× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Madhur canteen and Daksu student lock in the administrative building of DU
google_news print-icon

ঢাবির প্রশাসনিক ভবন, মধুর ক্যান্টিন ও ডাকসুতে ছাত্রদলের তালা

ঢাবির-প্রশাসনিক-ভবন-মধুর-ক্যান্টিন-ও-ডাকসুতে-ছাত্রদলের-তালা
ঢাবির প্রশাসনিক ভবন, মধুর ক্যান্টিন ও ডাকসুতে তালা দেয় ছাত্রদল। ছবি: নিউজবাংলা
ঢাবি ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান খন্দকার অনিক বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনেকবার বলেছি এই হরতাল-অবরোধে ক্লাস-পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলবেন না। তাই আমরা আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়েছি।’

দেশব্যাপী বিএনপির ডাকা হরতাল-অবরোধের সমর্থনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কয়েকটি গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে ছাত্রদল।

ঢাবি ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান খন্দকার অনিকের সমর্থক নেতা-কর্মীরা শনিবার মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, মধুর ক্যান্টিন ও ডাকসুর গেটে তালা দেন।

যদিও সকালের মধ্যে সে সব তালা ভেঙে ফেলে ঢাবির প্রক্টরিয়াল টিম।

ঢাবির বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীর জানান, শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের গেটসহ বিভিন্ন স্থাপনায় তালা ঝুলানো হয়েছিল। তালার সঙ্গে হরতালের সমর্থনে একটি ব্যানারও লাগিয়ে দেয়া হয়েছিল।

ব্যানারে তারেক রহমানের ছবির সঙ্গে ‘রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ চলছে, সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখিত, ‘এক দফা দাবিতে দেশব্যাপী হরতাল চলছে’ ইত্যাদি লেখা রয়েছে।

তালা লাগানোর বিষয়ে ঢাবি ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান খন্দকার অনিক বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনেকবার বলেছি এই হরতাল-অবরোধে ক্লাস-পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলবেন না, কিন্তু তারা আমাদের কথা না শুনে আওয়ামী লীগের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ক্লাস-পরীক্ষা চালু রেখেছে।

‘তাই আমরা আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আমরা বার্তা দিতে চাই, আওয়ামী লীগের রক্ষাকবজ না হয়ে নিরাপদ, শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা করুন।’

আরও পড়ুন:
হরতাল শুরুর আগে রাজধানীতে ৩ বাসে আগুন
হরতাল অবরোধে শ্রমিক দিনমজুরদের কষ্ট কে দেখবে
ফারাহ জাবিন শাম্মীর ‘করোনাপঞ্জি’ নিয়ে ঢাবিতে আলোচনা শনিবার
নারায়ণগঞ্জে বাম গণতান্ত্রিক জোটের মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ
ঢাবিতে ককটেল বিস্ফোরণ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Books will go to school this month Mass Education Advisor

চলতি মাসেই শতভাগ স্কুলে যাবে বই: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

চলতি মাসেই শতভাগ স্কুলে যাবে বই: গণশিক্ষা উপদেষ্টা রাজধানীর একটি স্কুলে নতুন বই পেয়ে ছাত্রীদের উচ্ছ্বাস। ফাইল ছবি/পিয়াস বিশ্বাস/নিউজবাংলা
ডিসি সম্মেলনের শেষ দিন মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান গণশিক্ষা উপদেষ্টা।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার জানিয়েছেন, চলতি মাসেই শতভাগ স্কুলে বই পৌঁছে যাবে।

ডিসি সম্মেলনের শেষ দিন মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান গণশিক্ষা উপদেষ্টা।

উপদেষ্টা বলেন, দেশের ৮৫ ভাগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বই এরই মধ্যে দেওয়া হয়েছে। এ মাসেই বাকি স্কুলগুলোতেও বই পৌঁছে যাবে।

তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকরা যুক্ত রয়েছেন। ডিসিরা প্রাথমিক শিক্ষার নানান সমস্যা চিহ্নিত করেছেন, যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ যেন সঠিকভাবে হয়, সে বিষয়ে ডিসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বেসরকারি যেসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিবন্ধন নেই, সেগুলোকে দ্রুত নিবন্ধনের আওতায় আনার জন্য ডিসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছেও বলে জানান উপদেষ্টা।

