দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনের জন্য ২৯৮টি আসনে রোববার দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। কুষ্টিয়া-২ ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি দলটি।
ঘোষিত আসনে একাদশ জাতীয় সংসদের এমপিদের বাদ দিয়ে নতুন প্রার্থীদের মনোনয়ন, জোটের শরিকদের আসনে নিজেদের প্রার্থী মনোনয়নসহ শতাধিক আসনে পরিবর্তন এসেছে।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে রোববার বিকেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
দলীয় মনোনয়নে পরিবর্তন এসেছে যেসব আসনে
পঞ্চগড়-১ আসনে প্রথমবারের মতো মনোনয়ন পেয়েছেন মো. নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া মুক্তা। ঠাকুরগাঁও-২ আসনে মাজহারুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে ইমদাদুল হক, নীলফামারী-৩ আসনে মো. গোলাম মোস্তফা, নীলফামারী-৪ আসনে জাকির হোসেন বাবুল ও লালমনিরহাট-৩ আসনে মতিয়ার রহমান আগের প্রার্থীদের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।
রংপুর-১ আসনে প্রথমবারের মতো মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজু। রংপুর-৩ এ তুষার কান্তি মণ্ডল মনোনয়ন পেয়েছেন, যিনি রংপুর মহানগর আওয়ামী লগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। রংপুর-৫ এ এবারই প্রথম রাশেক রহমান মনোনয়ন পেয়েছেন।
কুড়িগ্রাম-২ আসন মো. জাফর আলী ফিরে পেলেও কুড়িগ্রাম-৩ এ সোমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে, কুড়িগ্রাম-৪ এ বিপ্লব হাসান নতুন মনোনয়ন পেয়েছেন। বিপ্লব ছাত্রলীগের সাবেক আইনবিষয়ক সম্পাদক। আর সৌমেন্দ্র পাণ্ডে সাবেক এক মন্ত্রীর জামাতা।
গাইবান্ধা-১ আসনে আফরুজা বারী, গাইবান্দা-৪ আসনে আবুল কালাম আজাদ ফিরে এসেছেন। বগুড়া-২ আসনে তৌহিদুর রহমান মানিক, বগুড়া-৩ আসনে সিরাজুল ইসলাম খান রাজু, বগুড়া-৪ আসনে হেলাল উদ্দিন কবিরাজ নতুন মনোনয়ন পেয়েছেন।
বগুড়া-৫ আসনে মজিবুর রহমান (মজনু) ফিরেছেন। বগুড়া-৭ আসনে মোস্তফা আলম, নওগাঁ-৩ আসনে সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী, নওগাঁ-৪ আসনে নাহিদ মোর্শেদ, রাজশাহী-২ আসনে মোহাম্মদ আলী, রাজশাহী-৩ আসনে আসাদুজ্জামান আসাদ, রাজশাহী-৪ আসনে আবুল কালাম আজাদ, রাজশাহী-৫-এ আবদুল ওয়াদুদ, সিরাজগঞ্জ-২ আসনে জান্নাত আরা হেনরী, সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে শফিকুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে চয়ন ইসলাম, পাবনা-৪-এ গালিবুর রহমান শরীফ, মেহেরপুর-২ আসনে আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক, ঝিনাইদহ-৩ আসনে সালাহ উদ্দিন মিয়াজী মনোনয়ন পেয়েছেন।
যশোর-২ আসনে মো. তৌহিদুজ্জামান নতুন মনোনয়ন পেয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদের জামাতা। যশোর-৪ আসনে এনামুল হক বাবুল, মাগুরা-১ আসনে সাকিব আল হাসান, বাগেরহাট-৪ আসনে এইচ. এম বদিউজ্জামান সোহাগ প্রথমবার মনোনয়ন পেয়েছেন।
খুলনা-১ আসনে ননী গোপাল মন্ডল ফিরেছেন। আর খুলনা-৩ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন এস এম কামাল হোসেন।
বরগুনা-২ আসনে সুলতানা নাদিরা, বরিশাল-৪ আসনে শাম্মী আহমেদ, পিরোজপুর-৩ আসনে আশরাফুর রহমান, টাঙ্গাইল-৩ আসনে কামরুল হাসান খান এবং টাঙ্গাইল-৫ আসনে মামুন-অর-রশিদ প্রথমবারের মতো দলের মনোনয়ন পেয়েছেন।
জামালপুর-১ আসনে নুর মোহাম্মদ, জামালপুর-৪ আসনে মাহবুবুর রহমান, জামালপুর-৫ আসনে আবুল কালাম আজাদ পেয়েছেন নতুন মনোনয়ন।
ময়মনসিংহ-৩ আসনে নিলুফার আনজুম, ময়মনসিংহ-৪ আসনে মোহাম্মদ মোহিত উর রহমান, নেত্রকোনা-৫ আসনে আহমদ হোসেন, কিশোরগঞ্জ-২ আসনে আবদুল কাহার আকন্দ, মানিকগঞ্জ-১ আসনে আবদুস সালাম দল থেকে প্রথমবারের মতো টিকেট পেয়েছেন।
শেরপুর-৩ আসনে এডিএম শহিদুল ইসলাম, ময়মনসিংহ-৫ আসনে আবদুল হাই আকন্দ, ময়মনসিংহ-৮ আসনে আবদুছ ছাত্তার, ময়মনসিংহ-৯ আসনে আবদুস সালাম, নেত্রকোনা-১ আসনে মোশতাক আহমেদ রুহী, কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে নাসিরুল ইসলাম খান, মুন্সিগঞ্জ-১ আসনে মহিউদ্দিন আহমেদ মনোনয়ন ফিরে পেয়েছেন।
