× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
219 people who want boat in 16 constituencies of Chittagong are ahead
google_news print-icon

চট্টগ্রামের ১৬ আসনে নৌকা চান ২১৯ জন, এগিয়ে যারা

চট্টগ্রামের-১৬-আসনে-নৌকা-চান-২১৯-জন-এগিয়ে-যারা
ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগের একটি সূত্রের দেয়া তথ্যানুযায়ী, বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী তিন দিন বসবে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা। এই তিন দিনেই সারা দেশে নিজেদের প্রার্থীর তালিকা চূড়ান্ত করবে দলটি৷ আর যাচাই-বাছাই শেষে মনোনয়ন ঘোষণা হতে পারে ২৬ বা ২৭ শে নভেম্বর।

রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মাঝেই প্রস্তুতি চলছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের। তবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্তে অনেকটা নিরুত্তাপ ভোটের মাঠ। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র বিক্রি কিছুটা হলেও নির্বাচনি আবহ এনেছে।

১৯ নভেম্বর শুরু হয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বিক্রি শেষ হয়েছে ২১ নভেম্বর। তিন দিনে ৩০০ সংসদীয় আসনের বিপরীতে মোট ৩ হাজার ৩৬২টি মনোনয়নপত্র বিক্রি করেছে দলটি৷ এর মধ্যে চট্টগ্রামে ১৬টি আসনের বিপরীতে ২১৯ জন ২৩২টি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন৷ এতে আসন প্রতি ফরম বিক্রি হয়েছে ১৪টির বেশি। এর মাধ্যমে দলটির আয় হয়েছে ১ কোটি ১৬ লাখ টাকা। যা মনোনয়নপত্র বিক্রি করে দলটির মোট আয়ের প্রায় ৭ শতাংশ।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে এবার ৬৬১টি মনোনয়নপত্র কম বিক্রি হলেও চট্টগ্রামে বেড়েছে এই সংখ্যা। জেলায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামে মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছিল ২২৫টি। সে তুলনায় এবার চট্টগ্রামে মনোনয়নপত্র বিক্রি বেড়েছে ৭টি।

চট্টগ্রাম-৮

আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, এবার চট্টগ্রামে সবচেয়ে বেশি ২৮টি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী ও চসিকের ৩-৭নং ওয়ার্ড) আসনে। এই আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য নোমান আল মাহমুদকে মনোনয়ন দৌড়ে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন হ্যাভিওয়েট প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আরশেদুল আলম বাচ্চু, সিডিএর সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সালামসহ ২৭ জন। তাদের মধ্যে সিটি করপোরেশনের একাধিক কাউন্সিলরও রয়েছেন।

এই আসনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী অন্যরা হলেন মোহাম্মদ বেলাল হোসেন, কাউন্সিলর মোহাম্মদ মোবারক আলী, মোহাম্মদ দিদারুল আলম, কাজী শারমিন সুমি, এস এম নুরুল ইসলাম, এস এম কফিল উদ্দিন, বিজয় কুমার চৌধুরী, এটি এম আলী রিয়াজ খান, জিনাত শাহেনা চৌধুরী, মোহাম্মদ ইমরান, জাবেদুল আলম মাসুদ, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, মোহাম্মদ খুরশেদ আলম, মোহাম্মদ মনসুর আলম, মো. আব্দুল কাদের, কফিল উদ্দিন খান, শেখ আমেনা খাতুন, এম এ সুফিয়ান সিকদার, আশেক রসুল খান, মো. নুরুল আনোয়ার, মোহাম্মদ আবু তাহের, মাহমদ দিদারুল আলম, মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং সেলিনা খান।

চট্টগ্রাম-২

জেলায় সবচেয়ে কম, মাত্র ২টি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে। এই আসনে মনোনয়ন দৌড়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোহাম্মদ ওসমান গনি চৌধুরী। এতে অনেকটা নির্ভার রয়েছেন বর্তমান তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান।

বাকি আসনগুলোর মধ্যে ১০টির কম মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই), চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) এবং চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে।

চট্টগ্রাম-১

চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের আসন হিসেবে পরিচিত হলেও এবার তিনি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি। তবে বর্ষীয়ান এ রাজনীতিবীদের পরিবার থেকে তার ছেলে মাহবুব উর রহমান রুহেল মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ না করায় মনোনয়ন দৌড়ে মাহবুব উর রহমানকেই এগিয়ে রাখছেন সবাই।

এই আসনে মাহবুব উর রহমান ছাড়াও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন আরও চারজন। তারা হলেন- যুবলীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ এলিট, এ কে এম বেলায়েত হোসেন, মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন এবং মোহাম্মদ মোস্তফা।

চট্টগ্রাম-৬

চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে বর্তমান এমপি ফজলে করিম চৌধুরীসহ মনোনয়ন কিনেছেন ৯ জন। এই আসনে মনোনয়ন দৌড়ে ফজলে করিম চৌধুরীর ভয়ের কারণ হতে পারেন সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী কিংবা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা দেবাশীষ পালিত।

এর বাইরেও এই আসনে মনোনয়ন দৌড়ে রয়েছেন মোহাম্মদ আবুল কালাম, ইমরানুল কবীর, মোহাম্মদ মুসলিম উদ্দিন চৌধুরী, মোহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী, আলহাজ্ব মো. সালামত আলী এবং বকতিয়ার উদ্দিন খান।

চট্টগ্রাম-১৩

চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনেও অনেকটা নির্ভার রয়েছেন বর্তমান ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। এই আসনে মনোনয়ন দৌড়ে তার সঙ্গে লড়াই করবেন আরও দুজন। তারা হলেন শাহজাদা মহিউদ্দিন এবং সমীরন নাথ।