ওই সময় প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক পদে সুপারিশপ্রাপ্তদের নিয়োগের আন্দোলনে বিষয় জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা জানান, সুপারিশপ্রাপ্তদের প্রতি তার সহমর্মিতা আছে, তবে বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। তাই এ বিষয়ে মন্তব্য সম্ভব নয়।

আরও পড়ুন:
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিশৃঙ্খলায় জড়িত সব জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দুর্নীতি সব শেষ করে দিচ্ছে: ড. ইউনূস
আসুন সবাই মিলে গণঅভ্যুত্থানে আত্মত্যাগকারীদের স্বপ্ন সার্থক করি: প্রধান উপদেষ্টা
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল প্রধান শিক্ষক ও স্ত্রীর

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Start the admission war in Jabi

জাবিতে ভর্তিযুদ্ধ শুরু

জাবিতে ভর্তিযুদ্ধ শুরু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার। ফাইল ছবি
সকাল ৯টায় শুরু হয়ে মোট পাঁচ শিফটে ‘ডি’ ইউনিটের ছাত্রীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে রবিবার, যা চলবে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

সকাল ৯টায় শুরু হয়ে মোট পাঁচ শিফটে ‘ডি’ ইউনিটের ছাত্রীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

পরের দিন সোমবার প্রথম চার শিফটে ‘ডি’ ইউনিটের ছাত্রদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

তৃতীয় দিন মঙ্গলবার প্রথম দুই শিফটে ‘ই’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম শিফটে ছাত্রীদের এবং দ্বিতীয় শিফটে ছাত্রদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। একই দিন তৃতীয় শিফট থেকে পঞ্চম শিফট পর্যন্ত ‘এ’ ইউনিটের ছাত্রীদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এ ছাড়াও বুধবার পাঁচ শিফটে ‘এ’ ইউনিটের ছাত্রদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তারপর বৃহস্পতিবার ছয় শিফটে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে প্রথম তিন শিফটে ছাত্রীদের এবং পরবর্তী তিন শিফটে ছাত্রদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

ভর্তি পরীক্ষার শেষ দিন সোমবার প্রথম শিফটে ‘সি১’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং পরের তিন শিফটে ‘বি’ ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে প্রথম দুই শিফটে ছাত্রী এবং তৃতীয় শিফটে ছাত্রদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে ভর্তি পরীক্ষা শৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তা কমিটির আহ্বায়ক ও প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম।

তিনি বলেন, ‘পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক রাখতে ভর্তি পরীক্ষা শৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তা কমিটি ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে।’

সার্বিক নিরাপত্তা দিতে প্রক্টরিয়াল বডির সঙ্গে রোভার স্কাউট সদস্য, সার্বিক শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা রক্ষায় ১৫০ জন পোশাকধারী সশস্ত্র ও সাদা পোশাকধারী পুলিশ ফোর্স এবং অতিরিক্ত ৬০ জন আনসার সদস্য ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে দায়িত্ব পালন করবেন।

ভর্তিচ্ছুদের সহায়তায় বিভিন্ন ভবনে ১২০ জন বিএনসিসি ও রোভার স্কাউট সদস্য শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক (ডেইরি গেট), জয় বাংলা ফটক (প্রান্তিক গেট) ও বিশমাইল ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ট্রাফিক পুলিশের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা (সিসিটিভি) চালু রাখা হয়েছে।

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে রাতে পুলিশ টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
জবির ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, আবেদন শুরু ১ ডিসেম্বর
জবি শিক্ষার্থী নিহত: রিকশাচালকের বিচার দাবিতে মশাল মিছিল
রিকশার ধাক্কায় ছাত্রী নিহত: জাবিতে অবরোধ শিক্ষার্থীদের
জাবি ক্যাম্পাসে ব্যাটারিচালিত রিকশার ধাক্কায় ছাত্রী নিহত
মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষা ১৭ জানুয়ারি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Torture Four Kuwait students canceled four lifetime credentials

নির্যাতন: কুয়েটের ১০ শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার, চারজনের সনদ বাতিল