ঢাকা-৫ আসনে হারুনর রশীদ মুন্না, ঢাকা-৬ আসনে সাঈদ খোকন, ঢাকা-৭ আসনে সোলায়মান সেলিম, ঢাকা-১০ আসনে চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, ঢাকা-১১ আসনে ওয়াকিল উদ্দিন, ঢাকা-১৪ আসনে মাইনুল হোসেন খান নিখিল, গাজীপুর-৩ আসনে রুমানা আলী, নরসিংদী-৩ আসনে ফজলে রাব্বি খান, ফরিদপুর-৩ আসনে শামীম হক, সুনামগঞ্জ-২ আসনে চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, সুনামগঞ্জ-৪ আসনে মোহাম্মদ সাদিক, মৌলভীবাজার-২ আসনে শফিউল আলম চৌধুরী সবাই নির্বাচনের রাজনীতিতে নতুন মুখ।
ঢাকা-১৩ আসনে জাহাঙ্গীর কবির নানক, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে আব্দুল্লাহ আল কায়সার, ফরিদপুর-১ আসনে আবদুর রহমান, সুনামগঞ্জ-১ আসনে রনজিত চন্দ্র সরকার, সিলেট-২ আসনে শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট-৫ আসনে মাসুক উদ্দিন আহমদ, মৌলভীবাজার-৩ আসনে জিল্লুর রহমান, হবিগঞ্জ-১ আসনে মুশফিক হুসেন চৌধুরী, হবিগঞ্জ-২ আসনে ময়েজ উদ্দিন শরীফ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনে ফয়জুর রহমান আগের আসনে মনোনয়ন ফিরে পেয়েছেন।
কুমিল্লা-১ আসনে আবদুস সবুর, কুমিল্লা-৮ আসনে আবু জাফর মোহাম্মদ শফি উদ্দিন, চাঁদুপর-১ আসনে সেলিম মাহমুদ, ফেনী-১ আসনে আলাউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী, লক্ষীপুর-৪ আসনে ফরিদুন্নাহার লাইলী, চট্টগ্রাম-১ আসনে মাহাবুব উর রহমান, চট্টগ্রাম-২ আসনে খাদিজাতুল আনোয়ার এবং কক্সবাজার-১ আসনে সালাহ উদ্দীন আহমদ নতুন প্রার্থী।
গত ২৩ নভেম্বর থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলটির সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় আসন্ন নির্বাচনের দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেতে ৩০০ আসনের বিপরীতে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপত্র কেনেন তিন হাজার ৩৬৯ জন। প্রতি আসনে গড়ে ১১ জন মনোনয়নপত্র কেনেন।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৭ জানুায়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। এ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ আগামী ৩০ নভেম্বর।
আরও পড়ুন:আজ সোমবার, সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস। আজ সকালে ঢাকার আকাশে উঁকি দিয়েছে রোদ। বৃষ্টি কমে রোদ উঠতেই ঢাকার বাতাসের মানে অবনতি দেখা গেছে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৬৬। বায়ুমান সূচক অনুযায়ী, এই স্কোর নিয়ে শহরটির বাতাসের মান ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত হয়েছে।
গতকাল একই সময়ে ঢাকার বাতাসের মান ছিল ‘ভালো’, দূষণ-মান ছিল ৫০। এই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার ৭৪তম স্থানে নেমে গিয়েছিল ঢাকা। তবে আজ আবার তালিকার ২৬তম স্থানে উঠে এসেছে শহরটি।
এদিকে, গতকালের তুলনায় পাকিস্তানের লাহোরের বাতাসের মানে উন্নতি দেখা গেছে। ৮৩ স্কোর নিয়ে তালিকার ১২ তম স্থানে রয়েছে লাহোর। তবে ভারতের দিল্লির বায়ুদূষণ আজও অব্যাহত রয়েছে। ১২৩ স্কোর নিয়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি।
একই সময়ে ১৬৬ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে সৌদি আরবের রিয়াদ এবং ১৪৯ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কঙ্গোর কিনশাসা।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
রাজধানীর লালবাগের শহীদনগর এলাকায় গণপিটুনিতে তৌফিকুল ইসলাম নামে এক যুবকের (২৬) মৃত্যু হয়েছে। তিনি স্থানীয়ভাবে ‘কিলার বাবু’ ওরফে ‘টেরা বাবু’ নামেও পরিচতি।
রোববার সকাল পৌনে ৮টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় সেনা সদস্যরা ওই যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লালবাগ থানার ওসি মোস্তফা কামাল খান সমকালকে বলেন, ‘নিহত বাবুর বিরুদ্ধে চুরি ও মাদকের ১০-১২টি মামলা রয়েছে। তিনি এলাকার চিহ্নিত চোর এবং মাদক চোরাকারবারী। শনিবার রাত ২টার পরে শহীদ নগর এলাকায় লোকজন তাকে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তার মৃত্যু হয়।’