চট্টগ্রামের ১৬ আসনে দলীয় মনোনয়নের দৌড়ে সবচেয়ে বেশি হ্যাভিওয়েট প্রার্থী চট্টগ্রাম-৯ (বাকলিয়া-কোতোয়ালী), চট্টগ্রাম-১০ (খুলশী, পাহাড়তলী) ও চট্টগ্রাম-১১ (পতেঙ্গা-বন্দর) আসনে। এই তিন আসনের তিনটিতেই মনোনয়ন চান নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ. জ. ম. নাছির উদ্দিন।

এ ছাড়া চট্টগ্রাম-১০ ও চট্টগ্রাম-১১ আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন হ্যাভিওয়েট প্রার্থী সাবেক নগর প্রশাসক ও চট্টগ্রামে ১৪ দলের সমন্বয়ক খোরশেদ আলম চৌধুরী সুজন।

চট্টগ্রাম-৯

চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে মনোনয়ন চান এই আসন থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষও এই আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন চান।

চট্টগ্রাম জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর ও নগর আওয়ামী লীগ নেতা শেখ ইফতেখার সাইমুনও নৌকার মাঝি হতে চান চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে৷

এ ছাড়া আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দৌড়ে এই আসন থেকে অন্যান্যদের মধ্যে আছেন মোহাম্মদ দিদারুল আলম, মোহাম্মদ শহীদ উল আলম, মোহাম্মদ ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী, শফিক আদনান, মোহাম্মদ সফর আলী, মোহাম্মদ রাশেদুল হাসান, আমিনুল হক, শাহজাদা মোহাম্মদ ফজল মুকিম নীল, মোহাম্মদ রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, মশিউর রহমান চৌধুরী, মুহাম্মদ জালাল উদ্দিন এবং মুজিবুর রহমান।

চট্টগ্রাম-১০

চট্টগ্রাম-১০ আসনে নাছির-সুজন ছাড়াও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান ১৭ জন।

তারা হলেন- সৈয়দ মাহমুদুল হক, মোহাম্মদ ইউনুস, কেবিএম শাহজাহান, দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, শ্রমিক নেতা মোহাম্মদ শফর আলী, মোহাম্মদ এমদাদুল ইসলাম, এরশাদুল আমিন, আবুল ফজল কবির আহমেদ, আসলাম হোসেন, সাইফুদ্দিন খালেদ, মোহাম্মদ জহির উদ্দিন বাবর, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন, মুহাম্মদ অহিদ সিরাজ চৌধুরী, আব্দুস সবুর লিটন, আলহাজ্ব মো. সালামত আলী এবং মোহাম্মদ ফয়সাল আমিন।

চট্টগ্রাম-১১

চট্টগ্রাম-১১ আসনে নাছির-সুজনের পাশাপাশি মনোনয়নপত্র নিয়েছেন তিনবারের সংসদ সদস্য এম এ লতিফসহ ২৭ জন। চট্টগ্রাম-৮ আসনের পর সবচেয়ে বেশি মনোনয়ন বিক্রি হয়েছে এই আসনে।

বন্দরের কারণে বাণিজ্যিকভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই আসনে আরও যারা নৌকার মাঝি হতে চান তারা হলেন- দেবাশীষ পাল, নজরুল ইসলাম বাহাদুর, রেখা আলম চৌধুরী, মোহাম্মদ জাবেদ ইকবাল, সৌগাতুল আনোয়ার খান, মোহাম্মদ এনামুল হক, মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন চৌধুরী, মোহাম্মদ সফর আলী, জিয়াউল হক সুমন, মোহাম্মদ রাশেদুল হাসান, মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, নওশেদ সরোয়ার, সালেহ আহমদ চৌধুরী, আকবর হোসেন, এম এনামুল হক চৌধুরী, মশিউর রহমান চৌধুরী, ইকবাল আলী, মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ, ইমরান ফাহিম নূর, সায়রা বানু, হাজী জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, মোহাম্মদ ইলিয়াস, মহম্মদ আমিনুল হক এবং মুজাফফর আহম্মদ।

চট্টগ্রাম-২

এদিকে দীর্ঘদিন ধরে হাতছাড়া থাকা চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনটি ফিরে পেতে এবার মরিয়া স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এই আসনে দলটির হ্যাভিওয়েট প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলামসহ আছেন সংরক্ষিত আসনের নারী সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার সনি।

এই আসনে নৌকা পেতা চান আরও ১৯ জন। তার হলেন- মোহাম্মদ আফতাব উদ্দিন চৌধুরী, গোলাম নওশের আলী সাবরিনা চৌধুরী, মোহাম্মদ শাহজাহান, সাদাত আনোয়ার সাদী, বেলাল মোহাম্মদ নূরী, হাসিবুন সোহাদ, মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, খোরশেদ আহমেদ জুয়েল, কাজী মোহাম্মদ তানজিবুল আলম, মো. সালামাত আল্লাহ চৌধুরী, এম আর আজিম, সরোয়ার উদ্দিন চৌধুরী, মোহাম্মদ হারুন, তৌহিদ মোহাম্মদ ফয়সাল কামাল, হোসাইন মোহাম্মদ আবু তৈয়ব, ফখরুল আনোয়ার, সৈয়দ রাজিয়া মোস্তফা এবং আনোয়ার হোসেন।

চট্টগ্রাম-৩

চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসন থেকে ১২ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও মনোনয়ন দৌড়ে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা৷

অন্যান্য যারা এই আসেন থেকে নৌকার মাঝি হতে চান তারা হলেন মহিউদ্দিন আহমেদ, এ কে এম বেলায়েত হোসেন, মানিক মিয়া তালুকদার, মোহাম্মদ জাফরুল্লাহ, মোহাম্মদ রাজিবুল আহসান, মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, ইউসুফ আলী জীবন, রফিকুল ইসলাম, রুমানা নাসরিন, সরোয়ার হাসান জামিল এবং মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন চৌধুরী।

