× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Order to perform election duties with impartiality
google_news print-icon

নিরপেক্ষতার সঙ্গে নির্বাচনি দায়িত্ব পালনের নির্দেশ

নিরপেক্ষতার-সঙ্গে-নির্বাচনি-দায়িত্ব-পালনের-নির্দেশ
ফাইল ছবি
নির্বাচন পরিচালনার জন্য এরই মধ্যে ৬৬ জন রিটার্নিং অফিসার এবং ৫৯২ জন সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন-সংক্রান্ত কার্যাদি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ তথা সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধাস্বায়ত্তশাসিত অফিস, প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্য থেকে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেসরকারি অফিস, প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মধ্য থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষককে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ ছাড়াও নির্বাচনে বিভিন্ন দায়িত্ব দেয়া হবে।

সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ তথা সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধাস্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস, প্রতিষ্ঠান, সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী-শিক্ষকদের নির্বাচনি দায়িত্ব সততা, নিষ্ঠা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে যথাযথভাবে পালনের নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

বুধবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সই করা এ-সংক্রান্ত দুটি চিঠি সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে।

‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১-এর বিধান অনুসরণ’ এবং ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা প্রদান’ সংক্রান্ত চিঠি দুটি পাঠানো হয়।

প্রথম চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন আগামী ৭ জানুয়ারি (২০২৪) অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা ও সম্পাদনের দায়িত্বে নিয়োজিত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সততা, নিষ্ঠা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে নির্বাচনি দায়িত্ব পালন করতে এবং ওই দায়িত্ব পালনে কোনোরূপ শৈথিল্য প্রদর্শন না করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেছে।

নির্বাচন পরিচালনার জন্য এরই মধ্যে ৬৬ জন রিটার্নিং অফিসার এবং ৫৯২ জন সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন-সংক্রান্ত কার্যাদি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ তথা সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধাস্বায়ত্তশাসিত অফিস, প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্য থেকে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেসরকারি অফিস, প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মধ্য থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষককে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ ছাড়াও নির্বাচনে বিভিন্ন দায়িত্ব দেয়া হবে।

নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কর্মকর্তাদের শৃঙ্খলা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১-এর বিধানাবলির প্রতি সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাচ্ছে। ওই আইনের ৪ ধারায় নির্বাচন কর্মকর্তার চাকরি এবং ৫ ধারায় শৃঙ্খলামূলক বিধানাবলি বিধৃত রয়েছে।

‘নির্বাচন-সংক্রান্ত কোনো দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষক বা যেকোনো ব্যক্তি নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১-এর ২(ঘ) ধারায় বর্ণিত সংজ্ঞা অনুযায়ী নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে গণ্য হবেন এবং তিনি ওই দায়িত্ব পালনের জন্য নির্বাচন কমিশনের নিকট দায়ী থাকবেন। এরূপ দায়িত্ব ও কর্তব্যে নিযুক্তির জন্য নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে কোনো আনুষ্ঠানিক নিয়োগপত্র নাও থাকতে পারে। নির্বাচন-সংক্রান্ত কোনো দায়িত্ব পালনে অনীহা, অসহযোগিতা, শৈথিল্য, ভুল তথ্য দেয়া ইত্যাদির জন্য অসদাচরণের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা যাবে এবং শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

দ্বিতীয় চিঠিতে বলা হয়, অগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পাদন করা সবার জাতীয় দায়িত্ব। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সবার সহযোগিতা কামনা করেছে।

নির্বাচন-সংক্রান্ত কার্যাদি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও সম্পাদনের জন্য সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ তথা সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্য হতে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেসরকারি অফিস বা প্রতিষ্ঠান থেকেও প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার নিয়োগ করার প্রয়োজন হবে। সরকারি, সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মধ্য হতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষককে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ ছাড়াও নির্বাচনে বিভিন্ন দায়িত্ব প্রদান করা হতে পারে। তাছাড়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবনসমূহ ভোটকেন্দ্র হিসেবে এবং প্রতিষ্ঠানের আসবাবপত্র নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করা প্রয়োজন হবে।

