× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
219 people who want boat in 16 constituencies of Chittagong are ahead
google_news print-icon

চট্টগ্রামের ১৬ আসনে নৌকা চান ২১৯ জন, এগিয়ে যারা

চট্টগ্রামের-১৬-আসনে-নৌকা-চান-২১৯-জন-এগিয়ে-যারা
ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগের একটি সূত্রের দেয়া তথ্যানুযায়ী, বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী তিন দিন বসবে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা। এই তিন দিনেই সারা দেশে নিজেদের প্রার্থীর তালিকা চূড়ান্ত করবে দলটি৷ আর যাচাই-বাছাই শেষে মনোনয়ন ঘোষণা হতে পারে ২৬ বা ২৭ শে নভেম্বর।

রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মাঝেই প্রস্তুতি চলছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের। তবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্তে অনেকটা নিরুত্তাপ ভোটের মাঠ। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র বিক্রি কিছুটা হলেও নির্বাচনি আবহ এনেছে।

১৯ নভেম্বর শুরু হয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বিক্রি শেষ হয়েছে ২১ নভেম্বর। তিন দিনে ৩০০ সংসদীয় আসনের বিপরীতে মোট ৩ হাজার ৩৬২টি মনোনয়নপত্র বিক্রি করেছে দলটি৷ এর মধ্যে চট্টগ্রামে ১৬টি আসনের বিপরীতে ২১৯ জন ২৩২টি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন৷ এতে আসন প্রতি ফরম বিক্রি হয়েছে ১৪টির বেশি। এর মাধ্যমে দলটির আয় হয়েছে ১ কোটি ১৬ লাখ টাকা। যা মনোনয়নপত্র বিক্রি করে দলটির মোট আয়ের প্রায় ৭ শতাংশ।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে এবার ৬৬১টি মনোনয়নপত্র কম বিক্রি হলেও চট্টগ্রামে বেড়েছে এই সংখ্যা। জেলায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামে মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছিল ২২৫টি। সে তুলনায় এবার চট্টগ্রামে মনোনয়নপত্র বিক্রি বেড়েছে ৭টি।

চট্টগ্রাম-৮

আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, এবার চট্টগ্রামে সবচেয়ে বেশি ২৮টি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী ও চসিকের ৩-৭নং ওয়ার্ড) আসনে। এই আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য নোমান আল মাহমুদকে মনোনয়ন দৌড়ে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন হ্যাভিওয়েট প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আরশেদুল আলম বাচ্চু, সিডিএর সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সালামসহ ২৭ জন। তাদের মধ্যে সিটি করপোরেশনের একাধিক কাউন্সিলরও রয়েছেন।

এই আসনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী অন্যরা হলেন মোহাম্মদ বেলাল হোসেন, কাউন্সিলর মোহাম্মদ মোবারক আলী, মোহাম্মদ দিদারুল আলম, কাজী শারমিন সুমি, এস এম নুরুল ইসলাম, এস এম কফিল উদ্দিন, বিজয় কুমার চৌধুরী, এটি এম আলী রিয়াজ খান, জিনাত শাহেনা চৌধুরী, মোহাম্মদ ইমরান, জাবেদুল আলম মাসুদ, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, মোহাম্মদ খুরশেদ আলম, মোহাম্মদ মনসুর আলম, মো. আব্দুল কাদের, কফিল উদ্দিন খান, শেখ আমেনা খাতুন, এম এ সুফিয়ান সিকদার, আশেক রসুল খান, মো. নুরুল আনোয়ার, মোহাম্মদ আবু তাহের, মাহমদ দিদারুল আলম, মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং সেলিনা খান।

চট্টগ্রাম-২

জেলায় সবচেয়ে কম, মাত্র ২টি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে। এই আসনে মনোনয়ন দৌড়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোহাম্মদ ওসমান গনি চৌধুরী। এতে অনেকটা নির্ভার রয়েছেন বর্তমান তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান।

বাকি আসনগুলোর মধ্যে ১০টির কম মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই), চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) এবং চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে।

চট্টগ্রাম-১

চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের আসন হিসেবে পরিচিত হলেও এবার তিনি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি। তবে বর্ষীয়ান এ রাজনীতিবীদের পরিবার থেকে তার ছেলে মাহবুব উর রহমান রুহেল মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ না করায় মনোনয়ন দৌড়ে মাহবুব উর রহমানকেই এগিয়ে রাখছেন সবাই।

এই আসনে মাহবুব উর রহমান ছাড়াও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন আরও চারজন। তারা হলেন- যুবলীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ এলিট, এ কে এম বেলায়েত হোসেন, মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন এবং মোহাম্মদ মোস্তফা।

চট্টগ্রাম-৬

চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে বর্তমান এমপি ফজলে করিম চৌধুরীসহ মনোনয়ন কিনেছেন ৯ জন। এই আসনে মনোনয়ন দৌড়ে ফজলে করিম চৌধুরীর ভয়ের কারণ হতে পারেন সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী কিংবা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা দেবাশীষ পালিত।

এর বাইরেও এই আসনে মনোনয়ন দৌড়ে রয়েছেন মোহাম্মদ আবুল কালাম, ইমরানুল কবীর, মোহাম্মদ মুসলিম উদ্দিন চৌধুরী, মোহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী, আলহাজ্ব মো. সালামত আলী এবং বকতিয়ার উদ্দিন খান।

