মাদারীপুরের কালকিনিতে সাত বছর আগে স্কুলছাত্রী নিতু মন্ডল হত্যা মামলায় একমাত্র আসামি মিলন মন্ডলের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
আদালত রায়ে বলেছেন, ‘আসামি মিলন যে জঘন্য অপরাধ করেছেন। তার অনুকম্পা পাওয়ার সুযোগ নাই।’
বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।
আদালতে আসামির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান এবং রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী, তার সঙ্গে ছিলেন সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. শামীম খান ও ফারহানা রুনা।
রায়ে সন্তোষ জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী বলেছেন, ‘আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি বহাল রেখে আদালত যে রায় দিয়েছেন তাতে আমরা সন্তুষ্ট।
প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর নিতু মন্ডল স্কুলে যাওয়ার সময় একটি নির্জন বাঁশ বাগানে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে একই গ্রামের মিলন মন্ডল। গুরুতর আহত অবস্থায় নিতুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার আগেই সে মারা যায়। এ ঘটনায় ওই দিনই ডাসার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা নির্মল মন্ডল।
মামলায় বিচার প্রক্রিয়া শেষে ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট একমাত্র আসামি মিলন মন্ডলকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দেন মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শরীফউদ্দিন আহমেদ।
পরে নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামি মিলন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মিলন মন্ডল নবগ্রাম আলিসার কান্দি গ্রামের বিরেন মন্ডলের ছেলে। নিহত নিতু মন্ডল ডাসারের নবগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
অবৈধ অনুপ্রবেশের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত থেকে দুজন ভারতীয় নাগরিককে আটক করার কথা জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বাহিনীটি মঙ্গলবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
সরাইল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফারাহ্ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘অদ্য ০৮ অক্টোবর, ২০২৪ তারিখ সকাল ০৭০০ ঘটিকায় বিজিবির সরাইল ব্যাটালিয়নের (২৫ বিজিবি) ফকিরমোড়া বিওপির টহলদল দায়িত্বপূর্ণ আখাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী আব্দুল্লাপুর নামক স্থানে অভিযান চালিয়ে পান্না রানী দেব (৫৪) নামের একজন ভারতীয় নারী ও তার ছেলে অভি দাশকে (১৮) আটক করতে সক্ষম হয়েছে। আটককৃতরা ভারতের ধলায় জেলার কমলপুর থানার মানিক ভান্ডার এলাকার জহর লাল দাসের স্ত্রী-সন্তান।
‘আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা ৭ দিন পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা জেলার রামনগর থানার সরমালংগা গ্রামের বাসিন্দা ও মানব পাচারকারী দালাল মানিক দাশের সহযোগিতায় অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারত হতে বাংলাদেশে আসে এবং কিশোরগঞ্জ জেলায় তার শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করে। আজ আখাউড়ার হিরাপুর গ্রামের বাছির মিয়ার ছেলে ও মানব পাচারকারী দালাল মো. তোফাজ্জল হোসেন এবং নূরুল মিয়ার ছেলে মো. তৌহিদ মিয়ার সহযোগিতায় সীমান্ত পিলার ২০২২/৭-এস-এর নিকট দিয়ে ভারতে ফেরত যাচ্ছিল।’
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘আটককৃত ভারতীয় নাগরিক এবং মানব পাচারকারী দালালচক্রের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করত ভারতীয় নাগরিকদের আখাউড়া থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে ক্ষমতার পালাবদলের পর এক আওয়ামী লীগ নেতার লিজ নেয়া কোটি টাকার সরকারি জলমহাল দখল করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির প্রভাবশালী এক নেতার বিরুদ্ধে।
জেলা শহরের একটি আবাসিক হোটেলে সোমবার বিকেলে কয়েকজন বিএনপি নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন অষ্টগ্রাম উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাক আহমেদ কমল।
ওই সময় বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, হুমাইপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুর রাশিদ ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আদেল উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মোস্তাক আহমেদ কমল অভিযোগ করেন, তিনি অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর জলমহালটি এক বছরের জন্য ৭৩ লাখ ২৫ হাজার ৪৪১ টাকায় লিজ নেন। ভাটিনগর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি অনিতা রানীর নামে জলমহাল লিজ নেয়া হলেও সব টাকা পরিশোধ করেন আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাক আহমেদ কমল, তবে জলমহালটি পরিচালনা করছিলেন অনিতা রানীসহ ছয়জন মিলে।