নির্বাচন কার্য সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সংশ্লিষ্ট সব সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। অতীতেও তারা নির্বাচনের কাজে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় সহায়তা-সহযোগিতা প্রদান করেছেন। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নির্বাচন কর্মকর্তাদের শৃঙ্খলা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্বাচনি কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সালের ১৩ নং আইন) রয়েছে। এতে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী নির্বাচন-সংক্রান্ত কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত হলে তিনি তার ওই নিয়োগের তারিখ থেকে নির্বাচনি দায়িত্ব অব্যাহতি না পাওয়া পর্যন্ত তার চাকরির অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে প্রেষণে চাকরিরত আছেন বলে গণ্য হবেন। প্রেষণে চাকরিরত থাকাকালে নির্বাচন-সংক্রান্ত দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন এবং ক্ষেত্রমতে রিটার্নিং অফিসারের নিয়ন্ত্রণে থাকবেন এবং তিনি তার যাবতীয় আইনানুগ আদেশ বা নির্দেশ পালনে বাধ্য থাকবেন। প্রেষণে চাকরিরত থাকাকালে নির্বাচন-সংক্রান্ত দায়িত্ব প্রাধান্য পাবে। এমন পরিস্থিতিতে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর রিটার্নিং অফিসারের যেকোনো নির্দেশ জরুরি ভিত্তিতে পালন করার নিশ্চয়তা বিধান করা প্রয়োজন।

চিঠিতে আরও বলা হয়, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১২৬ এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর অনুচ্ছেদ অনুসারে নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা প্রদান সরকারের নির্বাহী কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট সবার একটি আবশ্যিক পালনীয় দায়িত্ব। এ ছাড়া গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ৪৪ক অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী নির্বাচনি সময়সূচি জারি হওয়ার পর থেকে ফলাফল ঘোষণার ১৫ দিন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ছাড়া ওই অনুচ্ছেদে বর্ণিত কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অন্যত্র বদলি করা যাবে না।

চিঠিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়। সেগুলো হলো-

১. আসন্ন নির্বাচন অনুষ্ঠানের কাজে অর্পিত দায়িত্ব আইন ও বিধি অনুযায়ী নিরপেক্ষভাবে পালন করে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা ও সহযোগিতা প্রদান করার লক্ষ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং অধিদপ্তর, দপ্তর, সংস্থা হতে তাদের অধীনস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবিলম্বে নির্দেশ প্রদান।

২. শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সরকারি, সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতিও অনুরূপ নির্দেশ জারি করা।

৩. নির্বাচন পরিচালনার কাজ অব্যাহত রাখার নিশ্চয়তা বিধানের জন্য সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ তথা সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত অফিস, প্রতিষ্ঠান, সংস্থাসমূহকে তাদের যেসব কর্মকর্তা ও কর্মচারী নির্বাচনের কাজে জড়িত আছেন, নির্বাচনের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের ছুটি প্রদান বা অন্যত্র বদলি করা অথবা নির্বাচনি দায়িত্ব ব্যাহত হতে পারে এমন কোনো দায়িত্ব প্রদান হতে বিরত থাকা।

চিঠিতে উল্লিখিত নির্দেশনা জারিসহ আনুষঙ্গিক কার্যাদি সম্পন্ন করে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করার জন্য অনুরোধ করা হয়।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Books will go to school this month Mass Education Advisor

চলতি মাসেই শতভাগ স্কুলে যাবে বই: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

চলতি মাসেই শতভাগ স্কুলে যাবে বই: গণশিক্ষা উপদেষ্টা রাজধানীর একটি স্কুলে নতুন বই পেয়ে ছাত্রীদের উচ্ছ্বাস। ফাইল ছবি/পিয়াস বিশ্বাস/নিউজবাংলা
ডিসি সম্মেলনের শেষ দিন মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান গণশিক্ষা উপদেষ্টা।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার জানিয়েছেন, চলতি মাসেই শতভাগ স্কুলে বই পৌঁছে যাবে।

ডিসি সম্মেলনের শেষ দিন মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান গণশিক্ষা উপদেষ্টা।

উপদেষ্টা বলেন, দেশের ৮৫ ভাগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বই এরই মধ্যে দেওয়া হয়েছে। এ মাসেই বাকি স্কুলগুলোতেও বই পৌঁছে যাবে।

তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকরা যুক্ত রয়েছেন। ডিসিরা প্রাথমিক শিক্ষার নানান সমস্যা চিহ্নিত করেছেন, যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ যেন সঠিকভাবে হয়, সে বিষয়ে ডিসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বেসরকারি যেসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিবন্ধন নেই, সেগুলোকে দ্রুত নিবন্ধনের আওতায় আনার জন্য ডিসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছেও বলে জানান উপদেষ্টা।