চট্টগ্রাম-১৩

চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনেও অনেকটা নির্ভার রয়েছেন বর্তমান ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। এই আসনে মনোনয়ন দৌড়ে তার সঙ্গে লড়াই করবেন আরও দুজন। তারা হলেন শাহজাদা মহিউদ্দিন এবং সমীরন নাথ।

চট্টগ্রামের ১৬ আসনে দলীয় মনোনয়নের দৌড়ে সবচেয়ে বেশি হ্যাভিওয়েট প্রার্থী চট্টগ্রাম-৯ (বাকলিয়া-কোতোয়ালী), চট্টগ্রাম-১০ (খুলশী, পাহাড়তলী) ও চট্টগ্রাম-১১ (পতেঙ্গা-বন্দর) আসনে। এই তিন আসনের তিনটিতেই মনোনয়ন চান নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ. জ. ম. নাছির উদ্দিন।

এ ছাড়া চট্টগ্রাম-১০ ও চট্টগ্রাম-১১ আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন হ্যাভিওয়েট প্রার্থী সাবেক নগর প্রশাসক ও চট্টগ্রামে ১৪ দলের সমন্বয়ক খোরশেদ আলম চৌধুরী সুজন।

চট্টগ্রাম-৯

চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে মনোনয়ন চান এই আসন থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষও এই আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন চান।

চট্টগ্রাম জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর ও নগর আওয়ামী লীগ নেতা শেখ ইফতেখার সাইমুনও নৌকার মাঝি হতে চান চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে৷

এ ছাড়া আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দৌড়ে এই আসন থেকে অন্যান্যদের মধ্যে আছেন মোহাম্মদ দিদারুল আলম, মোহাম্মদ শহীদ উল আলম, মোহাম্মদ ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী, শফিক আদনান, মোহাম্মদ সফর আলী, মোহাম্মদ রাশেদুল হাসান, আমিনুল হক, শাহজাদা মোহাম্মদ ফজল মুকিম নীল, মোহাম্মদ রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, মশিউর রহমান চৌধুরী, মুহাম্মদ জালাল উদ্দিন এবং মুজিবুর রহমান।

চট্টগ্রাম-১০

চট্টগ্রাম-১০ আসনে নাছির-সুজন ছাড়াও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান ১৭ জন।

তারা হলেন- সৈয়দ মাহমুদুল হক, মোহাম্মদ ইউনুস, কেবিএম শাহজাহান, দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, শ্রমিক নেতা মোহাম্মদ শফর আলী, মোহাম্মদ এমদাদুল ইসলাম, এরশাদুল আমিন, আবুল ফজল কবির আহমেদ, আসলাম হোসেন, সাইফুদ্দিন খালেদ, মোহাম্মদ জহির উদ্দিন বাবর, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন, মুহাম্মদ অহিদ সিরাজ চৌধুরী, আব্দুস সবুর লিটন, আলহাজ্ব মো. সালামত আলী এবং মোহাম্মদ ফয়সাল আমিন।

চট্টগ্রাম-১১

চট্টগ্রাম-১১ আসনে নাছির-সুজনের পাশাপাশি মনোনয়নপত্র নিয়েছেন তিনবারের সংসদ সদস্য এম এ লতিফসহ ২৭ জন। চট্টগ্রাম-৮ আসনের পর সবচেয়ে বেশি মনোনয়ন বিক্রি হয়েছে এই আসনে।

বন্দরের কারণে বাণিজ্যিকভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই আসনে আরও যারা নৌকার মাঝি হতে চান তারা হলেন- দেবাশীষ পাল, নজরুল ইসলাম বাহাদুর, রেখা আলম চৌধুরী, মোহাম্মদ জাবেদ ইকবাল, সৌগাতুল আনোয়ার খান, মোহাম্মদ এনামুল হক, মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন চৌধুরী, মোহাম্মদ সফর আলী, জিয়াউল হক সুমন, মোহাম্মদ রাশেদুল হাসান, মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, নওশেদ সরোয়ার, সালেহ আহমদ চৌধুরী, আকবর হোসেন, এম এনামুল হক চৌধুরী, মশিউর রহমান চৌধুরী, ইকবাল আলী, মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ, ইমরান ফাহিম নূর, সায়রা বানু, হাজী জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, মোহাম্মদ ইলিয়াস, মহম্মদ আমিনুল হক এবং মুজাফফর আহম্মদ।

চট্টগ্রাম-২

এদিকে দীর্ঘদিন ধরে হাতছাড়া থাকা চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনটি ফিরে পেতে এবার মরিয়া স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এই আসনে দলটির হ্যাভিওয়েট প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলামসহ আছেন সংরক্ষিত আসনের নারী সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার সনি।

এই আসনে নৌকা পেতা চান আরও ১৯ জন। তার হলেন- মোহাম্মদ আফতাব উদ্দিন চৌধুরী, গোলাম নওশের আলী সাবরিনা চৌধুরী, মোহাম্মদ শাহজাহান, সাদাত আনোয়ার সাদী, বেলাল মোহাম্মদ নূরী, হাসিবুন সোহাদ, মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, খোরশেদ আহমেদ জুয়েল, কাজী মোহাম্মদ তানজিবুল আলম, মো. সালামাত আল্লাহ চৌধুরী, এম আর আজিম, সরোয়ার উদ্দিন চৌধুরী, মোহাম্মদ হারুন, তৌহিদ মোহাম্মদ ফয়সাল কামাল, হোসাইন মোহাম্মদ আবু তৈয়ব, ফখরুল আনোয়ার, সৈয়দ রাজিয়া মোস্তফা এবং আনোয়ার হোসেন।