চট্টগ্রাম-৪

চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড ও চসিকের ৯-১০ নং ওয়ার্ড) আসনে মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে আছেন বর্তমান সংসদ সদস্য মোহাম্মদ দিদারুল আলম।

তবে এই আসনে দলীয় মনোনয়ন দৌড়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির সদস্য লায়ন মোহাম্মদ ইমরান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া, চসিক কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমদ মঞ্জুকেও এগিয়ে রাখছেন কেউ কেউ।

এই আসন থেকে নৈকার মাঝি হতে চাওয়া অন্যরা হলেন- এসএম আল মামুন, রত্নেন্দু ভট্টাচার্য, মোহাম্মদ ফখরুদ্দীন চৌধুরী, আব্দুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া, মোহাম্মদ পারভেজ উদ্দিন, মহি উদ্দিন, আবু মনির মো. শহিদুল হক চৌধুরী এবং চৌধুরী মোহম্মদ জিন্নাত আলী।

চট্টগ্রাম-৫

চট্টগ্রাম-২ আসনের মত দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনটি মহাজোটের শরীক দলের দখলে। এই আসন থেকে এবার নৌকার প্রার্থী হতে চান ১৩ জন।

এই আসনে মনোনয়ন দৌড়ে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম ও নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুলকে নৌকার অন্যতম দাবিদার হিসেবে বিবেচনা করা হলেও আসনটি এবার মহাজোটের শরীক দলের হাতে যাবে বলে ধারণা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

এই আসনে অন্য যারা নৌকার প্রার্থী হতে চান তারা হলেন- মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন, মোহাম্মদ ইউনুস, মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম, মোহাম্মদ শামীম, ইউনুস গনি চৌধুরী, মোহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী, মনজুর আলম চৌধুরী, মাসুদুল আলম, নাসির হায়দার করিম, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন চৌধুরী, ডাক্তার নুর উদ্দিন জাহেদ এবং বাসন্তী প্রভা পালিত।

চট্টগ্রাম-১২

চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনটি হুইফ শামসুল হক চৌধুরীর আসন হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। তবে এবার শামসুল হক চৌধুরীর সামনে বাধা হিসেবে কাজ করতে পারে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। যুবলীগ নেতা মুহাম্মদ বদিউল আলমও এগিয়ে আছেন মনোনয়ন দৌড়ে।

এই আসনে নৌকার হাল ধরতে চান আরও ১৪ জন। তারা হলেন- সাবেক সংসদ সদস্য চেমন আরা বেগম, সত্যজিৎ দাস রুপু, মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ, জুলকারনাইন চৌধুরী, আব্দুর রশিদ, আলাউদ্দিন মো. আব্দুল ওয়াদুদ, তসলিম উদ্দিন, শেখ মোহাম্মদ ইসহাক, আবুল কালাম আজাদ চৌধুরী, প্রদীপ কুমার দাস, মোহাম্মদ হাবিবুল হক চৌধুরী, রাশেদ মনোয়ার, মুহাম্মদ ফারুক এবং মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।

চট্টগ্রাম-১৪

চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম চৌধুরীর পাশাপাশি নৌকার মনোনয়নপত্র নিয়েছেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানসহ ১৭ জন। তবে এই আসনে অন্যান্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তুলনায় হ্যাভিওয়েট হওয়ায় অনেকটসই এগিয়ে মফিজুর রহমান।

আসনটিতে দলীয় মনোনয়ন দৌড়ে অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার চৌধুরী, মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, মোহাম্মদ কায়কোবাদ ওসমানী, আফতাব মাহমুদ, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম চৌধুরী, ইমতিয়াজ উদ্দিন আহমদ আসিফ, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, এম মাসুদ আলম চৌধুরী, সাহিদা আক্তার জাহান, আবু আহমেদ চৌধুরী, আবুল বশর ভূঁইয়া, মামুনুল হক চৌধুরী, মাহবুবু রহমান এবং মীর মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।

চট্টগ্রাম-১৫

চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসন থেকে ফের মনোনয়ন চান দুই বারের সংসদ সদস্য আবু রেজা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন। তবে তার সাম্প্রতিক নানা কর্মকাণ্ডে দলীয় হাইকমান্ড কিছুটা অসন্তোষ হওয়ায় মনোনয়ন দৌড়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলামকেই এগিয়ে রাখছেন অনেকেই।

এই আসনে নৌকড় হাল ধরতে চান আরও অন্তত ১৩ জন। তারা হলেন- সাজেদা সুরাত, মোহাম্মদ মইনুল ইসলাম মামুন, আব্দুল মোতালেব, মোহাম্মদ আমানুল্লাহ জাহাঙ্গীর, মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন হাসান চৌধুরী, আ স ম মিনহাজুর রহমান, মহম্মদ এরশাদুল হক, সৈয়দ মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ অহিদ সিরাজ চৌধুরী, মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান, কামরুন নাহার এবং মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন চৌধুরী।

চট্টগ্রাম-১৬

চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসন নিয়ে নানা জল্পনা কল্পনা চলছে এবার। নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে এবার আসনটিতে নৌকা হারাতে পারেন বর্তমান সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। এই আসনে মনোনয়ন দৌড়ে তুলনামূলক এগিয়ে আছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান।