ওই সময় প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক পদে সুপারিশপ্রাপ্তদের নিয়োগের আন্দোলনে বিষয় জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা জানান, সুপারিশপ্রাপ্তদের প্রতি তার সহমর্মিতা আছে, তবে বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। তাই এ বিষয়ে মন্তব্য সম্ভব নয়।

আরও পড়ুন:
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিশৃঙ্খলায় জড়িত সব জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দুর্নীতি সব শেষ করে দিচ্ছে: ড. ইউনূস
আসুন সবাই মিলে গণঅভ্যুত্থানে আত্মত্যাগকারীদের স্বপ্ন সার্থক করি: প্রধান উপদেষ্টা
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল প্রধান শিক্ষক ও স্ত্রীর

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Improving law and order situation Home Advisor

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ফাইল ছবি
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘পরিস্থিতি আগের চেয়ে উন্নতির দিকে। আরও ভালো করার জন্য জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অপারেশন ডেভিল হান্ট চলছে। যতদিন ডেভিলরা থাকবে, ততদিন অপারেশন চলবে।’

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে উন্নতির দিকে বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিন মঙ্গলবার এক বৈঠক শেষে এমন দাবি করেন তিনি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘পরিস্থিতি আগের চেয়ে উন্নতির দিকে। আরও ভালো করার জন্য জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অপারেশন ডেভিল হান্ট চলছে। যতদিন ডেভিলরা থাকবে, ততদিন অপারেশন চলবে।’

তিনি বলেন, ‘দেশ থেকে দুর্নীতি কমাতে হবে। সব লেভেলে যেন দুর্নীতি কমে, সে জন্য ডিসিদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।’

ওই সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও জানান, সীমান্ত এলাকায় বিজিবি বাড়ানোর জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন ডিসিরা। গাজীপুর জিএমপি, শিল্প পুলিশে জনবল বাড়ানোর প্রস্তাবও সংশ্লিষ্ট ডিসি দিয়েছেন।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কীভাবে আরও উন্নতি করা যায়, এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা সীমান্ত এলাকায় বিজিবি বৃদ্ধি করার জন্য বলেছেন।

‘নৌ পুলিশ বৃদ্ধি করার জন্য বলেছেন। গাজীপুরে জনবল বৃদ্ধির কথা বলেছেন। ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের জনবল বৃদ্ধির জন্য বলেছেন।’

পুলিশের হাতে মারণাস্ত্র না দেওয়া এবং এসপি ও ওসিদের এসিআর লেখার প্রস্তাব করেছিলেন ডিসিরা। এ বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে তা জানতে চান একজন সাংবাদিক।

জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এসব বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। কারণ আলোচনার সময় ছিল খুব কম।’

আরও পড়ুন:
বিশৃঙ্খলায় জড়িত সব জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দুর্নীতি সব শেষ করে দিচ্ছে: ড. ইউনূস
আসুন সবাই মিলে গণঅভ্যুত্থানে আত্মত্যাগকারীদের স্বপ্ন সার্থক করি: প্রধান উপদেষ্টা
জাতিসংঘের সুপারিশের বিষয়ে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটে যোগ দিতে দুবাইয়ে প্রধান উপদেষ্টা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In the International Crimes Tribunal

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাবেক মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও বিচারকসহ ১৬ জন

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাবেক মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও বিচারকসহ ১৬ জন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাইনবোর্ড। ছবি: বাসস
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে মঙ্গলবার তাদের হাজির করা হয়।

গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপদেষ্টা, সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারকসহ ১৬ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।

ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে মঙ্গলবার তাদের হাজির করা হয়।

সকাল ১০ টার পর ১৬ জনকে ট্রাইব্যুনালে এনে হাজতখানায় রাখা হয়। তারা হলেন সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, দীপু মনি, আবদুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, আমির হোসেন আমু, কামরুল ইসলাম, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী, সালমান এফ রহমান, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক বিচারক এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম।

গত ৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলায় ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এবং আরেক মামলায় তার পরিবারের সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

যাদের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে, তাদের মধ্যে শেখ হাসিনা ছাড়াও তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, শেখ হাসিনার ফুপাত ভাই ও সাবেক মন্ত্রী শেখ ফজলুল করিম সেলিম, তার দুই ভাতিজা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপস ও যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ রয়েছেন।

এ ছাড়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয় সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাতের বিরুদ্ধে।

গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে সেখানেই আছেন শেখ হাসিনা। তার দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের কয়েকজন গ্রেপ্তার হলেও অধিকাংশই এখন রয়েছেন আত্মগোপনে।