চট্টগ্রাম-৩

চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসন থেকে ১২ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও মনোনয়ন দৌড়ে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা৷

অন্যান্য যারা এই আসেন থেকে নৌকার মাঝি হতে চান তারা হলেন মহিউদ্দিন আহমেদ, এ কে এম বেলায়েত হোসেন, মানিক মিয়া তালুকদার, মোহাম্মদ জাফরুল্লাহ, মোহাম্মদ রাজিবুল আহসান, মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, ইউসুফ আলী জীবন, রফিকুল ইসলাম, রুমানা নাসরিন, সরোয়ার হাসান জামিল এবং মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন চৌধুরী।

চট্টগ্রাম-৪

চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড ও চসিকের ৯-১০ নং ওয়ার্ড) আসনে মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে আছেন বর্তমান সংসদ সদস্য মোহাম্মদ দিদারুল আলম।

তবে এই আসনে দলীয় মনোনয়ন দৌড়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির সদস্য লায়ন মোহাম্মদ ইমরান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া, চসিক কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমদ মঞ্জুকেও এগিয়ে রাখছেন কেউ কেউ।

এই আসন থেকে নৈকার মাঝি হতে চাওয়া অন্যরা হলেন- এসএম আল মামুন, রত্নেন্দু ভট্টাচার্য, মোহাম্মদ ফখরুদ্দীন চৌধুরী, আব্দুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া, মোহাম্মদ পারভেজ উদ্দিন, মহি উদ্দিন, আবু মনির মো. শহিদুল হক চৌধুরী এবং চৌধুরী মোহম্মদ জিন্নাত আলী।

চট্টগ্রাম-৫

চট্টগ্রাম-২ আসনের মত দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনটি মহাজোটের শরীক দলের দখলে। এই আসন থেকে এবার নৌকার প্রার্থী হতে চান ১৩ জন।

এই আসনে মনোনয়ন দৌড়ে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম ও নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুলকে নৌকার অন্যতম দাবিদার হিসেবে বিবেচনা করা হলেও আসনটি এবার মহাজোটের শরীক দলের হাতে যাবে বলে ধারণা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

এই আসনে অন্য যারা নৌকার প্রার্থী হতে চান তারা হলেন- মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন, মোহাম্মদ ইউনুস, মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম, মোহাম্মদ শামীম, ইউনুস গনি চৌধুরী, মোহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী, মনজুর আলম চৌধুরী, মাসুদুল আলম, নাসির হায়দার করিম, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন চৌধুরী, ডাক্তার নুর উদ্দিন জাহেদ এবং বাসন্তী প্রভা পালিত।

চট্টগ্রাম-১২

চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনটি হুইফ শামসুল হক চৌধুরীর আসন হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। তবে এবার শামসুল হক চৌধুরীর সামনে বাধা হিসেবে কাজ করতে পারে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। যুবলীগ নেতা মুহাম্মদ বদিউল আলমও এগিয়ে আছেন মনোনয়ন দৌড়ে।

এই আসনে নৌকার হাল ধরতে চান আরও ১৪ জন। তারা হলেন- সাবেক সংসদ সদস্য চেমন আরা বেগম, সত্যজিৎ দাস রুপু, মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ, জুলকারনাইন চৌধুরী, আব্দুর রশিদ, আলাউদ্দিন মো. আব্দুল ওয়াদুদ, তসলিম উদ্দিন, শেখ মোহাম্মদ ইসহাক, আবুল কালাম আজাদ চৌধুরী, প্রদীপ কুমার দাস, মোহাম্মদ হাবিবুল হক চৌধুরী, রাশেদ মনোয়ার, মুহাম্মদ ফারুক এবং মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।

চট্টগ্রাম-১৪

চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম চৌধুরীর পাশাপাশি নৌকার মনোনয়নপত্র নিয়েছেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানসহ ১৭ জন। তবে এই আসনে অন্যান্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তুলনায় হ্যাভিওয়েট হওয়ায় অনেকটসই এগিয়ে মফিজুর রহমান।

আসনটিতে দলীয় মনোনয়ন দৌড়ে অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার চৌধুরী, মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, মোহাম্মদ কায়কোবাদ ওসমানী, আফতাব মাহমুদ, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম চৌধুরী, ইমতিয়াজ উদ্দিন আহমদ আসিফ, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, এম মাসুদ আলম চৌধুরী, সাহিদা আক্তার জাহান, আবু আহমেদ চৌধুরী, আবুল বশর ভূঁইয়া, মামুনুল হক চৌধুরী, মাহবুবু রহমান এবং মীর মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।

চট্টগ্রাম-১৫

চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসন থেকে ফের মনোনয়ন চান দুই বারের সংসদ সদস্য আবু রেজা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন। তবে তার সাম্প্রতিক নানা কর্মকাণ্ডে দলীয় হাইকমান্ড কিছুটা অসন্তোষ হওয়ায় মনোনয়ন দৌড়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলামকেই এগিয়ে রাখছেন অনেকেই।