এ দুজন ছাড়াও আরও অন্তত ১৩ জন নৌকার হাল ধরতে চান এই আসনে। তারা হলেন- মোহাম্মদ জমির উদ্দিন শিকদার, আব্দুল্লাহ কবীর, চৌধুরী মোহাম্মদ গালিব সাদী, আরেফ উল হক, মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান চৌধুরী, মোসলেহ উদ্দিন মনসুর, মো. সাইদুল মোস্তফা চৌধুরী রাজু, নাজমা আক্তার, শামসুদ্দিন আহমদ চৌধুরী শামস, শেখর দত্ত, সাইফুদ্দিন আহমেদ ববি, আবুল হোসেন মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং আবু নছর মোহাম্মদ সরওয়ার আলম।

এদিকে নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে নির্বাচন কমিশনে। তাই এর আগেই চূড়ান্ত করতে হবে দলীয় মনোনয়ন।

তবে আওয়ামী লীগের একটি সূত্রের দেয়া তথ্যানুযায়ী, বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী তিন দিন বসবে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা। এই তিন দিনেই সারা দেশে নিজেদের প্রার্থীর তালিকা চূড়ান্ত করবে দলটি৷ আর যাচাই-বাছাই শেষে মনোনয়ন ঘোষণা হতে পারে ২৬ বা ২৭ শে নভেম্বর।

আরও পড়ুন:
৭ আসনে নৌকার মনোনয়ন চান পরিবারের একাধিক সদস্য
নোয়াখালী-১: মনোনয়নপত্র জমা দিলেন যুবলীগ নেতা আবদুল হাই
নৌকায় উঠতে তারকাদের দৌঁড়ঝাপ
ঢাকা-৮ থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান দেলোয়ার
চারদিনে আওয়ামী লীগের ৩৩৬২ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
BNP wants a roadmap for the election for December Nazrul Islam Khan

ডিসেম্বর ধরেই নির্বাচনের রোডম্যাপ চায় বিএনপি : নজরুল ইসলাম খান

ডিসেম্বর ধরেই নির্বাচনের রোডম্যাপ চায় বিএনপি : নজরুল ইসলাম খান

আগামী ডিসেম্বর ধরেই জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ চায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। এ সময়ে ভোট আয়োজনে বাঁধা দেখছে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

তিনি বলেছেন, ‘জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিএনপি ও সরকারের চাওয়ার মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই। সরকার তো বলেনি ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে না। তিনি বলেন, ‘এজন্য আমরা বলেছি, ডিসেম্বরের একটা তারিখ ধরে রোডম্যাপ ঘোষণা করা হোক।’

আজ সোমবার বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে লেবার পার্টির সঙ্গে লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নজরুল ইসলাম খান।

তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে। এটাকে ধরে একটা রোড ম্যাপ ঘোষণা করা হোক। সরকার বলছে যে, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। তার মানে তারা তো বলেনি যে, ডিসেম্বর নির্বাচন হবে না। কিন্তু আমরা বলছি, ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে এরকম একটা তারিখ ধরে রোড ম্যাপ ঘোষণা করা হোক। পার্থক্য তো খুব বেশি না।’

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘সরকারের কথা অনুযায়ী নির্বাচন ডিসেম্বরে হতে পারে, জানুয়ারিতে হতে পারে, ফেব্রুয়ারিতেও হতে পারে। কাজেই আমাদের সঙ্গে সরকারের পার্থক্য তো বহু মাসের না। আমরা শুধু সরকারকে বলছি, এভাবে না বলে, এভাবে বলেন।’

চলতি বছরের মাঝামাঝি নির্বাচন কমিশন ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশন তাদের দ্বায়িত্ব পূর্ণ করতে যাচ্ছেন। তাহলে ডিসেম্বরে নির্বাচনে বাধা কোথায় প্রশ্ন রেখে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, যারা ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় না তাদেরই উত্তর দিতে হবে বছরের শেষে ভোটগ্রহণে অসুবিধা কোথায়?

বিএনপি ৩১ দফা থেকে সরে যাচ্ছে কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘এখানে সরাসরি কোনো ব্যাপার নেই। ৩১ দফা বিএনপির প্রস্তাব। সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাব এসেছে এর প্রেক্ষিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের মতামত প্রদান করেছে। এটা নিয়ে এখনো কোনো ঐক্যমত্য প্রতিষ্ঠা হয়নি। আমরা বলেছি পর পর দু’বারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে না। এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, সিদ্ধান্ত হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলাম তখন আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছিলেন, এর চেয়ে ভালো কোনো প্রস্তাব যদি কারো কাছে থাকে তাহলে সেটা আমরা বিবেচনা করবো। এ কারণে আমরা দেখবো এর চেয়ে ভালো প্রস্তাব যদি কেউ দেয় সেটা যদি অধিকতর যুক্তিসংগত হয় তবে গ্রহণ করার সঙ্গে ৩১ দফার থেকে বিচ্যুত হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।’

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দাবি করছে প্রশাসন বিএনপির হয়ে কাজ করছে, সেক্ষেত্রে তারা মৌলিক সংস্কার ছাড়া নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে, এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে পাল্টা প্রশ্ন রেখে নজরুল ইসলাম বলেন, যারা অভিযোগ করছেন তারা সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন, তারাই বিএনপির লোক বসিয়ে এসেছেন কিনা?

তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে তো প্রশাসন থেকে উৎখাত করা হয়েছে। কোথাও বিএনপির কোনো ছিল না। যারা বৈষম্যের শিকার ছিল, যাদেরকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তাদের ৭’শ অফিসারকে এখনো কোথাও পদায়ন করা হয়নি। তাহলে বিএনপির লোককে বসানো হলো কোথায়?’