নির্যাতন: কুয়েটের ১০ শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার, চারজনের সনদ বাতিল কুয়েট ক্যাম্পাসের একটি এলাকা। ফাইল ছবি
কুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সুলতান মাহমুদ জানান, তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটি বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

সরকারবিরোধী চ্যাটিংয়ের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতনের ঘটনায় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ১০ শিক্ষার্থীকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

এদের মধ্যে চারজনের বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং সনদ বাতিল করা হয়েছে। দুইজনকে তিন বছর এবং একজনকে পাঁচ বছরের জন্য সনদ প্রদান না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গত ২৭ জানুয়ারি কুয়েটের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ সভায় সভাপতিত্ব করেন। সোমবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

যারা বহিষ্কৃত হলেন

আজীবন বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন কুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান, রায়হান আহমেদ, সাদ আহমেদ, সাজেদুল কবির, আদনান রাফি, রিজুয়ান ইসলাম রিজভী, ফায়াদুজ্জামান ফাহিম, মেহেদী হাসান মিঠু, সাফাত মোর্শেদ ও ফখরুল ইসলাম। তাদের মধ্যে রায়হান, সাদ, সাজেদুল ও রাফির বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং সনদ বাতিল করা হয়েছে।

এ ছাড়া মোস্তাক আহমেদকে পাঁচ বছরের জন্য এবং শুভেন্দু দাস ও ফারিয়ার জামিল নিহালকে তিন বছরের জন্য সনদ প্রদান না করার পাশাপাশি কখনোই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশংসাপত্র না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

যা ঘটেছিল

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ড. এম এ রশিদ হলের শিক্ষার্থী জাহিদুর রহমানকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মোবাইল অ্যাপে সরকারবিরোধী চ্যাটিংয়ের অভিযোগে তুলে নিয়ে যান। পরে গেস্ট রুমে নিয়ে রাতভর তাকে মারধর করা হয়। ভোরে তাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

নির্যাতনের কারণে জাহিদুর খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

পরে ২০২৫ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জাহিদুর নির্যাতনের বিচার চেয়ে কুয়েট উপাচার্যের কাছে আবেদন করেন। ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে।

কুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সুলতান মাহমুদ জানান, তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটি বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী ও কুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান দাবি করেছেন, তারা কেউই জাহিদুরকে মারধর করেননি।

তার ভাষ্য, ‌‘জাহিদুর হিযবুত তাহরীরের সদস্য, এমন অভিযোগের ভিত্তিতে কুয়েট কর্তৃপক্ষই তাকে পুলিশে দিয়েছিল। এখন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আমাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
কুয়েটে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ডিনের পদত্যাগ
ধর্ম অবমাননার অভিযোগে কুবি শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার
ভোটে অংশ নেয়ায় বিএনপির আরও ৫১ নেতা বহিষ্কার
আরও ৬১ নেতাকে বহিষ্কার করল বিএনপি
যৌন হয়রানি: নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক বহিষ্কার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Titumir college students call for patience

তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের

তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। ফাইল ছবি
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের বলব ধৈর্য ধরতে। তাদের শিক্ষাজীবন এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতি সরকার আন্তরিক ও দায়িত্বশীল।’

সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে সোমবার দুপুরে সরস্বতী পূজা পরিদর্শনকালে তিনি এ আহ্বান জানান।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের বলব ধৈর্য ধরতে। তাদের শিক্ষাজীবন এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতি সরকার আন্তরিক ও দায়িত্বশীল।’

বর্তমান পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিকভাবে সব সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জনভোগান্তি সৃষ্টি না করে আমাদের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। আশা করি সবার জন্য ইতিবাচক কিছু আসবে।’

তিনি আরও বলেন, সাত কলেজের সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে জটিল আকার ধারণ করেছে। অতীতে শিক্ষা সংক্রান্ত একটি ভুল সিদ্ধান্তের কারণে হাজারো শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

নাহিদ ইসলাম জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই সাত কলেজের সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট রয়েছে। প্রতিটি কলেজের বিষয় গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে এবং ইতিবাচক সমাধানের পথ খোঁজা হচ্ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে সরস্বতী পূজা পরিদর্শন করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও।

পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর থেকে আওয়ামী লীগ বিভিন্নভাবে মাঠে নামার চেষ্টা করেছে। এমনকি তারা রিকশাওয়ালা সেজেও আন্দোলনে নামতে চেয়েছে। শুরু থেকেই উসকানিমূলক পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র চলছে। তবে এখন পর্যন্ত তারা সফল হয়নি। মানুষ চায় না আওয়ামী লীগ তাদের নাম ও আদর্শ ব্যবহার করে গণহত্যার মতো পরিস্থিতি তৈরি করার পর আবারও ফিরে আসুক। এটি দেশের জনগণের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।’

আসিফ মাহমুদ জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি মোকাবিলায় সচেষ্ট রয়েছে। আওয়ামী লীগ আগেও বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করেছে, তবে তারা সফল হয়নি। এবারও তাদের সেই সুযোগ দেওয়া হবে না।

জগন্নাথ হলে ৭৪ মণ্ডপে সরস্বতী পূজা

প্রতি বছরের মতো এবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে আয়োজিত হয়েছে সরস্বতী পূজা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩টি বিভাগের উদ্যোগে ৭৩টি মণ্ডপ এবং হলের কর্মচারীদের উদ্যোগে আরও একটি মণ্ডপসহ মোট ৭৪টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এ আয়োজনই ঢাকার মধ্যে সর্ববৃহৎ। চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা হলের উপাসনালয় সংলগ্ন পুকুরে স্থাপন করেছে সবচেয়ে বড় প্রতিমা, যা প্রতি বছর পুণ্যার্থীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে।

জগন্নাথ হল ছাড়াও ছাত্রীদের পাঁচটি হলে সরস্বতী পূজার আয়োজন করা হয়।

সব মণ্ডপে সকাল ৯টা থেকে পূজা শুরু হয়। বেলা ১১টায় অঞ্জলি দেওয়া হয়, যা চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত।

আরও পড়ুন:
আওয়ামী লীগ সরকারের মিথ্যা তথ্যের কারণে বাজার নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে সরকার: প্রেস সচিব
আমরা বেঁচে থাকতে সীমান্তে কেউ আসতে পারবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
৪ আগস্টের পর ৪০ মাজারে ৪৪ বার হামলা: প্রেস উইং
চুরি হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: সিএ প্রেস উইং
রাজনৈতিক কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে বিঘ্ন ঘটলে ছাড় নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Inter University Cricket Tournament Revised in the Permanent campus of Canadian University

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসে আন্তবিভাগ ক্রিকেটের ফাইনাল অনুুষ্ঠিত

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসে আন্তবিভাগ ক্রিকেটের ফাইনাল অনুুষ্ঠিত টুর্নামেন্টে সিইউবি ব্ল্যাকআউটস দল চ্যাম্পিয়ন হয়ে শিরোপা অর্জন করে। সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাফিন। ছবি: সিইউবি
এ টুর্নামেন্টে বিভিন্ন বিভাগের প্রতিযোগী দলগুলো অংশগ্রহণ করে। ব্যতিক্রমী ক্রিকেটিং দক্ষতা ও দলগত কাজ খেলাকে প্রাণবন্ত করে তুলে।

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর স্থায়ী ক্যাম্পাসে রবিবার সফলভাবে আন্তবিভাগ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ টুর্নামেন্টে সিইউবির বিভিন্ন বিভাগের প্রতিযোগী দলগুলো অংশগ্রহণ করে। ব্যতিক্রমী ক্রিকেটিং দক্ষতা ও দলগত কাজ খেলাকে প্রাণবন্ত করে তুলে।

গ্র্যান্ড ফিনালের আয়োজনে ব্ল্যাকআউটস এবং সিইউবি অলস্টারদের মধ্যে দুর্দান্ত ম্যাচ হয়।

সিইউবি ব্ল্যাকআউটস দল চ্যাম্পিয়ন হয়ে শিরোপা অর্জন করে। সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাফিন।

খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণ ও চ্যাম্পিয়ন ট্রফি প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী জাফরুল্লাহ শারাফাত, এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান জাবেদ হোসেন, উপাচার্য প্রফেসর ড. এইচ এম জহিরুল হক এবং উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. গিয়াস উ আহসান।