এই আসনে নৌকড় হাল ধরতে চান আরও অন্তত ১৩ জন। তারা হলেন- সাজেদা সুরাত, মোহাম্মদ মইনুল ইসলাম মামুন, আব্দুল মোতালেব, মোহাম্মদ আমানুল্লাহ জাহাঙ্গীর, মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন হাসান চৌধুরী, আ স ম মিনহাজুর রহমান, মহম্মদ এরশাদুল হক, সৈয়দ মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ অহিদ সিরাজ চৌধুরী, মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান, কামরুন নাহার এবং মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন চৌধুরী।

চট্টগ্রাম-১৬

চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসন নিয়ে নানা জল্পনা কল্পনা চলছে এবার। নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে এবার আসনটিতে নৌকা হারাতে পারেন বর্তমান সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। এই আসনে মনোনয়ন দৌড়ে তুলনামূলক এগিয়ে আছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান।

এ দুজন ছাড়াও আরও অন্তত ১৩ জন নৌকার হাল ধরতে চান এই আসনে। তারা হলেন- মোহাম্মদ জমির উদ্দিন শিকদার, আব্দুল্লাহ কবীর, চৌধুরী মোহাম্মদ গালিব সাদী, আরেফ উল হক, মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান চৌধুরী, মোসলেহ উদ্দিন মনসুর, মো. সাইদুল মোস্তফা চৌধুরী রাজু, নাজমা আক্তার, শামসুদ্দিন আহমদ চৌধুরী শামস, শেখর দত্ত, সাইফুদ্দিন আহমেদ ববি, আবুল হোসেন মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং আবু নছর মোহাম্মদ সরওয়ার আলম।

এদিকে নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে নির্বাচন কমিশনে। তাই এর আগেই চূড়ান্ত করতে হবে দলীয় মনোনয়ন।

তবে আওয়ামী লীগের একটি সূত্রের দেয়া তথ্যানুযায়ী, বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী তিন দিন বসবে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা। এই তিন দিনেই সারা দেশে নিজেদের প্রার্থীর তালিকা চূড়ান্ত করবে দলটি৷ আর যাচাই-বাছাই শেষে মনোনয়ন ঘোষণা হতে পারে ২৬ বা ২৭ শে নভেম্বর।

আরও পড়ুন:
৭ আসনে নৌকার মনোনয়ন চান পরিবারের একাধিক সদস্য
নোয়াখালী-১: মনোনয়নপত্র জমা দিলেন যুবলীগ নেতা আবদুল হাই
নৌকায় উঠতে তারকাদের দৌঁড়ঝাপ
ঢাকা-৮ থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান দেলোয়ার
চারদিনে আওয়ামী লীগের ৩৩৬২ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Consensus Commission The exclusion of the first days meeting was the symbolic protest of Jamaat

ঐকমত্য কমিশন: প্রথম দিনের বৈঠক বর্জন ছিল জামায়াতের ‘প্রতীকী প্রতিবাদ’

ঐকমত্য কমিশন: প্রথম দিনের বৈঠক বর্জন ছিল জামায়াতের ‘প্রতীকী প্রতিবাদ’

দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের প্রথম দিন কেন অংশ নেয়নি জামায়াতে ইসলামী, সেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, ‘এটা ছিল অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতীকী প্রতিবাদ।’

বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা শুরু হয়। এর আগে ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় আলোচনায় যোগ দেয়নি জামায়াতে ইসলামী।

গতকালের বৈঠকে কেন অংশ নেননি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের লন্ডন সফরের কিছু কিছু বিষয়ে আমরা আপত্তি জানিয়ে ও প্রশ্ন করে আমরা একটি বিবৃতি দিয়েছি। সেটি হচ্ছে তার লন্ডন সফরের বিষয়ে আমাদের আনুষ্ঠানিক অবস্থান। এটা আমাদের সংগঠনের সর্বোচ্চ নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে অনুমোদনের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

‘প্রধান উপদেষ্টা লন্ডন গিয়েছিলেন পুরস্কার আনতে ও পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনতে। পাশাপাশি, বিএনপির ভারপ্রাপ্তপ্রধানের (তারেক রহমান) সঙ্গে লন্ডনে তার বৈঠক হয়েছে। সেটিকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি। নির্বাচনের তারিখের বিষয়ে তিনি যে কথা বলেছিলেন, সে বিষয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কারণ আমরা ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যেই নির্বাচন চেয়েছিলাম।’

জামায়াতের আপত্তির কথা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন যে শর্তসাপেক্ষে ফেব্রুয়ারির কথা বলা হয়েছে, সেটাও আমাদের প্রস্তাবের মধ্যে আছে। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন হলো—প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশ্যে একটি ভাষণ দিয়েছেন, সেখানে তিনি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন। এখানে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যদি কোনো পরিবর্তন হয়, সেটা হতে পারে। বিএনপির দাবি ছিল—আলোচনা করে যদি মনে করেন, নির্বাচন তারিখ পরিবর্তন হতে পারে, সেটা নিয়ে আপত্তি নেই। যেহেতু তিনি টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে অঙ্গীকার করেছেন, বাংলাদেশে এসে আবার কথাবার্তা বলে পুনর্বিবেচনা করতে পারতেন। কিন্তু সেটা তিনি করেননি।’