কমলের অভিযোগ, হঠাৎ করে সরকার পতনের সুযোগ নিয়ে অনিতা রানী দাসের যোগসাজশে হুমাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি হেলাল খান জলমহালটি দখল করে নেন।
মিথ্যা মামলা দায়েরসহ নানাভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মোস্তাক আহমেদ কমল।
জলমহালের মালিকানা উদ্ধারে প্রশাসনের কাছে আবেদন করাসহ উপজেলা বিএনপির নেতাদের সহযোগিতা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা হেলাল খানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সেগুলো রিসিভ না হওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া অনিতা রানীর নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন:কক্সবাজারের টেকনাফে ২১ কোটি টাকা মূল্যের সোয়া আট কেজির বেশি ওজনের বিক্রয় নিষিদ্ধ তিমি মাছের বমি বা অ্যাম্বারগ্রিসসহ এক পাচারকারীকে আটক করেছে বিজিবি।
বিজিবি জানিয়েছে, বিক্রয় নিষিদ্ধ এই তিমি মাছের বমি বা অ্যাম্বারগ্রিস থেকে বিভিন্ন মূল্যবান পারফিউম ও ওষুধ তৈরি করা হয়। বাংলাদেশে এ ধরনের মূল্যবান ও দুষ্প্রাপ্য জিনিসের চোরাচালান অত্যন্ত বিরল ঘটনা।
রোববার বিকেলে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ এলাকায় অভিযান চালানো হয় বলে জানান বিজিবির টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ।
আটক শামশুল আলম টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন দ্বীপের নির আহমদের ছেলে।
লে. কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘রোববার বিকেলে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ বাজার পাড়া সীমান্ত দিয়ে সংঘবদ্ধ চোরাকারবারিরা কিছু মালামাল পাচার করার খবরে বিজিবির একটি দল অভিযান চালায়। এতে সন্দেহজনক এক ব্যক্তি বস্তা কাঁধে করে বাজারপাড়ার দিকে আসতে দেখে বিজিবির সদস্যরা তাকে থামার নির্দেশ দেন।
‘লোকটি বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে সঙ্গে থাকা বস্তাটি ফেলে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় ধাওয়া দিয়ে তাকে আটক করতে সক্ষম হন বিজিবি সদস্যরা।’
তিনি বলেন, ‘পরে পাচারকারীর ফেলে যাওয়া বস্তাটিতে বিক্রয় নিষিদ্ধ ৮ কেজি ৩৯৮ গ্রাম অ্যান্বারগ্রিস বা তিমি মাছের বমি পাওয়া যায়। উদ্ধার করা এসব অ্যাম্বারগ্রিসের আনুমানিক বাজারমূল্য ২০ কোটি ৯৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা।’
বিজিবির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘সোমবার সকালে উদ্ধার করা অ্যাম্বারগ্রিসগুলো বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট (বুরি) কক্সবাজারস্থ পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। পরে সেখানে অ্যাম্বারগ্রিসের বৈশিষ্ট্য এবং শনাক্ত সম্পন্ন করা হয়।
‘উদ্ধার করা অ্যাম্বারগ্রিসগুলো কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ট্রেজারি শাখায় জমা দেয়া হয়েছে।’
তিনি জানান, আটক পাচারকারীর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে টেকনাফ থানায় মামলা করা হয়েছে।
সারা দেশে গত সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩৯২টি। এসব দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪২৬ জন। তাদের মধ্যে ৬১ জন নারী, শিশু ৫৩টি। আহত হয়েছেন ৮১৩ জন।
সোমবার রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমানের পাঠানো দুর্ঘটনা প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
নয়টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- সেপ্টেম্বর মাসে সারা দেশে ১৬৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ১৭৯ জন, যা মোট প্রাণহানির ৪২ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪১ দশমিক ৮৩ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ৯৭ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২২ দশমিক ৭৬ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৫৪ জন, অর্থাৎ ১২ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
এই সময়ে নৌ-দুর্ঘটনা ঘটেছে আটটি। তাতে প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন, আহত হয়েছেন চারজন এবং নিখোঁজ রয়েছেন দুজন। ১৭টি রেল ট্র্যাক দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত হন এবং আহত হন নয়জন।
সংগঠনটি পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণে বলেছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৬২টি জাতীয় মহাসড়কে, ১৪৪টি আঞ্চলিক সড়কে, ৪৭টি গ্রামীণ সড়কে, ৩৪টি শহরের সড়কে এবং পাঁচটি অন্যান্য স্থানে সংঘটিত হয়েছে।
আরও পড়ুন:সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান, তার ভাই ও পরিবারের অন্য সদস্যদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। সূত্র: ইউএনবি