এদিকে জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।

আরও পড়ুন:
পিলখানা হত্যাকাণ্ড: হাসিনাসহ ৫৭ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ
পরোয়ানা সত্ত্বেও ওবায়দুল কাদেরের দেশত্যাগের ব্যাখ্যা চেয়েছে ট্রাইব্যুনাল
ট্রাইব্যুনালে সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৬ আসামি
শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে ট্রাইব্যুনালের নিষেধাজ্ঞা 
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের বিশেষ পরামর্শক টবি ক্যাডম্যান

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The Public Administration Reform Commission recommends simplifying bureaucratic process

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ করার সুপারিশ জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ করার সুপারিশ জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের গত ৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের কাছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী তাদের প্রতিবেদন জমা দেন। ছবি: ফেসবুক
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ৫ ফেব্রুয়ারি হস্তান্তর করা হয়।

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ৫ ফেব্রুয়ারি হস্তান্তর করা হয়।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী প্রতিবেদনটি হস্তান্তর করেন।

পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে সংস্কার প্রস্তাবের সারসংক্ষেপ গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। পাশাপাশি বিষয়টি কমিশনের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়। মোট ১৭ অধ্যায়ের প্রস্তাবের দ্বাদশ অধ্যায়ে রয়েছে অংশটি।

কমিশনের প্রতিবেদনে জনপ্রশাসনে কার্যকারিতার লক্ষ্যে সংস্কারের যৌক্তিকতা প্রসঙ্গে নাগরিক পরিষেবা প্রদানে জনপ্রশাসনের ভূমিকা, নাগরিক পরিষেবার কার্যকারিতা, আমলাতান্ত্রিক লাল ফিতার দৌরাত্ম্য সম্পর্কে প্রতিবেদনে সুপারিশমালা পেশ করা হয়েছে।

সুপারিশে আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার বিষয়ে বলা হয়, ‌‌‘নাগরিক সেবা প্রদানের বিষয়ে প্রশাসনিক পদ্ধতি তথা আমলাতান্ত্রিক বিধিবিধান সহজতর ও ডিজিটাল করা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে জনপ্রশাসনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। সঠিক নীতি-নির্ধারণের স্বার্থে তথ্য-উপাত্ত ও পরিসংখ্যান নির্মোহভাবে বিশ্লেষণ করা এবং নীতি-নির্ধারকদের কাছে তা পেশ করার নীতি চালু করা যেতে পারে।’

এতে আরও বলা হয়, ‘রাষ্ট্রীয় সম্পদ নাগরিকদের জন্য বরাদ্দ প্রদান টার্গেট জনগোষ্ঠীর চাহিদা ও তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে হতে হবে। নাগরিকদের বিবিধ সরকারি পরিষেবা প্রদানের জন্য ওয়ান-স্টপ সার্ভিস সেন্টার স্থাপন করা এবং সেখানে তাদের অভিগম্যতা সহজতর করার উদ্যোগ নিতে হবে।

‘একটি গতিশীল ও কার্যকর পদ্ধতি চালু করতে হবে যাতে নাগরিকদের মতামত দেয়ার সুযোগ থাকে এবং তারা যেন স্বস্তি বোধ করে যে তাদের কথা শোনা হয়।’

কার্য সম্পাদনে প্রযুক্তি গ্রহণ ও প্রয়োগ বিষয়ে সুপারিশে বলা হয়, ‘কার্যবিধিমালা, মন্ত্রণালয়/বিভাগের কর্মবণ্টন ও সচিবালয় নির্দেশমালা পর্যালোচনা করে তা সংশোধন বা বিয়োজন এবং অনলাইনে তা সহজলভ্য করার উদ্যোগ নিতে হবে। মন্ত্রণালয়/বিভাগগুলোকে পাঁচটি ক্লাস্টারে ভাগ করা যেতে পারে।

‘সরকারি পরিষেবা সহজতর করার জন্য একটি কেন্দ্রীয় অনলাইন পোর্টাল স্থাপন করা। সরকারি পরিষেবা পদ্ধতি গতিশীল করার জন্য ই-গভর্ন্যান্স কৌশল বাস্তবায়ন করা। ডিজিটাল টুল ও ডাটা ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের অধিকতর দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য প্রশিক্ষণ খাতে বেশি বিনিয়োগ করা।’

সুপারিশে উল্লেখ করা হয়, ‘নাগরিকদের সেবা প্রদান ও সম্পদ বরাদ্দের ক্ষেত্রে নারী ও পিছিয়ে পড়া সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে প্রাধান্য দিতে হবে। সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তিকরণ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Fake freedom fighters will be covered under the law adviser