‘একটি দলের প্রতিনিধির সঙ্গে যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন—যেটা আমাদের অবাক করেছে। পৃথিবীর ইতিহাসে এটির আর কোনো উদহারণ খুঁজে পাওয়া যাবে না। বিভিন্ন দেশে প্রধান বিরোধী দল কিংবা পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্ব করা বিভিন্ন দলের সাথে বৈঠক হয়। কারণ, তারা তখন একটা স্ট্যাটাস পায়। বাংলাদেশে শতাধিক রাজনৈতিক দল আছে। এখন প্রধান উপদেষ্টা যার সঙ্গে কথা বলবেন, তার সঙ্গে কী একটি যৌথ বিবৃতি দেবেন? এটা বাংলাদেশে নজিরবিহীন। এটা সঠিক ছিল না। এতে বাকি সব দল যেমন বিব্রত হয়েছে, আমরাও তেমনটি অনুভব করছি।’

যৌথ সংবাদ সম্মেলন ও বিবৃতিতে আপত্তি জামায়াতের

একটি দলের ভারপ্রাপ্ত প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যৌথ বিবৃতি ও সংবাদ সম্মেলন নিয়েই জামায়াতের আপত্তি ছিলে বলে জানিয়েছেন সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, ‘কেবল জামায়াতে ইসলামী না, বাকি সব দলও বিব্রত হয়েছে। যৌথ বিবৃতি ও যৌথ সংবাদ সম্মেলন—এখানেই আমাদের আপত্তি। বিএনপির বিষয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই।’

‘এতে আমাদের মনে হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা তার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। আর এভাবে যদি চলতে থাকে, তাহলে যে সংস্কার কমিশন আছে, তাতে তারা খুব বেশি অগ্রসর হতে পারবে না। এটা অনেকটা পর্বতের মুষিক প্রসব করার মতো হবে। কার্যকারিতা হারাবে। সেখানে প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে আমরা গতকাল আসিনি।’

অন্তর্বর্তী সরকার থেকে জামায়াতের সাথে যোগাযোগ

এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী যে মান-অভিমান করেছে, তা ভাঙাতে দলটির আমীর ডা. শফিকুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরে তারা আস্বস্ত হয়ে দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে এসে অংশ নিয়েছেন।

এমন তথ্য দিয়ে জামায়াতের নায়েবে আমীর বলেন, ‘এরমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। গতকাল দুপুরে আমাদের আমীরে জামায়াতের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। আমরা আমাদের কথা বলেছি, তিনি কিছুটা বুঝতে পেরেছেন—আশ্বস্ত করেছেন, তার সরকার নিরপেক্ষ থাকবে। কোনো বিশেষ দল বা গোষ্ঠীর প্রতি তারা অনুরক্ত না। আগামীতে এ বিষয়ে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ ভূমিকা পালন করবেন ও বিষয়ে আরও যত্নবান হবেন।’

‘সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এখানে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা অচলাবস্থা চাই না, সবসময় অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করেছি। কিন্তু কোনো কিছুর ব্যত্যয় হলে আমাদের কথা বলতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।

যেসব দল ক্ষমতায় যেতে পারছে না, নির্বাহী ক্ষমতা বিভক্ত করে তারা সরকারের হাত-পা বেঁধে দিতে চাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোন দল ক্ষমতায় যেতে পারবে, কোন দল পারবে না; জাতীয় স্বার্থের ক্ষেত্রে সেসব দেখা উচিত না। দেশের জন্য যেটা ভালো হবে, সেটা হওয়া উচিত।’

নির্বাচন সুষ্ঠু করতে যদি কঠোর না হয়, তাহলে আরেকটি শেখ হাসিনামার্কা নির্বাচন এ দেশকে রক্ষা করতে পারবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।

সংযত হতে বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে

‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়ে গেছে, আমরা প্রস্তুত আছি,’—স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এমন মন্তব্য সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কী, সেটা তিনি (উপদেষ্টা) বোঝেননি। যিনি একটি ভবনের তালা খোলার ব্যবস্থা করতে পারেননি একমাসেও, ৩০০টি আসনের আইনশৃঙ্খলা তিনি কীভাবে রক্ষা করবেন, সেটা বিস্ময়ের বিষয়।’

‘আমি তাকে সংযতভাবে কথা বলার অনুরোধ করছি। পাশাপাশি, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডও বোঝার চেষ্টা করার অনুরোধ করছে বলে মন্তব্য করেন জামায়াতে এই নায়েবে আমীর।

নারীদের জন্য ১০০ আসন নিয়ে জামায়াতের কোনো আপত্তি নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সেটা সংখ্যানুপাতিক হারে হতে হবে। আগে সেটা সমাধান না করে এ বিষয়ে কথা বলার কিছু নেই।’

এনসিসি গঠনের বিষয়ে একমত

এদিকে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনের বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত হওয়ার কথা জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির এই নেতা বলেন, ‘আমরা নীতিগতভাবে বলছি, আমরা এনসিসির পক্ষে। এমন একটি সাংবিধানিক ভারসাম্যপূর্ণ কমিটি বা প্রতিষ্ঠান থাকা উচিত, তারা সাংবিধানিক ও বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগের বিষয়ে ভূমিকা রাখবে।’