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে গত দুই দিনে ২ হাজার ২৪৬টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ৩২২টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৯৯টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সোমবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করে।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
ঢাকা মহানগরীতে দরিদ্র ও অসচ্ছল মানুষের জন্য ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে আজ সকাল থেকে।
ঢাকার সচিবালয়ের সামনে থেকে শুরু করে যাত্রাবাড়ী, বাড্ডা, ধোলাইপাড়, ধোলাইখাল, রামপুরাসহ বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি করছেন নির্বাচিত ডিলাররা।
প্রতিটি ট্রাক থেকে দরিদ্র একটি পরিবার ২ কেজি ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল ন্যায্য মূল্যে কিনতে পারছেন।
টিসিবির উপ পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, স্বল্প আয়ের মানুষের সুবিধার্থে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) উদ্যোগে রোববার থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ভর্তুকি মূল্যে রাজধানীতে ৬০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। পণ্যগুলো হল ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডাল।
জানা যায়, ঢাকা মহানগরীতে আজ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩০ দিন (শুক্রবার ছাড়া) টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে।
এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২৫টি, গাজীপুর মহানগরীতে ৬টি, কুমিল্লা মহানগরীতে ৩টি এবং ঢাকা জেলায় ৮টি, কুমিল্লা জেলায় ১২টি, ফরিদপুর জেলায় ৪টি, পটুয়াখালী জেলায় ৫টি ও বাগেরহাট জেলায় ৫টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে আজ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১৯ দিন (শুক্রবার ছাড়া) পণ্য বিক্রি করা হবে।
দৈনিক প্রতিটি ট্রাক থেকে ৫শ’ জন সাধারণ মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। একজন ভোক্তা একসঙ্গে সর্বোচ্চ ২ লিটার ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল কিনতে পারবেন। ভোজ্যতেল ২ লিটার ২৩০ টাকা, চিনি ১ কেজি ৮০ টাকা এবং মসুর ডাল ২ কেজি ১৪০ টাকায় বিক্রি করা হবে। যে কোনো ভোক্তা ট্রাক থেকে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি এসব পণ্য বিক্রি করা হবে।
ঢাকার বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালিয়ে ধাক্কামারা চক্রের দুই সক্রিয় সদস্যকে শুক্রবার বিকেলে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন জুথী আক্তার শ্রাবন্তী ওরফে যুথী আক্তার জ্যোতি ওরফে লিমা আক্তার (২২) এবং শাহনাজ বেগম (৪২)।
ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এ তথ্য জানানো হয়।
গত শুক্রবার বিকাল আনুমানিক ৫টার দিকে তেজগাঁও থানাধীন বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আসামিরা বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের সপ্তম তলার লিফটের সামনে কৌশলে এক নারীকে ধাক্কা মেরে তার ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা চুরি করে। এ সময় সন্দেহ হলে তিনি তার ব্যাগ পরীক্ষা করে টাকা খোয়া যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন। এরপর ভুক্তভোগী ও তার স্বামী চিৎকার দিলে শপিং মলের নিরাপত্তা প্রহরীরা এগিয়ে আসেন। তাদের সহায়তায় ওই দুই নারীকে আটক করা হয়। তবে তাদের সঙ্গে থাকা অপর দু’জন কৌশলে পালিয়ে যান।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত আরও দুই নারী ভুক্তভোগী জানান, তাদের যথাক্রমে এক লাখ টাকা ও ৪.৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণের টিকলি (মূল্য আনুমানিক ৬৪ হাজার ৫০০ টাকা) এবং ১০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা চুরির কথা স্বীকার করেছে।