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের আইনের আওতায় আনা হবে: উপদেষ্টা

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের আইনের আওতায় আনা হবে: উপদেষ্টা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। ছবি: বাসস
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘জেলা প্রশাসকরা অভিযোগ করেছেন, অনেক জায়গায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আছে। তাদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা চান জেলা প্রশাসকরা।’

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।

জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন সোমবার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধিবেশন শেষে এ ঘোষণা দেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘জেলা প্রশাসকরা অভিযোগ করেছেন, অনেক জায়গায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আছে। তাদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা চান জেলা প্রশাসকরা।

‘জামুকার (জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল) অধ্যাদেশ পরিবর্তন হচ্ছে। তারপর ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।’

তিনি বলেন, ‘টিআর-কাবিখাতে বরাদ্দ নিবিরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যথাযথভাবে যেন পুনর্বাসন কার্যক্রম চলে। এখন থেকে ইউএনওরা টিনসহ কিছু সামগ্রী স্থানীয়ভাবে সরকারের নিয়ম অনুযায়ী কিনবেন।’

অভ্যুত্থান পরবর্তী বাস্তবতা নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাই অভ্যত্থানের পর সরকারি কর্মকর্তাদের মানসিকতায় পরিবর্তন এসেছে মনে করি। তাই স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে।

‘এ মাসের মধ্যেই জুলাই অধিদপ্তর গঠন হবে। জুলাই অভ্যুত্থানে মৃত্যুবরণ করা সবাই জুলাই শহীদ। আর আহতরা জুলাই যোদ্ধা হিসেবে খ্যাত হবেন।’

আরও পড়ুন:
‘ডিসি পদায়নে তিন কোটির’ সেই চেক ভুয়া: জনপ্রশাসন সচিব
মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরিপ্রাপ্তদের তালিকা হচ্ছে: উপদেষ্টা
বাংলাদেশে হামলার ভুয়া খবর ছড়াচ্ছে ভারতের উগ্র ডানপন্থীরা
শাস্তি পাবেন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা: উপদেষ্টা ফারুক
রেস্টুরেন্টের ‘দখলে’ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Controlling all the people involved in chaos Home Advisor

বিশৃঙ্খলায় জড়িত সব জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বিশৃঙ্খলায় জড়িত সব জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সোমবার দুপুরে কোস্ট গার্ড সদরদপ্তরে বাহিনীর ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও কোস্ট গার্ড দিবস-২০২৫ উদযাপন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: ইউএনবি
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘বিভিন্ন জনতা বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে আন্দোলন করছে। এ ক্ষেত্রে শুধু তৌহিদি জনতা নয়, জনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী সব জনতাকেই নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।’

বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী সব জনতাকেই নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে বলে সোমবার জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন জনতা বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে আন্দোলন করছে। এ ক্ষেত্রে শুধু তৌহিদি জনতা নয়, জনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী সব জনতাকেই নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।’

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে দুপুরে কোস্ট গার্ড সদরদপ্তরে বাহিনীর ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও কোস্ট গার্ড দিবস-২০২৫ উদযাপন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের নদীপথ ও সমুদ্র উপকূলের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব কোস্ট গার্ডের, যা তারা খুব ভালোভাবে সম্পন্ন করে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার সীমান্তে মাঝে মাঝে বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়। কোস্ট গার্ড সেগুলো সফলতার সঙ্গে সমাধান করছে।

‘বিভিন্ন সময়ে পার্শ্ববর্তী দেশের জেলেরা আমাদের জলসীমায় প্রবেশ করে মাছ শিকার করে নিয়ে যায়। এসব ক্ষেত্রেও কোস্ট গার্ড ভালো ভূমিকা রাখছে। কোস্ট গার্ড ও বিজিবির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় উপকূল এলাকা আমাদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, ‘পাসপোর্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে সে ক্ষেত্রে রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট পাওয়া সহজ হবে না। কারণ ভোটার আইডি কার্ড ছাড়া পাসপোর্ট করা যাবে না।

‘রোহিঙ্গারা যেন জাতীয় পরিচয়পত্র না পায়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আর যারা ইতোমধ্যে পেয়েছে, তাদের ব্যাপারে যাচাই-বাছাই করা হবে।’