বৈঠক শেষে লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, জনগণ ও রাজনীতিবিদদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ড. ইউনূস ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দেবেন। লেবার পাটির পক্ষ থেকে বিএনপির কাছে জাতীয় কনভেনশন করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Election is not before the renovation and trial of the murderers Jamaats Emir

সংস্কার ও খুনিদের বিচারের আগে নির্বাচন নয়: জামায়াতের আমির

সংস্কার ও খুনিদের বিচারের আগে নির্বাচন নয়: জামায়াতের আমির

আগামীতে যেকোনো নির্বাচনের আগে খুনিদের বিচার ও প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘যেকোনো নির্বাচনের আগে অবশ্যই দুটি কাজ সম্পন্ন করতে হবে। একটি হচ্ছে খুনিদের বিচার, যা দৃশ্যমান হতে হবে। আর আরেকটি হচ্ছে প্রয়োজনীয় সংস্কার—এই দুটি ছাড়া বাংলাদেশের জনগণ কোনো নির্বাচন মেনে নেবে না।’

শনিবার (১৯ এপ্রিল) লালমনিরহাটের কালেক্টরেট মাঠে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই, কালো টাকা ও পেশীশক্তির প্রভাবযুক্ত নির্বাচন আমরা দেখতে চাই না। সেজন্য অবশ্যই নির্বাচনের সমতল মাঠ তৈরি করতে হবে।’

ভারতের সঙ্গে সম্প্রীতি, শ্রদ্ধা ও সমতার ভিত্তিতে প্রতিবেশী হিসেবে বসবাসের দাবি জানিয়ে জামায়াতের আমির বলেন, ‘আমরা ভালো থাকলে তারাও ভালো থাকবে। আমাদের ভালো কেড়ে নিলে ভারতকে চিন্তা করতে হবে তারা ভালো থাকবে কিনা।’

জামায়াতপ্রধান আরও বলেন, ফ্যাসিবাদের পতন হলেও এখনও কিছু কু-রাজনীতিক চাঁদাবাজি-দখলবাজি করছে। জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের সম্মান, নিরাপত্তা ও কাজের ব্যবস্থা করবে বলেও তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।

পাশাপাশি তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নসহ লালমনিরহাটের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীকে ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানান।

তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, আমরা এমন একটা দেশ চাই—যেখানে পক্ষ-বিপক্ষ বিভাজন চাই না। টুকরা টুকরা জাতি চাই না। আমরা মাইনরিটি ও মেজরিটি শব্দই শুনতে চাই না।

ডা. শফিকুর বলেন, এখন বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকেরাও বলছে এই কথাগুলো বলেই বলেই আমাদের শোষণ করা হয়েছে। আমরাও চাই না। নারী পুরুষ নির্বিশেষে এই দেশকে গড়ে তুলবো। নারীদের যথাযথ মর্যাদা দেওয়া হবে। তাদের নিরাপত্তা দেওয়া হবে। তারা নিরাপদভাবেই ঘরে থাকবেন, বাইরে যাবেন পেশাগত দায়িত্ব পালন করবেন। যুবকদের হাতকে আমরা কাজের হাতে পরিণত করব। সেই অপেক্ষায় আছি।

তিনি বলেন, আমাদের লাখ লাখ মানুষ বলছেন, জীবন দেবো, দেশের সার্বভৌমত্ব দেবো না। কারো লাল চোখের দিকে আর আমরা তাকাবো না। আমাদের দিকে যদি কেউ লাল চোখ তুলে তাকায় তাও আমরা বরদাশতহ করব না। আমরা পিন্ডির হাত থেকে মুক্ত হয়েছি অন্য কারো হাতে বন্দি হওয়ার জন্য না। বরং সত্যিকার অর্থে একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক হওয়ার জন্য। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সেই বৈষম্যহীন মানবিক সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চায় বলে উল্লেখ করেন জামায়াত আমির।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা সেই দিনটির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা বিভেদহীন জাতি চাই। আমরা ঐক্যবদ্ধ জাতি নিয়ে সামনে এগোতে চাই, লালমনিরহাটের প্রাণের দাবি তিস্তা মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও লালমনিরহাটের বিমানবন্দর চালু করতে হবে—তাহলে বেকারত্ব দূর হবে।

কালেক্টরেট মাঠ ছাড়াও শহরের অপর একটি মাঠে নারীদের জন্য বড় পর্দার ব্যবস্থা করা হয়।

জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট আবু তাহেরের সভাপতিত্বে জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল। এছাড়া দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দও এসময় জনসভায় বক্তব্য দেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP reform is a party but at the root of all things Nazrul Islam Khan

বিএনপি সংস্কারেরই দল, তবে সবকিছুর মূলে জনগণ: নজরুল ইসলাম খান

বিএনপি সংস্কারেরই দল, তবে সবকিছুর মূলে জনগণ: নজরুল ইসলাম খান

বিএনপি সংস্কারের বিপক্ষে নয় বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘বরং বিএনপি সংস্কারেরই দল, তবে সবকিছুর মূলে জনগণ। জনগণের সম্মতিতে যেন সব হয়।’

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপির আলোচনার শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।

নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, ‘আমরা গতকাল বুধবার প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি, বিএনপি সংস্কারের বিপক্ষে নয়, বিএনপি সংস্কারেরই দল। কিন্তু কেউ কেউ নানান কথা বলেন। তারা যখন সংস্কারের দন্তস্য উচ্চারণ করেননি, তখন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ভিশন ২০৩০ দিয়েছেন।’

সংস্কারের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলো নিয়ে বিএনপির সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাতীয় সংসদের এলডি হলে শুরু হয়েছে।

গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ আন্দোলন–সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমাদের সামনে আরেকবার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, আমরা তা কাজে লাগাতে চাই। আমরা এই কমিশনকে সহযোগিতা করছি, এই সরকারকে সহযোগিতা করছি, সেই প্রত্যাশা নিয়েই।’