তেজগাঁও থানা পুলিশ ও নারী পুলিশের সহায়তায় আসামি যুথী আক্তারের ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে চুরি হওয়া নগদ এক লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং স্বর্ণের টিকলি উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, যুথী আক্তার আন্তঃজেলা পকেটমার চক্রের নেতা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৪টি মামলা রয়েছে।
এ ঘটনায় তেজগাঁও থানায় মামলা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানানো হয়।
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ২ হাজার ১৭২টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ২৮৩টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৭৫টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বুধবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করা হয়।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
রাজধানী ঢাকার বস্তির শিশুদের দেহে নীরব ঘাতক সিসার বিপজ্জনক মাত্রার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এসব শিশুদের ৯৮ শতাংশের দেহে প্রতি ডেসিলিটার রক্তে ৬৭ মাইক্রোগ্রাম সিসা শনাক্ত করা হয়েছে।
আইসিডিডিআরবির (আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ) এক গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে। গতকাল বুধবার আইসিডিডিআরবির সম্মেলনকক্ষে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ গবেষণার ফল প্রকাশ করা হয়।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) শিশুদের দেহে প্রতি লিটারে ৩৫ মাইক্রোগ্রামের উপস্থিতিকে উদ্বেগজনক মাত্রা বলে বিবেচনা করে। তবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে সিসার কোনো নিরাপদ মাত্রা নেই। সিসার যেকোনো মাত্রাই শিশুর জন্য ক্ষতিকর।
আইসিডিডিআরবি ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে থাকা বস্তির শিশুদের ওপর গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়। ওই গবেষণায় ২ থেকে ৪ বছর বয়সী ৫০০ শিশুর রক্তের নমুনা নেওয়া হয়।
আইসিডিডিআরবির অ্যাসিস্ট্যান্ট সায়েন্টিস্ট ডা. জেসমিন সুলতানা জানান, এসব শিশুর রক্তে প্রতি ডেসিলিটারে ৬৭ মাইক্রোগ্রাম সিসার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তবে তাদের মধ্যে অর্ধেকের শরীরের এই মাত্রা ছিল ৬৭ মাইক্রোগ্রামের বেশি। গবেষণায় দেখা যায়, সিসা পোড়ানো, গলানো বা রিসাইক্লিংয়ের (পুনঃচক্র) মতো কাজগুলো যেখানে হয়, সেসব এলাকার শিশুদের মধ্যে সিসায় আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি।
উদাহরণ দিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, গবেষণায় চিহ্নিত সিসানির্ভর শিল্পস্থাপনার এক কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারী শিশুদের রক্তে সিসার মাত্রা ছিল পাঁচ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে বসবাসকারী শিশুদের তুলনায় ৪৩% বেশি। সিসার অন্যান্য উৎসের মধ্যে রয়েছে ঘরের ভেতর ধূমপান, দূষিত ধূলিকণা, সিসাযুক্ত প্রসাধনসামগ্রী ও রান্নার পাত্র।
এই আলোচনা সভা থেকে লেড-অ্যাসিড ব্যাটারি বানানো বা রিসাইক্লিং করার কারখানা বা স্থান, অথবা যেসব কারখানা বা স্থাপনায় সিসা গলানো বা পোড়ানো হয়, এমন সিসানির্ভর শিল্পস্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। কারণ, এসব প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নিলে বা দূষণ কমানোর ব্যবস্থা নিলে সেসব এলাকার শিশুদের সিসা দূষণ থেকে বাঁচানো সম্ভব।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আইসিডিডিআরবির রিসার্চ ট্রেইনি ডা. সানজিদা তাপসি আদিবা। স্বাগত বক্তব্য দেন আইসিডিডিআরবির হেলথ সিস্টেম অ্যান্ড পপুলেশন স্টাডিজ ডিভিশনের জ্যেষ্ঠ পরিচালক ড. সারাহ স্যালওয়ে।
মন্তব্য