সিইউবি স্পোর্টস ক্লাব আয়োজিত ইভেন্টটি শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজের টাইটেল স্পন্সর সেনোরা
টাইগারদের লড়াকু পুঁজি
আফগানিস্তান ২৩৫ রানে অলআউট
চট্টগ্রাম টেস্টে তিনদিনেই হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
রানপাহাড়ে চাপা পড়া বাংলাদেশ ধুঁকছে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The decision not to keep the college affiliated to Dhaka University

৭ কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত না রাখার সিদ্ধান্ত

৭ কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত না রাখার সিদ্ধান্ত ঢাবি ও অধিভুক্ত সাত কলেজের লোগো। ফাইল ছবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয় সংলগ্ন লাউঞ্জে অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে সোমবার ঢাবি উপাচার্যের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের ‘সম্মানজনক’ পৃথকীকরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ঢাবি উপাচার্য কার্যালয় সংলগ্ন লাউঞ্জে অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে সোমবার ঢাবি উপাচার্যের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবদুল মতিন ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজ বিষয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় ইতোমধ্যে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং ধৈর্যধারণ, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।’

সভার সিদ্ধান্ত জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের সম্মানজনক পৃথকীকরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’

এ ছাড়া অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা সংক্রান্ত পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এক বছর এগিয়ে এনে এ বছর থেকেই, অর্থাৎ ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ভর্তি না নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

উপাচার্য বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষের কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য সভায় জোর সুপারিশ করা হয়।’

এ ছাড়া ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী আসন সংখ্যা ও ভর্তি ফি নির্ধারণসহ যাবতীয় বিষয়ে মন্ত্রণালয় গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বলেও জানান উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘যেসব শিক্ষার্থী বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান শিক্ষা কার্যক্রমের অধীনে রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়িত্বশীল থাকবে, যাতে তাদের শিক্ষাজীবন কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।’

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখার জন্য সভায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ও নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান উপাচার্য।

ওই সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদের পদত্যাগের দাবির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে উপাচার্য কোনো উত্তর না দিয়ে স্থান ছাড়েন।

সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদ, উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সাইমা হক বিদিশা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার, প্রক্টর ও রেজিস্ট্রার উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
টিএসসি মেট্রো স্টেশন ১৬ ডিসেম্বরসহ চারদিন বন্ধের সুপারিশ
টেকনাফের ওসি প্রত্যাহার চেয়ে ঢাবিতে মানববন্ধন
ঢাবি ক্যাম্পাসে রাজনীতি চর্চার ধরনবিষয়ক কমিটির কার্যক্রম শুরু
সাত কলেজকে ঢাবি অধিভুক্তি থেকে মুক্ত করা হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগ-জাপা নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে কফিন মিছিল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
6 demands of seven college students including resignation of DU Vice Chancellor

ঢাবি উপ-উপাচার্যের পদত্যাগসহ ৬ দাবি সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের

ঢাবি উপ-উপাচার্যের পদত্যাগসহ ৬ দাবি সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের ঢাকা কলেজ প্রাঙ্গণে সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে সাত কলেজ শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা কলেজের ছাত্র আসিফ মোহাম্মদ সজিব উদ্দীন বলেন, ‘জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে সকল পক্ষের সাথে আলোচনা করে আমরা গতকালকের ঘোষিত ব্লকেড কর্মসূচিটি উইথড্র করেছি। এখন আমরা চার ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিচ্ছি। এই চার ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মামুন আহমদকে পদত্যাগ করতে হবে। অন্যথায় আমরা সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা কঠোর কর্মসূচি দিব।’

চার ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদের পদত্যাগসহ ছয় দাবি জানিয়েছে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

বিকেল চারটার মধ্যে অধ্যাপক মামুনকে অব্যাহতি না দেওয়া হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তারা।

ঢাকা কলেজ প্রাঙ্গণে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন ইডেন কলেজের এক ছাত্রী।

১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ঢাকা কলেজসহ সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের যে সংঘাত, সেই সংঘাতের দায় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ক্ষমা চাইতে হবে। প্রোভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদকে পদত্যাগ করতে হবে।

২. ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী রাকিবকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলাসহ ঢাকা কলেজে শিক্ষার্থীদের ওপর নিউ মার্কেট পুলিশের ‌‘হামলার’ ঘটনায় নিউ মার্কেট জোনের এসি, থানার ওসি এবং জড়িতদের প্রত্যাহার করে তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৩. সংঘর্ষ চলাকালীন ইডেন কলেজ, বদরুন্নেসা কলেজসহ সাত কলেজের নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষার্থী ‘কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য’ এবং ‘অশালীন অঙ্গভঙ্গি’ করেছে, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

৪. ঢাকা কলেজের সঙ্গে সাত কলেজের অ্যাকাডেমিক এবং প্রশাসনিক সম্পর্কের অবসান ঘটিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে।

৫. উদ্ভূত সমস্যা নিরসনের জন্য প্রধান উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা, শিক্ষার্থী উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, ইউজিসির সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সমন্বয়ে ঢাকা কলেজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে।

. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকায় সিটি করপোরেশনের রাস্তা জনসাধারণের জন্য খুলে দিতে হবে।

এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাত কলেজের মধ্যকার এই সংকট নিয়ে আমরা বারবার রাস্তায় নেমেছি। আমরা বারবার বলেছি, আমাদেরকে একটা সমাধান দেন। কিন্তু কোনো সমাধান দেওয়া হয়নি।

‘এই সংকটের যতদিন না একটি সৃজনশীল সমাধান হয়, ততদিন শিক্ষার্থীর সাথে শিক্ষার্থীর মুখোমুখি অবস্থান চলতে থাকবে। আমরা স্থায়ী সমাধান চাই।’

এর আগে রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ঢাকা কলেজের সংঘর্ষ শেষে মধ্যরাতে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সাত কলেজের সাত পয়েন্টে ব্লক কর্মসূচি ঘোষণা করেন। যদিও আজ সেটি তারা পালন করেননি।

এ বিষয়ে ঢাকা কলেজের ছাত্র আসিফ মোহাম্মদ সজিব উদ্দীন বলেন, ‘জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে সকল পক্ষের সাথে আলোচনা করে আমরা গতকালকের ঘোষিত ব্লকেড কর্মসূচিটি উইথড্র করেছি। এখন আমরা চার ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিচ্ছি।

‘এই চার ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মামুন আহমদকে পদত্যাগ করতে হবে। অন্যথায় আমরা সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা কঠোর কর্মসূচি দিব।’

গতকালের সংঘর্ষে কতজন আহত হয়েছে জানতে চাইলে সজিব উদ্দীন বলেন, ‘আমাদের দৃশ্যমান ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আর নরমালি পঞ্চাশের অধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।’

সংঘর্ষে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী সজিব উদ্দীন।

তিনি বলেন, ‘গতকাল নীলক্ষেতে যখন দুই পক্ষের ধাওয়া এবং পাল্টা ধাওয়া চলছে, তখন আমি পুলিশের এক ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাকে ফোন দিই যেন তারা দুই পক্ষকে সাউন্ড গ্রেনেন্ড নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। কিন্তু পুলিশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের প্রটোকল দিয়ে আমাদের দিকেই শুধু সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে।

‘এরপর আমাদের বোনেরা যখন ইডেন কলেজ থেকে বের হয়, তখন নীলক্ষেতে অবস্থান নেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আমাদের বোনদের প্রতি কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য এবং অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করে। আমরা জড়িতদের শাস্তি চাই।’

আরও পড়ুন:
নিজ নিজ দায়িত্ব পালনই শহীদদের রক্তের ঋণ শোধের উপায়
টিএসসি মেট্রো স্টেশন ১৬ ডিসেম্বরসহ চারদিন বন্ধের সুপারিশ
টেকনাফের ওসি প্রত্যাহার চেয়ে ঢাবিতে মানববন্ধন
ঢাবি ক্যাম্পাসে রাজনীতি চর্চার ধরনবিষয়ক কমিটির কার্যক্রম শুরু
সাত কলেজকে ঢাবি অধিভুক্তি থেকে মুক্ত করা হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা

মন্তব্য

p
উপরে