‘সেখানে প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা থাকবেন, স্পিকার ও উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষের (যদি হয়) ডেপুটি স্পিকার থাকবেন। এমন একটি কাঠামোর বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘তাদের মূলপ্রস্তাব ছিল, সেখানে প্রেসিডেন্ট ও প্রধান বিচারপতি থাকবেন। কিন্তু এ বিষয়ে আমরা আপত্তি করেছি এই জন্য যে একজন দেশের অভিভাবক হিসেবে ভূমিকা পালন করবেন, আরেকজন বিচারবিভাগীয় প্রধান। কাজেই তাদের এই কমিটিতে নিয়ে এলে এখানে যদি কোনো বিরোধ তৈরি হয়, তাহলে সেটা মীমাংসা করার আর কোনো সংস্থা থাকে না।

‘সেকারণে আমরা বলেছি, প্রেসিডেন্ট ও প্রধান বিচারপতিকে বাদ রেখে একটিকে গঠন করার কথা। অনেকে এদিক-ওদিক বলেছেন। কিন্তু প্রায় দুয়েকটি দল ছাড়া বাকি সবাই এনসিসি গঠনের বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত হয়েছি। পাশাপাশি, তিন বাহিনীর প্রধানদেরও এটির বাইরে থাকা ভালো বলে মনে করে জামায়াতে ইসলামী,’ বলেন তাহের।

এ সময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান ও হামিদুর রহমান আজাদ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jamaat did not join the consensus commission discussion

ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় যোগ দেয়নি জামায়াত

ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় যোগ দেয়নি জামায়াত

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার দ্বিতীয় পর্বের আলোচনায় যোগ দেয়নি জামায়েতে ইসলামীর কোনো প্রতিনিধি। বিএনপি ও এনসিপির মাঝে জামায়াতের জন্য সংরক্ষিত আসনটি মধ্যাহ্নভোজের আগ পর্যন্ত ছিল ফাঁকা।

জামায়াতের আলোচনায় যোগ না দেয়ায় নানা রাজনৈতিক দল নানা মত দিয়েছেন। অনেকে বলছেন, কমিশনের বেশ কয়েকটি বিষয়ে জামায়াতের বনিবনা না হওয়ায় মঙ্গলবারের আলোচনায় তারা যোগ দেননি।

এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘কেন জামায়াত আলোচনায় যোগ দেয়নি সেই উত্তর কমিশনই ভালো দিতে পারবে।’

জামায়াতের আলোচনায় যোগ না দেয়া প্রসঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ‘আমরা যতদূর জানি জামায়াত আজকের বৈঠক প্রতীকী বয়কট করেছে। ঐকমত্য কমিশনের আজকের আলোচ্য বেশ কয়েকটি বিষয়ে জামায়াত হয়তো একমত হতে পারেনি। তাই আলোচনায় অংশ নেয়নি।’

জামায়াতের আলোচনায় যোগ না দেয়া প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল হিসেবে আজকের আলোচনায় জামায়াতের থাকা উচিত ছিল। তারা এই আলোচনা বয়কট করেছে কিনা সে বিষয়ে পরিষ্কার কিছু জানায়নি। যদি মধ্যাহ্নভোজের পরেও জামায়াত আলোচনায় না আসে তাহলে পুরো ব্যাপারটি বোঝা যাবে।’

ইসলামী আন্দোলনের এই নেতা বলেন, ‘আদর্শিক জায়গা থেকে আমরা বেশিরভাগ বিষয়েই একমত হয়েছি। কিন্তু নারীদের জন্য আলাদা করে সংরক্ষিত ১০০ আসন রাখার প্রয়োজন দেখি না। নারীর ক্ষমতায়ন আমরাও চাই, কিন্তু কোনো বৈষম্যমূলক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে না।’

বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল মনে করছে, নারী আসনসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে কমিশনের সঙ্গে মতানৈক্য হওয়ায় আলোচনার প্রথম পর্যায়ে জামায়াত যোগ দেয়নি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Opposition Party of Chairman of Four Standing Committee in Parliament Salahuddin

সংসদে চারটি স্থায়ী কমিটির সভাপতি পদ বিরোধী দলের: সালাহউদ্দিন

সংসদে চারটি স্থায়ী কমিটির সভাপতি পদ বিরোধী দলের: সালাহউদ্দিন

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের দ্বিতীয় পর্যায়ের সভার মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে সাংবাদিকদের বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আগামী জাতীয় সংসদে ৫০টি স্থায়ী কমিটির মধ্যে চারটি বিরোধী দলের জন্য ধার্য হয়েছে এবং সব রাজনৈতিক দল এ বিষয়ে একমত।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মঙ্গলবারের (১৭ জুন) সভায় চারটি গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় স্থায়ী কমিটি পাবলিক অ্যাকাউন্ট, প্রিভিলেজ, ইস্টিমেশন এবং পাবলিক আন্ডারটেকিং কমিটির সভাপতি পদ বিরোধী দল থেকে দেওয়ার সিদ্ধান্তে সবাই একমত বলে জানিয়েছে তিনি।

বাকি স্থায়ী কমিটি প্রসঙ্গে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘শুধু এই চারটি কমিটি না, সংখ্যাধিক্যের ভিত্তিতে বাকি কমিটিতেও আনুপাতিক হারে বিরোধীদলের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা থাকবে।’

‘এছাড়া সংবিধানের ৭০ নং অনুচ্ছেদ যেখানে নিজ দলের বিরুদ্ধে ভোট দিলে সদস্য পদ বাতিলের বিধান আছে, সে বিষয়ে আস্থা ভোট এবং অর্থ বিল বাদে অন্য কোনো বিষয়ে ভোটদানে সংসদ সদস্যদের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে সবাই একমত,’ বলেন তিনি।

