। মানুষ ঈদ আনন্দ উপভোগ করার সুযোগ পা‌চ্ছেন না।’

বিএনপি সেন্টমার্টিন নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে- আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্ত‌ব্য প্রসঙ্গে বিএন‌পি মহাস‌চিব বলেন, ‘যারা রাজনীতি করছেন, ক্ষমতায় আছেন যদি সত্যকে উপলব্ধি না করেন, তারা যদি দেশের সমস্যা, গণমানুষের যে আকাঙ্ক্ষা বুঝতে না পারেন, তাহলে তারা কিভাবে শাসক হবেন? দেড় যুগ ধরে দখলদার আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের সব আকাঙ্ক্ষাকে পদদলিত করেছে।’

আরও পড়ুন:
এশিয়ার দেশে দেশে ঈদ জামাতে ফিলিস্তিনিদের জন্য প্রার্থনা
কোরবানির পর ঘর ও আশপাশ পরিষ্কার রাখবেন যেভাবে
ত্যাগের মহিমায় ঈদুল আজহা উদযাপন করছে দেশবাসী
জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত
ঈদুল আজহায় জিয়ার কবরে শ্রদ্ধা জানাবে বিএনপি

মন্তব্য

p
উপরে