যদি ঐকমত্য কমিশনের কোনো সনদ না-ও হয়, বিএনপির জন্য সংস্কারের সনদ রয়েছে বলে জানান নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, সবকিছুর মূলে জনগণ এবং জনগণের সম্মতিতে যেন সব হয়। তিনি আরও বলেন, ‘আর জনগণ কার মাধ্যমে সম্মতি জানায়, তা আমরা জানি।’

আলোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ, নজরুল ইসলাম খান, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ,আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল, সাবেক সচিব নিরুজ্জামান খান অংশ নেন।

আজ দিনব্যাপী এই আলোচনা চলতে পারে বলে ঐক্য কমিশন সূত্রে জানা গেছে। আজ আলোচনা শেষ না হলে প্রয়োজনে আগামী সপ্তাহে আবারও বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় বসবে কমিশন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Not absolutely satisfied with the chief advisers statement Mirza Fakhrul

প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে একেবারে সন্তুষ্ট নই: মির্জা ফখরুল

প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে একেবারে সন্তুষ্ট নই: মির্জা ফখরুল

আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের’ ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে’ এমন বক্তব্যে হতাশা প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘তার (প্রধান উপদেষ্টার) বক্তব্যে আমরা একেবারেই সন্তুষ্ট নই।’

আজ বুধবার মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে বিএনপির সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করে বের হওয়ার পর তিনি এ হতাশা ব্যক্ত করেন। বিএনপির মিডিয়া উইং থেকে জানানো হয়, বৈঠকে দলটির পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টাকে একটি চিঠিও দেয়া হয়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা সুনির্দিষ্ট করে নির্বাচনের ডেটলাইন দেননি। তিনি বলেছেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে তিনি নির্বাচন শেষ করতে চান। উনি ডিসেম্বর থেকে জুন বলেছেন, উনি বলেননি এটা ডিসেম্বরে হবে। আমরা স্পষ্ট করে বলে দিয়েছি যে, আমাদের কাটঅফ টাইম ইজ ডিসেম্বর। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন যদি না হয়, তাহলে দেশে যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং সামাজিক পরিস্থিতি, সেটা আরও খারাপের দিকে যাবে। সেটা তখন নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে।এ সময় ডিসেম্বরে নির্বাচন না হলে বিএনপি কী করবে-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে দলটির মহাসচিব বলেন, দলের মধ্যে এবং মিত্র দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের আলোচনার প্রধান বিষয় ছিলো নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ নিয়ে। সে বিষয়ে কথা বলেছি। আর বলেছি যে, যে পরিস্থিতি আছে এবং দেশের যে অবস্থা, তাতে করে আমরা বিশ্বাস করি এখানে দ্রুত একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সমস্যাগুলো সমাধান করতে হবে।

তিনি উল্লেখ করেন, যে সংস্কার কমিশনগুলো করা হয়েছে, সেগুলোতে আমরা সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছি। কয়েকদিন আগে সংস্কার কমিশনের কাছে আমাদের মতামতগুলো দিয়েছি। আগামীকালও আমাদের সঙ্গে বৈঠক আছে। সবগুলো দল যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে, সেগুলো নিয়ে আমরা একটা চার্টার করতে রাজি আছি। তারপরে আমরা নির্বাচনের দিকে চলে যেতে পারি। বাকি যেসব সংস্কারে আমরা একমত হব, সেটা আমরা অবশ্যই আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচিত হয়ে আসবেন, তারা সেগুলো বাস্তবায়নের ব্যবস্থা নেবেন। এটাই ছিল আমাদের (বিএনপির) মূল কথা।

এ বৈঠকের জন্য বেলা সোয় ১২টায় ‘যমুনা’য় পৌঁছায় বিএনপি মহাসচিবসহ দলের স্থায়ী কমিটির ৭ সদস্য। পৌনে দুই ঘণ্টার বৈঠকে নির্বাচনী রোডম্যাপ, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার, শেখ হাসিনার বিচার প্রক্রিয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহ উদ্দিন আহমেদ ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

সরকারের পক্ষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ছিলেন উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে।

চিঠিতে যা বলা হয়েছে

চিঠিতে বিএনপি উল্লেখ করে, মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে গণতন্ত্র ও মানবিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রতিটি লড়াইয়ের নেতৃত্বদানকারী কিংবা গর্বিত সক্রিয় অংশীদার হিসেবে বিএনপি তার অবস্থান থেকে প্রতিটি লড়াইয়ের সুফল জনগণের জন্য কার্যকর করার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে এবং করছে। সেই লক্ষ্যেই এবারও জুলাই-আগস্টের ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থানের সুফল জনগণের কল্যাণে এবং তাদের আকাঙ্ক্ষা পূরণে নিবেদিত করার টেকসই ক্ষেত্র প্রস্তুতের লক্ষ্যে দেশের সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপরিচালনার ভার আপনার নেতৃত্বে অন্তর্র্বতী সরকার প্রতিষ্ঠায় আমরা সমর্থন জানিয়েছি এবং দায়িত্ব পালনে আপনাকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছি এবং সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি। আপনার ও আপনার নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্র্বতী সরকারের কাছে প্রায় দেড় যুগ ধরে গণতান্ত্রিক অধিকারহীন জনগণের স্বাভাবিক প্রত্যাশা ছিল। যত দ্রুত সম্ভব ফ্যাসিবাদী দল, তাদের দলীয় সরকার ও তার দোসরদের আইনের আওতায় এনে তাদের গণবিরোধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার, দুর্নীতি-অনাচারের মাধ্যমে দেশের সম্পদ লুণ্ঠনকারীদের বিচার ও পাচার করা অর্থ পুনরুদ্ধারের, ফ্যাসিস্ট সরকারের হাতে নিহত ও আহতদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ, সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসন এবং দ্রব্যমূল্য ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পতিত সরকারের সব অপচক্র ও সিন্ডিকেট ধ্বংস করার পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের হাতে রাষ্ট্রক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া, যাতে তারা সম্মিলিতভাবে দেশে সুষ্ঠু রাজনীতি, উন্নত অর্থনীতি এবং জনগণের মানবিক অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে পারে।’

চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘বিএনপি মনে করে যে জনগণের স্বার্থরক্ষা ও স্থায়ী কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য গণতান্ত্রিক শাসনের বিকল্প নেই। আর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সংস্কার একটি সদা চলমান অনিবার্য প্রক্রিয়া। বিগত ফ্যাসিবাদী পতিত সরকারের মতো “আগে উন্নয়ন পরে গণতন্ত্র” যেমন জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের অপকৌশল ছিল, এখনো কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর “আগে সংস্কার পরে গণতন্ত্র” তেমনই ভ্রান্ত কূটতর্ক। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী ও কার্যকর করার মাধ্যমেই সবার জন্য উন্নয়ন সম্ভব এবং এ উদ্দেশ্য পূরণের জন্য রাষ্ট্রব্যবস্থা, আইন, নীতি, বিধানের সংস্কার অপরিহার্য। এর সবগুলো পরস্পরের পরিপূরক, কোনোটাই কোনোটার বিকল্প নয়; পরস্পর সাংঘর্ষিকও নয়।’

এতে আরও বলা হয়, আজ যারা সংস্কারের কথা বেশি বেশি বলে এবং বিএনপিকে সংস্কারের বিপক্ষের শক্তি বলে চিহ্নিত করার অপচেষ্টা করছে, তাদের ভিশন-২০৩০ এবং রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচিতে যেসব সংস্কারের প্রস্তাব করা হয়েছে ও যেসব পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করা হয়েছে, তার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, গোষ্ঠীস্বার্থে এবং রাজনীতি কিংবা রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানকে হেয় ও অপ্রাসঙ্গিক করার অপচেষ্টায় অযথা সময়ক্ষেপণ করে জনগণকে তাদের ভোটাধিকার তথা রাষ্ট্রের মালিকানা প্রতিষ্ঠার অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখার কৌশলকে বিএনপি সমর্থন করে না। দেশ ও জনগণের স্বার্থে জনগণের সম্মতি নিয়ে ৩১ দফায় বর্ণিত এবং ঐকমত্যে গৃহীত সব সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বিএনপি সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করে। চিঠিতে আরও বলা হয়, রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহী ও তার সরকারের বক্তব্য ও মতামতে সমন্বয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি এর কিছু ব্যতিক্রম আমাদের উদ্বিগ্ন করেছে। আপনার সরকারের কিছু ব্যক্তি এবং আপনাকে সমর্থনকারী বলে দাবিদার কিছু ব্যক্তি ও সংগঠনের প্রকাশ্য বক্তব্য ও অবস্থান জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। আশা করি আপনি এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।’

বিএনপি বলে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য যেসব আইন, বিধি, বিধান সংস্কারে এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে যেসব পরিবর্তন জরুরি, তা সম্পন্ন করার মাধ্যমে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্ভব বলে আমরা মনে করি। সে লক্ষ্যে অবিলম্বে সুনির্দিষ্ট নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য আমরা আপনার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা এনআইডি প্রকল্প নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার এবং নির্বাচনি এলাকা পুনর্র্নিধারণের বিষয়ে আইনি জটিলতা দ্রুত নিরসনেরও প্রস্তাব করছি। একই সঙ্গে পতিত ফ্যাসিবাদী দল ও সেই দলীয় সরকারের সঙ্গে যারাই যুক্ত ছিল, তাদের বিচার দ্রুত করে রাজনীতির ময়দানকে জঞ্জালমুক্ত করার; জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ ও সুচিকিৎসা দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার এবং দ্রব্যমূল্য ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রমে গতিশীলতা আনার অধিকতর উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আমরা আহ্বান জানাচ্ছি। একইসঙ্গে ১/১১-এর অবৈধ সরকার এবং পতিত ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে করা সব মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি পুনর্ব্যক্ত করছি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Reform elections are not different things Mirza Fakhrul

সংস্কার-নির্বাচন আলাদা জিনিস না: মির্জা ফখরুল

সংস্কার-নির্বাচন আলাদা জিনিস না: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সংস্কার আর নির্বাচন আলাদা জিনিস না। সংস্কার সংস্কারের মত চলবে। নির্বাচন নির্বাচনের মতো চলবে। এছাড়া সংস্কার প্রস্তাব যথাযথভাবে পর্যালোচনা করেই বিএনপি মতামত দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ বাসভবনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টার সদ্য সমাপ্ত চীনসফর প্রসঙ্গে মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে চীন এক তরফাভাবে একটা দলের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছে। তবে এখন তারা চিন্তাভাবনা পরিবর্তন করে সব দলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ছে। চীন বাংলাদেশে উৎপাদনে ও উন্নয়নে বিনিয়োগের জন্য যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সেটা দেশের জন্য আশাবাদের কথা।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, যে বিষয়ে মতের ঐক্য হবে সেগুলো মেনেই নির্বাচন হবে। যারাই নির্বাচিত হবে সেই সংস্কার করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
পরে বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল ও ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি। এসময় জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ জাফরুল্লাহ, যুবদলের সদস্য সচিব জাহিদ হাসান, ছাত্রদলের সভাপতি মোহাম্মদ কায়েসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Iftar and Dua Mahfil in Savar for the well being of Khaleda Zia