এর আগে আজিজ খান ও তার পরিবারের সদস্যদের অ্যাকাউন্টের তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
বিএফআইইউ এক চিঠিতে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের বিধান অনুযায়ী আজিজ খান, তার ভাই ও পরিবারের অন্য সদস্যদের ব্যাংক হিসাবে ৩০ দিনের জন্য লেনদেন বন্ধ রাখতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে।
সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ জন প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর একজন।
খুলনায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে মহানগরীর শীর্ষ মাদক কারবারি ‘ইয়াবা সম্রাট’ সজীবসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ মাদক, গুলি ও মোবাইল সেটসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম।
সোমবার সকালে নগরীর চানমারী ও রূপসা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। নৌবাহিনী ও পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
নৌবাহিনীর সূত্র জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নৌবাহিনীর নেতৃত্বে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার বিষয়ক একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় চানমারী বাজারের ২ নং গলির বাসা থেকে ইয়াবা সম্রাট মো. সজীব ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার বাসায় তল্লাশি করে তিন রাউন্ড ব্লাঙ্ক কার্টিজ এমুনিশন, এক হাজার ৬১৭ পিস ইয়াবা, এক লাখ ৭৬ হাজার টাকা, ২১টি মোবাইল সেট, একটি ল্যাপটপ, পাঁচটি সিসি ক্যামেরা ও একটি রামদা জব্দ করা হয়।
পরবর্তীতে সজীবের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে নতুন বাজার এলাকার আসাদুল গাজীর ছেলে ফয়েজ রাব্বী, চানমারী মাদ্রাসা রোড এলাকার ইয়াকুব মোল্লা, দাকোপ উপজেলা সদরের জালাল গাজীর ছেলে জিয়ারুল ইসলাম নীরব ও রূপসা বেড়িবাঁধ রোডের সত্তার বড় মিঞার গলির মোহাম্মদ তোয়েব আলী সিকদারের কন্যা জামিলা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সূত্র জানায়, সজীবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১১টি মামলা রয়েছে। সে ক্রসফায়ারে নিহত সুন্দরবনের বনদস্যু জুলফিকার আলী ওরফে জুলফির ছেলে। তার ছোট ভাই আশিক ইসলাম নগরীর ভয়ঙ্কর কিশোর গ্যাং ‘আশিক গ্রুপ’-এর প্রধান।
২০২৩ সালের ১ আগস্ট খুলনার রূপসা সেতু টোল প্লাজা থেকে ৯ হাজার ৩৫০ পিস ইয়াবাসহ সজীবকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। ওই সময় র্যাব জানিয়েছিল, চট্টগ্রাম থেকে মাদকের বড় বড় চোরাচালান এনে খুলনা শহরে তা বিক্রি করে চক্রটি। ওই মামলায় কিছুদিন কারাভোগের পর জামিনে বের হয় সজীব।
আশিক এখন পর্দার অন্তরালে থাকলেও সজীব খুলনায় প্রকাশ্যেই মাদকের কারবার চালিয়ে আসছিল।
নৌবাহিনীর লে. কমান্ডার সামওয়েল আহমেদ খান আদিত বলেন, ‘নৌবাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত যৌথ অপারেশনটিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও পুলিশ অংশ নেয়।’
এ বিষয়ে খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুনীর-উল-গিয়াস বলেন, ‘যৌথ বাহিনীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তারকৃতদের এখনও থানায় হস্তান্তর করা হয়নি। অভিযান শেষ হলে তাদের থানায় দেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) বিশেষ শাখার তথ্য অনুযায়ী খুলনা শহরে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তার করেছে আশিক গ্রুপ। ওই বাহিনীর প্রধান আশিক নিজ নামে দলটি গঠন করেছেন। তিনি খুলনা মহানগরীর সদর থানাধীন চানমারী এলাকার বাসিন্দা।
২০১৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর প্রথম হত্যা মামলায় জড়িয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে যুক্ত হন আশিক। এ পর্যন্ত তার নামে বিভিন্ন থানায় পাঁচটি মামলা হয়েছে। বর্তমানে তিনি পলাতক। তার দলে সদস্য রয়েছে ২৩ জন। তাদের নামে মোট মামলা রয়েছে ১১০টি।
আরও পড়ুন:বিতর্কিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম ও তার স্ত্রী ফারজানা পারভীনসহ পরিবারের ১২ সদস্যের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত এই আদেশ দিয়েছে।
দুদকের কোর্ট পরিদর্শক আমির হোসেন এই তথ্য জানিয়েছেন।
দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া অন্যরা হলেন- সাইফুল আলমের ছেলে আশরাফুল আলম ও আহসানুল আলম, ভাই মোরশেদুল আলম, সহিদুল আলম, রাশেদুল আলম, আবদুস সামাদ, আবদুস সামাদের স্ত্রী শাহানা ফেরদৌস, ভাই ওসমান গণি ও তার স্ত্রী ফারজানা বেগম, ভাই মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ হাসান এবং অজ্ঞাত মিশকাত আহমেদ।
এদিন দুদকের মো. নূর ই আলম তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী আবেদনের ওপর সালাম শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত এই আদেশ দেন।
মন্তব্য