তবে বিএনপির পক্ষ থেকে যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং জাতীয় নিরাপত্তা এই দুই বিষয়েও দলের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া যাবে না এমন মত দেওয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে এই দুই বিষয়ে অটল থাকার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা নির্বাচিত হলে ৭০নং অনুচ্ছেদে এ দুটি বিষয়ও যুক্ত করা হবে।’

নারীদের ১০০ সংরক্ষিত আসন প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলই এ বিষয়ে একমত। তবে নির্বাচন পদ্ধতি কেমন হবে তা নিয়ে মতানৈক্য আছে। আশা করছি, আজকের আলোচনা শেষে এ বিষয়ে সমাধানে আসা যাবে ‘

এছাড়া জুলাই সনদের পাশাপাশি প্রতিটি রাজনৈতিক দলের আলাদা আলাদা ইশতেহার গুরুত্ব পাবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির এ নেতা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Fakhrul calls for the interim government to rewrite the election schedule

অন্তবর্তী সরকারকে নির্বাচনের সময়সূচি পুনঃবিবেচনার আহ্বান ফখরুলের

অন্তবর্তী সরকারকে নির্বাচনের সময়সূচি পুনঃবিবেচনার আহ্বান ফখরুলের

এপ্রিল মাসকে জাতীয় নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত সময় নয় উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকারকে সময়সূচি পুনঃবিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘অন্তবর্তী সরকার বাস্তবতার ভিত্তিতে এই বিষয়টি পুনঃবিবেচনা করবে।’

আজ মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা এখনো (এপ্রিলের প্রথম দিকে নির্বাচন) নিয়ে দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিনি। আমরা আশা করি, সরকার এই বিষয়টি বাস্তবতার আলোকে বিবেচনা করবে।’

অন্তবর্তী সরকার যে সময়ে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করেছে, তা সঠিক নয় বলেও দাবি এই বিএনপি নেতার।

ফখরুল বলেন, ‘আমরা প্রথম দিনই বলেছি যে, এই সময় নির্বাচনের জন্য ভালো নয়। রমজান মাস শেষ হবে, ঈদ হয়ে যাবে, তারপর কয়েকদিন পর নির্বাচন হবে। একটু ভাবুন, রমজান মাস জুড়ে প্রার্থী এবং রাজনৈতিক কর্মীরা কী ধরনের পরিস্থিতিতে পড়বেন।’

ফখরুল আরও বলেন, তিনি এখন থেকেই চিন্তিত যে প্রতিদিন ইফতার পার্টি আয়োজন করতে হবে, যা নির্বাচনী ব্যয় বাড়িয়ে দ্বিগুণ করবে।

তিনি রমজান মাসে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর অসুবিধাগুলো তুলে ধরে বলেন, বিশেষত তীব্র গরম এবং বৃষ্টিপাত বা ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে।

এছাড়া, তিনি উল্লেখ করেন, তীব্র গরমের কারণে নির্বাচনী সমাবেশের জন্য লোকজন জড়ো করা সম্ভব হবে না। ‘কর্মসূচিগুলো রাতের দিকে নিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, অতীতে দুটি বিতর্কিত নির্বাচন ছাড়া বাংলাদেশে প্রায় সব জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ফখরুল বলেন, ‘আমাদের দল বলেছে যে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব, এবং আমরা দৃঢ় বিশ্বাস করি যে এটি একটি বাস্তবসম্মত বিকল্প।’

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিএনপি যেকোনো সময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, কারণ এটি নির্বাচনমুখী দল। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিপ্লবী দল না, আমরা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসতে চাই।’

ফখরুল বিএনপির সংস্কার না করার যে অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে, তা খণ্ডন করে বলেন, ‘এটা মিথ্যা প্রচারণা।’

তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, বিএনপি প্রথম দল হিসেবে ভিশন-২০৩০ কর্মসূচি তুলে ধরে এবং গণঅভ্যুত্থানের আগেই ৩১ দফা সংস্কারের খসড়া উপস্থাপন করেছিল।

ফখরুল সকল রাজনৈতিক দল, সংগঠন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কর্মীদের জাতিকে বিভক্ত না করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘দেশ একটি বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ: আমরা গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা চাই এবং আমরা চাই দেশটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পরিচালিত হোক। আমরা ভোট দিতে চাই, আমাদের প্রতিনিধিদের নির্বাচন করতে চাই এবং সংস্কার দেখতে চাই। সুতরাং, অযথা বিভেদ সৃষ্টি করবেন না।’

ফখরুল সতর্ক করে বলেন, দেশে কোনো ধরনের বিভেদ সৃষ্টি হলে তা বিদেশি শক্তি এবং ষড়যন্ত্রকারীদের দেশের ক্ষতি করার সুযোগ করে দেবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Yunus Tarek meeting is the main event of politics right now Fakhrul