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সাভারে ইফতার ও দোয়া মাহফিল

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সাভারে ইফতার ও দোয়া মাহফিল সাভারে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত বিএনপি নেতা-কর্মীসহ আয়োজন সংশ্লিষ্টরা। ছবি: নিউজবাংলা
প্রধান অতিধির বক্তব্যে লায়ন মো. খোরশেদ আলম বলেন, ‘বিগত ১৫-১৬ বছর আমরা যারা বিএনপি করেছি, শুধু আমি নই সাভারের নেত্রীবৃন্দসহ সারা বাংলাদেশে বিরোধী দলে যারা রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল, তাদের ওপর অত্যাচারের একটি স্টিমরোলার চালিয়েছে বিগত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার। নানা রকম মামলা, হামলা নির্যাতন সহ্য করেও যারা আজকে পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সম্পর্ক রেখেছে এবং দলের কাজকর্ম করে যাচ্ছে, তাদের আমি দলের পক্ষ থেকে ও আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানাই।’

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সাভারে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রদলের সভাপতি মোহাম্মদ তমিজ উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ ইকবালের নির্দেশে এবং সাভার পৌর ছাত্রদলের মেহেদী হাসান সানির উদ্যোগে পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অপারেটিভ অগ্রণী হাউজিং সোসাইটি মাঠে সম্প্রতি এ ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাভার পৌরসভার মেয়র পদপ্রার্থী লায়ন মো. খোরশেদ আলম।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাভার পৌর ছাত্রদলের নেতা-কর্মীসহ এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা।

ওই সময় প্রধান অতিধির বক্তব্যে লায়ন মো. খোরশেদ আলম বলেন, ‘বিগত ১৫-১৬ বছর আমরা যারা বিএনপি করেছি, শুধু আমি নই সাভারের নেত্রীবৃন্দসহ সারা বাংলাদেশে বিরোধী দলে যারা রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল, তাদের ওপর অত্যাচারের একটি স্টিমরোলার চালিয়েছে বিগত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার। নানা রকম মামলা, হামলা নির্যাতন সহ্য করেও যারা আজকে পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সম্পর্ক রেখেছে এবং দলের কাজকর্ম করে যাচ্ছে, তাদের আমি দলের পক্ষ থেকে ও আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানাই।

‘কারণ চরম ধৈর্য না ধরলে এই দীর্ঘদিন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে কড়াভাবে লড়ে না গেলে আমরা সফল হতে পারতাম না।’

তিনি আরও বলেন,‘৫ আগস্ট যে স্বাধীনতা এসেছে, এই স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। আর যারা আহত হয়েছেন, তাদের সুস্থতা কামনা করছি। ’

সাভারের উন্নয়ন নিয়ে খোরশেদ আলম বলেন, ‘আমরা একটু সাভারের দিকে তাকাই। এই সাভার একটি অবহেলিত সাভার। দীর্ঘদিন এই সাভারে যে পরিমাণ উন্নয়ন হওয়ার কথা ছিল, তা হয়নি। এই না হওয়ার পিছনে একটি জিনিস দায়ী। সেটি হলো দায়িত্বশীল যারা ছিলেন তারা কখনোই, আপনাদের নিজের মানুষ মনে করেনি। যদি তারা কাজ করত বা সাভারকে নিজের পৌরসভা হিসেবে যদি গ্রহণ করত, তাহলে কাজ করতে পারত।

‘আমি দীর্ঘদিন কাউন্সিলর ছিলাম। সমস্যাগুলো আমি কাছ থেকে দেখেছি। এখানে শুধু দরকার একটু প্রচেষ্টা এবং জনগণের সহযোগিতা। একজন মেয়র যদি চিন্তা করে আমি সাভারের জন্য কাজ করব আর জনগণ যদি চিন্তা করে আমরা মেয়রের পাশে আছি, তাহলে কোনোকিছুতেই সেই উন্নয়ন ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব না।’

তিনি আরও বলেন, ‌‌‘আমার কাজ দ্বারা যদি আমাকে আপনাদের যোগ্য মনে হয়, তাহলে আপনারা আমাকে নির্বাচিত করবেন। যতদিন বেঁচে আছি আমি সাভারের জন্য এবং সাভারের মানুষের জন্য কাজ করে যাব।’

আরও পড়ুন:
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ‘সর্বোচ্চ মাত্রার’ নিরপেক্ষতা চায় বিএনপি
এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে দেশে ফিরবেন বেগম খালেদা জিয়া
বরগুনার মন্টু দাসের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস বিএনপির
ভবিষ্যতে কেউ যেন এমন অপরাধ করার সাহস না পায়: তারেক রহমান
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো: ডা. জাহিদ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Dialogue of Khilafat Majlis with the National consensus commission

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে খেলাফত মজলিসের সংলাপ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে খেলাফত মজলিসের সংলাপ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে শনিবার সংলাপে খেলাফত মজলিস নেতারা। ছবি: পিআইডি
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের দ্বিতীয় দিন শনিবার সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে খেলাফত মজলিসের সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের দ্বিতীয় দিন শনিবার সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা পবন চৌধুরী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

সংলাপে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ ছাড়াও সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের নেতৃত্বাধীন আট সদস্যের প্রতিনিধিদলে ছিলেন দলটির নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মো. আবদুল জলিল ও এ বি এম সিরাজুল মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. মিজানুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম এবং প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু।

সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন হয়। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এ কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত ১৩ মার্চের মধ্যে জানাতে অনুরোধ জানিয়ে সুপারিশগুলো স্প্রেডশিট আকারে ৩৮টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়।

এ পর্যন্ত ১৬টি রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে কমিশন মতামত পেয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

আরও পড়ুন:
দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে দ্রুত জুলাই সনদ: আলী রীয়াজ
২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহিদ সেনা দিবস’ ঘোষণা
আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পক্ষে উপদেষ্টা আসিফ
রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠক বিকেলে
বাসায় গ্যাস লাইটার বিস্ফোরণে গুরুতর দগ্ধ জাতীয় কবির নাতি

মন্তব্য

p
উপরে