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘দুর্নীতি আমাদের বড় সমস্যা। এটি আমাদের সব ক্ষেত্রকে গ্রাস করে নিয়েছে। গত ছয় মাসে দুর্নীতির পরিমাণ অনেক কমেছে।

‘তবে এটি এখনও সহনীয় পর্যায়ে আসেনি। দুর্নীতি যদি কমানো যায়, তাহলে সব সেক্টরে উন্নতি হবে।’

ওই সময় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল জিয়াউল হক উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
দুর্নীতি সব শেষ করে দিচ্ছে: ড. ইউনূস
আসুন সবাই মিলে গণঅভ্যুত্থানে আত্মত্যাগকারীদের স্বপ্ন সার্থক করি: প্রধান উপদেষ্টা
জাতিসংঘের সুপারিশের বিষয়ে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটে যোগ দিতে দুবাইয়ে প্রধান উপদেষ্টা
কোনো শয়তান যেন পালাতে না পারে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
All fishing including hilsa in marine waters is banned for 7 days

সামুদ্রিক জলসীমায় ইলিশসহ সব মাছ ধরা নিষিদ্ধ ৫৮ দিন

সামুদ্রিক জলসীমায় ইলিশসহ সব মাছ ধরা নিষিদ্ধ ৫৮ দিন ইলিশ আহরণে নিয়োজিত জেলেরা। ছবি: নিউজবাংলা
আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন মোট ৫৮ দিন বঙ্গোপসাগরে সব ধরনের মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকবে।

বঙ্গোপসাগরে সব ধরনের মৎস্য আহরণ বন্ধ রাখার বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন মোট ৫৮ দিন বঙ্গোপসাগরে সব ধরনের মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকবে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এসব তথ্য জানিয়েছেন।

সচিবালয়ে সোমবার আসন্ন রমজান মাসে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম এবং বিগত ৬ মাসে মন্ত্রণালয়ের কাজের অগ্রগতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘সামুদ্রিক জলসীমায়ও ইলিশ ও অন্যান্য মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৎস্য আহরণের ওপর প্রতি বছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন সকল প্রকার মৎস্য নৌযান দিয়ে যেকোনো প্রকার মৎস্য ও চিংড়ি, কাঁকড়া, লবস্টার ইত্যাদি (ক্রাস্টাশিয়ান্স) আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়। এর ফলে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ আহরণ ১২.৭৮ শতাংশ বৃদ্ধির রেকর্ড রয়েছে। কিন্তু এই সময়কাল পার্শ্ববর্তী দেশের সাথে সমন্বয় না থাকায় বাংলাদেশের মাছ আহরণে পার্শ্ববর্তী দেশের মৎস্যজীবীরা সুযোগ নিচ্ছে।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘তাই মৎস্য আহরণকারী সংগঠন এবং মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে ব্যানড পিরিয়ড সমন্বয় করার দাবি উত্থাপিত হয়ে আসছে।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘তারই পরিপ্রেক্ষিতে মৎস্য অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট ও অন্যান্য অংশীজন এবং মৎস্য বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়। কারিগরি কমিটি সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের স্থায়িত্বশীল আহরণ ও স্টেকহোল্ডারদের স্বার্থের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বঙ্গোপসাগরে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ অধিকাংশ মাছের ব্রিডিং পিরিয়ড এপ্রিল থেকে জুন মাস হওয়ায় ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত মোট ৫৮ দিন বঙ্গোপসাগরে সব ধরনের মৎস্য আহরণ বন্ধ রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

‘অর্থাৎ এখন থেকে সামুদ্রিক জলসীমায় ইলিশ ও অন্যান্য মাছের আহরণের নিষিদ্ধ কাল হচ্ছে ৫৮ দিন (১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন)।’

এ ছাড়া হাওরে দেশীয় মাছ সংরক্ষণে জন্য ১৫ মে থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত হাওরে পানি আসার পরিপ্রেক্ষিতে ২০ দিন বা সর্বোচ্চ ১ মাস মাছ ধরা নিষিদ্ধকরণ বিষয়ে মতামত দেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন:
বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুদের গুলিতে জেলে নিহত, ১৯ জেলেকে অপহরণ
মা ইলিশ সংরক্ষণে পিরোজপুরে অভিযান
মেঘনার ১০০ কিলোমিটারে মাছ ধরা বন্ধ ২২ দিন
বন্যা: শেরপুরে ভেসে গেছে ৭১ কোটি টাকার মাছ
ইনানী সৈকতে ভেসে এলো আরও দুই জেলের মরদেহ

মন্তব্য

p
উপরে