ইউনূস-তারেক বৈঠক এই মুহূর্তে রাজনীতির প্রধান ইভেন্ট: ফখরুল

ইউনূস-তারেক বৈঠক এই মুহূর্তে রাজনীতির প্রধান ইভেন্ট: ফখরুল

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বৈঠক রাজনীতিতে এই মুহূর্তে প্রধান ইভেন্ট বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে এই বৈঠকের গুরুত্ব অনেক বেশি। জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবেও এই ইভেন্টের গুরুত্ব অনেক বেশি। তাদের সাক্ষাতের মাধ্যমে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যেতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, এ বৈঠকের মাধ্যমে রাজনীতির নতুন ডাইমেনশন সৃষ্টি হতে পারে। অর্থাৎ অনেক কিছুর সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। এখন এটা নির্ভর করবে আমাদের নেতারা সেটাকে কীভাবে নেবেন। বিএনপির পক্ষ থেকে তারেক রহমানকে সম্পূর্ণ এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে সিদ্ধান্ত নেওয়ার। এই সাক্ষাৎকারে তার সাফল্য প্রার্থনা করছি।

বৈঠকের সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা না থাকলেও আগামী নির্বাচনের তারিখ নিয়ে যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে তা এর মাধ্যমে সমাধান হতে পারে বলেও আশা প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে ক্ষমতায় এসেছে। আমরা তাদের ক্ষমতায় বসিয়েছি। তাদের যথেষ্ট রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা নেই। তবে, তারা প্রত্যেকে নিজ-নিজ সেক্টরে যথেষ্ট অভিজ্ঞ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP wants elections next December

আগামী ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায় বিএনপি

আগামী ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায় বিএনপি

আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের শুরুতে অনুষ্ঠিত হবে বলে জাতীর উদ্দেশ‌্যে দেওয়া এক ভাষণে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই ঘোষণা গোটা জাতিকে হতাশ করেছে বলে অভিহিত করে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ‌্যেই নির্বাচনের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করেছে বিএনপি।

শনিবার (৭ জুন) সকালে দেওয়া এক বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করেছে দলটি।

বিবৃতিতে বিএনপি জানায়, ‘২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ছাত্রসমাজ ও জনতার বিপুল ত্যাগের মধ্য দিয়ে জনগণের বিজয় অর্জিত হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন আয়োজনের অযৌক্তিক বিলম্ব জনগণকে হতাশ ও ক্ষুব্ধ করেছে।’

এ সময় রমজান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষা এবং আবহাওয়া পরিস্থিতি ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করে বিএনপি।

এর আগে, শুক্রবার (৬ জুন) রাতে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে জরুরি ভার্চুয়াল বৈঠকে বসে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম। বৈঠকের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে শনিবার ভোরে বিবৃতিটি দেওয়া হয়।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের বিষয়বস্তু বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করা হয়। সেখানে এই ঘোষণা দীর্ঘ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে সচেষ্ট জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করেছে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রায় দেড় দশক ধরে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত এ দেশের জনগণ। বারবার গুম, হত্যা, কারাবরণ, হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েও তারা ভোটের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনর্প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন।’

ঐকমত্য গঠনের কথা বললেও অন্তর্বর্তী সরকার একটি বিশেষ রাজনৈতিক গোষ্ঠীর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নিজেদের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ করছে বলে মন্তব‌্য করেন বিএনপির নীতিনির্ধারকরা।

তারা বলেন, ‘এ কারণে বৈঠকে মনে করে এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে কি না; তা নিয়ে জনগণ উদ্বিগ্ন হওয়াই স্বাভাবিক।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভাষ‌্যে, এপ্রিলের শুরুতে নির্বাচন দিলে তা আবহাওয়াজনিত জটিলতা ও রমজান মাসে প্রচার-প্রচারণা ও নির্বাচন-সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনায় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করবে, যা পরবর্তীতে নির্বাচনের সময়সূচি পেছানোর অজুহাত হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।

তারা বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব নয়— এমন কোনো সুস্পষ্ট যুক্তি উপস্থাপন করা হয়নি।

স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আরও বলা হয়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাণী দেওয়ার কথা থাকলেও প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য এক পর্যায়ে জাতির উদ্দেশ্য ভাষণে রূপ নেয়।

দীর্ঘ ওই ভাষণে অধ্যাপক ইউনূস নিজেই স্বীকার করেছেন বন্দর ও করিডর ইস্য অন্তবর্তী সরকারের তিনটি নির্দিষ্ট দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না।

এ ছাড়াও ওই ভাষণে ব্যবহৃত কিছু শব্দ রাজনৈতিক সৌজন্যের সীমা অতিক্রম করেছে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিএনপির নেতারা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Mirza Fakhrul is returning home at night after treatment

চিকিৎসা শেষে রাতে দেশে ফিরছেন মির্জা ফখরুল

চিকিৎসা শেষে রাতে দেশে ফিরছেন মির্জা ফখরুল

চোখের চিকিৎসা শেষে থাইল্যান্ড থেকে আজ শুক্রবার রাতে দেশে ফিরছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি ব্যাংককের রুটনিন আই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী মির্জা ফখরুলের দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান শুক্রবার দুপুরে বাসস’কে জানান, দলের মহাসচিব রাতে দেশে ফিরবেন।

তিনি আরও বলেন, ‘রাত ১১টায় ব্যাংকক থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন মির্জা ফখরুল। তাকে বহনকারী ফ্লাইটটি রাত ১টা ২০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।’

এর আগে, চোখের জটিলতাসহ অন্যান্য শারীরিক সমস্যার কারণে গত ১৩ মে রাত ২টা ৪৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ব্যাংককের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন মির্জা ফখরুল। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম।

মন্তব্য

p
উপরে